Tag: news in bengali

news in bengali

  • Jammu Kashmir: মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে সই উপরাজ্যপালের, ভূস্বর্গ পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা!

    Jammu Kashmir: মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে সই উপরাজ্যপালের, ভূস্বর্গ পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করেছিল (Statehood Resolution) ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার মন্ত্রিসভা। পরে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার কাছে। বর্তমানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। এবার তোড়জোড় চলছে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার।

    রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব (Jammu Kashmir)

    বৃহস্পতিবারই প্রথম বৈঠকে বসে ওমর মন্ত্রিসভা। এদিনের বৈঠকে পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব। মুখ্যমন্ত্রী ওমর ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ডেপুটি সুরিন্দর চৌধুরী, মন্ত্রী সাকিনা মাসুদ ইতু, জাভেদ আহমেদ রানা, জাভেদ আহমেদ দার ও সতীশ শর্মা। মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে উপরাজ্যপাল স্বাক্ষর করার পরে সেটি পাঠানো হবে দিল্লিতে। আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাওয়ার কথা ওমরের। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব তুলে দেবেন ওমর। আর্জি জানানো হবে জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য

    জম্মু-কাশ্মীরের এক সরকারি আধিকারিক জানান, মন্ত্রিসভার পাশ করা প্রস্তাবে বাড়তি কিছু যোগ করেননি উপরাজ্যপাল। মন্ত্রিসভায় গৃহীত প্রস্তাব তাঁর কাছে আসতেই তিনি তাতে স্বাক্ষর করে দেন। তিনি বলেন, “এই প্রস্তাবের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা ফিরে পাবেন তাঁদের পরিচিতি ও সাংবিধানিক অধিকার।” ওমর সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া উপত্যকায়। তবে সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে বিরোধী পিডিপি-সহ একাধিক দল। তাদের দাবি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা ও বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসতে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না বলেও অভিযোগ বিরোধীদের।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন, দফায় দফায় গুলির লড়াই

    ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই ভূস্বর্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। যদিও সঠিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে (Statehood Resolution) আশ্বাস দেয় কেন্দ্র (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন, দফায় দফায় গুলির লড়াই

    Manipur Violence: মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন, দফায় দফায় গুলির লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তি ছড়াল মণিপুরে (Manipur Violence)। মাসখানেকের বিরতির পর শনিবার ভোর থেকে দফায় দফায় গুলির লড়াই হয় (Militants Attack) জিরিবাম জেলায়। মেইতেই ও কুকি সশস্ত্র বাহিনীর লড়াইয়ের জেরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যে। হামলা হয়েছে বরোবেকেরা থানায়ও।

    কুকি জঙ্গিদের হামলা (Manipur Violence)

    জানা গিয়েছে, জিরিবামের জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বরোবেকেরায় হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। এলাকাটি পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা। কুকি জঙ্গিদের রুখতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের যোদ্ধারা। দুপক্ষে দফায় দফায় গুলি বিনিময় হয়। এই সময় কুকিদের একাংশ হামলা চালায় বরোবেকেরা থানায়। মাসখানেক আগেও একবার জিরিবাম জেলায় গুলির লড়াই হয়েছিল কুকি এবং মেইতেইদের। দুপক্ষের সেই লড়াইয়ে হত হয়েছিলেন পাঁচজন। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের অশান্তির আগুন ছড়াল চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    গোড়ার কথা

    মণিপুরে অশান্তির (Manipur Violence) সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৩ মে। সেদিন জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের মিছিল ছিল। মেইতেইদের তফশিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নেমেছিল জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর। সংঘাতের শুরু সেখানেই। মণিপুরের আদি বাসিন্দা মেইতেইরা হিন্দু। অন্যদিকে, তাদের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, সেই কুকি, জো-সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী। এদের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুপক্ষের এই লড়াইয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের। আহত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন হাজার ষাটেক মানুষ।

    আরও পড়ুন: কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা, দেশে প্রথম চালু হতে চলেছে হরিয়ানায়

    মণিপুর পুলিশের ডিজি রাজীব সিং বলেন, “ আজও জিরিবাম জেলা সহ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত গোলাগুলি চলছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  এসেছে। অশান্তির আগুন (Militants Attack) যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী (Manipur Violence)।” মণিপুরে শান্তি ফেরাতে চেষ্টার কসুর করছে না কেন্দ্র। শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই বৈঠক হওয়ার কথা চলতি সপ্তাহে। এরই মধ্যে নতুন করে অশান্তির আগুন লাগল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 168: “নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় করাও ভাল না”

    Ramakrishna 168: “নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় করাও ভাল না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৭ই এপ্রিল

    নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে বলরাম-মন্দিরে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলরামের বাড়িতে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন (Kathamrita)—বৈঠকখানার উত্তর-পূর্বের ঘরে। বেলা একটা হইবে। নরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল, বলরাম, মাস্টার ঘরে তাঁহার সঙ্গে বসিয়া আছেন।

    আজ অমাবস্যা। শনিবার, ৭ই এপ্রিল, ১৮৮৩, ২৫শে চৈত্র। ঠাকুর সকালে বলরামের বাড়ি আসিয়া মধ্যাহ্নে সেবা করিয়াছেন। নরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল ও আরও দু-একটি ভক্তকে নিমন্ত্রণ করিতে বলিয়াছিলেন। তাঁহারাও এখানে আহার করিয়াছেন। ঠাকুর বলরামকে বলিতেন—এদের খাইও, তাহলে অনেক সাধুদের খাওয়ানো হবে।

    কয়েকদিন হইল ঠাকুর শ্রীযুক্ত কেশবের বাটীতে নববৃন্দাবন নাটক দেখিতে গিয়াছিলেন। সঙ্গে নরেন্দ্র ও রাখাল ছিলেন। নরেন্দ্র অভিনয়ে যোগ দিয়াছিলেন। কেশব পওহারী বাবা সাজিয়াছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি)—কেশব (সেন) সাধু সেজে শান্তিজল ছড়াতে লাগল। আমার কিন্তু ভাল লাগল না। অভিনয় করে শান্তি জল!

    আর-একজন (কু-বাবু) পাপ পুরুষ সেজেছিল। ওরকম সাজাও ভাল না। নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় (Kathamrita) করাও ভাল না।

    নরেন্দ্রের শরীর তত সুস্থ নয়, কিন্তু তাঁহার গান শুনিতে ঠাকুরের (Ramakrishna) ভারী ইচ্ছা। তিনি বলিতেছেন, “নরেন্দ্র, এরা বলছে একটু গা না।”

    নরেন্দ্র তানপুরা লইয়া গাইতেছেন:

    আমার প্রাণপিঞ্জরের পাখি, গাও না রে।
    ব্রহ্মকল্পতরুপরে বসে রে পাখি, বিভুগুণ গাও দেখি,
    (গাও, গাও) ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ,
    সুপক্ক ফল খাও না রে।
    বল বল আত্মারাম, পড় প্রাণারাম,
    হৃদয়-মাঝে প্রাণ-বিহঙ্গ ডাক অবিরাম,
    ডাক তৃষিত চাতকের মতো,
    পাখি অলস থেক না রে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Internship Scheme: পিএম ইন্টার্নশিপ আবেদনে বিরাট সাড়া, সর্বাধিক আবেদন এই দুই সংস্থায়

    PM Internship Scheme: পিএম ইন্টার্নশিপ আবেদনে বিরাট সাড়া, সর্বাধিক আবেদন এই দুই সংস্থায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ স্কিমে (PM Internship Scheme) এবার ২১ থেকে ২৪ বছর বয়সি যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার যোজনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১.২৫ লক্ষ যুবাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভর করার জন্য এই প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সুবিধা নিতে বিভিন্ন দেশীয় সংস্থা এগিয়ে এসেছে। বহু সংস্থায় নাম নথিভুক্ত করছেন দেশের তরুণ-তরুণীরা। তবে, আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে উৎসাহ দেখা গিয়েছে মারুতি ও ওএনজিসিতে (Maruti-ONGC) প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে।

    ২৫০টি কোম্পানিতে আবেদন (PM Internship Scheme)

    শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ স্কিম পোর্টালে (PM Internship Scheme) ২৫০টি কোম্পানিতে আবেদনে সাড়া ফেলেছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক আবেদন এসেছে নিম্নলিখিত সেক্টরগুলিতে। এই সেক্টর হল-তেল, গ্যাস, জ্বালানি, অটোমোটিভ, ভ্রমণ-হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক-অর্থনীতি, ধাতু-খনি। সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত মারুতিতে (Maruti-ONGC) ১০ হাজার ৯৬০টি আবেদন ইন্টার্নশিপের জন্য পাওয়া গিয়েছে। তারপরে আইশার মোটর্সে ৪২৬০টি, হিরো মোটোকর্পে ১৭৪৪টি, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রায় ১০টি, টাটা মোটর্সে ৮৩৮টি করে আবেদন জমা পড়েছে। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সেক্টরে পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগে ওএনজিসিতে ৬০০০টি আবেদন জমা পড়েছে। তারপরেই পাওয়ার গ্রিড হিসেবে ৪০০৪টি, এনটিপিসি ৩৫৭০টি, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে ২৯৯১টি এবং আরইসি লিমিটেডে ১৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আপনি কি পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমে প্রশিক্ষণ নিতে চান? আজই আবেদন করুন

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ব্যবহারেও স্কিম

    এই স্কিমে (PM Internship Scheme) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ব্যবহার করার মতো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্প বা যোজনাগুলি ২ ডিসেম্বর থেকে চালু করা হবে। ১২ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য ইন্টার্নদের ৫০০০ টাকা করে মাসিক সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রতি মাসে কোম্পানি তার সিএসআর তহবিল থেকে প্রতিটি ইন্টার্নকে ৫০০ করে টাকা দেবে।  কোম্পানি প্রথমে ওই অর্থপ্রদান করলে, সরকারও ইন্টার্নদের আধার সংযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি আরও ৪৫০০ টাকা প্রদান করবে। এই স্কিমে আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত যোগ্যতা একান্ত প্রয়োজন। যথা- প্রার্থীরা হাইস্কুল, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এছাড়াও আইটিআই থেকে একটি শংসাপত্র আছে, পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা করেছেন বা বিএ, বিএসসি, বিসিএ, বিবিএ, বি ফার্মা ইত্যাদি সহ স্নাতকরাও আবেদন করতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা, দেশে প্রথম চালু হতে চলেছে হরিয়ানায়

    Haryana: কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা, দেশে প্রথম চালু হতে চলেছে হরিয়ানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার (Haryana) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির নয়াব সিং সাইনি। তার পরেই যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বছর চুয়ান্নর সাইনি। কোটার মধ্যে কোটা (Quota Within Quota) চালু করতে চলেছে সাইনি সরকার। এটা চালু হলে, হরিয়ানায়ই হবে প্রথম রাজ্য যারা এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে। এর আগে বিজেপিরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সরকার রাজ্যের যুবক-যুবতীদের চাকরির সুযোগ দিতে নয়া আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছিল। ওই আইনের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, এ বার থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি সংরক্ষিত রাখা হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য। খট্টরের পর রাজ্যের ক্ষমতায় আসে সাইনি সরকার। তারা চালু করতে চলেছে কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা।

    কোটার মধ্যে কোটা

    বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পরে শুক্রবার প্রথম বৈঠকে বসে সাইনি সরকার (Haryana)। সেখানেই তফসিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণের উপ-শ্রেণিকরণ সম্পর্কিত সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেওয়ার ও অবিলম্বে তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, এই সিদ্ধান্ত বিদ্যমান সংরক্ষণ ব্যবস্থার মধ্যে নিশ্চিত করবে সুষ্ঠু বণ্টন। বর্তমানে হরিয়ানায় তফশিলি জাতির জন্য ১৫ শতাংশ এবং তফশিলি উপজাতির জন্য সাড়ে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হরিয়ানা এই সাড়ে ২২ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দিষ্ট কোটা বরাদ্দ করতে পারবে তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যের সেই উপ-গোষ্ঠীগুলির জন্য, যাদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষায় কম প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১ অগাস্টই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, ইতিবাচক পদক্ষেপের সুবিধা দেওয়ার জন্য সংরক্ষিত বিভাগ গোষ্ঠীর মধ্যে একটি উপ-শ্রেণিবিভাগ অনুমোদিত হবে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। তার পর দেশের মধ্যে এই প্রথম তা কার্যকর করতে চলেছে হরিয়ানা (Haryana) সরকার।

    ‘বঞ্চিত তফশিলি জাতি’

    এর আগে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তফশিলি জাতির জন্য নির্দিষ্ট যে কোটা, তাকে দুভাগে ভাগ (Quota Within Quota) করতে বিল পাশ করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছে, বঞ্চিত তফশিলি জাতি। এই বিভাগে রয়েছে বাল্মীকি, বাজিগর, দেহা, সানসি, ধানক এবং সাপেরা-সহ ৩৬টি সম্প্রদায়। ওই বিলে বলা হয়েছিল, যে কোনও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য এসসিদের জন্য সংরক্ষিত ২০ আসনের পঞ্চাশ শতাংশ আলাদা করে রাখা হবে বঞ্চিত তফশিলি জাতির জন্য। হরিয়ানায় (Haryana) অন্যান্য তফশিলি জাতির জনসংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ। কিন্তু হরিয়ানার সরকারি পরিষেবাগুলিতে প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ গ্রুপ এ, বি এবং সিতে যথাক্রমে ১১ শতাংশ, ১১.৩১ শতাংশ এবং ১১.৮ শতাংশ। তফশিলি জাতির উপশ্রেণির মধ্যে সব মিলিয়ে যেমন ৩৬টি সম্প্রদায় রয়েছে, তেমনি ওবিসি গ্রুপে রয়েছে চামার, জাতিয়া চামার, রেঘার, রায়গর, রামদাসী, রবিদাসী এবং জাঠ। এ রাজ্যে এই জাঠেদের আর্থ-সামাজিক প্রতিনিধিত্ব ওবিসি গ্রুপের অন্যান্য সম্প্রদায়ের চেয়ে ঢের ভালো।

    উপশ্রেণিকরণ

    সাইনি ঘোষণা করেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা (Haryana) উপশ্রেণিকরণের প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভায় আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে তফশিলিদের দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনেই এটা করা হচ্ছে। এই উপশ্রণিকরণের সিদ্ধান্তটি প্রযোজ্য হবে আজ থেকেই।” সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যে তফশিলি জাতির জন্য যে ২০ শতাংশ কোটা রয়েছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ সংক্ষরিত থাকবে বঞ্চিত তফশিলি জাতির জন্য। শীঘ্রই এ ব্যাপারে নোটিফিকেশন জারি করবে রাজ্যের মুখ্যসচিব।” সাইনি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হরিয়ানার বাসিন্দারা। এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ গভীর। 

    আরও পড়ুন: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    হরিয়ানাবাসীকে উপহার বিজেপির

    সম্প্রতি হরিয়ানা (Haryana) বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি উপশ্রেণিকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তফশিলি জাতি ভোটের সিংহভাগই যাতে গেরুয়া ঝুলিতে পড়ে, তাই এই ব্যবস্থা। তৃতীয়বারের জন্য হরিয়ানার কুর্সিতে বসেছে বিজেপি। সাইনির ক্ষেত্রে এটা হল দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠান। ৯০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার হরিয়ানায় নির্বাচনোত্তর বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির পরাজয়ের ইঙ্গিত উঠে এসেছিল। কিন্তু, সব সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় হরিয়ানায় (Haryana)  ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। এ রাজ্যে তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১৭টি। তার মধ্যে বিজেপি একাই জয়ী হয়েছে ৮টিতে। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে সব মিলিয়ে বিজেপি জিতেছিল এ রাজ্যের ৫টি তফশিলি সংরক্ষিত আসনে। সেটাই এবার বেড়ে হয়েছে ৮। তাই এই সম্প্রদায়কে কিছু দেওয়ার ছিল বিজেপির। গেরুয়া-পার্টির হয়ে যে উপহারটা (Quota Within Quota) দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা সাইনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: রবিবার বারাণসীতে দেশের সবচেয়ে চওড়া রেল-সড়ক যুগ্মসেতুর শিলান্যাস করবেন মোদি

    Narendra Modi: রবিবার বারাণসীতে দেশের সবচেয়ে চওড়া রেল-সড়ক যুগ্মসেতুর শিলান্যাস করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল, রবিবার ২০ অক্টোবর, বারাণসীতে (Varanasi) ভারতের দীর্ঘতম প্রশস্ত রেল-সড়ক ডবল ডেকার সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে তিনি এই সফরে উত্তরপ্রদেশের জন্য ১৩০০ কোটি টাকার মোট ২৩টি প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মোদির লোকসভা সংসদীয় ক্ষেত্র হল বারাণসী কাশীধাম। তাই এলাকার মানুষের মধ্যে মোদির সফরকে ঘিরে তীব্র উৎসাহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

    আনুমানিক ব্যয় করা হবে প্রায় ২৬৪২ কোটি টাকা (Narendra Modi)

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi), যোগী রাজ্যে ‘সিগনেচার ডাবল-ডেকার সেতু’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে। এই রেল ও সড়ক পথের যুগ্মসেতুটি বারাণসী (Varanasi) এবং চৌন্ডালী জেলার গঙ্গার উপরে দুই তীরের সংযোগ স্থাপন করবে। এটিকে দেশের সবচেয়ে প্রশস্ত রেল সেতু বলা হয়েছে। এর উপর রয়েছে ছয় লেনের রাস্তা। এই সপ্তাহের শুরুতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঙ্গার উপর প্রশস্ত সেতুর অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটির জন্য আনুমানিক ব্যয় করা হবে প্রায় ২৬৪২ কোটি টাকা এবং তা আগামী চার বছরের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণে এই প্রকল্পকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতে পরিবহণ ব্যবস্থায় আর্থিক প্রগতির গতিকে আরও তরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এই প্রকল্পের ফলে প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে এনডিএ-র আসন রফা চূড়ান্ত, বিজেপি লড়বে ৬৮ আসনে

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই দীর্ঘতম প্রশস্ত সেতুর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “বর্তমানে যে সেতু রয়েছে সেই মালভিয়া সেতু ১৩৭ বছরের পুরনো। সেতুর মধ্যে এক জোড়া রেলপথ এবং দুই লেন বিশিষ্ট সড়কপথ যুগ্মভাবে রয়েছে। তবে, ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দেড়গুণ ভার বহন করছে সেতুটি। তাকেও সংস্কার করা হবে। এই নতুন রেল ও রোড ব্রিজের চারটি রেললাইন এবং একটি ছয় লেনের জাতীয় সড়ক থাকবে। মোদিজির (Narendra Modi) নেতৃত্বে অভূতপূর্ব এই সেতুর সংযোগে গঙ্গার দুই পাড়ের, মানুষের যাতায়েত অনেক সুগম হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada)। বর্তমানে দেশটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দুষ্কৃতীদের এই স্বর্গরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs For Justice)। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই গুরুপন্ত সিং পান্নুন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই পান্নুনের সংগঠনের ট্রুডোর অফিসের ওঠাবসা চলছে বছর তিনেক ধরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা কবুলও করেছেন পান্নুন। ট্রুডো মন্ত্রিসভা সংখ্যালঘু। সেই সরকার টিকে আছে জোড়াতালি দিয়ে, শিখদের সমর্থন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই ট্রুডোর অফিসের লোকজনের সঙ্গে দহরম মহরম করছেন শিখস ফর জাস্টিসের লোকজন।

    খুলল ট্রুডো সরকারের মুখোশ (Sikhs For Justice)

    এই সংগঠনেরই নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয় গত জুনে, কানাডা-ভূমে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। তবে ট্রুডো সরকারের এই দোষারোপের পর ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ‘বিকশিত ভারত’ পাশ থেকে সরে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে ট্রুডো সরকার। ভারত-কানাডার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে কবুল করেন, নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করার সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। তার পরেই খুলে যায় ট্রুডো সরকারের মুখোশ।

    খালিস্তান-প্রীতি

    ট্রুডো সরকারের খালিস্তান-প্রীতি (Sikhs For Justice) নিয়ে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্যান্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, “নিজ্জর একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। তার পরেও তাঁকে ২০০৭ সালে জোর করে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ট্রুডো সরকারের উচিত প্রশাসনিক ভ্রান্তি দূর করে মরণোত্তরভাবে নিজ্জরের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। বার্নিয়ার বলেন, “কানাডা সরকারের উচিত একজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাৎসি-যোগ

    ২০১৮ সালে ট্রুডো সরকার চারজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। রাশিয়া তৎকালীন কানাডিয়ান বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাৎসি-যোগ প্রকাশ করার পরে আরও তিনজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ‘গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ও অন্যান্য কানাডিয়ান মিডিয়ার দাবি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রায় দু’দশক ধরে জানতেন, তাঁর মামাবাড়ির দাদুর সঙ্গে নাৎসি যোগ ছিল। সেই সময় ফ্রিল্যান্ড রাশিয়াকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।ফ্রিল্যান্ডের অফিসের (Canada) দাবি ছিল, ফ্রিল্যান্ডের দাদুর সঙ্গে নাৎসিদের যোগ কোনওকালেই ছিল না। তবে লিবারেল পার্টি লিডারের দাদুর সঙ্গে যে নাৎসিদের সত্যিই যোগ রয়েছে, এটা রাশিয়া সরকারের মিথ্যে প্রচার নয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ ছিল। তার পরেও ফ্রিল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রুডো সরকার, শাস্তি দিয়েছে রাশিয়ান কূটনীতিকদের।

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু মাইখাইলো চমিয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মিলিটারি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি প্রমিনেন্ট ইউক্রেনিয়ান পাবলিকেশনের এডিটর ছিলেন। এই পাবলিকেশন হিটলারকে নিয়ে হইচই করেছিল, প্রচার করেছিল তীব্র ইহুদি বিদ্বেষ। এই সংবাদপত্রের মাধ্যমেই নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা চলত, ছড়ানো হত নাৎসিদের মতাদর্শ, হোয়াইটওয়াশ করা হত হলোকাস্টকে। যুদ্ধ শেষে চমিয়াক সপরিবারে ঢুকে পড়েন কানাডায়। সেই থেকে তাঁরা রয়েছেন ট্রুডোর দেশে, যোগাযোগও রয়েছে নাৎসিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    নাৎসি-প্রীতি

    ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতিও প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণ ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কাকে সংবর্ধনা দেয় (Sikhs For Justice)। যদিও জানানো হয়নি হুঙ্কা নাৎসিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি এসএস ইউনিটের সদস্য ছিলেন ১৯৪৩ সালে। ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতির পর ইদানিং প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শিখস ফর জাস্টিস-প্রেমের কথা। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার অশান্তির সূত্রপাত। যা নিয়ে ভারত-কানাডার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ইতি।

    কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত 

    পান্নুনের নেতৃত্বাধীন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন লালিত-পালিত হচ্ছে ট্রুডো সরকারের জল-হাওয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল। খালিস্তান আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠন একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। খালিস্তানপন্থীদের এই সংগঠনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কনিষ্কয় বম্বিং করেছিল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।

    ১৯৮৪ সালে (Canada) ব্রিটেনে জন্ম হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের। এই সংগঠনেরও শাখা রয়েছে কানাডায়। কানাডার মাটিতে লালিত হয়েছে প্রয়াত নিজ্জরের সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্স। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কার্জকর্মে লিপ্ত তারাও। এদেরই প্রধান মুখ ছিল নিজ্জর। কখনও হিন্দু মন্দিরে (Sikhs For Justice) হামলা, কখনও ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া, কখনও আবার হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তুলেছে এই সংগঠন। তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রুডো। আসলে শিখ সমর্থন না থাকলে যে পড়ে যাবে (Canada) তাঁর সরকার!

    অতএব…।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mount Everest: ১০০ বছর পরে ব্রিটিশ পর্বতারোহীর দেহাবশেষ উদ্ধার! বদলে যাবে প্রথম এভারেস্ট জয়ের ইতিহাস?

    Mount Everest: ১০০ বছর পরে ব্রিটিশ পর্বতারোহীর দেহাবশেষ উদ্ধার! বদলে যাবে প্রথম এভারেস্ট জয়ের ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ বছর পর ব্রিটিশ পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু আর্ভিনের (British Climber Andrew Irvine) দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। যার ফলে, এভারেস্ট (Mount Everest) জয়ের ইতিহাস বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই পর্বতের উত্তর দিকের রংবুক হিমবাহে অভিযান চালাচ্ছিলেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্যচিত্র নির্মাতারা। আচমকাই তাঁদের চোখে পড়ে একটি জুতো। এরপর সত্য উঠে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    দেহাবশেষ আর্ভিনের কিনা (Mount Everest)?

    চলচ্চিত্র নির্মাতা এরিখ রোপেক এবং পর্বতআরোহী মার্ক ফিশার ভালো করে নিরীক্ষণ করে দেখার পর বুঝতে পারেন, এই জুতো হল ১০০ বছর আগে পর্বতে হারিয়ে যাওয়া পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিনের (British Climber Andrew Irvine)। তিনি স্যান্ডি নামে পরিচিত ছিলেন। জুতোর মধ্যে যে মোজা গালানো ছিল তাতে লাল সুতো দিয়ে নাম লেখা ছিল ওঁই পর্বতারোহীর নাম। এভারেস্টের (Mount Everest) উপর বরফের নিচে চাপা পড়েছিল এই জুতো। কিন্তু হিমবাহের বরফ গলার কারণে প্রায় এক শতাব্দী পর এই জুতো উদ্ধার হয়েছে। তবে দেহাবশেষ আর্ভিনের কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

    মাত্র ২২ বছরে অভিযান করেছিলেন

    আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৯২৪ সালের ৮ জুন দুজন পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিন (British Climber Andrew Irvine) এবং জর্জ ম্যালারি এভারেস্ট (Mount Everest) অভিযান শুরু করেছিলেন। তখন অ্যান্ড্রু কামিনের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। কিন্তু অভিযানে দুই জনই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে খোঁজাখুঁজির পর ম্যালেরির দেহাবশেষ পাওয়া গেলেও আর্ভিনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এবার জুতো উদ্ধারের পর নিখোঁজ রহস্যের কিনারা হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুনঃ ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    ১৯৫৩ সালে এভারেস্টে (Mount Everest) পা রাখেন তেনজিং

    জানা যাচ্ছে, যদি জুতো অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিনের (British Climber Andrew Irvine) বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে এভারেস্টের ইতিহাসে বিরাট পরিবর্তন ঘটে যাবে। অনুমান করা হচ্ছে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগের রেকর্ড ভেঙে যাবে। উল্লেখ্য, হিলারি-তেনজিং জুটি ১৯৫৩ সালে এভারেস্টের (Mount Everest) চূড়ায় পা রেখেছিলেন। কিন্তু, তার ২৯ বছর আগে অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিন হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পা রেখেছিলেন। ফলে মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার ইতিহাস বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য, আর্ভিন এবং ম্যালারি আদৌ শৃঙ্গজয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন কিনা, তা প্রমাণ সাপেক্ষ। কিন্তু, এখনই এই নিয়ে পর্বতারোহীদের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Internship Scheme: আপনি কি পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমে প্রশিক্ষণ নিতে চান? আজই আবেদন করুন

    PM Internship Scheme: আপনি কি পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমে প্রশিক্ষণ নিতে চান? আজই আবেদন করুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিম (PM Internship Scheme) কেন্দ্রের মোদি সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্প। তাতে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অপার সম্ভাবনার দিক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ২৩ জুলাই বাজেট বক্তৃতার সময় এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে গত ৩ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে এই স্কিম৷ এই উদ্যোগটির লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষ ৫০০ কোম্পানিতে এক কোটি যুবককে ইন্টার্নশিপ (Learn) প্রদান করানো৷ আবেদনের জন্য পোর্টাল ১২ অক্টোবর থেকে খোলা হয়েছে। চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহীরা ইতিমধ্যে আবেদন শুরু করে দিয়েছেন। আপনিও কি এই স্কিমের সঙ্গে যুক্ত হতে চান? তাহলে কীভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন।

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিম কী (PM Internship Scheme)?

    এই স্কিমটি দৈনন্দিন জীবনে জীবিকা বা ব্যবসায় যুবক-যুবতীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ (Learn) প্রদানের মাধ্যমে কীভাবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা যায়, সেই দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে। এই স্কিমটি (PM Internship Scheme) কাজের দক্ষতায় কোনও ব্যবধান থাকলে তা পূরণ করবে। একই ভাবে যুবসমাজকে প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভর করবে। স্কিমের প্রশিক্ষণনের জন্য প্রতিটি ইন্টার্ন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সরাসরি বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT) এর মাধ্যমে ৪৫০০ টাকা মাসিক বৃত্তিও পাবেন। একই ভাবে থাকবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সিএসআর তহবিল থেকে অতিরিক্ত আরও ৫০০ টাকা। এছাড়া এককালীন ৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে ইন্টার্নদের। এআই টুল ব্যবহার করা, যোগ্যতা এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ইন্টার্নশিপের সুযোগ মিলবে প্রার্থীদের। 

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড কী কী?

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমের (PM Internship Scheme) যোগ্যতা অর্জনের জন্য, আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত মানদণ্ড পূরণ করতে হবে:

    ১) আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং পূর্ণ-সময়ের চাকরিতে নিযুক্ত নয় এমন হতে হবে।

    ২) আবেদনকারীদের দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণি কিংবা যাঁদের বিএ, বিকম, বিফার্মের ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও এই স্কিমে ইন্টার্নশিপের আবেদন করতে পারেন।

    ৩) আইটিআই গ্রাজুয়েট, পলিটেকনিক ডিপ্লোমাধারীরাও আবেদনের যোগ্য। 

    ৪) সরকারি চাকরি বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী পরিবারের প্রার্থীরা যোগ্য নন। এনআইটি, আইআইটি, আইআইএম, আইআইএসইআর-এর মতো প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউটের স্নাতক বা সিএ বা  সিএমএ (CMA)-এর মতো যোগ্যতা থাকা ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    ৫) ২০২৩-২৪ সালে ৮ লাখ বা ​​তার বেশি আয়ের পরিবারের আবেদনকারীরা অযোগ্য হবেন।

    কীভাবে আবেদন করতে হবে?

    আবেদন করার পোর্টাল (PM Internship Scheme)-এর ওয়েবসাইট হল- pminternship.mca.gov.in । ১২ অক্টোবর থেকে সারাসরি আবেদন করা শুরু হয়েছে, চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রার্থীদের অবশ্যই ওয়েব সাইটে গিয়ে নিজেদের নাম ও বিশদ তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং সকল দেওয়া তথ্যকে স্ব-প্রত্যয়িত (Self Attested) করতে হবে।

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমের সুবিধা

    এই স্কিমটি (PM Internship Scheme) তরুণদের চাকরি বা কর্ম সংস্থানের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। একই ভাবে প্রার্থীদের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশের ৫০০টি সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাচ্ছেন যুবক-যুবতীরা। আইটিসি, ইনফোসিস, উইপ্রো, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মতো সংস্থায় কাজ শেখার সুযোগ পাবেন। দেশের ৭৩৭টি জেলায় ২৪টি সেক্টরে এই ইন্টার্নশিপ করা যাবে। কোম্পানিগুলিতে কাজের সুবিধা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চাকরিতে প্রস্তুত করার জন্য প্রার্থীদের বিশেষভাবে উপযোগী হবে। ইন্টার্নশিপ শেষ করার পরে বড় কর্পোরেশন বা মাইক্রো, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগে (এমএসএমই) স্থায়ী কর্মীর ভূমিকায় কাজের সুযোগ মিলবে।

    উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিম হল একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। যুবসমাজের কর্মসংস্থান ও শিল্প-উদ্যগ-বানিজ্যকে দক্ষ করতে কেন্দ্র সরকারের ভাবনা একেবারে অভিনব। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে দেশের যুব সমাজের জন্য আগে আত্মনির্ভর এবং কর্মসংস্থান একান্ত প্রয়োজনীয়। যদিও ভারত সরকার গত করোনা মহামারির পর থেকেই ‘লোকাল ফর ভোকাল’, ‘ওয়ান প্রোডাক্ট ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’, ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’-সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়কে যোগদানের জন্য উৎসাহী করছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন এই স্কিলের উপর। উন্নত ভারত বা বিকশিত ভারত নির্মাণে এই প্রকল্পগুলি কার্যকর হবে বলে আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! উলুবেড়িয়ায় সভা করবেন শুভেন্দু, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! উলুবেড়িয়ায় সভা করবেন শুভেন্দু, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির অভিযোগ ছিল, শাসকদল তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে পুলিশ-প্রশাসন বিজেপির সভা করতে বাধা দিচ্ছে। তাই সভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অবশেষে উলুবেড়িয়ায় (Uluberia) তাঁকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, সভা হবে ২১ অক্টোবর তরুণ সঙ্ঘ ক্লাবের মাঠে। ফলে ফের একবার আদালতে মুখ পুড়ল মমতার পুলিশ-প্রশাসনের। উল্লেখ্য, দশমীতে হাওড়ার শ্যামপুরে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে মূর্তি ভাঙা নিয়ে শুভেন্দু কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। এবার হবে এই জেলায় বিজেপির রাজনৈতিক সভা।

    দুপুর ২টো থেকে ৬টার মধ্যে সভা (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক আগামী সোমবার, হাওড়ায় শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে এই সভা করার জন্য একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বিচারপতি বলেন, “আগামী ২১ অক্টোবর দুপুর ২টো থেকে ৬টার মধ্যে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে জনসভার জন্য যেন পার্কিং ও রাস্তায় কোনও প্রভাব না পড়ে। জনসভায় দু’হাজার লোকের বেশি জমায়েত হওয়া চলবে না।”
    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    আগে রাজাপুর থানা অনুমতি দিয়েছিল!

    কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী বলেন, “উলুবেড়িয়ার নেতাজি ক্লাব প্রথমে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছিল। পরে চাপের মুখে তা প্রত্যাহার করে। এরপর তরুণ সঙ্ঘের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠটি ক্লাবের নয়। পিডবলুডি-র মাঠ। অথচ এর আগে রাজাপুর থানার অধীনে ওই মাঠে সভার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।” পাল্টা সরকার পক্ষের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে কোনও ব্যক্তির সভা করার অনুমতি রয়েছে। ক্লাবের কোনও অধিকার নেই অনুমতি দেওয়ার। ন্যাশনাল হাইওয়ে ১৬ রয়েছে ক্লাবের (Uluberia) পাশেই। মামলাকারীর নিরাপত্তা এবং ট্রাফিককের অসুবিধা হবে।”

    বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই রাজ্যে। শাসকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করলে কোনও রকম সভার অনুমতি দেওয়া হয় না বিজেপিকে। আরজি কর-কাণ্ডে শ্যামবাজার, হাজরা মোড়ে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হয়েছিল। একই ভাবে সন্দেশখালি-সহ একাধিক জায়গায় সভা করতে গেলে কোর্টের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হয়েছিল। ফলে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে মমতার প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share