Tag: news in bengali

news in bengali

  • Weather Update: আবহাওয়ার উন্নতি, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই, পুজোর পাঁচ দিন কেমন কাটবে জানুন

    Weather Update: আবহাওয়ার উন্নতি, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই, পুজোর পাঁচ দিন কেমন কাটবে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর (Durga Puja) আগে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের (Weather Update) কারণে আবহাওয়াকে ঘিরে এক সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আনন্দ মাটি হওয়ার উপক্রম হতে বসেছিল। উত্তর থেকে দক্ষিণ জুড়ে সর্বত্র জারি হয়েছিল বজ্রবৃষ্টি সহ ভারী বর্ষণের হলুদ সতর্কতা। এবার সেই অশনিসংকেত যেন কাটার উপক্রম। আবহাওয়া যেন ক্রমেই উন্নতির পথে। উৎসবের আনন্দঘন রঙ্গিন আকাশ যেন ক্রমেই ফুটে উঠছে। কেটে যাচ্ছে কালো মেঘ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর অন্ধ্র উপকূলের কাছে দানা বেঁধেছিল ঘূর্ণাবর্ত। এখন সেই ঘূর্ণাবর্ত আরও কিছুটা দক্ষিণে সরে গিয়ে তামিলনাড়ু উপকূলের উপরে রয়েছে। বাংলা থেকে দূরত্ব বৃদ্ধির কারণে বৃষ্টির আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, “সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সোম থেকে শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে। কোনও‌ কোনও জেলার কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ঘূর্ণাবর্তটি আরও দূরে সরে গিয়েছে। আবার মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপগ্রহের চিত্রে, বঙ্গোপসাগরের উপর যে কালো মেঘের স্তর (Weather Update) ছিল, তা অনেকটাই পাতলা হয়ে গিয়েছে। যা মেঘ ছিল, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সরে গিয়েছে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গ

    দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও তেমন সম্ভাবনা নেই। আকাশ মূলত আংশিক মেঘলা থাকবে। সোমবার কেবল মাত্র সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ (Weather Update) সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর জেলায়। মোটের উপর শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা পরিমাণে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা

    শহর কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। বেলা বাড়লে আংশিক মেঘলায় (Weather Update) পরিণত হবে। সোমবার দুপুর থেকেই ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে যাবে। তবে ১১ এবং ১২ অক্টোবর বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা সাধারণ তাপমাত্রার থেকে কমে যাবে। অপর দিকে পুজোর (Durga Puja) মধ্যে শহরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে, তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আরও কমে যাবে। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৪ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের তাপমাত্রার পরিমাণ হবে প্রায় ৮৩ থেকে ৯৬ শতাংশ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: বস্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাওবাদী নেত্রী নীতি-সহ ২২ জনের দেহ শনাক্ত

    Chhattisgarh: বস্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাওবাদী নেত্রী নীতি-সহ ২২ জনের দেহ শনাক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তারে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এক বিশেষ অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী খতম হয়েছিল। এই মৃতদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কুখ্যাত মাওবাদী নেত্রী সহ ২২ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এই মাওবাদী নেতাদের সন্ধান পেতে মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে রয়েছে মাওবাদী নেত্রী নীতি ওরফে ঊর্মিলা। ওই নেত্রী মাওবাদী স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্যও ছিল। একা তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা।

    একটানা ৪৮ ঘণ্টা মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই হয় বাহিনীর (Chhattisgarh)

    শুক্রবারে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) নারায়ণপুর থেকে দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় এসটিএফ এবং ডিআরজির বাহিনী। একটানা ৪৮ ঘণ্টা মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই হয় জওয়ানদের। ওরচা এবং বারসুর থানার অন্তর্গত নেনথুর-থুলথুলি জঙ্গলে দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই হয়। এই অভিযানে সিপিআই (মাওবাদী) শাখার পিএলজিএ অর্থাৎ পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির মোট ৩১ জনকে খতম করা হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র। তার মধ্যে রয়েছে একে-৪৭, ৭.৬২ এসএলআর, ইনসাস। একই ভাবে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক। উল্লেখ্য ছত্তিশগড় রাজ্য গঠন হওয়ার পর থেকে এই অভিযানে সব থেকে বড় সাফল্য এসেছে। অবশ্য এর আগে কাঙ্কের জেলায় এক অভিযানে ২৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    জওয়ানদের এই সাফল্য প্রশংসনীয়

    সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী দমন অভিযানে এটা অনেক বড় সাফল্য বলে জানিয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘জওয়ানদের এই সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের অদম্য সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাই। ছত্তিশগড় থেকে নকশালবাদ শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য। নকশালবাদ শেষ করেই আমাদের লড়াই থামবে। এর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বড় চ্যালেঞ্জ হল মাওবাদীরা। ২০২৬ সালের মার্চের পর এদেশে মাওবাদী থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই এমন সাফল্য এল মাওবাদী দমনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: “অর্থসঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র, পাশে দাঁড়াবে ভারত”, আশায় মুইজ্জু

    Mohamed Muizzu: “অর্থসঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র, পাশে দাঁড়াবে ভারত”, আশায় মুইজ্জু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অর্থসঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র। পাশে দাঁড়াবে ভারত (India Maldives Relation)।” রবিবার এমনই আশা প্রকাশ করলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)। এদিনই চারদিনের সফরে সস্ত্রীক ভারতে এসেছেন মুইজ্জু। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এ দেশে থাকবেন তিনি।

    ভারত সফরে মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)

    গত চার মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতে এলেন তিনি। চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। সরকারি কয়েকজন শীর্ষ আমলার সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন তিনি। মুইজ্জু কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বেলআউট চাইতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। মলদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে গিয়েছে। যা দিয়ে মাত্র দেড় মাস আমদানি করা যাবে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন।” তিনি (Mohamed Muizzu) বলেন, “আমাদের সব চেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে একটি হিসেবে ভারত আমাদের বোঝা কমাতে আমাদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির আরও ভালো বিকল্প ও সমাধান খুঁজতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।”

    আরও পড়ুন: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের, গভীর রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    মুইজ্জুর ভোলবদল

    ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে বসেন মুইজ্জু। চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু। মলদ্বীপে নির্বাচনের আগে ভারতের বিরুদ্ধে দেদার প্রচার করেছিলেন তিনি। কুর্সিতে বসেই প্রথমে ভারত সফর করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টরা। দীর্ঘদিনের সেই রীতি লঙ্ঘন করে মুইজ্জু প্রথমে যান বেজিংয়ে। ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমান করেন মুইজ্জু সরকারের জুনিয়র তিন মন্ত্রী। তার পরেই মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন পর্যটকরা। বিপদে পড়ে যান দ্বীপরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। কারণ পর্যটন শিল্প নির্ভর দেশ মলদ্বীপে যত পর্যটক প্রতি বছর বেড়াতে যান তার ৮০ শতাংশই ভারতীয়। পেটে টান পড়তেই ভোল বদলান মুইজ্জু। চলে আসেন ভারত সফরে।

    তবে তার আগে সলতে পাকানোর কাজ করেছিলেন মুইজ্জু সরকারের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়জল। ভারতীয় পর্যটকদের ফের মলদ্বীপ ভ্রমণের আহ্বান জানাতে ভারতের কয়েকটি শহরে রোড-শো-ও করেন তিনি (India Maldives Relation)। তার পর এলেন মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) স্বয়ং।

    ঠেলায় পড়লে বেড়ালও গাছে ওঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 156: “রাম পূর্ণব্রহ্ম, পূর্ণ অবতার—একথা বারজন ঋষি কেবল জানত”

    Ramakrishna 156: “রাম পূর্ণব্রহ্ম, পূর্ণ অবতার—একথা বারজন ঋষি কেবল জানত”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    সাকার-নিরাকার—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রামনামে সমাধি

    ঋষিরা জ্ঞানী ছিলেন, তাই তাঁরা অখণ্ড সচ্চিদানন্দকে চাইতেন (Kathamrita)। আবার ভক্তেরা অবতারকে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita) দাঁড়াইয়া ভক্তদের কাছে এই কথা বলিতেছেন। বলিতে বলিতেই একেবারে বাহ্যরাজ্য ছাড়িয়া মন অন্তর্মুখ হইল! “হৃৎপদ্ম প্রস্ফুটিত হইল।—এই কথাটি উচ্চারণ করিতে না করিতে ঠাকুর একেবারে সমাধিস্থ।

    ঠাকুর সমাধিমন্দিরে। ভগবানদর্শন করিয়া শ্রীরামকৃষ্ণের হৃৎপদ্ম কি প্রস্ফুটিত হইল! সেই একভাবে দণ্ডায়মান। কিন্তু বাহ্যশূন্য। চিত্রার্পিতের ন্যায়। শ্রীমুখ উজ্জ্বল ও সহাস্য। ভক্তেরা কেহ দাঁড়াইয়া, কেহ বসিয়া; অবাক্‌; একদৃষ্টে এই অদ্ভুত প্রেম রাজ্যের ছবি। এই অদৃষ্টপূর্ব সমাধি-চিত্র সন্দর্শন করিতেছেন।

    অনেকক্ষণ পরে সমাধি ভঙ্গ হইল।

    ঠাকুর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া ‘রাম’ এই নাম বারবার উচ্চারণ করিতেছেন। নামের বর্ণে বর্ণে যেন অমৃত ঝরিতেছে। ঠাকুর উপবিষ্ট হইলেন। ভক্তেরা চর্তুদিকে বসিয়া একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদিগের প্রতি)—অবতার যখন আসে, সাধারণ লোকে জানতে পারে না—গোপনে আসে। দুই-চারিজন অন্তরঙ্গ ভক্ত জানতে পারে। রাম পূর্ণব্রহ্ম, পূর্ণ অবতার—এ-কথা বারজন ঋষি কেবল জানত। অন্যান্য ঋষিরা বলেছিল, “হে রাম, আমরা তোমাকে দশরথের ব্যাটা বলে জানি।

    অখণ্ড সচ্চিদানন্দকে কি সকলে ধরতে পারে? কিন্তু নিত্যে উঠে যে বিলাসের জন্য লীলায় থাকে, তারই পাকা ভক্তি। বিলাতে কুইন (রানী)-কে দেখে এলে পর, তখন কুইন-এর কথা, কুইন-এর কার্য—এ সকল বর্ণনা করা চলতে পারে। কুইন-এর কথা তখন বলা ঠিক ঠিক হয়। ভরদ্বাজাদি ঋষি রামকে স্তব করেছিলেন, আর বলেছিলেন, ‘হে রাম (Ramakrishna), তুমিই সেই অখণ্ড সচ্চিদানন্দ। তুমি আমাদের কাছে মানুষরূপে অবতীর্ণ হয়েছ। বস্তুত তুমি তোমার মায়া আশ্রয় করেছ বলে, তোমাকে মানুষের মতো দেখাচ্ছে!’ ভরদ্বাজাদি ঋষি রামের পরম ভক্ত। তাঁদের ভক্তি পাকাভক্তি (Kathamrita)।”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 155: “ভক্তি আস্বাদন করবার জন্য, তাঁকে দর্শন করলে মনের অন্ধকার দূরে যায়”

    Ramakrishna 155: “ভক্তি আস্বাদন করবার জন্য, তাঁকে দর্শন করলে মনের অন্ধকার দূরে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    সাকার-নিরাকার—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রামনামে সমাধি

    এইবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে ঘরের উত্তর-পূর্ব বারান্দায় আসিয়াছেন। ভক্তদের মধ্যে দক্ষিণেশ্বরবাসী একজন গৃহস্থও বসিয়া আছেন। তিনি গৃহে বেদান্ত-চর্চা করেন। ঠাকুরের সম্মুখে শ্রীযুক্ত কেদার চাটুজ্যের সঙ্গে তিনি শব্দব্রহ্ম সম্বন্ধে কথা কহিতেছেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও অবতারবাদ—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও সর্বধর্ম-সমন্বয় 

    দক্ষিণেশ্বরবাসী—এই অনাহত শব্দ সর্বদা অন্তরে-বাহিরে হচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—শুধু শব্দ হলে তো হবে না, শব্দের প্রতিপাত্য একটি আছে। তোমার নামে কি শুধু আমার আনন্দ হয়? তোমায় না দেখলে ষোল আনা আনন্দ হয় না।

    দ: নিবাসী—ওই শব্দই ব্রহ্ম। ওই অনাহত শব্দ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেদারের প্রতি)—ওঃ বুঝেছ? এঁর ঋষিদের মত। ঋষিরা রামচন্দ্রকে বললেন, হে রাম, আমরা জানি তুমি দশরথের ব্যাটা। ভরদ্বাজাদি ঋষিরা তোমায় অবতার জেনে পূজা করুন। আমরা অখণ্ড সচ্চিদানন্দকে চাই! রাম এই কথা শুনে হেসে চলে গেলেন।

    কেদার—ঋষিরা রামকে অবতার জানেন নাই। ঋষিরা বোকা ছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গম্ভীরভাবে)—আপনি এমন কথা বলো না। যার যেমন রুচি। আবার যার যা পেটে সয়। একটা মাছ এনে মা ছেলেদের নানারকম করে খাওয়ান। কারুকে পোলাও করে দেন; কিন্তু সকলের পেটে পোলাও সয় না। তাই তাদের মাছের ঝোল করে দেন। যার যা পেটে সয়। আবার কেউ মাছ ভাজা, মাছের অম্বল ভালবাসে। (সকলের হাস্য) যার যেমন রুচি।

    চান—ভক্তি আস্বাদন করবার জন্য। তাঁকে দর্শন করলে মনের অন্ধকার দূরে যায়। পুরাণে আছে, রামচন্দ্র (Ramakrishna) যখন সভাতে এলেন, তখন সভায় শত সূর্য যেন উদয় হল। তবে সভাসদ্‌ লোকেরা পুড়ে গেল না কেন? তার উত্তর—তাঁর জ্যোতিঃ জড় জ্যোতিঃ নয়। সভাস্থ সকলের হৃৎপদ্ম প্রস্ফুটিত হল। সূর্য উঠলে পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ“ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ষষ্ঠী থেকে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসীরা। নির্যাতিতার বাবা-মা আরও জানিয়েছেন, চাইলে যে কেউ এসে এই প্রতিবাদে সামিল হতে পারেন। এমনকী রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আসতে পারেন। কিন্তু প্রতিবাদ মঞ্চে কেবল মাত্র থাকবেন কাছের আত্মীয়রাই। একই ভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়ে মমতাকে তোপ দেগেছেন অভয়ার মা।

    চার দিনের ধর্নায় বসবেন বাবা-মা (RG Kar Case)

    প্রত্যেক বছর বাড়িতে পুজো (Durga Puja) হলেও এবার দুর্গামায়ের পুজো হবে না বাড়িতে। বাজবে না ঢাক, জ্বালানো হবে না আলো। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলেই ধর্ষণের পর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় অভয়াকে। ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্য সহ গোটা দেশ এবং বিদেশের মাটিতে আন্দোলন হয়েছে। এদিন নির্যাতিতার মা বলেন, “তিন বছর আগে মেয়ের আবদারে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। বাড়ির গ্যারাজে রাখা হয়েছিল দুর্গাপ্রতিমা। বাড়ি নানা আলোয় ঝলমল করত। চারদিন পুজো হত, খুব আনন্দ হত। এই বছর খুব কষ্ট হবে। তাই ঘরের সামনে ধর্নামঞ্চ করছি। ষষ্ঠী থেকে সেখানেই বসব। পরিবারের লোকজন থাকবে। যাঁরা আসতে চাইবেন আসবেন।” আবার নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “রাজনীতির লোকের আসতে পারেন, কিন্তু মঞ্চে জায়গা দিতে পারব না, আমাদের এই মঞ্চকে রাজনৈতিক রং দিতে চাই না।”

    আরও পড়ুনঃ “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা?

    আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার মা আরও বলেন, “মেয়েকে হারিয়েছি। জুনিয়র ডাক্তারেরা যে আন্দোলন করছেন, তা দেখে ঘরে বসে আমার কান্না পাচ্ছে। ওরা না খেয়ে আছে। আমি তো এখন ওদেরও মা। ওরা আমার সন্তান। মুখ্যমন্ত্রীকে ওদের সমস্যার সমাধান করার জন্য অনুরোধ করব। মা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, হাসপাতালের ভিতরে কী করে আমার মেয়ের সঙ্গে ওই কাণ্ড হয়েছিল? তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা? হাসপাতালের ভিতরে এ রকম হলে কোথায় রয়েছে সুরক্ষা?”

    অপর দিকে বাবা আরও বলেন, “অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি সরকার মানছেন না। বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি সরকার। মানবিক ভাবে সব কিছুকে না ভাবলে নির্যাতন বন্ধ হবে না। পটাশপুর, জয়নগরের মতো ঘটনা থামবে কীভাবে, তা নিয়ে ভাবতে হবে। একজন মাত্র ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। অপর দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হল। এভাবেই কি চলতে থাকবে? এর শেষ কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার কুলতলি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল সহ জেলার কর্মী-সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি (Jaynagar) থানা এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জয়নগরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এদিন মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ফাল্গুনী পাত্র এবং ভারতী ঘোষও উপস্থিত ছিলেন প্রতিবাদ সভায়।

    তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা পুলিশের কাজ (Jaynagar)

    আরজি করের ঘটনার পর এবার খবরের শিরোনামে গ্রাম বাংলার জয়নগর (Jaynagar)। এই পৈশাচিক ঘটনায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বাংলার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতার সরকার। ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। সঠিক ভাবে সক্রিয় হয়ে যদি পুলিশ কাজ করত, তাহলে এই রকম অত্যাচারের ঘটনা ঘটত না। পুলিশের উচিত এখন উর্দি খুলে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা। পরিবারের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির মাত্র নয় বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। যদিও এখনও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। অকালে একটি মেয়ের প্রাণ চলে গেল। এই হত্যার প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমাদের আজকের থানা ঘেরাও কর্মসূচি কার্যত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে।”

    আরও পড়ুনঃ জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না

    সুকান্ত তৃণমূলকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে, কিন্তু বাংলার মা-বোনেরা আজ সুরক্ষিত নন। উৎসবকে উপেক্ষা করে আজ আমরা জয়নগরের (Jaynagar) ময়দানে নেমেছি। কারণ বাংলার নারীদের সুরক্ষা চাই। দুর্গা মায়ের কাছে আমরা কোন মুখে আশীর্বাদ চাইব? রাজ্যে তো ধর্ষণ এবং খুনের খেলা চলছে। তৃণমূলের শাসনে কেউ সুরক্ষিত নয়। সব কিছুর দায় হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। দুষ্কৃতীরা শাসক ঘনিষ্ঠ। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। পুলিশকে বলতে চাই, মমতা আপনাদের চাকরি কেড়ে নিতে পারবেন না। পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। আর যদি না পারেন, পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না, হাওয়াই চটি লাগান। আপনারা অঞ্চলস্তরের তৃণমূল দলে যোগদান করুন, আমরা আর বলতে আসব না, বিচারও চাইব না। ভূপতিনগরেও একই ভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে এক মহিলাকে। তাই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদকে দূর করে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদকে দূর করে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসীদের ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদের মতো বিষয়কে দূর করে হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর তা করতে পারলেই দেশ বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্বগুরুর আসন লাভ করবে। আমরা সব সময় বিভেদ নয়, একতার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাব। রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক সমাজকে কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। শনিবার রাজস্থানের বরান নগরে কৃষি উপজ মান্ডির একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) এই কথা বলেন। তিনি এখানে স্বয়ং সেবকদের উদ্দেশে বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতি সমর্পণ হতে হবে কর্তব্যবোধ দিয়ে। সমাজকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোই আমাদের কাজ।”

    আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সমগ্র হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ভাষা, বর্ণ, খাদ্য, পোশাক সহ প্রাদেশিক বিভিন্নতাকে সম্পূর্ণ ভাবে দূর করতে হবে। সমাজকে একত্রিত হওয়ার ভাবনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমাজ এমন হতে হবে যেখানে সংগঠন, সদিচ্ছা, অন্তরঙ্গতার মতো চর্চার পরিসর থাকবে। আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে। রাষ্ট্রভক্তি মনে জাগ্রত করতে হবে। সমাজ কেবলমাত্র আমি বা আমার পরিবারের দ্বারা হবে না, সমাজের জন্য আমাদের সর্বাত্মক ভাবনা দিয়ে সকলের জন্য ঈশ্বর প্রাপ্তির কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। ভারতে বসবাসকারী সকলেই হিন্দু জাতির অন্তর্ভুক্ত, সকলেই হিন্দু, সমাজের সকল সম্প্রদায়ের জন্য একটাই পরিচয়।”

    আরও পড়ুনঃ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    সংঘের কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “আরএসএস-এর কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়। সমাজ-দেশ এবং রাষ্ট্রের জন্য চিন্তা, মনন এবং অনুভূতি দিয়ে মতামত গ্রহণ করে কাজ করতে হয়। বিশ্বের এমন কোনও বিষয় নেই যা সঙ্ঘের কাজের মধ্যে পড়ে না। সমাজ জীবনের মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশে চরিত্র নির্মাণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ভাবেই সামাজিক চরিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত রাষ্ট্রের পুনর্নির্মাণ হবে। আমাদের স্বয়ং সেবকরা এই সংকল্প নিয়েই প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে গিয়ে কাজ করে থাকেন।” এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থান প্রদেশের সঙ্ঘ চালক রমেশ আগরওয়াল, চিতোরের সঙ্ঘ চালক জগদীশ সিং রানা, বরান বিভাগের সঙ্ঘ চালক রমেশ চাঁদ সহ আরও প্রমুখ ব্যক্তি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। ঠিক এমন দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন জয়নগরের (Jaynagar) চতুর্থ শ্রেণির নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা। ধর্ষণ করে খুনের মতো পাশবিক ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মানুষ। উল্লেখ্য সম্প্রতি আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নাবালিকা খুনের ঘটনা পুজোর আগে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য (Jaynagar)

    শনিবার জয়নগরের (Jaynagar) পদ্মহাট গ্রামীণ হাসপাতাল এবং কাটাপুকুর মর্গে একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকেও একটাই দাবি রাজ্য সরকারে হাসপাতাল এবং পুলিশের অধীনে কোনও রকম ভাবেই ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এদিকে দোষীর শাস্তির দাবিতে এলাকার উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে কুলতলি থানায়। অপর দিকে ন্যায় বিচার এবং পুলিশের নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রবিবার থানা ঘেরেও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। উত্তেজনার কথা বুঝতে পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা। আবার মৃতার পরিবারের আইনজীবী চন্দনকুমার সাহা বলেন, “রাজ্য সরকারের অধীনে ময়নাতদন্ত চাইছি না। নির্যাতিতার বাবা চাইছেন নিরপেক্ষ কোনও হাসপাতালে ময়নাদন্ত করা হোক। আমরা ইতিমধ্যে দেহ সংরক্ষণের কথা জানিয়েছি। একই মর্মে ইতিমধ্যে লোকাল থানা, ডিজির কাছে চিঠিও করেছি আমরা। আমাদের চিঠি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।”

    আরও পড়ুনঃমহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দেয়নি

    শুক্রবার, ৪ অক্টোবর রাতের বেলায় বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মাত্র ১০ বছরের এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবার। এরপর থানায় জানানো হয়। পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি, সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে হয়তো মেয়েটিকে বাঁচানো যেত। এরপর দেহের খোঁজ মিললে জানা যায় ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা থানার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। ভাঙচুর থেকে আগুন লাগানো হয়। এলাকার (Jaynagar) স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল পরিদর্শনে গেলে তাঁকে দেখে আন্দোলনরত জনতা গো-ব্যাক স্লোগান দেন। অপর দিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গেও বাধে বচসা। শনিবারের পর রবিবারেও চলছে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থ্রেট কালচারের অভিযোগে এবার ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল খালি করারও নির্দেশ কর্তৃপক্ষের। আজীবন হস্টেল থাকা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। একই ভাবে পাঠানো হবে তাঁদের বাড়িতে অভিযোগপত্রের চিঠি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর থেকেই ন্যায় বিচারের দাবি উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। ডাক্তারদের সুরক্ষার দাবিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একদল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর হুমকির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    অভিযুক্তরা কারা (RG Kar Case)?

    জানা গিয়েছে, প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনে (RG Kar Case) শনিবার দুপুর থেকে দীর্ঘ বৈঠক এবং তদন্ত করে আরজি করের ১০ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকি, র‌্যাগিং-এর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার এবং ইন্টার্নদের প্রতিনিধিরা। ঠিক এদিন বাইরে থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, অবিলম্বে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে বহিষ্কার করতে হবে। এরপর কাউন্সিল নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বহিষ্কৃত চিকিৎসকরা হলেন, সৌরভ পাল, আশিস পান্ডে, অভিষেক সেন, আয়ুশ্রী থাপা, নির্জন বাগচী, সরিফ হাসান, নীলাগ্নি দেবনাথ, অমরেন্দ্র সিংহ, সৎপাল সিংহ এবং তনভীর আহমেদ কাজী। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন এবং শংসাপত্র দেখে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।

    হোস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন

    কলেজে (RG Kar Case), অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভয় এবং হুমকি দেওয়ার মতো কঠিন অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। মূলত অভিযোগগুলি হল, কথা না শুনলে টার্গেট করে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হত। পছন্দ অনুযায়ী গবেষণার বিষয় স্থির করা যেত না, টাকার বিনিময়ে গবেষণার বিষয় নিতে হত। একই ভাবে চাহিদা অনুযায়ী অবৈধভাবে টাকার লেনদেন চলত কলেজে। এমনকী চাপ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কাজে যুক্ত থাকতেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠরা। যখন তখন হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। রাত-দুপুরে হস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন। তৃণমূলের রাজনতিক মিটিং-মিছিলে যোগদান করতে বাধ্য করা হত। জুনিয়রদের কমন রুমে ডেকে চলত মানসিক অত্যাচার। পরিবার বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে চলত নোংরা গালিগালাজ।  ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    চার পর্যায়ের তদন্ত

    আরজি করে (RG Kar Case) ৫৯ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মোট ১৪ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। চারটি পর্যায়ে ভাগ করেছে তদন্ত কমিটি। ক্যাটেগরি ১এ-তে ১০ জন। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ১বি-তে ২৭ জন। এই ২৭ জনের বিরুদ্ধে মহিলা সহপাঠিদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ২-তে ১৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিং করার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ৩-এ রয়েছেন আর ৬ জন। তাদের অভিভাবককে ডাকা হয়েছে এবং বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share