Tag: news in bengali

news in bengali

  • VSHORADS: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    VSHORADS: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের জয়সলমেরের পোখরান (Pokhran) ফায়ারিং রেঞ্জে দেশীয়ভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র (VSHORADS) পরীক্ষা করল ভারত। পোখরান রেঞ্জে ডিআরডিও খুব স্বল্প পরিসরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের তিনটি পরীক্ষা করেছিল।

    বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (VSHORADS)

    ভারতের সাফল্যে উৎসাহিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি এই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী, ডিআরডিও এবং শিল্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভিএসএইচওআরএডিএসের পুরো নাম ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই মিসাইলের পরীক্ষা সফল হওয়ায় বিজ্ঞানীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজনাথ। জানা গিয়েছে, এই মিসাইলটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি একটি মিসাইল ম্যান-পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। নয়া ডেভেলপড এই মিসাইলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম ও ইন্টিগ্রেটেড এভিওনিক্স-সহ একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ডিআরডিও-র (VSHORADS) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে উন্নত করা হচ্ছিল এই মিসাইল। একাধিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর সম্প্রতি পোখরানে এর চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে এটি।

    পোখরানে সাফল্য মিলেছিল অগাস্টেও

    অগাস্ট মাসেই পোখরানে সফল পরীক্ষা করা হয় ম্যান পোর্টেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের। একেবারে নিখুঁত নিশানায় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ও ভারী যানকে ধুলিস্যাৎ করতে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এই মিসাইল। অন্যান্য অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের তুলনায় এটি অত্যন্ত হালকা। ওজন ১৫ কিলোগ্রামেরও কম। স্বাভাবিকভাবেই যে কেউই এটি কাঁধে করে বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন। এতদিন ভারতীয় সেনা তাদের প্রয়োজনে রাশিয়ান ইগলা ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করত। এখনও করছে। তবে এখন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আধুনীকিকরণ করা হচ্ছে এই জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে।

    আরও পড়ুন: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    শুক্রবারই নয়াদিল্লিতে ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনাল ডায়ালগ ২০২৪-এ ভাষণ দেওয়ার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, ভারত ধারাবাহিকভাবে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছে। আঞ্চলিক আলাপ-আলোচনা, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়ানের কেন্দ্রিকতার ওপর জোর দিয়ে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির (Pokhran) মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে (VSHORADS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shimla Court: সময় ২ মাস, শিমলার সেই বিতর্কিত মসজিদের তিনটি তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ

    Shimla Court: সময় ২ মাস, শিমলার সেই বিতর্কিত মসজিদের তিনটি তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচলপ্রদেশের সেই বিতর্কিত মসজিদের (Disputed Mosque) তিনটি তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল শিমলা আদালত (Shimla Court)। শিমলা মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কোর্ট সানজাউলি মসজিদ ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মসজিদ কমিটি ও ওয়াকফ বোর্ডকে দুমাস সময় দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, মসজিদ কমিটি ও ওয়াকফ বোর্ডকে তাদের নিজস্ব খরচে ভেঙে ফেলতে হবে মসজিদের তিনটি তলা। মসজিদটির বাকি দুটি তলা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ২১ ডিসেম্বর।

    আইনজীবীর প্রশ্ন (Shimla Court)

    আদালতে সানজাউলিবাসীর প্রতিনিধিত্ব করছেন যে আইনজীবী, তিনি বলেন, “২০১১ সালে মিউনিসিপাল কমিশন মসজিদ কমিটিকে প্রথম নোটিশ দেয়।” তাঁর প্রশ্ন, “২০১৮ সালের মধ্যে কীভাবে একটা পাঁচতলা ভবন নির্মিত হল? চাওয়া হলেও, মিউনিসিপাল কমিশনের কাছে কোনও রেকর্ড জমা দেওয়া হয়নি।” তিনি বলেন, “পুরো মসজিদটি অবৈধ। সেখানে অবৈধ কার্যকলাপ চলছে।” তাঁর প্রশ্ন, এর পরেও বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ কেন কাটা হল না? তিনি বলেন, “সানজাউলিতে অবৈধ মসজিদের জমি বাদে ১৫৬ বিঘা জমি রয়েছে (Shimla Court)।”

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    সানজাউলিতে একটি মসজিদের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই একতলা মসজিদটি পাঁচতলায় পরিণত হয়। বাইরে থেকে বহু মানুষ এখানে নমাজ আদায় করতে আসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এঁদের মধ্যে অসৎ লোকজনও থাকতে পারেন। ঘটনায় তাঁরা যে ভীত, সন্ত্রস্ত্র, তাও জানিয়েছিলেন তাঁরা। এর পরেই মসজিদের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার দাবি জানান স্থানীয়রা। ১১ সেপ্টেম্বর ওই দাবিতে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। বিক্ষোভ চলাকালীন দশজন জখম হন। তার পর ফের সানজাউলি মসজিদ চলে আসে খবরের শিরোনামে।

    আরও পড়ুন: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    সানজাউলির ঘটনা থিতু হওয়ার দিন দুই পরে বিক্ষোভ শুরু হয় মান্ডিতেও। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে (Disputed Mosque) জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ (Shimla Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যদি ভাগ হয়ে যাই, তাহলে যারা আমাদের আলাদা করছে, তারা সেলিব্রেট করবে।” শনিবার ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামনেই মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে এদিন ঠানেতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেখানে তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    কংগ্রেসকে তোপ মোদির (PM Modi)

    বলেন, “কংগ্রেস দেশের সব চেয়ে অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। হরিয়ানায় এক কংগ্রেস নেতা মাদক-সহ ধরা পড়েছেন। তারা মানুষকে শোষণ করার নয়া উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। হিমাচলপ্রদেশে তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে। তারা টয়লেট নামে একটি কর চালু করেছে। এটা আমরা ভাবতেও পারি না। আমি টয়লেট করে দিচ্ছি, আর ওরা মানুষের কাছ থেকে টয়লেটের ওপর ট্যাক্স আদায় করছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস জমি লুট করে, নারী নির্যাতন করে। আজ ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। তারা একটা শহুরে নকশাল গ্যাং চালাচ্ছে। যারা ভারতের উন্নয়ন-গতির চাকা স্তব্ধ করতে চায়, কংগ্রেস প্রকাশ্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”

    কংগ্রেস সমাজকে বিভক্ত করতে চায়

    কংগ্রেস সমাজকে বিভক্ত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন মোদি। বলেন, “ওরা সমাজকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। তাই আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা যদি ভাগ হয়ে যাই, তাহলে যারা আমাদের আলাদা করছে, তারা সেলিব্রেট করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস যেখানেই যায়, সেখানেই ধ্বংস হয়। তারা দেশকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে (PM Modi)। অন্যান্য দল যারা তাদের জোটে (পড়ুন, ইন্ডি জোট) যোগ দিয়েছে, তারাও তুষ্টিকরণের রাজনীতির কথা বলতে শুরু করেছে। কংগ্রেস সাভারকরকে অশ্রদ্ধা করে। তারা ৩৭০ ধারা ফেরাবে বলেও ঘোষণা করেছে।”

    আরও পড়ুন: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    মহা বিকাশ আগাড়ি পার্টিকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে যে উন্নয়ন হচ্ছে, ওরা তা সহ্য করতে পারছে না। ক্ষমতায় এলে ওরা প্রথম যে কাজটা করবে, তা হল মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের শুরু করা উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে থামিয়ে দেবে।” মারাঠি ভাষাকে যে ক্ল্যাসিক্যাল ভাষার (Maharashtra) মর্যাদা কেন্দ্র দিয়েছে, এদিন তাও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doctor’s Protest: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    Doctor’s Protest: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে আটটা ছুঁতেই শুরু হয়ে গেল জুনিয়র (Doctor’s Protest) ডাক্তারদের অনশন (Hunger Strike)। শুক্রবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হলে শনিবার রাত্রি সাড়ে ৮টা থেকে অনশনে বসবেন তাঁরা। সেই মতো এদিন রাত সাড়ে আটটায় সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিলেন, অনশনে বসছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার।

    কী বললেন অনশনকারীরা (Doctor’s Protest)

    তাঁরা বলেন, “এই মুহূর্ত থেকে আমরণ অনশনে বসতে চলেছি। তবে কাজে ফিরছি। অবশ্য খাবার খাব না।” এদিন প্রথম দফায় যে ছ’জন অনশনে বসেছেন, তাঁরা হলেন অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এসএসকেএম, নেফরো বিভাগ, পিডিটি, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এন্ডোক্রিনোলজি, প্রথম বর্ষ, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, প্যাথলজি, পিজিটি, কেপিসি কলেজ, পুলস্ত্য আচার্য, প্রথম বর্ষ, অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগ, এনআরএস, তনয়া পাঁজা, এসআর, ইএনটি, এমসিকে এবং স্নিগ্ধ হাজরা, রেডিও থেরাপি এসআর, এমসিকে। যাঁরা অনশনে শামিল হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কোনও জুনিয়র ডাক্তার নেই বলেই জানান আন্দোলনকারীরা।

    স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঞ্চে সিসি ক্যামেরা

    তাঁরা বলেন, “দাবি পূরণ না হলে বা মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। যাঁরা অনশনে বসেছেন, তাঁরা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসী। তবে তাঁদের কিছু হলে তার দায় রাজ্য সরকারের। আজ যাঁরা অনশনে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কেউ নেই।” অনশনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঞ্চে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। মঞ্চে কী হচ্ছে, তা সবাই দেখতে পাবেন বলেই এই ব্যবস্থা। আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা তো বারবার (Doctor’s Protest) রাজ্য সরকারের কাছে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছি। অনশনের প্রশ্নেও স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলব। অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসাবো। সবাই দেখতে পাবেন অনশন মঞ্চ কী হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে ‘ইন্ডি’ জোটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে বিজেপি!

    তাঁরা বলেন, “আমাদের আশা এরপর যখন আমরা খাবার মুখে তুলব, তখন সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ ভয়ের রাজনীতি নিয়ে সোচ্চার হবেন। জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ মৌলিক প্রশ্ন করবেন। হাসপাতালে যখন কোনও রোগী বেড পান না, তার জন্য আসলে দায়ী কারা? আমরা আশা (Hunger Strike) রাখব, এই প্রশ্নগুলি মানুষ পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে দেবেন (Doctor’s Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Turkish invasion: বঙ্গের ‘অন্ধকার যুগ’ তুর্কি আক্রমণ! হিন্দু-বৌদ্ধের ধর্ম ও সংস্কৃতি কতটা বিপন্ন হয়েছিল?       

    Turkish invasion: বঙ্গের ‘অন্ধকার যুগ’ তুর্কি আক্রমণ! হিন্দু-বৌদ্ধের ধর্ম ও সংস্কৃতি কতটা বিপন্ন হয়েছিল?       

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    দ্বাদশ শতকে বঙ্গদেশে ইতিহাসের কালা অধ্যায় হল তুর্কি আক্রমণ (Turkish invasion)। এই আক্রমণ ছিল সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় আক্রমণ। বঙ্গের হিন্দু-বৌদ্ধদের উপর নির্মম আঘাত। মধ্যদেশ বিনির্গত যবনদের এক হাতে ছিল তলোয়ার, আরেক হাতে ছিল কোরান। হয় ইসলামকে স্বীকার করো, না হয় প্রাণে মারা পড়ো-এই ছিল মূলমন্ত্র। দারুল হারবকে দারুল ইসলাম করার ষড়যন্ত্র আজ থেকে প্রায় এগারোশ বছর আগেই তুর্কি মুসলমানরা শুরু করে দিয়েছিল। বিহার হয়ে বঙ্গের নবদ্বীপে আক্রমণ করেছিলেন ‘মুসলমান কসাই’ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি। সনাতনী স্থাপত্য, ভাস্কর্য, শিক্ষা কেন্দ্র, মঠ, মন্দিরগুলিকে অকাতরে ধ্বংস করা হয়। হিন্দু-বৌদ্ধদের অকাতরে কচুকাটা করেন তিনি। হিন্দু পণ্ডিত এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের উপর চরম আঘাত নেমে এসেছিল অস্তিত্ব রক্ষায়। সেই সঙ্গে চলে নির্বিচারে লুট, খুন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড। ধর্মকে রক্ষা করতে হিন্দু ব্রাহ্মণরা নেপালে গিয়ে আশ্রয় লাভ করেছিলেন। সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন, ন্যায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় নেমে আসে কালা অধ্যায়। ঐতিহাসিকরা এই সময়কে ‘অন্ধকার যুগ’ (Dark Age) বলেছেন।

    বিহারে নালন্দা ধ্বংস (Turkish invasion)

    ১২০১ খ্রিষ্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি (Turkish invasion) বিহারে আক্রমণ করেন। বিহারের নালন্দা বৌদ্ধ মহাবিহারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে ধ্বংস করা হয় ওদন্তপুরীকে। কথিত আছে, তুর্কিরা প্রজ্ঞাপারমিতা বা মণিমুক্তা সংগ্রহের জন্য এই জঘন্য তাণ্ডব চালিয়েছিল। ঘটনার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের মাথায় মিনহাজ, কথিত বিবরণ শুনে ‘তবাকত-ই-নাসরি, রিয়া-উজ-সালাতিন নামক গ্রন্থের মধ্যে বিবরণ লিখে গিয়েছেন। এক জায়গায় বলা হয়, একটি পুঁথির লিপি পাঠ করতে গেলে পাঠ করার কোনও ব্যক্তিকে ওই স্থানে পাওয়া যায়নি। পরে দূরবর্তী কোনও অবশিষ্ট ভিক্ষুককে দিয়ে লিপি পড়ে যানা যায়, এই ধ্বংসের স্তূপটি একটি শিক্ষালয় ছিল। হিন্দু মন্দির এবং বৌদ্ধ বিহার ভেঙে মসজিদ এবং মাদ্রাসা নির্মাণও করা হয়েছে। বিধর্মী কাফেরদের কচু কাটা করে এলাকা শূন্য করে ইসলাম প্রচার করা ছিল সভ্যতার অত্যন্ত নৃশংস ঘটনা। এরপর থেকে বিহারের ওই জায়গার নাম করা হয় বখতিয়ারপুর। আজও ওই স্থানের রেল স্টেশনের নাম এই ‘নরখাদকের’ নামে নামাঙ্কিত রয়েছে। বিহারের পরবর্তী লক্ষ্য হয় বঙ্গ।

    নদিয়ায় আক্রমণ

    বিহার আক্রমণের পর বখতিয়ার খিলজি (Turkish invasion) অনেক ধনরত্ন নিয়ে দিল্লির বাদশাহ কুতুবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপরই তিনি বাংলা জয়ের জন্য মনস্থির করেন। বঙ্গে তখন শাসক রাজা লক্ষ্মণ সেন। দুপুর বেলায় মাত্র অল্প কিছু অশ্বারোহীকে (মাত্র ১৭ জন) নিয়ে নদিয়ায় আক্রমণ করেন খিলজি। ঘটনায় অত্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই কাটা হয় রক্ষীদের। বলা হয়, লক্ষ্মণ সেন পিছনের দরজা দিয়ে খালি পায়ে নৌকায় করে বিক্রমপুরে চলে যান। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র নিজের প্রবন্ধে মাত্র ১৭ জনের তত্ত্ব দিয়ে বাংলা দখলের বিষয়কে মানেননি। নদিয়া বা নবদ্বীপ আক্রমণ করার পর মুসলমানরা বাংলা জয় করেছেন, এই তত্ত্বও মানতে নারাজ তিনি। কারণ তাঁর মতে, তুর্কিরা নবদ্বীপ দখলের পরেও অনন্ত ৫০ বছর গৌড়, বর্ধমান, বিষ্ণুপুর সহ একাধিক জায়গায় হিন্দু জমিদারদের আধিপত্য ছিল। তাই বিনা বাধায় বঙ্গে মুসলমানরা আধিপত্য বিস্তার করেছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক নয়। হিন্দু রাজাদের বল ছিল না-একই কথা অসত্য। ইতিহাসকারেরা তুর্কিদের বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন, আক্রমণকে উপেক্ষা করেছেন। 

    কেন অন্ধকার যুগ?

    মুসলমান আক্রমণের (Turkish invasion) এই পর্বকে বঙ্গে ‘অন্ধকার যুগ’ (Dark Age) বলা হয়। কারণ এই সময় বাংলায় সাহিত্য নির্মাণ হয়নি বললেই চলে। একদিকে ইসলামি শরিয়া শাসন, অপর দিকে সৃজনশীল সাহিত্যকলার বিকাশে ব্যাপক খারাপ প্রভাব পড়েছিল। প্রাণ এবং ধর্ম বাঁচাতে বাংলার হিন্দু পণ্ডিত এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা নেপালে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। যার বাস্তব উদাহরণ হল বাংলা ভাষায় লেখা পুঁথি নেপাল থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধর্মকে বাঁচাতে পর্বত গাত্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন পণ্ডিতরা। চর্যাপদ বাংলা, বিহার, মিথিলা এবং ওড়িশার সম্পদ হলেও পাওয়া গিয়েছে নেপাল থেকে। তুর্কি মুসলমানরা পর্বতে উঠতে অক্ষম ছিল বলেই হয়তো হিন্দু-বৌদ্ধরা পালিয়ে নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, প্রাচ্যবিদার্নব নগেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ডক্টর নীহাররঞ্জন রায়, আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন, আচার্য সুকুমার সেন, শ্রীভুদেব চৌধুরী, শ্রীগোপাল হালদার, ডক্টর অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডক্টর শহিদুল্লাহ, ডক্টর আহমেদ শরীফ, ডক্টর এনামূল হক-সহ অনেক তাত্ত্বিক একবাক্যে বঙ্গে তুর্কি আক্রমণের প্রভাব সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক মন্তব্য করে গিয়েছেন। এই সময়ে কার্যত কোনও সাহিত্য, শিল্প ভাবনার প্রকাশ দেখা যায়নি। কারণ রাজ শাসনে মুসলমান রাজাদের ধর্মীয় বিদ্বেষ ব্যাপক ভাবে সমাজে ছিল। পরবর্তী মুসলমান শাসকদের বিরুদ্ধে সামজিক দৃষ্টিকোণে ধর্মীয় নবজাগরণ ঘটান শ্রী চৈতন্যদেব। ইতিহাসের পাতায় যতটা মুসলমান শাসকদের বাংলা জয় সহজ করে দেখানো হয়েছে, ঠিক ততটাই কঠিন ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। এমন সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর (Durga Puja) অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। যেসব কমিটি পুজো করছে, নমাজ আদায়ের সময় তাদের নীরবতা বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    চলছে প্রতিমা ভাঙচুর (Bangladesh)

    এদিকে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা ভাঙচুর। কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে।

    জিজিয়া কর

    বাংলাদেশ সরকারের এক শীর্ষ সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর আগে ৯ অক্টোবর থেকে পুজো কমিটিগুলির প্রত্যেক সদস্যকে ৫ লাখ টাকা করে জিজিয়া কর (অ-মুসলমানদের কাছ থেকে মুসলমানরা ধর্ম পালনের জন্য যে কর আদায় করে) দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জিজিয়া করের ভয়ে অনেক উদ্যোক্তাই পুজো বন্ধ করে দিয়েছেন (Bangladesh)। শুক্রবার ভোরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    দুর্গাপুজোর আগে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসায়, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা  (Bangladeshi Hindus) যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় যদি কোনও (অনভিপ্রেত) ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা ভালো কথা নয়। দুর্গাপুজো সবসময়েই শুভ বার্তা বয়ে আনে এবং এই উৎসব উপলক্ষে আমি সকলকে আমার শুভ কামনা জানাচ্ছি।’’ রণধীর আরও বলেন, রণধীর বলেন, ‘‘ভারত সরকার আশা করছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমনকী, এই বিষয়টি সর্বোচ্চ স্তরেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রণধীর।’’

    ইউনূস প্রশাসনের আশ্বাসই সার

    বাংলাদেশের আইজিপি মহম্মদ ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা। তাঁদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে (Bangladesh)। প্রয়োজনে সে দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা স্থানীয় থানায় যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। তার পরেও অবশ্য দিব্যি চলছে পুজো উদ্যোক্তাদের হুমকি দেওয়ার কাজ, চলছে প্রতিমা (Durga Puja) ভাঙচুরের কাজ। আদায় করা হচ্ছে জিজিয়া করও (Bangladesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    বঙ্গে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর শতবর্ষব্যাপী অনৈক্য, আত্মকলহ, বহিঃশত্রু পুনঃ পুনঃ আক্রমণের ফলে বিরাট অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এই সময় বঙ্গে রাজতন্ত্র ছিল না। ঐতিহাসিক লামা তারানাথ এই সময়কে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলেছেন। ছোট ছোট মাছকে যেমন করে বড় বড় মাছ শিকার করে, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। সুশাসক না থাকায় দুর্বল মানুষের উপর সবলের অত্যাচার ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চরম আকার নিয়েছিল। এই সময় পালবংশের গোপাল ৭৪০ থেকে ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন। আনুমানিক ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তাঁর পুত্রের নাম ধর্মপাল, তিনি দ্বিতীয় পালরাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে এবং রাজত্ব করেন ৮১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। পাল রাজারা অবশ্য বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি বাঙালি রাজা হিসেবে অত্যন্ত বীর সাহসী এবং রাজনীতিককুশল ছিলেন। তাঁর কীর্তি ইতহাসে অবিস্মরণীয়।

    পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ ধর্মপাল

    রাজা হিসেবে ধর্মপাল (Pala Empire) আর্যাবর্তে এক সাম্রাজ্য স্থাপনার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন প্রতীহার বংশের রাজা বৎসরাজ। গুর্জর, হুণদের সঙ্গে বা ঠিক তাঁদের পরপরই ভারতের পাঞ্জাব, রাজপুতানা এবং মালবে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। অষ্টম শতকের শেষে বৎসরাজ পূর্বে সাম্রাজ্য বিস্তারে অগ্রসর হন। অপর দিকে ধর্মপাল পশ্চিমদিকে অগ্রসর হলে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। কিন্তু যুদ্ধে ধর্মপাল পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বৎসরাজ পূর্ব দিকে কতটা সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন, তার উল্লেখ সঠিক ভাবে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ধর্মপালের সাম্রাজ্য মগধ, বারাণসী এবং প্রয়াগ হয়ে গঙ্গা-যমুনার মধ্যবর্তী ভূ-ভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন। তাঁকে গৌরব সূচক সম্বোধন হিসেবে পরমেশ্বর, পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ নামে উপাধি দেওয়া হয়েছে।

    আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয়

    ধর্মপালের পুত্র দেবপালের একটি তাম্রশাসন থেকে জানা যায়, তিনি দিগ্বিজয়ে প্রবৃত্ত হয়ে কেদার, গোকর্ণ নামক দুই তীর্থ এবং গঙ্গাসাগর সঙ্গম পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। কেদার হল হিমালয়ের সুপরিচিত জায়গায়। গোকর্ণ বলতে কেউ কেউ বম্বে প্রেসিডেন্সির মধ্যে উত্তর কানাড়ায় তীর্থধাম বোঝান। আবার নেপালে পশুপতি মন্দিরের দুই মাইল উত্তর-পূর্বে গোকর্ণ নামক তীর্থ স্থান রয়েছে। একই ভাবে কাপিলাবস্তুর নিকটে গঙ্গাসাগর বলে একটা জায়গা আছে। ফলে বিজয় সংকল্প যাত্রা নিয়ে এই বাঙালি সম্রাটের যাত্রা ছিল উত্তরের হিমালয়ের গোকর্ণ পর্যন্ত। সেই সঙ্গে করছেন অনেক সংগ্রাম। পালসাম্রাজ্যকে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে প্রতিষ্ঠিত করতে, আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয় করেছিলেন। এরপর সিন্ধুনদ, পাঞ্জাবের উত্তরের হিমালয়ের পাদদেশ পর্যন্ত সাম্রজ্য বিস্তার করেছিলেন।

    মালদার নিকটে পাওয়া ‘খালিমপুর’ তাম্রশাসন থেকে জানা গিয়েছে, কান্যকুব্জে যখন রাজ্যশ্রী গ্রহণ করেন, সেই সময় পাঞ্চালদেশের বয়োবৃদ্ধরা ধর্মপালের মাথায় স্বর্ণকলস থেকে পবিত্র তীর্থ জলপ্রদান করেছিলেন। গান্ধার, মাদ্র, কুরু, কীর, ভোজ, মৎস্য, যদু, যবন, অবন্তি বিভিন্ন নগরের সামন্তরা ধর্ম পালের প্রভুত্ব স্বীকার করেছিলেন। ফলে এই রাজ্যগুলি অর্থাৎ স্থান বিচারে পঞ্চনদের পূর্ব, মধ্য, উত্তর ভাগ, সিন্ধুনদীর পশ্চিমপাড়, আলোয়ার, মালব, জয়পুর, সুরাট পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগের রাজা ছিলেন বঙ্গের রাজা ধর্মপাল। তাঁকে চম্পু কাব্যে উত্তরাপথস্বামী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    বিক্রমশীল, সোমপুর, পাহাড়পুরের বৌদ্ধ মহাবিহার নির্মাণ

    ধর্মপালের (Pala Empire) রাজত্বে বঙ্গে যে ভাবে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছিল, পরবর্তী কালে এমন ভাবে আর দেখার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। যে ভূমি মাত্র ৫০ বছর আগে অরাজকতা, অত্যাচারের ভূমি ছিল, ধর্মপালের সৌজন্যে যেন নিস্তার পেল বঙ্গভূমি। শুধু যে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তন হয়েছে তাই নয়, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্যের চরম উৎকর্ষলাভ করে। বাঙালি যেন নতুন করে নিজেদের আত্ম প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়ে গেল। ধর্মপালের রাজ্য যেন বাঙালির জীবন প্রভাতের সূচনা হল। খালিমপুর তাম্র শাসনে তাই বলা হয়েছে, “সীমান্তদেশে গোপগণ, বনের বনচরগণ, গ্রামের জনসাধারণ, বাড়ির শিশুরা, দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা, রাজপ্রসাদের খাঁচার পাখিরা সব সময় সুশাসক ধর্মপালের নামগান করতেন।” তাঁর আমলে নালন্দার মতো বিক্রমশীল ছিল বিখ্যাত অধ্যয়ন কেন্দ্র বৌদ্ধ মহাবিহার। গঙ্গাতটে নির্মাণ করেছিলেন তিনি। চারিদিকে ১০৭টি মন্দির ছিল। ১১৪ জন শিক্ষক ছিলেন এই শিক্ষা কেন্দ্রে। এছাড়াও বরেন্দ্রভূমিতে সোমপুর, রাজশাহীতে পাহাড়পুর এবং বিহারের ওদন্তপুরে আরও একটি মহাবিহার নির্মাণ করেছিলেন। লামাতারা নাথ বলেছেন, তিনি মোট ৫০টি শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন। এক কথায় পালযুগের সুবর্ণযুগ ছিল তাঁর সময়ে।

    আরও ইতিহাস খোঁজের ইঙ্গিত

    বাংলার যথার্থ ইতিহাস নিয়ে বার বার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র নিজের লেখায় বাঙালির ইতিহাস লেখার কথা বঙ্গদেশের কৃষক প্রবন্ধে বলে গিয়েছেন। সমাজ সংস্কৃত ধর্ম রাজনীতি নিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস খোঁজের কথা বলে গিয়েছেন। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বইতে আক্ষেপ করে বলেছেন, “একদিন বাংলার মাঠে-ঘাটে ঘরে-বাহিরে যাঁহার নাম লোকের মুখে মুখে ফিরিত, তাঁহার কোন স্মৃতিই আজ বাংলাদেশে নাই। অদৃষ্টের নিদারুণ পরিহাসে বাঙালি তাঁহার নাম পর্যন্ত ভুলিয়া গিয়াছে।… তাঁহার জীবনের বিশেষ কোন বিবরণ জানিতে পারি নাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন পলাতক ঘৃণাভাষণকারী ইসলামি প্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Naik)। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাকির রয়েছেন পাকিস্তানে (Pakistan)। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অনাথ মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি।

    মঞ্চ থেকে নেমে পালালেন (Zakir Naik)

    সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় আচমকাই মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন তিনি। তাঁর এই মঞ্চ-ত্যাগের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানের গবেষক উসমান চৌধুরির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে অনাথ মেয়েরা জাকিরকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল। সেই সময় তাঁকে একটি স্মারক দিতে যান উদ্যোক্তারা। সেই স্মারক না নিয়েই ত্রস্ত্র পায়ে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান তিনি (Zakir Naik)।

    জাকিরের মঞ্চ ত্যাগের কারণ

    কী কারণে স্মারক না নিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করলেন জাকির? জানা গিয়েছে, উদ্যোক্তারা ওই অনাথ আশ্রমের মেয়েদের ‘কন্যা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এতেই আপত্তি করেন জাকির। তাঁর বক্তব্য, “আপনি তাদের স্পর্শ করতে পারবেন না বা তাদের আপনার কন্যা বলতে পারবেন না।” এই মেয়েদের জাকির ‘নন-মাহরাম’ বলে উল্লেখ করেন। জাকিরের যুক্তি, এই ছোট মেয়েরাই বিবাহযোগ্যা হয়ে গিয়েছে। তাই তাদের আর কন্যা হিসেবে পরিচয় দেওয়া যায় না। ইসলামে ‘মাহরাম’ শব্দটি এসেছে ‘হারাম’ শব্দ থেকে। এর অর্থ, এমন একজনকে বোঝায় যাকে বিয়ে করা যায় না, যেমন পিতা-পুত্রী। ‘নন-মাহরাম’ বলতে বোঝায় এমন একজনকে যাকে কেউ বিয়ে করতে পারে অথবা সেই ব্যক্তিকে বিয়ে করা হারাম নয়।

    আরও পড়ুন: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    সোমবারই মাসখানেকের জন্য ইসালামাবাদ সফরে গিয়েছেন জাকির। ভারতের এই শত্রুকে রেড কার্পেটে বরণ করে পাকিস্তানের সরকার। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।

    এদিকে, জাকিরের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান যেভাবে জাকিরকে সম্মানিত করেছে, তার নিন্দা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই জাকিরের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রিপোর্টে দেখেছি, জাকিরকে নিয়ে পাকিস্তানে কীভাবে মাতামাতি হচ্ছে। কীভাবে তাঁকে সেখানে (Pakistan) স্বাগত জানানো হচ্ছে (Zakir Naik)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Jammu and Kashmir: কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, খতম দুই জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক

    Jammu and Kashmir: কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, খতম দুই জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ফের অনুপ্রবেশ রুখে দিল ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। একই ভাবে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। শনিবার সীমান্ত টপকে কুপওয়ারা হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল একদল জঙ্গি। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আর তাতেই মেলে বিরাট সাফল্য।

    দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি (Jammu and Kashmir)

    সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রীনগরস্থিত সেনার (Jammu and Kashmir) চিনার কোর তাদের এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, “যৌথবাহিনী গুগল লোকেশন নির্ণয় করে অভিযানে যেতেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে অনুপ্রবশ করতে চেষ্টা করছিল। তাদের আটকে দিয়ে পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে মারা পড়ে দুই জঙ্গি। জঙ্গি দমনের এই বিশেষ অভিযানে নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন গুগলধর’।”

    আরও পড়ুনঃসুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশ এবং সেনার যৌথ অভিযানের ফলে জঙ্গিরা পিছনে হঠতে শুরু করে। লড়াইতে দুই জঙ্গি মারা পড়লে বাকিরা পালিয়ে যায়। মৃত দুই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক এবং অস্ত্র। এরপর এলাকায় চলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। তবে যে পরিমাণে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তাতে মনে হয় বেশকিছু দিন ধরে লড়াই করার ভাবনা নিয়ে হয়ত অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সময় মতো অভিযান চালিয়ে সব চক্রান্তকে বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। তবে দুই জঙ্গি ঠিক কোন সংগঠনের, তার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

    একই ভাবে কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টার হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। সেনার পক্ষথেকে বলা হয় গোপন খবরের ভিত্তিতে এই এলাকার ছাত্রো গ্রামে অভিযান চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ধারা ৩৭০ বাতিল করেছে। এরপর থেকে বিশেষ অনুচ্ছেদের অধ্যায় সমাপ্ত হয়েছে এই রাজ্যে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশাল সংখ্যায় ভোটগ্রহণের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন মিটতেই ফের অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artillery Firing Range: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত  

    Artillery Firing Range: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের চোখরাঙানি উপেক্ষা করতে অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) দুর্গম পাহাড় ঘেরা অঞ্চলে তৈরি করা হল হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ (Artillery Firing Range)। সেনার আর্টিলারি রেজিমেন্টগুলো অনুশীলন করবে এখানে।

    সম্ভাব্য চিনা হামলা ঠেকানোর উদ্যোগ (Artillery Firing Range)

    অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সম্ভাব্য চিনা হামলা ঠেকাতে গত কয়েক বছর ধরেই সক্রিয় সেনা। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে একদিকে যেমন পার্বত্যযুদ্ধে পদাতিক ব্যাটেলিয়নগুলিকে নিয়ে কয়েক বছর আগেই গড়া হয়েছে মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর, তেমনি অন্যদিকে এই কোরের সেনারা যাতে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলেই অনুশীলন করতে পারে, তাই তাওয়াংয়ে নির্মাণ করা হল হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ।

    কী বলছেন সেনা কর্তা

    সেনার আর্টিলারি কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আধোশ কুমার বলেন, “সেনাদের যুদ্ধের প্রকৃত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিতেই আমরা ওই ফায়ারিং রেঞ্জটি তৈরি করেছি। পরবর্তী সময়ে হিমালয়ের উচ্চ পার্বত্যক্ষেত্রে আরও দুটি নির্মাণ (Artillery Firing Range) করা হবে।” তিনি বলেন, “উত্তর সীমান্তে এই রেঞ্জ বাহিনীকে প্রকৃত অভিযানের অনুভূতি দেবে। সেনা সদস্য, বিশেষ করে অগ্নিবীরদের বাস্তবসম্মত পরিবেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আর্টিলারি বাহিনী বড় আকারের সিমুলেটরের ব্যবস্থাও করেছে।”

    আধোশ কুমার বলেন, “ড্রাইভিং, অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও রেডিও টেলিফোনির মতো বিভিন্ন কাজের জন্য সিমুলেটর আনা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমরা আর্টিলারি স্কুলে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অবজারভেশন পোস্ট সিমুলেটরও চালু করেছি।” তিনি জানান, পিনাকা রকেটগুলোর পাল্লা প্রায় চারগুণ পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলছে। পাহাড়ি এলাকায় এর কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে। সেনাবাহিনীর হাই এক্সপ্লোসিভ প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড শেলগুলির পাল্লাও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    সোয়ার্ম ড্রোনের পাশাপাশি রানওয়ে ইনডিপেন্ডেন্ট রিমোট পাইলটেড এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেমও সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। কে-৯ বজ্র কামান, ধনুশ কামান, শারাং কামানগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। গত দু বছরে অরুণাচল প্রদেশে দুটি ফায়ারিং রেঞ্জ চিহ্নিত করেছে সেনাবাহিনী। তাওয়াংয়ে একটি ফায়ারিং রেঞ্জ চালু হয়ে গিয়েছে। অন্যটির জন্য শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা (Arunachal Pradesh) হবে। উত্তর সীমান্তে আরও দুটো রেঞ্জ (Artillery Firing Range) চিহ্নিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share