Tag: news in bengali

news in bengali

  • S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফ গলছে ভারত-পাক সম্পর্কের! ন’বছর আগে সে দেশে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর এবার যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন তিনি।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিও-র বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশমন্ত্রী।” ওই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও তিনি যাচ্ছেন না, যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে শুধু সম্মেলনেই যোগ দেবে প্রতিনিধি দল। প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে বসার সম্ভাবনাই নেই ভারতের।

    সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর

    আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সুষমা। তার পর ভারতের আর কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানমুখো হননি। কূটনীতিকদের মতে, এই সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় বার্তা দিল নয়াদিল্লি। এসসিও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় বড় ভূমিকা নেয়। সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠিয়ে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিল, এই সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ভারত।

    ভারত (S Jaishankar) ছাড়াও এসসিও-র সদস্য হল চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান। সংগঠনের জন্ম ২০০১ সালে, সাংহাইতে এক সম্মেলনের মাধ্যমে। এই সম্মেলনে ভারত যোগ দেয়নি। ২০০৫ সালে প্রথমবার ভারত যোগ দেয় এসসিও সম্মেলনে। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান একই সঙ্গে এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। ২০২৩ সালে সম্মেলনের আয়োজন করে ভারত। সেবার অবশ্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল বৈঠক।

    আরও পড়ুন: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    ভারতের পর এবার সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। সেই সম্মেলনেই যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়ানোয় গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। ওই মঞ্চেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের তরফে ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেছিলেন, “যে দেশ তার জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য, মাদকদ্রব্য পাচার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য বিখ্যাত, সেই দেশই পৃথিবীর সব চেয়ে বড় গণতন্ত্রকে আক্রমণের ঔদ্ধত্য দেখায়।” এহেন আবহেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: দাড়িভিটে নিহত দুই ছাত্রকে বাংলা ‘ভাষা শহিদ’ ঘোষণার দাবি সুকান্তর, চিঠি মমতাকে

    Sukanta Majumdar: দাড়িভিটে নিহত দুই ছাত্রকে বাংলা ‘ভাষা শহিদ’ ঘোষণার দাবি সুকান্তর, চিঠি মমতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা ভাষাকে ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। অবশ্য বাংলা ভাষার এই মর্যাদার জন্য নানা মহল থেকে অনেক দিন ধরেই দবি উঠছিল। এবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই সম্মান জানিয়েছে। বাংলার মুকুটে আরেক পালক যুক্ত হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরও এক নতুন দাবি রাখলেন। ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর দাড়িভিটে দুই স্কুল পড়ুয়াকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। তাঁদের একটাই দাবি ছিল— স্কুলে উর্দু নয়, বাংলার শিক্ষক চাই। তাই এই দুই আত্মবলিদানকারী ছাত্রদের ‘ভাষা শহিদ’ (Bhasha Shahid) হিসেবে সম্মান জানানোর কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

    বুকে এবং পেটে গুলি লাগে (Sukanta Majumdar)?

    ঘটনা ঘটেছিল ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে। স্কুলে কোনও উর্দু পড়ুয়া না থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার উর্দু শিক্ষক জোর করে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত এবং বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। প্রতিবাদে স্কুলের মধ্যে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলে। এরপর ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস এবং লাঠি চালানো হয়। এরপর পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি করে। গুলি গিয়ে লাগে রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের বুকে এবং পেটে। ঘটনায় বিপ্লব সরকার নামে আরও এক ছাত্রের পায়ে গুলি লেগেছিল। কিন্তু অত্যধিক রক্তক্ষরণের কারণে রাজেশ-তাপসের (Bhasha Shahid) মৃত্যু হয়। একই ভাবে পুলিশের লাঠির আঘাতে আরও অনেক ছাত্র আহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে ওই গ্রামে ‘বাংলা মাতৃভাষা দিবস’ রূপে ২০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয়। উল্লেখ্য কারা গুলি চালিয়েছিল, এখনও পর্যন্ত সন্ধান করে নাম প্রকাশ্যে আনতে পারেনি পুলিশ বা সিআইডি। এবার স্বীকৃতির দাবিতে মমতাকে চিঠি লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন, অগ্নিগর্ভ জয়নগর

    দাড়িভিটে তৈরি করা হোক দুই শহিদ স্মারক

    এখন এই মৃত্যুর কারণ স্বরূপ সুকান্ত (Sukanta Majumdar), মমতাকে চিঠিতে লিখেছেন, “ওই স্কুলে প্রয়োজন ছাড়াই উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে একটি ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কারণ ওই এলাকায় উর্দুভাষী মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। জোর করে উর্দু শিক্ষক চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হওয়া পড়ুয়াদের উপরে লাঠি, গুলি চালায় পুলিশ। দুই ছাত্র তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। বাংলা ভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতি মেলার পরে রাজ্য সরকার ওই দুই ছাত্রকে ভাষা শহিদ হিসেবে ঘোষণা করুক। দাড়িভিটে তৈরি করা হোক দুই শহিদ স্মারক (Bhasha Shahid)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    Chhattisgarh: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমন (Maoists) অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে ৩০ মাওবাদী। এরপরে ওই এলাকা থেকে একে-৪৭ সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রশাসন। ছত্তিশগড় পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এনিয়ে বলেন, ‘‘ঠিক কত পরিমাণে অস্ত্র ও গোলা, বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটা এখনই বিস্তারিতভাবে বলা সম্ভব নয়। শনিবার নিহত মাওবাদীদের পরিচয় জানার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’’

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই অঞ্চলে অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী

    জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই অঞ্চলে অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই মতো ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) বৃহস্পতিবার মাওবাদী অভিযান শুরু করে। গোভেল, নিন্দুর থুলথুলি প্রভৃতি গ্রামে (Chhattisgarh) অভিযান চালানো হয়। এই সময়ে জঙ্গলে শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নিকাশ করতে সম্ভব হয় ৩০ মাওবাদীকে। তবে আরও বেশ কয়েকজন মাওবাদী (Maoists) গভীর জঙ্গলে চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের খোঁজে প্রশাসনও অভিযান জারি রেখেছে।

    এই জঙ্গল (Chhattisgarh) পরিচিত অবুঝমাড়ের জঙ্গল নামে

    প্রসঙ্গত, এই জঙ্গল (Chhattisgarh) পরিচিত অবুঝমাড়ের জঙ্গল নামে। ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত এই জঙ্গল। এই এলাকাকে অনেকেই ‘অপরিচিত পাহাড়’ বলে অবিহিত করেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানকার প্রায় ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা কেউ কখনও জরিপ করেনি। ঠিক এই কারণেই এই ঘন জঙ্গল মাওবাদীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বহু মাওবাদী নেতা এই জঙ্গলে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    সাম্প্রতিককালে মাওবাদী দমন অভিযানে এটা অনেক বড় সাফল্য বলে জানিয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘জওয়ানদের এই সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের অদম্য সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাই। ছত্তিশগড় থেকে নকশালবাদ শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য। নকশালবাদ শেষ করেই আমাদের লড়াই থামবে। এর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বড় চ্যালেঞ্জ হল মাওবাদীরা। ২০২৬ সালের মার্চের পর এদেশে মাওবাদী থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই এমন সাফল্য এল মাওবাদী দমনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: হরিয়ানায় চলছে ভোটগ্রহণ, এক দফাতেই ৯০ বিধানসভা আসনে নির্বাচন

    Haryana: হরিয়ানায় চলছে ভোটগ্রহণ, এক দফাতেই ৯০ বিধানসভা আসনে নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তায় ভোট গ্রহণ চলছে হরিয়ানায় (Haryana)। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া, চলবে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত। প্রসঙ্গত সম্প্রতি ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরেও। আজ শনিবার হরিয়ানার ভোট পর্ব মিটলেই দুই রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষা সামনে আসবে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানাতে বিধানসভার আসন রয়েছে ৯০টি। সে রাজ্যে এক দফাতে ভোট করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, হরিয়ানাতে (Haryana) পাল্লা ভারী রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির ইস্তাহারে মহিলাদের প্রতি মাসে একুশশো টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘লাডো লক্ষ্মী যোজনা’। এর পাশাপাশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেরাজ্যে একাধিক শিল্প শহর গড়া হবে বলেও জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: কর্মবিরতি উঠল, বৃহত্তর আন্দোলন চলবে বলে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    ৯০ কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১,০২৭ জন (Haryana) 

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানাতে (Haryana) মোট ভোটারের সংখ্যা ২ কোটিরও বেশি। ৯০ কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১,০২৭ জন। জানা গিয়েছে, হরিয়ানাতে ভোট করতে মোতায়েন করা হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী ও ২২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে (Assembly Elections)।

    উল্লেখযোগ্য প্রার্থী কারা?

    হরিয়ানার (Haryana) বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি (বিজেপি, লডওয়া), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা (কংগ্রেস, গারহি সাম্পলা-কিলোই), প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা (জেজেপি, উচানা কালান) প্রমুখ। নির্বাচনের (Assembly Elections) মুখে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মহিলা কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। কংগ্রেস তাঁকে জুলানা থেকে প্রার্থী করেছে। তাঁর কেন্দ্রের ফলাফলের দিকেও আলাদা করে নজর থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: কর্মবিরতি উঠল, বৃহত্তর আন্দোলন চলবে বলে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    Junior Doctors: কর্মবিরতি উঠল, বৃহত্তর আন্দোলন চলবে বলে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের কর্মবিরতি তুলে নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। ধর্মতলার মহাসমাবেশ থেকে গতকাল শুক্রবার রাতেই তাঁরা একথা ঘোষণা করেন। তবে পাশাপাশি তাঁরা জানিয়ে রেখেছেন যে ধর্মতলায় বিক্ষোভ তাঁরা চালিয়ে যাবেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য রাজ্য সরকারকে তাঁরা বার্তা দিতে চান, তাঁরা যেমন কাজে ফিরছেন, তেমন রাস্তায় থেকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা আন্দোলনে রয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ধর্নামঞ্চে তাঁরা একটি বড় ঘড়ি টাঙিয়ে দেন। সেই ঘড়িকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার তাঁদের দাবি না মানে তবে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা জুনিয়র ডাক্তারদের জেনারেল বডির বৈঠকেই ঠিক হয়ে যায় পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা। তার পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয় রাতে।

    জনগণ আমাদের পাশেই, দাবি ডাক্তারদের (Junior Doctors) 

    ধর্মতলার (Dharmatala) অবস্থান থেকেই দেবাশিস হালদার (Junior Doctors) ঘোষণা করেন, ‘‘গণআন্দোলন বজায় রেখেই রোগীদের কথা মাথায় রেখে আমরা আজ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। জিবি মিটিংয়ে এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটা যদি মনে হয় রাজ্য সরকার ভয় দেখাচ্ছে, ভাবছে জনগণ আমাদের পাশে নেই, ভয় পেয়ে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছি, তাহলে ভুল ভাববে রাজ্য সরকার। আসলে জনগণ আমাদের পাশে রয়েছেই। একটাই পক্ষ।’’ তবে কর্মবিরতি তুললেও, আন্দোলন যে আরও তীব্রতর হতে চলেছে, তার আভাসও দিতে শোনা যায় দেবাশিসকে। তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতর অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছি। আমরা কাজে ফিরছি। আর এখানে বসে থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছি, আমরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তাতেও আছি।’’ 

    এই লড়াই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে

    প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর দশ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে সামিল হন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। শুক্রবার রাতে তারই ব্যাখ্যা দেন দেবাশিস। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দশ দফা দাবি আসলে দুটো দাবি। প্রথম দাবি, ন্যায়বিচার। বাকি সব দাবি জড়িয়ে রয়েছে, আর একটাও যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য।’’ তাঁদের কথায়, ‘এই লড়াই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তার স্বার্থে।’ আন্দোলনকারী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘কর্মবিরতি যদি আমাদের দাবি পূরণের অন্তরায় হয়, তাহলে কর্মবিরতি তুলে নিলাম। কাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময়। সেই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আমরণ অনশন। এই ঘটনার মোটিভকে সামনে আনতে হবে।’’ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সাফ জানিয়েছেন, অনশন‌ও আন্দোলনের শেষ নয়। দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথেই থাকবেন তাঁরা। তাঁদের এই দাবি যে কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করতে একটা বড় দেওয়ালঘড়ি সঙ্গে নিয়ে এসে ধর্নাস্থেলে টাঙিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। বলেন, ‘‘আমরা এই ঘড়ি নিয়ে এসেছি। প্রতি মিনিট, ঘণ্টার হিসাব হবে। তাই এই ঘড়ি অবস্থান মঞ্চে থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তবে আমরা জীবনের বাজি রেখে আমরণ অনশন শুরু করব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

    RG Kar Case: আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। একই ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে হুমকির সংস্কৃতি বা থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর হুমকির সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের মধ্যে আশিসের নামও ছিল। তবে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে শুধু আর্থিক দুর্নীতি মামলায়।

    তোলাবাজি, জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি (RG Kar Case)!

    শুক্রবার আদালতে আশিসকে হাজির করার পর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আর্থিক দুর্নীতি মামলার (RG Kar Case) সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আশিস। তাঁর বিরুদ্ধে একই ভাবে তোলাবাজি, জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ মতো কাজ না করলে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিতেন তিনি। মোটা টাকার বিনিময়ে হাউস স্টাফদের নিয়োগ করতেন। এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই ভাবে তদন্তকারী অফিসাররা তিনটি মোবাইল ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে্ন। আপাতত আগামী সোমবার পর্যন্ত হেফাজতে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    ৫ অগাস্ট সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন

    আরজি করে (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর এই অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে, চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় ধরা হয়। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আরজি করে যে দিন তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সে দিন সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন আশিস। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনিও জড়িত থাকতে পারেন। এমনকী তথ্যপ্রমাণ লোপাটে তাঁর একটা ভূমিকাও থাকতে পারে। তাই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। আবার সল্টলেকের গেস্ট হাউসের এক কর্মীকে নথি নিয়ে সিজিওতে ডাকা হয়েছিল। ফলে খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগ একেবারে উড়িয়ে দিতে চাইছে না সিবিআই।

    উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছিলেন। যদিও প্রথমে পুলিশের সিট তদন্ত করছিল, পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple iPhone: ভারতে প্রথমবার শুরু হল আইফোন ১৬ সিরিজের সব মডেলের উৎপাদন

    Apple iPhone: ভারতে প্রথমবার শুরু হল আইফোন ১৬ সিরিজের সব মডেলের উৎপাদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বেস মডেল নয়, সদ্য বিশ্ববাজারে আসা আইফোন ১৬ সিরিজের সবকটি মডেলের উৎপাদন এখন থেকে ভারতেই উৎপাদিত হতে শুরু করল। এই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা ‘অ্যাপল’ (Apple iPhone)। সংস্থা জানিয়েছে, এবার ভারতে প্রথমবারের মতো আইফোন-১৬ লাইনআপের সব মডেল উৎপাদিত হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে আইফোন ১৬ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স মডেলগুলিও। এই বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, এবার থেকে দেশীয় প্রযুক্তির সহযোগিতায় ভারতে আইফোন উৎপাদন হবে। সংস্থার পক্ষ থেকে এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, ভারতে আরও বেশ কয়েকটি এক্সক্লুসিভ অ্যাপল রিটেল স্টোরও (Retail stores) খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এই স্টোরগুলি মূলত বেঙ্গালুরু, পুণে, দিল্লি এবং মুম্বইতে চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Apple iPhone)

    অ্যাপলের (Apple iPhone) রিটেল বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিড্রে ও’ব্রায়েন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, “আমাদের স্টোরগুলি (Retail stores) অ্যাপলের জাদু অনুভব করার জন্য অত্যন্ত অবিশ্বাস্য জায়গা করে নেবে। ভারতে গ্রাহকদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ আরও গভীর এবং চমৎকার হতে চলেছে। আমরা আমাদের এই গ্রুপ তৈরি করতে অত্যন্ত রোমাঞ্চিত। কারণ আমরা ভারতে আরও স্টোর খোলার পরিকল্পনা করছি। গোটাদেশ জুড়ে অ্যাপেল গ্রাহকদের সৃজনশীলতা এবং আবেগর দ্বারা আমরা ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত। আগামী দিনে এই উৎপাদন আমাদেরকে সাফল্যের উৎকর্ষের দিকে নিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ তিরুপতি লাড্ডু বিতর্কে নতুন স্বাধীন সিট গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

     সারা দেশে ৩০০০ জনেরও বেশি লোককে নিয়োগ করেছে

    ‘অ্যাপল’ (Apple iPhone) সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত আইফোন ১৬ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স, বেস মডেলের তুলনায় তৈরি করা বেশ জটিল হয়ে থাকে। তবে তা শীঘ্রই ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধ হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারেও রফতানি করা হবে। যদিও ২০১৭ সাল থেকে ভারতে আইফোন (Retail stores) উৎপাদন শুরু হয়েছে। এরপর থেকে গ্রাহকদের চাহিদায় ক্রমাগত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অ্যাপেল এখন সারা দেশে ৩০০০ জনেরও বেশি লোককে নিয়োগ করেছে৷ তাঁরা উৎপাদনের কাজে অবিরত কাজ করে চলেছেন। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই মোবাইলের উৎপাদনশীল কারখানা তৈরির ফলে একসঙ্গে বহু ভারতীয়ের সামনে কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে। একই ভাবে সরকারের সহযোগিতায় দেশব্যাপী বিরাট পরিবর্তনের দিক সূচিত হবে। ধীরে ধীরে বিরাট বাণিজ্যের বাজারের দিকে এগিয়ে যাবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 154: “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

    Ramakrishna 154: “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    নিত্যগোপালকে উপদেশ—ত্যাগীর নারীসঙ্গ একেবারে নিষেধ 

    খাওয়ার পর ঠাকুর গঙ্গার উপর ঘরের পশ্চিম ধারে গোল বারান্দাটিতে তাঁকে লইয়া চলিলেন ও তাঁহার সহিত আলাপ করিতে লাগিলেন।

    একটি স্ত্রীলোক পরম ভক্ত, বয়স ৩১। ৩২ হইবে, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কাছে প্রায় আসেন ও তাঁহাকে সাতিশয় ভক্তি করেন। সেই স্ত্রীলোকটিও ওই ভক্তটির অদ্ভুত ভাবাবস্থা দেখিয়া তাঁহাকে সন্তানের ন্যায় স্নেহ করেন ও তাঁহাকে প্রায় নিজের আলয়ে লইয়া যান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তটির প্রতি)—সেখানে কি তুই যাস (Kathamrita)?

    নিত্যগোপাল (বালকের ন্যায়)—হাঁ যাই। নিয়ে যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া। সাধুর মেয়েমানুষ থেকে অনেক দূর থাকতে হয়। ওখানে সকলে ডুবে যায়। ওখানে ব্রহ্মা বিষ্ণু পড়ে খাচ্ছে খাবি।

    ভক্তটি সমস্ত শুনিলেন (Kathamrita)।

    মাস্টার (স্বগত)—কি আশ্চর্য! ওই ভক্তটির পরমহংস অবস্থা—ঠাকুর মাঝে মাঝে বলেন। এমন উচ্চ অবস্থা সত্ত্বেও কি ইঁহার বিপদ সম্ভাবনা! সাধুর পক্ষে ঠাকুর কি কঠিন নিয়মই করিলেন। মেয়েদের সঙ্গে মাখামাখি করিলে সাধুর পতন হইবার সম্ভাবনা। এই উচ্চ আদর্শ না থাকিলে জীবের উদ্ধারই বা কিরূপে হইবে? স্ত্রীলোকটি তো ভক্তিমতী। তবুও ভয়! এখন বুঝিলাম, শ্রীচৈতন্য ছোট হরিদাসের উপর কেন অত কঠিন শাসন করিয়াছিলেন। মহাপ্রভুর (Ramakrishna) বারণ সত্ত্বেও হরিদাস একজন ভক্ত বিধবার সহিত আলাপ করিয়াছিলেন। কিন্তু হরিদাস যে সন্ন্যাসী। তাই মহাপ্রভু তাঁকে ত্যাগ করিলেন। কি শাসন! সন্ন্যাসীর কি কঠিন নিয়ম! আর এ-ভক্তটির উপর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কি ভালবাসা! পাছে উত্তরকালে তাঁহার কোন বিপদ হয়—তাড়াতাড়ি পূর্ব হইতে সাবধান করিতেছেন। ভক্তেরা অবাক্‌। “সাধু সাবধান”—ভক্তেরা এই মেঘগম্ভীরধ্বনি শুনিতেছেন (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 153: “মায়ের নির্মাল্য মস্তকে ধারণ করিয়া ভবনাথকে বলিতেছেন, ডাব নে রে মার প্রসাদী ডাব”

    Ramakrishna 153: “মায়ের নির্মাল্য মস্তকে ধারণ করিয়া ভবনাথকে বলিতেছেন, ডাব নে রে মার প্রসাদী ডাব”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    জন্মোৎসবে ভক্তসঙ্গে — সন্ন্যাসীদের কঠিন নিয়ম

    বেলা প্রায় সাড়ে আটটা বা নয়টা। ঠাকুর (Ramakrishna) আজ অবগাহন করিয়া গঙ্গায় স্নান করিলেন না; শরীর তত ভাল নয়। তাঁহার স্নান করিবার জল ওই পূর্বোক্ত বারান্দায় কলসী করিয়া আনা হইল। ঠাকুর স্নান করিতেছেন, ভক্তেরা স্নান করাইয়া দিল। ঠাকুর স্নান করিতে করিতে বলিলেন, “এক ঘটি জল আলাদা করে রেখে দে।” শেষে ওই ঘটির জল মাথায় দিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আজ বড় সাবধান, এক ঘটি জলের বেশি মাথায় দিলেন না।

    স্নানান্তে মধুর কন্ঠে ভগবানের নাম করিতেছেন। শুদ্ধবস্ত্র পরিধান করিয়া দুই-একটি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণাস্য হইয়া কালীবাড়ির পাকা উঠানের মধ্য দিয়া মা-কালীর মন্দিরের অভিমুখে যাইতেছেন। মুখে অবিরত নাম উচ্চারণ (Kathamrita) করিতেছেন। দৃষ্টি ফ্যালফেলে—ডিমে যখন তা দেয়, পাখির দৃষ্টি যেরূপ হয়।

    মা-কালীর মন্দিরে গিয়া প্রণাম ও পূজা করিলেন। পূজার নিয়ম নাই—গন্ধ-পুষ্প কখনও মায়ের চরণে দিতেছেন, কখনও বা নিজের মস্তকে ধারণ করিতেছেন। অবশেষে মায়ের নির্মাল্য মস্তকে ধারণ করিয়া ভবনাথকে বলিতেছেন, “ডাব নে রে।” মার প্রসাদী ডাব।

    আবার পাকা উঠানের পথ দিয়া নিজের ঘরের দিকে আসিতেছেন। সঙ্গে মাস্টার ও ভবনাথ। ভবনাথের হাতে ডাব। রাস্তার ডানদিকে শ্রীশ্রীরাধাকান্তের মন্দির; ঠাকুর বলিতেন, ‘বিষ্ণুঘর’। এই যুগলরূপ দর্শন করিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। আবার বামপার্শ্বে দ্বাদশ শিবমন্দির। সদাশিবকে উদ্দেশে প্রণাম করিতে লাগিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) এইবার ঘরে আসিয়া পৌঁছিলেন। দেখিলেন, আরও ভক্তের সমাগম হইয়াছে। রাম, নিত্যগোপাল, কেদার চাটুজ্যে ইত্যাদি অনেকে আসিয়াছেন। তাঁহারা সকলে তাঁহাকে ভুমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুরও তাঁহাদের কুশল প্রশ্ন করিলেন (Kathamrita) ।

    ঠাকুর (Ramakrishna) নিত্যগোপালকে দেখিয়া বলিতেছেন, “তুই কিছু খাবি?” ভক্তটির তখন বালকভাব। তিনি বিবাহ করেন নাই, বয়স ২৩। ২৪ হবে। সর্বদাই ভাবরাজ্যে বাস করেন। ঠাকুরের কাছে কখনও একাকী, কখনও রামের সঙ্গে প্রায় আসেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার ভাবাবস্থা দেখিয়া তাঁহাকে স্নেহ করেন। তাঁহার পরমহংস অবস্থা—এ-কথা ঠাকুর মাঝে মাঝে বলেন। তাই তাঁহাকে গোপালের ন্যায় দেখিতেছেন।

    ভক্তটি বলিলেন, ‘খাব’। কথাগুলি ঠিক বালকের ন্যায়।

    আরও পড়ুনঃ “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh T20: রবিবার ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ ম্যাচ বাতিলের দাবি, গোয়ালিয়রে বন‍্‍ধ ডাকল হিন্দু মহাসভা

    India-Bangladesh T20: রবিবার ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ ম্যাচ বাতিলের দাবি, গোয়ালিয়রে বন‍্‍ধ ডাকল হিন্দু মহাসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনের সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে (India-Bangladesh T20) নামতে চলেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। রবিবার ম্যাচের আগে একাধিক বিষয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খেলার মাঠে কোনও রকম প্রতিবাদ করা যাবে না। সামাজিক মাধ্যমে কোনও হিংসাত্মক প্রচার বা পোস্ট করা যাবে না। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ করেছে প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। অপরদিকে, হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে ম্যাচ বাতিলের। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। 

    বন্‌ধের ডাক হিন্দু মহাসভার (India-Bangladesh T20)

    রবিবার ভারত বাংলাদেশের (India-Bangladesh T20) মধ্যে ক্রিকেট খেলা হওয়ার কথা থাকলেও এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে আগামী সোমবার পর্যন্ত। কিন্তু হিন্দু মহাসভার (Hindu Mahasabha) পক্ষ থেকে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের দিন বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে গোটা শহরজুড়ে। এমনকী, ওই দিন ম্যাচ বাতিলের দাবিও তোলা হয়েছে। এরপর থেকেই ওই জেলার জেলাশাসক রুচিকা চৌহান, সব রকম নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করেছেন। ১৪ বছর পর এই মাঠে ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে বলে জানা গিয়েছে। দর্শকদের পোস্টার, ব্যানার, পতাকা, কাটআউট- সহ একাধিক বিষয়ে আপত্তি জনক কিছু লিখে আনা যাবে না, বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য শেষ টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল কানপুরে। সেখানেও কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছিল। এবারের ম্যাচেও সুরক্ষার কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন।

    আরও পড়ুনঃ ২০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ! মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে তলব ইডির

    হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে বাংলাদেশে

    উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে (India-Bangladesh T20) হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তাল হয়ে ওঠে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে জামাত শিবির এবং বিএনপির বিরাট ষড়যন্ত্রে দেশের গণভবনে আক্রমণ চালানো হয়। চলে লুটপাট এবং দেশের পুলিশ প্রশাসনের উপর লক্ষ্য করে করা হয় ব্যাপক হামলা। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দেশের অধিকাংশ থানা। সেই সঙ্গে চলে ওই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ। হিন্দুদের বাড়ি-ঘর লুটপাট, সম্পত্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। মঠ, মন্দিরের মূর্তি নির্বিচারে ভাঙা হয়। শারদীয়া দুর্গা পুজো করতে না দেওয়ার ফতোয়া জারি করে উগ্র মুসলমানরা। প্রত্যেক পুজোর জন্য দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকা। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র উত্তরায় দুর্গাপুজো করলে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হবে বলে প্রকাশ্যে মিছিল করে হুমকি দেওয়া হয়। এই অবস্থায় ভারতের একাধিক হিন্দু সংগঠন (Hindu Mahasabha) প্রতিবাদ জানায়। এই আবহে ম্যাচ (India-Bangladesh T20) হলে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share