Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 149: “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

    Ramakrishna 149: “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৯ই মার্চ

    ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে অমাবস্যায় ভক্তসঙ্গে—রাখালের প্রতি গোপালভাব

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে নিজের ঘরে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি দুই-একটি ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। আজ শুক্রবার (২৬শে ফাল্গুন), ৯ই মার্চ, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, মাঘের অমাবস্যা, সকাল, বেলা ৮টা-৯টা হইবে।

    অমাবস্যার দিন, ঠাকুরের সর্বদাই জগন্মাতার উদ্দীপন হইতেছে। তিনি বলিতেছেন, ঈশ্বরই বস্তু, আর সব অবস্তু। মা তাঁর মহামায়ায় মুগ্ধ করে রেখেছেন। মানুষের ভিতরে দেখ, বদ্ধজীবই বেশি। এত কষ্ট-দুঃখ পায়, তবু সেই ‘কামিনী-কাঞ্চনে’ আসক্তি। কাঁটা ঘাস খেয়ে উটের মুখে দরদর করে রক্ত পড়ে, তবু আবার কাঁটা ঘাস খায়। প্রসববেদনার সময় মেয়েরা বলে, ওগো, আর স্বামীর কাছে যাব না; আবার ভুলে যায়।

    দেখ, তাঁকে কেউ খোঁজে না। আনারসগাছের ফল ছেড়ে লোকে তার পাতা খায়

    ভক্ত—আজ্ঞা, সংসারে তিনি কেন রেখে দেন?

    সংসার কেন? নিষ্কামকর্ম দ্বারা চিত্তশুদ্ধির জন্য 

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়। গুরু বলেছেন, এই সব কর্ম করো, আর এই সব কর্ম করো না। আবার তিনি নিষ্কামকর্মের উপদেশ দেন। কর্ম করতে করতে মনের ময়লা কেটে যায়। ভাল ডাক্তারের হাতে পড়লে ঔষধ খেতে খেতে যেমন রোগ সেরে যায়।

    কেন তিনি সংসার থেকে ছাড়েন না? রোগ সারবে, তবে ছাড়বেন। কামিনী-কাঞ্চন ভোগ করতে ইচ্ছা যখন চলে যাবে, তখন ছাড়বেন। হাসপাতালে নাম লেখালে পালিয়ে আসবার জো নাই। রোগের কসুর থাকলে ডাক্তার সাহেব ছাড়বে না।

    ঠাকুর আজকাল যশোদার ন্যায় বাৎসল্যরসে সর্বদা আপ্লুত হইয়া থাকেন, তাই রাখালকে কাছে সঙ্গে রাখিয়াছেন। ঠাকুরের রাখালের সম্বন্ধে গোপালভাব। যেমন মার কোলের কাছে ছোট ছেলে গিয়া বসে, রাখালও ঠাকুরের কোলের উপর ভর দিয়া বসিতেন। যেন মাই খাচ্ছেন।

    আরও পড়ুনঃ “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    Ghatal: মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুরে (Ghatal) অবাক কাণ্ড। ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস জোর করে দখল নিয়েছে পুলিশ। এসডিও’র নেমপ্লেট খুলে রাতারাতি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘাটাল থানার ওসি-র নাম। বন্যার সময় উদ্বাস্তু হয়ে গেলেন খোদ সেচ দফতরের অফিসার-কর্মীরাই। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে না থেকে তৃণমূল প্রশাসনের এই আচরণকে সামজিক মাধ্যমে তুলে ধরে বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পুলিশ কেন এমন করল? কোনও ষড়যন্ত্র নেই তো? এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে।

    কী বললেন বিজেপি নেতা (Ghatal)?

    তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে কটাক্ষ হেনে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে  বলেন, “রাজ্যে মগের মুলুক চলছে। ঘাটাল (Ghatal) মাস্টার প্ল্যানের যাবতীয় নথিপত্রও পুলিশ দখল নিয়ে নিয়েছে। বোঝো কাণ্ড। বেচারা সেচ দফতরের কর্তারা এখন নিরুপায় হয়ে দফতরের উচ্চ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করে বিহিত চেয়েছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কোনও নথি যে আর সেচ দফতরের কাছে নেই, তাও জানিয়ে দিয়েছেন সেচ দফতরের কর্তারা। একেই বলে শাসকের আইন। পুলিশ মানে রাজ্য আর রাজ্য মানে পুলিশ। দেখুন আপনারা সেচ দফতরের ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদার চিঠিটি নীচে দিলাম।”

    আরও পড়ুনঃ মমতা ব্যস্ত উৎসবে, পুজোর মুখে সবজির আগুন বাজারে পুড়ছে আমজনতা!

    তৃণমূল কি বাস্তবে মাস্টার প্ল্যান চায়?

    রাজ্যে নিম্নচাপের কারণে অতিবর্ষণ এবং ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বার বার ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেও রাজ্যকে না জানিয়ে যে জল ছাড়া হয়নি, সেকথা কেন্দ্রীয় সেচ দফতর থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এদিকে ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘাটাল মহকুমাকে বন্যামুক্ত করতে মাস্টার প্ল্যানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তা করতে দেখা যায়নি। পরপর তিন বারের তৃণমূল সাংসদ দেব এবারের বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ফের একবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, “আমাকে আরও ৫ বছর সময় দিলে মাস্টার প্ল্যান হবে।” এখানেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, রাজ্যে মমতার শাসন প্রায় ১৩ বছর ধরে চলছে, তারপরও কেন বন্যা নিয়ন্ত্রণের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সরকার? বিরোধী দল বিজেপির দাবি, তৃণমূল বার বার পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করছে। তৃণমূল সরকারের কোনও ইচ্ছে নেই। এদিকে শাসকের উদাসীন মনোভাবের সামালোচনা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা সরকার দুর্গতদের পাশে নেই, কেবল ছবি তোলাতে ব্যস্ত। আমারা ঘটাল (Ghatal) মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না।” হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা (Hezbollah Leader) হাসান নাসরাল্লাহকে বেইরুটে হত্যা করার পর এমনই মন্তব্য করল ইজরায়েল (Israel)। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না। নাসরাল্লাহর পাশাপাশি হিজবুল্লার তথাকথিত দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলি কারাকিও নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    খতম হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও (Israel)

    হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন বলে ওই সূত্রের খবর। বেইরুটের দক্ষিণে হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দাহিয়া। এখানেই রয়েছে হিজবুল্লার প্রধান সদর দফতর। সেটাও আবার একটি আবাসিক ভবনের নীচে, ভূগর্ভে। এখানেই নিশ্চিন্তে ছিলেন নাসরাল্লাহ। শুক্রবার এই সদর দফতরেই হামলা চালায় ইজরায়েল। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) তরফে জানানো হয়, এই হামলাটা এমন সময় চালানো হয়, যখন হিজবুল্লার শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সদর দফতরে উপস্থিত ছিল। সেই সময় তারা ইজরায়েলবাসীর বিরুদ্ধে কীভাবে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালানো যায়, তার পরিকল্পনা করছিল। ইজরায়েলি সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, বেইরুটে থাকা ভবনের নীচে হিজবুল্লার রাখা কয়েক ডজল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলও ধ্বংস করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    কী বলছে আইডিএফ

    হিজবুল্লা প্রধানের নিকেশ হওয়ার খবর দেওয়ার পাশাপাশি আইডিএফ (Israel) চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি বলেন, “যারা ইজরায়েল ও তার নাগরিকদের হুমকি দেয়, তাদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে যাবে ইজরায়েল। যারা ইজরায়েলবাসীকে হুমকি দেয়, তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছতে হয়, তা আমরা জানি।” প্রসঙ্গত, ইজরায়েল যেদিন বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে অভিযান চালায়, সেদিন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহু ইরান ও তেহরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, “ইরানের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে ইজরায়েলের দীর্ঘ হাত পৌঁছতে পারবে না। এটা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্যও সত্য।”

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “হামাস অস্ত্র ত্যাগ করলে ও বন্দিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে। তবে সম্পূর্ণ বিজয় না পাওয়া (Hezbollah Leader) ইস্তক লড়াই চালিয়ে যাবে ইজরায়েল (Israel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: উৎসবের মরসুমে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র পণ্য ব্যবহারের বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    Narendra Modi: উৎসবের মরসুমে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র পণ্য ব্যবহারের বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশব্যাপী উৎসবের মরসুমে মেক ইন ইন্ডিয়ার (Make in India) পণ্য ব্যবহারের বার্তা দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে আবেগপ্রবণ হয়ে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। বর্ষাকালে জল সংরক্ষণ কতটা দরকার, সেই কথা বলে জল সহেলী প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কীভাবে কাজ করে চলেছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি। মধ্যপ্রদেশে কীভাবে জলাধার তৈরি করে ভূগর্ভস্থ জলকে সংরক্ষণ করার কাজ করা হচ্ছে, সে দিকেও আলোকপাত করেন। একই ভাবে দেশকে স্বনির্ভর করতে দিলেন ভোকাল ফর লোকালের বার্তা। 

    আমার কাছে অত্যন্ত আবেগঘন (Narendra Modi)  

    দেখতে দেখতে ১০ বছর পূর্ণ করল মোদির (Narendra Modi) ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সময়ে রেডিওতে নানা বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে বার্তালাপ এবং প্রতিক্রিয়া নিয়ে থাকেন তিনি। বিভিন্ন সামজিক সমস্যা এবং বিশেষ প্রয়োগের প্রতিক্রিয়া নিয়ে থাকেন তিনি। জন সম্পর্কের একটি বিশেষ মাধ্যম হল ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। রবিবার অনুষ্ঠানের শুরুতে মোদি বলেন, “আজকের অনুষ্ঠান আমার কাছে অত্যন্ত আবেগঘন। এই চলার পথে দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন আমরা পেয়েছি। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আমাদের সঙ্গে তথ্যের আদানপ্রদান করেছেন মানুষ। আমার খুব ভালো লাগে যখন শুনি, নিজের নিজের মাতৃভাষায় সকলে আমার কথা শুনতে পান। ফলে আঞ্চলিক ভাষার সাংবাদিকদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। একই ভাবে সংবাদ পত্রিকা এবং নানা ইউটিউবারদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।, তাঁরাই আমার কথাকে সকল স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন।”

    বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার

    এদিনের অনুষ্ঠানে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকায় জলসঙ্কট কম করতে বর্ষার জল ধরে রাখতে হবে। মধ্যপ্রদেশে জল সহেলী প্রকল্পের কথা সকলের জানা দরকার। পন্ডিচেরীর সমুদ্র সৈকত সাফাই অভিযান চালাচ্ছেন রামিয়াজি, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই স্বচ্ছতার কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। গান্ধীজি সম্পূর্ণ জীবনকে নিবেদিত করেছিলেন সমাজ সেবায়। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযান শুরু হয়েছিল। বর্জ্য পদার্থ কীভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা যায়, তাও ভাবতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “সনাতন ধর্মকে মুছতে” চাওয়া ছেলেকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন এমকে স্ট্যালিন

    বিশ্ব এখন আমদের দিকে তাকিয়ে থাকে

    মোদি (Narendra Modi) কিছুদিন আগেই মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় ২০০-টির বেশি প্রত্নসামগ্রী ভারতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমাদের ঐতিহ্য অত্যন্ত গৌরবের। ভারতের প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান চোরাপথে বিদেশে পাচার হয়ে গিয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের বাড়িতে ওই সব উপাদান দেখিয়েছিলেন আমাকে। জিনিসগুলির মধ্যে ছিল টেরাকোটা, পাথর, কাঠ, পিতল এবং ব্রোঞ্জের সামগ্রী। এগুলি থেকে অনুমেয় যে আমদের পূর্বপুরুষেরা কতটা নিখুঁত কাজের শিল্পকলা জানতেন। এই মাসে মেক ইন ইন্ডিয়ার (Make in India) দশ বছর পূর্ণ হতে চলেছে, তাই আমাদের স্বদেশী উৎপাদনের উপর আরও জোর দিতে হবে। বিশ্ব এখন আমদের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাই উৎপাদনের গুণমান এবং ভোকাল ফর লোকালের দিকে বেশি করে নজর দিতে হবে। আগামী উৎসবে মেক ইন ইন্ডিয়ার পণ্য বেশি বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Udaynidhi Stalin: “সনাতন ধর্মকে মুছতে” চাওয়া ছেলেকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন এমকে স্ট্যালিন!

    Udaynidhi Stalin: “সনাতন ধর্মকে মুছতে” চাওয়া ছেলেকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন এমকে স্ট্যালিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধিতা নয়, আমাদের প্রথম কাজ হল সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলা।” গত বছর সেপ্টেম্বরে এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিন (Udaynidhi Stalin)। ঠিক এক বছরের মাথায় পদোন্নতি হল তাঁর। ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। শনিবার তাঁকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন বাবা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

    পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ (Udaynidhi Stalin)

    সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্য করে বিরোধীদের নিশানায় ছিলেন উদয়নিধি। এদিন উপমুখ্যমন্ত্রী পদে উন্নীত হওয়ায় উঠল পরিবারতন্ত্রের অভিযোগও। ছেলেকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার পাশাপাশি আরও একটি ‘কাণ্ড’ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সেন্থিল বালাজি। জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। সেন্থিল যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন তখন তিনি ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। এদিন তাঁকে মন্ত্রী করা হলেও, কোন দফতর দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

    উদয়নিধির উত্থান

    তামিলনাড়ুর গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজনীতির ময়দানে চলে আসেন উদয়নিধি (Udaynidhi Stalin)। তার পর থেকে দলে রকেটের গতিতে উত্থান হতে থাকে তাঁর। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলে গুরুত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। তার আগেই রাজ্যের মন্ত্রী করে দেওয়া হয় উদয়নিধিকে। গত জানুয়ারি মাসেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হত তাঁকে। তবে তার আগে সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিতর্ক দানা বাঁধে। তাই সেই সময় ছেলেকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে আর বিতর্কের আগুনে অক্সিজেন জোগাননি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ এমকে। সেই বিতর্ক থিতু হতে এবং সেন্থিলের বন্দিদশা ঘুঁচতে শনিবারের বারবেলায় জোড়া ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বাপ-ছেলের এই যুগলবন্দিতে বেজায় খেপেছে বিরোধীরা। এআইএডিএমকে-র মুখপাত্র কৌভৈই সাথিয়া বলেন, “উদয়নিধির এই পদোন্নতি গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন নিজে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার থেকে কেউ রাজনীতিতে প্রবেশ করবে না। বাবা (করুণানিধি), ছেলে (এমকে স্ট্যালিন) এবং এখন নাতি (উদয়নিধি) – পরিবারতন্ত্র (Tamil Nadu) চলছে।” তিনি বলেন, “ডিএমকের অর্থ একটাই পরিবার, স্ট্যালিন পরিবার (Udaynidhi Stalin)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Flood: প্রবল বৃষ্টি ও ধসে নেপালে মৃত্যু ১১২, হড়পা বানে বানবাসী একাধিক নদী

    Nepal Flood: প্রবল বৃষ্টি ও ধসে নেপালে মৃত্যু ১১২, হড়পা বানে বানবাসী একাধিক নদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার থেকে প্রবল বৃষ্টি (Heavy Rain) ও ধসে নেপালে (Nepal Flood) মোট মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১২ জনের। সেই সঙ্গে এখনও নিখোঁজ প্রায় ৭০ জন, আহত শতাধিক। একাধিক নদীতে আসছে হড়পা বান, জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতিতে জনজীবন ব্যাহত। উদ্ধারকাজে নেমেছে ওই দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গত ৫৪ বছরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হিসেবে ৩২৩ মিলিমিটার রেকর্ড হয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

    ২০০টি হড়পা বান এবং ধসের ঘটনা (Nepal Flood)

    নেপালের (Nepal Flood) পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন। তবে অতি বর্ষণের জন্য উদ্ধারকাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে যেভাবে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। শুক্রবার থেকেই একাধিক জায়গায় অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য ধসের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় কার্যত বৃষ্টির জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডন বাহাদুর কর্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রবিবার সকাল পর্যন্ত ৩৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিলতপুর থেকে ২০ জন, ধাদিংয়ে ১৫ জন, কাঠমাণ্ডুতে ১২ জন, মাকওয়ানপুরে ৭ জন সহ একাধিক জেলায় মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। অন্তত ২০০টি হড়পা বান এবং ধসের ঘটনা ঘটেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অনেকগুলি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’

    আরও পড়ুনঃ সুনীতাদের আনতে রওনা দিল নাসা ও স্পেসক্রাফটের মহাকাশযান, ফেরা ফেব্রুয়ারিতে

    ৭৭টি জেলার মধ্যে ৫৬টি জেলায় সতর্কতা

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কাঠমাণ্ডুর (Nepal Flood) অবস্থাও বেশ উদ্বেগজনক। রাজধানীর আশেপাশের প্রায় সব নদী অতিরিক্ত জলে বানভাসি (Heavy Rain) হয়ে আছে। জলের স্রোত রাস্তার উপর দিয়ে বইছে। জলমগ্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গায়। ৭৭টি জেলার মধ্যে ৫৬টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নেপালের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ৩ হাজার কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন। নৌকায় করে এলাকায় এলাকায় পরিদর্শন করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকায় হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। দেশের রাজধানী থেকে ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিমান। এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০টি বিমান বাতিল হয়েছে। চলতি বছরেই নেপালে বন্যার কবলে পড়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে!” বিশ্বমঞ্চে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে (Pakistan) তোপ দাগলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৯তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানেই জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তান তার কর্মের জন্যই ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বের তালিকায়।”

    পাকিস্তানকে নিশানা করেছিলেন ভাবিকাও (S Jaishankar)

    শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ভাবিকা মঙ্গলনন্দন নিশানা করেছিলেন পাকিস্তানকে। বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমরা এমন এক দেশকে নিয়ে কথা বলছি, যে দেশটা সেনা চালায়। সন্ত্রাসের জন্য দেশটা সারা বিশ্বে পরিচিত। এমন দেশ যেখানে ওসামা বিন লাদেন আশ্রয় নিয়েছিল। এমন এক দেশ যার আঙুলের ছাপ বিশ্বের সব জঙ্গি হামলায় রয়েছে।”

    জয়শঙ্করের তোপ 

    এর ঠিক পরের দিনই ফের পাকিস্তানকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “দুঃখজনকভাবে ওদের খারাপ কাজের ফল অন্যদেরও প্রভাবিত করে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোকে। যখন রাজনীতি জনগণের মধ্যে ধর্মান্ধতা জাগিয়ে তোলে, তখন দেশের জিডিপি শুধুমাত্র মৌলবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ও সন্ত্রাসবাদের আকারে এর রফতানির ভিত্তিতেই পরিমাপ করা হয়।” তিনি বলেন, “বহু দেশ পিছিয়ে পড়ে এমন কিছু পরিস্থিতির জন্য, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু আবার নিজেদের ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণেও পিছিয়ে পড়ে অনেক দেশ। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল পাকিস্তান।” জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্য কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। বরং এটা তার কর্মের ফল।” তিনি (S Jaishankar) বলেন, “যে দেশ অন্যের জমি দখল করার চেষ্টা করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া ও পাল্টা জবাব দেওয়া জরুরি।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, জিরিবামে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে চলল গুলি, হতাহতের খবর নেই

    রাষ্ট্রসংঘের এই মঞ্চেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে চাই। পাকিস্তানের এই সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনের নীতি কখনওই সফল হবে না। ওরা এর দায়ও এড়াতে পারে না। কর্মের ফল ওদের (Pakistan) ভুগতেই হবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vegetables Price Hike: মমতা ব্যস্ত উৎসবে, পুজোর মুখে সবজির আগুন বাজারে পুড়ছে আমজনতা!

    Vegetables Price Hike: মমতা ব্যস্ত উৎসবে, পুজোর মুখে সবজির আগুন বাজারে পুড়ছে আমজনতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) উৎসবে মশগুল হয়ে রয়েছেন, অথচ সবজির বাজার (Vegetables Price Hike) অগ্নিমূল্য। সামনেই পুজো, মধ্যবিত্ত খাবে কী? পরপর নিম্নচাপের জেরে অতি বর্ষণে চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। বন্যার কবলে পড়েছে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলা। চাহিদার তুলনায় কাঁচামালের বাজারে জোগান নেই। পুজোর মুখে নাজেহাল হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। জোগান কম থাকলে যা হয়, এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। এর সুযোগ নিয়ে ফোড়েরা বাড়তি মুনাফার লক্ষ্যে দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকারের কোনও নজরই নেই। টাস্ক ফোর্স নামক যে একটি পদার্থ আছে, তা সরকারেরও বোধহয় আর মনে নেই। তারা বাজারে মাঝে মধ্যে ঘোরে ঠিকই, কিন্তু তা কার্যত বেড়ানোরই সামিল, কাজ কিছু হয় না।

    মানিকতলা বাজারে সবজির দাম কত (Vegetables Price Hike)?

    বাকি আর পাঁচটা দিনের মতো নয় রবিবারের বাজার। সবজির বাজারে যেন আগুন লেগে গিয়েছে। আর হবেই না বা কেন, মানুষের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পর্যাপ্ত আমদানি নেই। ছবিটা যেন অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। দাম শুনলেই চমকে যেতে হয়। কলকাতার মানিকতলা বাজারে ঢুকলেই সেই চিত্র ধরা পড়ছে। এই বাজারে পটল (Vegetables Price Hike) কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। বেগুন ১০০ টাকার উপরে চলে গিয়েছে। টম্যাটো প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ঝিঙ্গে ৮০ টাকা, কাঁচালঙ্কার দাম ২০০ টাকা প্রতি কেজি। গাজরের দাম ৭০ টাকা প্রতি কেজি, শসা ৮০ টাকা প্রতি কেজি, বিন্স ২০০ টাকা প্রতি কেজি, উচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। অথচ রাজ্য সরকারের ভ্রূক্ষেপ নেই। স্থানীয় ক্রেতাদের দাবি, “উৎসবের মেজাজে চলে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই বাজারের আঁচ বুঝতে পারছেন না।”

    বাঁকুড়া পুরসভার বাজার অগ্নিমূল্য

    জেলার বাজারগুলিতেও সবজির অগ্নিমূল্যের (Vegetables Price Hike) চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে। বাঁকুড়া পুরসভার বাজারে দেখা গিয়েছে এদিন পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ফুলকপি ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, টম্যাটো ৬০ টাকা কেজি, ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ওল ৮০ টাকা, কাঁচা লঙ্কা ২০০ টাকা প্রতি কিলো। উল্লেখ্য, একদিকে নিম্নচাপের ফলে অতিবৃষ্টি এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে সবজি উৎপাদিত অঞ্চলের জমিগুলি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। একাধিক নদীর জল উপচে চাষের জমিতে ঢুকে পড়ায় ফসলের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলেছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, পথে নামছেন প্রাক্তন পুলিশকর্মীরা, সন্ধ্যায় হাওড়ায় মিছিল

    উত্তরবঙ্গেও চড়া দাম

    বৃষ্টির সরাসরি প্রভাব পড়ছে সবজির বাজারদরে (Vegetables Price Hike)। একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। মালদায় মুলোর দাম পৌঁছে গিয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। মিষ্টি কুমড়ো ৪০-৬০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি প্রতি কিলো ৬ টাকা। রসুন ২৫০ টাকা, আদা ১৫০ টাকা, সজনে ২০০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা প্রতি কেজি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে রওনা নাসা ও স্পেসক্রাফটের মহাকাশযানের, ফেরা ফেব্রুয়ারিতে

    Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে রওনা নাসা ও স্পেসক্রাফটের মহাকাশযানের, ফেরা ফেব্রুয়ারিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও তাঁর সহযোগী বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফেরাতে উদ্যোগ নিল নাসা। শনিবার রাতেই রওনা হয়ে গিয়েছে নাসা (Nasa) এবং স্পেস ক্রাফটের মহাকাশযান। এদিন ফ্লরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে দু’জন মহাকাশচারীকে নিয়ে সেই যান মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রিউ-৯’।

    সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুনীতারা (Sunita Williams) পৃথিবীতে ফিরে আসবেন

    যে দুই মহাকাশচারী রওনা হয়েছেন, তাঁরা ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’ (আইএসএস)-এ থেকে গবেষণা চালাবেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা সুনীতাদের সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। প্রসঙ্গত, সুনীতারা (Sunita Williams) যে যানে করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন, সেটি বিগড়ে যায়। হিলিয়াম গ্যাস লিক হতে থাকে ওই যান থেকে। এর ফলে গত জুন মাস থেকেই তাঁরা ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’-এ আটকে রয়েছেন। চলতি মাসের ৬ সেপ্টেম্বর সুনীতাদের না নিয়েই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে স্টারলাইনার। এ বার তাঁদের ফেরাতে শুরু হল অভিযান।

    মহাকাশে পাঁচ মাসে হবে প্রায় ২০০টি গবেষণা

    জানা গিয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবারই সুনীতাদের (Sunita Williams) ফেরাতে এই অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে, ঘূর্ণিঝড় হেলেনের কারণে ফ্লরিডায় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। সেই কারণে স্থগিত রাখা হয় অভিযান। নাসার (Nasa) তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, ‘ক্রিউ-৯’ অভিযানটি পরিচালনা করবেন মহাকাশচারী নিক হগ, তার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সঙ্গে থাকবেন আলেকসান্দ্র গোরবুনভ। মহাকাশে পাঁচ মাস থেকে প্রায় ২০০টি গবেষণা করবেন তাঁরা।

    ৩০ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সময় রাত ৩টের সময় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’-এ অবতরণ করবে মহাকাশযানটি

    প্রসঙ্গত, নাসার বাণিজ্যিক প্রকল্পের অধীনে এই নিয়ে নবম বার অভিযানে নামল ইলন মাস্কের সংস্থার স্পেসক্রাফট। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সময় রাত ৩টের সময় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’-এ অবতরণ করবে স্পেসক্রাফটের ড্রাগন মহাকাশযান। এই মহাকাশযানে চার জনের যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। পৃথিবী থেকে রওনা হয়েছেন ২জন। বাকি দুটি আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে, যাতে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা এবং বুচকে সেখানে জায়গা দেওয়া যায়। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ক্রিউ-৯ আইএসএসে পৌঁছনোর আগেই সুনীতা এবং বুচ ক্রিউ-৮ ড্রাগন ক্যাপসুলে গিয়ে উঠবেন। ওই ক্যাপসুল বর্তমানে আইএসএসের ভিতরেই রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর, জিরিবামে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে চলল গুলি, হতাহতের খবর নেই

    Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর, জিরিবামে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে চলল গুলি, হতাহতের খবর নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তি কোনওভাবেই থামছে না মণিপুরে (Manipur)। গতকাল শনিবারও মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নতুন করে কুকি-মেইতেইদের সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় গুলি চলেছে লোয়ার মংবুংয়ের মেইতেই গ্রামে। রাত পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জিরিবাম জেলার লোয়ার মংবুংয়ের মেইতেই গ্রামে আশপাশের পাহাড় এবং ঘন জঙ্গল থেকে গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ীরা। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পৌঁছে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। তারপরেই গ্রামের নারী, শিশু এবং বয়স্কদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    সেপ্টেম্বরে ফের উত্তপ্ত হয় মণিপুর (Manipur)

    অন্য দিকে, চূড়াচাঁদপুর এবং কংপোকপি জেলায় কুকিদের ডাকে চলছে বন্‌ধ। শনিবারই ছিল বন্‌ধের দ্বিতীয় দিন। গোটা দিনই বন্ধ ছিল দোকানপাট। প্রসঙ্গত, আইটিএলএফ এবং কুকি ছাত্র সংগঠন (কেএসও)-এর ডাকে চলছে এই বন্‌ধ। চলতি মাসেই কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের (Manipur) মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    কী জানিয়েছেন অমিত শাহ? (Amit Shah)

    গত ৬ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেরেম্বাম কোইরেংয়ের বাড়িতে রকেট হামলা হয়। তারপর থেকেই চলছে সংঘর্ষ। বিস্ফোরক-গোলাবারুদও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। মণিপুরের (Manipur) এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে গুজব ছড়ায় যে পদত্যাগ করছেন সে রাজ্যের মুখ্যন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পদত্যাগ করছেন না বরং আলোচনা চলছে কুকি ও মেইতেই দু’পক্ষের সঙ্গে। বীরেন সিংও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমি কেন পদত্যাগ করব? আমি কোনও ভুল করিনি।’’

    কীভাবে অশান্ত হল মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায়, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে। দেড় বছর ধরে হিংসা চললেও এখনও থামেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share