Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG Kar Case: তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে  চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে, তলব করল সিবিআই

    RG Kar Case: তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে, তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতির প্রসঙ্গে সন্দীপ (Sandeep Ghosh) ঘনিষ্ঠ উত্তরবঙ্গ লবির ডাক্তার শুশান্ত রায়কে তলব করল সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। উল্লেখ্য ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন যে মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, তাঁদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে থ্রেট কালচার (RG Kar Case) এবং অভয়ার হত্যা মামলায় তথ্য লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।

    আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার পর থেকেই ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতা সহ গোটাদেশ গর্জে উঠেছিল। একদিকে যেমন তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা সরব হয়েছেন, তেমনি ভাবে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) এবং তাঁর অনুগামীদের থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়েছেন। নাম উঠে এসেছে বিরূপাক্ষ, অভীকের মতো ডাক্তারদেরও। এবার আরও ১২ জন ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল হাসপাতালের বিশেষ তদন্ত কমিটি। এদিন সবাইকে আরজি কর প্লাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে জেরা করার জন্য ডাকা হয়।

    মোট ৫৯ জনের তালিকা তৈরি হয়েছে (RG Kar Case)

    জানা গিয়েছে, এই থ্রেট কালচারের সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ঘনিষ্ঠ ১২ জন ডাক্তারের নামের মধ্যে রয়েছেন, আশিস পাণ্ডে, সৌরভ পাল, সফিকুল হোসেন সহ আরও অনেকে। অভয়ার হত্যাকাণ্ডের পর আরজি কর ইস্যুতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ এক শ্রেণীর ডাক্তাররা জুনিয়রদের উপর আধিপত্য দেখাতেন। পরীক্ষায় কে পাশ করবে, কে ফলে করবে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিতেন। গবেষণাপত্রের বিষয় টাকার বিনিয়ে দেওয়া হতো। নির্ধারিত সময়ের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ডিউটি করানো হতো। নানা বাহানায় পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো। ইতিমধ্যে পড়ুয়াদের বয়ানের ভিত্তিতে মোট ৫৯ জনের তালিকা তৈরি করেছে তদন্তকমিটি। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জেরা করার পালা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি করেছে জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case)।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    জুতো মারো তালে তালে

    অপরদিকে আরজি করের (RG Kar Case) সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রত্যেক অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। এখন তাঁদের সকলকে নিয়ে জেরা চলছে। দোষ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। হাসপাতালে এই ধরনের কালচারকে বরদাস্ত করা হবে না।” একই ভাবে যখন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল সেই সময় ঘরের বাইরে স্লোগান দেওয়া হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য ছিল, “থ্রেট কালচারের গালে গালে, জুতো মারো তালে তালে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ময়নাতদন্তের মধ্যেই কি আসল রহস্য লুকিয়ে? ফের সিজিও-তে জিজ্ঞাসাবাদ অপূর্ব বিশ্বাসকে

    RG Kar Case: ময়নাতদন্তের মধ্যেই কি আসল রহস্য লুকিয়ে? ফের সিজিও-তে জিজ্ঞাসাবাদ অপূর্ব বিশ্বাসকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) মামলায় বুধবার ফের সিজিও-তে হাজিরা দিলেন অভয়ার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। একই সঙ্গে এদিন হাজিরা দিলেন হাসপাতালের দুই ডোমও। ধর্ষণ এবং খুনের কিনারা করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। ময়নাতদন্তের মধ্যেই কি আসল খুনের তথ্য লুকিয়ে রয়েছে? তদন্তকারী অফিসাররা সব তথ্য খতিয়ে দেখছেন।

    ময়নাতদন্তে ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ছিল (RG Kar Case)

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আপামর বাঙালি সমাজের মনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অভয়ার ময়নাতদন্তের ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন এই অপূর্ব বিশ্বাস। আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাকি দুই সদস্য রীনা দাস এবং মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। একই সঙ্গে মর্গের সহকারী ডোমদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মর্গের মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বলেন, “আমি ময়নাতদন্তের সময় ছিলাম না। আমার টেবিল ওয়ার্ক। আমি পেপারস ওয়ার্ক করি।” অপর দিকে রবিবার সিজিও থেকে বের হয়ে অপূর্ব বলেছিলেন, “মৃতার দেহে ময়নাতদন্তের জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।” একই ভাবে মৃতার কাকু বলেন, “এক ব্যক্তি দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য প্রেসার দিচ্ছিলেন। তাড়াতাড়ি না করলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।” এরপর থেকে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    ময়নাতদন্তের দিনে কী কী ঘটেছিল?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের (RG Kar Case) দিনে কী কী ঘটেছিল? কারা কারা উপস্থিত ছিল? বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। ঘটনার দিন থেকেই মানুষ, এই খুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একজন যোগ্য ডাক্তারকে কর্মস্থলে কেন নির্মমভাবে খুন হতে হলো? এই খুন ছিল অত্যন্ত পাশবিক। শরীরের একাধিক জায়গায় মিলেছে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন। শরীর ছিল অর্ধনগ্ন অবস্থায়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কোনও একজন মাত্র ব্যক্তির দ্বারা এই ভাবে পাশবিক নির্যাতন করা সম্ভব হয়নি। ধর্ষণ এবং খুনে আরও একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল বলে অনুমান করা হয়েছে। তাই গোটা বিষয়কে খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপর দিকে বুধবার ফের শিয়ালদা আদালতে, ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের একবার কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সম্প্রতি সামনে এসেছে কর্নাটকের কংগ্রেস (Congress) সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। মহীশূর আরবান ডেভলপমেন্ট অথরিটিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গেই কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বুধবার নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন হরিয়ানার সোনপথে। ভোটমুখী হরিয়ানাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসের ব্যর্থতা এবং দুর্নীতির যাবতীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরেন এবং এ প্রসঙ্গেই তিনি উত্থাপন করেন কর্নাটকের মহীশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দুর্নীতি। তখনই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দু বছরও হয়নি কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এসেছে কর্নাটকে, কিন্তু আপনারা দেখুন! এখন থেকে কীভাবে তারা দুর্নীতি করছে! খোদ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী জমি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। নিজেকে বাঁচাতে হাইকোর্টের রক্ষাকবচও চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’

    কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জমি লুট করত

    তিনি হরিয়ানার মানুষদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘১০ বছর আগে যখন এখানে কংগ্রেসের সরকার ছিল, তখন কৃষকদের জমি লুট করত তারা। কংগ্রেস (Congress) হরিয়ানা জমিগুলিকে দালালদের হাতে সঁপে দিয়েছিল। এমন কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষা ছিল না যেখানে দুর্নীতি হয়নি। সরকারের কোনও সংস্থাই দুর্নীতির বাইরে ছিল না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস সরকার সর্বদাই তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজকে সক্রিয়ভাবে সামাজিক বা সরকারি কাজে অংশগ্রহণ থেকে দূরে রেখেছে। তাই বর্তমান দিনে দলিত সমাজও কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে।’’

    দুর্নীতিকে লালন পালন করে কংগ্রেস, তোপ মোদির (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করে দেখবেন কংগ্রেস যেখানেই সুযোগ পায় সেখানেই তারা দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্রকে প্রাধান্য দেয়। কংগ্রেস হল এমন একমাত্র দল যারা দুর্নীতিকে ভারতের শাসনব্যবস্থায় লালন পালন করেছে দীর্ঘদিন ধরে এবং আজও করে চলেছে।’’ এনডিএ সরকারের সাফল্যগাথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকে সারা বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিরা তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে এবং তারা উদগ্রীব ভারতে বিনিয়োগ করতে। এই বড় কোম্পানিগুলি ভারতবর্ষে যখন বিনিয়োগ করবে তখন হরিয়ানার যুবসমাজ ও কৃষকরাও উপকৃত হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলে উল্লেখ করতে পারবেন না, সাফ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। বুধবারই একটি মামলার শুনানিতে বুধবার এই মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলতে পারেন না। এমন মন্তব্য দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী। আদালতে যা কিছু ঘটে, তা কিছুই গোপন রাখা উচিত নয়।’’

    বিতর্ক শুরু কীভাবে?

    বিতর্ক শুরু কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বেগব্যাসাচর শ্রীষনন্দার একটি মন্তব্য ঘিরে। পরে সেই বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এনিয়েই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল এদিন সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের একটি মামলা ছিল বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটের বিবাদ সংক্রান্ত। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি শ্রীষনন্দা বেঙ্গালুরুর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাকে পাকিস্তান বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, এক মহিলা আইনজীবীকে নিশানা করে তিনি নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। এর পরে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন ওই বিচারপতি। কিন্তু পরবর্তীকালে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।

    আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত

    এদিনই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কর্নাটক হাইকোর্টের ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। এনিয়ে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার স্বার্থে ও মর্যাদার প্রশ্নেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কর্নাটকের ওই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এস খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এস কান্ত এবং বিচারপতি এইচ রায়কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হয়। এদিন আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) আরও বক্তব্য

    আজ বুধবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) আরও বলেন, ‘‘হালকা চালে কোনও মন্তব্য করা হলেও, তা কোনও বিশেষ সম্প্রদায় বা লিঙ্গের মানুষের প্রতি ব্যক্তিগত পক্ষপাত ইঙ্গিত করে।  এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ সম্প্রদায় বা বিশেষ লিঙ্গের মানুষের প্রতি এমন মন্তব্যে আমরা উদ্বিগ্ন, বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবেই দেখা উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই ফেব্রুয়ারি

    বেলঘরেবাসী ও পাপবাদ 

    প্রতিবেশী—আমরা পাপী, আমাদের কি হবে (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর নামগুণকীর্তন করলে দেহের সব পাপ পালিয়ে যায়। দেহবৃক্ষে পাপপাখি; তাঁর নামকীর্তন যেন হাততালি দেওয়া। হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, তেমনি সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়।

    আবার দেখ, মেঠো পুকুরের জল সূর্যের তাপে আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়। তেমনি তাঁর নামগুণকীর্তনে পাপ-পুষ্করিণীর জল আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়।

    রোজ অভ্যাস করতে হয়। সার্কাসে দেখে এলাম ঘোড়া দৌড়ুচ্ছে তার উপর বিবি একপায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কত অভ্যাসে ওইটি হয়েছে।

    আর তাঁকে দেখবার জন্য অন্ততঃ একবার করে কাঁদ।

    এই দুটি উপায়—অভ্যাস আর অনুরাগ, অর্থাৎ তাঁকে দেখবার জন্য ব্যাকুলতা।

    বেলঘরেবাসীর ষট্‌চক্রের গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি 

    বৈঠকখানাবাড়ির দোতলা ঘরের বারান্দায় ঠাকুর ভক্তসঙ্গে প্রসাদ পাইতেছেন; বেলা ১টা হইয়াছে। সেবা সমাপ্ত হইতে না হইতে নিচের প্রাঙ্গণে একটি ভক্ত গান ধরিলেন:

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।

    ঠাকুর (Ramakrishna) গান শুনিয়া সমাধিস্থ। শরীর সমস্ত স্থির, হাতটি প্রসাদপাত্রের উপর যেরূপ ছিল, চিত্রর্পিতের ন্যায় রহিল। খাওয়া আর হইল না। অনেকক্ষণ পরে ভাবের কিঞ্চিৎ উপশম হইলে বলিতেছেন (Kathamrita), “আমি নিচে যাব, আমি নিচে যাব।

    একজন ভক্ত (Ramakrishna) তাঁহাকে অতি সন্তর্পনে নিচে লইয়া যাইতেছেন।

    প্রাঙ্গণেই সকালে নামসংকীর্তন ও প্রেমানন্দে ঠাকুরের নৃত্য হইয়াছিল। এখনও সতরঞ্চি ও আসন পাতা রহিয়াছে। ঠাকুর এখনও ভাববিষ্ট; গায়কের কাছে আসিয়া বসিলেন। গায়ক এতক্ষণে গান থামাইয়াছিলেন। ঠাকুর অতি দীনভাবে বলিতেছেন, বাবু, আর-একবার মায়ের নাম শুনব।

    গায়ক আবার গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্যসাধনে চল মা শিরোমধ্যে, পরম শিব যথা সহস্রদলপদ্মে,
    করি ষট্‌চক্র ভেদ (মাগো) ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর আবার ভাবাবিষ্ট।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 144: “কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল, ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়, দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি”

    Ramakrishna 144: “কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল, ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়, দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি”

    বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই ফেব্রুয়ারি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বেলঘরে শ্রীযুক্ত গোবিন্দ মুখুজ্জের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন। আজ রবিবার, (৭ই ফাল্গুন) ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, মাঘ শুক্লা দ্বাদশী, পুষ্যানক্ষত্র। নরেন্দ্র, রাম প্রভৃতি ভক্তরা আসিয়াছেন (Kathamrita), প্রতিবেশিগণ আসিয়াছেন। ৭/৮টার সময় প্রথমেই ঠাকুর নরেন্দ্রাদিসঙ্গে সংকীর্তনে নৃত্য করিয়াছিলেন।

    বেলঘরেবাসিকে উপদেশ—কেন প্রণাম—কেন ভক্তিযোগ 

    কীর্তনান্তে সকলেই উপবেশন করিলেন। অনেকেই ঠাকুরকে প্রণাম করিতেছেন। ঠাকুর মাঝে মাঝে বলিতেছেন, ঈশ্বরকে প্রণাম কর। আবার বলিতেছেন, তিনিই সব হয়ে রয়েছেন, তবে এক-এক জায়গায় বেশি প্রকাশ, যেমন সাধুতে। যদি বল, দুষ্ট লোক তো আছে, বাঘ সিংহও আছে; তা বাঘনারায়ণকে আলিঙ্গন করার দরকার নাই, দূর থেকে প্রণাম করে চলে যেতে হয়। আবার দেখ জল, কোন জল খাওয়া যায়, কোন জলে পূজা করা যায়, কোন জলে নাওয়া যায়। আবার কোন জলে কেবল আচান-শোচান (Kathamrita) হয়।

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা, বেদান্তমত কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—বেদান্তবাদীরা বলে ‘সোঽহম্‌’ ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা; আমিও মিথ্যা। কেবল সেই পরব্রহ্মই আছেন।

    কিন্তু আমি তো যায় না; তাই আমি তাঁর দাস, আমি তাঁর সন্তান, আমি তাঁর ভক্ত—এ-অভিমান খুব ভাল।

    কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল। ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়। দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি। রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—এই সকল বিষয়। বিষয়বুদ্ধি যাওয়া বড় কঠিন। বিষয়বুদ্ধি থাকতে ‘সোঽহম্‌’ হয় না।

    ত্যাগীদের বিষয়বুদ্ধি কম, সংসারীরা সর্বদাই বিষয়চিন্তা নিয়ে থাকে, তাই সংসারীর পক্ষে ‘দাসোঽহম্‌’(Ramakrishna)।

    আরও পড়ুনঃ “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিকে বিষাক্ত পদার্থ! হদিশ জাল ওষুধ চক্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য নাগপুর পুলিশের রিপোর্টে

    Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিকে বিষাক্ত পদার্থ! হদিশ জাল ওষুধ চক্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য নাগপুর পুলিশের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাল ওষুধের রমরমা কারবার। রোগ-ব‌্যধি উপশমকারী উপাদানের বদলে ওষুধে মিশে রয়েছে ট‌্যালকম পাউডার আর স্টার্চ। এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এল নাগপুর  (গ্রামীণ) পুলিশের (Nagpur) তদন্ত রিপোর্টে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে ১,২০০ পৃষ্ঠার বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে গোটা মহারাষ্ট্রে। ওয়ার্ধা, নানদেড়, থানে সব জায়গায় এক চিত্র। জানা গিয়েছে, এর পিছনে রয়েছে একটি বড় চক্র। তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, জাল ওষুধ যেত উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়েও।

    হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত জাল ওষুধ

    উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে সরবরাহ করা হত ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) এবং তা খেতেন রোগীরা। জানা গিয়েছে, হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত ওষুধের নামে গায়ে মাখার সস্তা পাউডার আর স্টার্চের এই বিষাক্ত মিশ্রণ। আর তার পর সেই ‘ওষুধ’ পাঠিয়ে দেওয়া হত একের পর এক রাজ্যে। হাওয়ালা চক্রের মাধ‌্যমে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আসত কোটি কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মাসে নীতিন ভাণ্ডারকর নামে এক ড্রাগ ইনস্পেক্টরের হাত ধরে এই জাল ওষুধ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়।

    গ্রেফতার একাধিক অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে, জাল ওষুধ চক্রের পর্দাফাঁসের সূত্রপাত নাগপুরের কলমেশ্বরের এক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই পরিদর্শনে গিয়ে প্রথম নীতিন ভাণ্ডারকর বোঝেন, অ‌্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) নামে ভুয়ো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তিনি ওষুধ সরবরাহকারী এবং বণ্টনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ফুড অ‌্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এফডিএ)। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত মুলে নামে এক ব্যক্তিকে। পরে সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও করা হয় মিহির ত্রিবেদী, বিজয় চৌধুরি, গগন সিং, রবিন তানেজা, রমণ তানেজাকে। এঁদের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে হরিদ্বারের পশু ল‌্যাবরেটরির (Antibiotics)। এই ‌ল‌্যাবরেটরির মালিক অমিত ধীমান নামে এক ব‌্যক্তি, যিনি আগে থেকেই জেলবন্দি। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মাথাদের ব্যাঙ্ক লেনদেন দেখা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির (Corruption Case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলে রয়েছেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার, সিবিআই হাসপাতালের আলমারি ভেঙে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। মনে করা হচ্ছে দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিজিও-তে(RG Kar Case)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই-এর দুর্নীতিদমন (Corruption Case) শাখার গোয়েন্দারা হাসপাতালে (RG Kar Case) গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ফাইল উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে পরে সিজিও-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে সন্দীপ ঘোষ আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। এই উদ্ধার হওয়া নথি সন্দীপ ঘোষের সময়কালের বলে জানা গিয়েছে। দুর্নীতি বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আক্তার আলি। ২০২৩ সালে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনও রকম তদন্তের ইঙ্গিত মেলেনি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেই দুর্নীতির বিষয়ে ওই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারীরা একাধিক বিষয়ে আন্দোলনে নামেন। এরপর সন্দীপ ঘোষের একাধিক কুকর্মের বিষয় প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়। প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন এই  অভিযুক্ত।

    আরও পড়ুনঃ সকাল থেকেই আকাশের মুখভার! দফায় দফায় বৃষ্টি, ৯ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    মৃতদেহ পাচার করতেন সন্দীপ?

    সন্দীপ ঘোষের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে আক্তার আলি আরও বলেছিলেন, “আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি। তিনি টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত। মৃতদেহ পাচার, স্বাস্থ্য খাতে খরচ, সিসিটিভি, রেস্টরুমের জন্য টাকার ঠিকঠাক ব্যবহার করেননি। ডাক্তারি পড়ুয়াদের টাকার বিনিময়ে পাশ-ফেল করানো, টাকা নিয়ে পছন্দের বিষয়ে গবেষণা করানোর কাজ-সহ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ। অত্যন্ত প্রভাবশলী ব্যক্তি। থ্রেট কালচারের মধ্যমণি ছিলেন।” আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডিও। অপর দিকে চিকিৎসক তরুণীকে খুনের মামলায়ও তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Track: গুজরাটের কিম ও কোসাম্বা রেল স্টেশন থেকে ৭০টির বেশি খোলা তালা উদ্ধার! গ্রেফতার ৩

    Railway Track: গুজরাটের কিম ও কোসাম্বা রেল স্টেশন থেকে ৭০টির বেশি খোলা তালা উদ্ধার! গ্রেফতার ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার গুজরাটের কিম এবং কোসাম্বা রেল স্টেশনের (Railway Track) ট্র্যাক থেকে ৭০টিরও বেশি তালা এবং দুটি ফিশপ্লেট খোলা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। ফের আরও একবার ষড়যন্ত্রের চক্র ফাঁস হয়েছে। ঘটনায় ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বর্তমানে পুলিশে হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার মধ্যপ্রদেশ-উত্তর প্রদেশের রেল লাইন থেকে ১০টি ডেটোনেটর এবং একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহজনক রেল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

    রেল লাইবনে সন্দেহজনক তিনজনকে অবস্থায় দেখা যায় (Railway Track)

    গুজরাটের রেলকর্মী (Gujarat) সুভাষ পোদার, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলেন, “শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষ্য করি যে রেল লাইনের বেশ কয়েকটি তালা খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে দুটি ফিশপ্লেট-যা দুটি রেলওয়ে ট্র্যাককে সংযুক্ত করে, তাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিম এবং কোসাম্বা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সংলগ্ন রেললাইনে এই ঘটনা ঘটেছে। যখন টহল দিচ্ছিলাম তখন ট্র্যাকের কাছে তিনজনকে লক্ষ্য করি। তারা ভিডিও করছিল। এরপর ডাকাডাকি করলে সকলে পালিয়ে যায়।” এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ এবং এনআইএ আধিকারিকরা বলেন, “নাশকতার বিষয়ে তদন্ত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে পোদারের কথার সূত্রকে মিলয়ে দেখা হচ্ছে।”। তবে অন্য ট্রেনের লোকো পাইলট, ষড়যন্ত্র ফাঁসের কয়েক মিনিট আগে ট্র্যাকের উপর দিয়ে গেলেও কোনও ত্রুটি দেখতে পাননি। ১২৯৫২ দিল্লি-মুম্বই রাজধানী এক্সপ্রেস ভোর ৪.৫৩ এবং ৪.৫৮ টার মধ্যে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে অতিক্রম করেছিল। আবার পোদার অ্যালার্ম দেওয়ার প্রায় ২৫ মিনিট আগে ১৪৮০৮ দাদার জেইউ এক্সপ্রেস ১১০ কিলোমিটার গতিতে ৪.৩৮ থেকে ৪.৪৪ টার মধ্যে অতিক্রম করেছিল। সেই সময় সব ঠিকঠাক ছিল তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, রেলের লাইন থেকে মোট ৭১টি তালা খোলা হয়েছে। বেশ কিছু ফিশপ্লেটগুলি খুলে দেওয়া হয়। ট্রেন চালকরা দেখেছিলেন পার্শ্ববর্তী রেল লাইনের উপর পড়ে রয়েছে সরঞ্জাম । যদিও রাজধানী যাওয়ার সময় সেগুলি ঠিক জায়গাতেই ছিল। পরবর্তী সময়ে ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    ধৃতদের বক্তব্য

    তিনজন অপরাধী (Gujarat) নিজেদের কুকর্ম স্বীকার করেছেন তদন্তকারী অফিসারদের সামনে। এই রেলে নাশকতা কাজের জন্য টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা। তবে এই ঘটনায় মূলচক্রী কারা, কাদের নির্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে? অর্থ যোগান কারা করছে ইত্যাদি এই সব বিষয়ে তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য আগে উত্তরপ্রদেশে রেললাইন থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। রাজস্থানের আজমেরে মালগাড়ির লাইনের উপরে ফেলা হয়েছিল সিমেন্টের চাঁই। ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের উপর ফেলা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মোট ১৮বার ট্রেন লাইনকে বেলাইন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে উদ্বিগ্ন রেল।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asia Power Index: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    Asia Power Index: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপ্রতিরোধ্য ভারত! এশিয়া মহাদেশে তৃতীয় শক্তিশালী দেশ নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারত। ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির নিরিখে জাপানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। এমনই তথ্য উঠে এল অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে (Asia Power Index)। জানা গিয়েছে, প্রতিপত্তির নিরিখে রাশিয়া ও জাপানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত।

    তিন নম্বরে ভারত (Asia Power Index) 

    সম্পদ ও প্রভাবের নিক্তিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। তার পরেই রয়েছে চিন। ভারত রয়েছে এই তালিকার তিন নম্বরে। সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত ধীরে ধীরে হলেও, ক্রমেই ওপরের সারিতে উঠছে। জাপানকে টপকে ভারত এশিয়ার তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তবে ভারতের যে পরিমাণ সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সম্ভাবনাকে এখনও ছুঁতে পারেনি। পশ্চিমে পাকিস্তান, উত্তরে রাশিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত অন্তত ২৭টি দেশ ও অঞ্চলকে সম্পদ ও প্রভাবের নিরিখে মূল্যায়ন করা হয় ওই ইনডেক্সে। তাতেই দেখা গিয়েছে, সুপার পাওয়ার হওয়ার পথে দ্রুত এগোচ্ছে ভারত।

    কী বলছে রিপোর্ট

    এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত ধীরে হলেও, ক্রমেই ওপরে উঠছে। জাপানকে টপকে ভারত এশিয়ার তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তবে ভারতের হাতে যে সম্পদ রয়েছে, তার যা সম্ভাবনা, সেই সম্ভাবনাকে এখনও ছুঁতে পারেনি তারা। এশিয়ায় ভারতের শক্তি বাড়ছে। জাপানকে টপকে প্রথমবারের মতো তৃতীয় স্থান দখল করেছে তারা (Asia Power Index)। তবে ভারতের উত্থান নিয়ে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, আর বাস্তব ছবি যা বলছে, তাতে ফারাক রয়েছে।” ওই ইনডেক্স দেখা যাচ্ছে, এখনও মালাক্কা প্রণালীর পূর্বে শক্তি ও প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির ক্ষমতা সীমিত। তবে এর প্রভাব প্রতিশ্রুত স্তরের নীচে থাকার অর্থ, একটি প্রধান শক্তি হিসেবে আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের।

    আরও পড়ুন: খাবারে মেশানো হচ্ছে মানব বর্জ্য, নয়া ফরমান যোগী রাজ্যে

    অস্ট্রেলিয়ার সংস্থার করা এই রিপোর্টে যারপরনাই খুশি ভারত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “বিশ্বমঞ্চে ভারতের উত্তরণ কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় কূটনৈতিক কৌশল ও দেশকে নিয়ে তাঁর উচ্চাকাঙ্খার ফল এটা (PM Modi)। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া এটা সম্ভব হত না (Asia Power Index)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share