Tag: news in bengali

news in bengali

  • Railway: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে হামলার হুমকি চিঠি! জারি সতর্কতা

    Railway: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে হামলার হুমকি চিঠি! জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে রেল (Railway) পরিকাঠামোর উপর জঙ্গিদের হামলার হুমকি পাওয়া গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত খবরটি উড়ো, কিন্তু তবুও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হালকা ভাবে নিতে চাইছেন না রেলের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে সতর্ক করলেন এসআরপি শিলিগুড়ি। তবে প্রশাসন এই হুমকিকে (Threat) অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।

    প্রত্যেক স্টেশনে সতর্ক বার্তা (Railway)

    উত্তর-পূর্ব রেলের (Railway) জিআরপি এস সিলভামুরগান বলেন, “একটি খবরে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে রেলের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে জিআরপি এবং আরপিএফ-এর পক্ষ থেকে যৌথ ভাবে পেট্রোলিং করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে প্রত্যেক স্টেশনের মাস্টার এবং ম্যানেজারকে সতর্ক করা হয়েছে। একইভাবে নিরাপত্তার জন্য স্নিফার ডগকে বিভিন্ন স্টেশন এবং ট্রেনের নিরাপত্তার (Threat) কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন সেতু স্টেশনের টিমকে সতর্ক করা হয়েছে।” এই হুমকির বিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম বলেন, “আমাদের রেল জিআরপি শিলিগুড়ি থেকে মেইল করে জানানো হয়েছিল, রেলের পরিকাঠামোতে নাশকতা মূলক হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি এই মর্মে প্রত্যেক স্টেশনকে সতর্ক করেছি। একাধিক সন্দেহজনক জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছি।”

    আরও পড়ুনঃ আরজি করের প্রতিবাদে যোগ, ক্লাস থেকে দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার তৃণমূলের অধ্যাপক নেতার!

    গভীর ষড়যন্ত্রের নানা ভিডিও

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের (Railway) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকুমার শর্মা বলেন, উড়ো চিঠির (Threat) একটি খবর এসেছে। তবে প্রেরকের হদিশ মেলেনি। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য দেশে বেশ কিছু দিন ধরে রেলে নাশকতা মূলক চক্রের হদিশ মিলেছে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহারের একাধিক জায়গায় রেল লাইনের অপর লোহা, রড, গাছ, কাঠ ফেলে গভীর ষড়যন্ত্র করার নানা ভিডিও লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকী লাইনের মধ্যে গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে বড়সড় ছক করা হয়েছিল শিবরাজপুরে। প্রয়াগরাজ থেকে ভিওয়ানির দিকে আসা কালিন্দী এক্সপ্রেসে বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। মংপু এলাকায় রেল লাইনে ড্রাম ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: বিরূপাক্ষর পর সিজিওতে অভীক-ও, ‘থ্রেট কালচার’-এর দুই মাথাকে মুখোমুখি জেরা?

    RG Kar Case: বিরূপাক্ষর পর সিজিওতে অভীক-ও, ‘থ্রেট কালচার’-এর দুই মাথাকে মুখোমুখি জেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শনিবার সিজিওতে তলব করা হয়েছিল চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। এবার ওই মেডিক্যাল কলেজের আরেক চিকিৎসক-পড়ুয়া অভীক দে-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ দফতরে পৌঁছে যান তিনি। উল্লেখ্য আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল ছিল এই দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে। উভয়েই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ সন্দীপ ঘোষের কাছের লোক বলে পরিচিত। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই দুজন হল রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে চলতে থাকা ‘থ্রেট কালচার’-এর দুই মাথা। ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন ক্রাইম সিনে তাঁদের দুজনকেই ছবি দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ। এবার সিবিআইয়ের তলবে এই প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করছেন ডাক্তারদেরই একাংশ।

    ‘থ্রেট কালচার’-এর কর্ণধার (RG Kar Case)

    তদন্তকারী অফিসারদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, “বিরূপাক্ষ এবং অভীককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। চিকিৎসক মহলের দাবি, থ্রেট কালচারের কর্ণধার হলেন বিরূপাক্ষ এবং অভীক।” তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের দাদাগিরিতে জুনিয়র ডাক্তাররা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। মেডিক্যালে কারা পাশ করবে, কারা ফেল করবে, গবেষণার পছন্দের বিষয় কীভাবে পাওয়া যাবে, সব তাঁদের অদৃশ্য নির্দেশে এক প্রকার মাফিয়া রাজত্ব চলত বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার অভয়া খুনের (RG Kar Case) মামলায় দুই জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মনোরঞ্জন করতে হবে! অভীকের নৈশপার্টিতে চলত দেদার মদ, ভয় দেখিয়ে ডাকা হত ছাত্রীদের

    সেমিনার হলে কীভাবে গিয়েছিলেন অভীক?

    উল্লেখ্য, বিরূপাক্ষর ভয় দেখানো একটি অডিও সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। (অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। সেখানে স্পষ্ট ভাবে শোনা যায়, কীভাবে ভয় দেখানো হচ্ছিল চিকিৎসক-পড়ুয়াদের। আবার অভীক দে-কে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আরজি কর-কাণ্ডের সময় তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ওই ক্রাইম সিনের (RG Kar Case) সেমিনার হলে কীভাবে গিয়েছিলেন? কে ডেকেছিল তাঁকে? প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই তো? এইসব নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তিলোত্তমার হত্যাকাণ্ডে। সাধারণ মানুষ দোষীদের নাম জানার জন্য অত্যন্ত কৌতুহলী হয়ে রয়েছেন। কবে আরও নাম প্রকাশ্যে আসে তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: বড় নাশকতার ছক! মায়ানমার থেকে ৯০০ কুকি জঙ্গির অনুপ্রবেশ মণিপুরে, সতর্কবার্তা

    Manipur: বড় নাশকতার ছক! মায়ানমার থেকে ৯০০ কুকি জঙ্গির অনুপ্রবেশ মণিপুরে, সতর্কবার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমার থেকে ৯০০ জনের বেশি কুকি জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে মণিপুরে। এই অনুপ্রবেশকারীরা, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরে বড় রকমের একটি হামলার পরিকল্পনা করার ছক করেছে। ঠিক এমন বার্তা দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করলেন মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং। তিনি বলেন, “হিংসা কবলিত এই রাজ্যে একাধিক নাশকতা মূলক হামলার উপকরণ হিসেবে প্রচুর আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।” গোয়েন্দা রিপোর্টে বহিরাগত ভারত-বিরোধী শক্তির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখে গিয়েছে। সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস এবং পুলিশ প্রশাসনকে অত্যন্ত সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিশেষ স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন গ্রুপের বৈঠক (Manipur)

    মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং সাংবাদিকদের বলেন, “মণিপুরের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। পুলিশ প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যন্ত তৎপর। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মণিপুরকে অশান্ত করতে একটি বড় চক্রান্ত করা হয়েছে। মায়ানমার থেকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সব ধরনের মোকাবিলার জন্য বিশেষ স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন গ্রুপের বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসম রাইফেলস, সিআরপিএফ এবং পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। জঙ্গিদের নানা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদিনের বৈঠকে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    অ্যান্টি ড্রোন ডিভাইস, আইইডি উদ্ধার!

    সাংবাদিক বৈঠকে কুলদীপ সিং আরও বলেন, “গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত তিন থেকে চারদিন ধরে জঙ্গি আন্দোলন হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে জঙ্গিরা রাজ্যে প্রবেশ করেছে। এক একটি দলে জনা তিরিশেক জঙ্গি রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার উপর আঘাত করতে জঙ্গিরা বৃহত্তর পরিকল্পনা করেছে। এই খবর ১০০ শতাংশ সঠিক। তবে এই বিষয়কে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে ফারজাওয়াল (Manipur), চুরাচাঁদপুর এবং কামজং সহ মায়নমার সীমান্তে অসম রাইফেলসকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা এই এলাকায় অবৈধ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অত্যাধুনিক ১৭টি অ্যান্টি ড্রোন ডিভাইস এবং জ্যামার ব্যবহারের সন্ধান মিলেছে। একই ভাবে এই এলাকা থেকে সাতটি আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে।” উল্লেখ্য গত বছর থেকে মেইতি এবং কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে মণিপুর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: তলব সিবিআইয়ের, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষর

    RG Kar Case: তলব সিবিআইয়ের, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার তদন্তে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে সিবিআই-এর (CBI) এই তলবে চাপ আরও বাড়ল হাসপাতালের চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের। ডাক পেয়ে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান বিরূপাক্ষ। তাঁকে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার দিনের একটি ভিডিওতে সন্দেহজনকভাবে ক্রাইম সিনে তাঁকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।

    বেগুনি জামা পরনে ছিলেন বিরূপাক্ষের!

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।) সেখানে বেগুনি জামা পরনে এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাঁর গতিবিধি ছিল ভীষণ করম রহস্যজনক। ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, ক্রাইম সিনে দেখতে পাওয়া ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি হলেন বিরূপাক্ষ। এরপর থেকেই তাঁর উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনায় কি বিরুপাক্ষ জড়িত?

    বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ মিলেছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় থ্রেট সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনি বলে জানা গিয়েছে। তিনি এক ইন্টার্নকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অডিও ভাইরাল হয়েছিল। (অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম মাধ্যম।) সিজিও-তে (CBI) ঢোকার সময় প্রশ্ন করলে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যান নিজে। তবে কোনও নথি আনতে বারণ করা হয়েছিল। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বললেই এড়িয়ে যান তিনি। অপর দিকে মামলার (RG Kar Case) তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই বার বার সুপ্রিম কোর্টে বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলেছে। ফলে ঘটনায় কি বিরূপাক্ষ জড়িত? সন্দীপ ঘোষের কথায় কি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন? তথ্য প্রমাণ লোপাটে কি কোনও হাত রয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। যদিও সন্দীপকে সাসপেন্ড করলেও বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে এখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি স্বাস্থ্য দফতর। কেবলমাত্র বর্ধমান থেকে কাকদ্বীপে বদল করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    টাকা নিয়ে ভর্তির সঙ্গে জড়িত!

    বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক আরও মারাত্মক অভিযোগ (RG Kar Case) রয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনে ২৩ হাজার ৮০০ টাকা বাকি রেখে চলে গিয়েছেন। ক্যান্টিন থেকে নিয়মিত খবার, চা, সিগারেট খেতেন। কিন্তু কোনও দিন বিল দেননি। ডাক্তারি পরীক্ষায় ভর্তির নামে এক ছাত্রের কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই দফায় মোট ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তবে সেই ছাত্রকে ভর্তি করাতে পারেননি তিনি। সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেননি, মাত্র ৪৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালে জলঙ্গি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অনেক দিন পদক্ষেপ নেয়নি, শেষে আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 140: “গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি…জ্যোতিঃ দর্শন”

    Ramakrishna 140: “গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি…জ্যোতিঃ দর্শন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের যশোদার ভাব ও সমাধি

    ঠাকুর (Ramakrishna) ছোট খাটটির উপর গিয়া নিজের আসনে উপবিষ্ট হইয়াছেন। সর্বদাই ভাবে পূর্ণ। ভাবচক্ষে রাখালকে দর্শন করিতেছেন। রাখালকে দেখিতে দেখিতে বাৎসল্য রসে আপ্লুত হইলেন; অঙ্গে পুলক হইতেছে। এই চক্ষে কি যশোদা গোপালকে দেখিতেন (Kathamrita)?

    দেখিতে দেখিতে আবার ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন। ঘরের মধ্যস্থ ভক্তেরা অবাক ও নিস্তব্ধ হইয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) এই অদ্ভুত ভাবাবস্থা দর্শন করিতেছেন।

    কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া বলিতেছেন, রাখালকে দেখে উদ্দীপন কেন হয়? যত এগিয়ে যাবে ততই ঐশ্বর্যের ভাগ কম পড়ে যাবে। সাধকের প্রথম দর্শন হয় দশভুজা ঈশ্বরী মূর্তি। সে-মূর্তিতে ঐশ্বর্যের বেশি প্রকাশ। তারপর দর্শন দ্বিভুজা—তখন দশ হাত নাই—অত অস্ত্রশস্ত্র নাই। তারপর গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি। এরও পারে আছে—কেবল জ্যোতিঃ দর্শন।

    সমাধির পর ঠিক ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা—বিচার ও আসক্তি ত্যাগ 

    তাঁকে লাভ হলে, তাঁতে সমাধিস্থ হলে—জ্ঞানবিচার (Kathamrita) আর থাকে না।

    জ্ঞানবিচার আর কতক্ষণ? যতক্ষণ অনেক বলে বোধ হয়—

    যতক্ষণ জীব, জগৎ, আমি, তুমি—এ-সব বোধ থাকে। যখন ঠিক ঠিক এক জ্ঞান হয় তখন চুপ হয়ে যায়। যেমন ত্রৈলঙ্গ স্বামী।

    ব্রাহ্মণ (Ramakrishna) ভোজনের সময় দেখ নাই? প্রথমটা খুব হইচই। পেট যত ভরে আসছে ততই হইচই কমে যাচ্ছে। যখন দধি মুণ্ডি পড়ল তখন কেবল সুপ-সাপ! আর কোনও শব্দ নাই। তারপরই নিদ্রা—সমাধি। তখন হইচই আর আদৌ নাই।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে, গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah: পুজো উপলক্ষে রেলের বড় উদ্যোগ, শিয়ালদা ডিভিশন নিয়ে হল একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

    Sealdah: পুজো উপলক্ষে রেলের বড় উদ্যোগ, শিয়ালদা ডিভিশন নিয়ে হল একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরেই দুর্গাপুজো (Durga puja)। এদিকে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন শুরু হয়েছে। একই ভাবে রেলের তরফ থেকেও পুজোর ব্যস্ততাকে মাথায় রেখে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত করা হয়েছে। জেলা ও মফস্বলের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ কলকাতায় যেমন কেনাকাটা করতে আসে, একই ভাবে পুজোমণ্ডপ-প্রতিমা দেখার জন্য বহু মানুষ ভিড় জমান শহরে। এই বিষয়কে মাথায় রেখে রেল বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে। শিয়ালদা (Sealdah) ডিভিশনে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে যাত্রা নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ করতে একাধিক পদক্ষেপ করছে রেল। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে যেমন মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হবে। তেমনই, ভিড় সামলাতে খোলা হবে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার। আবার, নিরাপত্তাও জোরদার করা হবে।

    থাকবে ‘মে আই হেল্প ইউ’ (Sealdah)

    পুজোতে (Durga puja) যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেলের পক্ষ থেকে ‘মে আই হেল্প ইউ’ লেখা বুথ খোলার পরিকল্পনা করেছে পূর্ব রেল। শিয়ালদা (Sealdah), দমদম, কলকাতা স্টেশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। সেখানে হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড-সহ একাধিক প্রয়োজনীয় নম্বর দেওয়া হবে। বারাসত, খড়দা, বালিগঞ্জ, বারাকপুর, বনগাঁ সহ একাধিক জাগয়ায় বেশি পরিমাণে মোতায়েন করা হবে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও রেললাইনের ধারের প্যান্ডেলে আরপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি, গ্যালোপিং ট্রেনগুলি সব স্টেশনে থামবে বলে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে

    অতিরিক্ত ৫টি নতুন টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। শিয়ালদা মেইন লাইনে ৪টি এবং দক্ষিণ  শাখায় ১টি করে টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। কাউন্টারগুলিতে বুকিং ক্লার্কও মোতায়েন করা হবে। শিয়ালদা (Sealdah), বিধাননগর, দমদম, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, বারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগরের মতো স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এখানে ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস, সেন্ট জনস অ্যাম্বুল্যান্স এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। স্টেশন গুলিতে থাকবে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘ওষুধের মান খুব খারাপ’’, সন্দীপকে বলেন নির্যাতিতা, উল্টে পান পাশ না করানোর হুমকি!

    RG Kar: ‘‘ওষুধের মান খুব খারাপ’’, সন্দীপকে বলেন নির্যাতিতা, উল্টে পান পাশ না করানোর হুমকি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুলে বিক্রি করা থেকে মর্গে পর্নোগ্রাফি! সন্দীপ (Sandeep Ghosh) জমানায় আরজি কর হয়ে উঠেছিল এক অন্য জগৎ। এই সূত্র ধরেই এবার সামনে এসেছে ওষুধ-দুর্নীতি। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতা হাসপাতালের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন! জানা গিয়েছে, তাঁর (নির্যাতিতার) সহকর্মীরা বার বার সাবধান করার পরেও তিনি কোনওভাবে মুখ বন্ধ করেননি। রোগীদের এমন নিম্ন মানের পরিষেবা কেন দেওয়া হচ্ছে? কেন ওষুধের মান এত খারাপ? এমন বিষয়গুলিতে প্রকাশ্যেই বারবার সরব হতেন তিনি। কোনও কোনও মহলের প্রশ্ন, ‘‘এর ফলেই কি টার্গেট হতে হয় নির্যাতিতাকে?’’ শুধু তাই নয়, আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,  দুই সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘরেও গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। সেখানে গিয়ে বলে এসেছিলেন, ওষুধের মান এবং কার্যকারিতা তলানিতে। এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন। নির্যাতিতার সহকর্মীদের অভিযোগ, সন্দীপ পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘এত বেশি কথা বললে  (নির্যাতিতার) আর পাশ করা হয়ে উঠবে না।’’

    ওষুধের মান খারাপ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ত সন্দীপের টেবিলে (RG Kar) 

    আনন্দবাজার প্রত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতিতাকে এমন হুমকির সুরে যখন কথাগুলি বলছিলেন সন্দীপ (Sandeep Ghosh), এই কথোপকথনের সময়ে হাসপাতালের আরও দুই কর্তা সেখানে হাজির ছিলেন। তাঁদেরই মধ্যে একজন আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন, ‘‘গত কয়েক মাসে ওষুধের মান নিয়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ডাক্তার-নার্সরা অহরহ অভিযোগ তুলেছেন। ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু, ওষুধের কার্যকারিতা না-থাকায় রোগীর অবস্থা উত্তরোত্তর খারাপ হওয়া— এমন বেশ কিছু অভিযোগ অধ্যক্ষের টেবিলে জমা পড়েছিল। কিন্তু কোনওটি নিয়েই নাড়াচাড়া হয়েছে বলে শোনা যায়নি।’’

    ওষুধের মান নিয়ে মুখ খুললে প্রাণে মারার হুমকি 

    হাসপাতালের অন্দরের (RG Kar) খবর, জেনারেল সার্জারি এবং প্লাস্টিক সার্জারির বেশ কয়েকজন চিকিৎসক দিন কয়েক আগেই রোগী মৃত্যু নিয়ে সরব হন। নানা গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বিষয়টি বেশি দূর এগোয়নি। প্রতিবাদী এক শল্যচিকিৎসকের কথায়, ‘‘প্রাণে বাঁচতে হবে তো! ওষুধ নিয়ে বেশি মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে, এমন হুমকি দিয়ে ফোন পর্যন্ত এসেছে।’’ ওষুধ নিয়ে বেশি মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে, এর সঙ্গে নির্যাতিতার মৃত্য়ুর কোনও যোগসূত্র নেই তো? এমন প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।

    হাসপাতালের এক শল্যচিকিৎসক বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের পরে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, বহু ক্ষেত্রেই তা কাজ করছে না। সর্বোচ্চ মাত্রাও বিফলে যাচ্ছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এমনকি, ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার যে তরল, অনেক সময়েই দেখেছি সেটা স্রেফ রঙিন জল, তার ব্যবহারে ওই জায়গাটি জীবাণুমুক্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি করে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পরেও কিছু রোগীকে হারিয়েছি আমরা। ডাক্তার হিসেবে নিজেদের প্রতি ধিক্কার জন্মাচ্ছে।’’

    অস্তিত্ব নেই ফার্মাকো-ভিজিল্যান্স কমিটির

    আনন্দবাজার প্রত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্জারি বিভাগ ছাড়াও একাধিক অভিযোগ এসেছে শিশু রোগ বিভাগ থেকেও। ওষুধ কাজ করছে না কোনওভাবে, সুস্থ হয়ে উঠতে থাকা শিশুরাও মারা যাচ্ছে — এমন অভিযোগ নিয়ে বারবার সরব হন ডাক্তাররা। জানানো হয় স্বাস্থ্য ভবনেও। কিন্তু এতে কোনও কাজ হয়নি। অনেকেই বলছেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশেই যে খারাপ মানের ওষুধ দেওয়া হত না, তা কে বলতে পারে?’’ অ্যান্টিবায়োটিক, লিভারের ওষুধ, স্নায়ুর ওষুধ, প্যারাসিটামল ইত্যাদি ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে ফার্মাকো-ভিজিল্যান্স কমিটি থাকার কথা। এই কমিটির কাজ ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটছে কি না, সেই বিষয়ে নজরদারি করা। কোনও মৃত্যুর পিছনে ওষুধের বিরূপ প্রভাব আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা। কিন্তু অভিযোগের পাহাড় জমা হওয়ার পরেও, কোনও হাসপাতালেই এই কমিটির অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে বলে শোনা যায়নি।

    খেসারত দিচ্ছেন গরিব মানুষরা

    সবচেয়ে কম দামে যারা ওষুধ (RG Kar) দিতে পারবে, তাদেরই (সংস্থা) বেছে নেওয়া হয় টেন্ডারের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, ‘‘কোথাও বলা হয়নি ওষুধের মানের সঙ্গে আপস করে কম খরচে কিনতে হবে। মান যদি সন্তুষ্ট করতে না পারে, তা হলে অন্য সংস্থাকে (তারা সর্বনিম্ন দর না দিলেও) বেছে নেওয়া যায়। শর্ত একটাই, কেন সর্বনিম্ন দরের সংস্থাকে বাছা হল না, অন্যটিকে বাছা হল, তা কমিটিকে বুঝিয়ে বলতে হবে। বাস্তবে এই পদ্ধতি মানা হয়ই না বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রাক্তন কর্তার। তাঁর মতে, ‘‘ভুতুড়ে সংস্থা গজিয়ে ওঠে অনেক সময়েই। এমন সব সংস্থা, যাদের নামই কখনও শোনা যায়নি। এমনও দেখা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দফতরে ওষুধ সরবরাহ করবে বলেই একাধিক সংস্থার জন্ম হয়েছে। এমনও ঘটেছে, টেন্ডারে ন্যূনতম তিনটি সংস্থাকে অংশ নিতে হবে এমন নিয়ম থাকায় দু’টি ‘ভুতুড়ে’ সংস্থা অংশ নিয়েছে, যাতে তৃতীয় সংস্থাটি অনায়াসে বরাত পেয়ে যায়। এগুলো নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি।’’ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, সিন্ডিকেট, সন্দীপ ঘোষদের দাদাগিরির খেসারত দিতে হচ্ছে গরিব মানুষদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে, ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে, ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার থেকে কাজে ফিরছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, জরুরি পরিষেবায় ফিরছেন তাঁরা। আউটডোর-কোল্ড ওটি’র কাজে নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) কর্মবিরতি উঠলেও, কর্মস্থলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত সহ থ্রেট কালচার শেষ না হলে, আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা (RG Kar)। শুক্রবারই রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের কাছে পৌঁছে যান আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ারা। পাঁশকুড়া যায় ১০ জন চিকিৎসকের টিম। বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের বলতে শোনা যায়, ‘‘২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবার যদি কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, বাংলার কোনও হাসপাতালে তাহলে আবার কর্মবিরতিতে ফিরে যাব আমরা।’’

    জরুরি পরিষেবাতে যোগ দিচ্ছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা, আউটডোরে নয় (RG Kar)

    জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) স্পষ্ট করে দেন, ‘‘আউটডোর এখন জয়েন করছি না। জরুরি পরিষেবাতে যোগ দিচ্ছি। আমরা যোগদান না করলেও পরিষেবা চলছে।’’ আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেন তাঁরা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমের কিছু পোস্ট দেখা গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা বন্যা দুর্গতদের একমাসের বেতন দান করেছেন। এমন পোস্ট পুরোপুরিই মিথ্যা বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা চালু হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক পড়ুয়া লহরী সরকার বলেন, ‘‘আমরা জরুরি পরিষেবা চালু করছি। ভয় না-পেয়ে আপনারা আসুন। আমরা পরিষেবা দেব। তবে বহির্বিভাগের ক্ষেত্রে আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকেরা রয়েছেন।’’ উল্লেখ্য, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গত ১৪ অগাস্ট রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এর ফলে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের বর্তমানে ‘ট্রমা কেয়ার’ বিভাগে কাজ করতে হবে। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক লহরী বলেন, ‘‘সমস্যা অবশ্যই হবে। সেই কারণে রাজ্য সরকারের কাছে পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে।’’

    সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে দাবি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে!

    সাধারণ মানুষের স্বার্থেই জরুরি পরিষেবা চালু করছেন তাঁরা, এমনটা সাফ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাতেও রয়েছে শর্ত। জুনিয়র চিকিৎসক লহরী সরকার বলেন, ‘‘আমরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। স্বাস্থ্য ভবন (RG Kar) সাফাই অভিযানের ডাক দিয়েছিলাম। রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কিছু দাবি রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে সেই দাবিগুলি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর তা না-হলে ফের কর্মবিরতি চালু হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Governor: ‘‘ডিভিসি নয়, কংসাবতীর জলেই বন্যা’’, মমতার তত্ত্ব খারিজ করে দাবি রাজ্যপালের

    Bengal Governor: ‘‘ডিভিসি নয়, কংসাবতীর জলেই বন্যা’’, মমতার তত্ত্ব খারিজ করে দাবি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ডিভিসি তত্ত্বের বিরোধিতা করলেন রাজ্যপাল (Bengal Governor)। তাঁর দাবি, ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) নয়, রাজ্যের বন্যার জন্য দায়ী রাজ্য নিজেই। এর ব্যাখ্যাও করেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন কংসাবতী বাঁধের জল ছাড়ার কারণেই এই বন্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন বোস (Bengal Governor)। 

    ডিভিসির ওপর দায় না চাপিয়ে বন্যা মোকাবিলা করুন, মন্তব্য রাজ্যপালের (Bengal Governor)

    আনন্দ বোসের মতে, কোনও বাঁধই বন্যা পুরোপুরি আটকাতে পারে না, যদি জমা জলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাজ্যপাল (Bengal Governor) চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাফ জানিয়েছেন যে, কংসাবতী, শিলাবতী ও দ্বারকেশ্বর নদী এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং কংসাবতী নদীর ওপর মুকুটমণিপুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে এইসব জায়গা প্লাবিত হয়েছে। রাজ্যপালের মতে, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলি কোনওভাবেই ডিভিসি-এর আওতাভুক্ত নয়। ডিভিসির ওপর দায় না চাপিয়ে বন্যা মোকাবিলা করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকে নস্যাৎ করেছে। 

    ডিভিসি (DVC) ইস্যুতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করার সময় ডিভিসির (DVC) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতার মন্তব্যে পাল্টা তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘উনি কি জানেন যে পশ্চিম বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের ৭ থেকে ৮টি জেলায় আলো জ্বলে, কারখানা চলে, ট্রেন যায় ডিভিসির বিদ্যুতে। একটা পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে পারেননি, এক ইউনিট বিদ্যুৎ নতুন করে জেনারেট করতে পারেননি, ডিভিসির ওপর নির্ভর করেন, আবার ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন বলেছেন, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আপনার যদি সাহস থাকে তাহলে ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেখান। রাজ্যের ৮টা জেলা অন্ধকারে ডুববে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Junior Doctors: রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের পাশে জুনিয়র ডাক্তাররা, বিলি করা হল ত্রাণ

    Junior Doctors: রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের পাশে জুনিয়র ডাক্তাররা, বিলি করা হল ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার থেকে আংশিক কর্মবিরতি উঠছে জুনিয়র ডাক্তারদের। এরই মধ্যে এদিন সকাল থেকে ত্রাণ নিয়ে বন্যা কবলিত বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। জুনিয়র ডাক্তারদের এমন কর্মসূচিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন রাজ্যের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাণের পাশাপাশি ওষুধ ও চিকিৎসা পরিষেবাও এদিন পৌঁছে দেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এমন কর্মসূচির কথা আগেই ঘোষণা করেছিল জুনিয়র ডাক্তাররা।

    বন্যায় ভাসছে রাজ্যের চার জেলার বিস্তীর্ণ অংশ

    সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় ভাসছে রাজ্যের একাধিক জেলা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম রয়েছে জলের তলায়। এমন পরিস্থিতি যে, অসুস্থ হলে হাসপাতালে পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন। এই আবহে আজ থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পথে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    নিত্য প্রয়োজনীয় (Junior Doctors) সামগ্রীর বিতরণের সঙ্গে খোলা হয় অভয়া ক্লিনিকও

    শুক্রবার সকালেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি টিম ম্যাটাডোরে করে পাঁশকুড়ার পথে রওনা দেন। চাল, ডাল, আলু, মুসুর ডাল, বিস্কুট, সয়াবিন, চিঁড়ে, চিনি, ভোজ্য তেল ছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছে দেন পর্যাপ্ত ওষুধ। এর পাশাপাশি অভয়া ক্লিনিকের (Abhaya Clinic) মাধ্যমে জরুরি ওষুধও দেওয়া হয় বিনামূল্যে ৷

    আন্দোলনস্থলের সামগ্রীও তাঁরা (Junior Doctors) পৌঁছে দেন  বন্যা কবলিত এলাকায়

    প্রসঙ্গত, এগারো দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছিল জনগণ। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ান অনেকজনই। তাঁদের মধ্যে কেউ ত্রিপল, কেউ চৌকি, জামা-কাপড়, পানীয় জল, শুকনো খাবার-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছেন। সেই সমস্ত ত্রিপল, চৌকি ও বেঁচে যাওয়া পানীয় জল, শুকনো খাবারও রাজ্যের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share