Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 252: “কি আশ্চর্য, দর্শন করিতে করিতে একেবারে সমাধিস্থ, প্রস্তরমূর্তির ন্যায় নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান, নয়ন পলকশূন্য!”

    Ramakrishna 252: “কি আশ্চর্য, দর্শন করিতে করিতে একেবারে সমাধিস্থ, প্রস্তরমূর্তির ন্যায় নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান, নয়ন পলকশূন্য!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    যদু মল্লিকের বাড়ি—সিংহবাহিনী সম্মুখে—‘সমাধিমন্দিরে’

    অধরের বাটিতে অধর ঠাকুরকে ফলমূল মিষ্টান্নাদি দিয়া সেবা করিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন, আজ যদু মল্লিকের বাড়ি যাইতে হইবে।

    ঠাকুর যদু মল্লিকের বাটী আসিয়াছেন। আজ আষাঢ় কৃষ্ণ প্রতিপদ, রাত্রি জ্যোৎস্নাময়ী। যে-ঘরে ৺সিংহবাহিনীর নিত্যসেবা হইতেছে ঠাকুর সেই ঘরে ভক্তসঙ্গে উপস্থিত হইলেন। মা সচন্দন পুষ্প ও পুষ্প-মালা দ্বারা অর্চিত হইয়া অপূর্ব শ্রী ধারণ করিয়াছেন। সম্মুখে পুরোহিত উপবিষ্ট। প্রতিমার সম্মুখে ঘরে আলো জ্বলিতেছে। সাঙ্গোপাঙ্গের মধ্যে একজনকে ঠাকুর টাকা দিয়া প্রণাম করিতে বলিলেন; কেননা ঠাকুরের কাছে আসিলে কিছু প্রণামী (Kathamrita) দিতে হয়।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সিংহবাহিনীর সম্মুখে হাতজোড় করিয়া দাঁড়াইয়া আছেন। পশ্চাতে ভক্তগণ হাতজোড় করিয়া দাঁড়াইয়া আছেন।

    ঠাকুর অনেকক্ষণ ধরিয়া দর্শন করিতেছেন।

    কি আশ্চর্য, দর্শন করিতে করিতে একেবারে সমাধিস্থ। প্রস্তরমূর্তির ন্যায় নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান। নয়ন পলকশূন্য!

    অনেকক্ষণ পরে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিলেন। সমাধি ভঙ্গ হইল। যেন নেশায় মাতোয়ারা হইয়া বলিতেছেন(Kathamrita), মা, আসি গো!

    কিন্তু চলিতে পারিতেছেন না—সেই একভাবে দাঁড়াইয়া আছেন।

    তখন রামলালকে (Ramakrishna) বলিতেছেন—“তুমি ওইটি গাও — তবে আমি ভাল হব।”

    রামলাল গাহিতেছেন, ভুবন ভুলাইলি মা হরমোহিনী।

    গান সমাপ্ত হইল।

    এইবার ঠাকুর বৈঠকখানার দিকে আসিতেছেন—ভক্তসঙ্গে। আসিবার সময় মাঝে একবার বলিতেছেন, মা, আমার হৃদয়ে থাক মা।

    শ্রীযুক্ত যদু মল্লিক স্বজনসঙ্গে বৈঠকখানায় বসিয়া। ঠাকুর ভাবেই আছেন, আসিয়া গাহিতেছেন:

    গো আনন্দময়ী হয়ে আমায় নিরানন্দ (Kathamrita) করো না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহাপুণ্যস্নানের আয়োজন করা হয়েছে প্রয়াগরাজের পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025)। এই মেলা এবার ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় স্নান করলে মহাপুণ্য এবং মোক্ষলাভ হয়। পুরাণে বর্ণিত হয়েছে যে, সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত কুম্ভ উঠেছিল, সেই কুম্ভ থেকে অমৃতের ফোঁটা এই গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পড়েছিল। তাই ত্রিবেণীর গঙ্গায় স্নান করলে মানব জীবনের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। এবার এই স্নানকে ‘শাহী স্নান’ বলা হতো, এবার থেকে এই শাহী স্নানের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan)। আসুন যেনে নিই কেন এমন নামকরণ এবং সেই নামের যথার্থ তাৎপর্যই বা কী?

    কোন কোন দিনে অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025)

    সাধারণত প্রতিবছর প্রয়াগরাজ, নাসিক, হরিদ্বার এবং উজ্জ্বয়িনীতে এই কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। তবে মেলার বিশেষ বিশেষ যোগ বসে ৪ বছর, ৬ বছর, ১২ বছর এবং ১৪৪ বছর অন্তরে। একেই কুম্ভ, অর্ধকুম্ভ, পূর্ণকুম্ভ এবং মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নামে পরিচিত। এইবার গঙ্গার ত্রিবেণী সঙ্গমে পূর্ণমহাকুম্ভের আয়োজন হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রের গণনা পদ্ধতিতে সন্তসমাজ এবং আখাড়া পরিষদ মিলে দিনক্ষণ ঠিক করে থাকেন। এই বছর পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা এবং শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে। প্রথম অমৃত স্নান পৌষ পূর্ণিমা ১৩ জানুয়ারি, দ্বিতীয় অমৃত স্নান (Amrit Snan) মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি, তৃতীয় অমৃত স্নান মৌনী অমাবস্যায় ২৯ জানুয়ারি, চতুর্থ অমৃত স্নান বসন্তপঞ্চমী ২ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম অমৃত স্নান মাঘী পূর্ণিমা ১২ জানুয়ারি এবং ষষ্ঠ অমৃত স্নান মহাশিবরাত্রি ২৬ ফেব্রুয়ারি। অমৃতস্নান বিশেষ তিথিতেই সম্পন্ন হয়। এই সময়ে সূর্য ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে যাত্রা করবে। জানা গিয়েছে, প্রায়গরাজের মেলায় প্রথম তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভক্ত পুণ্যস্নান করেছেন।

    শাহী স্নান কেন অমৃত স্নান?

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় পরম্পরা এবং প্রাচীন পৌরাণিককাল থেকে মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) পুণ্যস্নান হয়ে আসছে। তাই এই ইতিহাসবোধ এবং সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে উত্তরপ্রদেশ সরকার ‘শাহী স্নান’-কে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan) বলে নতুন নামাঙ্কিত করেছে। এই ভাবনার পিছনে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য এই ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের শুদ্ধতা এবং পবিত্রতাকে পুনরায় উজ্জীবিত করার ভাবনাকে প্রস্ফুটিত করা হয়েছে। মেলার স্নান যেহেতু পাপ থেকে পুণ্যের পথে যাত্রা, তাই মেলার গৌরবকে আরও সমৃদ্ধ করতে ‘অমৃত’ নামকরণ করা হয়েছে। এই অমৃত স্নানেই রয়েছে মহামোক্ষ বা পরিত্রাণ তথা মুক্তি।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    শাহী শব্দ মুঘল মুসলিম সংস্কৃতি বাহক

    মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) ‘শাহী স্নান’ শব্দের অর্থ হল রাজকীয় স্নান। এই শব্দের ব্যবহার উনিশ শতকের গোড়ায় প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। বিশেষ করে পেশোয়ার সাম্রাজ্যের সময় আরবি বা উর্দু শব্দকে বেশি করে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের গবেষক ও পণ্ডিতরা মনে করেন এই শব্দের মধ্যে মুঘল ও মুসলমানদের একটা প্রভাব আছে। শব্দে ভারতীয় সংস্কৃতিকে বহন করে না। ‘শাহী’ উর্দু শব্দ যার অর্থ ‘রাজকীয়’ বা ‘মহিমাময়’। এতদিন মেলায় স্নানের গুরুত্বকে বোঝাতে ব্যবহার হতো এই শব্দ। এবার এই নামকে পরিবর্তন করে ‘অমৃত’ করা হয়েছে। ‘অমৃত’  (Amrit Snan) মানেই যা মৃত নয়, অজয়, অমর, মহামোক্ষ। ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে আধ্যাত্মিক, ঐশ্বরিক এবং মহাজাগতিক ব্যাপ্তচরাচর ঐতিহ্য গত জ্ঞানপরম্পরার ভাবনা রয়েছে।

    সন্ত সমাজের মত

    জুনা আখড়ার পীঠধীশ্বর আচার্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ, অমৃতস্নানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে প্রবেশ করলে অমৃতস্নান ঘটে এবং সূর্য ও চাঁদ মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এই বিরল মহাজাগতিক গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে ‘অমৃত যোগ’ নামে পরিচিত। প্রতি ১২ বছরে একবার এমন মাহেন্দ্রক্ষণ ঘটে। তাই অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025) গুরুত্বপূর্ণ।”

    আবার অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের (এবিএপি) সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী বলেছেন “কুম্ভ মেলার সঙ্গে যুক্ত ‘শাহী স্নান’ এবং ‘পেশওয়াই’-এর মতো সাধারণ শব্দগুলি এখন ‘অমৃত স্নান’ এবং ‘ছাবনি প্রবেশ-এ পরিবর্তন করা হয়েছে।’’ হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত পুরী বলেন, “আমাদের ঈশ্বর এবং সংস্কৃতি সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যুক্ত নামগুলিকে (Amrit Snan) বেশি করে ব্যবহার করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নান করবেন ১০ কোটি পুণ্যার্থী, প্রস্তুতি সারার নির্দেশ যোগীর

    Mahakumbh Mela 2025: মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নান করবেন ১০ কোটি পুণ্যার্থী, প্রস্তুতি সারার নির্দেশ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh Mela 2025) মৌনী অমাব্যসায় ১০ কোটি ভক্তদের মহাপুণ্যস্নানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি সারতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মেলার আনুষ্ঠানিক স্নান শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা থেকে। তাই চলমান উৎসবকে পর্যালোচনা করে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী পুণ্যস্নানের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। আগামী ২৯ জানুয়ারি হল এই মৌনী অমাবস্যার (Mouni Amavasya) স্নান। প্রস্তুতি এখন থেকেই চরমে।

    এই স্নানে সকল পাপ মুক্ত হয়ে যায় (Mahakumbh Mela 2025)

    বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী গত তিন দিনের মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh Mela 2025) বিশেষ পর্যালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন অমৃত স্নান করতে আনুমানিক ৮ থেকে ১০ কোটি ভক্তের সমাগম হবে। এই মৌনী অমাবস্যায় স্নান করলে ভক্তের সকল মনোবাসনা পূর্ণ হয় এবং এই স্নানের ফলে অমৃতলোকে যাত্রার পথ সুগম হয় বলে মনে করা হয়। এই তিথিতে গোটা ৪৬ দিনের মহাকুম্ভ মেলায় সব থেকে বেশি পুণ্যার্থীদের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এত বিরাট ভিড় এবং স্নানযাত্রাকে সুরক্ষিত করতে প্রশাসন আপদকালীন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। এই মৌনী অমাবস্যার স্নান একটি পুণ্যস্নান। এদিন নাগা সাধুরা একটি শোভাযাত্রার মাধ্যমে স্নান করে থাকেন। এই স্নানে সকল পাপ মুক্ত হয়ে যায়।

    ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত এবং জল সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৌনী অমাবস্যার (Mouni Amavasya) স্নানকে আরও সংহত, সুশৃঙ্খল, সুগম এবং সহজ করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য পরিষেবা এবং ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে সবরকম সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, মেলা প্রাঙ্গণে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং জল সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়। নদীর ঘাটগুলিতে যেন সবরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ব্যারিকেডিংগুলিকে যেন নিশ্চিত করা হয়। একই ভাবে রাজ্যের ৭৫ জেলা থেকে মেলার জন্য সরাসরি বাস পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা যেন আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে সচল রাখা হয়, এই কথাও জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আবার ভাবে মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) অন্তঃসত্ত্বা, বৃদ্ধ এবং দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের দ্রুত পরিষেবা দিতে পর্যাপ্ত যানবাহন চালানোর কথাও বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    ISRO: বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর (ISRO) মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। মহাকাশে দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে সংযুক্ত (ডকিং) করে ইতিহাস রচনা করল দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে এই সাফল্য অর্জন করল ভারত। চতুর্থবারের প্রয়াসে এমন সাফল্য পেল ভারত। বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, সকাল ১০টা নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের এমন সাফল্যের ঘোষণা করে ইসরো। এরপরেই এক্স মাধ্যমে ইসরোকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখল ইসরো (ISRO)?

    সমাজমাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে সংযুক্ত করার কাজ সফল। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ১৫ থেকে তিন মিটার দূরত্বে এনে শুরু হয় প্রক্রিয়া। নির্ভুল পদ্ধতিতে সংযুক্ত করার কাজ সফল হয়। সবকিছু মসৃণভাবেই মিটেছে। সবকিছু স্থিতিশীল।’’

    শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইসরোর এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এবং তিনি এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেছেন এবিষয়ে। নিজের এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘ইসরোর সমস্ত বিজ্ঞানীদের জানাই অভিনন্দন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সাফল্য। দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলস্টোন।’’

    শুভেচ্ছা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইসরোর এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-ও। নিজের এক্স মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, ‘‘ডকিং সম্পূর্ণ হল। ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণার অনেক দিক খুলে গেল।’’

    কেন এই ডকিং পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ?

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর কৃত্রিম উপগ্রহ সংযুক্তিকরণ অভিযানের সূচনা ঘটে। এই অভিযানে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠায় ইসরো (ISRO)। একটি হল, ‘SDX01 (Chaser)’ এবং অপরটি হল ‘SDX02 (Target)’. ইসরো সূত্রে তখনই জানা যায়, প্রতিটি কৃত্রিম উপগ্রহের ওজন ২২০ কেজি করে। পিএসএলভি-সি৬০ রকেটে চাপিয়ে সেগুলিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রসঙ্গত, এই অভিযানের মাধ্যমে অনেক কিছুরই দরজা খুলে গেল মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরোর পরবর্তী চন্দ্রযান অভিযান বা গগনযান অভিযান অথবা ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণের সময় এই পদ্ধতি কাজে আসবে। এই ডকিং প্রক্রিয়া ছিল তারই ট্রায়াল। চন্দ্রযান ৪ অভিযানে চাঁদের মাটি পৃথিবীতে নিয়ে আসা, চাঁদের মাটিতে মানুষ নামানো, মহাকাশচারীদের জন্য রসদ সরবরাহের ক্ষেত্রে এই অভিযান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দেশীয় প্রযুক্তিকেই কাজে লাগানো হয়

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দুটি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে সংযুক্তিকরণ করার কাজ মোটেও সহজ নয়। জানা গিয়েছে, এই অভিযানকে সফল করতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় ডকিং সিস্টেমকেই ব্যবহার করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। গত ১২ ডিসেম্বর ৩ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কাছাকাছি হয় দুই উপগ্রহ, এরপরে পিছু হটে তারা। খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও, দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত ৭ এবং ৯ জানুয়ারি ইসরোর তরফ থেকে দু’বার ডকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সম্ভব হয়নি ডকিং। আজ ১৬ জানুয়ারি সেই কাজেই মিলল সাফল্য।

    মহাকাশ গবেষণায় প্রথম সারিতেই ভারত

    মহাকাশ বিজয়ের লক্ষ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় হয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতও মহাকাশ গবেষণায় (ISRO) একেবারে প্রথম সারিতেই চলে এসেছে। জোর কদমে চলছে মহাকাশ গবেষণা। সৃষ্টিতত্ত্বের বিশ্লেষণ, মহাজাগতিক সম্পদকে পৃথিবীর কাজে লাগানোর প্রয়াস চলছেই। বিপদে পড়লে দুই মহাকাশযান যাতে সংযুক্ত হতে পারে, প্রয়োজনীয় রসদ যাতে আদান প্রদান করতে পারে, সেক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল এই ডকিং বা সংযুক্ত প্রক্রিয়া।

    প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা এন সুরেন্দ্রণ কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে?

    ডকিং প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন ডিরেক্টর এন সুরেন্দ্রণ। মহাকাশে দুই উপগ্রহের সংযুক্তিকরণ সফল হতে, তাঁর বিবৃতিও সামনে আসে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, আজকের এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে মহাকাশে স্পেস স্টেশন গড়তে এবং চন্দ্রযান ৪ মিশনের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে চলেছে এই ডকিং পদ্ধতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saif Ali Khan: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    Saif Ali Khan: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের বাড়িতেই ধারালো ছুরি দিয়ে কোপানো হল বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে (Saif Ali Khan)। জখম অভিনেতাকে হাসপাতালে (Lilavati Hospital) ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বুধবার রাত ২টো নাগাদ সইফের বাড়িতে আক্রমণ চালায় এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই দুষ্কৃতী হানা দিয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তারপরে ওই দুষ্কৃতী অভিনেতা সইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। এরপরেই জখম অভিনেতাকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।

    কীভাবে হামলা

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় যে আবাসনে অভিনেতা (Saif Ali Khan) থাকেন, সেটির নাম ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’। এই আবাসনেই থাকেন সইফের স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর। সঙ্গে থাকেন তাঁর সন্তান, আট বছরের তৈমুর এবং চার বছরের জাহাঙ্গির। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী যখন অভিনেতার বাড়িতে হানা দেয়, সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন অভিনেতা এব‌ং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। জানা গিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতি বাড়িতে ঢোকে। এরপর আলমারি খুলে চুরি করতে থাকে, এমন সময় শব্দ হয়। তাতেই জেগে যান পরিচারকরা। এরপর চিৎকার করলে দুষ্কৃতি পালানোর চেষ্টা করে। তখনই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সইফ। দুষ্কৃতীর সঙ্গে একেবারে মুখোমুখি হয়ে যান তিনি। তখনই ভয় পেয়ে দুষ্কৃতী সইফের ওপরে হামলা করে। তাঁকে ছুরি মেরে পালায়।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    জানা গিয়েছে, বান্দ্রা থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সইফ (Saif Ali Khan) আলি খান লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এটা স্পষ্ট নয় যে, তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, না কি ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে তিনি আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।”

    ৬ জায়গায় আঘাত পেয়েছেন অভিনেতা

    লীলাবতী হাসপাতালের ডাক্তার নীরজ উত্তমানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ সইফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানিয়েছেন নীরজ। শিরদাঁড়াতেও অভিনেতা আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

     ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ইডি হানা (ED Raid)। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি কলকাতার বেহালাতেও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, শিবপুরের (Howrah) এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্তের কারণে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দীপক জৈন নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।

    ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি

    এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি (ED Raid)। তখন ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় ২টি গাড়ি। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক প্রতারণার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবারের ইডি হানা।

    বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালানো হত

    স্টিল কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার (ED Raid) অভিযোগ রয়েছে। এই কোম্পানি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালাত বলে অভিযোগ। সেই মামলার তদন্তেই আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিযানে নামে ইডি। হাওড়ার (ED Raid) পাশাপাশি বেহালার একটি আবাসনে পৌঁছে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে তল্লাশি।

    ২০২২ সাল থেকে তদন্তে ইডি

    এই মামলায় আদালতে ইডি আগেই অভিযোগ করেছিল, ১০ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক আমানত তছরুপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় সুরেখাকে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ইডির দাবি ছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে শতাধিক ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ২০২২ সালে সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছে।” আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার দিল্লিতে (Indian State) এআইসিসির সদর দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাহুল। সেখানেই তিনি ‘দেশদ্রোহিতা’র কথা বলেন।

    কী বললেন রাহুল? (Rahul Gandhi)

    রাহুল বলেন, “ভাববেন না আমরা একটি ন্যায্য লড়াই করছি। আপনি যদি মনে করেন আমরা বিজেপি এবং আরএসএস নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে জেনে রাখুন তারা আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করেছে। এখন আমরা শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি।”

    নির্বাচন কমিশনকে নিশানা

    তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি নতুন ভোটারের হঠাৎ উপস্থিতি সমস্যাজনক। বিধানসভা নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের নাম এবং ঠিকানা-সহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। অথচ নির্বাচন কমিশন এই তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছ হওয়া।”  তিনি (Rahul Gandhi) বলেন, “নির্বাচন কমিশন কেন ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে রাজি হবে না? আমাদের তালিকা না দিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য সাধন করছে, এবং কেন তারা এটা গোপন রাখছে? স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কেন এটা ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করা তাদের পবিত্র দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ইন্দোরের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন। ভাগবতকে (Indian State) নিশানা করতে গিয়েই ভারত বিরোধিতার কথা বলেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mahakumbh Mela 2025: কুম্ভমেলায় ৫০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ১৩০০০ ট্রেনের মহা আয়োজন ভারতীয় রেলের

    Mahakumbh Mela 2025: কুম্ভমেলায় ৫০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ১৩০০০ ট্রেনের মহা আয়োজন ভারতীয় রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) ভারতীয় রেল যেন কল্পতরু। উত্তর প্রদেশ সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল মেলায় ৪০-৪৫ কোটি মানুষের সমাগম হবে। তাই ভারতীয় রেল তীর্থযাত্রীদের পরিষেবায় ৫০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩০০০ ট্রেন এবং ৫৫০টি টিকিট কাউন্টার সহ আরও একাধিক ব্যবস্থা করেছে রেল। ত্রিবেণী সঙ্গমের স্নানের আয়োজনকে আরও নিরাপদ এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। ১৪ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমার দিন থেকে মেলার পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। দেশ এবং বিদেশের প্রচুর সাধু-সন্ত, সন্ন্যাসী, মুনিঋষি, যোগী, তান্ত্রিক এবং সাধারণ ভক্ত প্রতিদিন গঙ্গায় ডুব দিয়ে মোক্ষলাভের বাসনা চরিতার্থ করতে সমবেত হচ্ছেন।

    ১৮৬৯টি ট্রেন স্বল্প-দূরত্বের ট্রেন চলছে (Mahakumbh Mela 2025)

    পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহামিলন মেলার (Mahakumbh Mela 2025) যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। জানা গিয়েছে, আগের কুম্ভমেলা থেকে এবারের মহাকুম্ভে প্রায় ৪-৫ গুণ বেশি ভক্ত সমাগম হবে। তাই জাতীয় পরিবহণ ব্যবস্থা হিসেবে মেলার জন্য ১৩,০০০টি ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০,০০০টি ট্রেন নিয়মিত চলবে এবং ৩১৩৪টি ট্রেন বিশেষ ট্রেন হিসবে চালানো হবে। ভারতীয় রেল ১৮৬৯টি ট্রেন স্বল্প-দূরত্বে চালাবে এবং ৫৫৯ রিং ট্রেন চালানো হবে। এই কুম্ভে তীর্থযাত্রীদের যাতে যাওয়া-আসায় সমস্যা না হয় তাই মালবাহী ট্রেনগুলিকে ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর হয়ে ঘুরপথে চালানোর কথা জানানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভব্য মহাকুম্ভকে দিব্য মহাকুম্ভ করতে রেল যে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না, এসব ব্যবস্থাই তার বড় প্রমাণ। 

    ৩৭০০ কোটি টাকার দুটি বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে রেল

    ভারতীয় রেল মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) পরিষেবা দেওয়ার কাজে ৩৭০০ কোটি টাকা দুটি বড় প্রকল্পে খরচ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে বারাণসী থেকে প্রয়াগরাজ গঙ্গা সেতু এবং ফাফামাউ থেকে জাংহাই প্রকল্পের জন্য খরচ দ্বিগুণ করে কাজ করার কথা জানিয়েছে রেল। যেহেতু মেলায় প্রায় ৫০ কোটি মানুষের আয়োজনের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে, তাই বিশেষ ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিবহণের ওপর স্বভাবিক ভাবেই নজর দিতে হয়েছে। ব্যাপক ভিড়কে সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য রেলের সময়সূচির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপদে পুণ্য স্নানের জন্য আরও একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    রেলের কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা সজাগ রাখা হয়েছে

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) প্রয়াগরাজ অঞ্চলে মোট ১১৭৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ২৩টি কেন্দ্রে ১ লক্ষ মানুষের থাকার জন্য শিবির নির্মাণ করা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের দ্রুত রেলের টিকিট দিতে রঙিন টিকিট এবং বারকোড যুক্ত ইউটিএস মেশিনে টিকিট পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় তীর্থযাত্রীদের সব রকম সুবিধা দিতে রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা কর্মী, যন্ত্রচালক, ইঞ্জিনিয়র, বিদ্যুৎ পরিচালনার কর্মী, এবং আরও একাধিক বিভাগের কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা সজাগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থায় আপতকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় মেডিক্যাল পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মতো জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র এবং বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র গড়া হয়েছে।

    ২২টি ভাষায় একটি পথ নির্দেশিকা

    প্রয়াগরাজ শহরে যাত্রীদের পরিষেবা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে রেলওয়ে ৪৮টি প্ল্যাটফর্ম এবং ২১টি ফুট ওভার ব্রিজের অতরিক্ত সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৫১টি মোবাইল ইউটিএস কাউন্টার খোলা হয়েছে। আরও ৫৫৪টি টিকিট কাউন্টারে সরাসরি টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সড়ক ও রেলের মধ্যে যোগাযোগকে সরল করতে ২১টি আরওবি নির্মাণ করেছে রেল। ন’টি প্রধান স্টেশনে মোট ১২টি ভাষায় রেল ঘোষণার ব্যবস্থা করেছে। মোট ২২টি ভাষায় একটি পথ নির্দেশিকা বিষয়ক পুস্তিকাও চালু করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সেখানে দেওয়া হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পুণ্যস্নানকে সুরক্ষিত (Mahakumbh Mela 2025) এবং আরও নিরাপদ করতে রেলের এই বিরাট আয়োজন এখন রেকর্ড গড়ার পথে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    Yogi Adityanath: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ভিটে ছাড়া হয়েছিলেন ৪৭ বছর আগে (Sambhal)। ফিরলেন ৪৭ বছর পরে। তাঁদের ভিটেয় ফেরালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ১৯৭৮ সালে হিংসার কারণে ভিটে ছেড়েছিলেন সম্ভলের বহু হিন্দু পরিবার। সেই সময় উচ্ছেদ হওয়া তিনটি হিন্দু পরিবারের জমির মালিকানা পুনরুদ্ধার করল যোগী প্রশাসন। এই তিন পরিবার হিংসায় হারিয়েছিলেন তাঁদের প্রিয়জনদের। বেহাত হয়ে গিয়েছিল ভিটেও। সেই জমিই ফেরত পেলেন তাঁরা।

    সম্ভল হিংসা (Yogi Adityanath)

    ১৯৭৮ সালে সম্ভল হিংসা উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ অধ্যায়। সেবার প্রায় ২৫০ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বা জীবন বাঁচাতে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই হিংসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তুলসী রামের পরিবার। দলিত এই হিন্দুর মৃত্যুর পর প্রাণের ভয়ে ঘরদোর ছেড়ে পালান ওই এলাকার হিন্দুরা। আশ্রয় নেন চন্দৌসি এবং অন্যান্য জায়গায়। জমি-ভিটে বেহাত হয়ে যাওয়ায় একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। হিন্দুদের কেড়ে নেওয়া জমিতে স্কুল গড়ে তোলে মুসলমানরা।

    কী বলছেন খুন হওয়া তুলসির পরিবার

    তুলসির পরিবারের সদস্য অমরিশ কুমার। সেদিনের সেই বর্বরতার সাক্ষী তিনি। বলেন, “দাঙ্গার সময় আমার দাদুকে খুন করা হয়েছিল। এরপর আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। বাড়ি, জমি-জিরেত, জীবিকা— সব কিছু ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।” তিনি বলেন, “হিংসা থেমে যাওয়ার পর ভিটেয় ফেরার চেষ্টা করেছিলাম। আমাদের তাড়া করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছিল, এখানে আমাদের আর কোনও জায়গা নেই।” বেহাত হয়ে যাওয়া জমি ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি অমরিশ। বলেন, “আজ, আমরা ন্যায়বিচারের অনুভূতি (Yogi Adityanath) নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। জমি অবশেষে আবার আমাদের হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভারতের হুঁশিয়ারির পরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল জুকারবার্গের সংস্থা মেটা

    জমি ফিরে পেয়েছেন আশা দেবীও। তিনি বলেন, “রোডওয়েজ বাস স্টেশনের পিছনে আমাদের প্রায় ২.২৫ বিঘা জমি ছিল। অন্যরা দখল করে নিয়েছিল। সেখানে একটা স্কুল তৈরি করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আমাদের ন্যায্য অধিকার ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেছি, আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও, সবসময় মনে হতো সিস্টেম আমাদের কষ্টের প্রতি উদাসীন।” প্রসঙ্গত, দিন (Sambhal) কয়েক আগেই এই মামলাগুলি রি-ওপেন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের বাটীতে কীর্তনানন্দে

    রামালাল (Ramakrishna) আবার গাইলেন:

    ভবদারা ভয়হরা নাম শুনেছি তোমার,
    তাইতে এবার দিয়েছি ভার তারো তারো না তারো মা।
    তুমি মা ব্রহ্মাণ্ডধারী ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপিকে,
    কে জানে তোমারে তুমি কালী কি রাধিকে,
    ঘটে ঘটে তুমি ঘটে আছ গো জননী,
    মূলাধার কমলে থাক মা কুলকুণ্ডলিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নামে স্বাধিষ্ঠান,
    চতুর্দল পদ্মে তথায় আছ অধিষ্ঠান,
    চর্তুদলে থাক তুমি কুলকুণ্ডলিনী,
    ষড়দল বজ্রাসনে বস মা আপনি।
    তদূর্ধ্বেতে নাভিস্থান মা মণিপুর কয়,
    নীলবর্ণের দশদল পদ্ম যে তথায়,
    সুষুম্নার পথ দিয়ে এস গো জননী,
    কমলে কমলে থাক কমলে কামিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো সুধা সরোবর,
    রক্তবর্ণের দ্বাদশদল পদ্ম মনোহর,
    পাদপদ্মে দিয়ে যদি এ পদ্ম প্রকাশ।
    (মা), হৃদে আছে বিভাবরী তিমির বিনাশ।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।
    তদূর্ধ্বে ললাটে স্থান মা আছে দ্বিদল পদ্ম,
    সদায় আছয়ে মন হইয়ে আবদ্ধ।
    মন যে মানে না আমার মন ভাল নয়,
    দ্বিদলে বসিয়া রঙ্গ দেখয়ে সদায়।
    তদূর্ধ্বে মস্তকে স্থান মা অতি মনোহর,
    সহস্রদল পদ্ম আছে তাহার ভিতর।
    তথায় পরম শিব আছেন আপনি,
    সেই শিবের কাছে বস শিবে মা আপনি।
    তুমি আদ্যাশক্তি মা জিতেন্দ্রিয় নারী,
    যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র ভাবে নগেন্দ্র কুমারী।
    হর শক্তি হর শক্তি সুদনের এবার,
    যেন না আসিতে হয় মা ভব পারাবার।
    তুমি আদ্যাশক্তি মাগো তুমি পঞ্চতত্ত্ব,
    কে জানে তোমারে তুমি তুমিই তত্ত্বাতীত।
    ওমা ভক্ত জন্য চরাচরে তুমি সে সাকার,
    পঞ্চে পঞ্চ লয় হলে তুমি নিরাকার।

    নিরাকার সচ্চিদানন্দ দর্শন—ষট্‌চক্রভেদ—নাদভেদ ও সমাধি 

    শ্রীযুক্ত রামলাল যখন গাহিতেছেন (Kathamrita):

    “তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।”

    তখন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে বলিতেছেন—

    “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন। বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ।”

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এই মায়া-জীব-জগৎ পার হয়ে গেলে তবে নিত্যতে পৌঁছানো যায়। নাদ ভেদ হলে তবে সমাধি হয়। ওঁকার সাধন করতে করতে নাদ ভেদ হয়, আর সমাধি হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share