Tag: news in bengali

news in bengali

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) প্রথম দিনেই সুপারহিট। ২৫০ জন নিখোঁজ পুণ্যার্থীকে ডিজিটাল (Digitally Found) উপায়ে খোঁজ করে অনন্য নজির গড়ল কুম্ভমেলা প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। কুম্ভ মেলায় হারিয়ে যাওয়াটা ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, কুম্ভে এলে হারিয়ে যাবেই! এবার এই সমস্যার সমাধানে বিরাট সাফল্য পেয়েছে মহাকুম্ভে। জীবনভর খোঁজ না মেলার এই লোকশ্রুতিকে ভুল প্রমাণিত করেছে ডিজিটাল পদ্ধতি। পুলিশ প্রশাসনও সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আরও সুশৃঙ্খল করেছে মেলাকে। মহাকুম্ভে প্রথম দিন ছিল পৌষ পূর্ণিমা। জানা গিয়েছে, মোট দেড় কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র পুণ্যস্নান করেছেন। মেলা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। আনুমানিক ৪০-৪৫ কোটি ভক্ত এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন।  

    ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’ (Mahakumbh Mela 2025)

    এই বিরাট হিন্দু মেলাকে (Mahakumbh Mela 2025) সুপরিকল্পিত ভাবে পরিচালনা করার জন্য ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র এবং মেলার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ওয়াচ টাওয়ারে কর্মীদের মোতায়েন সহ বেশ কয়েকটি ভিড় নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ করে শিশু এবং মহিলাদের এই শিবিরগুলি থেকে সামাজিক মাধ্যমে ডিজিটাল উপকরণ ব্যবহার করে খোঁজ করার সন্ধান (Digitally Found) করার প্রক্রিয়া চালানোর কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ১০টি শিবির

    উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিরাট কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) মোট ১০টি ‘খোয়া-পাওয়া’ অর্থাৎ হারানো এবং প্রাপ্তির কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকল তীর্থযাত্রীদের জন্য যে কোনও সহায়তা প্রধান করা হবে এই জায়গাগুলিতে। মহিলা ও শিশুদের জন্য প্রতীক্ষালয়, ডাক্তারি চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বিনোদনের জন্য নানা উপকরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    প্র্যত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির লাইভ স্ক্রিন

    উত্তরপ্রদেশ এডিজি ভানু ভাস্কর বলেন, “প্রত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির একটা করে লাইভ স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যার মাধ্যমে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে। মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) হারিয়ে যাওয়া কোনও হারানো এবং প্রাপ্তির খবর সম্প্রচার করা হবে। নিখোঁজকে খুঁজে পেতে ফেসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ-সহ আরও একাধিক সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচার-প্রসার করা হবে। একই ভাবে স্নানের জন্য কেন্দ্রীয় ঘাট ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশিকা দেওয়া হবে।”

    কীভাবে খোঁজ করা হয়?

    পাশাপাশি এই সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি এবং বস্তু সম্পর্কে যে ডিজিটাল রেকর্ড করা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেগুলিকে প্রথমে কম্পিউটারাইজড রসিদ এবং ছবি সমেত ওই ৫৫ ইঞ্চি স্ক্রিনে দেখানো হবে। এরপর একে একে সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তিতে সব জায়গায় তা প্রদর্শন করা হবে। নিখোঁজ সম্পর্কে স্ক্রিনে দেখে শিবিরে গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাবে। শুধু যে মানুষ নিখোঁজকেই সন্ধান করা হবে তাই নয়, মোবাইল, মানিব্যাগ, প্রয়োজনীয় সামগ্রীও একই ভাবে সন্ধান (Digitally Found) করার কাজে পরিষেবা মিলবে।

    মাত্র দেড় ঘণ্টায় খোঁজ মেলে

    কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) নিজের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিজনদের দ্রুত খুঁজে (Digitally Found) দিতে লাগাতার মাইকে ঘোষণার প্রক্রিয়ায়ও করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে থাকা কর্মীরাও খোঁজে বিরাট ভূমিকা রাখছেন। এই কাজের জন্য মেলার মাঠে তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্রের স্থাপন করা হয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশ সিভিল ডিফেন্স কর্মী নীতেশ কুমার দ্বিবেদী প্রথম দিনেই মেলার সাফল্য নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের এই বিরাট আয়োজনে অনেক হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় আমাদের সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা উদ্যোগী হয়ে ২০০-২৫০ জনকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে কাজটি কঠিন হলেও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আমাদের ব্যাপক সহযোগিতা করেছে।” একই ভাবে মেলায় হারিয়ে যাওয়া দিল্লি থেকে আসা তীর্থযাত্রী অজয় গোয়েল জানান, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের লোকজনের কাছে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha kumbh 2025: মুসলিম দেশগুলিতে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’, সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান

    Maha kumbh 2025: মুসলিম দেশগুলিতে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’, সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, ইসলামি দেশগুলিতে মহাকুম্ভ নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে। সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে পাকিস্তানে।

    শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ (Maha kumbh 2025)। সোমবারই প্রথম শাহি স্নান সম্পন্ন করেন ভক্তরা। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম দিনেই ডুব দিয়েছেন ৫০ লক্ষ ভক্ত (Maha kumbh)। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে চলছে অমৃত স্নান। আশা, এদিন কয়েক কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুণ্য-স্নান সারবেন। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে শুধুমাত্র ভারতীয়রাই যে হাজির হচ্ছেন এমনটা নয়। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সমাবেশে পরিণত হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ৪০ থেকে ৫০ কোটি ভক্ত সামিল হতে পারেন প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে।

    সবচেয়ে বেশি সার্চ (Maha kumbh 2025) করছেন পাকিস্তানিরা  

    এই মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) কেন্দ্র করে ব্রাজিল, জার্মানি, জাপান, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, স্পেন – এই সমস্ত দেশের ভক্তরাও হাজির হয়েছেন। তাঁরা ডুব দিচ্ছেন পুণ্যার্জনের আশায়, মোক্ষলাভের আশায়। এই সময়ে মহাকুম্ভকে ইন্টারনেটে সার্চ করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশে। প্রথমেই নাম আসছে পাকিস্তানের। অর্থাৎ পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামিক দেশ, তারাও মহাকুম্ভের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং ইন্টারনেটে মহাকুম্ভকে সবচেয়ে বেশি সার্চ করছে।

    পাকিস্তানের পরে সব চেয়ে বেশি সার্চ কাতারের

    পাকিস্তানের পরে অন্য আরেকটি দেশের নাম উঠে এসেছে, যারা ইন্টারনেটে মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) সার্চ করছে। সেটি হল কাতার। তালিকায় রয়েছে আমিরশাহি, বাহরিনও। এর পাশাপাশি নেপাল, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন, তাইল্যান্ডল আমেরিকা— এই সমস্ত দেশগুলি মহাকুম্ভকে সার্চ করছে ইন্টারনেটে। অর্থাৎ প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভকে নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা, চর্চা চলছে সারা বিশ্বে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025)  নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। মেলা এলাকায় ২,৭৫১টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা নজর রাখছেন। এরমধ্যে ৩২৮টি ক্যামেরা এআই বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রয়াগরাজ জোনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ভানু ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলা এলাকায় শক্তিশালী সাত স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে সদা তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী। নজরদারি জোরদার করার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং টেথার্ড ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা এলাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় ৪০,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ব্যাপক ভিড় নাগা সাধুদের। প্রবল শীতেও তাঁরা বস্ত্র ধারণ করেন না। সাম্প্রতিক, ৮ বছরের নাগা সাধু গোপাল গিরির একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ঈশ্বরই তাঁর জ্যাকেট। এই কারণে তাঁর ঠান্ডা লাগে না। নাগা সাধুরা (Naga Sadhu) শূন্য কিংবা মাইনাস তাপমাত্রাও সহ্য করতে সক্ষম। কীভাবে সম্ভব হয় এটি? চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মানুসারে, মানুষ পোশাক ছাড়া মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে নাগা সাধুরা একথা একেবারেই মানেন না। তাঁরা মনে করেন, আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে চরম ঠান্ডা সহ্য করা যায়।  ঠিক এই কারণে তাঁরা তিন ধরনের সাধনা করেন।

    নাগা সাধুদের তিন ধরনের সাধনা (Maha Kumbh 2025)

    অগ্নি সাধনা: নাগা সাধুরা (Naga Sadhu)  একধরনের ধ্যান অনুশীলন করেন। এই অনুশীলনের মাধ্যমে তাঁদের শরীরের মধ্যে আগুনের উপাদান জমতে থাকে। এভাবেই প্রবল শীতেও তাঁদের শরীর উষ্ণ থাকে।
     
    নাড়ি শোধন: নাড়ি শোধন প্রাণায়ামের মাধ্যমে, নাগা সাধুরা তাঁদের শরীরের মধ্যে বায়ুপ্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। এভাবেই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত এবং উষ্ণ থাকে। 

    মন্ত্রোচ্চারণ: অন্যদিকে নাগা সাধুদের মতে, মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেও তাঁদের শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়, যা শরীরে তাপ তৈরি করে। প্রবল ঠান্ডার তাপমাত্রা এভাবেই সহ্য করতে পারেন তাঁরা।

    ছাই দিয়ে ঢাকা থাকে শরীর, কাজ করে অন্তরকের  (Maha Kumbh 2025)

    এ ছাড়া (Maha Kumbh 2025) নাগা সাধুরা ছাই দিয়ে তাঁদের শরীর ঢেকে রাখেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি একটি অন্তরক স্তর হিসেবে কাজ করে। ছাইতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এভাবেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যান তিনি। মেতে ওঠেন উৎসবে। বারবার এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। সোমবারও সেই ছবিই দেখা গেল দিল্লিতে। দিল্লির নারাইনা গ্রামে লোহরি (Lohri) উৎসবে সামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে। দুই উৎসবে সামিল হয়ে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের সুস্বাস্থ্য কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান

    বুধবার সন্ধ্যায় নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গ্রামে আসায়, ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। কারও কারও চোখে আনন্দাশ্রু দেখা যায়। এক নাবালকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। এরপর লোহরি উৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

    সকলকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তর ভারত-সহ বহু জায়গার মানুষের কাছে লোহরির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা আশার প্রতীক। কৃষি ও কৃষকদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই উৎসবের।’’ সবাইকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে

    নারাইনা গ্রামে যাওয়ার আগে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির দিল্লির বাড়িতে পোঙ্গল এবং সংক্রান্তি পালনেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সে নিয়েই তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলাম মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মী জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে। এখানে সাক্ষী থাকলাম দূর্দান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সারা দেশে আজকে (সোমবার) পালিত হচ্ছে সংক্রান্তি ও পোঙ্গল উৎসব।’’ সকলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তিনি প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। পোঙ্গল উৎসবে সামিল হয়ে রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি ভোগী অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেন। শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বলেই মানা হয় লোহরিকে। এটি মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেই পালন করা হয়। শীতের শেষের দিকে রবিশস্য কাটার সময় তা পালিত হয়। অন্যদিকে, পোঙ্গল উৎসব সূর্যকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: দিতে হয় ৫ ডুব! আজ মকর সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভের দ্বিতীয় শাহি স্নান

    Maha Kumbh 2025: দিতে হয় ৫ ডুব! আজ মকর সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভের দ্বিতীয় শাহি স্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, পৌষ পূর্ণিমার তিথিতে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। সকাল থেকেই শাহি স্নানে ভক্তদের ভিড় দেখা গিয়েছে। হয়েছে প্রথম শাহি (রাজকীয়) স্নানও। আজ, মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন দ্বিতীয় শাহি স্নান হচ্ছে, যা অনেকক্ষেত্রে অমৃত স্নান বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া মহাকুম্ভ শেষ হতে চলেছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রয়েছে মহাশিবরাত্রি এবং ওই দিনেই মহাকুম্ভের সমাপন হবে। হিন্দু ধর্মে মতে, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) স্নানকে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মানা হয়। মনে করা হয় মহাকুম্ভে স্নান করলে ভক্তদের সকল প্রকার কষ্ট দূর হয় এবং পাপ থেকে মুক্তিলাভ করা যায়। 

    প্রথম দুটি বাদ দিয়ে শাহি স্নানের অন্যান্য তারিখগুলিও আমরা জেনে নেব

    তৃতীয় শাহি স্নান (Shahi Snan) সম্পন্ন হবে মৌনী অমাবস্যায় দিনটি পড়েছে ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

    চতুর্থ শাহি স্নান (Maha Kumbh 2025) সম্পন্ন হবে বসন্ত পঞ্চমীতে বাংলায় যেদিন সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হবে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি

    পঞ্চম শাহি স্নান সম্পন্ন হবে মাঘী পূর্ণিমায় ১২ ফেব্রুয়ারি

    ষষ্ঠ শাহি স্নান (Maha Kumbh 2025) অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন মহা শিবরাত্রি

    প্রথম স্নান করবেন নাগা সন্ন্যাসীরা (Maha Kumbh 2025)

    মহাকুম্ভে শাহি স্নানের বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। মহাকুম্ভে প্রথমে স্নান করেন নাগা সন্ন্যাসীরা। বহু শতাব্দী ধরে এই প্রথা চলে আসছে। অন্যদিকে, সাংসারিক মানুষদের জন্য মহাকুম্ভ স্নানের নিয়ম কিছুটা আলাদা। ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, নাগা সাধুদের স্নানের পরই গৃহস্থদের স্নান করা উচিত। স্নান করার সময় ৫টি ডুব দিতে বলছেন বলছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। আবার স্নানের সময় সাবান বা শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হচ্ছে। কারণ এই ধরনের উপাদান জলকে দূষিত করে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভে শাহিস্নান করার পরে দান করতে হয় এবং এর পরেই হনুমানজি ও বাসুকিনাগের দর্শন করা উচিত। মনে করা হয় স্নানের পরে যদি কোনও ভক্ত, এই দুটির মধ্যে একটি মন্দিরেও না যান তাহলে তাঁর স্নানকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।

    মহাকুম্ভে ভক্তদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত

    মহাকুম্ভে শামিল হওয়া ভক্তদের শুদ্ধ ও পবিত্র থাকা উচিত এবং সাধুদের স্নান করার পরেই সাধারণ মানুষদের স্নানে নামা উচিত।
     
    মহাকুম্ভের স্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেটা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
     
    মহাকুম্ভ মেলায় অহিংসা নীতি মেনে চলা প্রয়োজন।
     
    মহাকুম্ভে যে কোনও মাদকদ্রব্য সেবন করাও নিষেধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar Mela 2025: গঙ্গাসাগরের স্নানে কেন পুণ্য হয়, পৌরাণিক কাহিনিতে ভগীরথ কেন গঙ্গাকে এনেছিলেন?

    Gangasagar Mela 2025: গঙ্গাসাগরের স্নানে কেন পুণ্য হয়, পৌরাণিক কাহিনিতে ভগীরথ কেন গঙ্গাকে এনেছিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার শুভ পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে। একই ভাবে সারা ভারতে কুম্ভের পরেই বঙ্গের সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2025) জগদ্বিখ্যাত। এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় পৌষ মাসের সংক্রান্তিতে। বলা হয় দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মেলা। আবার এই সময় থেকে সূর্যের দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণের পথে ধাবিত হয়। এই তিথিতে বৃহস্পতিও অত্যন্ত শুভ জায়গায় অবস্থান করে। এই মাহেন্দ্রক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। গঙ্গাসাগরে স্নান করে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিলে মনের সকল বাসনা পূর্ণ বলে মনে করা হয়। গঙ্গাকে কীভাবে সাগরের সঙ্গমে আনা হয়েছিল এবং পুজো করা হয়েছিল সেই পৌরাণিক কাহিনি (Mythological Story) এখনও লোকমুখে প্রচলিত। স্থাননাম এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্বের বিচারে গঙ্গাসাগর হিন্দুশাস্ত্রে শ্রেষ্ঠ তীর্থ ধামের মধ্যে অন্যতম।

    কোন তিথিতে গঙ্গা সাগরে পুণ্যস্নান (Gangasagar Mela 2025)?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2025) চলবে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মকর সংক্রান্তি লাগবে ১৪ জানুয়ারি দুপুর ২টো ৫৮ মিনিট থেকে এবং পুণ্যস্নান করার সময় লাগবে সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটে। ওই মুহূর্ত চলবে সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। প্রত্যেক বছরের মতো লক্ষ লক্ষ ভক্তরা পুণ্যের আশায় সাগরসঙ্গমে স্নান করবেন। গঙ্গায় স্নান করে ভক্তরা কপিলমুনির আশ্রমে দেবেন পুজোও। সমস্ত পাপ ধুয়ে নতুন ভাবে জীবনে পুণ্য সঞ্চয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তীর্থযাত্রী এবং ভক্তগণ। জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পেয়ে ক্ষুদ্র আত্মা পরমাত্মায় বিলীন হয়ে যেতে চান ভক্তরা। আর এই জন্য ভক্তরা মনে করেন ‘সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর একবার’।

    মেলাকে ঘিরে বিশ্বাস করা হয় যে কেউ যদি মাহেন্দ্রক্ষণে গঙ্গাসাগরে ডুব দেন তবে ১০০টি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সমান পুণ্য হয়। এই স্নান একটি বৈদিক আচার স্বরূপ। এই পুণ্যস্নান হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভক্তরা গঙ্গাসাগর মেলায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন। যেমন- গঙ্গা নদীতে ডুব দেওয়া এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকেন। প্রাচীন মহাভারতে এই গঙ্গা-সাগর-ভগীরথ-কপিলমুনির গল্প কথা রয়েছে। আজকের সাগরদ্বীপ বহুপুরাতন হিন্দু সংস্কৃতি বহন করেছে। তাই তো লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি তীর্থযাত্রীদের সমাগম হয়।

    জ্যোতিষশাস্ত্রে মকর সংক্রান্তির বিরাট গুরুত্ব

    মকর সংক্রান্তিতে (Gangasagar Mela 2025) জ্যোতিষশাস্ত্রের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সূর্য দেবতা এক রাশি থেকে অন্যরাশিতে চলন শুরু করে। আবার হিন্দুপঞ্জিকা ও পুরাণ  (Mythological Story) মতে সূর্য এদিন থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে এবং এখানে টানা একমাস অবস্থান করেন। মকর হল শনিঘর। সূর্য এবং শনি একে অপরের ঠিক বিপরীতে অবস্থান করে। শনি হলেন আবার সূর্য দেবের পুত্র। মকর সংক্রান্তি থেকে সূর্য তাঁর ছেলের উপর রাগ কমিয়ে দেয় এবং একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রসারিত করে। একেই শুভ সময় বলে ধরা হয়। অপর দিকে মকর সংক্রান্তি হল দীর্ঘ শীতের অবসান, একই সঙ্গে নতুন ফসল কাটার সময়। হিন্দুধর্ম মতে একেই সূর্যের উত্তরায়ণ হিসেবে ভাবা হয়। সকল অশুভ সময়ের অবসান হয় এবং শুভ সময়ের সূচনা হয়। এই সময় থেকে দিন বড় হতে শুরু করে এবং রাত ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে জ্যোতিষ অনুশীলন এবং জ্যোতির্বিদ্যাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুনঃ “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি সংবেদনশীল, কিন্তু স্থিতিশীল”, বললেন সেনাপ্রধান

    ভগীরথের গঙ্গা আনয়ন

    গঙ্গাসাগরের (Gangasagar Mela 2025) এই মেলা এবং তীর্থস্থান সম্পর্কে পৌরাণিক (Mythological Story) গল্পগাঁথা রয়েছে। বলা হয়, যেদিন মহাদেবের কেশ থেকে উৎপন্ন হয়ে গঙ্গা পৃথিবীতে প্রবাহিত হয়ে ঋষি কপিলমুনির আশ্রমে পৌঁছে গিয়েছিল সেই দিনটি ছিল মকর সংক্রান্তি। পৌরাণিক গল্পের আদলে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির এখনও লক্ষ্য করা যায়। শোনা যায় মূল মন্দির সাগর গর্ভে অনেক আগেই তলিয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বর্তমান মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। এই কপিলমুনিকে ভাগবান বিষ্ণুর অবতার বলা হয়।

    কপিলমুনির অভিশাপে ভস্ম হয়ে গিয়েছিল সাগরের ৬০ হাজার পুত্র

    এই কপিলমুনির সময়ে ইক্ষাকু বংশের রাজা সাগর অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র ৯৯ বার এই রাজার যজ্ঞ দেখে ভয় পেয়ে আটকানোর ফন্দি করেন। রাজা সাগর যজ্ঞের ঘোড়াকে ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং ঘোষণা করে ছিলেন এই ঘোড়া যে যে রাজ্যের উপর দিয়ে যাবে তাঁরা সাগরের জয় স্বীকার করতে হবে। একইভাবে ঘোড়াকে রক্ষা করতে ৬০ হাজার পুত্রকে পাঠিয়ে ছিলেন। দেখা গিয়েছে একটি ঘোড়া হারিয়ে যায়, এরপর ওই ঘোড়া পাওয়া যায় কপিলমুনির আশ্রমে। কার্যত ইন্দ্র ঘোড়াকে কপিলমুনির আশ্রমে লুকিয়ে রাখেন কৌশল করে। তারপর রাজার ছেলেরা কুপিলমুনিকে কুকথা বলে সম্বোধন করেন। ফলে মুনি ক্ষিপ্ত হয়ে চোখের তীক্ষ্ণ ক্ষোভের আগুনে ৬০ হাজার ছেলেকে ভস্ম করে দেন। এরপর বহু বছর ধরে অভিশাপ থেকে মুক্তি পাননি রাজা সাগর। পরে সূর্যবংশের পরবর্তী বংশধর রাজা ভগীরথ কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছে গিয়ে ক্ষমা চান। তিনি পিতৃপুরুষের মুক্তির জন্য আশীর্বাদ কামনা করেন। তখন গঙ্গাকে (Gangasagar Mela 2025) কঠিন তপস্যার মাধ্যমে গঙ্গাকে নিয়ে আসার কথা বলে ভগীরথকে মুক্তির পথ দেখান কপিলমুনি।

    শ্রাদ্ধ, প্রদীপ প্রজ্বলন, পিন্ডদান হয়

    রাজা ভগীরথ তপস্যা করে গঙ্গাকে হিমালয় থেকে সমুদ্রে নিয়ে আসেন। ফলে গঙ্গার প্রবহমান জলধারায় মুক্তি লাভ করেন সাগরের ৬০ হাজার পুত্র। আত্মমুক্তির তাই পীঠস্থান হল গঙ্গাসাগর। সমস্ত পাপের স্খলন হয় গঙ্গাস্নানে। সাগর রাজার নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই জায়গার সাগর নামকরণ করা হয়েছে। একই ভাবে রাজা ভগীরথের নামে নদীর নাম হয় ভাগীরথী। সমুদ্র এবং দ্বীপের নামে নামকরণ হয়েছে সাগরদ্বীপ। হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্রধাম। এখানে স্নানের সঙ্গে সঙ্গে শ্রাদ্ধ, প্রদীপ প্রজ্বলন, পিন্ডদান এবং পূজা আচার সব করা হয়। এককথায় হিন্দুদের কাছে মোক্ষধাম গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela 2025)।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মার্কিন সেনার প্রাক্তন সদস্য মাইকেল, বর্তমানে বাবা মোক্ষপুরী, সামিল মহাকুম্ভে

    Maha Kumbh 2025: মার্কিন সেনার প্রাক্তন সদস্য মাইকেল, বর্তমানে বাবা মোক্ষপুরী, সামিল মহাকুম্ভে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) যোগ দিতে প্রয়াগরাজে ব্যাপক ভিড় সাধু-সন্তদের। এর মধ্যেই সবার নজর কাড়ছেন বাবা মোক্ষপুরী। বাবা মোক্ষপুরীর (Baba Mokshpuri) আসল নাম মাইকেল। আদতে তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। জানা যায়, এক সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যও ছিলেন তিনি! বর্তমানে নিজের জীবন সনাতন ধর্মের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি জুনা আখারার অন্যতম সদস্য। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মের প্রচারই এখন তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য।

    বাবা মোক্ষপুরী কী বললেন?

    মার্কিন সেনা থেকে একেবারে হিন্দু সাধু (Maha Kumbh 2025)? কীভাবে সম্ভব হল এমন যাত্রা? এনিয়ে বাবা মোক্ষপুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল, যখন আমিও আর পাঁচজনের মতো অতি সাধারণ ছিলাম। আমি পরিবারের সঙ্গে, আমার স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসতাম। বেড়াতে ভালোবাসতাম। আমি সেনাবাহিনীতেও যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু, তারপর একদিন আমি অনুভব করলাম, জীবনে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আর তখন থেকেই শুরু হল আমার মুক্তিলাভের পথ অনুসন্ধানের প্রয়াস।’’ জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে প্রথমবার ভারতে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের ছেলেও।

    ছেলের মৃত্যু ঘুরিয়ে দেয় জীবনের মোড় (Maha Kumbh 2025)

    মাইকেল থেকে বাবা মোক্ষপুরী (Maha Kumbh 2025) হয়ে যাওয়া সাধু বলেন, ‘‘সেই ভারতে আসাটা আমার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। সেই সময়েই আমি প্রথম যোগাভ্যাস ও ধ্যান সম্পর্কে অবগত হই। প্রথমবার জানতে পারি সনাতন ধর্মের কথা। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। আর এভাবেই আমার জীবনের আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হয়। এখন আমার মনে হয়, আসলে ওটাই ছিল আমার প্রতি ঈশ্বরের ডাক।’’ তবে মাইকেলের জীবনে ঘটেছিল অতি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তাঁর একমাত্র সন্তানের অকালমৃত্যু হয়। এই ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ওই মর্মান্তিক ঘটনাটাই আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল, জীবনে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সেই সময়ে আমি যোগাভ্যাস এবং ধ্যান করা শুরু করি। তাতে কঠিন সময়টা পার করতে কিছুটা সুবিধা হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নদী ভাঙন, জলপথ এবং সেতু নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা।” এদিন গঙ্গাসাগর (Gangasagar mela) পরিদর্শন করে এইভাবেই মন্তব্য করেন তিনি।

    গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজ হয়েছে (Dilip Ghosh)?

    পৌষ সংক্রান্তিতেই সাগরদ্বীপে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar mela) বসে। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা স্নান করতে আসেন। সূর্যের উত্তরায়ণ যাত্রা শুরু হয় এই সময় থেকেই। বাংলার এই গঙ্গার সমুদ্র সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। অথচ এইরকম একটি তীর্থ ক্ষেত্রের পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক শাসকের বদল ঘটলেও কপিলমুনির আশ্রম, মেলা এবং পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন হয়নি। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এই নদীভাঙন নিয়ে বলেন, “আয়লার সময় ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্যের পক্ষ থেকে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও আর তা পরে করা হয়নি। কাজ করতে না পারায় টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে বলবেন বঞ্চনা করছে। আবার টাকা দিলে আপনারা চুরিও করবেন। আপনারা নিজেরা কাজ করে দেখান। সকলে সহযোগিতা করবে। গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজটা হয়েছে? আপনারা বলুন, কোনও কাজ করলে কি আদৌ টিকছে? এই ভাবে কাজ না করে বন্ধ করে দিন। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতির মর্যাদা দিতে সঠিক ভাবে আবেদন জানান। তাহলেই কাজ হবে।”

    আরও পড়ুনঃ সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন

    একইভাবে মমতাকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, “মমতা একবার বলছেন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে শঙ্করপুরে জেটি নির্মাণ করবেন, আবার কখনও বলছেন নিজেরাই করব। অপর দিকে আদানির সঙ্গেও কথা বলছেন। কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন। ইতিমধ্যে তীর্থযাত্রীরা মেলায় আগমন শুরু করে দিয়েছেন। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ এবং গঙ্গাসাগর মেলা একই তিথিতে পড়ে ভক্তদের ভিড় কিছুটা কম হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই রাজ্যের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো এবং পরিষেবার বিষয়ে আরও গুরুত্বদিয়ে ভাবতে হবে।” উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে (Gangasagar mela) এসে বলেছিলেন, “রাজ্যের টাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে।” ফলে বছর বছর প্রতশ্রুতি দিলেও পূরণ হয় না কিছুই, একথা এলাকার মানুষরাও এখন মনে করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। চলবে দেড় মাস (১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি)। প্রশাসনের অনুমান, ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত ভিড় করতে করতে পারেন মেলাকে কেন্দ্র করে। মহাকুম্ভকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে তাঁবু থেকে অস্থায়ী শৌচালয় এমনকী, মহিলাকে পোশাক পরিবর্তনের জন্য চেঞ্জিং রুমও তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা (Maha Kumbh 2025) 

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ১২ কিলোমিটার অস্থায়ী ঘাট। সেখানেই পবিত্র ডুব দেবেন ভক্তরা। ৪০০ কিলোমিটার অস্থায়ী পায়ে চলার রাস্তাও নির্মাণ করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মহাকুম্ভের ২ লাখ ৬৯ হাজার বর্গমিটার এলাকা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে মানুষের চলার ক্ষেত্রে (Prayagraj) কোনওরকম সমস্যা না হয়।

    ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি (Maha Kumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভকে (Maha Kumbh 2025) সর্বাঙ্গসুন্দর করতে থাকছে আরও ব্যবস্থাপনা। ইতিমধ্যে ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়েছে। ২০১টি রাস্তা, অলি-গলিগুলিকেও সংস্কার করা হয়েছে। ১৮০০ হেক্টর জমির ওপর পার্কিং তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয়

    মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) আসা ভক্তদের জন্য ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৪৪টি চেঞ্জিং রুম। এরসঙ্গে থাকছে ২৫ হাজার ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী টানা ৪৫ দিন ধরেই কাজ করবেন। মেলা প্রাঙ্গণকে আলোকিত করতে ৬৯ হাজার এলইডি সোলার লাইট লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীদের প্রয়াগরাজে পৌঁছতে কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য ৩ হাজার স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল।

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025)  নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও

    অন্যদিকে, ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও। মেলা এলাকায় ২,৭৫১টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা নজর রাখছেন। এরমধ্যে ৩২৮টি ক্যামেরা এআই বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রয়াগরাজ জোনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ভানু ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলা এলাকায় শক্তিশালী সাত স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে সদা তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী। নজরদারি জোরদার করার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং টেথার্ড ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা এলাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় ৪০,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 249: “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই, দেখো যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না”

    Ramakrishna 249: “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই, দেখো যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মাইরি বলছি, আমার যদি একটুও অভিমান হয়।

    মণি—গ্রীস দেশে একটি লোক ছিলেন, তাঁহার নাম সক্রেটিস। দৈববাণী হয়েছিল যে, সকল লোকের মধ্যে তিনি জ্ঞানী। সে ব্যক্তি অবাক্‌ হয়ে গেল। তখন নির্জনে অনেকক্ষণ চিন্তা করে বুঝতে পারলে। তখন সে বন্ধুদের বললে, আমিই কেবল বুঝেছি যে, আমি কিছুই জানি না। কিন্তু অন্যান্য সকল লোকে বলছে, “আমাদের বেশ জ্ঞান হয়েছে।” কিন্তু বস্তুতঃ সকলেই অজ্ঞান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি এক-একবার ভাবি যে, আমি কি জানি যে এত লোকে আসে! বৈষ্ণবচরণ খুব পণ্ডিত ছিল। সে বলত, তুমি যে-সব কথা বল সব শাস্ত্রে পাওয়া যায়, তবে তোমার কাছে কেন আসি জানো? তোমার মুখে সেইগুলি শুনতে আসি।

    মণি—সব কথা শাস্ত্রের সঙ্গে মেলে। নবদ্বীপ গোস্বামীও সেদিন পেনেটীতে সেই কথা বলছিলেন। আপনি বললেন যে, “গীতা গীতা” বলতে বলতে “ত্যাগী ত্যাগী” হয়ে যায়। বস্তুতঃ তাগী হয়, কিন্তু নবদ্বীপ গোস্বামী বললেন, ‘তাগী’ মানেও যা ‘ত্যাগী’ মানেও তা, তগ্‌ ধাতু একটা আছে তাই থেকে ‘তাগী’ হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার সঙ্গে কি আর কারু মেলে? কোন পণ্ডিত, কি সাধুর সঙ্গে?

    মণি—আপনাকে ঈশ্বর স্বয়ং হাতে গড়েছেন। অন্য লোকদের কলে ফেলে তয়ের করেছেন — যেমন আইন অনুসারে সব সৃষ্টি হচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—(সহাস্যে রামলালাদিকে)—ওরে, বলে কিরে!

    ঠাকুরের হাস্য আর থামে না। অবশেষে বলিতেছেন, মাইরি বলছি, আমার যদি একটুও অভিমান হয়।

    মণি—বিদ্যাতে একটা উপকার হয়, এইটি বোধ হয় যে, আমি কিছু জানি না, আর আমি কিছুই নই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঠিক ঠিক। আমি কিছুই নই!—আমি কিছুই নই!—আচ্ছা, তোমার ইংরেজী জ্যোতিষে বিশ্বাস আছে (Kathamrita)?

    মণি—ওদের নিয়ম অনুসারে নূতন আবিষ্ক্রিয়া (Discovery) হতে পারে, ইউরেনাস (Uranus) গ্রহের এলোমেলো চলন দেখে দূরবীন দিয়ে সন্ধান করে দেখলে যে, নূতন একটি গ্রহ (Neptune) জ্বলজ্বল করছে। আবার গ্রহণ গণনা হতে পারে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তা হয়ে বটে।

    গাড়ি চলিতেছে,—প্রায় অধরের বাড়ির নিকট আসিল। ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন:

    “সত্যেতে থাকবে, তাহলেই ইশ্বরলাভ হবে।”

    মণি—আর-একটি কথা আপনি নবদ্বীপ গোস্বামীকে বলেছিলেন (Kathamrita), “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই। দেখো, যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না!—আমি তোমায় চাই।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, ওইটি আন্তরিক বলতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share