Tag: news in bengali

news in bengali

  • Rigveda solar eclipse: হিন্দু ধর্মশাস্ত্র ঋগ্বেদেই রয়েছে ৬০০০ বছরের পুরনো মহাজাগতিক বিস্ময়

    Rigveda solar eclipse: হিন্দু ধর্মশাস্ত্র ঋগ্বেদেই রয়েছে ৬০০০ বছরের পুরনো মহাজাগতিক বিস্ময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋগ্বেদে (Rigveda solar eclipse) লুকিয়ে রয়েছে ৬০০০ বছরের পুরনো মহাজাগতিক বিস্ময়। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ভারতের প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলির (Hindu scripture) মধ্যে ঋগ্বেদ অন্যতম প্রধান গ্রন্থ। ধর্মশাস্ত্র, দর্শনশাস্ত্র হিসেবেও এই গ্রন্থের বিশেষ মান্যতা রয়েছে। কিন্তু নিছক আধ্যাত্মিক কথাই এর সারবস্তু নয়, এর মধ্যে রয়েছে মহাজাগতিক ঘটনাবলীর বিশেষ রেকর্ডও। সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও একই দাবি তুলেছেন। জানা গিয়েছে, বিশ্বের সব থেকে পুরনো সূর্য গ্রহণের তথ্য সূত্র রয়েছে এই হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে। এই গ্রন্থ সুপ্রাচীন হলেও তার মধ্যে মহাজাগতিক নানা ঘটনার কার্য-কারণ সম্পর্কের বিবরণ গ্রন্থিত করায়, ভারতীয়রা কতটা প্রাজ্ঞ ছিলেন, তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

    সংকলিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে

    ঋগ্বেদ (Rigveda solar eclipse) সংকলিত হয়েছিল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে। তবে এই শাস্ত্র মূলত ধর্মীয় আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে লেখা। একই ভাবে নানা রকম ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং কিছু কিছু সূক্তের ব্যাখ্যাও রয়েছে। সময় এবং যুগের পরিসরে নানা বিষয় এখানে সঙ্কলিত হয়েছে। তবে কোনও একজন বিশেষ ব্যক্তি এই বেদ লেখেননি। সম্প্রতি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের জ্যোতির্বিজ্ঞানী মায়াঙ্ক ভাহিয়া এবং জাপানের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরির মিৎসুরু সোমার, সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য এই গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে এই দাবি করেছেন। তাঁদের গবেষণায় উঠে এসেছে, আনুমানিক ৬০০০ বছরের আগের সূর্য গ্রহণের কথা এই ঋগ্বেদে রয়েছে।

    রাহু কেতুর কাহিনি (Rigveda solar eclipse)

    দুই বিজ্ঞানী ঋগ্বেদ (Rigveda solar eclipse) নিয়ে অনেক দিন ধরে গবেষণা করছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু অধ্যায় নিবিড়ভাবে পাঠ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, সূর্যকে বিদ্ধ করেছে অন্ধকার এবং এক ‘জাদুবিদ্যা’ অদৃশ্য হয়ে পড়েছে। একই ভাবে হিন্দু পৌরাণিক (Hindu scripture) কাহিনিগুলিতে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণকে রাহু এবং কেতুর গ্রাস হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। অনেকের মতে, ঋগ্বেদ সংকলিত হয়েছে, রাহু এবং কেতুর কাহিনি নির্মাণের অনেক আগেই। এই গ্রন্থের মধ্যে সূর্যকে অন্ধকারে আবিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। আর এই ঘটনাকেই বর্তমান বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহণ বলেছেন। ফলে হিন্দু সমাজের পণ্ডিতেরা যে ভাবে সূর্যের গ্রহণকে নজরে এনেছিলেন তা সত্যই ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরার ভাবনাকে উৎকর্ষের জায়গায় নিয়ে গিয়েছে।

    কীভাবে গ্রহণ চিহ্নিত করা গেল?

    এখন প্রশ্ন হল, বিজ্ঞানীরা কীভাবে এই ৬০০০ বছরের পুরনো সময়কে ঋগ্বেদে (Rigveda solar eclipse) চিহ্নিত করলেন? উত্তরে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রন্থের মধ্যে অনুচ্ছেদগুলিতে কালপুরুষে ঘটতে থাকা মহাবিষুব রেখার কথারও উল্লেখ রয়েছে। এই গ্রহণ সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, এই গ্রহণ শুরু হয়েছিল শরৎকালীন বিষুবের তিন দিন আগে। এ থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহণটির একটি কালপরিক্রমাকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। সূর্য গ্রহণ সব জায়গা থেকে সমান ভাবে দেখা যায় না। কোথাও পূর্ণ গ্রহণ আবার কোথাও আংশিক গ্রহণ দেখা যায়। ঋগ্বেদের সময়ের রচয়িতাদের অবস্থান ধরে কবে পূর্ণ গ্রহণ আর কবে আংশিক গ্রহণ ছিল, তাও চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা।

    আরও পড়ুনঃ পরের শুনানি ১৭ই, আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের সুপ্রিম-নির্দেশ

    সূর্যগ্রহণের প্রাচীনতম রেকর্ড

    বিজ্ঞানীরা মূলত দুটি তারিখ নির্ণয় করেছেন। প্রথমটি ৪২০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ২২ অক্টোবর, দ্বিতীয়টি ৩৮১১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ১৯ অক্টোবর। এখনও পর্যন্ত সূর্যগ্রহণের (Rigveda solar eclipse)  প্রাচীনতম রেকর্ড হিসেবে ধরা হয় সিরিয়ার একটি মাটির টালি এবং আয়ারল্যান্ডের একটি শিলা খোদাইকে। সিরিয়ান টালিটিতে যে গ্রহণের ছবি ছিল তা ১৩৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ বা ১২২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সময়কার। আইরিশ শিলা খোদাইটিতে যে সূর্যগ্রহণের কথা বলা আছে, তা ৩৩৪০ খ্রীস্টপূর্বাব্দের সময়ের বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ঋগ্বেদে বর্ণিত সূর্যগ্রহণের (Rigveda solar eclipse) তারিখ এই দুই শিলাখণ্ড থেকেও পুরনো। ফলে একটা বিষয় খুব স্পষ্ট যে, ভারতের জ্ঞান পরম্পরা অনেক উন্নত এবং আধুনিক ছিল। আজকের দিনের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে অনুসন্ধান করেছেন সেই সময়ের মাপকে। পৃথিবীর আদিম জ্ঞানকাণ্ডের যাত্রা যে ভারতীয় উপমহাদেশের সিন্ধু বা হিন্দু সভ্যতার মূলসূত্র থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই কথারও ইঙ্গিত বহন করে এই ঋগ্বেদ (Hindu scripture)-এর তথ্য। তাই ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতিকে আরও নিবিড় ভাবে অনুসন্ধান করা একান্ত প্রয়োজন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল নির্যাতিতার গবেষণাপত্র। এই গবেষণার বিষয়ে জানতে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা মৃতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতার ওই গবেষণাপত্র জোর করে অন্যজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। তদন্তকারীরা জানতে চেষ্টা করছেন সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত! প্রসঙ্গত নির্যাতিতার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে একটি থিসিস পেপার তাঁদের জমা (RG Kar) দিতে হয়। ওই পেপারটি জমা দেওয়ার নিয়ম থার্ড ইয়ারে। কিন্তু প্রথম বছর থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সহকারী অধ্যাপককে জানাতে হয় থিসিস লেখার বিষয়টি এবং লিখিত আকারে তা এথিক্স কমিটিতে পাঠানো হয়। এথিক্স কমিটি পাশ করলে গবেষণার সারমর্ম পাঠানো হয় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই শুরু করা যায় মূল গবেষণা। নির্যাতিতার এক বন্ধু ইতিমধ্যে দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি হয়ে যাওয়ার পরে নির্যাতিতার থিসিস পেপারের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে তা হাত বদল করে দেওয়া হয় এবং জোর করে অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়। 

    ওই অধ্যাপক ও জুনিয়র ডাক্তার সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায়

    ওই থিসিস পেপার অন্য একজনকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক। যাঁকে ওই থিসিস পেপার দেওয়া হয়েছিল এবং ওই অধ্যাপক- দুজনেই এখন সিবিআই-এর আতসকাচের তলায় (CBI)। জানা গিয়েছে, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছেলেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এখানেই বারবার সন্দেহ দানা বাঁধছে যে জোর করে থিসিস পেপার অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার হল সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত? মৃতার এক বিশেষ বন্ধুর বলছেন, ‘‘প্রভাবশালী এক জনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একটি ছেলে নানা কলকাঠি নেড়েছে। নানা দিক দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদ করার খেসারত দিতে হল কি না, সেটা তদন্ত করে বার করা হোক।’’

    কী বলছেন মৃতার বাবা

    মৃতার বাবা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন, সন্দেহজনক কিছু দেখেছি কি না। মেয়ে কিছু বলত কি না। একটাই বিষয় আমাদের ভাবাচ্ছে। মেয়ে বলেছিল, ওর লেখা থিসিস পেপার (RG Kar) অন্য এক জনকে দিয়ে দেন ভিপি (ভিজিটিং প্রফেসর)। মেয়েকে তিনি হঠাৎ করে বলেন, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। প্রথমে কিছু মনে হয়নি। আমার মেয়ে পড়াশোনায় যেমন ভালো ছিল, তাতে নতুন পেপার করা ওর জন্য কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এটা করা হতে পারে? তবে কি কারও নিশানায় পড়ে গিয়েছিল মেয়ে?’’

    ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা (RG Kar)

    নির্যাতিতার অন্য এক বন্ধুর দাবি, ‘‘দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি সময় হয়ে গিয়েছে বলে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল ওর গবেষণাপত্রের। এর মধ্যে হঠাৎ ওকে (মৃতাকে) ডেকে বলা হয়, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। এই বিষয়টা ভালো, ওকে (মৃতা যে বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন, সেই বর্ষেরই আর এক জনের নাম করে) দিয়ে দিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিল ও (মৃতা)।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সিনিয়রদের অনেক গবেষণাপত্র নিয়ে একটু অদলবদল করে কাজ চালিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এক জনের নিজস্ব ভাবনা অন্য এক জনকে দিয়ে দেওয়ার এই ব্যাপার আগে দেখিনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। সেপ্টেম্বর মাসে এখনও পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এই আবহে রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা (ইউনিফায়েড কমান্ড) দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। এদিনই সব বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপাল লক্ষ্মণ আচার্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি, সেখানেই এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন 

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। শান্তি ফেরাতে এই রাজ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীই মণিপুরে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছে। গতকাল রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তারপরেই বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান তিনি। তাঁর যুক্তি, কুকিরা মেইতেইদের উপরে যে আক্রমণ গত কয়েক দিন ধরে চালাচ্ছে, তা শক্ত হাতে দমন করা প্রয়োজন।

    সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা অশান্ত হয়ে ওঠে

    অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি ডেরার সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে মণিপুর (Manipur Violence) পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার। মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা। এই দুই জায়গাতেই ড্রোন হামলার অভিযোগ ওঠে কুকিদের বিরুদ্ধে। দু’টি হামলাই হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী (Manipur Violence) অধ্যুষিত এলাকায়।

    মেইতেইরা দাবি করছে কুকিরা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর পাশাপাশি কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে মণিপুরের পুলিশ। অন্যদিকে, কুকিদের পাল্টা দাবি, মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মেইতেই এলাকায় আছড়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে। শনিবারই জিরিবামে গুলির লড়াইয়ে মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন। 

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘ডাক্তারদের এখন কোনও বদলির নির্দেশ নয়, নিশ্চিত করুক রাজ্য’, বলল শীর্ষ আদালত

    RG Kar Case: ‘ডাক্তারদের এখন কোনও বদলির নির্দেশ নয়, নিশ্চিত করুক রাজ্য’, বলল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার নির্যাতিতার মামলার শুনানিতে এমন কথা বললেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। উল্লেখ্য গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে মহিলা চিকিৎসককে হত্যা করার পর থেকেই লাগাতার আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রায় এক মাস ধরে ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযান, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, অভয়ার ক্লিনিক, আলো বন্ধ করে প্রদীপ প্রজ্বলন এবং জনতার আদালত সহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

    রাজ্য কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না (RG Kar Case)  

    প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সোমবার আরজি কর হত্যাকাণ্ড মামলার শুনানিতে বলেন, “ডাক্তারদের কাজ হল চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। তাঁদের সুরক্ষার নির্দেশ আমরা দিয়েছি। জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগদান করতে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না। আমরা আগেই একই কথা ঘোষণা করেছি। আগামিকাল মঙ্গলবার সকলকে কাজে যোগদান করতে হবে। রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না। এরপর যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগদান না করেন এবং রাজ্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে আমরা কোনও বাধা দিতে পারব না। কাজে যোগদান না করলে আমরা প্রত্যকের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করব।’’

    ডাক্তারদের নিরাপত্তায় রাজ্যকে একগুচ্ছ নির্দেশ (Supreme Court)

    একইসঙ্গে ডাক্তারদের (RG Kar Case) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্দেশে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলা বলেছে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার কথা জেনে রাজ্যকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন রাজ্যকে বলেন, “উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে চিকিৎসকরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। ডিস্ট্রিক্ট কালেকটর ও পুলিশ সুপারকে নজর রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করবে।”  প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছেন, পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের জন্য পৃথক ডিউটি রুম রাখতে হবে। আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরা জানি, কী হচ্ছে না হচ্ছে। একইসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে, চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলে, তাঁদের বিরুদ্ধে বদলি বা এমন কোনও ব্যবস্থা যেন না নেওয়া হয়।”

    আরও পড়ুনঃ “চালান কই, চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কীভাবে?” প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    সুপ্রিম নির্দেশের পর বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case)

    অপর দিকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানির প্রেক্ষিতে এইমসের ডাক্তাররা সাড়া দিয়ে আগেই কাজে ফিরলেও আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তাররা (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের দাবিতে অনড় ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজ গুলিতে এখনও আন্দোলন এখনও চলছে। সোমবার ফের একবার জুনিয়র ডাক্তাররা জনিয়েছেন, “আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করিনি। শুনানিতে কিছুটা হতাশ আমরা। তা সত্ত্বেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করতে হবে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা এখনও স্থির হয়নি। আপাতত প্রতিটি কলেজ এবং হাসপাতালের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা পৃথক পৃথক ভাবে একটি প্রাথমিক বৈঠক করবেন। এর পর বিকাল ৫টা নাগাদ আরজি কর-সহ সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মিলে একটি সম্মিলিত জেনারেল বডি বৈঠক (জিবি) করা হবে। সেই বৈঠকের পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।” আইএমএ-র সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মাথায় রেখে কাজে ফেরার অনুরোধ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল আরজি করে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ঠিকমতো করেনি রাজ্য, এমন অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবারই আরজি কর মামলার শুনানিতে, বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে সিআইএসএফ জওয়ানদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এদিন এও জানিয়েছে, সিআইএসএফের আরও যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগবে তা রাত্রি ন’টার মধ্যে বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্যকে এবং রাজ্যের দুজন অফিসার এই গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন।

    সম্প্রীতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দাখিল করে

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে জানায় যে, সিআইএসএফের জওয়ানদের নানা অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে আরজি করে। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা সঠিকভাবে করছে না রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এও জানায়, শীর্ষ আদালতে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের এমন আচরণ আসলে আদালত অবমাননা। আরও অভিযোগ, জওয়ানদের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করেনি মমতার সরকার। শুধু তাই নয়, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেটাল ডিটেক্টর-এর মতো একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়া হয়নি জওয়ানদের (RG Kar)। শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জায়গায়। সেখান থেকে তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছাতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা। এর ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআইএসএফ (Supreme Court) কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে সে প্রশ্ন উঠছে, আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যকে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আসার পরেই গত ২ সেপ্টেম্বর এই মর্মে মমতা সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে অনুরোধ জানানো হয় জওয়ানদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। তিনি মিথ্যাচার করেছেন। ঠিক এই দাবিতে গর্জে উঠেছেন আন্দোলনরত আরজি করের (RG Kar Case) জুনিয়র ডাক্তাররা। হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হলে, তা নিয়ে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি বলেন, যুবক নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন, আর তাকে ঘিরেই ব্যাপক বিতর্কের দানাবাঁধে।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ (RG Kar Case)

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স, ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা, তৃণমূল সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ তুলেছেন। একই ভাবে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছেন ডাক্তার সংগঠন। তৃণমূল নেতার বিনা চিকিৎসার তত্ত্বকে অস্বীকার করে বলেছেন, “সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যুবকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যর সময় পর্যন্ত চিকিৎসা চলছিল। কাজেই তৃণমূল নেতার দেওয়া তথ্য ভুল।” অপর দিকে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যুবককে নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা করানো হয়েছিল। সমস্ত চিকিৎসার পরিষেবা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। অস্থিবিশারদ ও ট্রমা কেয়ারের টিমের সিনিয়র চিকিৎসকরা যুবকের চিকিৎসা শুরু করেছিলেন৷ বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও করা হয়েছিল৷ সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও রয়েছে আমাদের কাছে।” জুনিয়র ডাক্তাররা সেইসঙ্গে বলেন, “আমাদের কর্মবিরতি চললেও পরিষেবা কোনও রকম ভাবে বন্ধ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    অভিষেক কী বলেছিলেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর নিজের এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “৩ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই আরজি করের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন দুর্ঘটনায় আহত কোন্নগরের ওই যুবক। জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case) দাবি ন্যায্য হলেও, প্রতিবাদ এমন ভাবে করা উচিত, যাতে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত না হয়।” উল্লেখ্য যুবককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুর হাসপাতালে। সেখানে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার বলেন, বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Case) রেফার করাই হয়নি। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।” ফলে অভিষেকের মন্তব্যে ডাক্তার মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ৮ তারিখে ভারতে প্রথম সন্দেহভাজন এমপক্স আক্রান্তের হদিশ (Mpox in India) মিলেছে। এর পরেই রাজ্যগুলির উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা (Centre Issues Advisory) জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্যকে তা পালন করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। যদিও কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, এনিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, কারণ যথাযথ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে আছে দেশে এমপক্সের মোকাবিলায়। সম্প্রতি সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স (Mpox in India) সংক্রমণের শিকার হয়ে এক পুরুষ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। জানা গিয়েছে, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখনও তবে পর্যন্ত প্রকাশ করেনি (Centre Issues Advisory) যে ওই রোগী কোন দেশ থেকে এসেছেন বা কীভাবে তিনি সংক্রমণিত  হয়েছেন!

    ১২০টি দেশে মিলেছে ভাইরাসের সন্ধান (Suspected Mpox Case)

    এমপক্স-এর (Mpox in India) নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘ক্লেড ১বি’, প্রথম কঙ্গোতে হদিশ মেলে এই ভ্যারিয়েন্টের। গত ১৪ অগাস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বজুড়ে। ১২০টিরও বেশি দেশে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের অগাস্ট পর্যন্ত  এমপক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলিছে। জানা গিয়েছে, ১ লাখের বেশি রোগীর (Mpox in India) শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের, একথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Centre Issues Advisory)।

    কীভাবে ছড়ায় সংক্রমণ (Suspected Mpox Case)

    ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়

    সংক্রামিত ব্যক্তির মুখ বা গলা থেকে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস

    সংক্রামিত কোনও প্রাণীর সংস্পর্শে এলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।

    সংক্রামিত রোগীর পোশাকের মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।

    কেন মাঙ্কিপক্সকে (Mpox in India) এমপক্স বলা হয়?

    এই অসুখের কথা বিজ্ঞানীরা প্রথম বলেন ১৯৫৮ সালে। সেই বছর গবেষণাগারে বাঁদরের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল বলে জানা যায়। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ক্রমে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বাঁদরের মধ্যে এই রোগ প্রথম চিহ্নিত হওয়ার নাম দেওয়া হয় ‘মাঙ্কিপক্স’ (Mpox in India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে শিক্ষানবিশ তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিদেশের মাটিতেও। ২৫টি দেশের মোট ১৩০টি শহরে প্রবাসীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন। রবিবার নির্যাততার জন্য ন্যায় বিচার (Justice) চেয়ে আমেরিকার ৬০টি শহরে আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মূলত ছিলেন ভারতীয়রা, তবে তাঁদের মধ্যে আয়োজক ছিলেন বাঙালি সমাজ।

    আমেরিকার কোথায় কোথায় প্রতিবাদ

    চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে খুনের প্রতিবাদে আমেরিকার যে শহরগুলিতে আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম — আটলান্টা, ডাবলিন, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া। আবার জাপান, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, সাউথ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, নিউজিল্যান্ডেও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

    ব্রিটেন-সুইডেনেও বিক্ষোভ

    অন্যদিকে, ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টারের মতো শহরে প্রবাসী ভারতীয়রা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সকলের একটাই দাবি ছিল, জাস্টিস ফর আরজি কর। ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) দাবিতে সুইডেনে মূলত মহিলারা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামেন। তাঁদের পরনে ছিল কালো পোশাক। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে গান গেয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তুলেছেন স্লোগান। এই কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন দীপ্তি জৈন। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবশ্য ব্রিটিশ নাগরিক। দীপ্তি বলেন, “কলকাতার হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা শিহরিত। এটা মানব সভ্যতার লজ্জা।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    রবিবার রাত দখলে জনজোয়ার

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রবিবার ফের মেয়েদের রাত দখলকে ঘিরে রবিবার শহর কলকাতা জুড়ে জন জোয়ায়ের ঢল নেমেছিল। আপামর বাঙালি সমাজের একটাই দাবি বিচার চাই (Justice), বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের ভূমিকা প্রথম থেকেই অত্যন্ত সন্দেহজনক ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৩ তারিখ থেকে মামলার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে সিবিআই তার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    মায়া বা অহং-আবরণ গেলেই মুক্তি বা ঈশ্বরলাভ

    বিজয়—মহাশয়! কেন আমরা এরূপ বদ্ধ হয়ে আছি? কেন ঈশ্বরকে (Kathamrita) দেখতে পাই না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীবের অহংকারই মায়া। এই অহংকার সব আবরণ করে রেখেছে। আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল। যদি ঈশ্বরের কৃপায় আমি অকর্তা এই বোধ হয়ে গেল, তাহলে সে ব্যক্তি তো জীবন্মুক্ত হয়ে গেল। তার আর ভয় নাই।

    এই মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ। সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না—মেঘ সরে গেলেই সূর্যকে দেখা যায়। যদি গুরুর কৃপায় একবার অহংবুদ্ধি যায়, তাহলে ঈশ্বরদর্শন হয়।

    আড়াই হাত দূরে শ্রীরামচন্দ্র, যিনি সাক্ষাৎ ঈশ্বর (Ramakrishna); মধ্যে সীতারূপিণী মায়া ব্যবধান আছে বলে লক্ষ্মণরূপ জীব সেই ঈশ্বরকে দেখতে পান নাই। এই দেখ, আমি এই গামছাখানা দিয়ে মুখের সামনে আড়াল করছি আর আমায় দেখতে পাচ্ছ না। তবু আমি এত কাছে। সেইরূপ ভগবান সকলের চেয়ে কাছে, তবু এই মায়া-আবরণের দরুন তাঁকে দেখতে পারছ না।

    জীব তো সচ্চিদানন্দস্বরূপ। কিন্তু এই মায়া বা অহংকারে তাদের সব নানা উপাধি হয়ে পড়েছে, আর তারা আপনার স্বরূপ ভুলে গেছে।

    এক-একটি উপাধি হয়, আর জীবের স্বভাব বদলে যায়। যে কালোপেড়ে কাপড় পরে আছে, অমনি দেখবে, তার নিধুর টপ্পার তান এসে জোটে; আর তাস খেলা, বেড়াতে যাবার সময় হাতে ছড়ি (stick) এইসব এসে জোটে। রোগা লোকও যদি বুট জুতা পরে সে অমনি শিস দিতে আরম্ভ করে, সিঁড়ি উঠবার সময় সাহেবদের মতো লাফিয়ে উঠতে থাকে। মানুষের হাতে যদি কলম থাকে, এমনি কলমের গুণ যে, সে অমনি একটা কাগজ-টাগজ পেলেই তার উপর ফ্যাসফ্যাস করে টান দিতে থাকবে।

    টাকাও একটি বিলক্ষণ উপাধি। টাকা হলেই মানুষ আর-একরকম হয়ে যায়, সে মানুষ থাকে না।

    এখানে একজন ব্রাহ্মণ আসা-যাওয়া করত। সে বাহিরে বেশ বিনয়ী ছিল। কিছুদিন পরে আমরা কোন্নগরে গেছলুম। হৃদে সঙ্গে ছিল। নৌকা থেকে যাই নামছি, দেখি সেই ব্রাহ্মণ গঙ্গার ধারে বসে আছে। বোধ হয়, হাওয়া খাচ্ছিল। আমাদের দেখে বলছে, কি ঠাকুর (Ramakrishna)! বলি—আছ কেমন? তার কথার স্বর শুনে আমি হৃদেকে বললাম, ওরে হৃদে! এ লোকটার টাকা হয়েছে, তাই এইরকম কথা। হৃদে হাসতে লাগল।

    একটা ব্যাঙের একটা টাকা ছিল। গর্তে তার টাকাটা ছিল। একটা হাতি সেই গর্ত ডিঙিয়ে গিছিল। তখন ব্যাঙটা বেরিয়ে এসে খুব রাগ করে হাতিকে লাথি দেখাতে লাগল। আর বললে (Kathamrita), তোর এত বড় সাধ্য যে, আমায় ডিঙিয়ে যাস! টাকার এত অহংকার।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) উত্তাল হয়েছে রাজ্য। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এই আবহে কলকাতায় এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সেখানেই তিনি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তখনই একজন সঙ্ঘ প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি সামনে আসছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের কি করা উচিত?’’ এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘ প্রধান (RSS) বলেন, ‘‘আরজি কর নিয়ে অনেকেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন, এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে সঙ্ঘের।’’ এনিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)? তবে সরাসরি তিনি অবশ্য রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কিছু বললেননি। সবটাই ছেড়েছেন কেন্দ্রের ওপর। উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী সুরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে। সেই প্রেক্ষিতে, মোহন ভাগবতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন (RSS)  

    আরজি কর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের করা উচিত বলেও জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্য, ‘‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’’ আরএসএস (RSS) প্রধানের আরও দাবি, যে বা যারাই দোষী হোক, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দিতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দোষীদের শাস্তি দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’’

    ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে

    সাংগঠনিক কাজে দু’দিনের সফরে শনিবারই কলকাতায় এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বাংলায় এসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে?’’ সরসঙ্ঘচালকের স্পষ্ট কথা, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share