Tag: news in bengali

news in bengali

  • Supreme Court: ‘মন চায় না গরমের ছুটিতে বেতন নিতে’, মন্তব্য দেশের হবু প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: ‘মন চায় না গরমের ছুটিতে বেতন নিতে’, মন্তব্য দেশের হবু প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালেই দেশ পেতে চলেছে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতিকে (Supreme Court)। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের মধ্যে একজন হলেন বিভি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna)। সম্প্রতি বিচারপতি নাগরত্না মন্তব্য করেছেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেক বছরই গরমের সময় লম্বা ছুটি নেন, সবেতন ছুটি নেন, কাজ না করে এমনভাবে বেতন নিতে তাঁর অন্তরাত্মা সায় দেয় না, কিন্তু চাইলেই বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

    মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি নাগরত্না (Supreme Court)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিভি নাগরত্না এই মন্তব্য করেন। মামলাটি ছিল মধ্যপ্রদেশের চারজন বিচারকের বরখাস্ত সংক্রান্ত। মধ্যপ্রদেশের সরকার একটি বিবাদের কারণে নিম্ন আদালতের এই বিচারকদের বরখাস্ত করেছিল। সেই বিচারকদের বিচারপতি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna) মাস কয়েক আগে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় চাকরিতে বহাল করেন। চাকরিতে বহাল হওয়ার পরে ওই বিচারকরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন, বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তাঁর বেতনের দাবিতে। তাঁদের অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি মানছে না তাই শীর্ষ আদালতে এই ব্যাপারে তার নির্দেশ দিক। এই শুনানিতেই বিভি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna) মামলাকারীর আইনজীবীকে বলেন, মধ্যপ্রদেশ সরকারের বরখাস্তের আদেশকে সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি বলেনি। শুধু বরখাস্তের মেয়াদ কমিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। বরখাস্ত থাকাকালে ওই ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করেননি। বিনা কাজে বেতন দাবি করেন কীভাবে? এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘কাজ না করে এমনভাবে বেতন নিতে আমার মন সায় দেয় না।’’

    ২৭ দিনের জন্য হবেন প্রধান বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রধান বিচারপতি হবেন তিনি (Supreme Court)। সে ক্ষেত্রে তিনিই হবেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। অবশ্য তা মাত্র ২৭ দিনের জন্য। বিচারপতি বিভি নাগরত্না আদতে কর্নাটকের বাসিন্দা, তাঁর পিতা ভেঙ্কটারামাইয়া শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতির এমন মন্তব্যে একাধিক আইনজীবীর ভিন্ন মত শোনা গিয়েছে। কোনও কোনও আইনজীবীর মত হল, ছুটি মানেই কাজ বন্ধ এমনটা নয়। আইনজীবীদের লম্বা সময় কাটে মামলার কাগজপত্র পড়তেই। প্রচুর পড়াশোনা করতে হয় তাঁদের সুষ্ঠু বিচারের আশায়। তারপরও বিচারপতি নাগরত্নার এমন মন্তব্য বহু মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paralympics 24: টোকিও-র রেকর্ড ভাঙল প্যারিসে! প্যারালিম্পিক্সে সবচেয়ে বেশি পদক জয় ভারতের

    Paralympics 24: টোকিও-র রেকর্ড ভাঙল প্যারিসে! প্যারালিম্পিক্সে সবচেয়ে বেশি পদক জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারালিম্পিক্স (Paralympics 24) শেষ হতে আর মাত্র বাকি চার দিন। ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত মোট ২০টি পদক পেয়েছে। টোকিওতে ১৯ পদক জয়ের মাত্রাকে ছাপিয়ে প্যারিসে নতুন উচ্চতা পেল ভারত। এটাই হল ভারতের কাছে সেরা প্যারালিম্পিক্স। ষষ্ঠ দিন ভারতীয় অ্যাথলিটরা মোট পাঁচটি পদক জয় করেছেন। দেশবাসী এই জয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।

    তিনটে সোনা, সাতটি রুপো এবং ১০টি ব্রোঞ্জ(Paralympics 24)

    ভারত (Team India) এখনও পর্যন্ত তিনটে সোনা, সাতটি রুপো এবং ১০টি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে। গত ২ দিনে ভারতীয় অ্যাথলিটরা মোট ১৩টি পদক জয় করেছেন। মঙ্গলবার পাঁচটি পদক পেয়েছে ভারত। এই প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 24) ভারতের পাওয়া মোট পদকের সংখ্যা হল ২০। দীপ্তি জীবনজি, শরদ কুমার, মারিয়াপ্পান থাঙ্গাভেলু, অজিত সিং এবং সুন্দর গুর্জর দেশের জন্য পদক এনে দিয়েছেন। এদিন, আরও দুটি পদক পেতে পারত ভারত, কিন্তু অল্পের জন্য ভাগ্যশ্রী মাহাভরো এবং অবনী লেখারা সাফল্য পাননি।

    আরও পড়ুনঃ “শাহজাহানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তো?”, মমতাকে মোক্ষম প্রশ্ন শিবরাজের

    আশা করা হচ্ছে ২৫-৩০টি পদক পেতে পারে ভারত

    অ্যাথলেটিক্সে (Paralympics 24) ভারতকে তৃতীয় পদক এনে দিয়েছেন দীপ্তি। মহিলাদের ৪০০ মিটার টি ২০ ফাইনালে ব্রোঞ্জ জয়ী হয়েছেন তিনি। ৫৫.৮২ সেকেন্ডে শেষ করেছেন তিনি। আবার পুরুষদের হাই জাম্পে রুপো জিতেছেন শরদ। ব্রোঞ্জ জিতেছেন মারিয়াপ্পান। ফলে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে আরও দুটি পদক এনেছেন। পুরুষদের জ্যাভলিনে জোড়া পদক জিতেছে ভারত। রুপো জয়ী হয়েছেন অজিত। ব্রোঞ্জ জয়ী হয়েছেন সুন্দর। অজিত ৬৫.৬২ মিটার ছুড়েছেন। সুন্দর তাঁর পিছনে ৬৪.৯৬ মিটার ছুড়ে পদক জয়ী হয়েছেন। দেশের তালিকা বিচারে এখনও পর্যন্ত প্রথমে রয়েছে চিন, দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে ব্রিটেন এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যামেরিকা। তবে এখনও খেলার চার দিন বাকি। আশা করা হচ্ছে ভারত (Team India) মোট ২৫ থেকে ৩০টি পদক জিততে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birupaksha Biswas: ‘‘ভাইরাস বিরূপাক্ষকে ঢুকতে দেব না’’, ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের

    Birupaksha Biswas: ‘‘ভাইরাস বিরূপাক্ষকে ঢুকতে দেব না’’, ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Hospital) বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের  (Birupaksha Biswas) বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি করা হয় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, কোনওভাবেই ‘ভাইরাস’ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Hospital) কাজে যোগদান করতে দেওয়া হবে না। ঠিক এই দাবিতেই জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সিএমওএইচ দফতরের বাইরে। এর পাশাপাশি কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে (Birupaksha Biswas) কোনওভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না হাসপাতালে- এই দাবিতে আজ বুধবার বিকেলে গণ-আন্দোলন ও ঘেরাও কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কলুষিত করবেন বিরুপাক্ষ!

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি হওয়া বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas) এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কলুষিত করবেন। তাই তাঁকে কোনওভাবে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বদলি করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৩ অগাস্ট অর্থাৎ আজ থেকে ঠিক ১৩ মাস আগে। কিন্তু প্রভাবশালী ও বাহুবলী ডাক্তার নেতা, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ নিজের সেই বদলি নির্দেশকেও আটকে রেখেছিলেন। সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর মঙ্গলবার আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। তারপরেই আসে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বদলির নির্দেশ। গণ-আন্দোলনের চাপে পড়েই কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত, এমনটা বলছেন কেউ কেউ। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এক ডাক্তারি ছাত্রকে রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়ার হুমকির অডিও কল সম্প্রতি ভাইরাল হয় (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি), সেখানকার কণ্ঠস্বরকে বিরূপাক্ষ বলে দাবি করতে শোনা যায়। এছাড়া আরজি কর কাণ্ডের পরের দিন সেমিনার রুমে দেখা যায় বহিরাগত বিরুপাক্ষকে। এখানেও ওঠে একাধিক প্রশ্ন।

    থ্রেট কালচারে’র দুই কালপ্রিট

    বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারের সিএমওএইচ এবং ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ‘থ্রেট কালচারে’র দুই কালপ্রিট হলেন এসএসকেএমের পিজিটি চিকিৎসক অভীক দে এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। সেই ‘থ্রেট কালচার’ ডায়মন্ড হারবারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঢুকতে দেবেন না-বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের গাইনোকলোজি বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি অধ্যাপক চিকিৎসক সমাদৃতা চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনেও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) হাত ছিল। তাঁকেও হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয় বলে অভিযোগ।

    ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ডাক্তার পড়ুয়ারা (Diamond Harbour)

    জুনিয়র চিকিৎসক সাগ্নিক মিদ্দা বলেন, ‘‘বিরূপাক্ষর (Birupaksha Biswas) অর্ডার এসেছিল ২০২৩ সালে। এতদিন নিজের প্রভাব খাটিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থেকে গিয়েছিলেন। এখন সেখানকার আন্দোলন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। এতদিনে উনি ট্রান্সফার নিতে বাধ্য হয়েছে। ওখানকার ছাত্ররা জনিয়ে দিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিক বা না নিক, পড়ুয়ারাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমাদের গায়নো বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি সমাদৃতা ম্যাডামকে থ্রেট দিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas)। তাই ওনার সঙ্গে সম্পর্ক পুরনো দিনের। আর উনি যদি এখানে আসেন সম্পর্ক কীভাবে ঝালিয়ে নিতে হয় আমরা জানি। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এই অর্ডার ফিরিয়ে নেওয়া না হচ্ছে আমাদের অবস্থান চলবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Teacher’s Day: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    Teacher’s Day: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস হল বিশ্বের প্রতিটি মানুষের তাঁদের গুরুদেবদের সম্মান জানানোর দিন। প্রতি বছর এই দিনে দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day)। কিন্তু দিনটি যাঁর জন্মদিনের স্মরণে পালিত হয়, তিনি হলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Sarvepalli Radhakrishnan)। তিনি ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। শিক্ষা, উন্নয়ন এবং মানব কল্যাণকেই তিনি করে নিয়েছিলেন জীবনের ব্রত। আসুন জেনে নিই, কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস?

    রাধাকৃষ্ণণের শিক্ষাজীবন (Teacher’s Day)

    ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Sarvepalli Radhakrishnan) তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা সর্বপল্লি বীরস্বামী এবং মা সীতাম্মা। লুথার্ন মিশনারি স্কুল, তিরুপতি এবং ভেলোরে প্রাথমিক শিক্ষা (Teacher’s Day)। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তাঁর তেমন মন ছিল না। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোই ছিল পয়লা পছন্দের। ছেলের এমন মতিগতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান বাবা। তাই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেন ভেলোরের একটি মিশনারি স্কুলে। মন পড়াশোনায় না বসলে কী হবে, স্কুলজীবন থেকেই পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। বরাবরই সে জন্য তিনি বৃত্তি পেয়ে এসেছেন। এরপর মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ১৯১৬ সাল থেকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। জীবনের বড় সময় শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ছিলেন ছাত্র সমাজের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। একবার তাঁকে ফুলসজ্জিত কার্ট নিয়ে স্টেশন থেকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি যে সব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তাঁর হাতে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক দার্শনিক গ্রন্থ, যা নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছিল। তাঁর ‘অ্যান আইডিয়ালিস্ট ভিউ অব লাইফ’ বিবেচিত হয়েছিল নোবেল প্রাইজের জন্যও। ১৯৭৫ সালে ‘প্রগতিতে ধর্মের অবদান’ রচনা তাঁকে এনে দিয়েছিল ‘টেম্পলটন’ পুরস্কার।

    প্রশাসনিক জীবন

    সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Teacher’s Day) ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ১৯৫২ সালে তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ সালে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস?

    রাধাকৃষ্ণণ (Sarvepalli Radhakrishnan) একজন মহান শিক্ষাবিদ। শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরন্তর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। দেশে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক দিবস পালন শুরু হয়। আর এই দিনটি ছিল তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। এই দিনে প্রথমবার শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান জানিয়ে থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ বরাদ্দ ১৪ হাজার কোটি! কৃষক কল্যাণে ৭ বড় প্রকল্প মোদি সরকারের

    আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস

    ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি বিশেষ সংগঠন ইউনেস্কো (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে এই দিনটি স্মরণ করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উদযাপন করার পিছনে একটি বড় কারণ হল, শিক্ষকদের শ্রমকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া। সমাজ গঠনে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই মানুষ গড়ার এই কারিগরদের শ্রমের মর্যাদা দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Update: আর বাকি মাত্র ১০ দিন! নিখরচায় আধার আপডেট করার শেষ তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর

    Aadhaar Update: আর বাকি মাত্র ১০ দিন! নিখরচায় আধার আপডেট করার শেষ তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি-বেসরকারি যে কোনও কাজেই এখন গুরুত্বপূর্ণ নথি হল আধার কার্ড (Aadhaar Update)। কেন্দ্র সরকার আধার নিয়ে কড়া নিয়ম (Central Guidelines) জারি করেছে। নাগরিকদের আধার কার্ডে সঠিক তথ্য আপডেট করতে বলা হয়েছে। একই ভাবে প্রতি দশবছর অন্তর অন্তর আধারকে আপডেট করতে বলা হয়েছে। কীভাবে আধার আপডেট করবেন আসুন জেনে নিই-

    বিনামূল্যে আধার আপডেট (Aadhaar Update)

    আধার কার্ডে তথ্য আপডেট করার জন্য সরকার বিরাট সুযোগ দিয়েছে। তবে এই আপডেটে কোনও রকম টাকা খরচ করতে হবে না। সবটাই বিনামূল্যে করা যাবে। অনলাইনে আধার কার্ডে ব্যক্তিগত তথ্য হিসেবে নাম, ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ, ইমেল অ্যাড্রেসের মতো তথ্য আপডেট (Aadhaar Update) করতে হবে। বিনামূল্যে এই আপডেট করার শেষ সময় হল ১৪ সেপ্টেম্বর। তবে এই নির্ধারিত সময়ের পর থেকে আপডেট করতে গেলে ৫০ টাকা মূল্য দিয়ে করতে হবে। ফলে এখনও যারা আপডেট করেনি তাদের জন্য এই তথ্য (Central Guidelines) একান্ত প্রয়োজনীয়।

    আরও পড়ুনঃআরজি করে সিআইএসএফ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে গেল শাহের মন্ত্রক

    কীভাবে অনলাইনে আধার আপডেট (Aadhaar Update) করবেন–

    ১>প্রথমে ইউআইডিএআই (UIDAI) পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে। এরপর myaadhaar.uidai.gov.in-এ যান এবং আপনার রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরে পাঠানো আপনার আধার নম্বর এবং ওটিপি ব্যবহার করে লগ-ইন করুন।

    ২>আপনার বিবরণ যাচাই করুন: আপনার প্রোফাইলে প্রদর্শিত পরিচয় এবং ঠিকানার বিশদ বিবরণ পরীক্ষা করুন। সঠিকতা নিশ্চিত করুন: বিশদটি সঠিক হলে, ট্যাবে ক্লিক করুন ‘I’ আই-ভেরিফিকেশন ভালো করে করতে হবে।

    ৩>এরপর নথি নির্বাচন করুন: ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে আপনি যে পরিচয় এবং ঠিকানার নথিগুলি জমা দিতে চান তা চয়ন করুন (Aadhaar Update)৷

    ৪>প্রতিটি ফাইল দুই এমবি-র কম এবং জেপিইজি, পিএনজি বা পিডিএফ ফর্ম্যাটে নিশ্চিত করে নির্বাচিত নথিগুলি আপলোড করুন।

    ৫>আপডেটের জন্য জমা দিন: আপনার আধার বিবরণ আপডেট (Aadhaar Update) করতে আপনার নথিগুলি পর্যালোচনা করুন এবং জমা দিন।

    বায়োমেট্রিক্স, নাম, ফটোগ্রাফ বা মোবাইল নম্বরের আপডেটের জন্য, আপনাকে আপনার নিকটতম ইউআইদিএআই (UIDAI)-অনুমোদিত কেন্দ্রে যেতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: বিলম্বিত বোধোদয়! সন্দীপকে সাসপেন্ডের পর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষকে বদলি কাকদ্বীপে

    RG Kar: বিলম্বিত বোধোদয়! সন্দীপকে সাসপেন্ডের পর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষকে বদলি কাকদ্বীপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে সন্দীপ ঘোষকে মঙ্গলবারই সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। সে নিয়েও প্রশ্ন ওঠে যে আরজি করের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করতে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল স্বাস্থ্য ভবনকে? এতেই বোঝা যায় ঠিক কতটা প্রভাবশালী সন্দীপ ঘোষ! এরই মাঝে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ‘বাহুবলী’ ডাক্তার নেতা বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপে বদলি করা হল। বিরুপাক্ষ বিশ্বাস এতদিন পর্যন্ত ছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি, একটি অডিও ভাইরাল হয় সেখানকার কণ্ঠস্বর নিজেকে বিরুপাক্ষ (Birupaksha Biswas) বলে দাবি করে এক ছাত্রকে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি (RG Kar) সমেত হোস্টেল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে থাকেন।  সেই বিরুপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা হচ্ছে ঠিক সেদিন, যেদিন সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর।

    নির্দেশ কার্যকর হল ১৩ মাস পরে (RG Kar) 

    সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরুপাক্ষকে নাকি আগেই বদলি করা হয়েছিল, ১৩ মাস আগে ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে। সেই বদলি নাকি এতদিন কার্যকরী করতেই পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। কারণ বিরুপাক্ষ বাহুবলী, প্রভাবশালী ও শাসক দল ঘনিষ্ঠ। এমনটাই অভিযোগ তুলছেন চিকিৎসক মহলের বড় অংশ। চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, ‘‘বিরূপাক্ষের বদলির নির্দেশ ছিল ২০২৩ সালে ১১ অগাস্ট। অথচ সেই বদলির নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক বছর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকলেন তিনি। হাসপাতালে আসতেন না বলেই জানি।’’ বোঝাই যায়, বদলির নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করতেন বিরুপাক্ষ। সরকারি কর্মচারী হয়েও আসতেন না হাসপাতালে। কে ছোঁবে? তিনি তো সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ। পাওয়ারফুল সন্দীপ সকালে (RG Kar) ইস্তফা দেওয়ার পরে বিকেলেই পেতেন প্রাইজ পোস্টিং। ভাইরাল ভিডিওয় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরুপাক্ষকে আরজি করের সেমিনার রুপে দেখা যায় ঠিক ঘটনার পরের দিন। বহিরাগত বিরুপাক্ষ কী করছিলেন সেখানে এনিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    জেলে থাকার কথা বিরূপাক্ষর (Birupaksha Biswas)

    বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং যে সকল নামগুলি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এদের জেলে থাকার কথা। এখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিরোধে সামিল হয়েছেন এই হুমকির বিরুদ্ধে। এখন ভয়ে বর্ধমান থেকে কাকদ্বীপে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ওকে বাঁচাতে। তবে আশার কথা বলতে পারি কাকদ্বীপে গেলেও ওইখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা ওকে ঢুকতে দেবেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করে সিআইএসএফ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে গেল শাহের মন্ত্রক

    RG Kar: আরজি করে সিআইএসএফ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে গেল শাহের মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার সরকারের (Mamata Government) বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের কাছে অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ও হামলার পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। অথচ, তাঁদের থাকা বা খাওয়ার কোনও ব্যবস্থাই করেনি রাজ্য সরকার। আরও অভিযোগ, জওয়ানদের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করেনি মমতার সরকার। শুধু তাই নয়, আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেটাল ডিটেক্টর-এর মতো একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়া হয়নি জওয়ানদের (RG Kar)। শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জায়গায়। সেখান থেকে তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছাতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা। এর ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআইএসএফ (Supreme Court) কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে সে প্রশ্ন উঠছে, আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যকে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নজরে আসার পরেই গত ২ সেপ্টেম্বর এই মর্মে মমতা সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে অনুরোধ জানানো হয় জওয়ানদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি।

    আদালত অবমাননা তার সঙ্গে সংবিধান বিরোধী কাজ করছে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে ৯ অগাস্টের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা এবং ১৪ অগাস্ট হাসপাতালে হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০ অগাস্ট আরজি কর মামলার শুনানিতে ওই হাসপাতালে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মতো ২২ অগাস্ট থেকে ২ কোম্পানি সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। এরপর থেকেই জওয়ানদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ উঠতে থাকে রাজ্যের বিরুদ্ধে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে এই অসহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার যা শুধুমাত্র আদালতের অবমাননা নয় সংবিধান বিরোধীও বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Human Chain: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    Human Chain: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape Murder) উত্তাল হয়েছে রাজ্য। গত ৯ অগাস্ট ঘটনার পর থেকে একাধিক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে বেসামাল হয়ে পড়েছে তৃণমূল সরকার। ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শহরে। এরপরের দিনই পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিজেপি বনধ ডাকে। এমন অবস্থায় বারবার ব্যর্থ পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল বুধবার ২২ ঘণ্টা অবস্থানের পর তাঁরা পৌঁছতে সক্ষম হন লালবাজারে। মঙ্গলবার ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’- আন্দোলনে মানব বন্ধন (Human Chain) কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধনের কর্মসূচি পালন করা হয় এদিন।

    ১৭ কিলোমিটারের মানব বন্ধন (Human Chain)

    কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়নি। আন্দোলনে সামিল হন চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এমন পেশাদারেরা, ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়াও হাজার হাজার সাধারণ মানুষও আন্দোলনে (RG Kar Rape Murder) সামিল হন হাতে পোস্টার নিয়ে। অনেক বাচ্চাকেও দেখা যায় অভিভাবকের সঙ্গে রাস্তায় নামতে। মঙ্গলবার বিকালে ইএম বাইপাসের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় মানব বন্ধন (Human Chain) কর্মসূচি। পাটুলি থেকে সন্তোষপুর কানেক্টর হয়ে রুবি, পরমা আইল্যান্ড, বেলেঘাটা কানেক্টর হয়ে উল্টোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় হাত ধরে নাগরিকরা আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। বৃষ্টির মধ্যেও চলতে থাকে কর্মসূচি। রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা, এর ফলে যানজটের কোনও সমস্যা হয়নি।

    কী বলছেন আন্দোলনকারী

    এক বয়স্ক আন্দোলনকারীর কথায়, ‘‘এই নারকীয় ঘটনার জন্য আজ আমরা পথে নেমেছি (Human Chain)। আমরা বিচার চাই। আমার কন্যা-সম একজন ডাক্তারকে যেভাবে খুন করা হল, সবকিছু জেনেও আজ না জানার ভান করছে। তার প্রতিবাদ (RG Kar Rape Murder) করতে আমি আজ রাস্তায় এসেছি। আমি একজন বয়স্ক মানুষ, কিন্তু ঘরে থাকতে পারলাম না।’’

    ক্রমশই কোণঠাসা তৃণমূল সরকার

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) পরে রাজ্যজুড়ে যে জন-আন্দোলন দেখা গিয়েছে, তাতে কোণঠাসা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আন্দোলনের প্রতিক্রিয়াতে দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের প্রকাশ্যে হুমকিতে আরও চটেছেন নাগরিক সমাজ। ঠিক একইভাবে দলের ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোঁস করার নিদান ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। আরজি কর আন্দোলন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও জোরালো হচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে (Human Chain)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • BJP: ‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো, রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো’, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সমর্থন বিজেপির

    BJP: ‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো, রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো’, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সমর্থন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) প্রতিবাদে আজ বুধবার জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিনব আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ফোরামের পক্ষ থেকে রাত ন’টা থেকে দশটা পর্যন্ত ঘরের আলো বন্ধ রেখে (Turn Off Lights) প্রদীপর জ্বালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিচার পেতে আলোর পথে’। এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। 

    ডাক্তারদের কর্মসূচিকে সমর্থন সুকান্ত-শুভেন্দুর

    চিকিৎসক সংগঠনের এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে নতুন স্লোগান বাঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো- রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো।’’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় বিজেপির (BJP) ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই আজ বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের এই অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে সকলকে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, ‘‘এই আন্দোলনে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। রাজনীতির বাইরে থেকেই আমরা চাই, গোটা রাজ্যে বুধবার রাতের এক ঘণ্টা আলো নেভানো থাকুক। জ্বলুক আশার প্রদীপ।’’ 

    ২৯টি জায়গায় হবে রাত দখলের কর্মসূচিও (BJP)

    আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) শুনানি রয়েছে। তার আগে এই কর্মসূচির ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল (BJP)। প্রসঙ্গত, আজ বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর (Turn Off Lights) কর্মসূচি যেমন চলবে তেমনই রাজ্যের মোট ২৯টি জায়গায় রাত দখলের ডাকও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাত্রি ১১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।

    সুপ্রিম শুনানি শোনা হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape Murder) ন্যায় বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয় তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সারা রাজ্য। দিকে দিকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ কর্মবিরতি চলতে থাকে। এই ডাক্তারদের আন্দোলনের মূল ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে আরজি কর। সেখানে রাত দখলে রাতে ১৪ অগাস্ট ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীদের বড় দল। এরপর ফের প্রশ্নের মুখে ওঠে আরজি করের নিরাপত্তা। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, বড় জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হবে আরজি করে। সেখানেই লাইভ শোনা হবে আরজি করের (RG Kar Rape Murder) শুনানি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম শুনানির পরে জুনিয়র ডাক্তারদের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পর খাবারের বিলে ‘বিচার চাই’

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পর খাবারের বিলে ‘বিচার চাই’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার ন্যায় বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কলকাতা সহ সারা দেশ এখন উত্তাল। একদিকে যেমন মিছিল-মিটিং, সভা-সমিতি, ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও সহ একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তেমনি আবার শুরু হয়েছে প্রতীকী মৌন প্রতিবাদ। ডাক্তাররা আগেই নিজেদের প্রেসক্রিপশনে ‘বিচার চাই’ লিখে রোগীর পরিষেবা দিচ্ছিলেন। এবার ব্যান্ডেলের এক ক্লাউড কিচেনের পক্ষ থেকে অভিনব প্রতিবাদের সূচনা করা হল। বহুজাতিক খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপে খাবার ডেলিভারি করার সময় বিলে (Food Bill) লেখা হল, ‘আরজি করের জন্য ন্যায় বিচার চাই।’ এই বিল এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। 

    পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কী সত্যই সুরক্ষিত (RG Kar Rape-Murder)?

    ব্যান্ডেলের নারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য ও প্রবীর ভট্টাচার্য। গত তিন বছর ধরে একটি ক্লাউড কিচেন চালান। মূলত অনলাইনে খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপের মাধ্যমেই খাবার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেন তাঁরা। কাজের জন্য আন্দোলনে যেতে পরেননি। তাই অভিনব ভাবে প্রতিবাদের হাতিয়ার বেছে নিয়েছেন। ‘ফ্লেভার হোম সার্ভিস’-এর বিলে লেখা রয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজিকর (RG Kar Rape-Murder)।’ শুচিস্মিতা বলেন,“পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কী সত্যই সুরক্ষিত? হাসপাতলের কর্মক্ষেত্রে কী মহিলা চিকিৎসকেরা সুরক্ষিত? ব্যবসা সামলাতে গিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে যোগদান করতে পারিনি। তাই আমার প্রতিবাদ লিখে করলাম। তিলোত্তমার উপর নির্যাতনের দিন থেকেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আমার ছেলে সাগ্নিক এই ভাবনার কথা আমায় বলেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সমস্ত বিলে (Food Bill) লিখে আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ আমাদের চলবে।”

    আরও পড়ুনঃ চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির

    অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই, দাবি প্রাক্তনীর

    ডাক্তাররা আগেই নিজের প্রেসক্রিপশনে অভয়ার বিচার চাই লিখে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এবার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন ছাত্র দেবব্রত দাস প্রতিবাদ জানিয়ে লাল কালির স্ট্যাম্পে লিখেছেন, “আর জি করের বিচার চাই, অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই।” তিনি রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ল্যাপরোস্কোপিক সার্জেন। তিনি বলেন, “প্রেসক্রিপশন প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি ওষুধের দোকানেও চলে যাচ্ছে। সারা ভারতে যে আমাদের সংগঠন রয়েছে সেখানেও আমার প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরেছি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিবাদের এই ভাষা ইংরেজিতেও লেখা হয়েছে”। একই ভাবে স্থানীয় রোগীর হাতে হাতে এই প্রেসক্রিপশন তুলে দিচ্ছেন। সামজিক মাধ্যমে এ রকম প্রতিবাদ যাতে সবাই করেন, সেই আবেদনও করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share