Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG Kar incident: আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ

    RG Kar incident: আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar incident) গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh)। সূত্রের খবর, দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

    সিবিআইয়ের তদন্ত (RG Kar incident)

    আরজি করে আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখাই গ্রেফতার করে সন্দীপকে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ গ্রেফতার হয়েছেন শুনে খুশিতে ফেটে পড়েন আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাঁদের দাবি, গ্রেফতার করতে হবে সব দোষীকে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারের তরফে অনিকেত মাহাত বলেন, “আর্থিক তছরুপকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেডিক্যাল এথিক্সের জায়গা থেকে এখন স্বাস্থ্যভবনের কী করা উচিত, তা বলে দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না।”

    সাসপেন্ড করেছিল আইএমএ

    জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি হাসপাতাল পরিচালনা নিয়ে সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সন্দীপকে (RG Kar incident) আগেই সাসপেন্ড করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার রাজ্য শাখার সহকারী সম্পাদক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলেছিলেন, আরজি করের এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই তাঁর সদস্য পদ বাতিলের দাবি করা হচ্ছিল রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে। শেষমেশ সেই দাবিতেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় কমিটি। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: কান্দাহার অপহরণ নিয়ে নেটফ্লিক্সের নয়া সিরিজে বিতর্ক, কর্তাকে তলব কেন্দ্রের

    আরজি করকাণ্ডের পর টানা ১৫ দিন ধরে জেরা করা হচ্ছিল সন্দীপকে। সোমবারও সকাল থেকে টানা জেরা করা হচ্ছিল তাঁকে। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলে বলে সূত্রের খবর। এর পর হঠাৎই সন্দীপকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। সন্ধেয় সেখানেই গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। গত ১২ অগাস্ট আরজি করকাণ্ডের নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন সন্দীপ। এর কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল প্রাইজ পোস্টিং (Sandip Ghosh)। তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল (RG Kar incident)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Army Cantonments: সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে স্থানীয় সংস্থার হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র

    Army Cantonments: সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে স্থানীয় সংস্থার হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে (Army Cantonments) স্থানীয় সংস্থার হাতে দিতে চলেছে কেন্দ্র। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে বলে খবর। যে ক্যান্টনমেন্টগুলিকে (Civil Authorities) স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে মার্জ করা হবে সেগুলি হল দেরাদুন, দেওলালি, নাসিরাবাদ, বাবিনা, আজমেড়, রামগড়, মথুরা, শাহজাহানপুর, ক্লিমেন্ট টাউন এবং ফতেগড়।

    ৬২টি ক্যান্টনমেন্টকে বাতিলের পরিকল্পনা (Army Cantonments)

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড, দক্ষিণ পশ্চিম কমান্ড এবং দক্ষিণ কমান্ড উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রক দেশের ৬২টি ক্যান্টনমেন্টকে বাতিল করার পরিকল্পনা করেছে। এগুলোকে পুরানো ঔপনিবেশিক ধারা বলে অভিহিত করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্টের সামরিক এলাকাগুলোকে মিলিটারি স্টেশনে রূপান্তরিত করা হবে। এখানকার অসামরিক এলাকাগুলোকে স্থানীয় পুরসভা কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হবে। সূত্রের খবর, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল মার্চ মাসে।

    বর্জ্য-ভূমি মুক্ত করার উদ্যোগ সেনার

    সিভিল এলাকাগুলিকে ১০টি ক্যান্টনমেন্ট (Army Cantonments) থেকে অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। প্রথমে হিমাচল প্রদেশের ইয়োল ক্যান্টনমেন্ট ৯ কর্পসের সদর দফতর সিভিল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলির সম্পদ এবং দায়ও পুরসভায় হস্তান্তরিত হবে। সামরিক স্টেশন ও ক্যান্টনমেন্টগুলি শহরের ঐতিহ্যগত সবুজ ফুসফুস এবং কার্বন শোষক হওয়ায় সেনাবাহিনীও আগামী পাঁচ বছরে ৩০৬টি সামরিক স্টেশনকে বর্জ্য-ভূমি মুক্ত করতে শুরু করেছে অভিযান।

    আরও পড়ুন: জেলাশাসকের অফিস ঘেরাওকে ঘিরে তুলকালাম, গ্রেফতার নিশীথ

    ক্যান্টনমেন্টগুলি গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ যুগে। সেগুলি সেবাকর্মী ও তাঁদের পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা। বর্তমানে ক্যান্টনমেন্ট লাগোয়া এলাকায় বসবাস করছেন বহু অসামরিক লোক। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার সময় দেশে ক্যান্টনমেন্ট ছিল ৫৬টি। স্বাধীনতার পর যোগ হয় আরও ৬টি। সব মিলিয়ে ক্যান্টনমেন্টের সংখ্যা ৬২টি। এগুলি বিস্তৃত রয়েছে ১.৬১ লাখ একর এলাকায়। প্রসঙ্গত, গত বছরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সংসদে জানানো হয়েছিল, ক্যান্টনমেন্টের সিভিল এলাকা ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য পুরসভা এলাকার সিভিল এলাকাগুলিকে কিছু ক্যান্টনমেন্টের সিভিল এলাকা অপসারণ করে সেগুলিকে পাশের পুরসভার (Civil Authorities) সঙ্গে একত্রীকরণের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে (Army Cantonments)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch behar: জেলাশাসকের অফিস ঘেরাওকে ঘিরে তুলকালাম, গ্রেফতার নিশীথ

    Cooch behar: জেলাশাসকের অফিস ঘেরাওকে ঘিরে তুলকালাম, গ্রেফতার নিশীথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে বিজেপির জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গ্রেফতার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। সোমবার বিজেপির জেলা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। জেলাশাসকের ঢিল ছোড়া দূরত্বে কোচবিহারের (Cooch behar) সাগরদিঘি এলাকায় বিজেপির মিছিল আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জও করে পুলিশ। আনা হয় জলকামানও। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত নিশীথ-সহ মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, সাতজন মহিলা বিজেপি কর্মী।

    পুলিশের লাঠিচার্জ (Cooch behar)

    ন্যায় বিচারের দাবিতে এদিন দুপুর দুটো নাগাদ প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে মিছিল এগোতে থাকে জেলাশাসকের দফতরের দিকে। মিছিলে ছিলেন জেলা (Cooch behar) বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায়, বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মালতি রাভা প্রমুখ। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে গিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন। নিশীথ নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়েই ঘেরাও অভিযানে ছিলেন। মিছিলে বাধা দিলে পুলিশকর্তা ডিএসপি চন্দন দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা এবং আইসি তপন পালের সঙ্গে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয় নিশীথের। মুহূর্তেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সংক্রান্ত স্লোগান দিতে দিতে বিজেপি কর্মীরা এগিয়ে গেলে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুনঃ নির্যাতিতার স্মরণে আলাদা শোকপ্রস্তাব পাঠ, বিধানসভায় মৌন-মিছিল বিজেপির

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন

    বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। তাই পুলিশকে দিয়ে এই ধরনের কাজ করাচ্ছেন। আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীরা অত্যন্ত অভব্য আচরণ করেছেন। আমায় ধরে টানাটানি করা হয়। জেলা শাসকের দফতরের সামনে পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয় আমাকে।” এরপর তাঁকে এসপি অফিসের (Cooch behar) সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনরোষ আটকাতে গিয়ে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে বেশ কিছু কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kandahar Controversy: কান্দাহার অপহরণ নিয়ে নেটফ্লিক্সের নয়া সিরিজে বিতর্ক, কর্তাকে তলব কেন্দ্রের

    Kandahar Controversy: কান্দাহার অপহরণ নিয়ে নেটফ্লিক্সের নয়া সিরিজে বিতর্ক, কর্তাকে তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেটফ্লিক্সের নয়া সিরিজ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। সদ্যই মুক্তি পেয়েছে ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ (Kandahar Controversy)। এই ওয়েব সিরিজে জঙ্গিদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন পরিচালক অনুভব সিন‍্‍হা। এমনই অভিযোগে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। নতুন এই ওয়েব সিরিজ (Netflix India) বয়কটের দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার প্রধানকে তলব করেছে কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার কনটেন্ট চিফ মনিকা শেরগিলকে তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবারই তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রচারিত বিতর্কিত তথ্যের ব্যাখ্যা চেয়েই তলব করা হয়েছে শেরগিলকে।

    বিমান হাইজ্যাক (Kandahar Controversy)

    ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে দিল্লিগামী আইসি ৮১৪ বিমান হাইজ্যাক করে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা পাকিস্তানের হরকত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য ছিল। পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ঘুরিয়ে আফগানিস্তানের কান্দাহারে অবতরণ করানো হয় যাত্রিবাহী বিমানটিকে। পণবন্দি করা হয় বিমানটির ১৭৫ জন যাত্রীকে। সেখানেই পাঁচদিন ছিল বিমানটি। ভারত সরকারের সঙ্গে দর কষাকষির পর জেলবন্দি তিন জঙ্গি মাসুদ আজহার, ওমর শেখ ও মুস্তাক আহমেদের মুক্তির বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় পণবন্দিদের। ৩১ ডিসেম্বর ভারতে ফেরে বিমানটি।

    হিন্দু নাম ব্যবহার

    কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নেটফ্লিক্সের সিরিজে (Kandahar Controversy) যে পাঁচ অপহরণকারী ছিল, তাদের মধ্যে তিনজনের আসল নাম উল্লেখ করা হলেও, দুই অপহরণকারীর নাম ভোলা ও শঙ্কর বলা হয়েছে। তাদের আসল নাম উল্লেখ করা হয়নি। ঘটনায় অনুভবকে নিশানা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, আইসি ৮১৪ বিমানের অপহরণকারীরা কুখ্যাত জঙ্গি। তাদের মুসলিম পরিচয় গোপন করতে নির্মাতা অনুভব সিন‍্‍হা তাদের হিন্দু নামগুলি প্রকাশ করেছেন। এক দশক বাদে সাধারণ মানুষ ভাববে অপরাধীরা হিন্দু ছিল।

    আরও পড়ুন: নির্যাতিতার স্মরণে আলাদা শোকপ্রস্তাব পাঠ, বিধানসভায় মৌন-মিছিল বিজেপির

    প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয় জঙ্গিদের নাম। কুখ্যাত ওই জঙ্গিরা হল ইব্রাহিম আখতার, সঈদ আখতার সায়েদ, সানি আহমেদ কাজি, জহুর ইব্রাহিম মিস্ত্রি ও শাকির। বিতর্কিত ওয়েব সিরিজটিতে (Netflix India) এদের নাম দেওয়া হয়েছে ভোলা, শঙ্কর, ডাক্তার, বার্গার এবং চিফ (Kandahar Controversy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান?”, মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান?”, মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান (Mini Pakistan)?”, ঠিক এই ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিউটাউনে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বড় অভিযোগ করলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সুকান্ত। একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য কলকাতার রাজপথ উত্তাল, তখন অপর দিকে খাস কলকাতার বুকে ঘটে চলেছে হত্যাকাণ্ড! প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন (Sukanta Majumdar)!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) নিজের এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হল। এতবড় অপরাধের পরেও খুনিরা এখনও অধরা। এই সরকার দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেয়। বাংলা যেন মিনি পাকিস্তানে (Mini Pakistan) পরিণত হয়েছে।”

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ইকো পার্কের কাছে শ্যুটআউট করে খুন করা হয় এক ব্যবসায়ীকে। মৃত ব্যবসায়ীর নাম নাসিরউদ্দিন খান। তিনি ভাঙড়ের (Mini Pakistan) ইট ব্যবসায়ী ছিলেন। রাত দশটার সময় বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে হামলা করা হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা দ্রুত সেখান থেকে চম্পট দেয়। তবে ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁর ব্যবসায়ীক পার্টনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম রফিকুল ইসলাম। পুলিশ তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে আরজি কর-কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার মধ্যেই ইলামবাজারে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত নার্সের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। সাত বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে মধ্যমগ্রামের রাজবাড়ি এলাকায়। অপরদিকে হাওড়া সদর হাসপাতালে এক নাবালিকা রোগীকে নির্যাতন করেছে এক ল্যাবকর্মী। একই ভাবে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জেও। একের পর এক অমানবিক ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুনঃজনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    আইন শৃঙ্খলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক!

    একই ভাবে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনই বাংলার বীরভূমের ইলামবাজার, নদিয়া, মধ্যমগ্রাম এবং হাওড়ায় ৪টি পৃথক পৃথক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ, মহিলাদের জন্য সব থেকে অসুরক্ষিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নির্মাণ করার জন্য। কঠোর আইন প্রয়োগ এবং ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নির্মাণ করতে পারেননি। ধর্ষণ ও পকসো আইন মামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য কোনও কাজ করেননি। চূড়ান্ত একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Chalisa: বাড়ে মনের জোর, কাটে যাবতীয় বাধা, হনুমান চালিশা পাঠে মেলে হরেক ফল!

    Hanuman Chalisa: বাড়ে মনের জোর, কাটে যাবতীয় বাধা, হনুমান চালিশা পাঠে মেলে হরেক ফল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান চালিশায় (Hanuman Chalisa) উল্লেখ রয়েছে, ‘‘জো য়াহ পড়ে হনুমান চালিশা, হোয়ে সিদ্ধি সাখী গৌরীশা’’। অর্থাৎ যিনি এই হনুমান চালিশা ভক্তি সহকারে পাঠ করেন, স্বয়ং ভগবান শিব সাক্ষী, তিনি অবশ্যই সিদ্ধিলাভ করেন। মঙ্গলবার অনেকেই হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন। ভক্তি ও নিষ্ঠাভরে পুজো করেন বজরঙ্গবলিকে। হনুমানজিকে (Lord Hanuman) খুশি করার অনেক উপায় হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। সেই সব পদ্ধতি মেনে পুজো করলে সঠিক উপকারও পাবেন। হনুমান চালিশা পাঠে মনের জোর বাড়ে, জীবনের সকল বাধা দূর হয়, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমান চালিশা পাঠ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা, তবে আপনি চাইলে প্রতিদিনও করতে পারেন।

    হনুমানজিকে কী কী অর্পণ করবেন

    শাস্ত্র মতে, বজরঙ্গবলীর পুজো করতে হলে স্নান সেরে ১১টি পিপল গাছের পাতা নিতে বলছেন পণ্ডিতরা। গঙ্গাজল দিয়ে এই পাতাগুলি পরিষ্কার করার পরে কুমকুম বা চন্দন দিয়ে শ্রী রাম লিখে তা মালা বানিয়ে হনুমানজিকে অর্পণ করলে জীবনে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। রীতি অনুযায়ী লাড্ডুতে তুলসী পাতা দিয়ে হনুমান মন্দিরে ভোগ নিবেদন করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোনও কাজ আটকে থাকলে বা কোনও বিশেষ কাজে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার হনুমানজিকে (Lord Hanuman) পান অর্পণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। বিশ্বাস, এর ফলে প্রতিটি কাজে সাফল্য আসে। এর পাশাপাশি হনুমানজিকে জুঁই তেল ও ফুল নিবেদন করলেও তিনি প্রসন্ন হন। এতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

    শনির খারাপ দৃষ্টি রোধ করে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    অনেক ব্যক্তির কোষ্ঠীতে শনি খারাপ অবস্থানে থাকে। ফলে পদে পদে বাধা আসে। তাই শনির দশা কাটাতেও হনুমান চালিশা পাঠ বিশেষ ফল দেয় বলে বিশ্বাস। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, একবার শনিদেবের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন হনুমান। প্রসন্ন শনিদেব জানিয়েছিলেন, হনুমানের সত্যিকারের ভক্তের তিনি কখনও কোনও ক্ষতি করবেন না। এছাড়া দুষ্টদমনে হনুমান চালিশা খুব কাজে দেয়। এখানেই উল্লেখ রয়েছে, ‘‘ভূত পিশাচ নিকট নহি আবে, মহাবীর যব নাম শুনাবে।’’ যে কোনও ধরনের ভয়, আতঙ্ক কাটে এই মন্ত্রে। এই কারণে শিশুদেরও এই মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।

    হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের পদ্ধতি

    হনুমান চালিশা পাঠের নানা নিয়ম-বিধিও রয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আচার মেনে মঙ্গল ও শনিবার ভোরে স্নান করে সকালেই হনুমান মন্ত্র জপ করে থাকেন ভক্তরা। বিশ্বাস, এতে কেটে যায় জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতি। এক নজরে দেখে নিন, কীভাবে পুজো করবেন বজরঙ্গবলির।

    সকালে স্নান করে উঠে পুজোর আয়োজন করুন।

    শুদ্ধবস্ত্রে একটি চৌকি নিয়ে, তার ওপর একটি লাল কাপড় বিছিয়ে দিন।

    হনুমানজিকে সেই আসনের ওপর রাখুন।

    ধূপ-দীপ জ্বালিয়ে লাড্ডু নিবেদন করুন।

    এরপর হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করুন।

    সন্ধ্যাবেলাতে হনুমানালিশা পাঠ করলে একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করুন।

    বজরঙ্গবলির পুজো করার দিনে অবশ্যই নিরামিশ আহার করুন।

    হনুমান চালিশার শুরুতে এবং শেষে ভগবান রামের নাম জপ করতে ভুলবেন না যেন।

    হনুমান চালিশা পাঠে কী কী ফল মেলে?

    কর্মক্ষেত্রে সাফল্য

    ভক্তদের বিশ্বাস, হনুমান চালিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের আরাধনা করা যায়, সৌভাগ্য প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় খুব তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো।

    মনের জোর বাড়ে

    এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মঙ্গল ও শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চালিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারপাশে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব খুবই বেড়ে যায়। মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবনের পথে চলতে চলতে যতই বাধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।

    বাধা কেটে যায়

    জীবনে যে কোনও বাধা আপনি টপকে যেতে পারেন হনুমান চালিশা পাঠের দ্বারা। বাধার পরিস্থিতিতে হনুমান চালিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাধার পাহাড় খুব তাড়াতাড়ি সরে যেতে বাধ্য হয়। কোনও সমস্যায় যদি বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চালিশা পড়া শুরু করুন।

    নেগেটিভ শক্তি দূর হয়

    নেগেটিভ এনার্জি আমাদের চিন্তাভাবনাকেও নেতিবাচক করে তোলে। চারপাশ থেকে নেগেটিভ এনার্জিকে সরাতে ও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের আশীর্বাদে সর্বদাই ইতিবাচক শক্তি মেলে।

    স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে

    আধুনিক জীবনে মানুষের বড় রোগ হল স্ট্রেস। যে কোনও শারীরিক রোগের সঙ্গেও স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থ ভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কাটাতেই হবে। নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া শুরু করলে দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনেও গভীর শান্তি অনুভব করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে উঠল আরজি কর প্রসঙ্গ, নারী নির্যাতন রোধে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

    RSS: সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে উঠল আরজি কর প্রসঙ্গ, নারী নির্যাতন রোধে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর (RSS) সমন্বয় বৈঠকে আলোচিত হল আরজি কর ইস্যু (RG Kar Issue)। প্রসঙ্গত কেরলের পালাক্কড়ে তিনদিনের আরএসএস-এর বৈঠকের আজ সোমবারই শেষ দিন। এদিন সন্ধ্যায় সমাপন ভাষণ দেবেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার আগে এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। সেখানেই উঠে এল আরজি কর ইস্যু। সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এবিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বৈঠকে, যাতে এধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।

    আরজি কর ইস্যুতে কী বললেন সুনীল আম্বেকর?

    সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘সমন্বয় বৈঠকে (RSS) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে আলোচনা করা হয়েছে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Issue) হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে। সঙ্ঘ পরিবারের প্রায় প্রতিটি সংগঠনই আরজি কর কাণ্ডে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই ধরনের ঘটনাগুলি কেন ঘটছে তার কারণ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। নারী নির্যাতন রোধে সরকারকে অত্যন্ত দায়িত্ববান হতে হবে। কঠোর আইন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে।’’ এর পাশাপাশি সুনীল আম্বেকরের আরও সংযোজন, ‘‘মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত হতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টেই (RG Kar Issue) এই ধরনের মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া চলা উচিত।’’ সুনীল আম্বেকর (RSS) আরও বলেন, ‘‘নারী নির্যাতন রোধে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সঙ্ঘের বৈঠকে। এগুলি হল, শক্তিশালী আইন প্রণয়, সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি, ছোট থেকেই বাচ্চাদের সংস্কার শেখানো, শিক্ষাদান, মহিলাদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো এবং যে ধরনের কনটেন্ট অশ্লীলতা ছড়ায় তা প্রতিরোধ করা।’’ প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয়েছে বাংলা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে মমতার সরকারের ভূমিকা। এবিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলায় কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত? উত্তরে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে এমনটা কাম্য নয়, তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত।’’

    দেশের ৪৭২টি স্থানে মহিলা সম্মেলন করেছে আরএসএস (RSS)

    সুনীল আম্বেকর আরও একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত বছর আরএসএস-এর উদ্যোগে সারাদেশে ৪৭২টি স্থানে নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন মোট ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪০ জন মহিলা। এই সম্মেলনগুলিতে নারী অধিকার ও মহিলা সশক্তিকরণের একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

    অন্যান্য ইস্যু 

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি আম্বেকর জানান, সেখানকার হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই উদ্বিগ্ন। ভারত সরকার এবিষয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানান এই সঙ্ঘ (RSS) নেতা। রানি অহল্যাবাঈ-এর ৩০০তম জন্মবার্ষিকী ও রানি দুর্গাবতীর ৫০০তম জন্ম বার্ষিকীতে আরএসএস সারা দেশে একাধিক কর্মসূচি নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শেষ দিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে সুনীল আম্বেকরের পাশাপাশি হাজির ছিলেন উত্তর কেরলের সঙ্ঘ চালক কেকে বলরাম। প্রসঙ্গত, গত শনিবার ৩১ অগাস্ট কেরলের পালাক্কড়ে শুরু হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তিন দিনের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক। বৈঠকে যোগ দেন আরএসএস-এর (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, আরএসএস-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে সমেত অন্যান্য নেতারা। শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডাও হাজির ছিলেন বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: জনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    BJP: জনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে বিজেপির (BJP) দফা এক, দাবি এক, ‘মমতার পদত্যাগ’। এই ইস্যুতে কোচবিহার, বর্ধমান, আসানসোল, বাঁকুড়া, মালাদা সহ বিভিন্ন ডিএম অফিস ঘেরাও করা হল। আর সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলেও তা টপকে জেলাশাসকের অফিসের (DM office) দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মীরা। ফলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। কোচবিহারে জনরোষ আটকাতে পুলিশ ব্যবহার করে জলকামান। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। উল্লেখ্য, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা আগেই করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার জেলায় জেলায় জেলাশাসকের দফতর অভিযানের কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল।

    বাঁকুড়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ (BJP)

    বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের (DM office) দফতর অভিযানে নামে বিজেপি (BJP)। চিকিৎসক তরুণীকে নির্যাতন করে খুনের প্রতিবাদে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। এদিন বাঁকুড়া হিন্দু হাই স্কুল ময়দান থেকে মিছিল করে ডিএম অফিসের দিকে এগিয়ে যায় জনতা। কিন্তু আইজি মোড়ের কাছে যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। এরপর তা ভেঙে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে  ওঠে। এরপর সেখানেই বসে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ করেন।

    মালদায় ব্যারিকেড ভাঙল জনতা

    বিজেপির (BJP) ঘোষিত অভিযানকে মাথায় রেখে পুলিশ আগে থেকেই মালদা জেলাশাসকের অফিসের (DM office) সামনে ত্রিস্তরীয় গার্ডরেল দিয়ে রেখেছিল। এদিন দুপুর ১টায় বিজেপির জেলা অফিস থেকে একটি মিছিল সারা শহর পরিক্রমা করে। মিছিলে পা মেলান উত্তর বাংলার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত এবং পার্থসারথি ঘোষ। পরে এই মিছিল জেলাশাসকের অফিসের সামনে এলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। এরপর উত্তেজিত কর্মীরা ‘বিচার চাই বিচার চাই’ বলে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    একাধিক জেলায় বিক্ষোভে উত্তাল জেলা

    মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায় জেলাশাসকের দফতর (DM office) ঘেরাও করার কর্মসূচি নেয় বিজেপি (BJP)। রাস্তায় নেমে মিছিল করে প্রতিবাদ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। বর্ধমানে বিজেপির কর্মসূচিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করতে গিয়ে ব্যারিকেড উপড়ে ফেলে দেন কর্মীরা। এদিন আসানসোলেও এই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। সর্বত্র একটাই স্লোগান ওঠে ‘এবার মমতা গদি ছাড়ো’।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 121: “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

    Ramakrishna 121: “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্‌।
      (গীতা — ৯।৩৩)

    জীব চার থাক —বদ্ধজীবের লক্ষণ কামিনী-কাঞ্চন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীব চার থাক বলেছে—বদ্ধ, মুমুক্ষু, মুক্ত, নিত্য। সংসার জালের স্বরূপ, জীব যেন মাছ, ঈশ্বর (যাঁর মায়া এই সংসার) তিনি জেলে। জেলের জালে যখন মাছ পড়ে, কতকগুলো মাছ জাল ছিঁড়ে পালাবার অর্থাৎ মুক্ত হবার চেষ্টা করে। এদের মুমুক্ষু জীব বলা যায়। যারা পালাবার চেষ্টা করছে, সকলেই পালাতে পারে না। দু-চারটা মাছ ধপাঙ্‌ শব্দ করে পালায়; তখন লোকেরা বলে (Kathamrita), “ওই মাছটা বড়, পালিয়ে গেল!” এই দু-চারটা লোক মুক্তজীব। কতকগুলি মাছ স্বভাবত এত সাবধান যে, কখনও জালে পড়ে না। নারদাদি নিত্যজীব কখনও সংসারজালে পড়ে না। কিন্তু অধিকাংশ মাছ জালে পড়ে; অথচ এ-বোধ নাই যে, জালে পড়েছে মরতে হবে। জালে পড়েই জাল-শুদ্ধ চোঁ-চা দৌড় মারে ও একেবারে পাঁকে গিয়ে শরীর লোকোবার চেষ্টা করে। পালাবার কোন চেষ্টা নাই বরং আরও পাঁকে গিয়ে পড়ে। এরাই বদ্ধজীব। জালে এরা রয়েছে, কিন্তু মনে করে, হেথায় বেশ আছি। বদ্ধজীব, সংসারে—অর্থাৎ কামিনী-কাঞ্চনে—আসক্ত হয়ে আছে; কলঙ্ক-সাগরে মগ্ন, কিন্তু মনে করে বেশ আছি! যারা মুমুক্ষু বা মুক্ত সংসার (Ramakrishna) তাদের পাতকুয়া বোধ হয়; ভাল লাগে না। তাই কেউ কেউ জ্ঞানলাভের (Kathamrita) পর, ভগবানলাভের পর শরীরত্যাগ করে। কিন্তু সে-রকম শরীরত্যাগ অনেক দূরের কথা।

    “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না। এত দুঃখ, এত দাগা পায়, এত বিপদে পড়ে, তবুও চৈতন্য হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে…সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ না লেখার চাপ দেওয়া হচ্ছিল”, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ না লেখার চাপ দেওয়া হচ্ছিল”, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থেকে শুরু করে মেয়েদের রাত দখল, একাধিক সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের লাগাতার মিছিল-অভিযান, ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন— জনমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সিবিআই-এর তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিযোগ তুলে বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ না লেখার জন্য চিকিৎসকদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল।”

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়ে বলেন, “৯ অগাস্টের দিন থেকেই ধর্ষণ করে খুনের বিষয়ে পুলিশ তৃণমূলের নির্দেশে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। নির্যাতিতার বাড়ির লোকজনকে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল। হাসপাতালের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যাণ্ট সুপার দাবি করেছেন, খবর শুনে পরিবার অসুস্থ হতে পারেন তাই আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন। চাদর বদলের অভিযোগ উঠেছে, একটি ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থলে থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। ময়না তদন্তের রিপোর্টের শেষ লাইনে লেখা হয়েছে ধর্ষণ। সেই লাইনটা বাদ দিতে চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর দলবল। তবে যাঁরা তদন্ত করেছিলেন তাঁদের মধ্যে দুই মহিলা চিকিৎসক বলেন, এই লাইন বাদ দিলে আমরা সই করব না। আমি ধন্যবাদ জানাই ওই দুই মহিলা চিকিৎসককে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আপনার মা-বোনেদের…’’! কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল নেতার, তুলোধনা সুকান্তর

    ধর্মতলায় টানা ধর্না অবস্থান বিক্ষোভ

    আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মাত্র সঞ্জয় রায়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নেমেছে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষকে টানা জিজ্ঞাসবাদ করছে সিবিআই। দেহপাচার থেকে আর্থিক তছরুপ, প্রায় ১৫টি অভিযোগ ঝুলে আছে সন্দীপের মাথার উপর। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি শ্যামবাজারের পর ধর্মতলায় টানা ধর্না অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের মহিলা কমিশনের দফতরে মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে অভিযান করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জেলায় জেলায় থানা এবং ব্লক অফিস ঘেরাও কর্মসূচিও করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share