Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG Kar Rape-Murder: সহকর্মীর হত্যার বিচারের দাবিতে সিবিআই দফতরে অভিযানের ডাক

    RG Kar Rape-Murder: সহকর্মীর হত্যার বিচারের দাবিতে সিবিআই দফতরে অভিযানের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হত্যাকাণ্ডে মৃত মহিলা চিকিৎসকের ন্যায় বিচারের দাবিতে শনিবার মহামিছিলের ডাক দিলেন ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, “আমাদের সহকর্মীর নৃশংস নির্মম খুনের প্রতিবাদে মহামিছিল করে অভিযান হবে সিবিআই দফতর (CBI office) পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের জেলায় জেলায় একাধিক সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন সোচ্চার হয়েছে। চারিদিকে একটাই দাবি, দোষীর শাস্তি চাই। বিজেপির পক্ষ থেকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর কলেজ স্ক্যোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    ‘সিবিআইকে তথ্য-নথি দেব'(RG Kar Rape-Murder)

    ইতিমধ্যে কলকাতার রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে (RG Kar Rape-Murder) শামিল হয়েছেন ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালেও তাঁদের বিক্ষোভ ধর্না জারি রয়েছে। ডাক্তার মানস গুমটা বলেন, “সারা রাজ্য থেকে কয়েক হাজার ডাক্তার শনিবার মিছিলে আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। আমরা অভয়ার দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। সেই সঙ্গে ধর্ষক এবং খুনিরা যাদের ছত্রছায়ায় ছিল, তাদের কঠোর সাজা চাই। এই দাবি নিয়ে আমরা পদযাত্রা করব। মিছিল করে সিজিও কমপ্লেক্স (CBI office) পর্যন্ত যাব। তবে যদি আমাদের সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ থাকে, তাহলে আমরা কথা বলব। আমাদের কাছে যা তথ্য এবং নথি রয়েছে, তা আমরা তুলে দেওয়ারও চেষ্টা করব।”

    আরও পড়ুনঃ আরজি করে ভুল প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে! দাবি সিবিআইয়ের, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

    ২০ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন

    ইতিপূর্বে জুনিয়র ডাক্তাররা সহকর্মীর নির্মম হত্যার (RG Kar Rape-Murder) বিরুদ্ধে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান করেছিলেন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস আরজিকর হাসপাতালে প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ের সামনে ধর্নায় বসেছিল। স্বাস্থ্য ভবন অভিযান হয়েছিল। সরকার পক্ষের সঙ্গে আশানুরূপ কোনও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি। এবার ন্যায় বিচার এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সিবিআই দফতর (CBI office) অভিযান করবেন চিকিৎসকরা। এদিকে, টানা ২০ দিন ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজে যোগদান করতে অনুরোধ করা হয়েছে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vishnu Sahasranamam: ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    Vishnu Sahasranamam: ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুর সহস্রনাম (Vishnu Sahasranamam) কমবেশি আমরা সকলেই শুনেছি। ছন্দ-উচ্চারণে শ্রুতি মধুর এই সংস্কৃত মন্ত্রমালা মনকে শান্তির জগতে নিয়ে যায়। বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ বলতে বোঝায় ভগবান বিষ্ণুর হাজার (Lord Vishnu) নাম নেওয়া। হিন্দু পণ্ডিতরা বলেন, ‘‘বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করলে আমাদের চারপাশে এক ইতিবাচক শক্তি বলয় তৈরি হয়, যা খালি চোখে দেখা যায় না ঠিকই। কিন্তু তার প্রভাবে ধীরে ধীরে জীবনটা বদলে যেতে শুরু করে।’’ ভক্তদের বিশ্বাস, ভগবান বিষ্ণুর (Vishnu Sahasranamam) আশীর্বাদে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে জীবনের নিরাপত্তা যে অনেকটাই বাড়ে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পণ্ডিতদের আরও মত, প্রতিটি দেবতার আরাধনা করার জন্য বিশেষ দিন রয়েছে। যেমন, শনিবার কালীর, মঙ্গলবার বগলামুখীর। শিবের বিশেষ দিন হল সোমবার। তেমনই বৃহস্পতিবার হল ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করার বিশেষ দিন। তবে প্রতিদিনই বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করা যেতে পারে। ভক্তদের বিশ্বাস, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শুদ্ধ শরীর এবং বস্ত্রে বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করলে জীবনে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এই প্রতিবেদনে বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠে কী কী ফল মেলে তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। এর পাশাপাশি বিষ্ণুর সহস্রনামের উৎপত্তি কোথায়, সেই বিষয়েও আলোকপাত করা হবে।

    মহাভারতের অনুশাসন পর্বে প্রথম উল্লেখ মেলে বিষ্ণু সহস্রনামের (Vishnu Sahasranamam)

    মহাভারতের অনুশাসন পর্বের ১৪৯তম অধ্যায়ে প্রথম বারের জন্য বিষ্ণুর সহস্রনামের (Vishnu Sahasranamam) উল্লেখ পাওয়া যায়। পিতামহ ভীষ্ম যখন কুরুক্ষেত্রের ময়দানে মৃত্যু শয্যায় ছিলেন, তখন পাণ্ডব পুত্র যুধিষ্ঠির তাঁকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নটা ছিল, ‘‘হে পিতামহ এমন কোন দেব বা দেবী রয়েছেন যাঁর নাম নিলে অফুরন্ত শান্তির সন্ধান মিলবে, সঙ্গে সমৃদ্ধি এবং উন্নতিও আসবে?’’ প্রত্যুত্তরে ভীষ্ম পিতামহ বলেছিলেন, ‘‘প্রতিদিন হাজার বার বিষ্ণুর নাম নাও, দেখবে সব সমস্যা মিটে যাবে, মিলবে সুখ সাগরের সন্ধান।’’ ভক্তদের বিশ্বাস সেই থেকেই বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠের উপকারিতা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষ্ণুর সহস্রনামের উপকারিতার বিষয়ে যে শুধু মহাভারতেই লেখা রয়েছে এমনটা নয়। পদ্ম পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ এবং গরুড় পুরাণেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, নানা সময় আদিগুরু শঙ্করাচার্যও বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠের উপকারিতার ওপর আলোকপাত করেছেন।

    বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠে কী কী ফল মেলে?

    ১. গ্রহ দোষ সব কেটে যায়, জীবনে আসে সৌভাগ্য: জ্যোতিষীরা বলছেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যখন বদলায়, সেই মতো আমাদের জন্ম কোষ্ঠীতে কোনও গ্রহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তো কোনও কোনওটা বেজায় দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, কিছু গ্রহের প্রভাবে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আর ঠিক এই পরিস্থিতিকেই গ্রহ দোষ বলা হয়ে থাকে।’’ এক্ষেত্রে জ্যোতিষীরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করলে যে কোনও ধরনের গ্রহ দোষ তো কেটে যায়ই, সেই সঙ্গে খারাপ সময় কেটে যেতেও দেরি হয় না। বিষ্ণুর সহস্রনাম (Lord Vishnu) জীবনে নিয়ে আসে সৌভাগ্য। আর ভাগ্য যখন একবার সঙ্গ দিতে শুরু করে, তখন জীবনের প্রতিটা দিন যে আনন্দে ভরে ওঠে, তা তো বলাই বাহুল্য!

    ২. টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যায়: শাস্ত্র মতে, এক মনে বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করলে চারপাশে ইতিবাচক শক্তির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি খুব দ্রুত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যাও মিটে যায়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এক মনে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিলে দেবতা এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়।

    ৩. দুশ্চিন্তা দূর হয়, মন ভরে ওঠে ইতিবাচক শক্তিতে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এক মনে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিলে শরীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে মানসিক চাপ তো কমেই, দুশ্চিন্তা এবং অ্যাংজাইটিও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ব্যস্ত দুনিয়ায় সবাই ছুটছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ সম্পর্কিত নানা রোগ। তাই মনের গভীরে প্রশান্তি লাভ করতে বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করার পরামর্শ দিচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    ৪. যে কোনও সমস্যা মিটে যায় সহজেই: শাস্ত্র মতে, বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করলে যে কোনও ধরনের বাধা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়। কর্মক্ষেত্রে বা বাড়িতে যে কোনও সমস্যাও মিটে যায় নিমেষেই। প্রতিদিন তাই বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করতে বলছেন পণ্ডিতরা।

    ৬. যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা মেলে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করলে মন ও মস্তিষ্কে বিপুল পরিমাণে ইতিবাচক শক্তি মজুত হয়। এর প্রভাবে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে খারাপ সময়ও কেটে যায়। শুধু তাই নয়, কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের খারাপ প্রভাব থেকেও রক্ষা মেলে। সেই সঙ্গে শত্রুদেরও জয় করা যায়। বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করলে জীবন অনেক নিরাপদ হয়ে ওঠে।

    ৭) মনসংযোগ বৃদ্ধি করে: পড়ায় মন বসে না, এমন ছাত্রছাত্রীদের বিষ্ণু সহস্রনাম জপ করার পরামর্শ দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। বিষ্ণু সহস্রনাম গভীর মনসংযোগ তৈরি করাতেও সক্ষম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: ঘটনার দিন কাকে কাকে ফোন? সন্দীপের বয়ানের সঙ্গে কল রেকর্ড মেলাচ্ছে সিবিআই

    RG Kar Rape-Murder: ঘটনার দিন কাকে কাকে ফোন? সন্দীপের বয়ানের সঙ্গে কল রেকর্ড মেলাচ্ছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার ফের হাজিরা দিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে পৌঁছান তিনি। এই নিয়ে টানা ১৪ দিন সিবিআই দফতরের জেরার মুখোমুখি হলেন তিনি। গত ১৩ দিনে ১০০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।

    ঘটনার দিন কাকে কাকে ফোন করেন সন্দীপ (RG Kar Rape-Murder)?

    নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর মা-বাবা বারবার সাক্ষাৎকারে বলেন, “হাসপাতাল (RG Kar Rape-Murder) কর্তৃপক্ষ প্রথমেই বলেছে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। বারবার আমরা জানতে চেয়েছি মেয়ের কী হয়েছে? কিন্তু হাসপাতাল থেকে কোনও স্পষ্ট করে উত্তর দেয়নি।” ওই দিন সন্দীপের (Sandip Ghosh) ভূমিকা কেমন ছিল তাই জানতে চায় সিবিআই। সন্দীপ অবশ্য তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতে ছিলেন তিনি। সেই সময় হাসপাতাল থেকে সুমিত রায় তপাদার ফোন করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় ফোন ধরতে পারেননি। এরপর কল ব্যাক করেন এবং জানতে পারেন দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর পথে যেতে যেতেই টালা থানার ওসিকে এবং এমএসভিপিকে ফোন করেন। সেই সঙ্গে ফোন করেন রোগী কল্যাণ সমিতির সুদীপ্ত রায়কে। একইভাবে চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকেও ফোন করেছিলেন তিনি। সকাল ১১টায় হাসপাতালে পৌঁছান। ঘটনারক্রমের সঙ্গে সিডিআর, টাওয়ার লোকেশন ইত্যাদির বিষয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টও প্রশ্ন তুলেছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    অধ্যক্ষ হিসেব সন্দীপ দুর্নীতিগ্রস্ত (Sandip Ghosh)

    চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলার পাশাপাশি একইভাবে হাসপাতলে (RG Kar Rape-Murder) আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর অধ্যক্ষ থাকাকালীন হাসাপাতালে দুর্নীতি হওয়ায় সন্দীপের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে বলেন, “অধ্যক্ষ হিসেব সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ব্যাপক ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। চিকিৎসায় জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকার দুর্নীতি, ভেন্ডার নির্বাচনে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে টেন্ডার দেওয়া ইত্যাদি কাজ করেছেন।” সিবিআই এই সূত্র ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর মধ্যে রবিবার তাঁর বাড়িতে আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করার জন্য তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ”, সোজাসাপটা জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ”, সোজাসাপটা জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ।” পাকিস্তানের প্রতি ভারতের বর্তমান অবস্থান বোঝাতে গিয়ে এ কথাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।” পাকিস্তান স্পনসর্ড সন্ত্রাসবাদের প্রতি ইঙ্গিত করে নয়াদিল্লির অবস্থান ফের স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। বললেন, “সন্ত্রাস এবং আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ। কর্মের ফল আছে।” শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, “যেহেতু জম্মু-কাশ্মীর এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। তাই এখন ইস্যু হল, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক স্থাপন করব।” সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা যে এক সঙ্গে চলতে পারে না, এবং ভারত যে এর সঙ্গে কোনও কম্প্রোমাইজ করবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। 

    সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোস নয়

    একইভাবে, পাকিস্তানের সঙ্গে ডিল করার ক্ষেত্রে ভারত যে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আমি আপনাদের এটা বলতে চাই যে, আমরা নিষ্ক্রিয় নই। ইতিবাচক বা নেতিবাচক, ঘটনাপ্রবাহ যেদিকেই গড়াক না কেন, আমরা প্রতিক্রিয়া দেব।” এর আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেছিলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টায় কেন্দ্র সন্ত্রাসবাদকে উপেক্ষা করতে পারে না।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছে।” ভারত আর এসব সহ্য করবে না বলেও জানান তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের কৌশল হল ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনতে গেলে হাতিয়ার করতে হবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে। কিন্তু ভারত এই শর্তে রাজি নয়। ভারত ওই নীতিকে বর্তমানে বাতিল করে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    এই অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “বর্তমানে সে দেশে যে সরকার রয়েছে, আমরা তার সঙ্গেই ডিল করব।” দুই পড়শি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার ওপরও জোর দেন তিনি। বলেন, “প্রতিবেশীরা সব সময়ই প্রহেলিকা। আমায় এমন একটা দেশের উদাহরণ আপনারা (Pakistan) দিতে পারেন, যেখানে দুই পড়শি দেশের মধ্যে চ্যালেঞ্জ নেই (S Jaishankar)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: সম্পাদক সুরাবর্দির উত্তরসূরি! তাই কি হিন্দু নিধনের খবর চাপল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’?

    Bangladesh Crisis: সম্পাদক সুরাবর্দির উত্তরসূরি! তাই কি হিন্দু নিধনের খবর চাপল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) চলেছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। সে দেশের বেশ কিছু সংবাদপত্র সে খবর ‘চেপে’ গিয়েছে বলে অভিযোগ। পাছে সরকারের রোষে পড়তে হয়, তাই খবর চাপা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারের ধামাধরা পত্রপত্রিকাগুলো তো আবার হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হয়নি বলেই দাবি করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ও। সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেই নৃশংসতা হোয়াইটওয়াশ করতে চেষ্টার ত্রুটি করেনি ‘ঢাকা ট্রিবিউন’। বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই দৈনিকের সম্পাদক পদে রয়েছেন জাফর শোভন (Zafar Sobhan)। তিনি হুসেন সইদ সুরাবর্দির বংশের উত্তরসূরী। এই সুরাবর্দিকে সবাই চেনেন ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে। তাঁর জন্যই স্বাধীনতার আগে আগে প্রাণ খোয়াতে হয়েছিল অখণ্ড ভারতের বহু হিন্দুকে।

    ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র প্রতিবেদন (Bangladesh Crisis)

    গত ২৩ অগাস্ট, শুক্রবার একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’। শিরোনাম ছিল ‘টেন থিংস ইন্ডিয়া নিডস টু নো অ্যাবাউট বাংলাদেশ’। এই প্রতিবেদনে জাফর সে দেশে নৈরাজ্য ও অনাচারের পরিণতি হিসেবে হিন্দুদের ওপর হামলাকে যুক্তিযুক্ত বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। প্রতিবেদনের শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দুরা বিপদে নেই। হ্যাঁ, শেখ হাসিনার পালানোর পর প্রাথমিক বিশৃঙ্খলায় অল্প সময় দেশে অরাজকতা ও অনাচার ছিল। এবং হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যবশত, যাদের টার্গেট করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু সদস্যও ছিল।’ নিজের দাবি সত্য বলে প্রতিপন্ন করতে ভারতের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক। ভারতে এটি ‘রেগুলার ইভেন্ট’ বলে দাবি করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘এরকম সময় যাদের টার্গেট করা হয়েছে, তারা প্রায়ই সব চেয়ে ক্ষমতাহীন ও আমরা সবাই জানি দক্ষিণ এশিয়ায় দুঃখজনকভাবে সংখ্যালঘুরা সব সময়ই অরক্ষিত থাকে।’

    হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা আড়ালের চেষ্টা 

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা আড়াল করতে পত্রিকা সম্পাদক উন্মত্ত মুসলমান জনতা দ্বারা সংঘটিত হিংসাকে রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুর পরিণতি হিসেবে মানতে রাজি নন। হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে যে ধর্মীয় উদ্দেশ্যই ছিল, তাও স্বীকার করেননি তিনি। সম্পাদক লিখেছেন, ‘হিন্দুরা যে গণহত্যার লক্ষ্যবস্তু ছিল, এটা সম্পূর্ণ ভুল। এটা ছিল বিপ্লবেরই একটা অংশ। তাদের লক্ষ্যবস্তু ও ক্ষমতাচ্যুত করা আসলে বিপ্লবেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল নিছকই একটি কল্পকাহিনি।’ বস্তুত, এর আগে প্রায় একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিল ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা বিবিসি। তারাও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণকে লঘু করে দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পরিস্থিতি শান্ত!

    হিন্দুদের ওপর সে দেশের মুসলমানরা কতটা সহমর্মী, তা প্রমাণ করতে ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক (Zafar Sobhan) দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কীভাবে বাংলাদেশে হামলাকারীদের হাত থেকে হিন্দুদের মন্দির রক্ষা করছেন মুসলমানরা, সেই ছবি। প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, ‘পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে শান্ত হয়েছে। হিন্দুদের ওপর হামলার পাশাপাশি কীভাবে হিন্দু-মুসলমান হাত ধরাধরি করে মন্দির রক্ষা করেছে, সেটাও উল্লেখযোগ্য বই কি!’ তাঁর দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভারতের চেয়ে ঢের বেশি সুরক্ষিত রয়েছেন। সংখ্যালঘুদের অধিকারের ক্ষেত্রে বিষয়গুলি বাংলাদেশে নিখুঁত নয় বলেও ওই প্রতিবেদনে স্বীকার করে নিয়েছেন ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক।

    কিন্তু, প্রশ্ন হল, ভারতে যদি সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত না হন, তবে মুসলমান জনসংখ্যা কীভাবে বাড়ছে? স্বাধীনতার সময় যে দেশে মুসলমান জনসংখ্যা ছিল ৯.৮৪ শতাংশ, সেখানে ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেল তাদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। এটা কীভাবে হল, তার কোনও ব্যাখ্যা ওই প্রতিবেদনে নেই। যেমন ছিল না বাংলাদেশে কীভাবে দিন দিন কমছে হিন্দু জনসংখ্যা, তার কৈফিয়ত।

    জাফর শোভনের এই ‘মিথ্যাচারে’র কারণ

    জাফর শোভনের এই ‘মিথ্যাচারে’র কারণ রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। মনে রাখতে হবে, জাফরের শরীরে বইছে ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর মাস্টারমাইন্ডের রক্ত। জাফর বাংলাদেশি সমাজকর্মী তথা আইনজীবী সালমা শোভনের ছেলে। এই সালমার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাংলার ঘাতক হুসেন সইদ সুরাবর্দির। ১৯৪৬ সালের ৬ অগাস্ট কলকাতা চাক্ষুষ করেছিল ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’। মুসলিম লিগ নেতা মহম্মদ আলি জিন্নার নির্দেশে এটা কার্যকর করা হয়েছিল। এই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুরাবর্দি। তাঁর নির্দেশেই হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে মুসলমানরা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    সুরাবর্দির কীর্তি

    সুরাবর্দি মুসলমান জনতার উদ্দেশে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেন। হিন্দুদের আক্রমণ করতে উৎসাহিতও করেছিলেন তিনি। সুরাবর্দি পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। তাই অত্যাচারিত হয়ে, সাহায্য চাইলেও, হিন্দুদের ডাকে (Zafar Sobhan) সাড়া দেয়নি পুলিশ। প্রসঙ্গত, ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-র সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কট্টরপন্থী মুসলমানরা নোয়াখালি হিংসার মতো হত্যাকাণ্ড চালাতে থাকে। সুরাবর্দির এই ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-ই ইতিহাসে ‘দ্য গ্রেট কিলিং ডে’ হিসেবে বিখ্যাত (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীযুক্ত মনোমোহন ও শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রের বাটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    সুরেন্দ্র দাদা ও সদরওয়ালার পদ—জাতিভেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এইবার সুরেন্দ্রের বাড়িতে আসিয়াছেন। আসিয়া দোতালা বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। সুরেন্দ্রের মোজোভাই সদরওয়ালা, তিনিও উপস্থিত ছিলেন। অনেক ভক্ত ঘরে সমবেত হইয়াছেন। ঠাকুর সুরেন্দ্রের দাদাকে বলিতেছেন (Kathamrita), আপনি জজ, তা বেশ, এটি জানবেন সবই ঈশ্বরের শক্তি। বড় পদ তিনিই দিয়েছেন, তাই হয়েছে। লোকে মনে করে আমরা বড়লোক; ছাদের জল সিংহটা মুখওয়ালা নল দিয়ে পড়ে, মনে হয় সিংহটা মুখ দিয়ে জল বার কচ্ছে। কিন্তু দেখ কোথাকার জল। কোথা আকাশে মেঘ হয়, সেই জল ছাদে পড়েছে, তারপর গড়িয়ে নলে যাচ্ছ; তারপর সিংহের মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে।

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা—মহাশয়, ব্রাহ্ম সমাজের বলে স্ত্রী-স্বাধীনতা; জাতিভেদ উঠিয়ে দাও; এ-সব আপনার কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরের উপর নূতন অনুরাগ হলে ওইরকম হয়। ঝড় এলে ধুলো ওড়ে, কোনটা আমড়া, আর কোনটা তেঁতুলগাছ, কোনটা আমগাছ বোঝা যায় না। ঝড় থেকে গেলে, তখন বোঝা যায়। নবানুরাগের ঝড় থেকে গেলে ক্রমে বোঝা যায় যে, ঈশ্বরই শ্রেয়ঃ নিত্যপদার্থ আর সব অনিত্য। সাধুসঙ্গ তপস্যা না করলে এ-সব ধারণা হয় না! পাখোইয়াজের বোল মুখে বললে (Kathamrita) কি হবে; হাতে আনা বড় কঠিন। শুধু লেকচার দিলে কি হবে; তপস্যা চাই, তবে ধারণা হবে।

    জাতিভেদ? কেবল এক উপায় জাতিভেদ উঠিতে পারে। সেটি ভক্তি। ভক্তের জাতি নাই। অস্পৃশ্য জাত শুদ্ধ হয়—চণ্ডাল ভক্ত হলে আর চণ্ডাল থাকে না! চৈতন্যদেব আচণ্ডালে কোল দিয়েছিলেন।

    ব্রহ্মজ্ঞানীরা হরিনাম করে, খুব ভাল। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে (Kathamrita) তাঁর কৃপা হবে, ঈশ্বরলাভ হবে।

    সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়। এক ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকে। যেমন একঘাটের জল হিন্দুরা খায়; বলে জল; আর-একঘাটে খ্রীষ্টানরা খায়, বলে ওয়াটার; আর-একঘাটে মুসলমানেরা খায়, বলে পানি।”

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা — মহাশয়, থিওজফি কিরূপ বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— শুনেছি নাকি ওতে অলৌকিক শক্তি (Miracles) হয়। দেব মোড়লের বাড়িতে দেখেছিলাম একজন পিশাচসিদ্ধ। পিশাচ কত কি জিনিস এনে দিত। অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়? ঈশ্বর যদি না লাভ হল তাহলে সকলই মিথ্যা!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অনুদান (Durga Puja donation) ফেরত দিল কলকাতার একটি নামী ক্লাব। এর আগে, হুগলির চারটি ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে, এই প্রথম কলকাতার কোনও ক্লাব একই পথে হাঁটল। এই বছর দুর্গাপুজোয় আয়োজক ক্লাবগুলিকে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদানের কোথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Rape-Murder) এবার এই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করল গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’ উদ্যোক্তারা।

    মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর বক্তব্য (RG Kar Rape-Murder)

    গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আরজি কর হাসপাতলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান (Durga Puja donation) করা হচ্ছে। নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য এই সিদ্ধান্ত। পুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা প্রতিবাদ স্বরূপ গ্রহণ করলাম না।’’ একই ভাবে এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিবছর আমরা মা দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আমরা দেখছি বর্তমান তৃণমূল সরকার মাকে নিয়ে আসার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছে, আর বিসর্জনের জন্য ১০ লক্ষ টাকার কথা বলা হচ্ছে। আমরা নির্যাতিতার বিচার চাই। একজন মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

    আমারা সরকারি অর্থে পুজো করব না

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে আগেই উত্তরপাড়ার তিনটি ক্লাব তৃণমূল সরকারের পুজোর অনুদান প্রত্যাখান করেছে। উত্তরপাড়ার মহিলাদের পুজো ‘বৌঠান সঙ্ঘ’,  ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’, ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’— এই তিনটি ক্লাব অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে। তিনটি ক্লাবের বক্তব্য, “আমরা সরকারি অর্থে পুজো করব না। আগে মহিলা চিকিৎসক খুনের ন্যায় বিচার চাই।” ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে চিঠি করা হয়েছে। এরপর কোন্নগরের ক্লাব ‘মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি’ একই পথে হেঁটেছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, “প্রতিবাদের ফলে যদি পরের বছর রাজ্য অনুদান (Durga Puja donation) না দেয়, তাহলেও আমাদের পুজো আটকাবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রীর দায়!

    উল্লেখ্য, রাজ্যে মমতার সরকার প্রতি বছর রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দিয়ে থাকে। আগে টাকার পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বেড়ে হয় ৬০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে অনুদানের পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ৭০ হাজার টাকা। এই বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে সেই অঙ্ক ৮৫ হাজার টাকা করেছেন। একই ভাবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খরচ মকুব করেছেন। প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতলে শিক্ষানবিশ-চিকিৎসককে ধর্ষণ (RG Kar Rape-Murder) করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতা হওয়ায় ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পরেন না, এমনটাই দাবি তুলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে নেমেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করে ভুল প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে! দাবি সিবিআইয়ের, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

    RG Kar: আরজি করে ভুল প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে! দাবি সিবিআইয়ের, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) নিহত তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে একাধিক বেনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার কথা যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের, তাঁরা তা করেননি। বদলে দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন অন্য ফরেন্সিক টিম (যাঁরা ওই কাজের যোগ্য নন!) চিকিৎসক মহলের মতে, সাধারণত ফরেন্সিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরাই মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। তাঁরা পেশায় চিকিৎসক হন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক গবেষকরা। তাঁরা চিকিৎসক নন। কিন্তু, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

    কী বলছে সিবিআই?

    প্রসঙ্গত দেহ থেকে যাঁরা (RG Kar) নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষ বিশেষ ঘটনার ক্ষেত্রে তাঁদের আলাদা আলাদা দক্ষতার প্রয়োজন থাকে। যেমন বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুতে কিছু বিশেষ দিক থাকে, আবার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নমুনা সংগ্রহের আলাদা দিক থাকে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের কথায়, “ঘটনাস্থলে আততায়ীর পায়ের ছাপ এবং হাতের ছাপের নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেমিনার হলে উপস্থিত অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও আইনজীবীদের প্রত্যেকেরই ওই বিষয়ে জানার কথা। তা সত্ত্বেও এমন হল কীভাবে?” জানা গিয়েছে, আরজি করের নিহত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন যে দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তাঁদের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিয়েছে সিবিআই। দু’জনকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে এবং তাঁরা ঠিক কাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তাও জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।

    কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার কথা লিখিতভাবে জানাবে সিবিআই

    এর পাশাপাশি, বেলগাছিয়াতে রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (RG Kar) কর্তাদেরও চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। ওই পরীক্ষাগারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই যোগাযোগ করলেও পরীক্ষাগারে কর্তারা কোনও রকমের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দেয়নি। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আর অভিযোগ, এক্ষেত্রে টালবাহানা এখনও অব্যাহত। সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, “মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহে ধোঁয়াশা রয়েছে। আবার, তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে মামলা দুর্বল করে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।” সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার বিষয়ে লিখিতভাবে তাঁরা জানাবেন।

    প্রথম থেকেই কি প্রমাণ লোপাটের (RG Kar) চেষ্টা শুরু হয়েছিল?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে ঘটনার দিন সেমিনার রুমে থিকথিক করছে ভিড়। সেই সময়ে আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের শিক্ষক চিকিৎসক দেবাশিস সোম সহ আরও অনেক জনই উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যেই দেবাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে সেমিনার রুমে পোস্টিং করা হয়েছিল সকালে, কিন্তু কে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তা খোলসা করেননি দেবাশিস। ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক দেবাশিসের উপস্থিত থাকা নিয়েও দানা বেঁধেছে বিতর্ক। চিকিৎসকদের একটা অংশ বলছে, কোনও ঘটনার তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে হলে সেই বিষয়ে সব থেকে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞই। তাহলে কি প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা শুরু হয়েছিল? কাকে আড়াল করতে? এমন প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দাবি করেছে, সকাল ন’টার পরেই দেহ দেখা গিয়েছিল কিন্তু বাস্তবে যে তেমনটা নয় তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছে সিবিআই। কারণ দেহ উদ্ধারের দিন সাত সকালেই সেমিনার রুমে ভিড়ের সমস্ত প্রমাণ দেখা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কি তবে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)? অন্তত এমনই জল্পনা দানা বেঁধেছে। কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সরকারিভাবে পাকিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে শেহবাজ শরিফের সরকার। জানা গিয়েছে, এ বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। সম্মেলন হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি। এই সম্মেলনেই (SCO Summit) যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।

    কী বলছে পাকিস্তান? (PM Modi)

    পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে সব সদস্য দেশের সরকারকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। ইসলামাবাদে এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর সরকারের প্রধানদের নিয়ে কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের বৈঠক হবে।” এসসিও সম্মেলনে যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, দিন দুই আগেই তা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান অবশ্যই এই আঞ্চলিক বৈঠকে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) আমন্ত্রণ জানাবে।” অক্টোবরের ১৫ ও ১৬ এই দুদিন ধরে সম্মেলন হবে ইসলামাবাদে।

    কী বলছে ভারত?

    গত বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সম্মেলন হয় জুলাই মাসে। সেবার ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তানকে। তার আগে মে মাসে গোয়ায় বৈঠকে বসেন এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। এই বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী বিলওয়াল জারদারি ভুট্টো। ভুট্টো এলেও, এসসিও-র মূল সম্মেলনে আসেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে যান কিনা, সেটাই দেখার। যদিও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে, ‘পাকিস্তানে এসসিও-র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন না। বা বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানে এই এসসিও বৈঠকে যাবে। স্পষ্ট করে দেওয়া ভালো যে, বিদেশমন্ত্রক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এই জাতীয় খবরগুলো উপেক্ষা করা উচিত।’

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৫ জুন প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় এসসিও-র। প্রথমে সদস্য দেশ ছিল পাঁচটি। বর্তমানে সদস্য দেশ ৯টি। এগুলি হল, ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, চিন, রাশিয়া এবং ইরান। ফি বছর একটি করে (PM Modi) দেশ আয়োজন করে সম্মেলনের (SCO Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে চমক, বারাণসীর ধাঁচে দ্বারকাতীরে হবে আরতি

    Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে চমক, বারাণসীর ধাঁচে দ্বারকাতীরে হবে আরতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki Amavasya 2024) তারাপীঠে (Tarapith) ভক্তদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। পুণ্যার্থী, ভক্ত এবং পর্যটকদের জন্য দ্বারকা নদীর পাড়ে বিশেষ গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যার অন্ধকার রাতে দ্বারকার পাড় এবার নতুন করে সেজে উঠবে। এই নিয়ে তারা মায়ের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দিয়েছে।

    আরতির প্রস্তুতি শুরু (Tarapith)

    বীরভূম জেলাশাসক এই আরতির বিষয় নিয়ে তারাপীঠ (Tarapith) উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, এই বছর কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2024) থেকে শুরু হবে দ্বারকার নদীতে আরতি। তাকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। নদীর পাড় বাঁধানোর কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে আরতির জায়গা ঠিক করা হয়েছে। অত্যন্ত তৎপর হয়ে প্রশাসন কাজ করেছে। তবে এতো দিন পর্যন্ত মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর আটলা মন্দির, বীরচন্দ্রপুর ছাড়া আর তেমন কোনও জায়গা ছিল না দেখার মতো। এবার থেকে আরতি একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মন্দির কমিটির বক্তব্য (Kaushiki Amavasya 2024)

    হাতে যেহেতু মাত্র আর কয়েকটা দিন তাই দ্রুত কাজ করছে টিআরডিএ। তারাপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘাট বাঁধানোর কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। শ্মাশান ঘাটে রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের জন্য বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। টাইলস দিয়ে সব কাজে সৌন্দর্যায়ণ চলছে। সেই সঙ্গে লাগানো হয়েছে রঙ্গিন ফুলের গাছ।”

    আরও পড়ুনঃ “সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ এই সব প্রয়োজন, তবে চিত্তশুদ্ধি হয়, তাঁর দর্শন হয়”

    পঞ্চপ্রদীপ হাতে আরতি (Tarapith)

    বারাণসীর মতো দ্বারকাতেও আরতির দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। পঞ্চপ্রদীপ হাতে তারা মায়ের সেবাইতরা প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতি (Kaushiki Amavasya 2024) করবেন। সারা বছর যেমন কাশীর গঙ্গার ঘাটে আরতি হয়, ঠিক সেই ভাবে আরতি করা হবে। তবে ভক্ত, পর্যটক, পুণ্যার্থীদের আগ্রহ এবং উৎসাহকে মাথায় রেখে আগেই কলকাতার গঙ্গাতীরে সন্ধ্যারতি শুরু হয়েছে। এবার তারা মায়ের মন্দিরকে আরও আকর্ষণীয় করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share