Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 116: “প্রহ্লাদ করজোড়ে হরির নিকট প্রার্থনা করিতেছেন, হে হরি, পিতাকে সুমতি দাও”

    Ramakrishna 116: “প্রহ্লাদ করজোড়ে হরির নিকট প্রার্থনা করিতেছেন, হে হরি, পিতাকে সুমতি দাও”

     

    সার্কাস রঙ্গালয়েগৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

                                              চতুর্থ পরিচ্ছেদ      

    মণি মল্লিকের ব্রাহ্মোৎসবে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ     

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কলিকাতায় শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিকের সিন্দুরিয়াপটীর বাটীতে ভক্তসঙ্গে শুভাগমন করিয়াছিলেন। সেখানে ব্রাহ্মসমাজের প্রতি বৎসর উৎসব হয়। বৈকাল, বেলা ৪টা হইবে। এখানে আজ ব্রাহ্মসমাজের সাংবাৎসরিক উৎসব। (২৬শে) নভেম্বর, ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দ। শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অনেকগুলি ব্রাহ্মভক্ত আর শ্রীপ্রেমচাঁদ বড়াল ও গৃহস্বামীর অন্যান্য বন্ধুগণ আসিয়াছেন। মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে আছেন।

    শ্রীযুক্ত মণিলাল ভক্তদের সেবার জন্য অনেক আয়োজন (kathamrita) করিয়াছেন। তিনি অদ্যকার উপাসনা করিবেন। তিনি এখনও গৈরিকবস্ত্র ধারণ করেন নাই।

    কথক মহাশয় প্রহ্লাদচরিত্র-কথা বলিতেছেন। পিতা হিরণ্যকশিপু হরির নিন্দা ও পুত্র প্রহ্লাদকে বারবার নির্যাতন করিতেছেন। প্রহ্লাদ করজোড়ে হরির নিকট প্রার্থনা করিতেছেন আর বলিতেছেন, “হে হরি, পিতাকে সুমতি দাও।” ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই কথা শুনিয়া কাঁদিতেছেন। শ্রীযুক্ত বিজয় প্রভৃতি ভক্তেরা ঠাকুরের (Ramakrishna) কাছে বসিয়া আছেন। ঠাকুরের ভাবাবস্থা হইয়াছে।

    শ্রীবিজয় গোস্বামী প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগকে উপদেশ—ঈশ্বর দর্শন ও আদেশপ্রাপ্তি, তবে লোকশিক্ষা

    কিয়ৎক্ষণ পরে বিজয়াদি ভক্তদিগকে বলিতেছেন, “ভক্তিই সার। তাঁর নামগুণকীর্তন সর্বদা করতে করতে ভক্তিলাভ হয়। আহা! শিবনাথের কী ভক্তি! যেন রসে ফেলা ছানাবড়া।

    এরকম মনে করা ভালো নয় যে, আমার ধর্মই ঠিক, আর অন্য সকলের ধর্ম ভুল। সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়। আন্তরিক ব্যাকুলতা থাকলেই হল। অনন্ত পথ—অনন্ত মত।”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Health Ministry: ‘যথাযথ আলো, কন্ট্রোল রুম স্থাপন’, ডাক্তারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের ১০ দফা সুপারিশ

    Union Health Ministry: ‘যথাযথ আলো, কন্ট্রোল রুম স্থাপন’, ডাক্তারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের ১০ দফা সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি হত্যার ঘটনা নয়, এর সঙ্গে দেশজুড়ে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত রয়েছে। হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে (Centarl Health Ministry) চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রকে সেই সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই নির্দেশিকা জারি করার জন্য কেন্দ্র সরকারকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। ঠিক এরই মধ্যে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের (Doctors Safety) কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রাখতে কী কী করণীয়, ২৮ অগাস্ট তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্য সচিব এবং পুলিশ ডিজিদের এই বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

    ১০টি করণীয় বিষয়ের তালিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Centarl Health Ministry) –

    ১. হাসপাতাল ভিতরে সবার চোখে পড়বে এমন জায়গায়, স্বাস্থ্য পরিষেবাদানকারীদের সুরক্ষা বিষয়ক আইন এবং শাস্তি বা দণ্ডের বিশদ বিবরণ, ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষায় লিখতে হবে।

    ২. সিনিয়র ডাক্তার (Doctors Safety) এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি ‘হাসপাতাল নিরাপত্তা’ এবং ‘হিংসা প্রতিরোধ’ কমিটি গঠন তৈরি করতে হবে। এই কমিটি দুটিই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কৌশল তৈরি করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।

    ৩. হাসপাতালের (Centarl Health Ministry) মূল এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষ এবং রোগীদের আত্মীয়দের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং রোগীর পরিচর্যাকারী এবং/অথবা আত্মীয়দের জন্য একটি কঠোর ‘ভিজিটর পাস’ নীতি প্রয়োগ করতে হবে।

    ৪. নাইট ডিউটির সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন, সেইসঙ্গে হস্টেল এবং হাসপাতালের অন্যান্য এলাকায় আবাসিক ডাক্তার এবং নার্সদের নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৫. সমস্ত ভবনের ভিতরে এবং হাসপাতাল ক্যাম্পাস জুড়ে যথাযথ আলো দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

    ৬. রাতের বেলা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নিয়মিত টহল দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

    ৭. ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে এমন একটি সিকিওরিটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করতে হবে।

    ৮. স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

    ৯. যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করতে হবে।

    ১০. ক্যাম্পাস জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা কার্যকর করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ‘পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন সন্দীপ’, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করল আইএমএ

    Sandip Ghosh: ‘পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন সন্দীপ’, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করল আইএমএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) সাসপেন্ড করল চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেই এমন পদক্ষেপ করেছে আইএমএ। বুধবার আইএমএ-র তরফ থেকে সন্দীপের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইএমএ জানিয়েছে, আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার এবং অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। আইএমএ-র মতে, ‘পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন সন্দীপ’!

    নির্দেশিকায় কী জানাল আইএমএ?

    সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) কাছে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে আরজি করের ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে আইএমএ। আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি আর ভি অশোকান একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির সদস্যরা আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে যান এবং সেখানে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন। সেই সময় নির্যাতিতার পরিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বলে খবর। এর পাশাপাশি আইএমএ মনে করেছে, আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপের (Sandip Ghosh) ভূমিকা মোটেও আশানুরূপ নয়। সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের মতে, যেভাবে সন্দীপ গোটা বিষয়টি সামলানোর চেষ্টা করেছেন, তাতে যথেষ্ট সহানুভূতির অভাব ছিল। সন্দীপকে সাসপেন্ড করার আগে কেন্দ্রীয় আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখার পদাধিকারীদের সঙ্গেও কথা বলে। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষ নিজে আইএম-এর কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ওই নির্দেশিকায় আইএমএ আরও জানিয়েছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে সংগঠনেরই অনেক চিকিৎসক ক্ষুদ্ধ। সন্দীপ এই পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন বলেও অভিযোগ এনেছে আইএমএ। অনেকেই সন্দীপের শাস্তির দাবিও জানিয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে আইএমএ-এর তরফে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্দীপকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএমএ।

    প্রথম থেকেই ক্ষোভ সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নামেন। প্রথম থেকেই তাঁদের ক্ষোভ দেখা গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। প্রথম দিন থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনের চাপে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) নিজে ইস্তফা দেন। সকালে ইস্তফা দেওয়ার পরে বিকেলে তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দেয় রাজ্য সরকার। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আরজি কর কাণ্ড কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছালে সন্দীপ ঘোষকে প্রধান বিচারপতি লম্বা ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং ন্যাশনাল মেডিক্যালের দায়িত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মামলার তদন্তভার সিবিআই গ্রহণ করলে সন্দীপ ঘোষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে থাকে। গত রবিবার তাঁর বাড়িতেও হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরই মাঝে আইএমএ (Indian Medical Association) সাসপেন্ড করল সন্দীপ ঘোষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata-Bangkok highway: কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে জুড়বে ব্যাংকক! ২৮০০ কিমি হাইওয়ে প্রকল্প কেন্দ্রের

    Kolkata-Bangkok highway: কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে জুড়বে ব্যাংকক! ২৮০০ কিমি হাইওয়ে প্রকল্প কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডকে সংযুক্ত করতে কলকাতা-ব্যাংকক (Kolkata-Bangkok highway) হাইওয়ে বা মহাসড়কের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মহাসড়ক সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের সঙ্গে বাকি দুই দেশের সড়ক পথের মেলবন্ধনকে শক্তিশালী করবে। এই পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রাধান্য পাবে। প্রস্তাবিত এই মহাসড়কের নাম হবে ত্রিপাক্ষিক মহাসড়ক বা  ট্রাইল্যাটারাল হাইওয়ে। তিন দেশের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে একযোগে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। খুলে যাবে অপার সম্ভাবনা।

    মোট ২৮০০ কিমি মহাসড়ক হবে (Kolkata-Bangkok highway)

    এই প্রস্তাবিত মহাসড়ক (Kolkata-Bangkok highway) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহর থেকে ব্যাংকক পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে। তাইল্যান্ড পর্যন্ত সড়ক হলেও মাঝখানে মায়ানমারের উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ হবে। ফলে তিন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ ও আঞ্চলিক পরিসরের নৈকট্য বৃদ্ধি পাবে। এই সড়কের দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২৮০০ কিলোমিটার হবে। তবে বাকি দুই দেশের তুলনায় ভারতে সবথেকে দীর্ঘ পথ হবে। এই মহাসড়ক ভারতের লুক ইস্ট নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এই প্রকল্পটি বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশনের (বিমস্টেক) ​​অংশ। এটি নির্মিত হলে ভারতের দীর্ঘতম হাইওয়ে প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

    বাজপেয়ী সরকার প্রস্তাবনা করেছিল

    ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উন্নীত করার জন্য ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এই ত্রিপাক্ষিক হাইওয়ের (Kolkata-Bangkok highway) প্রস্তাব পেশ করেছিল। প্রকল্পটির লক্ষ্য তিনটি দেশের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাকে উন্নীত করা। বর্তমানে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে একাধিক বাধাকে অতিক্রম করে মহাসড়কটি ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কোন কোন শহর যুক্ত হবে

    কলকাতা-ব্যাংকক (Kolkata-Bangkok highway) হাইওয়ের মূল সুবিধাগুলি হল, দেশ এবং বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে সংযুক্ত করা যাবে। মহাসড়ক নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন জীবনরেখা বা লাইফ লাইন তৈরি করা। এই সড়ক তিনটি দেশের অন্যান্য প্রধানগুলির মধ্যে যেমন-ব্যাংকক, ইয়াঙ্গন, মান্ডালে এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করবে। একই ভাবে ভারতের শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি এবং কোহিমার মতো শহরগুলিকেও সংযুক্ত করা হবে। এতে আঞ্চলিক সংযোগ আরও উন্নত হবে। হাইওয়েটি শুধুমাত্র এই তিন দেশই নয়, পূর্ব-পশ্চিম করিডর যথা — কম্বোডিয়া থেকে শুরু করে লাওস এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই হাইওয়ে।

    উন্নত বিকল্প ভ্রমণপথ

    এই মহাসড়ক (Kolkata-Bangkok highway) একবার চালু হলে কলকাতা এবং ব্যাংককের মধ্যে যাত্রার একটি বিকল্প পথ পাবেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, এই মহাসড়কে গাড়ি চালানোর জন্য বিশেষ অনুমতিও দেওয়া হবে। বিমান যাত্রার বিকল্প পথের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করবে এই হাইওয়ে। একই ভাবে ভ্রমণ বা যাত্রায় খরচ কম হবে।

    আরও পড়ুন:১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    বাণিজ্য বৃদ্ধি

    মহাসড়কটি (Kolkata-Bangkok highway) ভারত এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে রফতানি ও আমদানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে। এই পথে বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলস্বরূপ অর্থনৈতিক দিকটিও উন্নীত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক পরিকাঠামো, পর্যটন শিল্প, শিল্পাঞ্চল, কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বিরাট প্রভাব পড়বে। তবে মহাসড়কটিকে কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করে বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন নির্মাণ এবং নানা বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি মহাসড়কের আশেপাশের এলাকায় শীঘ্রই বিনিয়োগ করবে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরেই আটকে ছিল কাজ

    ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে বসেছিলেন মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে। মায়ানমারের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি। এই বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ভারত-মায়ানমার-তাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক মহাসড়কের ওপর। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু মায়ানমারের রাজনৈতিক অশান্ত পরিস্থিতির কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরেই এই রাস্তার কাজ থমকে গিয়েছিল। এবার মনে করা হচ্ছে দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, শনিবার পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা, মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, শনিবার পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা, মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সাতদিন মাঝারি বৃষ্টির (Weather Update) পূর্বাভাস রয়েছে বঙ্গে। একই সঙ্গে ১২টি জেলায় রয়েছে হলুদ সর্তকতা (Yellow warning)। বঙ্গোপসাগরে এখনও রয়েছে একটি নিম্নচাপ। এর ফলে শনিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর জানা গিয়েছে, আগামী সাতদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Update) হবে। তবে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার কলকাতা শহরের একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের একাধিক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে বৃহস্পতিবার দুই চব্বিশ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা (Yellow warning)।

    আরও পড়ুন: একসঙ্গে নবান্ন-লালবাজার-কালীঘাট অভিযান! বড় কর্মসূচির ডাক দিলেন শুভেন্দু

    কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে

    অনুরূপ আবহাওয়ার পরিবেশ থাকবে উত্তরবঙ্গেও। উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং বাদে বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টির (Weather Update) তেমন কোনও সম্ভাবনা না থাকলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কলকাতায় তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টির কারণে শহরের তাপমাত্রা কিছুটা কম হয়েছে।বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৫ কিমি বেগে বাতাস বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এই উত্তাল পরিস্থিতি থাকবে। শুক্র ও শনিবার পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে সমুদ্রে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: একসঙ্গে নবান্ন-লালবাজার-কালীঘাট অভিযান! বড় কর্মসূচির ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: একসঙ্গে নবান্ন-লালবাজার-কালীঘাট অভিযান! বড় কর্মসূচির ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দাবি এক- মমতার পদত্যাগ’, এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এবার একসঙ্গে নবান্ন-লালবাজার-কালীঘাট অভিযানের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বুধবার, বন‍্‍ধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে নন্দীগ্রামে বিরাট মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (LoP West Bengal)। সেখানেই তিনি এই কর্মসূচির কথা জানান। তবে ঠিক কবে এমন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে তার দিনক্ষণ অবশ্য ঘোষণা করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। স্লোগান দিতে দিতে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। ছাত্রদের ওপর লাঠি চলল কেন? মমতা জবাব দাও। টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়লে কেন, মমতা জবাব দাও।’’ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বন‍্‍ধ সর্বাত্মক। চারদিক শুনশান। এটা বিজেপির বন‍্‍ধ নয়, সাধারণ মানুষের বন‍্‍ধ। এই সরকারের সময় হয়ে এসেছে।’’

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ছাত্রদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও পথে নেমেছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, আজ বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘৭০ বছরের প্রবীণা আজকের সমাবেশে কী করতে যাবেন? উনি কি ছাত্রী?’’ শুভেন্দুর (LoP West Bengal) কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো। ওঁর ভাইপো তথা ‘বাছুর’-এর এমবিএ ডিগ্রি ভুয়ো। তাঁরা আবার ছাত্র সমাবেশে কী বার্তা দেবেন?’’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে তাঁকে টেনে বের করা সুপ্রতিম সরকারকে এখন কলকাতার নগরপাল করতে চাইছেন। সে কারণে বিনীত গোয়েল যে কোনওভাবে মমতাকে তুষ্ট রাখতে চাইছেন।’’

    ভাটপাড়াতে গুলি চলল কেন, মমতা জবাব দাও

    অপর দিকে, বাংলা বন‍্ধের মধ্যেই ভাটপাড়ায় গুলি চলে। কানে গুলি লাগে এক ব্যক্তির। এই ঘটনাতেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ভাটপাড়াতে গুলি চলল কেন, মমতা জবাব দাও।’’ এরপরেই ফের স্লোগান তুললেন, ‘‘জনতা রাজপথে, তৃণমূল হুঁশিয়ার।’’ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের হয়ে যাঁরা নবান্ন চলো কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম সায়ন লাহিড়িকে মঙ্গলবার একটি নিউজ চ্যানেলের অফিসের বাইরে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সায়নের পাশে আমরা আছি। সায়নের পরিবার আদালতে গিয়েছে। চার ছাত্রকে গতকাল মুক্তি দিয়েছে। তবে অ্যারেস্ট মেমো বা ওয়ারেন্ট দেখাতে হবে, কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: গৃহবন্দি সজল ঘোষ, বাড়ি ঘিরে বিশাল পুলিশ বাহিনী, পাল্টা পাহারা মহিলাদের

    BJP Bangla Bandh: গৃহবন্দি সজল ঘোষ, বাড়ি ঘিরে বিশাল পুলিশ বাহিনী, পাল্টা পাহারা মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন‍্ধের দিন (BJP Bangla Bandh) সকাল থেকেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) বাড়ি ঘিরে রাখল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বুধবার সকাল থেকে বন‍্ধের সমর্থনে সজল ঘোষ নিজের এলাকায় মিছিল শুরু করেন। এই সময়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরে সজল ঘোষ বাড়িতে চলে যান। তারপরেই তাঁর বাড়ি ঘিরে ধরে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে, সজল ঘোষের এলাকার মহিলারা পাল্টা বাড়ির সামনে পাহারা দিতে শুরু করেন, যাতে বিজেপি নেতাকে পুলিশ তুলতে না পারে।

    কী বলছেন সজল ঘোষের পাড়ার মহিলা?

    সজল ঘোষের সপক্ষে দাঁড়ানো এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমাদের একজন মহিলা বন্ধুকে যেমন হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে গেল, ঠিক একইভাবে সজল ঘোষকেও একবার হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে গিয়েছিল। আমাদের ওপর দিয়ে সজল ঘোষকে (Sajal Ghosh) নিয়ে যেতে হবে।’’ সজল ঘোষের বাড়ির সামনে হাজির হন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও। সজল ঘোষের বাড়ির বাইরে এত পুলিশ নিয়ে ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করছে প্রশ্নও। কেউ কেউ বলছেন, এই পুলিশই আরজি করে সক্রিয় থাকলে এমন কাণ্ড হত না।

    কী বলছেন সজল ঘোষ?

    এই পরিস্থিতিতে ঘরে আটকা পড়া সজল বলেন, ‘‘আমি চাই পুলিশ এখানে থাকুক। আমাদের আন্দোলনকারীরা বাকি জায়গায় আন্দোলন করুক। আমাকে যা করার করুক। দরজা ভেঙে নিয়ে যাক না। পালিয়েছি নাকি? আমি চাইলে এখনও পালাতে পারি। কিছু করতে পারবে না। কিন্তু, পালাব না।’’

    বুধবার সকালের ঘটনা (BJP Bangla Bandh) 

    আজ বুধবার সকালে সজল ঘোষ বের হন বন‍্ধের সমর্থনে। দোকানদারদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘দাদা আজ বন‍্‍ধ’, ‘বাকি দিনগুলি ভালো কাটাতে গেলে একটা দিন কষ্ট করতে হবে’। এক মিষ্টির দোকানেও ঢুকতে দেখা যায় সজলকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এই লড়াই আমার একার নয়। এই লড়াই সবার।’’ এই সময় হঠাৎ করেই দেখা যায় একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক এসে ঝামেলা শুরু করেন, ‘বন‍্‍ধ কীসের?’, ‘কোনও বন‍্‍ধ হবে না’, ইত্যাদি বলতে শুরু করেন। এরপরেই তাঁরা বিজেপির (BJP Bangla Bandh) মিছিলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP Bangla Bandh: ওভারহেড তারে কলাপাতা, লাইন অবরোধ সমর্থকদের, বিজেপির বন‍্ধে থমকে রেল

    BJP Bangla Bandh: ওভারহেড তারে কলাপাতা, লাইন অবরোধ সমর্থকদের, বিজেপির বন‍্ধে থমকে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে বন‍্ধের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। দিকে দিকে রেল অবরোধে সামিল হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা (BJP Bangla Bandh)। একাধিক স্টেশনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ট্রেনের ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করেন। হুগলি, কাটোয়া, শিয়ালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর— এই সমস্ত জায়গাগুলিতে ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিজেপির বন‍্ধের ফলে অনেক জায়গাতে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে লোকাল ট্রেন।

    হুগলিতে রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী 

    বুধবার সকালেই (BJP Bangla Bandh) হুগলি স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল অবরোধ করেন তাঁরা। রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। ১ ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে। অন্যদিকে, হিন্দমোটর স্টেশনে অবরোধে বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। রেল লাইনে বসেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ট্রেন চলাচল আটকাতে ওভারহেড তারে কলাপাতা ছুড়ে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি বন‍্ধের সমর্থনে জনগণকে আজ রাস্তায় না বেরনোর আবেদনও জানান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুরুলিয়া রেল স্টেশনে লাইনের ওপরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে দলের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

    বারাকপুর ও মুর্শিদাবাদে রেললাইনে অবরোধ

    অন্যদিকে, বারাকপুর স্টেশনেও বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরা অবরোধ শুরু করেন। দলের নেতা কৌস্তভ বাগচীকে দেখা যায় রেললাইন ধরে হাঁটতে, তাঁর কাঁধে ছিল বিজেপির পতাকা (BJP Bangla Bandh)। পরে এখানেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সাত সকালেই অবরোধ শুরু হয় জিয়াগঞ্জ স্টেশনে। মুর্শিদাবাদ স্টেশনেও একই চিত্র দেখা যায়। এর পাশাপাশি বহরমপুর স্টেশনেও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

    সোনারপুরে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বিজেপির (BJP Bangla Bandh)

    অন্যদিকে, সোনারপুরেও ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি। সোনারপুরে রেল লাইনের উপর শুয়ে পড়েন পদ্ম-কর্মীরা। জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরে সোনারপুর থানাতেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি বেধে যায়। কৃষ্ণনগরেও রেললাইনে নেমেও বিক্ষোভ দেখাত থাকেন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। এরফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন পরিষেবা।

    লক্ষীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকরা

    বীরভূম জেলার রামপুরহাট স্টেশনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রেল অবরোধ শুরু করেন। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার লক্ষীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকরা। যার জেরে ওভারহেডের তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, বনগাঁ হাওড়া-ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয় সকাল থেকেই। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা স্টেশনে রেল অবরোধ করেন। বসিরহাট স্টেশনেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকেই অবরোধ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    BJP Bangla Bandh: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজ্যে আজ ১২-ঘণ্টার বন‍্‍ধ ডেকেছে বিজেপি। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই একদিকে যেমন বন‍্ধের সমর্থনে ব্যাপক সাড়া দেখা গিয়েছে, তেমনই বন‍্‍ধ সমর্থনকারী ও পুলিশ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের খবরও আসছে।

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-অবরোধ বিজেপির

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-অবরোধে সামিল বিজেপি কর্মীরা। এরই মধ্যে পুরাতন মালদায় বন্‌ধকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সামনেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তাদের কার্যত হিমশিম খেতে হয়। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে মারপিট শুরু হয়ে যায়। কোচবিহারে বনধ পালন করতে গিয়ে আটক করা হয় দুই বিজেপি বিধায়ক তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় ও কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-কে। বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে বন্‌ধের সমর্থনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা পিকেটিং করেন। গ্রেফতার করা হয় বালুরঘাট টাউন বিজেপির সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্তকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে রাজ্যজুড়ে স্থানীয় বাজারগুলিতেও। বন্ধ দোকানের ঝাঁপ। 

    ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    বুধবার সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায়। লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকেরা। যার জেরে রেলের ওভারহেড তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে পড়ে শিয়ালদা থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর, কাকদ্বীপ, নামখানাগামী ট্রেন চলাচল। বিজেপির (BJP) কর্মী সমর্থকরা বনগাঁ স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন। অবরোধ করা হয় কৃষ্ণনগর স্টেশনেও  (BJP Bangla Bandh)।

    রানাঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নেতৃত্বে একাধিক রেল স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন বন্‌ধ সমর্থকেরা (BJP Bangla Bandh)। এখানেও শাসক দলের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। মুর্শিদাবাদ জেলারও বেশ কয়েকটি স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মুর্শিদাবাদ স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন পদ্ম শিবিরের কর্মীরা। বহরমপুরেও বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট। উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটে বুধবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়।

    বন্‌ধের প্রভাব কলকাতায়

    অন্যদিকে, ভবানীপুরে বনধ পালন করতে হাজির বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। যদুবাবুর বাজারে এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী।  টালা ব্রিজে বন‍্‍ধ সফল করতে অবরোধ শুরু কেন বিজেপি কর্মীর। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফে রাজ্য সরকারের খাদ্য ভবনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। বন‍্‍ধ সফল করতে সরকারি কর্মচারীদেরকে কাজে যোগদান না করার কথা বলা হয় বিজেপির তরফে। ধর্মতলায় মেট্রো বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টাও করেন বিজেপি কর্মীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh power crisis: বিপুল দেনা, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিয়ে চলেছে ভারত

    Bangladesh power crisis: বিপুল দেনা, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিয়ে চলেছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশ (Bangladesh power crisis)। দেশে বিদ্যুতের চাহিদার জোগান দিতে ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনে পড়শি এই দেশ। তবে সেটাও নগদে নয়, ধারে। জানা গিয়েছে, ভারতের (Adani Power) পাঁচটি কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনেছে, সে বাবদ বকেয়া রয়েছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই বকেয়ার সিংহভাগই আবার রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর কাছে। আদানি গোষ্ঠীর ঝাড়খণ্ডে প্ল্যান্ট রয়েছে। সেখান থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানিরা। সাম্প্রতিক এক মিডিয়া রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে বাংলাদেশের এই দেনার পরিমাণের কথা। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে আদানি গোষ্ঠীর প্রাপ্য প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    কার কাছে বিদ্যুৎ কেনে বাংলাদেশ (Bangladesh power crisis)

    ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় রয়েছে আদানিদের প্ল্যান্ট। ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন করিডরের মাধ্যমে ১.৬জিডাব্লু কোলফায়ার্ড প্ল্যান্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাওয়ার সাপ্লাই করে আদানিদের ফার্ম। বাকি যে চার ভারতীয় কোম্পানির কাছে বিদ্যুৎ বাবদ বাংলাদেশের দেনা রয়েছে, সেগুলি হল এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়া, এনটিপিসি, পিটিসি ইন্ডিয়া এবং পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কেবল এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়ার পাওনা রয়েছে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের (Bangladesh power crisis) কাছে এনটিপিসির পাওনা ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। মার্চের শেষ পর্যন্ত পিটিসি ইন্ডিয়া পাবে প্রায় ৮৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর চলতি বছরের ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিডের পাওনা ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে পিটিসির যা বকেয়া, তার মধ্যে ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধ করেছে বাংলাদেশ।

    কত বিদ্যুৎ দেওয়া হয় বাংলাদেশকে

    ভারতের এই পাঁচ কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ কত পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনবে, তার একটা (Adani Power) চুক্তিও রয়েছে। সেই চুক্তি মোতাবেক এসইআইএল এনার্জি থেকে ঢাকা কিনবে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ, এনটিপিসি সরবরাহ করে ৭৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এনটিপিসির তিনটি প্ল্যান্ট থেকে ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। পিটিসি বাংলাদেশকে দেয় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এত পরিমাণ পাওনা হলেও, ভারতের এই কোম্পানিগুলো সে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকায় বকেয়া থাকলেও, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায়নি ভারতীয় কোম্পানিগুলি। বকেয়া না মেটানোয় উদ্বেগে আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, এটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। কারণ ফার্মগুলোকে তাদের স্টেকহোল্ডারদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমাদের দ্রুত একটা সমাধান প্রয়োজন। কারণ নিরন্তর বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি। বিশেষত লেন্ডার, কয়লা সাপ্লায়ার্স, স্পেয়ার্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস। প্ল্যান্ট অপারেশন রিলেটেড সার্ভিসকেও পেমেন্ট দেওয়া প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    রাজনীতিতে ডামাডোল

    বর্তমানে বাংলাদেশে (Bangladesh power crisis) চলছে ডামাডোল। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে হিংসায় জ্বলছে পড়শি দেশ। বেছে বেছে নির্যাতন করা হয়েছে সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ওপর। হিন্দু পরিবারের মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ (Adani Power)। হিন্দু পদাধিকারীদের বাধ্য করা হয়েছে পদত্যাগে। মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানও উঠেছে। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। সেই সরকারের প্রধান হয়েছেন মহম্মদ ইউনূস।

    মহম্মদ ইউনূসের সিদ্ধান্ত

    নোবেল জয়ীএই ইউনূসই যে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার একটা বড় অংশই ভারত বিরোধী বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। বেশ কয়েকজন কুখ্যাত জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরেও ভারত হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বন্ধুত্বের। হিন্দু নির্যাতন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে ইউনূসকেও বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। তার পরেও বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন পুরোপুরি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে নিরন্তর বিদ্যুৎ (Adani Power) সরবরাহ করে চলেছে ভারত। আজ্ঞে, হ্যাঁ, মাসের পর মাস বকেয়া না পেয়েও (Bangladesh power crisis)।

               

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share