Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

    বেলঘরে হইতে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ভক্তেরা আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) যেদিন তাঁহার বাটীতে শুভাগমন করিয়াছিলেন, সেদিন গায়কের “জাগ জাগ জননি” এই গান শুনিয়া সমাধিস্থ হইয়াছিলেন। গোবিন্দ সেই গায়কটিকেও আনিয়াছেন। ঠাকুর গায়ককে দেখিয়া আনন্দিত হইয়াছেন ও বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি কিছু গান কর। গায়ক গাইতেছেন:

    ১। দোষ কারু নয় গো মা,
    আমি স্বখাত-সলিলে ডুবে মরি শ্যামা।

    ২। ছুঁসনা রে শমন আমার জাত গিয়েছে।
    যদি বলিস ওরে শমন জাত গেল কিসে,
    কেলে সর্বনাশী আমায় সন্ন্যাসী করেছে।

    রাগিণী-মূলতান 

    ৩। জাগ জাগ জননী
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্য সাধনে চল মা শির মধ্যে,
    পরম শিব যথা সহস্রদল পদ্মে,
    করি ষড়চক্র ভেদ ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এই গানে ষড় চক্র ভেদের কথা আছে। ঈশ্বর বাহিরেও আছেন, অন্তরেও আছেন। তিনি ভিতরে থেকে মনের নানা অবস্থা করছেন। ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়। এরই নাম ঈশ্বরদর্শন।

    “মায়া দ্বার ছেড়ে না দিলে ঈশ্বরদর্শন হয় না। রাম, লক্ষ্মণ আর সীতা একসঙ্গে যাচ্ছেন; সকলের আগে রাম, মধ্যে সীতা, পশ্চাতে লক্ষ্মণ। যেমন সীতা মাঝে মাঝে থাকাতে — লক্ষ্মণ রামকে দেখতে পাচ্ছেন না, তেমনি মাঝে মায়া থাকাতে জীব ঈশ্বরকে দর্শন করতে পাচ্ছে না। (মণি মল্লিকের প্রতি) তবে ঈশ্বরের কৃপা হলে মায়া দ্বার ছেড়ে দেন। যেমন দ্বারওয়ানরা বলে, বাবু হুকুম করে দিন—ওকে দ্বার ছেড়ে দিচ্ছি।

    “বেদান্ত মত আর পুরাণ মত। বেদান্তমতে বলে, ‘এই সংসার ধোঁকার টাটি’ অর্থাৎ জগৎ সব ভুল, স্বপ্নবৎ। কিন্তু পুরাণমত বা ভক্তিশাস্ত্রে বলে যে, ঈশ্বরই (Ramakrishna) চতুর্বিংশতি তত্ত্ব হয়ে রয়েছেন। তাঁকে অন্তরে বাহিরে পূজা কর।

    “যতক্ষণ ‘আমি’ বোধ তিনি রেখেছেন ততক্ষণ সবই আছে। আর স্বপ্নবৎ বলবার (Kathamrita) জো নাই। নিচে আগুন জ্বালা আছে, তাই হাঁড়ির ভিতরে ডাল, ভাত, আলু, পটোল সব টগ্‌বগ্‌ করছে। লাফাচ্ছে, আর যেন বলছে, ‘আমি আছি, আমি লাফাচ্ছি।’ শরীরটা যেন হাঁড়ি; মন বুদ্ধি—জল ইন্দ্রিয়ের বিষয়গুলি যেন—ডাল, ভাত, আলু পটোল। অহং যেন তাদের অভিমান, আমি টগ্‌বগ্‌ করছি! আর সচ্চিদানন্দ অগ্নি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে অনুমতি দিল্লির উপ-রাজ্যপালের

    Arvind kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে অনুমতি দিল্লির উপ-রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি মামলায় (Excise Case) কেজরিওয়ালের (Arvind kejriwal) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে ইডি। এবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অনুমতি দিলেন উপ-রাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। উল্লেখ্য আগেই দুর্নীতি মামলায় জেল গিয়েছিলেন এই আপ প্রধান নেতা, বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। এদিকে সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, ফলে আসন্ন নির্বাচনের আগে তাঁর যে আরও অস্বস্তি বাড়ল তা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

    বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে (Arvind kejriwal)

    কেজরিওয়ালের মামলায় গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল তার ভিত্তিত্বে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় (Excise Case) বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির উপ-রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। গত ৫ ডিসেম্বর সেই আবেদনের পর শনিবার অনুমোদন দিলেন সাক্সেনা। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। যদিও আগে ইডির কোনও মামলায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হত না। সিবিআই বা রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে সেই সম্মতি দরকার হতো। সুপ্রিম-নির্দেশের পর ইডির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হয়।

    আরও পড়ুনঃ মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    দিল্লি বিধানসভার আগে আরও অস্বস্তিতে কেজরিওয়াল

    আবগারি মামালায় ইডির সপ্তম অতিরিক্ত চার্জশিটের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল (Arvind kejriwal)। নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তাঁর অবশ্য যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আগে থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। যা ইডি নেয়নি বলে তাঁর অভিযোগ ছিল। যদিও আবগারি মামলায় গত জুলাই মাসে ২০০ পাতার চার্জশিটে আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে কেজরিওয়াল এবং দিল্লির শাসকদল আপকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কেজরিওয়ালের (Excise Case) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য চার্জশিটে আছে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    গত ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। একই মামলায় সিবিআই তাঁকে ২৬ জুন শোন অ্যারেস্ট করে। এই দুই ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এরপর জেল থেকে বের হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন এবং পদে শপথ নেন আতিশী মার্লেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নেমে আসে। এরপর থেকেই হিন্দুদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুরু হয়। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই বড় আকারের সমাবেশ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট (Targeting Minority)। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ অক্টোবর এখানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সমাজের ধর্মীয় নেতারা এবং তাঁরা নিজেদের বক্তব্যে হিন্দু ধর্ম তথা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে সরব হন।

    ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা (Bangladesh Crisis 10)

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি সমেত অন্যান্য আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামে এক বিশাল হিন্দু সমাবেশ আয়োজন করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। হিন্দু সমাজের ওই সমাবেশের পরে ফের একের পর এক সম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়। চট্টগ্রামে অক্টোবর মাসেই বিতর্কিতভাবে দেশদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয় ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইস্কন সন্ন্যাসীরাও। অভিযোগ করা হয় যে ইসকনের ওই সন্ন্যাসীরা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জাতীয় পতাকার ওপরে গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেছেন।  

    ২ নভেম্বর সনাতন জাগরণ মঞ্চের সভা

    হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চলতে থাকে নভেম্বর মাসেও। সেই সময়ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) একাধিক জায়গায় মন্দিরে-মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে লুট, অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। গত ২ নভেম্বর সেখানকার সনাতন জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় সভা করে। চট্টগ্রামের ওই সভার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল, বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হওয়া হামলার বিচার। বিপুল সংখ্যায় হিন্দুরা ওই সমাবেশে যোগদান করে এবং তারা নিরাপত্তা তথা বিচারের দাবিতে গর্জন শুরু করে।

    বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা

    বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর লাগাতার এমন অত্যাচারের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সমেত বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জেলায় জেলায় বিক্ষোভের পাশাপাশি, নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে গোটা বিশ্বের সনাতনীরা মাঠে নেমে পড়ে। এক ব্যাপক হিন্দু আন্দোলন গড়ে ওঠে সারা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের কমবেশি প্রত্যেকটি দেশেই শুরু হয় প্রতিবাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সনাতনীরা হাতে পোস্টার এবং ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সব থেকে বড় আকারের বিক্ষোভ হয়। বাংলাদেশি হিন্দু বংশোদ্ভুতরা জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নিউইয়র্কের এই বিক্ষোভে ব্যাপক প্রভাব পড়ে দুনিয়াজুড়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনাগুলিকে খবরের আকারের প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করে। বিক্ষোভ চলতে থাকে মিশিগান, ওয়াশিংটন প্রভৃতি শহরে।

    বিক্ষোভ হোয়াইট হাউসের সামনেও

    অন্যদিকে, হিন্দুরা ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। গোটা দুনিয়ার নজরে আনা হয় বাংলাদেশ সরকারের এমন বর্বরোচিত আচরণ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ দেখা যায় ব্রিটেনেও। সেখানেও দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নামে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে হওয়া আক্রমণের ঘটনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিং-এর সামনে বিবিসি হেডকোয়ার্টারের পাশেই বিক্ষোভ চলতে থাকে। একইসঙ্গে বিক্ষোভ দেখানো হয় লন্ডনেও। শুধুমাত্র ব্রিটেন কিংবা আমেরিকা নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শুরু হয় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাপক সংখ্যায় হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সে দেশে বিক্ষোভ চলে মেলবোর্ন অ্যাডিলেড পার্ক প্রভৃতি স্থানে।

    গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদীদের পাশাপাশি সে দেশে প্রশাসনের মদতেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্বিচারে অত্যাচার শুরু হয়। হয়রানি করা হতে থাকে সেখানকার সাধু-সন্ন্যাসীদের। ইসকনের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, যিনি ছিলেন সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম মুখপাত্র এবং ইসকনের সন্ন্যাসী, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দেশদ্রোহিতার এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করার। এরপরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে যেদিন চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়, সেদিন ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। সেখানে নিহত হয় এক আইনজীবী।

    গ্রেফতার চিন্ময় প্রভু, বিক্ষোভ বাংলাদেশজুড়ে 

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে আবার ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে। দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করতে থাকেন। বিক্ষোভ শুরু হয় চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে। এর পাশাপাশি ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী প্রত্যেকটি জায়গাতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামে দলে দলে হিন্দুরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ইসকন আনুষ্ঠানিকভাবে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sambhal: সম্ভলের পাঁচটি মন্দির ও ১৯টি কূপ পরিদর্শন করল এএসআই, তালিকায় রয়েছে শিব-হনুমান মন্দিরও

    Sambhal: সম্ভলের পাঁচটি মন্দির ও ১৯টি কূপ পরিদর্শন করল এএসআই, তালিকায় রয়েছে শিব-হনুমান মন্দিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal) আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পাঁচটি মন্দির এবং ১৯টি কূপ পরিদর্শন করা হয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম এলাকায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা শিব-হনুমান মন্দিরও ছিল। প্রসঙ্গত, এই মন্দির উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল এক অদ্ভূত ভাবে। এলাকায় ব্যাপক ভাবে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আসছিল। পুলিশ চুরি ঠেকাতে অভিযানে নামলে উদ্ধার হয় এই শিব-হনুমান (Shiva-Hanuman temple) মূর্তি। মন্দিরের জায়গাকে অবৈধ ভাবে দখল করে নেয় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল দেশজুড়ে।

    লাগাতার ৮-১০ ঘণ্টা ধরে পরিদর্শনের কাজ (Sambhal)

    সম্ভল জেলার জেলা শাসক রাজেন্দর পেনসিয়া বলেন, “আমরা লাগাতার ৮-১০ ঘণ্টা ধরে এক একটি তীর্থস্থান বা মন্দিরে সমীক্ষা করেছি। মোট ২৪টি এলাকায় এই সমীক্ষা এবং জরিপের কাজ চলেছে। এই তালিকায় রয়েছে ভদ্রক আশ্রম, স্বর্গদীপ, চক্রপানি এবং প্রাচীন শ্মশান মন্দির। একইভাবে এএসআই দলটি ১৯টি প্রাচীন কূপের অবস্থান এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদ ভাবে গবেষণা করেছে। যে মন্দিরটিকে খোলা হয়েছে সেই মন্দিরটিকেও জরিপ করা হয়। সমস্ত রিপোর্ট ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কাছে জমা করা হবে। তবে এই পরিদর্শন বা সমীক্ষায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।”

    আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    ১৭৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা মন্দিরটি

    উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর সম্ভলের (Sambhal) মুসলিম এলাকা থেকে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন একটি দখলকৃত শিব-হনুমানের (Shiva-Hanuman temple) মন্দির উদ্ধার করে। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর সকালে ওই মন্দির চত্বর পরিমার্জন করে পুজো, আরাধনা, আরতি করা হয়। এই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি কমিশনের প্রাক্তন সদস্য এবং বিজেপি নেত্রী গীতা প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি। মাননীয় যোগীজির প্রচেষ্টায় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি প্রাচীন মন্দির পুনঃআবিষ্কৃত হয়েছে। মন্দিরের বাইরে অনেক মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, যার সবগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং মন্দিরের জমিতে বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। যখন পুলিশ প্রশাসন বিদ্যুৎ চুরির তদন্ত করতে এসেছিল, তারা প্রাচীন মন্দিরটি খুঁজে পেয়েছিল। আজ হিন্দু সম্প্রদায় খুব খুশি।” ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা মন্দিরটি প্রশাসনের চেষ্টায় ১৪ ডিসেম্বর পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Germany: জঙ্গি যোগ! জার্মানির ভিড় বাজারে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ২ জনকে পিষলেন ‘উদ্বাস্তু’ চিকিৎসক

    Germany: জঙ্গি যোগ! জার্মানির ভিড় বাজারে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ২ জনকে পিষলেন ‘উদ্বাস্তু’ চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জার্মানির (Germany) ম্যাগডেবার্গ শহরে একটি হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে। ওই শহরের জনবহুল বাজারে ইচ্ছাকৃতভাবে রুদ্ধশ্বাসে গাড়ি চালিয়ে কয়েকজনকে পিষে দেন সৌদি আরবের এক ডাক্তার। জার্মানির স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিকল্পিত হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। মর্মান্তিকভাবে নিহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এটা কি জার্মানির উদারমনস্ক উদ্বাস্ত নীতির ফল? উঠছে প্রশ্ন।

    ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন

    ইতিমধ্যে সে রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন। প্রসঙ্গত, মর্মান্তিক ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত হামলাকারির গাড়িতে কোনও রকমের বিস্ফোরক পায়নি। তবে জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। একটি তদন্তকারী দলকে ইতিমধ্যে বার্নবার্গ শহরে (Germany) পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই তালেব আল আবদুল মহসেন থাকতেন। তালেব পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি জার্মানিতে চলে আসেন ২০০৬ সালে। এরপরে জার্মানিতে তাঁকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন।

    ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক (Germany)

    হামলার খবর পৌঁছতেই সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায় পুলিশ ও দমকল। একশোর বেশি দমকল কর্মী এবং ৫০ জন অন্যান্য উদ্ধারকর্মী উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েন। জানা গিয়েছে , আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবের প্রশাসন এবং সমবেদনা জানিয়েছে নিহত জার্মান নাগরিকদের প্রতি।

    ২০১৬ সালেও একই কায়দায় হামলা চালানো হয়

    গতকালের এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। আট বছর আগে ২০১৬ সালে তিউনেশিয়ার একজন অনুপ্রবেশকারী আনিস আমরি বার্লিনের একটি খ্রিস্টান বাজারে একইভাবে ট্রাক চালিয়েছিলেন এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিলেন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! আশ্রয় নিয়েও উদ্বাস্তুরা জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

    ম্যাগডেবুর্গ শহরের (Germany) মেয়র সিমোন বোরিসের বিবৃতি 

    এনিয়ে শহরের মুখপাত্র মাইকেল রেইফ বলেন, ‘‘ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে টাউন হলের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভিড়ের মধ্যে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়েছেন অভিযুক্ত।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘হামলাকারী একাই ছিলেন। ফলে এই মুহূর্তে নতুন করে হামলার কোনও আশঙ্কা নেই। তবু ঝুঁকি না নিয়ে শহরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’’ যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেটি ম্যাগডেবার্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেট হিসেবে পরিচিত। বড়দিন উপলক্ষে ইতিমধ্যে আলোতে সেজে উঠেছে ৪০০ মিটার ওই এলাকা। সন্ধ্যায় অনেকেই সেখানে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। খবরে প্রকাশ, একটি কালো রঙের বিএমডব্লু ভাড়া করেন অভিযুক্ত। এরপরই বেপরোয়া গতিতে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দেন তিনি। যা থেকে তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরোটাই পরিকল্পিত, হামলা চালানোর জন্যই ওই সৌদি ডাক্তার এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ম্যাগডেবুর্গ শহরের মেয়র সিমোন বোরিস বলেছেন, ‘‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি কখনই ভাবতে পারিনি যে ম্যাগডেবুর্গ শহরে এমন একটি ঘটনা ঘটবে।’’

    ২০১৮ সালের সমীক্ষা (Germany)

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জার্মান (Germany) দেশে একটি সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে যে, সে দেশের চতুর্থ জনবহুল রাজ্য লোয়ার স্যাক্সনিতে অনুপ্রবেশকারীদের কারণেই হিংসাত্মক কার্যকলাপ সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই পরিসংখ্যান বলছে ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে লোয়ার স্যাক্সনিতে অপরাধ ২১.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ আবার ১০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে যায় অপরাধ। পরিসংখ্যান বলছে, লোয়ার স্যাক্সনি শহরের প্রায় সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি উদ্বাস্তু রয়েছেন এবং তাঁরা জার্মান দেশের নাগরিকত্ব ছাড়াই সেখানে বসবাস করছেন। তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের শেষের দিকে, প্রায় ১.৫ লাখ উদ্বাস্ত জার্মান দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লোয়ার স্যাক্সনিতে মোট অপরাধের ৯২.১ শতাংশই উদ্বাস্তুদের কারণে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অম্বেডকর ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা। হইচই যিনি বাঁধাচ্ছেন, তিনি কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি সংসদে মারামারিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তাঁর। তাঁরই আঘাতে বিজেপির দুই সাংসদ জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। সংসদে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। আপাতত দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যে নির্বাচন নেই। লোকসভার নির্বাচন তো হয়েছে এই বছরেই।

    আগ্রাসী আচরণের কারণ (Rahul Gandhi)

    তাই রাহুলের এহেন আগ্রাসী আচরণের কারণ কী? তাঁর লক্ষ্য কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প হয়ে ওঠা? সে গুড়ে বালি! কারণ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই ধরা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কথা। তাঁর স্লোগান, তাঁরা বাগ্মীতা, তাঁর বাচনভঙ্গী সব মিলিয়ে মোদি একজন আদর্শ মানুষ। ধারে এবং ভারে কোনওভাবেই রাহুল তাঁর তুল্য নন! তাহলে কী কারণে হঠাৎই এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন রাহুল? সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পায়নি কংগ্রেস কিংবা ইন্ডি জোট। জয় বলতে ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার জয়। কিন্তু তাতে তো লাফালাফি করার জন্য যে বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন, তা মেলে না! তাহলে হঠাৎই কেন এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি?

    ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    রাজনীতির কারবারিদের মতে, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিরোধী জোটের অন্দরেই। বিজেপিকে রুখতে লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট বাঁধে বিজেপি বিরোধী ২৮টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্ডি। মোদি ম্যাজিকে সেই জোট বিশেষ ট্যাঁ-ফোঁ করতে পারেনি লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কিছু কমেছে, তবে তার পরেও নিশ্চিন্তে রাজ করছে বিজেপিই এবং নেতৃত্বে সেই মোদিই। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে শ’খানেক আসন। ইন্ডি জোটের অন্য দলগুলি পেয়েছে এর চেয়েও কম আসন। তার মানে এই নয় যে, কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে হবে। বরং রাহুল ভোট ক্যাচার না হওয়ায় ইন্ডি জোটের অন্দরেই মাথা তুলেছেন একাধিক নেতা। তাঁদের কেউ প্রকাশ্যে, কেউ বা আবডালে প্রশ্ন তুলছেন রাহুলের নেতৃত্ব নিয়েই। সহজ কথায়, বর্তমানে ইন্ডি জোটের মধ্যেই রাহুলের একাধিক ‘প্রতিপক্ষ’ তৈরি। 

    আরও পড়ুন: ‘মোদি ম্যাজিকে ভর করেই মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় বাজিমাত বিজেপির’, বলছে সমীক্ষা

    মমতা-অখিলেশ

    লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা চেয়েছিলেন মমতাকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করে নির্বাচনে লড়ুক ইন্ডি জোট (Rahul Gandhi)। নিতান্তই একটি আঞ্চলিক দলের নেত্রী হওয়ায় পানি পায়নি মমতা দলের নেতানেত্রীদের সেই দাবি। যার জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে আগে যে দুটো বৈঠক ডেকেছিল ইন্ডি জোট, তাতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। কেবল মমতাই নন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশই বা কীসে কম যান?  তিনি এক সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্য চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে (রাহুলের সেটাও নেই)। কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি পদে বসেও, তিনি কিস্যু করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে ব্যর্থতার কলঙ্ক মুছতে সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল।

    লড়াইয়ের ময়দানে কেজরি-পাওয়ারও

    ইন্ডি জোটে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। কেজরিওয়ালের শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা রাজনীতির অভিজ্ঞতা, কোনও দিক থেকেই আপ সুপ্রিমোর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবেন না রাহুল (Rahul Gandhi)। অর্থাৎ, ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার তিনিও। কেজরিওয়ালের দল ক্ষমতায় রয়েছে দেশের দুটি অঙ্গরাজ্যে – দিল্লি এবং পঞ্জাবে। সেখানে তৃণমূল রয়েছে কেবল পশ্চিমঙ্গে। সেদিক থেকে দেখলে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে মমতার চেয়েও এগিয়ে কেজরিওয়াল। অবশ্য একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সেটা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোদস্তুর রাজনীতির লোক। আর কেজরিওয়াল ছিলেন শিক্ষাবিদদের সারিতে, পরে এসেছেন রাজনীতিতে। তবে রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতাও খুব কম নয়। যে কারণে কেজরিওয়ালও বিশেষ পাত্তা দেন না রাহুলকে, বলা ভালো ইন্ডি জোটকে। ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি রাখেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও। দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। প্রবীণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সমর্থকরাও ধুয়ো তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ করা হোক তাঁকে। তবে তাঁর দাবিও বিশেষ পাত্তা পায়নি ইন্ডি জোটে। 

    মাথা তোলাটা তাঁর দায়!

    রাজনৈতিক মহলের (Congress) মতে, এই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদারের ভিড়ে যে কোনও সময়ই হারিয়ে যেতে পারেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি ভালো মতোই টের পাচ্ছেন যে, ইন্ডি জোটে তাঁর আধিপত্য শেষ হচ্ছে। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এখন, অস্তিত্বের জানান দিতে তাই মাথা তোলাটা তাঁর দায়। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সিংহভাগই নির্ভর করছে ইন্ডি জোটের বাকি মাথাদের ছাপিয়ে উঠতে তিনি পারেন কিনা, তার ওপর! সেই কারণেই ইদানিং আগ্রাসী হয়ে উঠছেন রাহুল। এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য, মোদি নন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য ইন্ডি জোটের বাকিদের ছাপিয়ে নেতা হওয়া। সেই কারণেই লোকসভায় আগ্রাসী হয়েছেন তিনি। সেই কারণেই মারপিট করে ‘হিরো’ হওয়ার চেষ্টা করছেন রাহুল। তিনি কী পারবেন ‘আসলি হিরো’ হতে? কোটি টাকার এই প্রশ্নের (Congress) উত্তর দেবে সময় (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।          

  • Hampi: হাম্পিতে এএসআই খনন কার্যে উদ্ধার পঞ্চদশ শতাব্দীর পান সুপারির বাজারের অবশেষ

    Hampi: হাম্পিতে এএসআই খনন কার্যে উদ্ধার পঞ্চদশ শতাব্দীর পান সুপারির বাজারের অবশেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাম্পিতে (Hampi) আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে খনন কার্য চালিয়ে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অতি সমৃদ্ধ প্রাচীন পান সুপারির বাজারের নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে দক্ষিণ ভারতীয় এই সাম্রাজ্য যে কতটা সমৃদ্ধশালী ছিল এবং বাণিজ্যকেন্দ্রের অন্যতম পীঠস্থান ছিল, তার কথা আরও সুস্পষ্ট ভাবে জানা গেল বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেখানে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বেশ মূল্যবান ধাতুও।

    এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলে খনন (Hampi)

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের আধিকারিকরা কর্নাটকের বর্তমান বিজয়নগর (Vijayanagara) জেলার হাম্পিতে (Hampi) হাজারা রাম মন্দির এবং শ্রুঙ্গারাদা হেব্বাগিলু প্রবেশদ্বারে মধ্যে স্থিত সুপ্রাচীন পান সুপারি বাজারের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খনন কার্য চালিয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, একটি বড় দোকানের রাস্তা ছিল এই জায়গায়। এই রাস্তা বেশ জমজমাট ছিল। নানা ব্যবসায়ীদের যাতায়াত ছিল এই পথে। সেই সঙ্গে আরও মনে করা হচ্ছে যে, এখানে সোনা, রূপা-সহ নানা মূল্যবান ধাতুর কেনাবেচা চলত।

    আনুমানিক ১৫ শতক সময়ের উপাদান

    গত ১০ দিন ধরে খনন কাজের ফলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা পোড়া মাটি, চিনা মাটির নানা বাসন-সহ উপাদান উদ্ধার করেছেন। একই সঙ্গে পোড়া মাটির নানা পুঁতি, মুদ্রা, তামা, ব্রোঞ্জের দ্রব্যও পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা মনে করছেন, আনুমানিক পঞ্চদশ শতক সময়ের উপাদান এই সব বস্তুগুলি। হাম্পির (Hampi) এএসআই সার্কেলের কার্যনির্বাহী প্রত্নতত্ত্ববিদ নিখিল দাস বলেন, “বিজয়নগরের (Vijayanagara) বেশির ভাগ খনন কাজ চলছে জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে। এখানকার স্থাপত্য শিলালিপি এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ কাহিনীর উপর নির্ভর করে দেখা গিয়েছে এখানে একটি সুপ্রকিল্পিত সুন্দর বাজার ছিল। পেদ্দা অঙ্গদি বিধি এলাকায় মূল্যবান ধাতুর ব্যবসা চলত। এই বাজার পান সুপারির বাজার নামেও পরিচিত ছিল।”

    আরও পড়ুনঃ মমতার জন্যই বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি কলকাতা মেট্রোয়, থমকে বহু রেল প্রকল্পও, সংসদে অশ্বিনী

    ৬৫০ বর্গ মিটার জায়গায় এই বাজার ছিল

    তবে উল্লেখ্য এই স্থানে (Hampi) এটাই প্রথম খননকার্য নয়। ১৯৮৫ সালে এএসআই হাম্পির রামমন্দিরের সামনে একটি ১৫০ বর্গমিটার জায়গা খনন শুরু করেছিল। এখানে বাদাম জাতীয় পণ্যের বাণিজ্য করার উপাদান পাওয়া গিয়েছে। তবে অর্থের অভাবে সাময়িক ভাবে খনন কার্যবন্ধ রাখা হয়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার খননের জন্য ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করেছে। এখন ১০ বাই ১০ মিটার একটি গর্ত খনন করা হয়েছে। মোট ৬৫০ বর্গ মিটার জায়গায় এই বাজার বিস্তৃত বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Project: মমতার জন্যই বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি কলকাতা মেট্রোয়, থমকে বহু রেল প্রকল্পও, সংসদে অশ্বিনী

    Rail Project: মমতার জন্যই বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি কলকাতা মেট্রোয়, থমকে বহু রেল প্রকল্পও, সংসদে অশ্বিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারের দোষেই প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে কলকাতা মেট্রোতে (Rail Project)। সরকারের উদাসীনতার কারণেই একাধিক মেট্রো প্রকল্প লোকসানের শিকার হচ্ছে। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ সমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে উত্তর দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন, রাজ্যে একাধিক রেল প্রকল্পের কাজও থমকে রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ না করার জন্য অনেক প্রজেক্টের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই পরিসংখ্যান দিয়ে মমতা সরকারের গাফিলতির কথা তুলে ধরেছেন রেল মন্ত্রী। উল্লেখ্য আগেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একাধিক জনমুখী সুবিধা পৌঁছে দিতে টালবাহানার অভিযোগের কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।

    রাজ্য সরকার কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি (Rail Project)

    রেলের (Rail Project) তরফ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) সংসদে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কলকাতা মেট্রোর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪৮৭.৩৭ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২৪.২৪ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬৫.১১ কোটি টাকা। ক্ষতির কারণ হল রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রতি উদাসীনতা। অশ্বিনী জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে তেঘরিয়া পর্যন্ত লাইনে কাজের ক্ষেত্রে হলদিরাম (তেঘরিয়া) পর্যন্ত ব্যয় ৫০:৫০ অনুপাতে রাজ্যের সঙ্গে ভাগ করা হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকার কোনও সায় দেয়নি।”

    জমি জটে আটকে নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো

    মেট্রো (Rail Project) প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী আরও বলেন, “নিউ গড়িয়া থেকে দমদম এয়ারপোর্ট লাইনে ৩২ কিমি মোট রাস্তায় ৯.৮ কিমি লাইনের কাজ হলেও ২২.২ কিমি কাজ অত্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। কাজের গতিতে ধীর, তার কারণ হল ট্র্যাফিক অন্যত্র সরানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। একই চিত্র দেখা গিয়েছে জোকা থেকে বিবাদী বাগ পর্যন্ত ১৪ কিমি রাস্তার কাজেও। সব জায়গায় জমি জট একটি বড় সমস্যা। যেমন-নোয়াপাড়া থেকে বারাসত পর্যন্ত মোট রাস্তা হবে ১৮ কিমি। এখানেও ১৫.১৬ কিমি রাস্তার কাজে দেরি হচ্ছে। এর মধ্যে মাইকেল নগর থেকে বারাসত পর্যন্ত ৮.১২ কিমি রাস্তা জমি জটের জন্য থমকে রয়েছে। অপর দিকে কলকাতা পুরসভা থেকে দেওয়া জলের পাইপলাইন রাজ্য সরকার অন্যত্র সরাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বরানগর থেকে বারাকপুর লাইনে কাজে দেরি হচ্ছে। ফলে রাজ্য সরকার কোনও রকম ভাবে কাজের অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তাতেই লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন।”

    মমতার আমল থেকে তিনগুণ বাজেট বৃদ্ধি হয়েছে

    রেল প্রকল্পে (Rail Project) ক্ষতি প্রসঙ্গে অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ ২ সরকারের সময়ের তুলনায় ২০২৪-২৫ চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেলের প্রকল্পে তিনগুণ বাজেটে অর্থ বরাদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে রেল প্রকল্পের বাজেট ছিল প্রতিবছর ৪৩৮০ কোটি টাকা। এখন এনডিএ জোট সরকার শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্ধ হয়েছে ১৩,৯৪১ কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুনঃ ‘চিকেন্স নেক’ কবজা করে ভারতে নাশকতার ছক ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের! জেরায় মিলল তথ্য

    নবদ্বীপ ঘাট-নবদ্বীপ ধাম নিউ লাইনের কাজ বন্ধ

    নবদ্বীপ ঘাট-নবদ্বীপ ধাম নিউ লাইন (Rail Project) প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় রেল প্রকল্পের জন্য মোট জমির প্রয়োজন ৩০৪০ হেক্টর। তার মধ্যে জমি অধিগৃহীত হয়েছে ৬৪০ হেক্টর। মোট প্রয়োজনের মাত্র ২১ শতাংশ হাতে এসেছে। এখনও ২৪০০ হেক্টর বা ৭৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। নবদ্বীপ ঘাট-নবদ্বীপ ধাম নিউ লাইনের মোট ১০৬.৮৬ হেক্টর জমি দরকার, কিন্তু এখনও প্রায় ১০৬.৬৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে। পাশাপাশি চন্দনেশ্বর-জলেশ্বর নিউ লাইনে মোট জমি প্রয়োজন ১৫৮ হেক্টর। ১ ছটাক জমিও এখনও অধিগ্রহণ করতে পারনি মমতা সরকার।”

    বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্প আটকে

    বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের (Rail Project) কথা তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, “অপর দিকে নৈহাটি-রানাঘাট থার্ড লাইনে মোট জমির প্রয়োজন ৮৭.৮৩ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে মাত্র ০.০৯ হেক্টর। যার মধ্যে ৮৭.৭৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে। আবার বালুরঘাট-হিলি নিউ লাইনে মোট জমির প্রয়োজন ১৫৬.৩৮ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে ৬৭.৩৮ হেক্টর। এখনও ৮৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। একই ভাবে সাঁইথিয়া এবং সীতারামপুরে বাইপাসে মোট জমির প্রয়োজন ২২.২৮ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে ২.২২ হেক্টর। ২২.০৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এখনও বাকি। ফলে রাজ্যের রেল প্রকল্পগুলিও বিরাট মাত্রায় ঝুলে রয়েছে। রাজ্য সরকারের কোনও মাথা ব্যাথা নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    India: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত ভারতবিরোধী মন্তব্য ভেসেই আসছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে। এ নিয়ে ইউনূস সরকারকে সতর্ক করল ভারত (India)। বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে ভারতের বার্তা, ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন।’’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মাহফুজ আলমের পোস্ট ঘিরেই শুরু বিতর্ক। বাংলাদেশের মানচিত্র বলে দাবি করে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশ করেন মাহফুজ আলম (Mahfuj Alam)। অভিযোগ, সেই মানচিত্রে ভারতের বেশ কিছুটা অংশকেও দেখানো হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরাকে সেখানে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়।

    মাহফুজ আলমের  ফেসবুক পোস্ট

    বিজয় দিবসের রাতে একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে করেছিলেন মাহফুজ আলম। সেখানে লেখা ছিল, “বিজয় এসেছে, তবে সামগ্রিক নয় ।মুক্তি এখনও বহুত দূরে।…’’ তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের একাংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে অখণ্ড বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে। মাহফুজের দাবি ছিল, এই মানচিত্র না হলে নাকি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ হবে না। এই পোস্টটি তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করে। কারণ, মাহফুজের এই দাবি সরাসরি ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে। এমনকী, খোদ বাংলাদেশের অন্দরেই মাহফুজের পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। 

    বিদেশমন্ত্রকের কড়া হুঁশিয়ারি (India)

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের কাছে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। কঠোর বার্তা পেতেই মাহফুজের পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘ওই বিতর্কিত পোস্ট ইতিমধ্যে মুছে ফেলেছে। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তাঁদের জনসাধারণের মধ্যে প্রকাশ্যে মন্তব্য (ভারতবিরোধী) নিয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলতে চাই। ভারত বার বার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু এই রকমের মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে দায়িত্বজ্ঞান থাকার প্রয়োজন।’’

    মাহফুজকেই ‘বিপ্লবের মাথা’ বলে উদ্ধৃত করেছিলেন ইউনূস

    প্রসঙ্গত, একদা এই মাহফুজকেই ‘বিপ্লবের মাথা’ বলে উদ্ধৃত করেছিলেন ইউনূস নিজে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক জন প্রতিনিধি হিসেবে আলমের মন্তব্য ভারত (India) ভালো ভাবে নিচ্ছে না ভারত, সেটা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।  অন্যদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ এবং মানবাধিকারের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে (India)। গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রির বাংলাদেশ সফরের সময়েও সেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা, বিহার সবটাই দখল করে নেওয়া হবে। এরপর আবার মানচিত্র বিতর্ক সামনে এল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

     

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২,২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২,২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus Minorities) ওপর অত্যাচার বেড়েছে (Bangladesh Crisis)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে শুক্রবার তার পরিসংখ্যান দিল বিদেশমন্ত্রক।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের পরিসংখ্যান (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২ হাজার ২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এর সিংহভাগ ঘটনাই ঘটেছে হাসিনা-পরবর্তী কালে। এই বছরে ভারতের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানে হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। রাজ্যসভায় এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, হিন্দুদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মঙ্গল নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশের কাছেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার এই ঘটনাগুলিকে গভীরভাবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই উদ্বেগ শেয়ারও করেছে। ভারতের আশা, বাংলাদেশ সরকার হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিংসার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। পাকিস্তান সরকারকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক হিংসা, নিয়মিত নিপীড়ন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার অনুরোধও জানানো হয়েছে। ভারত পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের দুরবস্থা আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাগাতার তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ২০০টি হিংসার ঘটনাও ঘটেছে।

    আরও পড়ুন: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    এদিকে, ২০২২ সালে পাকিস্তানে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে ২৪১টি। তার পরের বছর ১০৩টি। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া অন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সরকার এই ঘটনাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” তিনি বলেন, “ভারতের আশা, বাংলাদেশ হিন্দু (Hindus Minorities) ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ (Bangladesh Crisis) করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share