Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 226: “বিষয়াসক্ত মন যেমন ভিজে দেশলাই, যত ঘষো জ্বলে না”

    Ramakrishna 226: “বিষয়াসক্ত মন যেমন ভিজে দেশলাই, যত ঘষো জ্বলে না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ মণিরামপুর ভক্তসঙ্গে

    “তাঁর নাম সর্বদাই করতে হয়। কলিতে নাম-মাহাত্ম্য (Ramakrishna)। অন্নগত প্রাণ, তাই যোগ হয় না। তাঁর নাম করে, হাততালি দিলে পাপপাখি পালিয়ে যায়।

    “সৎসঙ্গ সর্বদাই দরকার। গঙ্গার যত কাছে যাবে ততই শীতল হাওয়া পাবে; অগ্নির যত কাছে যাবে ততই উত্তাপ পাবে।

    “ঢিমে তেতলা হলে হয় না। যাদের সংসারে ভোগের ইচ্ছা আছে তারা বলে, ‘হবে, কখন না কখন ঈশ্বরকে পাবে!’

    “আমি কেশব সেনকে বলেছিলাম (Kathamrita), ছেলেকে ব্যাকুল দেখলে বাপ তিন বৎসর আগেই তার হিস্যে ফেলে দেয়।

    “মা রাঁধছে, কোলের ছেলে শুয়ে আছে। মা মুখে চুষি দিয়ে গেছে; যখন চুষি ফেলে চিৎকার করে ছেলে কাঁদে, তখন মা হাঁড়ি নামিয়ে ছেলেকে কোলে করে মাই দেয়। এই সব কথা কেশব সেনকে বলেছিলাম।

    “কলিতে বলে, একদিন একরাত কাঁদলে ইশ্বর দর্শন হয়।

    “মনে অভিমান করবে, আর বলবে, ‘তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ; দেখা দিতে হবে।’

    “সংসারেই থাক, আর যেখানেই থাক—ঈশ্বর (Ramakrishna) মনটি দেখেন। বিষয়াসক্ত মন যেমন ভিজে দেশলাই, যত ঘষো জ্বলে না। একলব্য মাটির দ্রোণ অর্থাৎ নিজের গুরুর মূর্তি সামনে রেখে বাণ শিক্ষা করেছিল।

    “এগিয়ে পড়;—কাঠুরে এগিয়ে গিয়ে দেখেছিল (Kathamrita), চন্দন কাঠ, রূপার খনি, সোনার খনি, আরও এগিয়ে গিয়ে দেখলে হীরে, মাণিক।

    “যারা অজ্ঞান, তারা যেন মাটির দেওয়ালের ঘরের ভিতর রয়েছে। ভিতরে তেমন আলো নাই, আবার বাহিরের কোন জিনিস দেখতে পাচ্ছে না। জ্ঞান লাভ করে যে সংসারে থাকে সে যেন কাচের ঘরের ভিতর আছে। ভিতরে আলো বাহিরেও আলো। ভিতরের জিনিসও দেখতে পায়, আর বাহিরের জিনিসও দেখতে পায়।”

    ব্রহ্ম ও জগন্মাতা এক 

    “এক বই আর কিছু নাই। সেই পরব্রহ্ম ‘আমি’ যতক্ষণ রেখে দেন, ততক্ষণ দেখান যে, আদ্যাশক্তিরূপে সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় করছেন।

    “যিনিই ব্রহ্ম (Ramakrishna) তিনিই আদ্যাশক্তি। একজন রাজা বলেছিল যে, আমায় এককথায় জ্ঞান দিতে হবে। যোগী বললে, আচ্ছা তুমি এককথাতেই জ্ঞান পাবে। খানিকক্ষণ পরে রাজার কাছে হঠাৎ একজন যাদুকর এসে উপস্থিত। রাজা দেখলে, সে এসে কেবল দুটো আঙুল ঘুরাচ্ছে, আর বলছে, ‘রাজা, এই দেখ, এই দেখ।’ রাজা অবাক্‌ হয়ে দেখছে (Kathamrita)। খানিকক্ষণ পরে দেখে দুটো আঙুল একটা আঙুল হয়ে গেছে। যাদুকর একটা আঙুল ঘোরাতে ঘোরাতে বলছে, ‘রাজা, এই দেখ, এই দেখ।’ অর্থাৎ ব্রহ্ম আর আদ্যাশক্তি প্রথম দুটা বোধ হয়। কিন্তু ব্রহ্মজ্ঞান হলে আর দুটা থাকে না! অভেদ! এক! যে একের দুই নাই। অদ্বৈতম্‌।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: “জীবিত থাকলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন”, বিস্ফোরক কবি নজরুলের ভ্রাতুষ্পুত্র

    Bangladesh: “জীবিত থাকলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন”, বিস্ফোরক কবি নজরুলের ভ্রাতুষ্পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তিনি জীবিত থাকলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন”, বাংলাদেশে (Bangladesh) গত চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক কবি নজরুল ইসলামের (Kazi Nazrul Islam) ভ্রাতুষ্পুত্র রেজাউল করিম। শান্তির জন্য নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস হলেন এখন অনেকের কাছেই ত্রাস। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর খুন, ধর্ষণ, হত্যা, লুট, মন্দির ভাঙচুর, মূর্তি ভাঙচুর-সহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এর শেষ কোথায় কেউ জানে না। তাই তো বাংলাদেশের জাতীয় কবির উত্তরসূরীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

    আজীবন মানব ধর্মের কথা বলে গিয়েছেন নজরুল (Bangladesh)!

    পশ্চিম বর্ধমানের চুরুলিয়ার বাসিন্দা তথা নজরুলের (Kazi Nazrul Islam) বংশধর কাজী রেজাউল করিম বলেন, “বাংলায় নজরুল ইসলাম আজীবন মানব ধর্মের কথা বলে গিয়েছেন। সম্প্রীতি এবং ঐক্যের কথা বলে গিয়েছেন। অথচ আজ বাংলাদেশ (Bangladesh), যেখানকার জাতীয় কবি এবং সেই জায়গার মাটিতেই হিন্দু নিধন হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক ভাবে অত্যাচার হচ্ছে। আজ যদি কবি বেঁচে থাকতেন, তাহলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন।”

    আরও পড়ুনঃ ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ’! রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের, চিকিৎসকদের ধর্নাকে অনুমতি

    এমন বাংলাদেশ কোনও সময়েই দেখতে চাননি!

    রেজাউল করিম বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদী কট্টর মুসলিমদের দাপাদাপির ব্যাপারে তোপ দেগে আরও বলেন, “শেখ হাসিনা আমাদের সম্মান দিয়েছেন। তাছাড়া নজরুলের (Kazi Nazrul Islam) আরও আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে থাকেন। এখন আর ওই দেশে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। যে দেশে মানুষের মনে ধর্মীয় ভাবে এত বিদ্বেষ, মারামারি, হানাহানি, অত্যচার, লুটপাট, খুন, সেই দেশে আর যাওয়ার ইচ্ছে নেই। তবে এই ক্রমবর্ধমান অন্যায় এবং প্রতিবাদের বিরুদ্ধে যদি কোনও ডাক আসে, অবশ্যই সেখানে আমি যাব। আমার শরীর যদিও অসুস্থ তবুও আমি মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামব। অনেক নজরুল গবেষক এই দেশে আসতেন, এখন তাঁরাও আর আসেন না। এমনভাবে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনে আমরা ভীষণ অখুশি।” সেই সঙ্গে কবির নাতনি সোনালি কাজীর মুখেও বাংলাদেশ নিয়ে তীব্র অসন্তোষজনক বক্তব্য শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “বিদ্রোহী নজরুল কি এই ধরনের বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন? এটাই এখন আমাদের বড় প্রশ্ন। এমন বাংলাদেশ কোনও সময়েই দেখতে চাননি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ’! রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের, চিকিৎসকদের ধর্নাকে অনুমতি

    Calcutta High Court: ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ’! রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের, চিকিৎসকদের ধর্নাকে অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাউকে হ্যাঁ বলবেন, কাউকে না বলবেন… ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ, কেন?” মমতা (Mamata Banerjee) প্রশাসনকে কড়া ভাবে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন একটি মামলার শুনানিতে ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলা ডোরিনা ক্রসিং-এর ৫৫ ফুট জায়গা ছেড়ে চিকিৎসকদের ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেন মানতে হবে একাধিক শর্ত।

    জায়গা কারও জন্য নয় বিজ্ঞপ্তি জারি করুন (Calcutta High Court)

    রাজ্যের যে কোনও বিরোধী দল বা সামজিক সংগঠন হোক না কেন, শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করতে গেলে পুলিশ প্রশাসন অনুমতি যে দেয় না তা এই রাজ্যের এখন অলিখিত নিয়ম। একই ভাবে অনুমোদনের জন্য বিচার ব্যবস্থার কাছে দ্বারস্থ হতে হবে এটাও জেনে গিয়ে বিরোধী দল বা সংগঠনগুলি। ন্যায় বিচার সহ একাধিক দাবিতে জয়েন্ট ডক্টর্স প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভা করতে চেয়েছিলেন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি না দিলে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এরপর রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “কারও জন্য একরকম মনোভাব আর অন্যজনের জন্য আলাদা মনোভাব, এটা চলবে না। আপনি একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করুন, জানিয়ে দিন এই জায়গা কারও জন্য নয়। আপনারা কারও জন্য ‘হ্যাঁ’ বলবেন, কারও জন্য ‘না’ বলবেন, এটা হয় না। এভাবে ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ করলে হবে না। আমি যদি ২০ ফুট জায়গা দিই তাও ট্রাফিকের সমস্যা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    লাগাতার ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন

    সেই সঙ্গে বিচারপতির (Calcutta High Court) নির্দেশে বলা হয়, ডোরিনা ক্রসিং-এর ৪০ ফুটের বেশি উঁচু স্টেজ তৈরি করা যাবে না। স্টেজের পিছনে গার্ডরেল থাকবে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনের বেশি লোক একসময়ে থাকতে পারবে না ধর্নাস্থলে। পুলিশ যদি মনে করে বেশি লোক হচ্ছে তাহলে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী পিজিটি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। প্রতিবাদের উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। মমতা (Mamata Banerjee) পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং তথ্য লোপাটের ঘটনা সম্পর্কে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে। একই ভাবে রাজ্যের বিধানসভায় ‘নির্ভয়া বিল’ পাশ হলেও লাগাতার ধর্ষণের ঘটনা অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে ন্যায় বিচার এবং ডাক্তারদের সুরক্ষার দাবিতে ফের পথে নামতে চলেছেন ডাক্তার সমাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দাঁড়ি পড়তে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) অন্তত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি পুতিন (Putin) বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আপস করার জন্য উন্মুক্ত।

    কোনও পূর্বশর্ত নেই (Ukraine Russia War)

    তিনি বলেন, আলোচনার জন্য কোনও পূর্বশর্ত নেই। তবে যে কোনও চুক্তিতে অবশ্যই বৈধ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে, এমনকি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করতে প্রস্তুত। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কথা বলেননি। তবে তিনি সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। রাশিয়া দুর্বল জায়গায় রয়েছে, একথা মানতে রাজি নন পুতিন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর দেশটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর পরেই পুতিন বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তিনি বলেন, কিভকেও আপসের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

    স্থায়ী শান্তি চুক্তি

    সাময়িক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন পুতিন। তিনি স্থায়ী শান্তি চুক্তির পক্ষে (Ukraine Russia War) মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ইস্তানবুলের বৈঠকে বাস্তবায়িত না হওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের আলোচনা হওয়া উচিত। তবে, এই খসড়া চুক্তিকে কিছু ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ আত্মসমর্পণ হিসেবেই বিবেচিনা করেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত লক্ষ লক্ষ মানুষ। এসবের জেরে রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলোর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পুতিন এই আক্রমণকে নেটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক অভিযান হিসেবে সমর্থন করেছেন। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি যদি অন্য রকম কিছু ভাবতাম, তাহলে ২০২২ সালের আগেই ইউক্রেনে সেনা পাঠানো উচিত ছিল। একইসঙ্গে পুতিন (Putin) স্বীকার করেন, যুদ্ধের (Ukraine Russia War) জন্য রাশিয়ার আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    RSS: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নানা প্রান্তে রাম মন্দিরের মতো মন্দির উদ্ধারের ভাবনা পোষণ নিয়ে সতর্ক করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। অতি উৎসাহীর বশে এই ধরনের কাজ সমাজের কাছে খারাপ বার্তা দেবে বলে মনে করেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় এদিন পুণের ‘ইন্ডিয়া-দ্য বিশ্বগুরু’-এর একটি আলোচনা চক্রে যোগদান করে বলেন, ‘‘সব কিছুর মধ্যে মন্দির খোঁজার কর্মকাণ্ডগুলি গ্রহণযোগ্য নয়, অনেকই নেতা হইতে চাইছেন। সকলে নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন, এটাই দেশের ঐতিহ্য।’’ তিনি এদিন ভারতকে বিশ্ব গুরু হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।

    রামকৃষ্ণ মিশনে ক্রিসমাস উদযাপন হয় (RSS)

    ভারতবর্ষের নাগরিকদের উচিত বিশ্বের সামনে সবসময় ভারতকে সম্প্রীতির মহামিলন কেন্দ্র হিসেবে মেলে ধরা। এই জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিন্দুদের সংযত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। সমাজতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) একটি দায়িত্বশীল সামাজিক সংগঠন। হিন্দুত্বের বিষয়কে সবচেয়ে বেশি প্রাথমিকতা দেওয়া হয় আর তাই সমাজে ধ্বংসাত্মক ভাবনাকে কখনই গ্রহণ করা হয় না। তাই সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “ভারত বহুত্ববাদী দেশ। আমরা শুধু দিয়েই থাকি না, সাদরে গ্রহণও করি, কারণ আমরা হিন্দু। স্বামী বিবেকানন্দের রামকৃষ্ণ মিশনে ক্রিসমাস উদযাপন হয়। এটা আমাদের জোরের জায়গা, কারণ আমরা হিন্দু বলেই পারি।”

    বৃহৎ আন্দোলনের পরিণাম ছিল অযোধ্যা

    আরএসএস (RSS)-এর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) রামজন্মভূমি আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “এই ভারতের মধ্যে আমরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছি। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে একটা ঐক্যভাব রয়েছে। আমরা যদি বিশ্বে একটি বিশেষ মডেল নির্মাণ করতে চাই তাহলে আমাদের আরও সংযত এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকেই অনেকে মনে করছেন দেশের নানা জায়গায় মন্দির উদ্ধার করে একই ধরনের ইস্যু তুলে ধরলেই হিন্দুদের নেতা হওয়া যাবে, কিন্তু এই কর্মের মধ্যে তলে তলে একটি বিরূপ ভাবনাকেও প্রচার করা হচ্ছে। এই মত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রীরামের জন্মস্থান এবং মন্দির, একটি সামজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভাবে আস্থা-বিশ্বাস-অস্তিত্বের প্রমাণ নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন ছিল। দেশব্যাপী মানুষের চাহিদাও ছিল। সেই সঙ্গে জনমতও ছিল। সামাজিক ভাবে একটি বৃহৎ আন্দোলনের পরিণাম ছিল অযোধ্যার রামমন্দির।”

    সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে

    এই প্রেক্ষিতে নতুন নতুন মন্দির পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আরএসএস (RSS) প্রধান ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “সংবাদপত্রে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে একটা একটা করে বিবাদ হচ্ছে। এই ভাবনাকে বা উদ্দেশ্যকে কোনও ভাবেই অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ভারতকে আগের ভুলগুলি থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবে ভাবতে হবে। দেশকে কীভাবে বিশ্বের কাছে বিশ্বগুরু করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। দেশে বহিরাগতরা আক্রমণ করেছে, এরপর মূল সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারিনি তারা, জোর পূর্বক ধর্মান্তরণ করেছে তারা। তাই এখন আধিপত্যের সময় চলে গিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে। তাই তাকে গুরুত্ব দিয়ে সেই রূপ কাজ করতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ নতুন বছরের গোড়াতেই উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

    ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র ছিল

    ভাগবত (RSS) ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কথা বলে বলেন, “মুঘল আমলে ১৮৫৭ সালে বাহাদুর শাহ গোহত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ঔরঙ্গজেব তা মানেননি। হিন্দুদের মনে দাগ কাটতে অকাতরে উল্টোকাজই করে গিয়েছেন এই মুসলমান শাসক। অযোধ্যায় রামমন্দির আগেই হিন্দুদের হাতে দেওয়ার কথা হয়েছিল, কিন্ত ব্রিটিশরা আরও বেশিদিন শাসন করার জন্য হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের দেওয়ালকে আরও শক্তপোক্ত করেছিল। এতে সেই সময় থেকে আরও বিরাট ফাটল তৈরি হয়েছিল দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে। এখান থেকেই বিছিন্নতাবাদ এবং পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান নির্মাণ হয়। সবটাই ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। কে সংখ্যাগরিষ্ঠ আর কে সংখ্যালঘু সবাই সমান। দেশের ঐতিহ্য হল সকলে নিজ নিজ উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন। এটাই ভারতীয়দের আসল পরিচয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের পর সামরিক সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (India China Relation)। সেই সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ভারত ও চিন ঐক্যমত্যে পৌঁছতে বুধবার ছ’দফা চুক্তি করেছে। সীমান্ত পেরিয়ে নদীর সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং নাথুলা সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বেজিংয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করা হয়।

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। হিন্দু, জৈন এবং বৌদ্ধরাও কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করেন। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কৈলাস পর্বত দর্শন করে আনন্দ লাভ করেন পুণ্যার্থীরা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই কৈলাসই মহাদেবের বাসস্থান। ২০২০ সালের আগে ফি বছর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রায় যেতেন পুণ্যার্থীরা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় তীর্থযাত্রা। পরে করোনা-পর্ব চুকে গেলেও, চিনের টালবাহানায় আর শুরু হয়নি যাত্রা। সম্প্রতি সেই যাত্রাই ফের চালু হতে চলেছে বলে খবর। তবে কবে থেকে যাত্রা শুরু হবে, তা জানানো হয়নি (Kailash Mansarovar Yatra) চিন কিংবা ভারতের বিবৃতিতে (India China Relation)।

    আরও পড়ুন: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    তবে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধিরা সীমান্ত পেরিয়ে সহযোগিতা ও বিনিময়ের জন্য ইতিবাচক নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালু করা, সীমান্ত পেরিয়ে নদীর তথ্য শেয়ারিং এবং সীমান্ত বাণিজ্য। ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি (ডোভাল এবং ওয়াং) সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতেই এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জোর দিয়েছেন যে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিক উন্নয়নে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: নতুন বছরের গোড়াতেই উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

    Uniform Civil Code: নতুন বছরের গোড়াতেই উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি আইন (Uniform Civil Code) কার্যকর হবে। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ইউসিসি অর্থাৎ ইউনিফর্ম সিভিল কোড আইন বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তেমনটা হলে, এই রাজ্য হতে চলেছে ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর হতে চলেছে।

    নারী এবং শিশুদের ক্ষমতায়ণের দিকে নিয়ে যাবে (Uniform Civil Code)

    রাজ্যের সচিবালয়ের অনুষ্ঠিত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন বোর্ডের একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেন, “রাজ্য সরকার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে পূরণ করতে ইউসিসিকে (Uniform Civil Code) কার্যকর করতে চলেছে। এই আইন রাজ্যের সকল মানুষের জন্য একান্ত ভাবে প্রযোজ্য। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস’-এর ভাবনা নিয়ে কাজ করবে। এই আইন দেবভূমির নারী এবং শিশুদের ক্ষমতায়ণকে আরও বিস্তৃত করবে। আইনের সুবিধা পেতে একটি পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। জনসাধারণের সুবিধার জন্য এই আইনকে আরও সহজ করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে

    উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার ২০২২ সালের মার্চ মাসে নবগঠিত সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইউসিসি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। এরপর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বিল ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভায় পাশ হয়। এর পর বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে। ২০২৪-এর ১২ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইউসিসি আইনকে বাস্তবায়িত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারিকদের সমস্ত প্রয়োজনীয় সুবিধার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, কার্যকর কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivkhola: চা বাগানের বুক চিরে রাস্তা, সবুজের গালিচা, পাহাড়ি নদী! ছবির মতো সুন্দর শিবখোলা

    Shivkhola: চা বাগানের বুক চিরে রাস্তা, সবুজের গালিচা, পাহাড়ি নদী! ছবির মতো সুন্দর শিবখোলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক; একটা ছোট্ট পাহাড়ি নদী আর তরাই উপত্যকার ইতস্তত বিক্ষিপ্ত জঙ্গল। এই নিয়েই সংসার দার্জিলিং জেলার এই অনাঘ্রাত, প্রায় অচেনা পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র ‘শিবখোলা’র। ছবির মতো সুন্দর নরবুঙ টি এস্টেটের (Tea garden) বুক চিরে রাস্তা চলে গিয়েছে সোজা। সেই রাস্তা ছেড়ে দিলে সবুজের গালিচায় মোড়া এক টুকরো ভূমি আর তার নীচে নদীর চর। নদীর ওপারে মহানন্দার অরণ্য আর বিশঘরের গ্রাম। গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নদীর তীরে এক সুপ্রাচীন শিব মন্দির (Shivkhola)। মূল মন্দির আর নাটমন্দিরের নীচ দিয়ে শিবখোলা নদী একটা মনোরম বাঁক নিয়েছে। পাহাড়ি কিশোরীর উচ্ছলতায় পায়ের নুপূরের ঝুমঝুমি বাজিয়ে অনর্গল বয়ে চলেছে সেই নদী।

    অপূর্ব মায়ার আঁচল (Shivkhola)

    এখান থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে মালদিরাম সানরাইজ পয়েন্ট। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ ভিউ পাওয়া যায়। ম্যাগপাই, মিনলা, মিনিভেটের রাজত্ব এই অঞ্চলে। এছাড়াও এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির, বিভিন্ন রঙের প্রজাপতির। এখানে কোথাও নেই শহরের কোলাহল। নেই কোনও দূষণ। পাহাড়ের কোলে প্রকৃতি যেন এক অপূর্ব মায়ার আঁচল বিছিয়ে রেখেছে। ট্রেকিং, বার্ড ওয়াচিং অথবা নিঃশব্দে প্রকৃতির কোলে দুটো দিন কাটানোর জন্য এক আদর্শ জায়গা এই শিবখোলা (Shivkhola)। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে একই সঙ্গে ঘুরে আসা যায় ২৫ কিমি দূরের লাটপাঞ্চার, ৪ কিমি দূরে হেলিপ্যাড আর ভিউ পয়েন্ট অথবা দু-আড়াই ঘন্টার সফরে দার্জিলিং থেকেও।

    যাবেন কীভাবে, থাকবেন কোথায়?

    যাতায়াত ও থাকা খাওয়া-কলকাতা থেকে এলে প্রথমে আসতে হবে এন জে পি বা নিউ জলপাইগুড়ি। আসছে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। সেখান থেকে আসতে হবে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে আসতে হবে শিবখোলা (Shivkhola)। দূরত্ব প্রায় ২৭ কিমি। কলকাতা থেকে সরাসরি শিলিগুড়ি আসছে বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি বাসও। শিবখোলায় আছে শিবখোলা অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প। ফোন ৭০৭৬০১২৩১৪ , ৮৩৮৮৮৪২৩৪১।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bipin Rawat: পাইলটের ভুলেই মৃত্যু হয়েছিল সিডিএস বিপিন রাওয়াতের, জানাল সংসদীয় রিপোর্ট

    Bipin Rawat: পাইলটের ভুলেই মৃত্যু হয়েছিল সিডিএস বিপিন রাওয়াতের, জানাল সংসদীয় রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাইলটের ভুলেই মৃত্যু হয়েছিল সিডিএস বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat)। তিন বছর আগের ওই চপার দুর্ঘটনায় (Chopper Crash) মৃত্যু হয়েছিল তৎকালীন সিডিএসের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত-সহ ১১ জনের। ঘন কুয়াশার মধ্যেই তামিলনাড়ুর কন্নুরের একটি পাহাড়ে গিয়ে ধাক্কা মারে বায়ুসেনার চপারটি। তার জেরেই মৃত্যু হয় বিপিন-সহ ১২ জনের।

    ৩৪টি বিমান দুর্ঘটনার উল্লেখ (Bipin Rawat)

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে লোকসভায়। এই রিপোর্টে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঘটা মোট ৩৪টি বিমান দুর্ঘটনার উল্লেখ করা হয়। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৯টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এর সবকটিই ঘটেছে পাইলটের ভুলে। এই ভুলের তালিকায় রয়েছে বিপিনের বিমান দুর্ঘটনার কথাও। তার পরেই খোলে রহস্যের জট।

    বিপিনের চপার

    বায়ুসেনার চপার এমআই-১৭ ভি ৫-এ নিজের স্ত্রী-সহ মোট ১২ জন জওয়ানকে নিয়ে তামিলনাড়ুর সুলুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ সার্ভিস কলেজে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা দেন বিপিন (Bipin Rawat)। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে চপারটি ছেড়েছিল ১১.৫০ মিনিট নাগাদ। ১২.২০ মিনিট নাগাদ আচমকাই ভেঙে পড়ে চপারটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকটাই নীচ দিয়ে চপারটি উড়ছিল। তার জেরে পাহাড়ের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ হয় চপারটির। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বিপিন-সহ মোট ১১জন। জখম হন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁরও।

    আরও পড়ুন: সংসদে হাতাহাতিকাণ্ডে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির, কোন কোন ধারায়?

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বায়ুসেনার চপারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পিছনে প্রধান কারণ আচমকাই আবহাওয়ার অবনতি। যার জেরে চপারটি ঢুকে পড়ে মেঘের ভিতরে। সেই পরিস্থিতির কোনও আঁচই পাননি পাইলটরা। স্থানীয় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারায় চপারটি। বিমানের ডেটা রেকর্ডার আর ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই পাইলটের ভুলের দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

    প্রসঙ্গত, বিপিনের (Bipin Rawat) চপার দুর্ঘটনার পর বায়ুসেনাকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। গাফিলতি বা অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব উঠে এলেও, তা খারিজ করে দেওয়া হয়। শেষমেশ প্রকাশ্যে এল (Chopper Crash) তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত রিরোর্ট।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: সংসদে হাতাহাতিকাণ্ডে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির, কোন কোন ধারায়?

    Rahul Gandhi: সংসদে হাতাহাতিকাণ্ডে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির, কোন কোন ধারায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হাতাহাতির জেরে জখম হয়েছেন বিজেপির দুই সাংসদ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ধাক্কায়ই আহত হয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করল পদ্ম-পার্টি। এদিকে, আহত সাংসদদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খোঁজ নিয়েছেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামলা দায়ের

    কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অনুরাগ ঠাকুর-সহ গেরুয়া শিবিরের তিন সাংসদ। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১১ (স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত করা), ১১৫ (আঘাত করা), ১২৫ (এমন আচরণ যা একাধিক ব্যক্তির জন্য সুরক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে) ১৩১ (অপরাধের উদ্দশে শক্তি প্রয়োগ), ৩৫১ (অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে বাধাদান) এবং ৩(৫) (অপরাধের অভিন্ন উদ্দেশ্য) ইত্যাদি ধারায় পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

    সংসদ চত্বরে মারামারি (Rahul Gandhi)

    বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ চত্বরে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস ও বিজেপি সাংসদরা। মারের চোটে মাথা ফেটেছে ওড়িশার বালাসোরের সাংসদ প্রতাপ সারঙ্গির। মাথা ফেটে যায় তাঁর। গুরুতর জখম হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের সাংসদ মুকেশ রাজপুতও। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাদের দুই সাংসদই জখম হয়েছেন রাহুল গান্ধীর ধাক্কায়। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “রাহুল গান্ধীর ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছেন দুই বিজেপি সাংসদ। কোনও সাংসদ কীভাবে সংসদ চত্বরে বল প্রয়োগ করতে পারেন? কোন আইন এটার অনুমতি দিচ্ছে। আপনি কি কুংফু-ক্যারাটে শিখেছেন অন্য সাংসদদের মারধর করতে?’’

    কী বললেন জখম সাংসদ

    প্রতাপ বলেন, “রাহুল গান্ধী একজন সাংসদকে ধাক্কা মারেন। তিনি আমার ওপর পড়ে যান। আমি নীচে পড়ে যাই।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাহুল (Rahul Gandhi)। বিজেপি নেতা হেমাঙ্গ জোশি বলেন, “সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ আমি মুকেশ রাজপুতজি, প্রতাপ রাও সারঙ্গিজি এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম। সকাল প্রায় ১০টা ৪০ নাগাদ রাহুল গান্ধী সেখানে এসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের দিকে জোরপূর্বক এগিয়ে যান। তিনি (রাহুল) সাংসদদের নিরাপত্তা বিপন্ন করেছেন।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল আরএসএস নেতারা, এক বাংলাদেশি সমেত কেরলে গ্রেফতার ৮ সন্ত্রাসী

    মকরদ্বারে নিষিদ্ধ বিক্ষোভ

    এদিকে, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদের গেটের সামনে প্রতিবাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। লোকসভার সচিবালয় বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করেছে সংসদের মকর দ্বারে কোনও বিক্ষোভ সমাবেশ করা যাবে না। বৃহস্পতিবারের ঘটনার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ করেছেন বিজেপির তফশিলি উপজাতি মহিলা সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share