Tag: news in bengali

news in bengali

  • BJP: রবীন্দ্র ঘোষকে সংবর্ধনা বিজেপির, “এক পাও পিছু হঠব না”, বললেন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী

    BJP: রবীন্দ্র ঘোষকে সংবর্ধনা বিজেপির, “এক পাও পিছু হঠব না”, বললেন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ধৃত হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Das) আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে সংবর্ধনা দিল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। রবীন্দ্র ঘোষের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। রবীন্দ্র জানান, তিনি বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ফের চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে সওয়াল করতে আদালতে যাবেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে বারাকপুরে এসেছেন রবীন্দ্র। সেখান থেকেই অশীতিপর আইনজীবীর ঘোষণা, বাংলাদেশে তাঁর প্রাণ সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন। এক পাও পিছু হঠবেন না।

    রবীন্দ্রকে সংবর্ধনা বিজেপির (BJP)

    মঙ্গলবার সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান বিজেপি নেতারা। এঁদের মধ্যে ছিলেন অর্জুন সিং, কৌস্তুভ বাগচিরা। ছিলেন কার্তিক মহারাজও। বাংলাদেশের ওই আইনজীবীকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন বারাকপুর আদালতের আইনজীবীরাও। রবীন্দ্র বলেন, “চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এসেছি। কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম বলছে, ষড়যন্ত্র করতে এই দেশে এসেছি! এটা ঠিক নয়। আমি রাজনীতি করি না। আমি একজন মানবাধিকার কর্মীও।”

    কী বললেন রবীন্দ্র

    তিনি বলেন, “চিন্ময়কৃষ্ণকে ২ জানুয়ারি আদালতে তোলা হলে ওঁর হয়ে সওয়াল করতে অবশ্যই যাব। আমার মৃত্যু হলে, বাংলাদেশেই হবে। মানবাধিকার, দেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে লড়ব।” বাংলাদেশের ওই আইনজীবী যতদিন বারাকপুরে থাকবেন, ততদিন রাজ্য সরকার যাতে তাঁকে নিরাপত্তা দেয়, সেই আর্জিও জানান বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। রাজ্য সরকার তা না দিলে কেন্দ্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি (BJP)।

    বারাকপুরে ছেলের বাড়ি রবীন্দ্রর। সেখানে বসেই অশীতিপর আইনজীবী বলেন, “আমি জানি, আমাদের প্রাণ সংশয় রয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। এক পাও পিছু হঠব না।” তিনি বলেন, “আমার প্রথম চিন্তা, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্ত করতে হবে। চট্টগ্রাম আদালতে মুক্তি না পেলে হাইকোর্টে যাব। সেখানে না হলে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে যাব।”

    আরও পড়ুন: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    চিন্ময়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে রবীন্দ্র বলেন, “আমি চট্টগ্রামের জেলে গিয়ে দেখা করেছিলাম। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত হলেও, শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। জেলে রান্না করে খেতে হয়। কষ্ট করে থাকতে হয়।” প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, “চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে জেলে আরও দুই সন্ন্যাসী রয়েছেন। তাঁদের দুটি মশারি দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোও চুরি হয়ে গিয়েছে।” রবীন্দ্রকে সংবর্ধনা দেওয়ার পর অর্জুন বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের বাঁচাতে হবে। তার জন্য যা করা দরকার, ভারতকে তা করতে হবে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে ঠান্ডা করে দিয়েছেন মোদিজি। তাই সবাই (Chinmoy Das) তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে।” ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেস নেত্রী তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। দিন কয়েক আগেই প্যালেস্তাইনের গাজায় গণহত্যা নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সময় তাঁকে নিশানা করেছিল বিজেপিও। সোমবার কাঁধে প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ ঝুলিয়ে সংসদে যান প্রিয়ঙ্কা। তারই প্রেক্ষিতে সোনিয়া-তনয়াকে ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বললেন যোগী?

    এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আমরা সাড়ে পাঁচ হাজারের ওপর যুবককে ইজরায়েলে পাঠিয়েছি। অথচ একজন কংগ্রেস নেত্রী প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ নিয়ে পার্লামেন্টে ঘুরছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে ছেলেরা গিয়ে সেখানে নির্মাণকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা মাসে অন্তত দেড় লাখ টাকা বেতন পান। শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ইজরায়েল সরকার তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।” এর আগে এই ব্যাগ নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে বিঁধেছিলেন সাংসদ বিজেপির গুলাম আলি খাতনা। তিনি বলেছিলেন, “খবরে আসার জন্য অনেকে এমন কাজ করেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করলে মানুষ এরকমই পথ অনুসরণ করে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    ইজরায়েলে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন প্যালেস্তাইনের কয়েক হাজার নির্মাণ শ্রমিক। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর বদলে গিয়েছে পুরো পরিস্থিতি (Yogi Adityanath)। গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে ফেলেছে ইজরায়েল। সেই ‘শূন্যস্থান’ই পূরণ করছে ভারত। গত বছরের নভেম্বরে এক লাখ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ইজরায়েল। এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে ইহুদি দেশটিতে কাজ করতে গিয়েছেন ছ’ হাজারের ওপর ভারতীয়। এখনও বহু যুবক কাজ করতে এদেশ থেকে ইজরায়েলে যাচ্ছেন। এঁদের একটা বড় অংশই উত্তরপ্রদেশের। এদিন প্রিয়ঙ্কাকে নিশানা করতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনলেন (Priyanka Gandhi) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 223: “ও-দেশে ছেলেবেলায় আমায় পুরুষ মেয়ে সকলে ভালবাসত, আমার গান শুনত”

    Ramakrishna 223: “ও-দেশে ছেলেবেলায় আমায় পুরুষ মেয়ে সকলে ভালবাসত, আমার গান শুনত”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

     দক্ষিণেশ্বরে মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

     শ্রীরামকৃষ্ণ-কথিত নিজ চরিত 

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে নিজের ঘরে কখনও দাঁড়াইয়া, কখনও বসিয়া ভক্তসঙ্গে কথা কহিতেছেন। আজ রবিবার, ১০ই জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, জ্যৈষ্ঠ, শুক্লা পঞ্চমী, বেলা ১০টা হইবে। রাখাল, মাস্টার, লাটু, কিশোরী, রামলাল, হাজরা প্রভৃতি অনেকেই আছেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) নিজের চরিত্র, পূর্বকাহিনী বর্ণনা করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—ও-দেশে ছেলেবেলায় আমায় পুরুষ মেয়ে সকলে ভালবাসত। আমার গান শুনত। আবার লোকদের নকল করতে পারতুম, সেই সব দেখত ও শুনত। তাদের বাড়ির বউরা আমার জন্য খাবার জিনিস রেখে দিত। কিন্তু কেউ অবিশ্বাস করত না। সকলে দেখত যেন বাড়ির ছেলে।

    “কিন্তু সুখের পায়রা ছিলুম। বেশ ভাল সংসার দেখলে আনাগোনা করতুম (Kathamrita)। যে-বাড়িতে দুঃখ বিপদ দেখতুম সেখান থেকে পালাতুম।

    “ছোকরাদের ভিতর দু-একজন ভাল লোক দেখলে খুব ভাব করতুম। কারুর সঙ্গে সেঙাত পাতাতুম। কিন্তু এখন তারা ঘোর বিষয়ী। এখন তারা কেউ কেউ এখানে আসে, এসে বলে, ও মা! পাঠশালেও যেমন দেখেছি এখানেও ঠিক তাই দেখছি।

    “পাঠশালে শুভঙ্করী আঁক ধাঁধা লাগত! কিন্তু চিত্র বেশ আঁকতে পারতুম; আর ছোট ছোট ঠাকুর বেশ গড়তে পারতুম।”

    Fond of charitable houses; and of Ramayana and Mahabharata

    “সদাব্রত, অতিথিশালা—যেখানে দেখতুম সেখানে যেতুম, গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতুম।

    “কোনখানে রামায়ণ কি ভাগবত পাঠ হচ্ছে, তা বসে বসে শুনতুম, তবে যদি ঢঙ করে পড়ত, তাহলে তার নকল করতুম, আর অন্য লোকেদের শুনাতুম।

    “মেয়েদের ঢঙ বেশ বুঝতে পারতুম। তাদের কথা, সুর নকল করতুম। কড়েঁরাড়ী বাপকে উত্তর দিচ্ছে ‘যা-ই’। বারান্দায় মাগীরা ডাকছে, ‘ও তপ্‌সে-মাছোলা!’ নষ্ট মেয়ে বুঝতে পারতুম। বিধবা সোজা সিঁথে কেটেছে, আর খুব অনুরাগের সহিত গায়ে তেল মাখছে! লজ্জা কম, বসবার রকমই আলাদা।

    “থাক বিষয়ীদের কথা।”

    রামলালকে গান গাহিতে বলিতেছেন। শ্রীযুক্ত রামলাল গান গাহিতেছেন:

    (১)।       কে রণে নাচিছে বামা নীরদবরণী,
    শোণিত সায়রে যেন ভাসিছে নবনলিনী।

    এইবার রামলাল রাবণবধের পর মন্দোদরীর বিলাপ গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

             (২)।        কি করলে হে কান্ত! অবলারি প্রাণ কান্ত,
    হয় না শান্ত এ প্রাণান্ত বিনে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 7: দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে অঞ্জলির সময় তাঁতিবাজারে পেট্রোল বোমা মেরেছিল জেহাদিরা!

    Bangladesh Crisis 7: দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে অঞ্জলির সময় তাঁতিবাজারে পেট্রোল বোমা মেরেছিল জেহাদিরা!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ সপ্তম পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালটা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের জন্য ছিল অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের সময়। ১৯৪৭ সালের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান-পশ্চিম পাকিস্তান দুই ইসলাম প্রধান দেশই হিন্দু স্বার্থকে (Targeting Minority) সুরক্ষিত রাখেনি। শত্রু সম্পত্তি আইন থেকে শুরু করে গায়ের জোরে হিন্দু নিধন যজ্ঞ চালানো হয়েছে। ধর্মের নামে দেশ ভাগের চূড়ান্ত মাশুল দিতে হয়েছিল একমাত্র পূর্ববঙ্গের হিন্দু বাঙালিদের। ওদেশে সরকার ব্যবস্থায় যেই থাকুক না কেন, স্বাধীন জয় বাংলায় হিন্দুদের ভোট কোনও সময়েই ভোটব্যাঙ্কের রাজনৈতিক চাবিকাঠিতে রূপান্তরিত হয়নি। উল্টো দিকে স্বাধীন ভারতে মুসলমানরা বিশেষ ‘তোষণ নীতি’ নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সংখ্যালঘু শব্দটা উভয় দেশের জন্য আলাদা আলদা মানে। গত ৫ অগাস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু মন্দির, মূর্তি, বাড়ি-ঘর ধ্বংস-সহ এককথায় সনাতনীদের জনজীবন নরকে পরিণত করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির কট্টর মুসলমানদের দিকে।

    ৫ থেকে ২০ অগাস্টে মোট ৬৯টি মন্দির ভাঙা হয়

    হিন্দু বাঙালির (Targeting Minority) বড় পুজো হল দুর্গাপুজো। অপর দিকে ইসলামে মূর্তি পুজো হারাম। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) তাই এক মৌলানা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, “মূর্তি আমি গড়তে আসি নাই, মূর্তি ভাঙতে এসেছি, আমি না পারলে আমার ছেলে ভাঙবে, ছেলে না পারলে তার ছেলে ভাঙবে, ইনশাল্লাহ এক দিন ভাঙবই।” এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন, এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগীরা। চট্টগ্রামে দুর্গাপুজার মন্দিরে জামাত শিবিরের নেতারা জোর করে ঢুকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের গান করেন। স্পষ্ট উদ্দেশ্য, আগামী দিনে পুজো তথা মূর্তি পুজো বন্ধ করে সবাইকে মসজিদে নামাজই পড়তে হবে। ‘ঢাকা ট্রাইবুন’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট জানিয়েছে গত ৫ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্টের মধ্যে ৪৩টি মন্দির ভাঙা হয়েছে। আবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মোট ৬৯টি মন্দির ভাঙা হয়েছে। একই ভাবে সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ এই সময়ে ২২টি মন্দির ভাঙার কথা জানিয়েছে।

    হিন্দুরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছিল

    দুর্গাপুজোর আগে থেকেই পুজো করতে গেলে ৫-৬ লাখ করে পুজো কমিটিগুলিকে চাঁদা দেওয়ার ফতোয়া জারি করে জামাত এবং বিএনপির নেতার। একই ভাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) উত্তরাতে দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হবে না বলে বিশাল মিছিল বের করেছিল স্থানীয় মৌলবিরা। মিছিলে স্পষ্ট বলা হয়, পুজো করলে উদ্যোক্তাদের বাড়িতে হামলা করা হবে। পুজোর আগেই চট্টগ্রাম, রংপুর, নেত্রকোনা, বরিশাল, কুমিল্লা, ঢাকা, খুলনা, বগুড়ায় প্রচুর নির্মীয়মান দুর্গামূর্তি এবং মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়। এলাকায় এলাকায় হিন্দুরা (Targeting Minority) রাত জেগে জেহাদিদের কবল থেকে মন্দির রক্ষা করতে পাহারায় নামতে বাধ্য হন। সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি প্রচুর দেখা গিয়েছিল। মন্দির ভাঙার অপরাধে কুঁড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকায় আনসার বাহিনীর এক সদস্য মহম্মদ নিজামুদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু তারপর তদন্তের গতিপ্রকৃতি আর প্রকাশ্যে আসেনি।

    আরও পড়ুনঃ ভেঙে ফেলা হয়েছে মেরির মূর্তি! হিন্দুদের মতো বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের ওপরও অবর্ণনীয় অত্যাচার বাংলাদেশে

    তাঁতিবাজারে পুজোয় পেট্রোল বোমা মারা হয়

    দুর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীর দিনে ঢাকার তাঁতিবাজার (Bangladesh Crisis) এলাকার এক দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে অঞ্জলি দেওয়ার সময় পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় জেহাদিরা। পুজোকে আরও কোণঠাসা করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে ফতোয়া দেন, “মন্দিরে ঢাক, ঢোল, কাঁসর বাজানো যাবে না, এমনকী বিসর্জনে বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না।” কিশোরগঞ্জের গোপীনাথ জিউর আখড়ায় দুর্গাপুজোতে হামলা করেছিল দুষ্কৃতীরা। নেত্রকোনা, কেন্দুয়া, ফেনির পার্বতীপুর, দিনাজপুর এলাকায় দুর্গামূর্তি, কালীমূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, পীরগঞ্জ উপজেলা, শরীয়তপুর সদর সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক ভাবে হিন্দু (Targeting Minority) আস্থার ধর্মকেন্দ্রগুলিকে সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে কট্টর মৌলবাদীরা। এই অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিও।

    মা যশোরেশ্বরী মন্দিরে গয়না লুট

    সাতক্ষীরা (Bangladesh Crisis) কালীমন্দিরে দুষ্কৃতীরা চালায় ব্যাপক লুটপাট। শ্রী শ্রী যশোরেশ্বরী মন্দিরের মায়ের জন্য একটি সোনার গয়না দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই গয়নাকে চুরি করানো হয়। এখনও ইউনূস প্রশাসন তা উদ্ধার করতে ব্যর্থ। একই ভাবে লাগাতার আক্রমণ করা হয় বগুড়ার অন্যতম শক্তিপীঠ ভবানীপুর মন্দির, বরিশালের শ্যামপুর দেউরি বাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, রাজবাড়ির সজানকাণ্ডা জেলার মন্দিরে। পাবনায় মূর্তি ভাঙা হয়, পালপাড়া শক্তিপীঠ, বাঘেরহাটের মোল্লারকুল পাশ্চিমপাড়া দুর্গাপূজা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হয়। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি মূর্তি ভাঙা হয়। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, এই সময় ফরিদপুর থেকে বাপি হাসান নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরিতাপের কথা সেনাশাসন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং মহম্মদ ইউনূস হিন্দু সুরক্ষা নিয়ে মুখে কুলুপ। 

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Varanasi: চার দশক বন্ধ থাকার পর ফের খুলছে ২৫০ বছরের পুরনো বারাণসীর এই শিব মন্দিরের দ্বার

    Varanasi: চার দশক বন্ধ থাকার পর ফের খুলছে ২৫০ বছরের পুরনো বারাণসীর এই শিব মন্দিরের দ্বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে বারাণসী (Varanasi) শহরে দীর্ঘ চার দশক ধরে বন্ধ ছিল ২৫০ বছরের পুরনো এক শিব মন্দির। এবার এই মন্দিরকে পুনরায় খোলার নেতৃত্ব দিচ্ছে হিন্দু সংগঠন (Hindu organizations)। এই কাজের কর্ণধার রাজ্যের সনাতন রক্ষা দলের সভাপতি অজয় শর্মা। তিনি বলেন, “মন্দিরকে পুনরায় খোলা নিয়ে কোনও বিরোধিতা থাকা উচিত নয়।”

    সনাতনীদের ধর্মীয় স্থানকে উদ্ধারে উদ্যোগ (Varanasi)

    প্রায় চার দশক ধরে বারাণসীর (Varanasi) একটি শিব মন্দির বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল। মদনপুরা এলাকায় এই মন্দিরের অবস্থান। সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর মন্দিরের দরজা খোলার জন্য বেশকিছু মানুষ জড়ো হন। তাঁদের একটিই দাবি ছিল। তা হল, সনাতনীদের ধর্মীয় স্থানকে উদ্ধার করতে হবে। সেখানে পুজো-অর্চনা শুরু করতে হবে। অবশ্য এই কাজের সম্পূর্ণ নেতৃত্বে ছিলেন অজয় শর্মা (Hindu organizations)। উল্লেখ্য সম্ভলের এক মুসলমান পাড়ার ভিতরে মাটির নিচ থেকে মন্দিরের অবশেষ এবং মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু বছর এলাকা দখল করে, হিন্দু বসতি উচ্ছেদ করে মুসলিম বসতি গড়া হয়েছিল। তাতেই ওই মন্দিরের অস্তিত্ব ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। এবার, জবর দখল উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় বেরিয়ে পড়ে মন্দিরের অস্তিত্ব।

    মুসলমানরা ধীরে ধীরে হিন্দু মালিকানাধীন জায়গা দখল করেছে

    বারাণসী (Varanasi) সনাতন রক্ষার (Hindu organizations) সভাপতি অজয় শর্মা বলেন, “মন্দিরটি বর্তমানে মুসলমান সম্প্রদায়ের এলাকায় অবস্থিত। বছরের পর বছর ধরে জবর দখল করে রাখা হয়েছিল। মন্দির প্রাঙ্গণের নানা জায়গা অবহেলিত হয়ে রয়েছে। এখানে সেখানে প্রচুর ময়লা জমে রয়েছে। ধ্বংসাবশেষের স্তূপ জমে রয়েছে। উল্লেখ্য এই এলাকাও একটা সময়ে হিন্দুদের বসতি ছিল। কিন্তু মুসলমানরা ধীরে ধীরে হিন্দু মালিকানাধীন জায়গা দখল করার পর থেকেই মন্দির পরিত্যক্ত হয়। পুনরায় মন্দির খোলাই এখন আমাদের উদ্দেশ্য।”

    স্থানীয় থানার বক্তব্য

    দশশ্বমেধ থানার (Varanasi) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রমোদ কুমার বলেন, “মন্দির পুনরায় চালু করতে মানুষের কোনও আপত্তি নেই। বেশ কিছু জনতা মন্দিরকে খুলতে বলেছেন। তবে কাছেই একটা মুসলিম এলাকা রয়েছে। হিন্দুরা যখন থেকে এখানে আসা বন্ধ করে দিয়েছে, তখন থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে কোনও বিরোধ নেই। মন্দির নিয়ে কোনও ব্যক্তির মতভেদ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Picnic: শীত মানেই পিকনিক! আনন্দে ভেসে যাওয়ার আগে কোন কোন দিকে নজরদারি জরুরি?

    Picnic: শীত মানেই পিকনিক! আনন্দে ভেসে যাওয়ার আগে কোন কোন দিকে নজরদারি জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শহর থেকে জেলা, জাঁকিয়ে বসছে শীত! আর বছর শেষের এই মরশুমে মানুষ মাতেন উৎসবে। স্কুল থেকে পাড়ার ক্লাব কিংবা আবাসনের বাসিন্দা, একসঙ্গে বনভোজনের উৎসবে সামিল হন অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীত মানেই পিকনিক (Picnic) হলেও কয়েকটি দিক নজরে না রাখলেই বিপদ বাড়বে। বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতাও। তাই সুস্থ শরীরে শীত উদযাপনের জন্য দরকার কয়েকটি দিকে বিশেষ নজরদারি। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি।

    জল পরিশ্রুত কিনা নজরে থাকুক (Picnic)

    জল পরিশ্রুত কিনা সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকনিক বা বনভোজনে যে পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে কিংবা রান্নায় যে জল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। জল থেকেই একাধিক জটিল রোগ তৈরি হয়। জন্ডিস, টাইফয়েড কিংবা ডায়ারিয়ার মতো রোগ জলবাহিত। তাই এই ধরনের জটিল রোগ আটকাতে পরিশ্রুত জল জরুরি। পিকনিকের রান্নায় ব্যবহারের সময় অনেকেই জল পরিশ্রুত কিনা, সে দিকে বিশেষ নজর দেন না‌। তাই পরিশ্রুত জলের উপরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    শৌচালয়ের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শৌচালয় নিয়ে জনসচেতনতা তলানিতে। বিশেষত শৌচালয়ের স্বাস্থ্যবিধি কিংবা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অনেকেই সচেতন নয়। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকনিক (Picnic) স্পটে সাধারণত একটি বা দুটি শৌচালয় থাকে। একাধিক মানুষ সেগুলো ব্যবহার করেন। ঠিকমতো পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে না পারলে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষত ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে‌। তাই মহিলাদের এই বিষয়ে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শৌচালয় ব্যবহারের আগে ও পরে পর্যাপ্ত জল ব্যবহার জরুরি এবং ভালোভাবে শৌচালয় পরিষ্কার রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার।

    খাবার খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি (Picnic)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বনভোজনের সময় ঠিকমতো হাত পরিষ্কার করে খাবার খাওয়া হয় না। বিশেষত বাচ্চারা খেলাধূলা করতে করতেই খায়। এর ফলে পেট ব্যথা, বমি, অন্ত্রে সংক্রমণের মতো বিপদ তৈরি হয়। তাই খাবার আগে ভালোভাবে হাত ও মুখ পরিষ্কার করার দিকে নজর দেওয়া দরকার।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বিশেষ সতর্কতা জরুরি

    বনভোজনের (Picnic) মেনুতে কেক থেকে জয়নগরের মোয়া, এমন পদ থাকবেই। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে এই সময়ে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতেই হবে।

    উল্লাসে মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি

    বনভোজনের উল্লাসে অনেকেই মদ্যপানে সামিল হন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এতে একদিকে লিভারের ক্ষতি করে। আবার অতিরিক্ত মদ্যপান করলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই শীতের (Winter) উদযাপনে মদ্যপানে নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: ১২ বছর ধরে ১.২৫ লক্ষ রুদ্রাক্ষ ধারণ করে তপস্যা! সনাতন ধর্মের স্বার্থে সাধনা গীতানন্দ গিরির

    Mahakumbh 2025: ১২ বছর ধরে ১.২৫ লক্ষ রুদ্রাক্ষ ধারণ করে তপস্যা! সনাতন ধর্মের স্বার্থে সাধনা গীতানন্দ গিরির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে পূর্ণ যোগের মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলায় স্বামী গীতানন্দ গিরি নিজে রুদ্রাক্ষ ধারণ করার ১২ বছর যাত্রা পূর্ণ করবেন। এই আধ্যাত্মিক উৎসর্গের কঠোর সাধনাকে দেশ-জাতি এবং সনাতন ধর্মের কল্যাণের জন্য দীর্ঘ একযুগ ধরে বহন করে চলেছেন তিনি। তাঁর মনের অভিপ্রায়কে একটি সংলাপে বিনিময় করেছেন। এই সাধু ‘রুদ্রাক্ষ ওয়ালে বাবা’ (Gitananda Giri) নামেও পরিচিত। তিনি একনিষ্ঠ শৈবভক্ত। তিনি ১.২৫ লক্ষ রুদ্রাক্ষের অঙ্গীকার দ্বারা চিহ্নিত। প্রয়াগরাজের অর্ধকুম্ভ থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন আবার পুনরায় প্রয়াগরাজের মহাপূর্ণ কুম্ভে যাত্রা সমাপ্ত করবেন।

    জাতি এবং সনাতন ধর্মের স্বার্থে তপস্যা (Mahakumbh 2025)

    একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে গীতানন্দ গিরি (Gitananda Giri) বলেন, “এই তপস্যা আমি ১২ বছর ধরে করছি। রুদ্রাক্ষ ভগবানের অত্যন্ত প্রিয়, তাই একে আমি ধারণ করেছি। আমি এলাহাবাদের অর্ধকুম্ভ মেলা থেকে যাত্রা শুরু করেছি। এইবার আসন্ন পূর্ণ মহাকুম্ভে সম্পন্ন হবে। যখন শুরু করেছিলাম এই রুদ্রাক্ষের ওজন ছিল ১১ কেজি। এখন তার ওজন হয়েছে ৪৫ কেজি। আমি ১.২৫ লক্ষ রুদ্রাক্ষ ধারণ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম। মোট ৯২৫টি মালায় রুদ্রাক্ষ ধারণ করা হয়েছে। আমার সম্পূর্ণ তপস্যা জাতি এবং সনাতন ধর্মের স্বার্থে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    শেষ মুহূর্তে মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে

    অপর দিকে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) প্রতি ১২ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকে। ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তি থেকে শুরু হবে মেলা এবং চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শাহী স্নানের তারিখগুলি হল— ১৩ জানুয়ারি-পৌষ পূর্ণিমা, ১৪ জানুয়ারি-মকর সংক্রান্তি, ২৯ জানুয়ারি-মৌনি অমাবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি-বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি-মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি-মহাশিবরাত্রি। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ইতিমধ্যে ৪০ কোটি ভক্ত মেলায় সমাগম হবে বলে আগাম জানিয়েছে। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রয়াগরাজে গিয়ে মেলার প্রস্তুতি দেখেছেন। সড়ক, রেল, গঙ্গার স্বচ্ছতা, পানীয় জল, খাবর এবং থাকার ব্যবস্থার বিষয়ে বিশেষ নিরীক্ষণ করেন তিনি। সেই সঙ্গে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করছেন। শেষ মুহূর্তে মেলার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত মানেই পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া, বড়দিনের উৎসব। কিন্তু শীতের সময়েই হানা দেয় নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ, পেটের গোলমাল, হজমের সমস্যার মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। শিশু থেকে বয়স্ক, শীতের সময়ে অনেকেই নানান রোগের দাপটে নাজেহাল হয়। সর্দি-কাশির মতো অসুখের পাশপাশি অনেকেই ফুসফুসের নানান সংক্রমণের শিকার হন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের সবজিতেই (Vegetables) হতে পারে বাজিমাত। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের সবজির পুষ্টিগুণ একাধিক। রয়েছে রোগ মোকাবিলা শক্তি। তাই শীতের মরশুমে নিয়মিত কয়েকটি সবজি খেলেই সুস্থ থাকবে শরীর। আসুন, দেখে নিই, কোন কোন সবজির কী কী পুষ্টিগুণ?

    পালং শাক বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Vegetables)

    শীতের সবজির তালিকায় প্রথমেই থাকে পালং শাক। এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে। এই একাধিক ভিটামিন থাকার জেরেই এই শাক শীতকালে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার পালং শাকে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। ফলে, হাড় মজবুত হয়। শীতে অনেকেই বাতের যন্ত্রণায় কাবু হন।‌ তাই শীতে এই শাক নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের জোগান সহজ হয়। আবার আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিনের জোগানও পাওয়া যায়।

    ব্রোকলি হজমে বাড়তি সাহায্য করে

    শীতের মরশুমে অনেকেই হজমের গোলমালে ভোগেন। হজম না হওয়া কিংবা বমি, পেটের সমস্যার মতো‌ ভোগান্তিও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রোকলি এই সমস্যা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রোকলিতে (Vegetables) আছে‌‌ ভিটামিন কে, সি, ফাইবারের মতো উপাদান। ফলে, ব্রোকলি খেলে হজম ভালো হয়। পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে ফুলকপি

    শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি। বাঙালির রান্নাঘরে শীতে ফুলকপি থাকবেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুলকপি শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাছাড়া, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থও যথেষ্ট থাকে। তাই ফুলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। পাশপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে মূলো (Vegetables)

    শীতের মরশুমে বিয়ে‌বাড়ির নেমন্তন্ন কিংবা বনভোজনের ভূরিভোজে মেতে ওঠেন কমবেশি সকলেই। আর দেদার খাওয়া-দাওয়ার জেরে অনেকেই কিন্তু ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ওজন একাধিক রোগের কারণ। তবে শীতে এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মূলো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মূলো খুবই কম ক্যালোরি যুক্ত একটি সবজি। তাই নিয়মিত মূলো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া মূলোতে জলীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মূলো ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমায়। শীতে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মূলোর মতো সবজি খেলে এই ঝুঁকি (Winter diseases) কমবে।

    শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেবে গাজর

    সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হোক কিংবা ফুসফুসের অসুখ, যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান ঠিকমতো থাকলে রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজরে (Vegetables) থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত গাজর খেলে তাই শরীর সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফান্সে (France) মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) ব্যাপক ধ্বংসলীলায় আঘাত হেনেছে। বাড়ি-ঘর, গাছপালা, দোকান, রাস্তায় বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেছেন, “ঠিক কত পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু হয়েছে, সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে তথ্য দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।”

    অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম তাই উদ্ধারে বাধা (Cyclone Chido)

    জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের (France) মেইয়োত এলাকা আর্থিকভাবে অত্যন্ত অনুন্নত এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। এখানেই সবথেকে বেশি ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি (Cyclone Chido) হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনী লাগাতার জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ এবং আহত লোকজনকে দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিডোকে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সব থেকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ব্রুনো বলেছেন, “অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার জন্য উদ্ধার কাজে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”

    সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস ম্যাক্রঁর

    ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) গত সপ্তাহের শেষে পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপপুঞ্জের একটি বৃহৎ অংশে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে পাহাড় এবং সমতলে আছড়ে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি, পানীয় জল সরবরাহের গোটা সিস্টেমকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাক্রঁ, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দ্বীপপুঞ্জের এলাকাগুলিকে দ্রুত পরিদর্শনে যাব। দুর্যোগের বিষয়ে আমি সবরকম সহযোগিতার চেষ্টা করব। নিহত পরিবারের লোকজনের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করছি।”

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক মানুষ

    মেইয়োত অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যামিল কোজন আবদুরাজাক বলেছেন, “রীতিমতো একটি বড়সড় যুদ্ধ বিপর্যস্ত এলাকার মতো মনে হচ্ছে। আমি নিজে কিছুই আর চিনতে পারছি না। এখানে ঝড়ের (Cyclone Chido) ফলে একটা গাছও আর অবশিষ্ট নেই। পাহাড়ের কোনও ঘাসের চিহ্ন নেই। মানুষের জীবন অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে।” এলাকার আর এক বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক হামাদা আলি বলেন, “আমাদের এলাকার রাস্তাগুলি মাটির কাদায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। একটা বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে।”

    রাজধানী মামুদজুতে প্রধান হাসপাতালটিতে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে একটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে ১০০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেয়ুনিয়ঁ দ্বীপ থেকে ত্রাণ সরবরাহ এবং সরঞ্জাম পরিবহণের জন্য সামুদ্রিক এবং আকাশপথে অভিযান চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষায় প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু তাপমাত্রার পারদ নামলে শক্তি ক্ষয় হয়, দাপটও কমে। এমনটাই গত কয়েক বছর হয়ে এসেছে। কিন্তু এই বছরের ছবি বেশ ব্যতিক্রম। রাজ্যে শীত জাঁকিয়ে বসছে। কিন্তু তারপরেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ। বরং ডেঙ্গি সংক্রমণের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে শুধু কলকাতাতেই প্রায় ৩৫০ জনের ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। নদীয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। চলতি বছরে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত জেলা মুর্শিদাবাদ। ওই জেলার সর্বশেষ রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতেই প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রের খবর, শীতেও রাজ্যের সর্বত্র ডেঙ্গির মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। চলতি বছরে রাজ্যে কয়েক লাখ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। চলছে মৃত্যু মিছিল। অন্যান্য বছরে শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু চলতি বছরে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত।

    কাদের ঝুঁকি বাড়ছে? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ডেঙ্গি আক্রান্ত উপসর্গহীন হচ্ছেন‌। আর তার ফলেই বিপদ বাড়ছে। প্রথম থেকেই জ্বর কিংবা গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা বা বমির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। সামান্য সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ বমি বা রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের জন্য এই ধরনের উপসর্গহীন ডেঙ্গি আরও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    শীতেও (Winter) মশার দাপট চলছে। তাই ডেঙ্গির প্রকোপ অব্যাহত। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশা নিধনে সক্রিয়তা না থাকলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমানো যাবে না। তাই দরকার সচেতনতা।‌ পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখাই ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলার প্রথম ও প্রধান অস্ত্র। নিজের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। জমা জল একেবারেই রাখা চলবে না। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এলাকার বাগান কিংবা পার্ক থাকলে, সেগুলো পরিষ্কারে বাড়তি নজর দিতে হবে‌। পাশপাশি স্কুল কিংবা অফিস চত্বর পরিষ্কার রাখার দিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মশা নিধন স্প্রে দেওয়া জরুরি। নিকাশি ব্যবস্থাও পরিষ্কার থাকা দরকার। মশা বাহিত রোগ মোকাবিলার জন্য দরকার সতর্কতা। তবে সাধারণ সর্দিকাশির উপসর্গের আড়ালেও হানা দিচ্ছে ডেঙ্গি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা দ্রুত করা দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ রোগ প্রথমেই চিহ্নিত করতে পারলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি সংক্রমণ রুখতেও সুবিধা হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share