Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, পদক্ষেপের আহ্বান মার্কিন আইন প্রণেতাদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, পদক্ষেপের আহ্বান মার্কিন আইন প্রণেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বহু মানুষ। এই  সমাবেশের আয়োজন করেছিল হিন্দু অ্যাকশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার আহ্বানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ এই আন্দোলনকে আমেরিকার (Protest in America) বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    হিন্দুদের জন্য আওয়াজ উঠছে আমেরিকায় (Protest in America)

    বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন আমেরিকার বহু সেনেটর। এই মর্মান্তিক অত্যাচারের প্রতিবাদ (Protest in America) জানানোয় আমেরিকার সেনেটরদের হিন্দু অ্যাকশন সংস্থার তরেফে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টির সেনেটর প্যাট ফ্যালন তাঁর এক্স বার্তায় লিখেছেন, “আমরা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক হিংসা এবং ধর্মীয় নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল জনগণের স্বার্থে কাজ করার এবং এই হিংসা অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা নিন্দনীয় কাজ। যারা এই হিংসার কাজে প্ররোচনা দিয়েছে এবং অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত। বাংলাদেশে চলমান হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা। ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি, আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকনকে চিঠি লিখে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। তিনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার অবসান এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে ন্যায় বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা মোঃ ইউনূসকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    ঢাকাতেও শুরু হয়েছে প্রতিবাদ (Bangladesh Crisis)

    শুক্রবার কয়েক হাজার মানুষ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্য করে তাদের উপর আক্রমণ (Bangladesh Crisis) চালানো হয়। তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের উপাসনালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সোমবার থেকে নেমে আসে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। তাঁদের বাড়ি, অফিস, দোকান, মন্দিরে হামলা হয়। এমনকী এক শিক্ষককে হিন্দু হওয়ার অপরাধে খুন হতে হয়। প্রায় শতাধিক হিন্দু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশি সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে হাতে পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন এবং দেশজুড়ে অরাজক পরিস্থিতির অবসান এবং শান্তির আহ্বান জানান।

    হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বক্তব্য

    বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে অন্তত ৫২ টি জেলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব না থাকলেও আওয়ামি লিগকে হয়ত ভোট দিয়েছেন, এই সন্দেহে হিংসার শিকার হয়েছেন হিন্দুরা। অনেক ক্ষেত্রে শুধু লুটপাটের উদ্দেশ্যে হয়েছে হিংসা। জাতির উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে ঐক্য পরিষদ বলেছে, সারাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর আশঙ্কা, উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কার্যালয়ের তরফে বাংলাদেশের হিংসাকে (Bangladesh Crisis) দমন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যে কোনও জাতিগত আক্রমণ বা জাতিগতভাবে হিংসার উস্কানির নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।

    পরিস্থিতির ওপর নজর ভারতের

    বাংলাদেশের এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে (Bangladesh Crisis) হাজার হাজার হিন্দু প্রাণে বাঁচার উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।। সীমান্তে হাজার হাজার মানুষের জড়ো হওয়ার দৃশ্য সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায় ভাঅপ-বাংলাদেশ সীমান্তের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র সরকার।

    আরও পড়ূন: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই তাঁর এক্স বার্তায় লিখেছেন, “বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 100: “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    Ramakrishna 100: “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    যতো বাচো নিবর্তন্তে। অপ্রাপ্য মনসা সহ।

    (তৈত্তিরীয় উপনিষদ/)

    ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না

    কিরকম জান? যেন সচ্চিদান্নদ-সমুদ্র-কুল-কিনারা নাই—ভক্তিহিমে স্থানে স্থানে জল বরফ হয়ে যায়-বরফ আকারে জমাট বাঁধে। অর্থাৎ ভক্তের কাছে তিনি ব্যক্তভাবে, কখন কখন সাকার রূপ ধরে থাকেন। জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না।–তাঁর রূপও দর্শন হয় না। কি তিনি মুখে বলা (Kathamrita) যায় না। কে বলবে? তিনিই নাই। তাঁর আমি আর খুঁজে পান না।

    বিচার করতে করতে আমি-টামি আর কিছুই থাকে না। পেঁয়াজের প্রথমে লাল খোসা। তুমি ছাড়ালে, তারপর সাদা পুরু খোসা। এইরূপ বরাবর ছাড়াতে ছাড়াতে ভিতরে কিছু খুঁজে পান না।

    সেখানে নিজের আমি খুঁজে পাওয়া যায় না—আর খুঁজেই বাঁ কে?—সেখানে ব্রহ্মের স্বরূপ (Ramakrishna) বোধে বোধ কিরূপ হয়, কে বলবে!

    একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল। সমুদ্রে যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল। তখন খবর কে দিবেক?

    পর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ—পূর্ণ জ্ঞান হলে মানুষ চুপ হয়ে যায়। তখন আমি রূপ লুনের পুতুল সচ্চিদানন্দরূপ সাগরে গলে এক হয়ে যায়, আর একটুও ভেদবুদ্ধি থাকে না।

    বিচার করা যতক্ষণ না শেষ হয়, লোকে ফড়ফড় করে তর্ক করে। শেষ হলে চুপ হয়ে যায়। কলসী পূর্ণ হলে, কলসীর জল পুকুরের জল এক হলে আর শব্দ থাকে না। যতক্ষণ না কলসী পূর্ণ হয় ততক্ষণ শব্দ। আগেকার লোকে বলত (Kathamrita), কালাপানিতে জাহাজ গেলে ফেরে না।

    আমি কিন্তু যায় না

    আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল (হাস্য)। হাজার বিচার কর, আমি যায় না। তোমার পক্ষে ভক্ত আমি এ-অভিমান ভাল।

    আরও পড়ুনঃ “জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার, সকাল ১১ টায় তিনি প্রথমে কান্নুরে পৌঁছান, তারপরে তিনি ভূমিধস ও দুর্গত এলাকাগুলিকে আকশপথে পরিদর্শন করেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চূরমালা এবং মুন্ডাক্কাই এলাকায়। সেখানে ভূমিধসের পরে দুর্গত মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি এবং সেই সঙ্গে দেন সাহায্যের আশ্বাস।

    ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেন মোদি (Wayanad Landslide)

    এদিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। আকাশপথে সমীক্ষা করে ভূমিধসের উৎপত্তি কেন্দ্রকেও পরিদর্শন করেন মোদি। এই ভূমিধসের উৎসস্থল ছিল ইরুভাঝিনজি পুঝা নদীর অঞ্চল। ধসের ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির মধ্যে হল পুনচিরিমাত্তম, মুন্ডক্কাই এবং চুরমালা। এই সব এলাকায় অতিভারী বৃষ্টির ফলে ভূমিধসজনিত ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। উদ্ধারকারী বাহিনীরা কীভাবে কাজ করেছে, সেই বিষয় সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন।

    ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের আনুরোধ

    ভূমিধসের স্থানগুলি (Wayanad Landslide) পরিদর্শন করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহত মানুষদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেই সঙ্গে একটি ত্রাণ শিবির ও স্থানীয় হাসপাতালে যান। তাঁদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন মোদি। এরপর এখানকার স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। তবে অঞ্চলগুলিতে পুনর্বাসন ও ত্রাণ কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ পুরস্কার ২০ লক্ষ! সেনা কনভয়ে হামলাকারী চার জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ কাশ্মীর পুলিশের

    রাহুলের ধন্যবাদ

    এদিকে, বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) আপনি ব্যক্তিগত ভাবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে পরিদর্শন করেছেন। আপনার সিদ্ধান্তটি বেশ ভালো।”

    গত ৩০ জুলাই এই অঞ্চলে ভূমিধসের কবলে কমপক্ষে ২২৬-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ। বেসরকারি মতে, এই সংখ্য়াটা ৪০০-র বেশি। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে সম্প্রতি সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ধসজনিত বিপর্যয়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    Bangladesh Crisis: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রধানমন্ত্রী।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

    বাংলাদেশ ছাড়লেন হাসিনা (Bangladesh Crisis)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই (Sheikh Hasina) অশান্ত বাংলাদেশ। তার জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তার পরেই দেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। তবে জয়ের দাবি, তিনি প্রাক্তন নন। তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবারই শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান হয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী, অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ১৭। এহেন পরিস্থিতিতে জয়ের দাবি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঢেউ তুলবে বই কি!

    কী বললেন হাসিনা পুত্র

    জয় বলেন, “আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। তিনি ভাষণ দেওয়া ও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল করে আসতে শুরু করেছিল। তাই সময় ছিল না। আমার মা নিজের ব্যাগ পর্যন্ত গোছাতে পারেননি।” এর পরেই হাসিনা-পুত্র বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    জয় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার আগেই যেভাবে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন এবং নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (Bangladesh Crisis) গঠন করা হয়েছে, তা অবৈধ। আদালতে এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানানো হলে আওয়ামি লিগেরই জয় হবে।” তিনি বলেন, “আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামি লিগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে। আমি নিশ্চিত আওয়ামি লিগ ফের ক্ষমতায় আসবে। নিতান্তই তা না হলে বিরোধী আসনে বসবে।

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য দুদিন সময় চেয়েছিলেন হাসিনা। কিন্তু পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার জন্য তাঁকে সময় দেওয়া হয় মাত্র ৪৫ মিনিট। সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর প্রধান তাঁকে বলেছিলেন, ৪৫ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে (Sheikh Hasina) পারলে তবেই তাঁকে সুরক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে মানুষের জীবন বিপন্ন। জামাত এবং বিএনপি সমর্থক গুন্ডাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh border) বাংলাদেশি হিন্দুদের ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। এই ভিড়ের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার। তাঁরা শরণার্থী হিসাবে হয়তো আশ্রয় চান ভারতে। একই ভাবে সেই দেশের জঙ্গিরাও অবৈধ অনুপ্রবেশ করে নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফ (BSF), এতদিন পর্যন্ত খোলা পড়ে থাকা বর্ডারগুলিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রশাসন এবং বিএসএফ দ্রুত কদমে কাজ শুরু করেছে।

    ২২৪ কিমি সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে তোরজোড় (Bangladesh border)  

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ২২০০ কিলোমিটার জুড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (Bangladesh border) রয়েছে। তাঁর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসেছে। বাকি যেখানে এখনও তার বসেনি, তার একটা বড় অংশ আবার নদী দিয়ে ঘেরা। এখন ২২৪ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর তোরজোড় চলছে। জমির বন্দোবস্ত করার চেষ্টাও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে ৪৩ কিমি এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আবার মমতার মন্ত্রিসভা ২৬৭ কিমি জমি কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে। অপরদিকে, ১১২.৩ কিমি জমি কিনতে রাজ্যকে ২২১ কোটি টাকা সাহায্য পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরও ১৫৪ কিমি জমি কেনার হিসেব কেন্দ্রকে দিয়েছে রাজ্য। ফলে সীমান্তকে সুরক্ষিত করা বিএসএফের কাছে প্রাথমিক বিষয়। বাংলাদেশের অশান্ত এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রচুর জেলবন্দি দুষ্কৃতীরা ছাড়া পেয়েছে। ফলে জেএমবি বা আল-কায়েদা জঙ্গিরা যাতে অবাধে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই দিকের কথা মাথায় রেখে বিএসএফ (BSF) এই কোচবহার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    হিন্দুদের সুরক্ষার বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারকে

    বাংলাদেশে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মোট ১৭ সদস্যের একটি নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে। প্রধান করা হয়েছে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই সেই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধদের টার্গেট করেছে মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা। আওয়ামি লিগের অবশ্য দাবি, সবটাই ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত শিবির এবং বিএনপির ষড়যন্ত্র। দেশে হিন্দুদের ধর্মীয়স্থল মন্দির, মঠে আগুন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। একাধিক জেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, ব্যবসার কেন্দ্রে ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক জায়গার অত্যচার-আর্তনাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তি সুরক্ষা করার বার্তা পাঠিয়েছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তকে (Bangladesh border) আরও সুরক্ষিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিএসএফ (BSF)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Interim Govt: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ খালিদ হোসেন! জানুন পরিচয়

    Bangladesh Interim Govt: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ খালিদ হোসেন! জানুন পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরাজক বাংলাদেশের (Bangladesh Interim Govt) হাল ধরতে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। চমক রয়েছে অন্যত্র। সেটা হল, বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন হেফাজত-ই-ইসলাম নেতা তথা বাংলাদেশের সাবেক নায়েব আমির ও ইসলামি চিন্তাবিদ এএফএম খালিদ হোসেন (AFM Khalid Hossain)। তাঁর দলের বিরুদ্ধে হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।

    শুভেচ্ছা মোদির (Bangladesh Interim Govt)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ৮ অগাস্ট বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেন ইউনূস। বাংলাদেশের নোবেল জয়ী অধ্যাপককে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।

    অন্তর্বর্তী সরকারে খালিদ

    ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh Interim Govt) সদস্য সংখ্যা ১৭। এঁদেরই একজন এএফএম খালিদ হোসেন। তার পুরো নাম আবুল ফয়েজ মহম্মদ খালিদ হোসেন। তিনি হেফাজত-ই-ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্ত বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। খালিদ হোসেনের দলটি কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে হিন্দু নিপীড়নের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খালিদ আন্তর্জাতিক ইসলামি বক্তা। তিনি এবং হেফাজত-ই-ইসলামের আরও কয়েকজন নেতা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমাদের প্রভাবিত করেছেন। হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ভালো। সেই সম্পর্কের বিরুদ্ধেও তিনি মুসলমানদের প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের একটি কলেজে তিনি ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ইসলামিক ছাত্র সমাজের প্রেসিডেন্টও তিনি। এই ইসলামি ছাত্র সমাজ হল নিজাম-ই-ইসলাম পার্টির ছাত্র শাখা।

    হেফাজত-ই-ইসলাম

    ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে জন্ম হয় হেফাজত-ই-ইসলামের (AFM Khalid Hossain)। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামপন্থী আহমেদ শফি। সংগঠনের লক্ষ্যই হল ইসলাম বিরোধী উদ্যোগ থেকে ইসলামকে রক্ষা করা। দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা লোপ এবং কঠোর ইসলামি বিশ্বাসের প্রচারের লক্ষ্যও ছিল এই ইসলামিক সংগঠনের। এই গোষ্ঠীটি সুন্নি ইসলামপন্থী, তাদের মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এবং সমর্থকদের নিয়ে গঠিত। এর নেতারা সব সময় প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ও আইনি সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছে। বাংলাদেশে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার দাবিও জানিয়েছে। আক্রমণ শানিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থাকে। ২০১৩ সালে মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটি ১৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিল। এর মধ্যে লিঙ্গ বিচ্ছিন্নতা ও বাংলাদেশে জেলবন্দি ইসলামিক পণ্ডিতদের মুক্তি দেওয়াও ছিল। তারা জামাত-ই-ইসলামি আধিকারিকদের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছিল (Bangladesh Crisis)। নিন্দা করেছে ধর্মনিরপেক্ষ পদক্ষেপের।

    আরও পড়ুন: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    “অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডিরেক্ট অ্যাকশন”

    ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটি। হেফাজত-ই-ইসলামের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় সরকারি অফিসেও। মোদি চলে আসার পর হিন্দুদের মন্দিরেও হামলা চালায় মুসলানদের এই গোষ্ঠীটি। হেফাজত-ই-ইসলামির সদস্যরা চিৎকার করতে থাকে, “অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডিরেক্ট অ্যাকশন”। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে মহম্মদ আলি জিন্নার ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন’-এর উল্লেখের জেরে বাংলায় ব্যাপক গণহত্যা হয়।

    বাংলাদেশ হবে তালিবান রাষ্ট্র!  

    বাংলাদেশে ওই হিংসার ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় হেফাজত-ই-ইসলামের বেশ কয়েকজন নেতাকে। ক্ষমতায় এলে তারা বাংলাদেশকে তালিবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলে কবুল করেছে। ওই গোষ্ঠীরই এক প্রভাবশালী নেতা মামুনুল হক স্বীকার করেছেন, তিনি এবং তাঁর মতো আরও কয়েকজন বাংলাদেশকে তালিবান রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছিল। বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতির মধ্যেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে হেফাজত-ই-ইসলামের কয়েকজন নেতা। তার জেরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চলছে।

    মাদানির উসকানি

    রফিকুল ইসলাম মাদানি নামের এক হেফাজত-ই-ইসলাম নেতা মুসলমানদের এই বলে উসকানি দিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনা হিন্দুদের স্বার্থে কাজ করছেন। মোদি যা চেয়েছিলেন, বাংলাদেশে তাই হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “আজ সমস্ত মন্দির আপগ্রেড করা হচ্ছে। এখানকার মসজিদগুলি শেষ হয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের নামে ওরা মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেবে। আমরা চাই দেশটি (AFM Khalid Hossain) একটি সত্যিকারের ইসলামি প্রজাতন্ত্র হোক (Bangladesh Interim Govt)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Arijit Singh: পিছনে ফেললেন টেলর সুইফ্টকে, ফলোয়ার সংখ্যায় স্পটিফাই-তে এক নম্বর বাংলার অরিজিৎ

    Arijit Singh: পিছনে ফেললেন টেলর সুইফ্টকে, ফলোয়ার সংখ্যায় স্পটিফাই-তে এক নম্বর বাংলার অরিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয়তার বিচারে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী টেলর সুইফ্টকে (Taylor Alison Swift) পিছনে ফেললেন মুর্শিদাবাদের ছেলে অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। গান শোনার প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাই-তে এতদিন সবচেয়ে ‘ফলোড’ ছিলেন ১৪টি গ্র্যামির অধিকারিণী টেলর সুইফ্ট। এবার সংখ্যার বিচারে টেলর সুইফ্টকে হারিয়ে সারা বিশ্বে এক নম্বর স্থানে উঠে এলেন অরিজিৎ।

    বিশ্বজয়ী অরিজিৎ-এর কত ফলোয়ার (Arijit Singh)?

    স্পটিফাই হল গান শোনার অন্যতম প্রধান এবং বহুল জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। শ্রোতারা এই প্ল্যাটফর্মে গান শোনার পাশাপাশি, সঙ্গীত শিল্পীদের ‘ফলো’-ও করতে পারেন। ফলে সেই অনুরাগীদের সংখ্যার সাপেক্ষে টেলর সুইফ্টকে হারিয়ে বিশ্বের প্রথম স্থান দখল করেছেন বাংলার জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ (Arijit Singh)। এই সময়, তাঁর মোট ফলোয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭২ লক্ষ ১১ হাজার ১৫৪ জন। অপর দিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেলর সুইফ্টকে ফলো করার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৯৯ জন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, এড শেরন। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ১১ কোটি ৫০ লক্ষের কাছাকাছি। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে অ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডে ও বিলি আইলিশ। এখনও তাঁরা ১০ কোটি সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেননি। তবে বছর খানেক আগে এই তালিকায় ছিলেন এড শেরন। আবার গত বছর অগাস্ট মাসে অরিজিৎ-এর স্পটিফাইতে সংখ্যা ছিল সাড়ে ৮ কোটি। কিন্তু তাঁকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পেছনে ফলে এগিয়ে যান টেলর সুইফ্ট (Taylor Alison Swift)। কিন্তু তার ছয় মাসের মধ্যেই আবার টেলরকে পেছনে ফেলে এক নম্বরে পৌঁছে গেলেন অরিজিৎ।

    আরও পড়ুনঃ এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    ‘তুম হি হো’ গানে ব্যাপক সাফল্য পান

    বলিউডের বিখ্যাত তরুণ সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং-এর (Arijit Singh) জনপ্রিয়তা ব্যাপক। তাঁর জন্ম জিয়াগঞ্জের এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে। সেখানেই তাঁর বড় হওয়া এবং স্কুল জীবন। প্রেমে বিরহের গানে আপামর যুব সমাজের মনকে হরণ করেছেন তিনি। তবে তিনি চেনা-পরিচিত আড়ম্বরের জীবনকে খুব একটা পছন্দ করেন না। গুরুকুল নামে এক রিয়ালিটি শো-তে প্রথমে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সেরার সেরা তকমা না পেলেও থেমে থাকেননি তিনি। মুম্বইয়ের সঙ্গীত নির্দেশক প্রীতমের কাছে কাজ শিখেছেন। নিজেকে সেখানে পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন। ‘আশিকি ২’ সিনেমার ‘তুম হি হো’ গান করে ব্যাপক সাফল্য পান। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি অরিজিৎ-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধানে এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” উপশ্রেণি সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। গত সপ্তাহে সাব কোটা মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Supreme Court), রাজ্যগুলির এই ক্ষমতা রয়েছে যে, সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে আরও উন্নীত করার লক্ষ্যে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত বিভাগের মধ্যে কোটা বরাদ্দ করতে পারবে।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব? (Ashwini Vaishnaw)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংবিধানের প্রদত্ত এসসি এবং এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ-শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর বিশদ আলোচনা করেছে। তবে, তাকে এখনই কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী, এসসি-এসটি সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাজ্যগুলিকে অবশ্যই এসসি-এসটিতে ক্রিমি লেয়ার চিহ্নিত করতে হবে। সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু এনডিএ সরকার সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “এসসি-এসটি সংরক্ষণের বিধান হওয়া উচিত সংবিধান মেনে।”

    বৈঠকে মন্ত্রিসভা

    দেশের শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বৈঠকেই সংবিধানে প্রদত্ত এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আম্বেডকরের সংবিধানে এসসি-এসটি’র জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই, সেহেতু সংবিধান অনুযায়ীই সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন: ৮টি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিল মোদি সরকার, খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি

    চলতি মাসের শুরুর দিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে (Ashwini Vaishnaw) সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এসসি-এসটি বিভাগে কোটা যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এসসি-এসটি ক্যাটেগরির মধ্যে একটি নয়া সাব ক্যাটেগরি তৈরি করা যেতে পারে। এর অধীনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আলাদা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে (Supreme Court)। শুক্রবার, বিজেপির এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ ফাগ্গান সিং কুলাস্তে। সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি ক্রিমি লেয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবেন না।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় আমরা এসসি/এসটি সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দ্বারা প্রকাশিত ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে  আলোচনা করেছি, যা এসএস/এসটি সম্প্রদায়ের ক্রিমি লেয়ারকে চিহ্নিত করার ও তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।”

    তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মতামতের সঙ্গে এক মত হয়েছেন। এবং এটি বাস্তবায়ন না করার অঙ্গীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি।”

    অশ্বিনীর মতো প্রায় একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের গলায়ও। শুক্রবার লোকসভায় তিনি বলেন, “এসসি/এসটির উপ শ্রেণিবিভাগে ক্রিমি লেয়ারের উল্লেখটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের একটি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্তের অংশ নয়। সদস্যদের সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়।”

    ২০০৫ সালের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এসসি-এসটির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটির মধ্যে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না। তবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি বৃহস্পতিবার। বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এসসি-এসটির মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে কোটার মধ্যে কোটার সুবিধা দেওয়ায় ছাড়পত্র দিলেও (Supreme Court) ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন (Ashwini Vaishnaw) বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R. G. Kar Medical College) কর্তব্যরত মহিলার চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিজেপির নেতা অমিত মালব্যর দাবি, “ধর্ষণ করে মহিলা ডাক্তারকে খুন করা হয়েছে। মমতার সরকার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে।” ইতিমধ্যে জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র জরুরি বিভাগেই পরিষেবা চলছে। ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং হাসপাতালের প্রশাসন কাঠগড়ায়।

    পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে! (R. G. Kar Medical College)

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “কলকাতার শীর্ষস্থানীয় সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিউটি ​​রুম থেকে মহিলার নগ্নদেহ উদ্ধার হয়েছে। মমতার সরকার অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছে। কলকাতা পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে। খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমেকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।” আবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “রাজ্যের কোনও মহিলা সুরক্ষিত নয়। রাজ্যের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কলেজের (R. G. Kar Medical College) সেমিনার হলে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে।” এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতে হাসপাতালের বাইরে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিরাট বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

    মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি খুন

    চিকিৎসকের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় তাঁর মেয়ের দেহ পড়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। মহিলা বলেন, ‘‘আমার মেয়েটাকে খুন করে ফেলেছে এরা। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহ। গায়ে কাপড় ছিল না। চশমাটা ভেঙে গিয়েছিল। মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। রাতে ও একাই ছিল সেমিনার হলে। ভিতরে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই।’’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    হাসপাতালের (R. G. Kar Medical College) সুপার সঞ্জয় বশিষ্ট জানিয়েছেন, মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে। তবে ইতিমধ্যে ১১ জনের সদস্য নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হবে। তবে তিনি ধর্ষণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অপর দিকে গোটা ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম পৌঁছে গিয়েছেন। ঘটনা কীভাবে ঘটল সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Act: ওয়াকফ আইন অপব্যবহার করে কীভাবে হয়েছে ‘জমি জবরদখল’? রইল ১৫টি উদাহরণ

    Waqf Act: ওয়াকফ আইন অপব্যবহার করে কীভাবে হয়েছে ‘জমি জবরদখল’? রইল ১৫টি উদাহরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বোর্ড আইনে সংশোধন আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, কোনও ধর্মীয় সংগঠনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য নয়। নতুন সংশোধনীতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ওয়াকফ সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে ডিস্ট্রিক্ট কালেকটরের অফিসে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে, যাতে সম্পত্তির সঠিক মূল্যায়ন হয়। এতদিন পর্যন্ত কোনও নথি না থাকলেও, মৌখিকভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত করা যেত। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ওয়াকফনামা অর্থা নথি না থাকলে সেই জমি বিতর্কিত বলেই ধরে নেওয়া হবে।

    ওয়াকফ সম্পত্তি 

    সেই স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তিকেই ওয়াকফ সম্পত্তি বলা হয়, যা দলিলের মাধ্যমে আল্লার নামে করে দেওয়া হয়। সেই সম্পত্তি চ্যারিটির বা সেবার কাজে ব্যবহার করা হয়। নথিপত্রের যুগ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকে এই পদ্ধতি প্রচলিত আছে। সাধারণত কোনও জনসেবার কাজে ব্যবহৃত হয় এই জমি। অথবা কেউ উত্তরসূরী হিসেবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। এই সম্পত্তি কখনও হস্তান্তর করা যায় না। সাধারণত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবর, মসজিদের জন্য, গরিব মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য জমি ব্যবহার করা হয়।

    ওয়াকফ বোর্ড

    ওয়াকফ সম্পত্তি যাদের দায়িত্বে থাকে, আইনি ভাষায় তারাই ওয়াকফ বোর্ড। ১৯৬৪ সালে তৈরি হয় সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল। দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডগুলি এই কাউন্সিলের নজরদারিতে চলে। সম্পত্তি নিয়ে ওয়াকফ বোর্ড ছাড়াও রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও সম্পত্তির বিষয়ে কথা বলে এই কাউন্সিল। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিতে পারে। ওয়াকফ বোর্ড কেমন কাজ করছে, তাদের ব্যাপারে অডিট রিপোর্টও তৈরি করতে পারে এই কাউন্সিল। ১৯৯৫ সালে একটি আইন তৈরি হয়, যা সংশোধন হয় ২০১৩ সালে। সেই আইনে ওয়াকফ বোর্ডকেই ক্ষমতা দেওয়া হয়, যাতে তারাই ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: গরীব ও মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্যই ওয়াকফ সংশোধনী, দাবি কেন্দ্রের

    ওয়াকফ আইনের অপব্যবহার 

    ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার জন্য প্রণীত ওয়াকফ আইন নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক এবং অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ওয়াকফ আইন অপব্যবহার করে জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে এমন ১৫টি ঘটনা উল্লেখ করা হল—

    তামিলনাড়ু: তিরুচিরাপল্লিতে পুরো একটি গ্রাম এবং একটি ১৫০০ বছরের পুরনো হিন্দু মন্দিরের মালিকানা দাবি করে ওয়াকফ বোর্ড, যা স্থানীয় গ্রামবাসীদের হতবাক করে দেয়।

    হরিয়ানা (জথলানা গ্রাম, যমুনানগর জেলা): কোনও মুসলিম বসতি বা মসজিদের ইতিহাস না থাকলেও একটি গুরুদ্বারের জমি ওয়াকফ বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    সুরাট, গুজরাট (২০২১): মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর কন্যাকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে দান করেছিলেন বলে দাবি করে সুরাট পুরসভা সদর দফতরকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়, যদিও এটি প্রায় ৪০০ বছর আগের ঘটনা।

    তাজ মহল (২০১৮): সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দাবি করে যে তাজ মহলকে তাদের সম্পত্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা উচিত, যদিও তাদের কোনও স্বাক্ষরিত মালিকানার দলিল ছিল না।

    উত্তর প্রদেশ (২০২২): সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড দাবি করে যে যেখানে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ আজ দাঁড়িয়ে আছে সেই জমি ওয়াকফ সম্পত্তি, যা মন্দির পক্ষ থেকে আদালতে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

    লখনউ, উত্তর প্রদেশ: একটি শিবালয় (শিব মন্দির) শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সাথে যোগসাজশে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে নিবন্ধিত করা হয়, যদিও মন্দিরটি ১৮৬২ সাল থেকে রেকর্ডে ছিল এবং ওয়াকফ বোর্ডের প্রতিষ্ঠা ১৯০৮ সালে হয়েছিল।

    দেবভূমি দ্বারকা, গুজরাট (২০২১-২০২২): ওয়াকফ বোর্ড বেট দ্বারকার দুটি দ্বীপের মালিকানা দাবি করে, যা গুজরাট উচ্চ আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে।

    ঔরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র (২০১৪): ওয়াকফ বোর্ড ঔরঙ্গাবাদ পুরসভাকে একটি বিতর্কিত জমি দাবি করে নোটিশ পাঠায়, যেখানে রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা চলছে।

    হায়দরাবাদ, তেলঙ্গানা (২০১৩): তেলঙ্গানা ওয়াকফ বোর্ড হায়দরাবাদ পুর কর্পোরেশনের একটি রাস্তা প্রশস্তকরণের প্রচেষ্টাকে বিরোধিতা করে, দাবি করে যে জমিটি ওয়াকফ সম্পত্তি।

    পুণে এবং পারভানি, মহারাষ্ট্র (২০১৮): একটি পাইলট প্রকল্পে শুধু দুইটি জেলাতেই ১৭০০টিরও বেশি নতুন ওয়াকফ সম্পত্তি শনাক্ত করা হয়।

    পাঞ্জাব: ভারতে মোট ১৬,৯৩৭টি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তির মধ্যে ৫,৬১০টি পাঞ্জাবে রয়েছে, যেখানে সর্বাধিক অনধিকার প্রবেশ ঘটেছে।

    মহারাষ্ট্র (২০১৭): রাজ্য সরকার একটি মুসলিম সংস্থার সাবেক প্রধানকে বরখাস্ত করে, যার দায়িত্ব ছিল জমি দান করা। সন্দেহ হয় যে, ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে বরাদ্দকৃত ওয়াকফ জমি অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে।

    দিল্লি (২০২৪): দিল্লি উচ্চ আদালত বিতর্কিত ওয়াকফ সম্পত্তিতে অনুমোদনহীন নির্মাণের কথা উল্লেখ করে, যেখানে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড ১২৩টি সম্পত্তির দাবি করে, যদিও কেন্দ্র তা বাতিল করে দেয়।

    হালদ্বানি, উত্তরাখণ্ড (২০২৪): ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করে যে জমিটি রেলওয়ের বলে উত্তরাখণ্ড উচ্চ আদালত ঘোষণা করেছে, সেই জমির কিছু অংশ তাদের।

    পুঞ্চ, জম্মু ও কাশ্মীর (২০১৪): রাজ্য সরকার জানায় যে, ৩৬০ ক্যানালেরও বেশি ওয়াকফ জমি বাণিজ্যিক মূল্যসহ সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ২১ ক্যানালের জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।

    এই ঘটনাগুলি ওয়াকফ আইন এবং এর প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়ে তুলেছে। নয়া সংশোধনী এই বিতর্কিত বিষয়গুলির মীমাংসা করবে , বলে অনুমান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share