Tag: news in bengali

news in bengali

  • Tiger: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    Tiger: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র (Tiger) সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে এই প্রকল্প দীর্ঘদিন আটকে ছিল। এবার রাজ্যের বিজেপি সরকার তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশপ্রেমীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের নাগার্জুন সাগর শ্রীশৈলম টাইগার রিজার্ভ ভারতের বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। ঠিক তার পরেই রয়েছে অসমের মানস টাইগার রিজার্ভ কেন্দ্র। এটি আনুমানিক ২৮৩৭.১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার।

    ২৮২৯.৩৮০ বর্গ কিমি জমি বরাদ্দ (Tiger)

    রাজ্যের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গুরু ঘাসীদাস-তামর পিংলা টাইগার (Tiger) রিজার্ভের জন্য মোট ২৮২৯.৩৮০ বর্গ কিমি জমি বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র গঠনের জন্য দেওয়া অঞ্চলটি বেশ সুরক্ষিত। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আবাসস্থল বাঘের জন্য ভীষণ উপযুক্ত। ফলে বাঘের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গুরু ঘাসীদাস জাতীয় উদ্যান এবং তামোর পিংলা অভয়ারণ্যের অঞ্চলগুলিকে একত্রিত করে নতুন ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে। একই ভাবে মানেন্দ্রগড়-চিরমিরি-ভরতপুর, কোরিয়া, সুরাজপুর এবং বলরামপুর জেলাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    সর্বশেষ গণনায় বাঘের সংখ্যা রাজ্যে ১৭

    ভারতে যাতে বাঘের (Tiger) সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অভয়ারণ্য কেন্দ্র হিসেবে ছত্তিশগড়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তাই এই রাজ্যের বিজেপি সরকার দেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছে। উল্লেখ্য আগেই ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক অনুমোদন দিয়েছে। এবার এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা রইল না।

    বিগত কয়েক বছরে ক্রমেই ছত্তিশগড়ে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছিল। এই পটভূমিতে সরকারের অনুমোদন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ। সর্বশেষ গণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রাজ্যে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১৭। অথচ ২০১৪ সালের গণনায় এই সংখ্যা ছিল ৪৬। ফলে ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ নৈতিৎ ত্বয্যুপপদ্যতে

      ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্তোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।।

    গীতা—২/৩/

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তির তমঃ যার হয়, তার বিশ্বাস জ্বলন্ত। ঈশ্বরের কাছে সে রূপ ভক্ত জোর করে। যেন ডাকাতি করে ধন কেড়ে লওয়া। মারো কাটো বাঁধো! এইরূপ ডাকাত-পড়া ভাব।

    ঠাকুর ঊর্ধব দৃষ্টি, তাঁহার প্রেমরসাভিসিক্ত কণ্ঠে গাহিতেছেনঃ (Kathamrita)

    গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশী কাঞ্চী কেবা চায়।

    কালী কালী কালী বলে আমার অজপা যদি ফুরায়।।

    ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী, পূজা সন্ধ্যা সে কি চায়।

    সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফেরে, কভু সন্ধি নাহি পায়।।

    দয়া ব্রত দান আদি, আর কিছু না মনে লয়।

    মদনের যাগযজ্ঞ, ব্রহ্মময়ীর রাঙা পায়।।

    কালীনামের এত গুণ, কেবা জানতে পারে তায়।

    দেবাদিদেব মহাদেব, যাঁর পঞ্চমুখে গুণ গায়।।

    ঠাকুর ভাবোন্মত্ত, যেন অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া গাহিতেছেনঃ

    নামমাহাত্ম্য ও পাপ—তিন প্রকার আচার্য

    আমি দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি।

    আখেরে এ-দীনে, না তারো কেমনে, জানা (Kathamrita) যাবে গো শঙ্করী।

    কি! আমি তাঁর না করেছি—আমার আবার পাপ! আমি তাঁর ছেলে। তাঁর ঐশ্বর্যের অধিকারী! এমন রোখ হওয়া চাই!

    তমোগুণকে মোড় ফিরিয়ে দিলে ঈশ্বরলাভ (Ramakrishna) হয়। তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক। আবার দেখ, এই তমোগুণকে পরের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা যায়। বৈদ্য তিনপ্রকার। উত্তম বৈদ্য, মধ্যম বৈদ্য, অধম বৈদ্য। যে বৈদ্য এসে নাড়ী টিপে ঔষধ খেও হে এই কথা বলে চলে যায়, সে-অধম বৈদ্য—রোগী খেলে কিনা এ-খবর সে লয় না। যে বৈদ্য রোগীকে ঔষধ খেতে অনেক করে বুঝায়—যে মিষ্ট কথাতে বলে, ওহে ঔষধ না খেলে কেমন করে ভাল হবে। লক্ষ্মীটি খাও, আমি নিজে ঔষধ মেড়ে দিচ্ছি খাও—সে মধ্যম বৈদ্য। আর যে বৈদ্য, রোগী কোনও মতে খেলে না দেখে বুকে হাঁটু দিয়ে, জোর করে ঔষুধ খাইয়ে দেয়—সে উত্তম বৈদ্য। এই বৈদ্যের তমোগুণ, এ-গুণে রোগীর মঙ্গল হয়, অপকার হয় না।

     

    আরও পড়ুনঃ “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) যেন ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে দেশের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তাতে অবস্থার যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে এমনটা নয়। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী, বর্বরোচিত অত্যাচারের হাত থেকে বাদ যাননি হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারাও (Hindu women in Bangladesh)। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের হিন্দু নারীদের ওপর ব্যপক অত্যাচার চলছে। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মত অভিযোগও উঠেছে। 

    হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    এই চরম অস্থিরতার সময় বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলেছে এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নির্যাতিতারা। ৮ অগাস্ট স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা (Hindu women in Bangladesh) তাঁদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ”ওরা তলোয়ার ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। বাড়ি থেকে সব নিয়ে গেছে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য, আমাদের কাছে যা ছিল সবই দিয়েছি।” আরেক মহিলা বলেন, ”রাতে, ওরা এসেছিল। আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আমি লুকিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওরা আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে ধরে অন্য ঘরে নিয়ে যায়। তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করি। সে সময় তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ওরা তাঁর গলা কেটে ফেলতে চেয়েছিল। ওকে বাঁচানোর জন্য আমরা আমাদের সব সোনার গয়না দিয়ে দিয়েছি।”     

    অন্যদিকে, তৃতীয় আরেক মহিলা (Hindu women in Bangladesh) অনুরূপ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, ”আমরা রাতে ঘুমাচ্ছিলাম। তখনই ওরা এসেছিল। ওদের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ওরা আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছিল, ‘আমাদের পঞ্চাশ জন লোক তোমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে, তোমার পালানোর কোনও পথ নেই।’ এরপর ওরা সবকিছু লুট করেছে। আমাকে ধরে বিছানায় নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে হয় আমাকে রেহাই দাও অথবা আমাকে মেরে ফেলো। এরপর ওরা আমাকে কান্না থামানোর জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমাদের কাছে যা কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল সব দিতে বলেছিল ওরা। নিজের প্রাণ বাঁচাতে তাই আমি বাধ্য হয়ে আমার সমস্ত গয়না ওদের দিয়ে দিয়েছিলাম। সেসব নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় ওরা।” 

    হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত, ভাঙচুর মন্দিরে (Bangladesh Crisis)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। অশান্তির সঙ্গে সঙ্গে এবার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের অভিযোগ ও উঠতে শুরু করেছে। হিন্দু মহিলাদের নির্যাতনের পাশাপাশি জলছে সংখ্যালঘুদের ঘর। একাধিক মন্দিরে ও হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করে, সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙা হয়েছে মন্দিরও।  

    জানা গিয়েছে, নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কলাপাড়া, শরিয়তপুর ও ফরিদপুরের একাধিক মন্দিরে ভাঙচুর (Bangladesh Crisis) করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেনি শহরের দুর্গামন্দির, দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালীমন্দির সহ আরও পাঁচটি মন্দির, যেখানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ২ নম্বর ইউনিয়নের শ্মশান মন্দিরে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং নেত্রকোনা শহরে রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইস্কন মন্দিরে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুড়িয়ে ছাই হয়ে যায় জগন্নাথ বিগ্রহ। একইসঙ্গে যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনার একাধিক বাড়িঘরে হামলা চলেছে। 

    এমনকী, দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। যশোরে অন্তত ৫০টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর, লুটপাট, ডাকাতির মতো ঘটনার পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িগুলিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকানে ভাঙচুর করে মালপত্র লুট করা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করতে জেলায়-জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বাংলাদেশ সেনা। 

    ভারত আসতে চাইছেন বাংলাদেশি হিন্দুরা

    এদিকে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার (Bangladesh Crisis) পরেই আতঙ্কে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে বহু বাংলাদেশি জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর।  বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করলে শরণার্থীরা জানান, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    কী জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক?   

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে, গোটা বিষয়গুলি সম্পর্কে কেন্দ্র অবগত। একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটা না ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগ রয়েছে। আইন ও সরকারের দায়িত্ব হল সমস্ত নাগরিকদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে। এটা সেই দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য দরকার। বৃহত্তরক্ষেত্রে এটা দরকার। 

    বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করে বলেন, ”কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, এটা তার প্রমাণ। কিছু গণ্ডগোল হলেই ওখানে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার হয়। তারা পালিয়ে আসেন। আবার সেটা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে তার প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের সেখানে সরকার বদলের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা বলে প্রতিবার সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: স্বাধীনতা দিবসের আগে ১৫ জঙ্গির ছবি প্রকাশ দিল্লি পুলিশের, সঙ্গে পুরস্কার ঘোষণা

    Delhi Police: স্বাধীনতা দিবসের আগে ১৫ জঙ্গির ছবি প্রকাশ দিল্লি পুলিশের, সঙ্গে পুরস্কার ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে, দেশের রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। তারই অঙ্গ হিসেবে শহরজুড়ে কুখ্যাত আল কায়দা এবং খালিস্তানি জঙ্গিদের নাম ও ছবি সমেত পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের এই কৌশল বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে তথ্য দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। সন্ত্রাস দমনে এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দিল্লিবাসীর একাংশ।

    ছয়জন আল-কায়দা জঙ্গির তল্লাশি (Delhi Police)

    দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) বলেছে, “যাঁরা সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে এগিয়ে আসবেন, তাঁদের উপযুক্ত সম্মানে সম্মানিত করা হবে। তবে তথ্যদাতাদের নাম গোপন রাখা হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং সন্ত্রাসীদের ধরপাকড় করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” খান মার্কেটের মহিলা পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর কোমল শাক্য বলেন, “নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য এটি করা হয়েছে। এখন পোস্টারে মোট পনেরো জন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য তাদের মধ্যে ছয়জন আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত। দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃলোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, কী কী নতুন বৈশিষ্ট্য আছে?

    পাঞ্জাবের ২৮টি জেলায় চলছে তল্লাশি

    দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) সঙ্গে পাঞ্জাব পুলিশও অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে নেমে পড়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি গৌরব যাদবের নির্দেশে ২৮টি পুলিশ জেলায় একযোগে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টে পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে। সন্দেহজনক এলাকাগুলিতে কুকুরদের সহায়তায় তল্লাশি চালানোর কথা বলে এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের টিমগুলি নিজ নিজ জেলার সমস্ত বাসস্ট্যান্ডে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি অভিযান চালাবে বলে জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Odisha: বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে সমুদ্র উপকূলে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করল ওড়িশা

    Odisha: বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে সমুদ্র উপকূলে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করল ওড়িশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করতে ওড়িশা (Odisha) উপকূল বরাবর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে ওড়িশা সরকার। সমুদ্র উপকূলে ৪৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অশান্ত-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে অপরাধীদের অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত।

    ছোট নৌকা ব্যবহার করে হতে পারে অনুপ্রবেশ (Odisha)

    ওড়িশা পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আইন শৃঙ্খলা) সঞ্জয় কুমার বলেছেন, “বাংলাদেশ উপকূল থেকে ওড়িশা প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ওই দেশ থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshis) ছোট নৌকা ব্যবহার করে এই রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। আবার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে অস্থিরতার সময়, অনেক থানা এবং কারাগারে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বহু অপরাধীকে কারাগার ভেঙে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঘোষিত দুষ্কৃতীরা নাশকতা মূলক উপাদান নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। তাই ভারতের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা ভেবে উপকূলের দিকে নজরদারি রাখা হয়েছে।”

    কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর নজরদারি

    এডিজি (Odisha) সঞ্জয় কুমার আরও বলেছেন, “আমরা ১৮টি মেরিন পুলিশ স্টেশনকে হাই অ্যালার্টে রেখেছি। এডিজির পক্ষ থেকে উপকূলের নিরাপত্তার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে। একাধিক স্থানে সুরক্ষাকর্মী, নৌকা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ উপকূলের কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ রেখে চলেছে। তবে আমাদের সীমান্ত ভারত ও বাংলাদেশ-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। অতিরিক্ত তথ্য পেতে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য চ্যানেলগুলিতে নিবিড় নজর রাখছি।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘কুস্তির কাছে আমি হেরে গেলাম’’, ক্ষমা চেয়ে অবসর ঘোষণা বিনেশ ফোগাটের

    উপকূলরেখার গ্রামগুলিতে চলছে নজরদারি

    রাজ্য (Odisha) সরকার সমস্ত উপকূলীয় জেলার পুলিশ সুপারদের টহলদারি জোরদার করতে বলেছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshis) প্রবেশ রোধে নজর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর এবং ভদ্রকের মতো জেলাগুলিতে এই আশঙ্কা সব থেকে বেশি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, রাজস্ব দফতর এবং বন দফতরের আধিকারিকদের উপকূলরেখার কাছাকাছি গ্রামে মানুষের চলাচলের উপর নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় যাচ্ছেন মোদি, খতিয়ে দেখবেন হাল হকিকত

    PM Modi: শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় যাচ্ছেন মোদি, খতিয়ে দেখবেন হাল হকিকত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলে সূত্রের খবর। এ পর্যন্ত কেরলের পাহাড় ঘেরা এই অঞ্চলে ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ বিমানে প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি থেকে কান্নুর বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি। সেখান থেকে (PM Modi) হেলিকপ্টারে ওয়েনাড় পরিদর্শন করবেন বলে জানা যাচ্ছে।  

    রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী (Wayanad Landslide)

    ভূমিধসের পর, নিখোঁজ ব্যাক্তিদের খোঁজে অনুসন্ধান দশম দিনে পৌঁছল। বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান অভিযানগুলি সানরাইজ ভ্যালিতে কেন্দ্রীভূত করা হয়। জীবিত কিংবা মৃতদের খোঁজার কাজ ত্বরাণ্বিত করতে অনুসন্ধানকারী পুলিশ কুকুরের দলকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সামগ্রিক এলাকা ছয় ভাগে বিভক্ত করে চুরামালা, মুন্ডাকাই ও সামালিমাত্তম এলাকায় নিয়মিত অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সফরের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা মূল্যায়ন করবেন এবং বেলি ব্রিজ হয়ে চুরামালা সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে ঠিক করা হয়েছে। তিনি অস্থায়ী শিবির পরিদর্শন করার পর, (Wayanad Landslide) চলমান ত্রাণ ব্যবস্থা নিয়ে বিশদে আলোচনা করবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। যদিও আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি।

    কেন্দ্রের ভূমিকার প্রশংসা (PM Modi)

    ৩০ জুন প্রথম দিকে এই ভূমিধসের সূত্রপাত। এরপর ধসের ভয়াবহ প্রভাব হয় (Wayanad Landslide) বিভিন্ন এলাকায়। ইতিমধ্যে ১৬টি শিবিরে প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে। সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু মানুষ। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ওয়েনাড় ভূমিধসকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন (PM Modi) কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেছেন। ইতিমধ্যেই ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বিরোধী দলগুলিও রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র শ্রাবণ মাসে গুজরাটে (Gujarat) উৎসবের মরসুমও শুরু হয়েছে। দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করে পুজোর প্রস্তুতি চলছিল। আচমকা, দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে কয়েকজন মুসলিম যুবক। এতে ওই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় রাজকোটে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ ভীষণভাবে আতঙ্কিত। হিন্দু পরিবারে এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দোষীদের দ্রুত কঠিন শাস্তির দাবি করেছে হিন্দু সংগঠন।

    অভিযুক্ত মুসলিম যুবকদের পরিচয় (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, হিন্দু পরিবারের দুই সদস্য দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করতে যাচ্ছিলেন। তখন সিকান্দার, আফজাল, সমির ও দারেড নামের ৪ মুসলিম যুবকদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর যুবকরা, ওই হিন্দু পরিবারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। হিন্দু পরিবারের সদস্য জগদীশভাই ভাঘেলা ভগবতীপাড়া স্ট্রিটেই থাকেন। সেই সঙ্গে একটি মণ্ডপে পরিষেবা দিয়ে থাকেন৷ পাশেই মিহির ও আশিস নামে তাঁর ২ ছেলে ফাস্টফুডের ব্যবসা করেন। 

    এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করি!

    হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মিহির অভিযোগ করে বলেছেন, “আশাবা পীরের দরগার কাছে বসবাসকারী হিন্দুদের পক্ষ থেকে দশম ব্রতের জন্য একটি প্যান্ডেল তৈরি করতে প্রধান সড়কে যাওয়া হচ্ছিল। পথে সিকান্দার, আফজাল, দারেড ও সমির নামে মুসলিম যুবকরা বাধা দেয়। সেই সঙ্গে আমার বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, পরের বার যেন এই এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করা হয়। এরপর আমার বাবা অন্য একজনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। আমরা পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় চারজন মুসলিম যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে আচমকা হামলা চালায় বাড়িতে। সেই সঙ্গে আমার বাবা-মাকেও মারধর করে। আমার ভাই আশিসের (১৯) পেটে ছুরি দিয়ে পর পর কোপ মারা হয়। বর্তমানে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এরপর রাজকোট (Gujarat) বি বিভাগে একটি মামলা দায়ের করেছি।”

    পরিবারের পাশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Gujarat)

    আক্রমণের শিকার এই হিন্দু পরিবারে পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজকোটের (Gujarat) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা ইনচার্জ আশিস শেঠ বলেছেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে ভগবতীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা পরিবারের জন্য সবরকম সাহায্য করব। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। ভিএইচপি সহ সমস্ত হিন্দু গোষ্ঠী পরিবারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে। আমরা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। পরিবারের আহত ছোট ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তরা তাকে নির্বিচারে ছুরিকাঘাত করেছে এবং চিৎকার করে বলেছে, ‘‘ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।”

    আরও পড়ুনঃ প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মামলা দায়ের

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপরাধ গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে হালকা ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। কিন্তু আক্রান্ত পরিবার মামলার ধারা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে। এরপর পরিবার বি ডিভিশন থানায় গিয়ে ফের অভিযোগ দায়ের করে। এরপর উচ্চপদস্থ আধিকারিক জাদেজা, পরিবারকে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর অভিযুক্ত চারজনকেই হেফাজতে নিয়েছে গুজরাট (Gujarat) পুলিশ। অভিযুক্ত চার মুসলিম যুবক সিকান্দার, আফজাল, দারেড (ডালিও নামেও পরিচিত) এবং সমির রউমার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ১১৮(২), ১১৫(২), ৩৫২ এবং ৫৪ এনএস ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবার গুজরাট পুলিশ আইন (GPA) এর ১৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। অন্যদিকে, এবার বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission) অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনল ভারত। জানা গিয়েছে, এই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

    ঢাকা থেকে দিল্লি এলেন ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মচারীরা 

    বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের (Bangladesh Crisis) পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিজেদের কর্মীদের একাংশকে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে একান্ত জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সকলে। তবে কূটনীতিকরা বাংলাদেশেই থাকছেন। হাইকমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু আছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ”বর্তমানে বাংলাদেশে আনুমানিক ১৯,০০০ ভারতীয় নাগরিক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৯০০০ জন ছাত্র। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমরা আমাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।” 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভাঙা পড়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি, ‘মানা যায় না’, বলছে ভাষা-শহিদের পরিবার

    বন্ধ বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি

    এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে সতর্ক ভাবে পাহারায় রয়েছে বিএসএফ। এমত পরিস্থিতিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। বুধবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সব ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী কবে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। 

    উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার কথা। আপাতত ১৫ সদস্যের সরকার গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়সলমেরে প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rains) দ্বাদশ শতকের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’র (Jaisalmer Fort) দেওয়াল ধসে পড়েছে। একে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে ছিল। তবে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরানো দেওয়ালগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আর অতিভারী বর্ষণে তা ভেঙে পড়েছে।

    দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ (Jaisalmer Fort)

    জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের (Heavy Rains) কারণে শহরের একাধিক এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ধস-জনিত সমস্যা। এই কারণেই দূর্গের প্রাচীরের একাংশে ফাটল দেখা দেয় এবং তা ধসে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে, প্রায় ১১টার দিকে এই কেল্লার শিব রোডের দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে। দুর্গের দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ হয়ে রয়েছে। কিন্তু এই দেওয়ালে ধসজনিত ভাঙন প্রথম নয়। আগেও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) থেকে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছিল। এই বর্ষায় প্রাচীরের একাংশ ভেঙে পড়েছে, যা দুর্গের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। 

    রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর

    জয়সলমের পুরসভার কমিশনার লাজপাল সিং বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ একটি দল নিয়ে দুর্গে (Jaisalmer Fort) পৌঁছেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার দু’পাশে আটকে দিয়েছে। অন্যদিকে, আরও বড় দুর্ঘটনা এড়াতে একটি দলকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করেছে পুরসভা। এই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর উপর ছিল। তাদেরকে ধসের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এই দুর্গটি অনেক পুরনো, সেইসঙ্গে জনবসতিপূর্ণ। প্রবল বৃষ্টির সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।”

    বিশেষ দল পরিদর্শন করবে

    এএসআই রাজস্থান বিভাগের একজন আধিকারিক বলেন, “উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি উচ্চপর্যায়ের দল পরিদর্শন করবে। আমরা দুর্গের (Jaisalmer Fort) ক্ষয়ক্ষতি মেরামত এবং যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করব।”

    স্থানীয় বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    স্থানীয় দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশেষজ্ঞ চন্দন ভাটি বলেন, “এএসআই-কে সোনার কেল্লায় এই ধরনের ক্ষতি সম্পর্কে আগেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা উপেক্ষা করেছে। গত কয়েক দিনে এই দুর্গে বেশ কিছু ছোটখাট ক্ষতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। আমরা বহুবার এএসআই-কে অনুরোধ করেছি। এমনকী, কেল্লার ঐতিহ্য রক্ষায় একাধিক স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীন ছিল। আবারও বলছি দুর্গের দেওয়ালগুলি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে, যা অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার, নয় তো আরও বড় বিপদ ঘটবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল দুর্গ

    রাজস্থানের এই দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশ্বের খুব কম জীবন্ত দুর্গগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এটি রাজস্থানের দ্বিতীয় প্রাচীনতম দুর্গ। দুর্গটি ১৫০০ ফুট (৪৬০ মিটার) দীর্ঘ এবং ৭৫০ ফুট (২৩০ মিটার) চওড়া এবং এটি একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত, যা পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের তুলনায় ২৫০ ফুট (৭৬ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। দুর্গে রয়েছে একটি ১৫ ফুট (৪.৬ মিটার) দৈর্ঘ্যের প্রাচীর, যা দুর্গের বাইরের বলয়কে ধরে রেখেছে। আনুমানিক ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা রাওয়াল জয়সওয়াল নির্মাণ করেন এই দুর্গ। এরপর তাঁর নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়েছে। মুসলমান পাঠান, মুঘল ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার গৌরব গাথা এই দুর্গ বহন করছে। দুর্গের বিশাল দেওয়ালগুলি হলুদ বেলেপাথরের তৈরি। দিনের বেলায় এই দেওয়াল সিংহের রঙের মতো ছোপ ছোপ দেখায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে মধু-সোনা হয়ে যায় এবং তা হলুদ মরুভূমিতে মিশে যায়। এটি সোনার কেল্লা, সোনার দুর্গ বা স্বর্ণ দুর্গ নামেও পরিচিত। রাজস্থানের অন্য পাঁচটি দুর্গের মতো জয়সলমেরের এই দূর্গটি পার্বত্য দুর্গেরই অংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    Bangladesh Crisis: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রতিবেশী দেশটিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা। বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border)। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি। 

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ ও তৎপর বিএসএফ (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। বুধবার দুপুর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সীমান্তে ভিড় করেছেন বহু বাংলাদেশি। কার্যত কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সীমান্তে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে প্রবেশ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। 

    তবে, এমন ঘটনা (Bangladesh Crisis) যে ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border) সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। বিএসএফের দাবি, এই বাংলাদেশিরা মূলত সানসেরপুরা, ধামেরঘাট, চিরাকুটি, লাখিপাড়া, বোনাগ্রাম, কাঠুমারি, পানিডুবি ও বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এই গ্রামগুলি সীমান্ত থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    শরণার্থীদের দাবি (Bangladesh Crisis) 

    বিএসএফ জানায়, প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেক শরণার্থীদের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, উপরতলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শরণার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই এ পারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share