Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের মধ্যে সময়ের ফারাক বিস্তর। কালের নিয়মে এই সময়-পর্বে পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তবে নানা অছিলায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis) বন্ধ হয়নি। ১৯৭১ আর ২০২৪ সাল দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে বাংলাদেশি মুসলমানদের (Islamist Mob) চাঁদমারি কিন্তু সেই হিন্দুরা। যেন-তেন-প্রকারে হিন্দু বিতাড়ন কিংবা নিধন করে জমিজমা দখল করাই পরোক্ষ লক্ষ্য বাংলাদেশি মুসলমানদের, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সেই কারণেই হিন্দুদের মন্দিরে হানা দিচ্ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। বাংলাদেশের মেহেরপুরে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। এই মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস সেই অবর্ণনীয় (Bangladesh Crisis) ছবির ভিডিও শেয়ার করেছেন। ৫ অগাস্ট রাতে এই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মুসলমানরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরপরাধ দেব বিগ্রহগুলিকে।

    কী বলছেন ইস্কনের সেবায়েত

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭০ সালের চেয়ে খুব একটা আলাদা কিছু নয়। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং মন্দিরগুলিকে।” ইস্কনের ওই মন্দিরের মুখপাত্র বলেন, “ওরা আমাদের ইস্কন মন্দিরকে টার্গেট করেছিল। ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণও করা হয়েছে।” প্রাণ বাঁচাতে বিগ্রহকে অন্তর্যামীর ভরসায় রেখে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে আশ্রয় নেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমি এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। স্থানীয় কয়েকজনের বাড়িতে (Bangladesh Crisis) আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। তারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। বলেছিল, আপনাদের আশ্রয় দিলে ওরা (মুসলমানরা) আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। অগত্যা জঙ্গলেই আশ্রয় নিতে হল। এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, বাংলাদেশে হিন্দুরাই টার্গেট মুসলমানদের। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ – হিন্দু-পীড়ন চলছেই।”

    বাংলাদেশের আর একটি ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, “খবর যা পেয়েছি, তাতে জেনেছি মেহেরপুরে আমাদের ইস্কনের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ ছিল। মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন। দুষ্কৃতীরা রেহাই (Bangladesh Crisis) দেয়নি বিগ্রহদের।” আধপোড়া বিগ্রহের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দুঃখ পেয়েছেন ভারতীয় হিন্দুরা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না বাংলাদেশি মুসলমানদের।

    সুপ্ত ইচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল যদি একটা উদ্দশ্যে হয়, তাহলে আরও একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে বাংলাদেশি মুসলমানদের। সেটা হল, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কাজটাই সুচারুভাবে করে চলেছে বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা বড় অংশ। তাই কোনও একটা ছুতো পেলেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সফট টার্গেটে পরিণত হয় হিন্দুদের মন্দির ও আরাধ্য দেবতা। হিন্দু মতে বিগ্রহ নাবালক, তাই তাঁর সেবা করতে হয় শিশুপুত্র কিংবা শিশুকন্যার মতো। অভিভাবক যে গৃহস্থ, খুন করা হয় তাঁকেও। 

    স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা

    যারা যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে না, তারা যে দেবতাকেও রেহাই দেবে না, তা তো জলের মতোই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের পালক চাপা দিয়ে রক্ষা করা যে সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বাংলাদেশের সিংহভাগ মুসলমান। তাই দেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ হলেও, স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা। মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন বাংলাদেশের ভারতীয় জামাইরাও। তাই মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় হিন্দুর দেবতাকে। ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন সেই ডামাডোলের বাজারেও বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে হিন্দুদের। যার জেরে প্রাণ বাঁচাতে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু রাতের (Bangladesh Crisis) আঁধারের বুক চিরে চলে এসেছেন ভারতে। সেই সঙ্কটকালেও স্রেফ দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে যাঁরা রয়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়, তাঁদের অবস্থা করুণ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নিত্য কমছে হিন্দুর হার

    পরিসংখ্যান (Islamist Mob) বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার সময় সে দেশে হিন্দুর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের আশপাশে। কমতে কমতে ৫৪-৫৫ বছরে সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আট শতাংশে। এই সামান্য শতাংশকেও ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলে কেল্লাফতে। বাংলাদেশ হয়ে যাবে একশো শতাংশ মুসলমানের দেশ। এই মুসলমানের ‘দ্যাশ’ করতে গিয়েই খুন করা হচ্ছে সে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (Bangladesh Crisis)। ২০২৪ সালের ছবিটাও সেই সময়কার চিত্রের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। 

    অকৃতজ্ঞ!

    সনাতন ধর্মের আঁতুড়ঘর যে ভারতের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন হতে পারত না বাংলাদেশ, যে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলা হতে পারত না সোনার বাংলা, সেই দেশেই স্লোগান ওঠে ‘ইন্ডিয়া আউট’। দিনের বেলায় যারা ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দেয়, সূর্য অস্ত গেলে তারাই লোটাকম্বল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুমুঠো ভাতের আশায় চলে আসে ভারতে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারবারিদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তারা মিশে যায় ভারতীয় জনারণ্যে। ভারত হয়ে ওঠে ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহানে’র দেশ। আর ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’র দেশের (Islamist Mob) হিন্দুরা বলতে ভয় পান (Bangladesh Crisis), “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Rail Service: ভারত-বাংলাদেশের বাতিল ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেল

    India Bangladesh Rail Service: ভারত-বাংলাদেশের বাতিল ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Rail Service) বাতিল ট্রেনের টিকিটের (Train Ticket) টাকা ফেরত দিচ্ছে রেল। মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্য এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অগ্নিগর্ভ। ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে দিয়েছেন। সেনাবাহিনী আইনের শাসন ফেরাতে ব্যর্থ। সোমের পর মঙ্গলবারও বহু জায়গায় খুন, হত্যা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগের খবর উঠে আসছে। দেশের বেশিরভাগ থানায় নেই কোনও পুলিশ। রাজধানী ঢাকা সহ একাধিক জেলায় জেলায় চলছে ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনা। সংখ্যালঘু হিন্দু সামাজের ওপরও চলছে নির্বিচারে অত্যাচার।

    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে খবর (India Bangladesh Rail Service)

    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ জুলাইয়ের কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি (India Bangladesh Rail Service) এবং ২০ জুলাই কলকাতা থেকে খুলনাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল আগেই করা হয়েছিল। এই দুই ট্রেনে অনেক মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে টিকিট (Train Ticket) কেটে ছিলেন, কিন্তু ট্রেন বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করতে পারেননি। এবার যাত্রীরা যাতে টিকিটের সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত পান, সেই দিকে রেল বিশেষভাবে নজর দিয়েছে। কবে কখন কোন কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট দাম ফেরত পাওয়া যাবে, সেই সব কিছু বিশদে জানিয়ে দেওয়া হবে সামজিক মাধ্যমে। তবে বেশির ভাগ যাত্রীই এই সকল সুবিধা পাবেন কলকাতা স্টেশন ও ফেয়ারলি প্লেসের টিকিট কাউন্টারগুলিতে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০, তেজস যুদ্ধবিমানে বসতে চলেছে নতুন ‘অস্ত্র

    এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষ টাকার উপর ফেরত দেওয়া হয়েছে

    রেলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গত ২০ জুলাই, ২০২৪ থেকে ০৪ অগাস্ট, ২০২৪ পর্যন্ত ৮ লক্ষ ১২ হাজার ৮৯০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এবং কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস (India Bangladesh Rail Service) পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী ৭ অগাস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রেলের তরফ থেকে পরবর্তী বার্তা না আসা পর্যন্ত রেল চালানোর তেমন কোনও ঘোষণা আপাতত নেই। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভারত-বাংলাদেশে রেল পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতনের (Bangladesh Crisis) পর ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন (Bangladesh Crisis)

    সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু করে। তাতে যোগ দেয় জামাত এবং বিএনপি। এরপর আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। হাসিনা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভ এবং হিংসায় যোগ দেওয়ার কারণে আন্দোলন উগ্র রূপ নেয় (Bangladesh Crisis) এবং অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে আসেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের জন্য জয়ী হাসিনাকে ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

    বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাজ্যসভায় বলেন, “স্থিতিশীলতা এবং শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও, অনেকেই ওখানে থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সামরিক নেতৃত্বের সামনে তাঁদের নিরাপত্তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে, মন্দির (Bangladesh Crisis) ভাঙচুর হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সেটাও বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন দরকার।

    সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত

    ভারতের (S Jaishankar) তরফে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। হাসিনার ভারতে আগমনের পর এখনও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। ফলে ভারত নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর তালিবানি কায়দায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সারাদিনের অস্থিরতা এবং উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জ্বলছে বাংলাদেশ! আওয়ামি নেতার হোটেলে আগুন, মৃত ২১, খুন অভিনেতাও

    বাস ও যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা অল্প হলেও কিছু দোকানপাট খুলেছেন। ব্যাংক খুলেছে ফের। তবুও মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতী হামলাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন (UK issues) শুরু হয়েছে ব্রিটেনে, এবার সেই আন্দোলনের আঁচ থেকে ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বাঁচাতে সতর্কবার্তা জারি করেছে ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। যাঁরা ভারত থেকে ব্রিটেনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে তাঁদেরকেও। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ? (UK issues) 

    সম্প্রতি ব্রিটেনের সাউথপোর্টে এক নাচের ক্লাসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। রটে যায় ওই হামলাকারী একজন অভিবাসী এবং ইসলামিক কট্টরপন্থী। তার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে কার্যত যা দাঙ্গার রূপ নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ উঠছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতেই ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করল ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। তবে ইতিমধ্যেই এ ঘতনায় ঘটনায় ১৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian Embassy)

    মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে নির্দেশিকা জারি করে হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটেনের বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এখানে যে ভারতীয়রা রয়েছেন এবং যাঁরা ভারত থেকে আসছেন, তাঁদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতীয় হাইকমিশন। সকলকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর খবরে নজর রাখুন, তারপর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিন। যেখানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সেই জায়গাগুলোয় এড়িয়ে চলুন। কোনও প্রয়োজন হলে হাইকমিশনের এমারজেন্সি নম্বর ৪৪২০৭৮৩৬৯১৪৭ এবং মেল আইডি inf.london@mea.gov.in-তে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংস্কার (Waqf Reform) নিয়ে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌলানা সাজিদ রশিদি। রশিদি যখন উস্কানি দিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন, তখন ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করল অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিল। মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর (Kiren Rijiju) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Waqf Reform)

    এই ধর্মগুরুরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংশা করেন। স্বচ্ছতা আনার স্বার্থে ওয়াকফ সংশোধনীকে সমর্থনও জানান। এক্স হ্যান্ডেলে মন্ত্রী লেখেন, “ভারতজুড়ে বিভিন্ন দরগা থেকে সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় ও বিশিষ্ট সাজ্জাদানশিনদের নিয়ে গঠিত অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি। তিনি আজমেড় দরগার বর্তমান আধ্যাত্মিক প্রধানের উত্তরসূরি এবং চেয়ারম্যান। মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির প্রশংসা

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সমগ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তাঁরা। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিও যে তাঁরা দায়বদ্ধ, তাও জানান সুফি ধর্মগুরুরা। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুন্নাওয়ালাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে যে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে, তাও স্বীকার করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

    সোমবারই মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, দরিদ্র ও সাধারণ মুসলমান মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Reform) সংস্কারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা এও বলেছিলেন, মোদি সরকারের এই উদ্যোগে ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আসবে। তাতে আখেরে লাভ হবে মুসলমান সম্প্রদায়েরই। রিজিজু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই দরিদ্র মুসলমান ও গরিব মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তিত স্বচ্ছতা আনার দাবি জানাচ্ছিলেন। তাঁদের (Kiren Rijiju) বক্তব্য, মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন (Waqf Reform)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    Dengue: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকার কেন ডেঙ্গির (Dengue) তথ্য লুকিয়ে রাখে? মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। তাঁর প্রশ্নে এই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির এই সর্বভারতীয় সভাপতি। উল্লেখ্য, মমতার সরকারের বিরুদ্ধে করোনা কাল থেকেই সংক্রমণ রোগ বা মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঠিক কী বলেন জেপি নাড্ডা (Dengue)?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা আজ রাজ্যসভায় বাংলার সরকারের ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলা নিয়ে বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না? তথ্য গোপন করার কী আছে? আমি রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাই। তবে এই প্রশ্ন তোলার মধ্যে আমার কোনও রাজনৈতিক অভিপ্রায় নেই। সব পক্ষের কথা শোনার ধৈর্য এবং বলবার অবসর থাকা একান্ত প্রয়োজন।” এই বক্তব্যের ভিডিও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।

    ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের বৈঠক

    বর্ষার মরসুমে প্রত্যেক বছরই ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা যায়। রাজ্য সরকার প্রতিবছর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড সহ একাধিক রোগের সঠিক তথ্যে কেন্দ্রকে যে পাঠায় না, সেই বিষয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বরাও সরব হয়েছেন। এদিকে রাজ্যে লাগাতার বর্ষণের ফলে বর্ষায় জল জমে একাধিক জেলায় ডেঙ্গি প্রকোপ মারাত্মক আকার নিয়েছে। কলকাতায়ও অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। একাধিক জেলা সহ কলকাতায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। রাজ্যের পুরসভাগুলির বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামী ৮ অগাস্ট ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যান এবং দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। একই ভাবে এই বৈঠকে থাকবেন কলকাতা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলা এবং মহাকুমা শাসক, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ষার জমা জল এবং নিকাশি ব্যবস্থার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Red Fort: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    Red Fort: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৫ অগাস্ট ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা (Red Fort) থেকে নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিতে চলেছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে, এবারে দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন মহিলা ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়ে গোটা দেশ থেকে ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে লালকেল্লায় সম্মানিত করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Women Sarpanches)   

    স্বাধীনতা দিবসের দিন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে ডাকার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল, নারী ক্ষমতায়নে জোর। এটি আসলে সরকারের একটি দ্বিমুখী প্রচার উদ্যোগ যা পঞ্চায়েত স্তরে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে উৎসাহিত দেওয়ার উপর জোর দেয়। এ প্রসঙ্গে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, ”এর লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকায় রাজনীতি ও প্রশাসনে নারীদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা।”     

    ইতিমধ্যেই ১৫০ জন পঞ্চায়েত প্রধানকে (Women Sarpanches) আমন্ত্রণ জানাতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রের পঞ্চায়েত মন্ত্রক। মহিলা প্রতিনিধিদের স্বামীসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মহিলা প্রতিনিধিদের জন্য ১৪ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে দিল্লির ভীমরাও আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘পঞ্চায়েত রাজে নারী নেতৃত্ব’ শীর্ষক একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি মা’’, জানালেন হাসিনার ছেলে সাজিব 

    লালকেল্লায় দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলা প্রতিনিধিরা (Red Fort) 

    নারী ক্ষমতায়নের গুরুত্ব বুঝে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে মোদি সরকার। পুরুষদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে নারী শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একাধিক জাতীয় কর্মসূচির আয়োজনের পাশাপাশি আনা হয়েছে বহু সামাজিক প্রকল্প। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের আধিপত্য বাড়িতে তুলতে আনা হয়েছে নয়া আইন। এমনকী, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে আনা হয়েছে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত একাধিক মহিলাকে। এবার সেই পথে হেঁটেই ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় (Red Fort) জায়গা পেতে চলেছেন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলা প্রতিনিধিরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার। এমনই দাবি জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার। হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা সেই দেশের হিন্দু মন্দির ও বাড়ি-ঘরে ব্যাপক আক্রমণ (Bangladesh Crisis) শুরু করেছে। দিল্লিতে তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “প্রত্যেক হিন্দুর সম্পত্তি, সম্মান এবং প্রাণের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।”

    কী বললেন অলোক কুমার (Bangladesh Crisis)?

    ভিএইচপি নেতা অলোক কুমার (Vishwa Hindu Parishad) বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, “সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের পাশে আমরা রয়েছি। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, মন্দিরকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। সম্পত্তি লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত শুধুমাত্র পঞ্চগড় জেলায় ২২টি বাড়ি, ঝিনাইদহে ২০টি বাড়ি এবং যশোরে ২২টি দোকান মৌলবাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক জেলায় শ্মশানও ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোনও জেলা নেই, যা তাদের হিংসা ও সন্ত্রাসের শিকার হয়নি। এটি লক্ষণীয় যে বাংলাদেশে হিন্দুরা, যাদের সংখ্যা এক সময় ৩২ শতাংশ ছিল, এখন তারা ৮ শতাংশেরও কম। ক্রমাগত জিহাদি নিপীড়নের শিকার হয়ে চলেছে হিন্দুরা।”

    আরও পড়ুনঃ ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর

    “ভারত অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না”

    এই প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমার আরও বলেন, “ভারত অবশ্যই বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতিতে অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। ভারত ঐতিহ্যগতভাবে সারা বিশ্বের নিপীড়িত সমাজকে সাহায্য করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad) বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের বড় চেষ্টা চালানো হতে পারে। আমরা চাই, বাংলাদেশে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। মানুষের মানবাধিকারকে যেন সুরক্ষিত করা হয়। ভারতীয় সমাজ এই বিষয়ে সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক মাশরাফে মোর্তাজার বাড়ি!

    Bangladesh Crisis: জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক মাশরাফে মোর্তাজার বাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক তথা আওয়ামী লীগের সাংসদ মাশরাফে মোর্তাজার (Mashrafe Bin Mortaza) বাড়ি। কোটা এবং হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের ইস্যুতে কেন চুপ করে ছিলেন এই ক্রিকেটার, এই প্রশ্ন তুলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশের হয়ে ১১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে রাজনীতিতে যোগদান করেছিলেন। অপর দিকে রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রভাব পড়েছে পকিস্তান-বাংলাদেশের আসন্ন দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজের ওপর।

    কেন হাসিনার বিরোধিতা করেননি (Bangladesh Crisis)?

    সোমবার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ মোর্তাজার (Mashrafe Bin Mortaza) বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আক্রমণ করে। এরপর ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ইতি মধ্যে এই ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তিনি এই কেন্দ্রে গত ২ বারের সাংসদ ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত বিক্ষোভ এবং আন্দোলনে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। আর সেই জন্য তাঁকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা মাত্রই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে আরও এক প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক দলের অফিসে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনিও আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    টেস্ট সিরিজ নিয়ে সঙ্কটে

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ক্রিকেট বোর্ড এই অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিয়ে চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বোর্ডের কর্তারা অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। ১৭ অগাস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের রাওয়ালপিন্ডিতে যাওয়ার কথা ছিল। ২১-২৫ অগাস্ট প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। আবার ৩০ অগাস্ট থেকে ৩ সেপ্টম্বর পর্যন্ত হওয়ার কথা দ্বিতীয় টেস্ট। সবটাই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংসদ, নেতা, সমর্থক এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর। হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। সেনা বাহিনী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আশ্বাস দিয়েছে। মানুষের জান-মালের দায়িত্ব সুরক্ষার কথা বললেও কার্যত চূড়ান্ত বিশৃঙ্গলা চলছে দেশ জুড়ে। একাধিক জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বড় মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা সহ একাধিক এলাকার থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভবনে হামলা করে আগুন দেওয়া হয়েছে। যশোর, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটের একাধিক জায়গায় হিন্দুমন্দির ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়িঘর, দোকানপাটে চলছে লুটপাট।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনও (UK)। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক পট পরির্তন ও তার জেরে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল আমেরিকা। ব্রিটেনও চাইছে, বাংলাদেশে তদন্ত করুক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

    ব্রিটেনের বিবৃতি (Bangladesh Crisis)

    ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় তারা। তদন্ত হোক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে।” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেন মুখ খুললেও, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজার দেশ। ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দু’সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। …একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেখতে চায়।” মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    কী বলছে আমেরিকা

    বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আইন ও গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নয়া সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।” এদিকে, ভারত কিংবা আমেরিকা কারও কাছেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি হাসিনা।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন লন্ডনের সঙ্গে। আবেদন করেছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। তবে ব্রিটেন নাকি সেই আবেদনে কান দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই ব্রিটেনের (UK) জারি করা বিবৃতিতে হাসিনার নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share