Tag: news in bengali

news in bengali

  • ISRO: বড় খবর! ইসরো গগনযানের মানবহীন ফ্লাইট চলতি বছরের শেষেই, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    ISRO: বড় খবর! ইসরো গগনযানের মানবহীন ফ্লাইট চলতি বছরের শেষেই, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উচ্চাভিলাষী গণনযান (Gaganyaan) মিশন নিয়ে বড় খবর সামনে এল। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথম আনক্রুড বা মানববিহীন ফ্লাইট মহাকাশে পাঠাবে ইসরো ইসরো (ISRO)। ২০২৬ সালের মধ্যে মানুষ পাঠিয়ে নিরাপদে মহাকাশ ভ্রমণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। একই ভাবে গগনযান মিশনের অধীনে প্রোপালশন সিস্টেম, ক্রু এস্কেপ মেকানিজম এবং অরবিটাল মডিউল ইন্টিগ্রেশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা জানা গিয়েছে।

    প্রশিক্ষণের তিনটি স্তরের মধ্যে দুটি পর্ব সম্পন্ন (ISRO)

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, প্রথম ক্রুড বা মানব মিশন (Gaganyaan) ২০২৬-এর চতুর্থ মাসে সম্পন্ন হবে (ISRO)। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম আনক্রুড মিশনটি ২০২৪ সালের শেষে সম্পন্ন করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। পরবর্তী মিশনগুলি ২০২৫ সালের তৃতীয় মাসে এবং ২০২৬ সালের প্রথম মাসে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “মানব যাত্রার লঞ্চ ভেহিকলের সমস্ত প্রোপালশন সিস্টেম শ্রীহরিকোটায় পৌঁছেছে। একই ভাবে মিশনের জন্য ক্রু এস্কেপ সিস্টেম লঞ্চ কমপ্লেক্সে পৌঁছেছে। এই মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের তিনটি স্তরের মধ্যে দুটি পর্ব সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ধরা পড়বে না শত্রু-রেডারে, ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে যুক্ত হল ‘খড়্গ’ আত্মঘাতী ড্রোন

    মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার পরীক্ষণের কাজ শেষ

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) তার এলভিএম-৩ লঞ্চ ভেহিকলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার পরীক্ষণের কাজ শেষ করেছে। এই পরীক্ষা এবং পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল নিরাপদে মানুষের যাত্রাকে নিশ্চিত করা। এই কাজে মূলত তিনটি ধাপ রয়েছে। কঠিন, তরল এবং ক্রায়োজেনিক জ্বালানি ব্যবহার করে। ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ফ্লাইট মক-আপ ফিলিং ট্রায়ালও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    আবার ক্রু এস্কেপ সিস্টেম হল জরুরি পরিস্থিতিতে মডিউল থেকে মহাকাশচারীদের (Gaganyaan) বের হওয়ার বিশেষ পদ্ধতি। এর আগে, এককভাবে ১৭ কিমি উচ্চতায় পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রথম মানববিহীন রকেট প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া, মানব অভিযানের আরবিট মডিউল, ক্রু-মডিউল, সার্ভিস মডিউলের কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। একই ভাবে স্থলভাগের সহায়তার জন্য ইসরো ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ)-এর সঙ্গেও যৌথ ভাবে কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gita Jayanti: ভগবদ গীতা হল মানব সভ্যতার জীবন্ত দলিল,  এক ঐতিহাসিক আদর্শ মানবজীবন দর্শন

    Gita Jayanti: ভগবদ গীতা হল মানব সভ্যতার জীবন্ত দলিল, এক ঐতিহাসিক আদর্শ মানবজীবন দর্শন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা জয়ন্তীর (Gita Jayanti) মূল উদ্দেশ্য হল ভগবদ গীতাকে সম্মান জানানো। একটি পরিপূর্ণ এবং নৈতিক সুমার্জিত মানব জীবনের জন্য গীতার দর্শন ও আধ্যাত্মবোধের একান্ত ভাবে প্রয়োজনীয়। গীতায় মূলত ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরম মিত্র অর্জুনের উদ্দেশে বাণী দিয়েছেন। কুরুক্ষেত্রের ধর্ম যুদ্ধে অর্জুনের মনে তৈরি হওয়া দ্বিধাকে দূর করে, ফলের আশা না করে কর্মকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন। ফলে তাতে গভীরভাবে মানব জীবনের কর্তব্যবোধ, বিশ্বদর্শন এবং মানবতাবাদকে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এই গীতার তত্ত্ব এবং দর্শন (Human Life Philosophy) ভারতীয় জীবন পরম্পরা এবং মূল্যবোধকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

    জীবনের সুখ কীভাবে পরিমাপ হবে (Gita Jayanti)?

    গীতায় সুখের সাধনা কীভাবে করতে হয় এবং যথার্থ মানবজীবনের তৃপ্তি কীভাবে অর্জন করতে হয় এই তত্ত্বকথা রয়েছে। মানব জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্ভাব থেকে উদ্ভূত হয়। আত্মসচেতনতা থেকে জীবনের উচ্চ পর্যায়ে উত্তরণ করে গীতার বাণী। পরিবর্তিত সময়ে জীবনকে নানা মাত্রায় প্রবাহিত করার মাধ্যমে এই সুখের সত্যতা অনুভব হয়। তাই ভগবদ গীতার ভগবৎ তত্ত্ব হল সম্পূর্ণ মানব জীবনের প্রকাশ মাত্র। তাই গীতা স্থান, পাত্র, কাল, বর্ণ, ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সকলের জন্য প্রযোজ্য।

    কেবল মাত্র ধর্মশাস্ত্র নয় গীতা

    গীতা কেবল মাত্র ধর্মশাস্ত্র নয়, এটি এমন একটি দার্শনিক গ্রন্থ যে সর্বজনীন ভাবে প্রযুক্ত। গীতা, রক্ত মাংসে গড়া মানব জীবনের নীতি কথা। কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক, কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এই সব বিষয়ে জানতে সাহায্য করে। মানুষের আবেগ, চ্যালেঞ্জ এবং নানা আকাঙ্খাগুলিকে পথ দেখায়। তাই একে কেবল মাত্র ধর্মীয় ভাবনায় ভাবলে হবে না। মানব জীবনের রাগ, লোভ, দ্বেষ, ক্ষোভ, প্রেম, তৃপ্তি এবং জ্ঞান বিষয়েও নৈতিকতার পাঠ দেয়। কাকে দমন করে কাকে সম্প্রসারণ করতে হবে সেই শিক্ষাও দেয় গীতা। তাই শুধু মাত্র হিন্দুশাস্ত্র হিসেবে বিচার করলে গীতাকে একটি সামান্য সীমায় বেঁধে রাখা হবে। গীতার ব্যাপ্তি বিশ্বচরাচর।

    জগতের নানা প্রকার জীবের মধ্যে মানবজাতি তুলনায় অনেক বেশি জটিল জীব। মানুষের শরীর, মন, বুদ্ধি, চেতনা, অহংকার থাকে। সেই জন্য আর বাকি দশটা জীবের তুলনায় মানুষের চলন অন্যরকম। মানুষের অভিপ্রায়গুলি যদি ত্রুটি যুক্ত হয় তাহলে জীবনকে দুঃখ বা নেগেটিভ শক্তির দিকে নিয়ে যায়। তাই জীবনকে সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য গীতার দেখানো পথকে অবলম্বন করতে হবে। গীতা সবসময় রাগ, ক্রোধ, ভয়, বিস্ময়-সহ রিপুগুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং দমনের উপদেশ দেয়। গীতা শান্ত, ধৈর্য, উদার, বিনয়ের কথা বলে। মানুষকে পূর্ণমানব তথা ঈশ্বরজ্ঞানের দর্শন করাতে চায়। প্রেম, করুণা, প্রজ্ঞা এবং ত্যাগ ভাব দিয়ে জীবনকে (Human Life Philosophy) সিদ্ধান্ত নিতে শেখায় গীতা।

    সভ্যতার জীবন্ত দলিল গীতা

    গীতাকে (Gita Jayanti) বলা হয়েছে, গীতা হল সভ্যতার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। গীতায় তোলা অর্জুনের প্রশ্ন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ বিশ্বমানব সভ্যতার (Human Life Philosophy) একটা দলিল। শুধুমাত্র মুখ নিঃসৃত বাণী নয়। সভ্যতার বিকাশে রাজরাজাদের গল্প, রাজত্ব-সাম্রাজ্য, যুদ্ধ, আধিপত্য, প্রজাদের প্রতি কর্তব্য, অধিকার, নীতি-নৈতিকতার পাঠ, দুর্বলকে কীভাবে সবল করতে হবে সেই দিকের ইঙ্গিত স্পষ্ট ভাবে রয়েছে। তাই গীতাকে কোনও সময়েই অপ্রাসঙ্গিক বলা যায় না। অন্যায়কে পরাজয় করতে শেষ শক্তি দিয়ে কীভাবে বিজয় প্রাপ্ত হতে হয় এই কথা কৌরব-পাণ্ডবের যুদ্ধে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার’’, বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন রোধে বার্তা আরএসএসের

    গীতা জয়ন্তীর উদ্দেশ্য

    গীতা জয়ন্তীর (Gita Jayanti) মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্ববাসীর সামনে গীতার মাহাত্মকে আরও বেশি করে প্রচার প্রসার করা। এখানে দেওয়া উপদেশগুলির সূক্ষ্ম বিচার বিবেচনা করে জীবনের প্রতি পদে পদে ব্যবহারিক প্রয়োগ করা। গীতার জ্ঞানকে মন্থন করে ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিফলন ঘটানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। সুখ দুঃখের সঙ্গে ক্ষণস্থায়ী আনন্দকে চিরন্তন করতে কর্ম এবং ত্যাগের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মানবজীবনের উন্নত পথ প্রদর্শক। এটি হল ভারতের একটি জ্বলন্ত প্রদীপের শিখা। যার আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করে যাচ্ছে। মানবজীবনে (Human Life Philosophy) মূল উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather Update: মরশুমের শীতলতম দিনে ঘন কুয়াশায় ঢাকল আকাশ, এবার কি জাঁকিয়ে ঠান্ডা?

    West Bengal Weather Update: মরশুমের শীতলতম দিনে ঘন কুয়াশায় ঢাকল আকাশ, এবার কি জাঁকিয়ে ঠান্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘন কুয়াশায় ঢাকল বাংলার একাংশ (West Bengal Weather Update)। কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ ঢাকল ঘন কুয়াশায় (Dense Fog)। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবারই মরশুমের শীতলতম দিন। তাদের পূর্বাভাস, চলতি সপ্তাহের শেষে ১৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলবে কলকাতার পারা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ১০ ডিগ্রির নীচে। আগামী দুদিন পাল্লা দিয়ে নামবে রাতের তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হয়েছে দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের চার জেলায়। কুয়াশার চাদরে ঢাকবে দক্ষিণের তিন জেলাও।

    নিম্নচাপ এলাকা (West Bengal Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপটি শ্রীলঙ্কা উপকূলের গা ঘেঁষে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগোবে। বুধবারই এটি স্থলভাগে ঢুকতে পারে। তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গে বাধা পড়ছে শীত আসায়। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তুরে হাওয়ার দাপটে নামবে পারা। তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কমবে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি। বুধবার থেকেই নামবে তাপমাত্রা। তবে শনিবার শীতের আমেজ বাড়বে অনেকটাই। কোথাও কোথাও জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী তিন দিন তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে।

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

    বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবারের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঝাড়গ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতনে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (West Bengal Weather Update), রাজ্যের সর্বত্রই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। রাজ্যের সাত জেলার মুখ সকালের দিকে ঢেকে থাকতে পারে ঘন কুয়াশার চাদরে। বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে। কমতে পারে দৃশ্যমানতাও। এদিন সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানেও।

    ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় ঘন কুয়াশার (Dense Fog) পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস (West Bengal Weather Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করতে চান হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একইসঙ্গে চান আমেরিকায় (US) থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে। তবে তথাকথিত ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষিত রাখতে চান রিপাবলিকান পার্টির এই শীর্ষ নেতা।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    ‘মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি অফিসে প্রথম দিনেই একটি এক্সিকিউটিভ অ্যাকশনের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সেই সকল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, যারা সে দেশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের বাবা-মা অভিবাসী কিনা, তা বিবেচনা করা হয় না। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তাঁর আশা, সেদিনই দায়িত্ব নেওয়ার পরে অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করবেন। সারা দেশে কঠোর অভিযান পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকায় রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী। ট্রাম্প (Donald Trump) চান যাঁদের বৈধ স্ট্যাটাস নেই, তাঁদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হোক। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আপনাকে এটি করতে হবে। এটি একটি খুব কঠিন কাজ। আপনি জানেন, এখানে নিয়ম, বিধি, আইন রয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ড্রিমারদের সুরক্ষা

    তবে ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প  বলেন, “রিপাবলিকানরা ‘ড্রিমার’ অভিবাসীদের সুরক্ষার ধারণাটি বিবেচনা করতে প্রস্তুত। যাদের শৈশবে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।” তিনি বলেন, “যাঁদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে তাঁরা হলেন সেই ব্যক্তিরা যাঁরা ১০ বছর ধরে অনলাইনে কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে দেশটিতে বৈধ উপায়ে আসার চেষ্টা করছেন। আমরা মানুষদের জন্য আসার প্রক্রিয়াকে খুব সহজ করব। তবে তাঁদের অবশ্যই পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তাঁদের অবশ্যই বলতে হবে যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি কী। তাঁদের আমাদের দেশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে। তাঁদের অবশ্যই আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পের (Donald Trump) জন্মগত নাগরিকত্বে (Birthright Citizenship) ইতি টানার পরিকল্পনা সহজে বাস্তবায়িত হবে না। এতে তাঁকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এই অধিকারটি মার্কিন (US) সংবিধান স্বীকৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 215: “হাড়পেকে, কোটরচোখ, ট্যারা—এরকম অনেক লক্ষণ আছে, তাদের বিশ্বাস সহজে হয় না”

    Ramakrishna 215: “হাড়পেকে, কোটরচোখ, ট্যারা—এরকম অনেক লক্ষণ আছে, তাদের বিশ্বাস সহজে হয় না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ও নিরাকারবাদ

    মাস্টার—আচ্ছা, কোন কোন ঘটনা মেলে নাই, এমন কি হয়েছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, সে-সময় সব মিলত (Kathamrita)। সে-সময় তাঁর নাম করে যা বিশ্বাস করতুম, তাই মিলে যেত! (মণিলালকে) তবে কি জানো, সরল উদার না হলে এ বিশ্বাস হয় না।

    “হাড়পেকে, কোটরচোখ, ট্যারা—এরকম অনেক লক্ষণ আছে, তাদের বিশ্বাস সহজে হয় না। ‘দক্ষিণে কলাগাছ উত্তরে পুঁই, একলা কালো বিড়াল কি করব মুই’।” (সকলের হাস্য)।

    ভগবতী দাসীর প্রতি দয়া—শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ও সতীত্বধর্ম 

    সন্ধ্যা হইল। দাসী আসিয়া ঘরে ধুনা দিয়া গেল। মণিলাল প্রভৃতি চলিয়া যাবার পর দু-একজন ভক্ত এখনও আছেন। ঘর নিস্তব্ধ। ধুনার গন্ধ, ঠাকুর ছোট খাটটিতে উপবিষ্ট। মার চিন্তা করিতেছেন! মাস্টার মেঝেতে বসিয়া আছেন। রাখালও আছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে বাবুদের দাসী ভগবতী আসিয়া দূর হইতে প্রণাম করিল। ঠাকুর বসিতে বলিলেন (Kathamrita)। ভগবতী খুব পুরাতন দাসী। অনেক বৎসর বাবুদের বাড়িতে আছে। ঠাকুর তাহাকে অনেকদিন ধরিয়া জানেন। প্রথম বয়সে স্বভাব ভাল ছিল না। কিন্তু ঠাকুর দয়ার সাগর পতিতপাবন, তাহার সহিত অনেক পুরানো কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এখন তো বয়স হয়েছে। টাকা যা রোজগার করলি, সাধু বৈষ্ণবদের খাওয়াচ্ছিস তো?

    ভগবতী (ঈষৎ হাসিয়া)—তা আর কি করে বলব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কাশী, বৃন্দাবন, এ-সব হয়েছে?

    ভগবতী (ঈষৎ সঙ্কুচিত হইয়া)—তা আর কি করে বলব (Kathamrita)? একটা ঘাট বাঁধিয়ে দিইছি। তাতে পাথরে আমার নাম লেখা আছে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভ মেলায় আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে তুলতে মন্ত্রপাঠ করবেন ২০ হাজার বৈদিক পণ্ডিত

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভ মেলায় আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে তুলতে মন্ত্রপাঠ করবেন ২০ হাজার বৈদিক পণ্ডিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh 2025) আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে ২০ হাজার বৈদিক পণ্ডিতদের (Vedic Brahmin) অংশগ্রহণ থাকবে। এই মেলায় এই বিপুল সংখ্যক বৈদিক ব্রাহ্মণদের সমবেত স্তোত্র পাঠ করানো হবে। মেলায় একাধিক শিবির থেকে মেলার পবিত্রতাকে আরও আকর্ষণীয় করা হবে। মূলত এই বৈদিক পণ্ডিতরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করবেন। জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজে মহর্ষি সন্দীপনি রাষ্ট্রীয় বেদ সংস্কৃত শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সরকার পরিচালিত বেদ পাঠশালা এবং গুরু-শিষ্য শাখাগুলি প্রস্তুতির কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি।

    আধ্যাত্মিক ভাবনার এক অভয়ারণ্য হবে মেলা

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হিন্দুদের সর্ব বৃহৎ মহাকুম্ভ মেলাকে (Mahakumbh 2025) বিশ্ববাসীর সমানে আরও সুন্দর এবং উপভোগ্য করতে নানা রকম ভাবনার সমাবেশ করছেন। চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না। তার মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান দিক হল মেলায় বৈদিক ব্রাহ্মণদের (Vedic Brahmin) দ্বারা স্তোত্র পাঠ। প্রয়াগরাজ এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বৈদিক ছাত্র এবং পণ্ডিতদের আনা হবে। মহাকুম্ভ মেলারস্থলকে আধ্যাত্মিক ভাবনার এক অভয়ারণ্য গড়তে এই ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গনের শিবিরগুলিতে ধর্ম কথা, ভাগবত কথা, আধ্যাত্মিক বক্তৃতা, পুরাণ কথায় তীর্থযাত্রীদের মনকে ভরিয়ে দিতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “কুবীর বলত সাকার আমার মা, নিরাকার আমার বাপ, কাকো নিন্দো, কাকো বন্দো, দোনো পাল্লা ভারী!”

    পাঁচ লক্ষ পঞ্চাক্ষর জপ চলবে

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) বৈদিক মন্ত্র পাঠের জন্য এখন থেকেই নানা ভাবে একাধিক স্কুলে স্কুলে বিদ্যার্থীদের মন্ত্র উচ্চারণ, আবৃত্তি এবং পাঠের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ঝুনসির স্বামী নরোত্তমন্দ গিরি বেদ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ব্রজ মোহন পান্ডে বলেন, “মেলাকে সামনে রেখে এই উদ্যোগ শুধু বৈদিক সংস্কৃতিকে প্রচারই করবে না, বরং তরুণ প্রজন্মের কাছে এর সমৃদ্ধিকে, ঐতিহ্যকেও আরও পরিচিত করাবে।” একই ভাবে শ্রীপঞ্চ অগ্নি আখড়ার মহা মণ্ডলেশ্বর সোমেশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী মহাকুম্ভের মধ্যে বৈদিক ঐতিহ্যের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। একই ভাবে তার শিবিরে বেশ কিছু কিছু বিদ্যার্থীরা সম্পূর্ণ মেলা জুড়ে মন্ত্র পাঠ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই ভাবে পঞ্চায়েত আখড়ায় মহা নির্বাণীর মহা মণ্ডলেশ্বর স্বামী প্রণবানন্দ সরস্বতী বলেছেন, “আমাদের শিবিরে বৈদিক স্তোত্রের (Vedic Brahmin) পাশাপাশি প্রতিদিন পাঁচ লক্ষ পঞ্চাক্ষর জপ করা আটজন ব্রাহ্মণও উপস্থিত থাকবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের বিজয় দিবসের কথা মনে করিয়ে দিতে দিল্লিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) হাই কমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে বিরাট বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ভারতীয়রা। গত ৫ অগাস্ট থেকে লাগাতার হওয়া বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতীয় হিন্দু সমাজ। হাজার হাজার সাধারণ জনতার সঙ্গে সাধুসন্তরা এদিন এই কর্মসূচীতে যোগদান করেছেন। দাবি একটাই হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হোক।

    হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে (Bangladesh)

    নভেম্বরের শেষেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ধর্ম গুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন একাধিক জায়গায় কট্টর মৌলবাদী মুসলমানদের চলছে আগ্রাসন। হিন্দু বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, দোকান লুট, মন্দিরে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ঘটনায় চরম বিপাকে সনাতনী সমাজ। ঢাকার রাজপথে বিলি হচ্ছে ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’ লিফলেট, চার দিনে কলকাতা দখল হবে বলে দেওয়া হচ্ছে হুঙ্কার। ধর্মগুরুরা প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা করছেন তলোয়ার দিয়ে কোপানো হবে ইসকনকে। এই সব ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস একদম চুপ। চট্টগ্রামের বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হিন্দু মহিলাকে। ঢাকায় পড়ানো হচ্ছে জগন্নাথের মন্দির। তাই প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একত্রিত হয়েছেন বহু মানুষ। সকলের মুখে একটাই স্লোগান হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশকে। একই ভাবে ইসকনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা যাবে না। অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ সন্ন্যাসীকে মুক্তি দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

    এদিন দিল্লিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ কেন নির্বাক? অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনও হিন্দুদের উপর ভয়াবহ অত্যাচারের বিরুদ্ধে চুপচাপ করে বসে আছে। বাংলাদেশ কি ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা ভুলে গিয়েছে? একই ভাবে আগে মুম্বইয়ে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একাধিক হিন্দু সংগঠন বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে রবিবার দেশের আরও একাধিক জায়গায় হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঢাকায় বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হুসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)-এর একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তাদের ২৫০টি সংরক্ষিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফ সম্পত্তির হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে। এই রিপোর্টকে যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে পেশ করতে চাইছে দেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকারি সম্পত্তি কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) সম্পত্তি হল? বিজেপির অবশ্য দাবি, দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের নামে প্রচুর সম্পত্তি দখলের বড়সড় চক্রান্ত চলছে। এটা পূর্বতন কংগ্রেসের শাসনেই বেপরোয়া রূপ নিয়েছে। তাই সময়ে এসেছে আইন পরিবর্তনের। উল্লেখ্য, সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ এখন পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে। এই বিলের পাশ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    সাচার কিমিটি সুপারিশ করেছিল (Waqf Properties)

    জানা গিয়েছে, এএসআই (ASI)-এর পক্ষ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে, যেগুলি ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সরকার তৈরি করেছিল। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিক, সামজিক এবং শিক্ষাগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে প্রাচীন স্মৃতি স্তম্ভগুলিকে নথিভুক্ত করা হয় ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Properties)। রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন, এটা ইসলামি ল্যান্ড জিহাদের একটা বড় মাধ্যম।

    দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান ওয়াকফের দখলে

    তালিকায় দেখা গিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) দখলে থাকা ১৭২টি জায়গার মধ্যে দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানো রয়েছে। তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলির মধ্য়ে রয়েছে— ফিরোজশাহ কোটলার জামা মসজিদ, আরকে পুরমের ছোটি গুমতি মাকবারা, হাউজ খাস মসজিদ এবং ইদগাহ। এই রকম আরও অনেক স্মৃতিসৌধ বা স্তম্ভগুলি দেশজুড়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের যৌথ সংসদীয় কমিটির সমীক্ষায় ওয়াকফ বোর্ডের মোট ১২০টি জায়গার নাম পাওয়া গিয়েছে যেগুলি সরাসরি এএসআই-এর অধীনে এবং সংরক্ষণে থাকার কথা। এখন ১৯৫৮ সালের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতি স্তম্ভ আইন (ASI) এবং ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ অ্যাক্ট বোর্ডকে আইন অনুযায়ী দুই পক্ষের অধিকার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা একান্ত মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তাই দ্রুত সংসদে ওয়াকফ বিলকে সংশোধন করা একান্ত প্রয়োজন মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ কমছে। শীতের (Winter) আমেজ শহর থেকে জেলা সর্বত্র! আর বাঙালির শীতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে কমলালেবু। শীতকাল আর কমলালেবু একে অপরের পরিপূরক। শীত পড়তেই অনেকেই নিয়মিত কমলালেবু খান। এই ফলের পুষ্টিগুণ একাধিক রয়েছে। কিন্তু নিয়মিত কমলালেবু (Oranges) খেলে শরীরে নানান সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের মতে, কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি-র মতো উপাদান। এর ফলে শরীরে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার শীতে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমাতে কিংবা ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা মেটাতেও কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবুর একাধিক গুণ রয়েছে, একথা ঠিক। তবে, অতিরিক্ত কমলালেবু নিয়মিত খেলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কমলালেবু কোন সমস্যা বাড়াতে পারে?

    আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ায় (Oranges)

    কমলালেবু ঠান্ডা ফল। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যথা বাড়তে পারে। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা বেশি ভোগাতে পারে। যাঁরা বাতের সমস্যায় কাবু কিংবা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বাড়তি ক্ষতিকারক এই ফল। অনেক সময়েই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।

    শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়, দেখা দেয় হার্ট বার্ন

    কমলালেবু টক জাতীয় ফল। এতে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই কমলালেবু অতিরিক্ত খেলে শরীরে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে বুক জ্বালা বা হার্ট বার্নের মতো সমস্যা হয়‌।

    ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় 

    কমলালেবুতে (Oranges) থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। এমনকী ডায়ারিয়ার মতো জটিল পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারে কমলালেবু। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনে দু’টোর বেশি কমলালেবু খেলে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে।

    কিডনির ঝুঁকি বাড়ায় (Oranges)

    অনেকেই কিডনির রোগে ভুগছেন। কমলালেবু তাঁদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান অ্যাসিড থাকে। এর ফলে কিডনির সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের কমলালেবু খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক

    কমলালেবু দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে অ্যাসিড থাকে। তাই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে দাঁতের নানান ক্ষতি দেখা যেতে পারে। বিশেষত ক্যাভেটিসের সমস্যা থাকলে কমলালেবু বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে।

    বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে

    কমলালেবু (Oranges) বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ফলের জেরে গ্যাস্ট্রোইজোফেসিয়াল রিফ্ল্যাক্স হতে পারে। ফলে গ্যাস এবং বদহজমের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, কমলালেবুর পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাই নিয়মিত কমলালেবু শীতে খেলে শরীরে যথেষ্ট উপকার হবে। তবে পরিমাণে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। একদিনে একাধিক কমলালেবু খাওয়া কখনই উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার থেকে ৫০০ এবং কাওয়ার্ধা থেকে ৩৫০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) ফেরত পাঠানো হয়েছে। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা। অবৈধ জবরদখল প্রবণতার জন্য বাংলাদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরে তোলপাড় চলছে ছত্তিশগড়ে। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় অবৈধ বাংলাদেশি অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশের কারণে বন্‌ধ পালিত হয়েছিল। যা বিরাট প্রভাব ফেলেছিল এই রাজ্যের রাজনীতিতে।

    সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না (Chhattisgarh)

    ৯ ডিসেম্বর ভিলাইতে একটি বিশেষ জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “রাজ্য থেকে প্রায় ৮৫০ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltrators) বিতাড়িত করেছি। কোন্ডাগাঁও থেকে ৪৬ জন অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। আরও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে সরকার ব্যাপক ভাবে কাজ করছে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলগুলির সঙ্গে কোনও রকম সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না।”

    আদিবাসী সামজের বন্‌ধ

    ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বেশ কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশি মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) এবং এলাকা দখলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে সরব হয়েছে স্থানীয় জনজাতিরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বন্‌ধ ডেকেছিল স্থানীয় আদিবাসীরা। সেখানে দোকান, বাজার, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়েছিল। এখানকার আদিবাসী সমাজের বক্তব্য হল, “বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে চোরা পথে ভারতে ঢুকে ওরা (বাংলাদেশি) এখানকার জায়গা দখল করছে। শহর, গ্রামের সর্বত্র তারা নিজেদের বসতি গড়ে আমাদের জামি জায়গা দখল করে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও জনবিন্যাসকে বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    অপর দিকে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক অভিযান চলছে। বস্তার আইজি সুন্দর রাজ পি-এর মতে, বস্তার এবং কোন্ডাগাঁও উভয় জেলাকেই কয়েক দশকের বিদ্রোহের পর মাওবাদীমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, “রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, তীব্র নিরাপত্তা অভিযান এক সঙ্গে চলছে। এই অঞ্চলে মাওবাদীদের কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share