Tag: news in bengali

news in bengali

  • Sikkim: কোটি টাকা উপার্জন করলেও, দিতে হবে না কর! আয়কর প্রদান থেকে অব্যাহতি সিকিমবাসীদের

    Sikkim: কোটি টাকা উপার্জন করলেও, দিতে হবে না কর! আয়কর প্রদান থেকে অব্যাহতি সিকিমবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম হল ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে কাউকেই কোনও আয়কর (Income Tax) দিতে হয় না। সেখানে মানুষ যদি কোটি টাকাও উপার্জন করেন, তাহলেও এক টাকাও কর দিতে হয় না। এমনকী, শেয়ার এবং ডিভিডেন্ড থেকে আয় করলেও তাঁদের কোনও কর দিতে হয় না। ১৯৭৫ সালে সিকিম ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। সেই সময় সিকিমের (Sikkim) শর্ত ছিল যে তারা শুধু তাদের পুরনো নিয়ম-নীতিই মেনে চলবে এবং স্পেশাল স্টেটাসে থাকবে। আর তাই সেই সময় থেকেই আয়করের আওতার বাইরেই থেকেছে সিকিম। 

    দেশের আয়করের আওতায় বাইরে সিকিম (Sikkim) 

    ভারতে যোগদানের আগে, সিকিমের নিজস্ব কর ব্যবস্থা ছিল এবং সেখানকার বাসিন্দারা ভারতীয় আয়কর (Income Tax) আইনের অধীনে ছিলেন না। কিন্তু পরে সিকিম যখন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, সেই সময় এই শর্তই তাদের দাবিতে ছিল। সেই মোতাবেক, সিকিমের (Sikkim) বাসিন্দারা ১৯৭৫ সালের অন্তর্ভুক্তি চুক্তি এবং সংবিধানের ৩৭১এফ ধারা অনুসারে করের আওতায় পড়েন না। তাই এই রাজ্যের বাসিন্দাদের উপর ১৯৬১ সালের আয়কর আইন কার্যকর হয় না। তবে ১৯৭৫ সালের ২৬ এপ্রিলের আগে থেকে যে সমস্ত আদি বাসিন্দারা বা ‘সিকিমিজ’-রাই কেবল এই সুবিধে পাবেন। 

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের

    কিন্তু, এই ‘সিকিমিজ’-এর সংজ্ঞা নিয়ে অনেকে অসন্তুষ্ট ছিলেন। এই নিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, ১৯৭৫ সালের যুক্তিটি অন্যায্য এবং বৈষম্যমূলক। তাঁদের যুক্তি, ১ এপ্রিল, ১৯৭৫ সালের আগে সিকিমে বসতি জমানো ভারতীয়দেরও — অর্থাৎ, সিকিম ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে যোগদানের আগে থেকে ওই রাজ্যে বসবাস শুরু করা ভারতীয়দেরও ‘সিকিমিজ’- হিসেবে গণ্য করতে হবে (যা বর্তমানে করা হয় না)। উপরন্তু, যে সকল সিকিমিজ মহিলা নন-সিকিমিজদের বিয়ে করেছেন, তাঁদেরও এই ছাড়ের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্য মুক্তি স্মার্টফোনেই! ডিজিটাল ভারতের প্রশংসায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    আদালতের রায় 

    এরপর সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে, ২০০৮ সালের ১ এপ্রিলের পরে অ-সিকিমি পুরুষদের সঙ্গে বিবাহিত সিকিমিজ মহিলাদের কর ছাড় অস্বীকার করা সত্যিই বৈষম্যমূলক, অবিলম্বে তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত। আদালত তরফে জানানো হয়েছে আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত, এই ব্যক্তিদের ১০(২৬ এএএ) ধারার অধীনে কর ছাড় দেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    দশম পরিচ্ছেদ

    সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে

    গাড়ি চলিতে লাগিল। ইংরেজটোলা। সুন্দর রাজপথ। পথের দুইদিকে সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা। পূর্ণচন্দ্র উঠিয়াছে, অট্টালিকা যেন বিমল শীতল চন্দ্রকিরণে বিশ্রাম করিতেছেন। দ্বারদেশে বাষ্পীয় দীপ, কক্ষমধ্যে দীপমালা, স্থানে স্থানে হার্মোনিয়াম, পিয়ানো সংযোগে ইংরেজ মহিলারা গান করিতেছেন। ঠাকুর আনন্দ হাস্য করিতে করিতে যাইতেছেন। হঠাৎ বলিলেন (Kathamrita), আমার জলতৃষ্ণ পাচ্ছে; কী হবে? কি করা যায়! নন্দলাল ইন্ডিয়া ক্লাবের নিকট গাড়ি থামাইয়া উপরে জল আনিতে গেলেন, কাচের গ্লাসে করিয়া জল আনিলেন। ঠাকুর সহাস্যে জিজ্ঞাসা করিলেন, গ্লাসটি ধোয়া তো? নন্দলাল বললেন, হাঁ। ঠাকুর (Ramakrishna) সেই গ্লাসে জলপান করিলেন।

    বালকের স্বভাব। গাড়ি চালাইয়া দিলে ঠাকুর মুখ বাড়াইয়া লোকজন গাড়ি-ঘোড়া চাঁদের আলো দেখিতেছেন। সকল তাতেই আনন্দ।

    নন্দলাল কলুটোলায় নামিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) গাড়ি সিমুলিয়া স্ট্রীটে শ্রীযুক্ত সুরেশ মিত্রের বাড়িতে আসিয়া লাগিল। ঠাকুর তাঁহাকে সুরেন্দ্র বলিতেন। সুরেন্দ্র ঠাকুরের পরম ভক্ত।

    কিন্তু সুরেন্দ্র বাড়িতে নাই। তাঁহাদের নূতন বাগানে গিয়াছেন। বাড়ির লোকেরা বসিতে নিচের ঘর খুলিয়া দিলেন। গাড়িভাড়া দিতে হবে। কে দিবে? সুরেন্দ্র থাকিলে সেই দিত। ঠাকুর একজন ভক্তকে বলিলেন, ভাড়াটা মেয়েদের কাছে থেকে চেয়ে নে না। ওরা কি জানে না, ওদের ভাতাররা যায় আসে। (সকলের হাস্য)

    নরেন্দ্র পাড়াতেই থাকেন। ঠাকুর (Ramakrishna) নরেন্দ্রকে ডাকিতে পাঠাইলেন। এদিকে বাড়ির লোকেরা দোতলার ঘরে ঠাকুরকে বসাইলেন (Kathamrita)। ঘরের মেঝেতে চাদর পাতা, দু-চারটে তাকিয়া তার উপর; কক্ষ-প্রাচীরে সুরেন্দ্রের বিশেষ যত্নে প্রস্তুত ছবি (oil painting) যাহাতে কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়। আর বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব ইত্যাদি সম্প্রদায়ের সমন্বয়।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতির (Electoral Bonds Scheme) খোঁজে তদন্তে সিট গঠনের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এর আগে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করেছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

    কী জানিয়েছে শীর্ষ আদালত?  

    এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds Scheme) সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুবিধে পাওয়ার জন্য বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। তাই নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তার তদন্ত হোক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে এবার শীর্ষ আদলত বলেছে, ”নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া এবং নেওয়ার সময় তা ‘কুইড প্রো কো’ (কোনও কিছুর বিনিময়ে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া) বা ‘ক্ষতিকারক’ ছিল কি না, তা নিয়ে এখন তদন্ত হতে পারে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।”   

    আরও পড়ুন: ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    এর আগে কী হয়েছিল? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে বন্ড (Electoral Bonds Scheme) কেনাবেচা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়, মূলত তিন ধরনের লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রথমত, কাজের বরাত, লাইসেন্স, কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য অনুদান। এই সব কাজের বরাতের মূল্য অনেক ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। দ্বিতীয়ত, ইডি, আয়কর দফতর বা সিবিআইয়ের অভিযানের ঠিক আগে বন্ডে অনুদান দিয়েছে অনেক সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে অনুদানের বিনিময়ে ড্রাগ কন্ট্রোলারের মতো সংস্থা উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের কাজ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়ত, সংস্থার পক্ষে অনুকূল নীতি তৈরির জন্য বন্ডে অনুদান দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। ফলে এই সমস্ত অভিযোগের ভত্তিতেই সিট গঠনের আবেদন জানিয়েছিল ওই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে, এদিন মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Factory in Bengal: বেকারত্বের করুণ ছবি! বাংলার ২১ লাখ শ্রমিক কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে

    Factory in Bengal: বেকারত্বের করুণ ছবি! বাংলার ২১ লাখ শ্রমিক কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমল থেকেই রাজ্যের মানুষের একটা বড় প্রশ্ন ছিল, শিল্প-কলকারখানা (Factory in Bengal) কোথায়? কোথায় বিনিয়োগ? কোথায় কাজ? রাজ্যের শিক্ষিত বেকারদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান কবে হবে? উত্তর আর সামধান, কোনওটাই জোটেনি এই রাজ্যের মানুষের কপালে। বাম রাজত্বের পতনে মিলেছে শুধু বিরাট ঋণের বোঝা। রাজ্যে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পর শাসক বদলে গেলেও বেকারত্বের (Unemploymen) হার কমেনি, বরং দিন দিন বেড়েছে। মানুষ পেটের দায়ে অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হয়েছে। করোনার অতিমারির সময় সারা দেশে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি ছিল। এই নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাক্যবাণে শোরগোল পড়েছিল।

    বেকারত্ব নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন-উত্তর (Factory in Bengal)

    রাজ্যে মা-মাটি সরকারের আমলে একাধিকবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হলেও দেখা যায়নি কোনও আশার আলো। সম্প্রতি তারাতলায় ব্রিটানিয়ার কারখানা (Factory in Bengal) বন্ধ হওয়ায় কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীদের আরও তোপের মুখে পড়তে হয় মমতার সরকারকে। রাজ্যের বিধানসভায় সম্প্রতি আইএসএফ বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে কতগুলি কলকাখানা বন্ধ আছে, কত শ্রমিক বর্তমানে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? এরপর যা তথ্য উঠে এল, তাতে ‘এগিয়ে বাংলা’ কতটা বলা যায়, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

    রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যেই ভয়বহ অবস্থা (Factory in Bengal)

    বিধানসভায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “২০২২-২৩ সালে রাজ্যে মোট ১৭১টি কারখানা (Factory in Bengal) বন্ধ ছিল, আর ২০২৩-২৪ সালে অর্থাৎ বর্তমানে রাজ্যের ১৬৯টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। ভিন রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক রূপে কাজ করছেন মোট ২১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৩৭ জন শ্রমিক। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যায় কাজ করছেন মহারাষ্ট্রে।” মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “কেরলের ধসের ঘটনায় রাজ্য থেকে যাওয়া ২৪২ জন শ্রমিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। সব তথ্য সরকারের দফতরে জমা রয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    রাজ্য সরকার উত্তর দেয়নি

    রাজ্যের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “২১ লক্ষের বেশি এই শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র এক বছরে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালে কলকারখানা (Factory in Bengal) নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজ্যের মা মাটি সরকার কোনও উত্তর দেয়নি। ওয়েনাড়ে কর্মরত বাংলার অনেক শ্রমিক (Unemploymen) এখনও আটকে রয়েছেন। এখনও সবার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ করতে পারেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev-Hiran: ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    Dev-Hiran: ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Dev-Hiran)। এবার এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ দেবকে নোটিশ দিল উচ্চ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক স্পষ্ট করে নির্দেশ দেন, ঘাটাল কেন্দ্রে ভোটের সমস্ত কাগজপত্র, বৈদ্যুতিন নথি এবং ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী ৬ অগাস্ট হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ‘খুল্লম-খুল্লা ছাপ্পাদাবি হিরণের (Dev-Hiran)

    ভোটের দিন থেকেই ছাপ্পা-কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Dev-Hiran)। তিনি এই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবিও তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচনের দিন কেশপুরে ‘লুঙ্গি ড্যান্স’ করে রাজ্য প্রশাসনের সাহায্যে গণতন্ত্রকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। এখানকার ৭১ ও ৭৪ বুথের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল কীভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। কমিশনের পর্যবেক্ষক বা রিটার্নিং অফিসাররা কেউ আমার অভিযোগ শোনেননি। কেশপুরে ২০০ বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেয়নি শাসক দলের গুন্ডারা। খুল্লাম-খুল্লা ছাপ্পা মেরেছে।” হিরণের (Dev-Hiran) মামলায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    রেখা পাত্রও হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন

    হিরণ একা নন। এর আগে, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে হিরণের (Dev-Hiran) মতো আগেই ইলেকশন পিটিশেন দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূল ব্যাপক ছাপ্পা এবং কারচুপি করেছে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও (Calcutta High Court) ইভিএম, ব্যালট, সিসিটিভি, ডিভিআর এবং নির্বাচনী সমস্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কোচবিহারের পরাজিত প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক, আরামবাগে পরাজিত অরূপকান্তি দিগার এবং ডায়মন্ডহারবারের পরাজিত অভিজিৎ দাস ববি, প্রত্যেকে মামলা দায়ের করেছেন হাইকোর্টে। প্রত্যেক বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ ফলাফলে কারচুপি করেছে তৃণমূল।

    আরও পড়ুনঃ অভিষেকের কেন্দ্রে ভোট লুট নিয়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর, করলেন আরটিআই

    অভিষেকের কেন্দ্রে আরটিআই শুভেন্দুর

    অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৭ লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। বিজেপি এনিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে। এই কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ ভোটের ছাপ্পা হয় বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার কাজে যে সকল পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার এবং কাউন্টিং স্টাফ যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলের নাম, পরিচয় প্রকাশের দাবিতে আরটিআই দাখিল করেছেন তিনি। নাম প্রকাশ্যে আসলেও ছবি আরও স্পষ্ট হবে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা হয়, ঠিক সেইভাবেই জামাত ও ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাতে-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, ঠিক এই ভাবেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ইতিমধ্যে সেই দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, জামাত শিবিরের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ইসালামি জেহাদি সংগঠন আল-কায়দার যোগসূত্র থাকার চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত প্রকাশ্যে এনেছে।

    কী বললেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)?

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি নোটিশ দিয়ে এই দুই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “জামাত (Jamaat-e-Islami) ও ছাত্র শিবিরকে এখন থেকে জঙ্গি সংগঠন ধরেই মোকাবিলা করতে হবে। আমি নিশ্চিত, নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এরা আত্মগোপনে করবে এবং নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজ করবে। এতদিন রাজনৈতিক ভাবে জামাতের মোকাবিলার পথ চলেছিল। এখন আর উপায় নেই। এই বিপুল পরিমাণে প্রাণহানি এবং নাশকতার তদন্তে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে সাহায্য চাইব।”

    নির্বাচন কমিশন আগেই জামাতকে অবৈধ বলেছে

    প্রায় অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি একাধিক সময়ে আন্দোলন করে দাবি তুলেছেন যে, জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টেও আইনি লড়াইও চলছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ হিসেব স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতে ইসলামিকে অবৈধ ঘোষণা করে সেদেশের নির্বাচন কমিশন। এবার, সেই দেশের সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে পাকিস্তানি সেনাদের সহচর জামাতে ইসলামিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকার।

    আরও পড়ুনঃ অশান্তির জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জামাত, বড় সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার

    পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল

    সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী আন্দোলনে, সাধারণ ছাত্রদের ঢাল করে দেশব্যাপি সন্ত্রাস, প্রাণহানি, লুটপাট, ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির জন্য জামাতে ইসলামি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বড় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোয়েন্দারা দাবি করেন, গত তিন মাসে রাজশাহি, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, ফেনি, ফরিদপুর থেকে অন্তত পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। দাহ্য, তেল, বিস্ফোরক, দেশি অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। বাগমারা এলাকা থেকে প্রশিক্ষিত নিষিদ্ধ জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। জেএমবি সরাসরি আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত। আন্দোলনের নামে বড়সড় নাশকতামূলক ছক করেছিল এই জামাত শিবির। তাই কড়া হাতে দমনের পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digitalisation: ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্য মুক্তি স্মার্টফোনেই! ডিজিটাল ভারতের প্রশংসায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    Digitalisation: ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্য মুক্তি স্মার্টফোনেই! ডিজিটাল ভারতের প্রশংসায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহার করেই দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভ! এও আবার সম্ভব নাকি? হ্যাঁ, গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে ভারত ৮০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য (India poverty) থেকে বের করে এনেছে “শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে”। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা (UNGA)-র ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের মুখে শোনা গেল এমনই বার্তা।

    ডেনিস ফ্রান্সিসের মন্তব্য 

    নিজের বক্তব্য পেশ করার সময়ে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation) নিয়ে ভারতের কাজের তুমুল প্রশংসা করেন ডেনিস ফ্রান্সিস। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বিভিন্ন গ্রামে যাঁদের আগে ব্যাঙ্কিং পেমেন্ট সিস্টেমে অ্যাক্সেস ছিল না তাঁরা এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতে ডিজিটালাইজেশন নিয়ে যেভাবে কাজ হচ্ছে তাতে, গত ৫-৬ বছরে ৮০ কোটি নাগরিক দরিদ্রসীমা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    কীভাবে ঘটল দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভ? (India poverty)  

    কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডিজিটালাইজেশনের (Digitalisation) উপর জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। গত এক দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম ফোকাস এর উপরে রয়েছে। দেশে ইদানিং ডিজিটাল পেমেন্টও অনেকটাই বেড়েছে— ইউপিআই পেমেন্টেও জোয়ার এসেছে। ডেনিসের মতে, ভারতে ইন্টারনেট সহজলভ্য, সেই কারণেই এমন লাভ পেয়েছে ভারত। ডেনিস আরও বলেন, ”ভারতের গ্রামীণ ক্ষেত্রের কৃষকরা, যাঁদের এতদিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ ছিল  না, তাঁরাও এখন যাবতীয় লেনদেন স্মার্টফোনে করছেন। নিজেদের খরচ মেটাচ্ছেন, আবার নিজের অর্ডারও ওই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই পাচ্ছেন। কিন্তু, এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ-এর অধিকাংশ এলাকাতেই নেই।” 

    আরও পড়ুন: ”আগের সরকারের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে,” আদিত্যনাথ

    নোটবন্দির পর থেকেই দেশে ডিজিটাল পেমেন্টে জোয়ার

    প্রসঙ্গত, গত ১০ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation­)। ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেনে অগ্রগতি আসে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জন ধন, আধার এবং মোবাইল— সংক্ষেপে ‘জ্যাম’ (JAM) উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উদ্যোগের অধীনে, ভারতের বহু গ্রামের লক্ষ লক্ষ লোক তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে আধারের সঙ্গে যুক্ত করার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতেও সুবিধা হচ্ছে তাঁদের। এসব কারণেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্যমুক্তি ঘটেছে গত কয়েক বছরেই।   
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pingali Venkayya: জাতীয় পতাকার রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্মদিন

    Pingali Venkayya: জাতীয় পতাকার রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্মদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya) নামটা হয়ত অনেকের কাছেই অপরিচিত। তিনি ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তবে, তার চেয়েও বড় কথা, তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় পতাকার (National Flag) একজন রূপকার। তিনি মুক্ত ও স্বাধীন ভারত চেতনার সমর্থক ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি একজন কৃষিবিদ, ভাষাবিদ এবং ভূতাত্ত্বিক ছিলেন। গান্ধীবাদী মতাদর্শে দীক্ষিত পিঙ্গালি পরাধীন ভারতে সক্রিয়ভাবে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। আজ আমরা যে জাতীয় পতাকা দেখি, তা ছিল তাঁরই তৈরি করা নকশা। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই, ভারতের গণপরিষদ এই নকশা গ্রহণ করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    জন্ম ও পড়াশুনা (Pingali Venkayya)

    ১৮৭৬ ​​সালের ২ অগাস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya)। তেলুগু, হিন্দি, উর্দু, বাংলা, তামিল, ইংরেজি এবং জাপানির মতো অনেক ভাষা জানতেন তিনি। স্বদেশি পোশাক এবং বস্ত্র ব্যবহারের উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবার নাম হনুমন্ত রাও এবং মা ছিলেন রুক্মিনাম্মা। তিনি মাছিলিপত্তনমের স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব ডিগ্রি লাভ করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের আগে তিনি শিক্ষক, ভূতত্ত্ববিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ভেঙ্কায়া (Pingali Venkayya) আফ্রিকায় অ্যাংলো বোয়ার যুদ্ধের সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গান্ধীবাদী নীতিতে দৃঢ় বিশ্বাসী এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন তিনি। বিজয়ওয়াড়ায় পতাকার বিভিন্ন নকশার সঙ্গে তাঁর নকশাটিও দেখান। এরপর একটি জাতীয় পতাকার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে, গান্ধীজি ভেঙ্কাইয়াকে ১৯২১ সালে জাতীয় কংগ্রেসের সভায় একটি নতুন পতাকার নকশা করতে বলেন।

    আরও পড়ুনঃআজ শ্রাবণ শিবরাত্রি, কীভাবে করবেন পুজো? কখন লাগছে তিথি?

    ২০০৯ স্ট্যাম্প জারি করেছিল ভারত সরকার

    প্রাথমিকভাবে, ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya) পতাকায় কমলা এবং সবুজ রঙের ব্যবহার করেছিলেন। পরে তার কেন্দ্রে একটি চরকা এবং তৃতীয় আরও একটি সাদা রঙ যোগ করেছিলেন। ১৯৩১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে এই পতাকাটি (National Flag) গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে তাঁঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে স্মরণ করে একটি স্ট্যাম্পও জারি করেছিল। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ২০১৪ সালে ভারতরত্ন নামের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করেছিল। ২০১৫ সালে, তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নায়ডু বিজয়ওয়াড়ার নাম পরিবর্তন করে ভেঙ্কাইয়া রাখেন এবং সেখানে তাঁর মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Wayanad Landslide: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে সংযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুট বেলি ব্রিজ নির্মাণ সেনার

    Wayanad Landslide: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে সংযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুট বেলি ব্রিজ নির্মাণ সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ের (Wayanad Landslide) পরিস্থিতি যেন সিকিমকেও টেক্কা দিল। ভূমিধসে বিপর্যস্ত অঞ্চলে যোগাযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুটের বেলি ব্রিজ তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। দক্ষিণ সিকিমের লোকান হ্রদে জলস্ফীতি এবং হড়পা বানের বিপর্যয়ের পর তিস্তা নদীর উপর ১৫০ ফুট দীর্ঘ বেলি ব্রিজ নির্মাণ করেছিল ভারতীয় সেনা এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। এবার কেরলের ওয়েনাড়ের বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ পৌঁছে দিতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিরাট সেতু তৈরি করল ভারতীয় সেনার (Indian Army) মাদ্রাজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ।

    চুড়ালমালা ও মুন্ডাক্কাইকে সংযোগ করবে বেলি ব্রিজ (Wayanad Landslide)

    ভারতীয় সেনার (Indian Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সেতুর মাধ্যমে বিকল্প পথে ভূমিধস কবলিত চুড়ালমালা (Wayanad Landslide) এবং মুন্ডাক্কাইয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করা যাবে। ইরুভঞ্জিপ্পুঝা নদীর উপর নির্মিত এই বেলি ব্রিজ উদ্ধারকাজে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, গত বছর সিকিমের ভূমিধসের বিপর্যয়ে সেনার ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কোর’-এর তৈরি ইস্পাতের অস্থায়ী সেতুও ভীষণভাবে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিল।

    ‘কমলা’ সতর্কতা জারি

    এদিকে, বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) যত উদ্ধার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তত যেন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৯০। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৩০০ অতিক্রম করে যাবে। যদিও, রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন ভূমিধসের কারণে ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে, এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ, সন্ধান না পাওয়া গেলে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর ওয়েনাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করেছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই জায়গায়। ফলে নতুন করে আবার চিন্তার ভাঁজ পড়ছে মানুষের কপালে।

    আরও পড়ুনঃ আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    কলকাতায়ও নির্মিত হয়েছিল বেলি ব্রিজ

    উল্লেখ্য, একটা সময় কলকাতা শহরের আপদকালীন পরিস্থিতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল বেলি ব্রিজ। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টম্বর মাঝেরহাট সেতু ভেঙে গেলে ৫ জনের মৃত্যু হয়। বিপর্যয়ের ফলে বেহালা, ঠাকুরপুকুর সহ দক্ষিণ শহরতলির একটা বড় অংশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ব্রিজের নিচে শিয়ালদা-বজবজ শাখার রেল লাইন থাকায় বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা যায়নি। সেই সময়, মাঝেরহাট স্টেশনের কাছে শিয়ালদা-বজবজ শাখার রেললাইন এবং চেতলা খালের উপর ইস্পাতের কাঠামো দিয়ে তৈরি একটি ১৬০ ফুটের দৈর্ঘ্যের অস্থায়ী বেলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এক প্রান্তে আলিপুর অ্যাভিনিউ এবং অন্যদিকে হুমায়ন কবীর সরণিকে যুক্ত করেছিল এই সেতু। একই ভাবে ২০১৯ সালে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশে ফাটল দেখা দিলে, লেক টাউনে কেষ্টপুর খালের উপরে আরও একটি বেলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। ১৪০ ফুট লম্বা এই সেতুটি ১০০ টন ভার বহনে সক্ষম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি জানিয়েছেন, আগের সরকারের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার (Crime rate in UP) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এদিন বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একজন কর্মী, অনগ্রসর শ্রেণির ১২ বছর বয়সি একটি মেয়েকে ধর্ষণে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বুঝতে পারছি না এই সব কী।” 

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য (Yogi Adityanath)

    এ প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ আরও বলেছেন, ”গতকালই হারদোইতে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধে ২৮টি মামলা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের অপরাধীদের শাস্তি না দিই, তাহলে কি গলায় মালা দেব? এইসব মানুষেরা সমাজের ব্যাধি। সমাজ থেকে এদের না সরালে উত্তরপ্রদেশের অবস্থার উন্নতি করা কঠিন হয়ে পড়বে।” 

    আরও পড়ুন: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য প্রকাশ (Crime rate in UP) 

    মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যের পরেই (Yogi Adityanath) ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ”২০১৬ সালে যখন রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সরকার ছিল, তার তুলনায় ২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ৮৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ৭৮.১৭ শতাংশ, খুনের ঘটনা ৪৩.২১ শতাংশ, দাঙ্গা ৬৭.৪২ শতাংশ এবং অপহরণের ঘটনা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।” এছাড়াও আদিত্যনাথ এদিন আরও জানান, নারীদের যৌতুকের হার ১৭.৪৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে ২৫.৩০ শতাংশ, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ১৬.৫৬ শতাংশ এবং অপহরণের ক্ষেত্রে ০.১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। 
    ফলে এ তথ্য আবারও প্রমাণ করল যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আসার পর থেকে সমগ্র রাজ্যে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের গর্বের অন্যতম কারণ।  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share