Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 208: “আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ কোথায়!”

    Ramakrishna 208: “আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ কোথায়!”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    মুক্তি ও ভক্তি—গোপীপ্রেম—গোপীরা মুক্তি চান নাই 

    “এই প্রেমাভক্তিতে দুটি জিনিস আছে। ‘অহংতা’ আর ‘মমতা’। যশোদা ভাবতেন, আমি না দেখলে গোপালকে কে দেখবে, তাহলে গোপালের অসুখ করবে। কৃষ্ণকে (Ramakrishna) ভগবান বলে যশোদার বোধ ছিল না। আর ‘মমতা’—আমার জ্ঞান, আমার গোপাল। উদ্ধব বললেন, ‘মা! তোমার কৃষ্ণ সাক্ষাৎ ভগবান, তিনি জগৎ চিন্তামণি। তিনি সামান্য নন।’ যশোদা বললেন (Kathamrita), ‘ওরে, তোদের চিন্তামণি নয়, আমার গোপাল কেমন আছে জিজ্ঞাসা করছি।—চিন্তামণি না, আমার গোপাল।’

    “গোপীদের কি নিষ্ঠা! মথুরায় দ্বারীকে অনেক কাকুতি-মিনতি করে সভায় ঢুকল। দ্বারী কৃষ্ণের কাছে তাদের লয়ে গেল। কিন্তু পাগড়ি-বাঁধা শ্রীকৃষ্ণকে দেখে তারা হেঁটমুখ হয়ে রইল। পরস্পর বলতে লাগল, ‘এ পাগড়ি-বাঁধা আবার কে! এঁর সঙ্গে আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ (Ramakrishna) কোথায়!’

    “দেখেছ, এদের কি নিষ্ঠা! বৃন্দাবনের ভাবই আলাদা। শুনেছি, দ্বারকার কাছে লোকেরা অর্জুনের কৃষ্ণকে পূজা করে। তারা রাধা চায় না।”

    গোপীদের নিষ্ঠা—জ্ঞানভক্তি ও প্রেমাভক্তি 

    ভক্ত—কোন্‌টি ভাল, জ্ঞানমিশ্রিতা ভক্তি, না প্রেমাভক্তি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরে খুব ভালবাসা না হলে প্রেমাভক্তি হয় না। আর ‘আমার’ জ্ঞান। তিন বন্ধু বন দিয়ে যাচ্ছে, বাঘ এসে উপস্থিত। একজন বললে, “ভাই! আমরা সব মারা গেলুম!” একজন বললে, “কেন? মারা যাব কেন? এর ঈশ্বরকে ডাকি।” আর-একজন বললে (Kathamrita), “না, তাঁকে আর কষ্ট দিয়ে কি হবে? এস, এই গাছে উঠে পড়ি।”

    “যে লোকটি বললে, ‘আমরা মারা গেলুম’, সে জানে না যে ঈশ্বর রক্ষাকর্তা আছেন। যে বললে, ‘এস, আমার ঈশ্বরকে (Ramakrishna) ডাকি’, সে জ্ঞানী; তার বোধ আছে যে, ইশ্বর সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় সব করেছেন। আর যে বললে (Kathamrita), ‘তাঁকে কষ্ট দিয়ে কি হবে, এস, গাছে উঠি,’ তার ভিতরে প্রেম জন্মেছে, ভালবাসা জন্মেছে। তা প্রেমের স্বভাবই এই—আপনাকে বড় মনে করে, আর প্রেমের পাত্রকে ছোট মনে করে। পাছে তার কষ্ট হয়। কেবল এই ইচ্ছা যে, যাকে সে ভালবাসে তার পায়ে কাঁটাটি পর্যন্ত না ফোটে।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) ও ভক্তদিগকে রাম উপরে লইয়া গিয়া নানাবিধ মিষ্টান্ন দিয়া সেবা করিলেন। ভক্তেরাও মহানন্দে প্রসাদ পাইলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JPC Chief Attacks Mamata: “কেবল সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টা”, ওয়াকফ বিল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা জগদম্বিকার

    JPC Chief Attacks Mamata: “কেবল সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টা”, ওয়াকফ বিল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা জগদম্বিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল সরকার কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এই বার্তা দিতে প্রস্তাব আনছে যে তারা পাশে রয়েছে। এটি সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টার বেশি কিছু নয়।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের (Waqf Bill) প্রস্তাবিত সংস্কার নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল (JPC Chief Attacks Mamata)।

    মমতা সরকারকে তোপ জগদম্বিকার

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে ‘অবজ্ঞা ও উপহাস’ করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত আপত্তিকর পদক্ষেপ এবং গণতন্ত্রের বৃহত্তম মন্দিরের (সংসদ) কর্তৃত্বকে ছোট করার শামিল।” জেপিসি চেয়ারম্যান (JPC Chief Attacks Mamata) বলেন, “যখন জেপিসি ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা করছে, তখন মমতা সরকার এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনছে। তারা এর মাধ্যমে কী প্রমাণ করতে চায়? তাদের কি সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা নেই?” প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বিলটি নিয়ে তাঁর মতামত দেওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে বিলটি জেপিসির বিবেচনাধীন। এই প্রস্তাব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

    কটাক্ষ কল্যাণকেও

    জেপিসি চেয়ারম্যান জগদম্বিকা (JPC Chief Attacks Mamata) তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন। উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য কল্যাণকে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায় নামাজ পড়বে, সেই জমি ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Bill) সম্পত্তি হয়ে যাবে। জনসমক্ষে বড় বড় কথা বলার পরিবর্তে তাঁর উচিত ছিল জেপিসি সভায় প্রস্তাব দেওয়া।”  

    আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    এদিকে, জেপিসি রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ওয়াকফ বোর্ডের ৪০ নম্বর ধারা ব্যবহার করে দাবি করা সম্পত্তির বিবরণ সরবরাহ করে তাদের। উল্লেখ্য, কোনও সম্পত্তি তাদের অধিকারভুক্ত কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ওয়াকফ বোর্ডকে দেয় ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা। এ প্রসঙ্গে জগদম্বিকা (JPC Chief Attacks Mamata) বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারগুলিকে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছি। প্রয়োজনে আমরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্য সচিব বা সংখ্যালঘু বিভাগের সচিবকে তলব করব (Waqf Bill)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • The Sabarmati Report: বিক্রান্ত মৈসী অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবি দেখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    The Sabarmati Report: বিক্রান্ত মৈসী অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবি দেখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রান্ত মৈসী অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ (The Sabarmati Report) সিনেমা দেখেলেন প্রধান নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Modi)। ২০০২ সালের গোধরা স্টেশনে সবরমতি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে করসেবকদের পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার উপর নির্মিত এই সিনেমার প্রশংসা গত মাসেই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মিথ্যাচার, অসত্য কথন এবং বিভ্রান্তির গুজবের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশিত হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। একই ভাবে সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতাদের ভালো কাজ বলে মূল্যায়ন করেছিলেন।

    ৫৯ জনকে পুড়িয়ে মেরেছিল মুসলিম দুষ্কৃতীরা (The Sabarmati Report)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Modi) সোমবার বিকাল ৪টায় সংসদ কমপ্লেক্সের লাইব্রেরিতে ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ দেখেছেন। এই সিনেমার মূল বিষয় হল, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, যেদিন গুজরাটের গোধরা স্টেশনে সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে ৫৯ জন শিশু, মহিলা এবং পুরুষদের নৃশংস ভাবে পুড়িয়ে মেরেছিল মুসলিম দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পনা করে ষড়যন্ত্র করে যে করা হয়েছিল, সেই সময়ে মূল ধারার সংবাদমাধ্যম তুলে ধরেনি। তাই সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা এবং সত্যকে চাপা দেওয়া বিষয়ের বিরুদ্ধে নির্মাণ করা হয়েছে সিনেমায়। এদিন মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত প্রকাশ নাড্ডা সহ আরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের আরও অনেক নেতারা। এই সিনেমার প্রযোজক হলেন একতা কাপুর, পরিচালক ধীরাজ সারনা এবং মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন বিক্রান্ত মৈসী, ঋদ্ধি ডোগরা।

    “মিথ্যা কথন বেশি দিন চলে না”

    এদিন সিনেমা দেখে মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মোদি বলেন, “এনডিএ জোটের সাংসদদের নিয়ে দ্য সবরমতি রিপোর্ট দেখালাম। আমি চলচ্চিত্র (The Sabarmati Report) নির্মাতাদের এই প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানাই। মিথ্যা কথন বেশি দিন চলে না, সত্যকে সাময়িক চাপা দেওয়া যায়, কিন্তু একদিন না একদিন উঠে আসবেই।” একই ভাবে অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী নিজের একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিনেমা দেখার বিষয়টি অত্যন্ত ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওখানে উপস্থিত ছিলেন। আমি কতটা আনন্দিত, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমার জীবনে মোদিজির সঙ্গে সিনেমা দেখার সুযোগ একটি বিরাট পাওনা। আমার ক্যারিয়ারের সব থেকে বড় প্রাপ্তি।” উল্লেখ্য গত ১৫ নেভেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমা। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, ওড়িশা, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে কর মুক্ত করা হয়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Vikrant Massey (@vikrantmassey)

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশজুড়ে গণহত্যা ও বিশেষত সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার মূল পরিকল্পনাকারী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।” অন্তত এমনই অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি নিউইয়র্কে আওয়ামি লিগের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি নিশানা করেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইউনূসকে। মন্দির, গির্জা এবং ইসকনের ওপর হামলার জন্য তিনি কাঠগড়ায় তোলেন ইউনূসকে।

    কী বললেন হাসিনা? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইউনূস ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাসিনার এহেন মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে। সেই সময় তিনি নিশানা করলেন ইউনূসকে। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান হাসিনা (Sheikh Hasina)। আশ্রয় নেন ভারতে। বলেন, “আজ আমায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাস্তবে, মহম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন।”

    গণহত্যা চাইনি

    তিনি বলেন, “আমার কট্টর বিরোধী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান লন্ডন থেকে বলেছেন যে, যদি মৃত্যুর ঘটনা চলতে থাকে তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশি দিন টিকবে না।” হাসিনা বলেন, “আমি কোনও গণহত্যা চাইনি। আমি যদি ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইতাম, তাহলে তা ঘটতে পারত।” তিনি বলেন, “যখন মানুষ নির্বিচারে মারা যাচ্ছিল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি চলে যাব, ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন নেই। যদি নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি চালাত, তাহলে গণভবনে অনেক মানুষ মারা যেত। আমি তা চাইনি।”

    আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদল সশস্ত্র লোক গণভবনে এসেছিল। আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যেভাবে আমার বাবা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই।” তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “২৫-৩০ মিনিটের মধ্যেই আমি দেশ ছেড়েছিলাম। আমার নিরাপত্তা কর্মীদের বলেছিলাম গুলি চালাবেন না (Muhammad Yunus)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মমতা

    Mamata Banerjee: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে নিপীড়িত হচ্ছেন হিন্দুরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যেহেতু একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের ঘটনা, তাই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

    বিধানসভা নির্বাচন (Mamata Banerjee)

    তবে ‘২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু, বাংলায় তারাই সংখ্যাগুরু, এবং তাদের ভোট প্রয়োজন, তাই শেষমেশ মুখ খুললেন তিনি। এবং দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বানও জানান তিনি। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি।

    মৌনব্রত ভঙ্গ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে হিন্দু নির্যাতন উঠেছে তুঙ্গে। সম্প্রতি ইসকনের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশে। তার পরেই মৌনব্রত ভঙ্গ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার…সম্পত্তি… এবং প্রিয়জনেরা বাংলাদেশে রয়েছে। এই বিষয়ে ভারত সরকারের যে কোনও অবস্থান আমরা মেনে নিই… কিন্তু আমরা পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় ধর্মীয় ভিত্তিতে হওয়া নির্যাতনের নিন্দা করি এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানাই।”

    আরও পড়ুন: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমি ইসকনের কলকাতা ইউনিটের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে সহানুভূতি ও সমর্থন জানিয়েছি।” তিনি বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়দের ওপর আক্রমণ করা হয়, তাহলে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা আমাদের মানুষদের ফিরিয়ে আনতে পারি… ভারত সরকার এই বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরতে পারে… যাতে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো যায়।”

    মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।” তিনি বলেন, “যখন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা ভুলবশতঃ ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করেছেন, বা যখন একটি বাংলাদেশি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল, তখন আমার সরকার তাঁদের উদ্ধার করেছে এবং ভালোভাবে তাঁদের যত্ন নিয়েছে (Mamata Banerjee)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান!” তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভায় সেন্টিল বালাজির (Senthil Balaji)  নিয়োগ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ক্যাশ-ফর-জবস কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থপাচারের মামলায় জামিন পাওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেন্টিলকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এমনতর মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।

    কী বললেন বিচারপতি? (Supreme Court)

    ২ ডিসেম্বর, সোমবার, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হচ্ছিল বালাজিকে জামিন দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য করা একটি আবেদনের। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বালাজির মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ সাক্ষীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শুনানির সময় বিচারপতি ওকা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান! যে কেউ মনে করবে যে, একজন সিনিয়র মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে এখন আপনার পদমর্যাদার কারণে সাক্ষীরা চাপে থাকবে। এটা কী চলছে?”

    কী বলছে বেঞ্চ?

    তবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা পূর্বের জামিন সংক্রান্ত রায়ে হস্তক্ষেপ করবে না। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। আদালত স্বীকার করে যে বালাজির নতুন পদমর্যাদা সাক্ষীদের ওপর অযথা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি পূর্ববর্তী রায়ের সারমর্ম পুনর্বিবেচনা করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে বালাজির জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও অর্থপাচার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কোর্ট তাঁর দীর্ঘ কারাবাস এবং দ্রুত বিচার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই দেখে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘কলকাতার এক দিনের ময়লা ফেলে এলেই চাপা পড়ে যাবেন’’, ইউনূসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বালাজির দ্রুত রাজনৈতিক নিয়োগের কারণে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র তিন দিন পর, ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের প্রশাসনে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন। তিনি বিদ্যুৎ, অপ্রচলিত জ্বালানি উন্নয়ন, এবং মদ্যনিষেধ ও আবগারি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এই দ্রুত উন্নতি বালাজির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এমন নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আপাতত মামলায় কোনও নোটিশ জারি করছে না। তবে বালাজির আইনজীবীদের নির্দেশ পাওয়ার জন্য (Senthil Balaji) সময় চেয়েছে। মামলাটি পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela: কুম্ভের আগে যোগীর বড় ঘোষণা, প্রয়াগরাজ ভেঙে তৈরি হল নতুন জেলা ‘মহাকুম্ভ মেলা’

    Maha Kumbh Mela: কুম্ভের আগে যোগীর বড় ঘোষণা, প্রয়াগরাজ ভেঙে তৈরি হল নতুন জেলা ‘মহাকুম্ভ মেলা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ মেলার (Maha Kumbh Mela) আগে যোগী প্রশাসনের বড় ঘোষণা। প্রয়াগরাজ (Prayagraj) ভেঙে তার অধীনে থাকা ৬৭টি গ্রাম নিয়ে উত্তরপ্রদেশের নতুন জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হতে চলেছে। এবার মেলায় ৪০ কোটি ভক্তদের সমাগম হবে বলে যোগী সরকার আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে মেলার স্নানকে সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ এবং ঝঞ্ঝাট মুক্ত করতে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

    মেলা আধিকারিকই এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (Maha Kumbh Mela)

    রবিবার উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করে এই নতুন জেলা ঘোষণার কথা জানিয়েছে। নতুন জেলার নাম রাখা হয়েছে ‘মহাকুম্ভ মেলা’। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা (Prayagraj) আয়োজনের জন্য মেলা অঞ্চলকে নিয়ে নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠ ভাবে মেলার আয়োজনের জন্য এই নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। নতুন জেলায় জেলা শাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং কার্যনির্বাহী জেলাশাসক (এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মেলা আধিকারিক। উত্তরপ্রদেশ প্রয়াগরাজ মেলা পর্ষদ আইন, ২০১৭ অনুসারে মেলা আধিকারিক হলেন রাজ্য সরকার নিযুক্ত কোনও আধিকারিক। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তিনি মেলার সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করেন।”

    জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬

    রবিবার প্রয়াগরাজের (Prayagraj) জেলা শাসক রবীন্দ্রকুমার মন্দড় এক নির্দেশিকা জারি করে বলেন, “মহাকুম্ভ মেলা জেলা (Maha Kumbh Mela) গঠনের পর উত্তরপ্রদেশে জেলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬। প্রয়াগরাজের চারটি মহকুমার মোট ৬৭টি গ্রাম নিয়ে এই জেলা গঠিত হয়েছে। সরকারের নির্দেশিকায় দেখা গিয়েছে, সদর মহকুমার ২৫টি গ্রাম, সোঁরাও মহকুমার তিনটি গ্রাম, ফলপুর মহকুমার ২০টি গ্রাম এবং করছনা মহাকুমার ১৯টি গ্রাম থাকছে নতুন জেলার মধ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    ডিসেম্বরে পরিদর্শনে আসবেন মোদি

    প্রতি ৬ বছর অন্তর কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালে ছিল অর্ধকুম্ভ মেলা। অবশ্য ২০১৩ সালে ছিল পূর্ণকুম্ভ মেলা। এবার ১২ বছর পর ফের পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতি ১২টি পূর্ণকুম্ভের পর আসে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela)। আগামী বছরের কুম্ভমেলা পূর্ণকম্ভের সঙ্গেই হতে চলেছে মহাকুম্ভ মেলাও।  আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলার প্রস্তুতি ঘিরে এখন থেকেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের ব্যস্ততা ব্যপক তুঙ্গে। নিরাপত্তা আরও ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে সব জায়গায়। মেলার প্রস্তুতি (Prayagraj) দেখতে ডিসেম্বরে পরিদর্শন করতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjauli Mosque Row: শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদের তিনটি অবৈধ তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ আদালতের

    Sanjauli Mosque Row: শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদের তিনটি অবৈধ তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদের তিনটি অবৈধ তলা ভেঙে ফেলার (Sanjauli Mosque Row) নির্দেশ দিল জেলা আদালত (Shimla District Court)। এই বিতর্কের সূত্রপাত কিছুদিন আগে। জানা গিয়েছে, সঞ্জৌলি মসজিদ কমিটি অবৈধভাবে তিনটি অতিরিক্ত তলা নির্মাণ করেছে। পুরসভার আইন ভঙ্গ করেই এটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ (Sanjauli Mosque Row)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বারংবার অভিযোগের পরেও রাজ্য প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। যার জেরে অবৈধ এই কাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রশাসনের এই উদাসীনতা জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে হিন্দুদের মধ্যে, যারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে তারা আইনের শাসনের চেয়ে আপোসের রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিতর্কের জল গড়ায় শিমলা জেলা আদালত পর্যন্ত (Shimla District Court)। আদালত সাফ জানিয়ে দেয় পুরসভার নির্দেশ মেনে অবৈধ কাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে। মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত জানিয়ে দেয়, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আদালত এও বলেছে, আইনের শাসন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। কোনও অবস্থায়ই অবৈধ নির্মাণকাজ মেনে নেওয়া হবে না।

    মসজিদের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার দাবি

    সঞ্জৌলি মসজিদের (Sanjauli Mosque Row) তিনটি তলা আইন না মেনে নির্মিত হয়েছে বলে অভিযোগ। মসজিদের অবৈধ ওই অংশ ভেঙে ফেলার দাবি তোলেন স্থানীয় হিন্দুরা। সেপ্টেম্বর মাসে এ নিয়ে শিমলা আদালতে একটি আবেদন জমা দেয় ওয়াকফ বোর্ড। তারা জানায়, সঞ্জৌলি মসজিদের ওই জমির মালিক মসজিদ কমিটি। মুসলিম পক্ষ মসজিদের অনুমোদনহীন অংশ ভেঙে ফেলতে রাজি হয়েছিল আগেই। তারা নিজেরাই সেই অংশ ভেঙে ফেলতে চেয়েছিল। হিন্দুদের দাবি ছিল, বুলডোজার নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুপক্ষের এই দাবি-পাল্টা দাবির প্রেক্ষিতে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    আরও পড়ুন: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    তার পরে পরেই মসজিদের ইমাম ও ওয়াকফ বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিটি পুরসভার কমিশনার ভূপেন্দ্র আত্রির কাছে একটি প্রস্তাব জমা দেন। সেই সময় কমিটির সদস্য মুফতি মহম্মদ শফি কাসামি বলেছিলেন, “আমরা শিমলা মিউনিসিপ্যাল কমিশনারের কাছে সঞ্জৌলিতে অবস্থিত মসজিদের অননুমোদিত অংশ ভেঙে ফেলার অনুমতি চেয়েছি।” পরে আদালতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আবেদন করে (Sanjauli Mosque Row) মসজিদ কমিটি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত (Shimla District Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Vikrant Massey: আসছিল লাগাতার হুমকি, টার্গেট ৯ মাসের সন্তানকেও! অভিনয়কে বিদায় বিক্রান্ত মৈসীর

    Vikrant Massey: আসছিল লাগাতার হুমকি, টার্গেট ৯ মাসের সন্তানকেও! অভিনয়কে বিদায় বিক্রান্ত মৈসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রান্ত মৈসী (Vikrant Massey) এবং তাঁর স্ত্রী শীতল ঠাকুর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ প্রথম নবজাতকের পিতৃত্ব এবং মাতৃত্ব লাভ করেছিলেন। সম্প্রতি এই বলিউড অভিনেতা ‘সবরমতি রিপোর্ট’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। সেখানে কীভাবে রামভক্ত কর সেবককের পুড়িয়ে মারা হয়, তার বিশ্লেষণ হয়েছে। তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে মূল ধারার সাংবাদ মাধ্যমকেও। ঠিক পরে পরেই অভিনেতা এবং তাঁর সন্তানকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপর নিজে থেকেই সিনেমা থেকে অবসর (Vikrant Massey Quits Acting) নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিক্রান্ত। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    নিরাপত্তার জন্য আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে

    বিক্রান্ত মৈসী (Vikrant Massey) নিজে একাধিক বার ছেলে বরদানের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ রয়েছেন। একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যম এবং হোয়াটঅ্যাপে ছেলেকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি মাত্র ৯ মাস আগে সন্তানের বাবা হয়েছি। যে কীনা এখনও চলতে শেখেনি, কিন্তু তাকেও জড়িয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওর নিরাপত্তার জন্য আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আমরা কেমন সমাজে বসবাস করছি ভাবতেই অবাক লাগছে। কিন্তু আমি সিনেমা নিয়ে ভীত (Vikrant Massey Quits Acting) নই। ভয় পেলে সিনেমা মুক্তি পেত না।”

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Vikrant Massey (@vikrantmassey)

    সামজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

    বলিউড অভিনেতা বিক্রান্তের (Vikrant Massey) একাধিক সিনেমা দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অভিনয় ছাড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, “২০২৫ সাল আসছে, আমরা একে অপরের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করব। আমার শেষ দুটি সিনেমা অনেক বছরের স্মৃতি হয়ে কাজ করবে। আমি বাড়িতে ফিরে যেতে চাই একজন স্বামী, বাবা এবং পুত্র হিসেবে। আমার যা অর্জন সব দর্শকদের জন্য। আমি সবার কাছে বিশেষ ভাবে ঋণী।”

    “বলিউডে আপনার অভিনয় আরও প্রয়োজন”

    তবে সামাজিক মাধ্যমে এই অভিনেতার (Vikrant Massey) পোস্টকে ঘিরে দর্শক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেউ বলছেন ‘ছোট বিরতি’। অপর আরেকজন লিখেছেন, “হঠাৎ? সবকিছু ঠিক আছে তো? ভক্তদের কাছে খুবই আশ্চর্য জনক বিষয়। আমরা আপনার অভিনয়, সিনেমাকে খুব পছন্দ করি। ইতিমধ্যেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো এক অভিনেতাকে আমরা হারিয়েছি। বলিউডে আপনার অভিনয় আরও প্রয়োজন।” আবার আরও এক ভক্ত লিখেছেন, “আরও শক্তিশালী হয়ে আবার ফিরে আসুন অভিনয়ের ময়দানে (Vikrant Massey Quits Acting)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করে মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে জায়গা দিতে ভারতের ইতিহাস (Indian History) বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ভাষণ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি ইতিহাস বই বিকৃত করার অভিযোগ করেন।

    কী বললেন ধনখড়? (Jagdeep Dhankhar)

    তিনি বলেন, “ভারতের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এই দাবি করার জন্য একচেটিয়া জায়গা দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁরাই ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রেখেছেন।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি সম্পর্কে মানুষকে খুব ভিন্নভাবে শেখানো হয়েছে। ইতিহাস বই আমাদের আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করেছে। আমাদের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল, এবং এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে একচেটিয়া স্থান দেওয়া হয়েছে যারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের কৃতিত্ব পেয়েছে। এটা আমাদের বিবেকের ওপর একটি অসহনীয় ব্যথা। এটা আমাদের আত্মা ও হৃদয়ের ওপর একটি বোঝা।”

    বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ

    তিনি ভারতের ঐতিহাসিক বিবরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আহ্বানও জানান। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আমাদের ইতিহাস বইগুলো রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।” রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংকে তিনি একজন স্বাভাবিক কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, দূরদর্শী ও জাতীয়তাবাদী হিসেবে অভিহিত করেন। এই অবহেলাকে ‘ন্যায়বিচারের প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছেন উপরাষ্ট্রপতি। ইতিহাসের ভুল উপস্থাপনাকে সংশোধন করার গুরুত্বও এদিনের বক্তৃতায় তুলে ধরেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপনকারী ব্যক্তিদের যাতে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তাই এটা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ন্যায়বিচারের প্রতি অবিচার, কী ট্র্যাজেডি। আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে, আমরা ব্যর্থ হয়েছি—ভয়ানকভাবে ব্যর্থ হয়েছি—রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের মতো মহান মানুষের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকার করতে। আমাদের ইতিহাস তাঁকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তিগুলি, যেগুলি তাঁর মতো মানুষদের এবং অন্যান্য অবহেলিত বা কম পরিচিত বীরদের সর্বোচ্চ ত্যাগের (Indian History) ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share