Tag: news in bengali

news in bengali

  • PM Modi: এক্স হ্যান্ডেলে রেকর্ড, মোদির অনুগামীর সংখ্যা ছাড়াল ১০ কোটির চৌকাঠ

    PM Modi: এক্স হ্যান্ডেলে রেকর্ড, মোদির অনুগামীর সংখ্যা ছাড়াল ১০ কোটির চৌকাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক্স হ্যান্ডেলে রেকর্ড গড়ে ফেললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে (World Leader)। তিনি বিশ্বের জনপ্রিয়তম নেতাও। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটির চৌকাঠ। এই মাধ্যমে অন্য ভারতীয় নেতাদের চেয়েও বেশ কয়েকগুণ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে অনুগামীর সংখ্যার নিরিখে ভারতের অন্য নেতারা যখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন, তখন রীতিমতো দৌড়চ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ক্স হ্যান্ডেলে কে কোথায় দাঁড়িয়ে (PM Modi)

    এক্স হ্যান্ডেলে লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর অনুগামীর সংখ্যা ২.৬৪ কোটি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রয়েছে ২.৭৫ কোটি অনুগামী। এর পরেই রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১.৯৯ কোটি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর অবস্থা আরও করুণ। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা মাত্রই ৭৪ লক্ষ। এক্স হ্যান্ডেলে অনুগামীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) স্বয়ং। লিখেছেন, “এক্স হ্যান্ডেলে ১০০ মিলিয়ন ফলোয়ার্স! ভাইব্র্যান্ট এই মিডিয়ায় আলোচনা চলতেই থাকুক, বিতর্ক চলতে থাকুক, চলতে থাকুক অন্তর্দৃষ্টি, চলতে থাকুক গঠনমূলক সমালোচনাও। ভবিষ্যতে এই মাধ্যমে আরও বেশি সময় দেব।”

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মোদী ফেনোমেনায় মজেছে এক্স হ্যান্ডেল। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা। মোদিজি ১০০ মিলিয়ন ফলোয়ার্সের গণ্ডি পার করেছেন।” তিনি বলেন, “মোদিজি অপ্রতিরোধ্য। তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা (World Leader) জনপ্রিয় নেতা।”

    আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী হামলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হতে পারে রিপাবলিকানদের ‘ট্রাম্প কার্ড’

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা  জেপি নাড্ডা লিখেছেন, “এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর অনুগামীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছুঁয়েছে। এই প্রাপ্তি একটা দলিল। মানুষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।  তিনিই বিশ্বের প্রথম নেতা, যিনি এই বেঞ্চমার্ক ছুঁলেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, যার জন্য গোটা বিশ্বকে আজ ভারত গুরুত্ব দিচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: প্রাণঘাতী হামলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হতে পারে রিপাবলিকানদের ‘ট্রাম্প কার্ড’

    Donald Trump: প্রাণঘাতী হামলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হতে পারে রিপাবলিকানদের ‘ট্রাম্প কার্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা আসন্ন নির্বাচনে (US Presidential Election) প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। পেনসিলভেনিয়ায় আয়োজিত রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পকে যে গুলি করে মারতে চেয়েছিল, বছর কুড়ির সেই টমাস ম্যাথিউ ক্রুকসকে গুলি করে হত্যা করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস টিমের সদস্যরা।

    অকুতোভয় ট্রাম্প

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় পরপর তিনটি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, সিক্রেট সার্ভিস বাহিনীর সদস্যরা ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন। কান থেকে ঝরঝর করে পড়ছে রক্ত। ট্রাম্প কিন্তু অকুতোভয়। চলতি বছরের নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। তার আগে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছে ট্রাম্পের দল। প্রচার করছে জো বাইডেনের দলও। তবে প্রচারসভায় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি এবং তার পর তাঁর ভাইরাল হওয়া অকুতোভয়ের ছবিই নির্বাচনী ময়দানে ট্রাম্পকে মাইলেজ দেবে বলেই আশাবাদী রিপাবলিকানরা। ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে যখন গুলি ছোড়া হয়, তখন ট্রাম্পের (Donald Trump) পেছনে ঝুলছিল আমেরিকার জাতীয় পতাকা। ট্রাম্পের গায়ে চিনা টি-শার্ট। ট্রাম্পের মুষ্ঠিবদ্ধ হাত ওপরে তোলা। কান দিয়ে রক্ত পড়েই চলেছে।  

    লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প

    এই ছবিই ভাইরাল করছেন তাঁর দলের সদস্যরাও। রিপাবলিকানরা তো বটেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য দলের নেতারাও ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। বাবার বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্পের ছেলেরাও। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রাম্পের ছেলে জুনিয়র ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, “ট্রাম্প লড়াই থেকে কখনও সরে আসবেন না। তিনি আমেরিকা বাঁচানোর লড়াই লড়ছেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ট্রাম্পের এই ছবি একলপ্তে  নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে অনেকখানি এগিয়ে দিল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। আমেরিকার ভোট কারবারিদের মতে, ট্রাম্পের এই ‘কুছ পরোয়া নেহি’ গোছের ভাবের ছবিটা আইকনিক হয়ে থাকবে। যার সুফল কুড়োবে তাঁর দল।

    আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট লুট, ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের ডাক শুভেন্দুর

    ট্রাম্প যখন বিমান ধরতে এগোচ্ছেন এবং বিমানে ওঠার সময় জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন, তাঁর এই ছবিও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে মার্কিন মুলুকে। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের এই সাহসী ছবিকেও ক্যাশ করতে চাইছেন রিপাবলিকানরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিক্রেট সার্ভিস বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে ট্রাম্পকে (US Presidential Election) খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত তরুণ। তবে তিনি এগিয়ে দিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্পকে (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Donald Trump: চিহ্নিত করা হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণকারীকে, ২০ বছরের থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস! চেনেন কে?

    Donald Trump: চিহ্নিত করা হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণকারীকে, ২০ বছরের থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস! চেনেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) হত্যার চেষ্টার পিছনে সন্দেহভাজন শ্যুটার হিসাবে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), থমাস ম্যাথিউ ক্রুকসকে (Thomas Matthew Crooks) চিহ্নিত করেছে। পেনসিলভানিয়ার বাটলারে একটি নির্বাচনী প্রচার সমাবেশে, ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর উপর গুলি চালালে, ঠিক তাঁর কান ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায়। অপর দিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন ২০ বছর বয়সী ক্রুকস। তাঁর স্কুলের একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাঁকে দেখা যাচ্ছে হাই স্কুল ডিপ্লোমা গ্রহণ করছেন। আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন, কিন্তু চার মাসেরও কম সময় আগে এই ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে।

    কে এই থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস (Donald Trump)?

    বাটলারের যেখানে শ্যুটআউট (Donald Trump) হয়েছে, সেখান থেকে ক্রুকস প্রায় এক ঘন্টা দূরে থাকতেন। ২০২১ সালের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের ফাইলিং অনুসারে, যখন ক্রুকস ১৭ বছর বয়সী ছিলেন, তখন তিনি অ্যাক্টব্লু-কে ১৫ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। এই সংগঠন একটি বামপন্থী রাজনীতিবিদদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। তবে এই অনুদান প্রগতিশীল পরিবর্তনের জন্য নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই অর্থ সেখানকার ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেওয়ার জন্য সমাবেশের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস বেথেল পার্ক হাই স্কুল থেকে ২০২২ সালে স্নাতক হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জাতীয় গণিত ও বিজ্ঞান উদ্যোগ সংস্থার পক্ষ থেকে ৫০০ ডলার “তারকা পুরস্কার” পেয়েছিলেন। আবার নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে একটি গ্রেজুয়েশন অনুষ্ঠানের ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, ক্রুকস (Thomas Matthew Crooks) তাঁর হাই স্কুল ডিপ্লোমা গ্রহণ করছেন। সেই সঙ্গে বেশ প্রশংসাও পাচ্ছেন। অনলাইনে পোস্ট করা ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওতে কালো গ্র্যাজুয়েশন গাউনে চশমা পরা ক্রুকসকে দেখা যাচ্ছে। ফলে তিনি ছাত্র হিসেবে মেধবী ছিলেন।

    এফবিআই, এনবিসি এবং সিবিএসের বিবৃতি

    এফবিআই, এনবিসি এবং সিবিএসের একটি বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, “রাজ্যের ভোটার রেকর্ড অনুযায়ী এই ক্রুকস রিপাবলিকান হিসাবে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই হামলাকারীকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হত্যা প্রচেষ্টার সাথে জড়িত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই গুলিবর্ষণে ট্রাম্প অল্পের জন্য রক্ষা পান, কিন্তু একজন পথচারী মারা গিয়েছেন। একই সঙ্গে আরও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা যখন ট্রাম্পকে দ্রুত মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় তখন তাঁর মুখে রক্ত ​​দেখা গিয়েছিল।” আবার পেনসিলভেনিয়া পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জর্জ বেভিনস বলেছেন, ‘‘এখনই ঘটনার বিষয়ে সবটা বলা যাবে না। একজন আক্রমণকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। বিভিন্ন সূত্র ধরে আমরা সন্ধানের চেষ্টা করছি। সেখানে একজনই বন্দুকবাজ ছিল, নাকি আরও ছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ সভায় প্রাণঘাতী হামলা, ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি! নিন্দা মোদির

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য?

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সামজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, “আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল যা আমার ডান কানের উপরের অংশে বিদ্ধ করেছে। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমি বুঝতেই পারছিলাম না কী ঘটতে চলেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের ধন্যবাদ জানাই। এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এই ধরনের কাজ ঘটতে পারে।” যদিও ট্রাম্প প্রচার সভায় সেই সময়ে আমেরিকায় অনুপ্রবেশকারী সমস্যা নিয়ে কথা বলছিলেন। তদন্তকারী অফিসারেরা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়েছেন। একই ভাবে ক্রুকসের সামজিক মাধ্যমগুলি যেমন- মেটা, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থার সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত কোনও অ্যাকাউন্ট যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কর্তব্যরত নার্সকে চড় তৃণমূল প্রধানের! শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল গেটে ধর্না

    Murshidabad: কর্তব্যরত নার্সকে চড় তৃণমূল প্রধানের! শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল গেটে ধর্না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সকে চড় মারার অভিযোগ উঠল সালারের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন নার্সরা। এই প্রধানের বিরুদ্ধে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাস্তির দাবি করেছেন নার্সরা। ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বচসার পর আচমকা থাপ্পড় (Murshidabad)!

    রবিবার সকালে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Murshidabad) রোগীর চিকিৎসা পরিষেবায় অসন্তোষ প্রকাশ করে, কর্তব্যরত এক নার্সকে চড় মারেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রধান রেজিনা বিবির মেয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে সঠিক ভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছিল না। একই সঙ্গে ডাক্তার এবং নার্সেরা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না রোগীকে। এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধান রেজিনা বিবি নিজেই হাসপাতালে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা না হলেও নার্সদের সঙ্গে রোগীর পরিষেবা নিয়ে কথা বলেন তিনি। কথা বলতে বলতে এক কথা দু-কথায় বচসা শুরু হয়। এরপর প্রধান আচমকাই এক নার্সের গালে থাপ্পড় মেরে বসেন। এই ঘটনার পরই বিরাট শোরগোল পড়ে যায়। এরপর কর্তব্যরত নার্সেরা একত্রিত হয়ে হাসপাতালের গেটের কাছে দোষীকে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে পোস্টার দেন। একই সঙ্গে প্রতিবাদ ধর্নায় বসেন তাঁরা।

    আরও পড়ুনঃ ফের শিশুচোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির ঘটনায় শোরগোল হাওড়ায়

    শাস্তি চাই বললেন আক্রান্তের স্বামী

    আক্রান্ত নার্সের স্বামী এই প্রেক্ষিতে বলেছেন, “যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অন্যায়, আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। অপরাধীর শাস্তি চাই।” আবার ভরতপুরের (Murshidabad) ২ নম্বর তৃণমূল সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, “সরকারি হাসপাতালে নার্সদের এই ভাবে মারধর করলে, দল কখনই সমর্থন করবে না। তিনি প্রধান এবং একই সঙ্গে মা। বিচলিত ছিলেন, তাই হয়তো এই রকম আচরণ করে ফেলেছেন। তবে প্রধান যদি দায়িত্ব জ্ঞান ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবটা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ফের শিশুচোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির ঘটনায় শোরগোল হাওড়ায়

    Howrah: ফের শিশুচোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির ঘটনায় শোরগোল হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশুচোর সন্দেহে ফের গণপিটুনির ঘটনায় শোরগোল পড়েছে হাওড়ায় (Howrah)। জানা গিয়েছে, বাঁকড়ার ফকিরবাগান এলাকায় এক যুবককে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করে স্থানীয় কিছু লোকজন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে মারমুখী জনতার কাছ থেকে যুবককে ছাড়াতে নাকাল হতে হয় পুলিশকে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

    পুলিশের সামনেই চলে মারধর (Howrah)

    শনিবার রাতে হাওড়ার (Howrah) ফকির বাগান এলাকায় এক যুবককে অহেতুক ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এরপর এলাকার কয়েকজন, ওই যুবককে দেখতেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই যুবক একটি শিশুকে চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেছিল। ঠিক সেই সময় তাকে ধরে ফেলি আমরা। এরপর শুরু হয় যুবককে ঘিরে উত্তেজিত জনতার মারধর। এই মারধরের (Beaten up) ঘটনার ভিডিও করা হয় এবং তা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবককে ধরে কিল-চড় মারা হচ্ছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলেও পুলিশের সামনেই চলে মারধর এবং ধাক্কাধাক্কি। কিছুক্ষণ পরেই নিগৃহীত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। তবে পুলিশের কাছে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ জানাননি। পুলিশ নিজে থেকেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

    আরও পড়ুনঃ“মমতা না পারলে আমি দেখে নেব”, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    লাগাতার গণপিটুনি!

    রাজ্যে গত একমাস ধরে জেলায় জেলায় একাধিক জায়গায় চোর সন্দেহে প্রকাশ্যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে চলছে। কোথাও শিশু চুরি, কোথাও মোবাইল চুরি আবার কোথাও গাড়ি চুরির অভিযোগে মারধরের ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রশাসন এই ঘটনাগুলিতে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুধু সন্দেহের বশে চোর মনে করে এই ভাবে পেটানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক বার প্রচারও করা হচ্ছে, কিন্তু তবুও একের পর এক গণপিটুনির (Beaten up) ঘটনা ঘটেই চলছে। ইতিমধ্যে বউবাজার, সল্টলেক, পাণ্ডুয়া, তারকেশ্বর, ঝাড়গ্রামে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এবার হাওড়ায় (Howrah) আরেক বার কেবলমাত্র সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 75: “কেশব তাঁহার সাধুচরিত্র ও বক্তৃতাবলে মাষ্টারের ন্যায় অনেক বঙ্গীয় যুবকের মন হরণ করিয়াছেন”

    Ramakrishna 75: “কেশব তাঁহার সাধুচরিত্র ও বক্তৃতাবলে মাষ্টারের ন্যায় অনেক বঙ্গীয় যুবকের মন হরণ করিয়াছেন”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ কথোপকথন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণসমাধি মন্দিরে

    বেলা ৪টা বাজিয়া গিয়াছে। ঠাকুর নৌকা করিয়া জাহাজে উঠিয়াছেন। সঙ্গে বিজয়। নৌকা উঠিয়াই বাহ্যশূন্য! সমাধিস্থ!

    মাস্টার জাহাজে দাঁড়াইয়া সেই সমাধি-চিত্র দেখিতেছেন! তিনি বেলা তিনটার সময় কেশবের জাহাজে চড়িয়া কলিকাতা হইতে আসিয়াছেন। বড় সাধ, দেখিবেন ঠাকুর ও কেশবের মিলন ও তাঁহাদের আনন্দ, শুনিবেন তাঁহাদের কথাবার্তা। কেশব তাঁহার সাধুচরিত্র ও বক্তৃতাবলে (Kathamrita) মাষ্টারের ন্যায় অনেক বঙ্গীয় যুবকের মন হরণ করিয়াছেন। অনেকেই তাঁহাকে পরম আত্মীয়বোধে হৃদয়ের ভালবাসা দিয়াছেন। কেশব ইংরেজী পড়া লোক, ইংরেজি দর্শন সাহিত্য পড়িয়াছেন। তিনি আবার দেবদেবীপূজাকে অনেকবার পৌত্তলিকতা বলিয়াছেন। এইরূপ লোক শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) ভক্তি-শ্রদ্ধা করেন, আবার মাঝে দর্শন করিতে আসেন; এটি বিস্ময়কর ব্যাপার বটে। তাঁহাদের মনের মিল কোনখানে বা কেমন করিয়া হইল—এ-রহস্য ভেদ করিতে মাষ্টারাদি অনেকেই কৌতূহলাক্রান্ত হইয়েছেন। ঠাকুর নিরাকারবাদী বটেন, কিন্তু আবার সাকারবাদী। ব্রহ্মের চিন্তা করেন, আবার দেবদেবী-প্রতিমার সম্মুখে ফুল-চন্দন দিয়া পূজা ও প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নৃত্যগীত করেন। খাট-বিছানায় বসেন, লালপেড়ে কাপড়, জামা, মোজা, জুতা পরেন। কিন্তু সংসার করেন না। ভাব সমস্ত সন্ন্যাসীর; তাই লোকে পরমহংস (Ramakrishna) বলে। এদিকে কেশব নিরাকারবাদী, স্ত্রী-পুত্র লইয়া সংসার করেন, ইংরেজীতে লেকচার দেন (Kathamrita), সংবাদপত্রে লেখেন, সংবাদপত্রে লেখেন, বিষয়কর্ম করেন।   

     আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: “মমতা না পারলে আমি দেখে নেব”, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: “মমতা না পারলে আমি দেখে নেব”, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুকের রাধামণি মিনি মার্কেটের স্টল বিলি নিয়ে অস্বচ্ছতা হয়েছে বলে এলাকার মানুষ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় স্টল পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গিয়ে বলব, সরকারি জায়গার উপর ঘর-বাড়ি ভাঙার কথা। আর মমতা না পারলে আমি দেখে নেব।”

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)?

    রাধামণি মিনি মার্কেট পরিদর্শন করে প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “বেশ কিছু দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সবাধান হয়ে যান। না হলে সব স্টল ভাঙা পড়বে। মুখ্যমন্ত্রী তো ঘোষণা করেছিলেন যে সরকারি জায়গায় কোনও অবৈধ নির্মাণ হলে তা ভাঙা হবে। আমি নিজে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বলব, আপনি যা ঘোষণা করেছেন তা করুন। যদি না করেন তার পরের ব্যবস্থা আমি দেখবো।” এদিন এলাকার বঞ্চিত মানুষদের পাশে থেকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই বিজেপির সাংসদ।

    আরও পড়ুনঃ ‘গদ্দারদের জন্য হেরেছি, এটা দলের পরাজয়, আমার নয়”, বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    এক একজন ছয় থেকে দশটি স্টলের মালিক!

    একই ভাবে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, “পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক একটি স্টল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এক একজন ছয় থেকে দশটি স্টলের মালিক বলেই অভিযোগ। অথচ যাঁরা ওই জায়গায় স্টল হওয়ার আগে ব্যবসা করতেন, তাঁদের আশ্বাস দিলেও কাউকেই স্টল দেওয়া হয়নি। মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চনা করে টাকার বিনিময়ে সব বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের একাংশ এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।”

    উল্লেখ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay), রাজ্যে তৃণমূল শাসকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুর দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন। তাঁর রায়ে রাজ্যের দুর্নীতির নানান বিস্ফোরক তথ্য সাধারণ মানুষের সমানে উঠে এসেছে। এই মুহূর্তে একাধিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raghunandan Srinivas Kamath: ভারতের ‘আইসক্রিম ম্যান’কে চেনেন? তাঁর কাহিনি হার মানায় রূপকথাকেও

    Raghunandan Srinivas Kamath: ভারতের ‘আইসক্রিম ম্যান’কে চেনেন? তাঁর কাহিনি হার মানায় রূপকথাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা বিক্রি করতেন আম। আর ছেলে? আইসক্রিম। আজ্ঞে হ্যাঁ, এই আইসক্রিম বিক্রি করেই চারশো কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছিলেন তিনি। তিনি রঘুনন্দন শ্রীনিবাস কামাথ (Raghunandan Srinivas Kamath)। তামাম বিশ্ব যাঁকে চেনে ‘আইসক্রিম ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ (Ice Cream Man) হিসেবে।

    শ্রীনিবাসের উত্থান (Raghunandan Srinivas Kamath)

    ম্যাঙ্গালোরের এক গ্রামে জন্ম শ্রীনিবাসের। অল্প বয়স থেকেই ফল বিক্রেতা বাবাকে সাহায্য করত ছোট্ট শ্রীনিবাস। চোদ্দ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে সে কাজে লেগে যায় ভাইয়ের রেস্তরাঁয়। স্বপ্ন ছিল, সত্যিকারের ফলের মণ্ড দিয়ে আইসক্রিম বানাবেন। সেই উদ্দেশ্যেই ভাইয়ের দোকানে কাজে ঢোকা। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর ১৯৮৪ সালে বম্বে (অধুনা মুম্বই) পাড়ি দেন শ্রীনিবাস। সেখানেই জুহু এলাকায় প্রথম খোলেন আইসক্রিম পার্লার। শুরুতে তাঁর পার্লারে কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ছজন।

    পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পার্লারের সংখ্যা

    ১২টি ফ্লেভারের আইসক্রিম মিলত তাঁর (Raghunandan Srinivas Kamath) পার্লারে। সেই আইসক্রিমের প্রেমে মজেছিলেন জুহু তো বটেই, মুম্বইয়ের দূর-দুরান্তের বহু ক্রেতাও। লোকমুখে শ্রীনিবাসের পার্লার তখন হয়ে গিয়েছে ‘আইসক্রিম অফ জুহু স্কিম’। দিন দিন চাহিদা বাড়তে থাকে শ্রীনিবাসের আইসক্রিমের। তার জেরে ১৯৯৪ সালে তিনি আরও পাঁচটি আউটলেট খোলেন। বর্তমানে সেই আউটলেটের সংখ্যা পেরিয়েছে ১৬৫-র ঘর। দেশের ১৫টি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে শ্রীনিবাসের আইসক্রিম পার্লারের আউটলেট। মাত্র ৭৫ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় শ্রীনিবাসের। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ন্যাচারালসের পক্ষ থেকে কর্ণধারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

    আর পড়ুন: কলকাতার বুকে তৈরি হল ইতিহাস, জানুন কাঠি রোলের জন্মবৃত্তান্ত

    বর্তমানে ন্যাচারালসের আউটলেটে মেলে ২০ রকম ফ্লেভারের আইসক্রিম। তবে তার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে নারকেলের গন্ধে ম ম করা টেন্ডার কোকোনাট ফ্লেভার আইসক্রিম। প্রতিবছর বিশ্বের সমস্ত সেরা আইসক্রিমের তালিকা তৈরি করে ‘টেস্ট অ্যাটলাস’ নামের একটি সংস্থা। সেই সংস্থার তথ্যই বলছে, বিশ্বের প্রথম ১০০টি সব চেয়ে বেশি আইকনিক আইসক্রিমের মধ্যে একটি হল ন্যাচারালসের ‘টেন্ডার কোকোনাট ফ্লেভার’ আইসক্রিম।

    ২০১৮ সালে ভারতের ১০টি সেরা বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের একটি তালিকা তৈরি করেছিল কেপিএমজি নামের একটি সংস্থা। তাদেরই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ওই তালিকায় রয়েছে ন্যাচারালসের নামও।শ্রীনিবাস প্রয়াত হয়েছেন মাস দুয়েক আগে। তবে ন্যাচারালস চলছে নিজস্ব ছন্দে (Ice Cream Man)। বড় হচ্ছে ব্যবসা। ফ্লেভারড আইসক্রিমের তালিকা হচ্ছে দীর্ঘতর (Raghunandan Srinivas Kamath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Kathi Roll: কলকাতার বুকে তৈরি হল ইতিহাস, জানুন কাঠি রোলের জন্মবৃত্তান্ত

    Kathi Roll: কলকাতার বুকে তৈরি হল ইতিহাস, জানুন কাঠি রোলের জন্মবৃত্তান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাহেবি আমল। কলকাতার স্যার স্টুয়ার্ট হগ মার্কেটের (বর্তমানে নিউ মার্কেট নামে পরিচিত) সামনের একটি খাবারের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। দোকানটির নাম নিজামস রেস্টুরেন্ট (Nizams Kebab)। এই লাইনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক সাহেবও। ঘনঘন হাতের ঘড়িটার দিকে তাকাচ্ছেন তিনি। আর একবার করে দেখছেন দোকানের দিকে (Kathi Roll)। দোকানের ভিতরে তখন খদ্দের সামলাতে ব্যস্ত কারিগররা। সাহেব ছটফট করছেন তাঁর পছন্দের মাটন কাবাবটা নিয়েই কাজে চলে যাবেন বলে।

    ছোট্ট আইডিয়ায় বাজিমাত (Kathi Roll)

    লাইনে দীর্ঘক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে সাহেব যখন দোকানের কাউন্টারে পৌঁছলেন, তখন দেখলেন সেখানে ডাঁই করে রাখা রয়েছে মাংস, মশলা, কুচোনো পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং কিছু ভেষজ। এগুলিকে একটি শিকে (স্ক্যুয়ারে) গেঁথে আগুনে ঝলসানো হবে। মাংস, মশলা এবং অন্যান্য খাবারের গন্ধে তখন ম ম করছে দোকান। সেই লোহার শিকে করে যখন মাংস ঝলসানোর প্রস্তুতি নেওয়া চলছে সাহেবের জন্য, তখনই বিদ্যুৎগতিতে একটি আইডিয়া খেলে গেল দোকনের কর্ণধার রাজা হাসানের।

    কলকাতার বুকে ইতিহাস

    তিনি এক ঝলক দেখে নিলেন দোকানের চারপাশটা। দেখলেন কয়েকটি পরোটা পড়ে রয়েছে। শিক কাবাব করতে সময় লাগবে জেনে এবং সাহেবকে তাড়াহুড়ো করতে দেখে সেই পরোটার মধ্যেই ভরে দিলেন কাবাব। রাজার অজান্তেই কলকাতার বুকে তৈরি হয়ে গেল ইতিহাস। জন্ম নিল কাঠি রোল (Kathi Roll)। এই রোলের দামও যেমন শিক কাবাবের চেয়ে কম, তেমনি স্বাদেও অপূর্ব। পেটও ভরে। কাঠি রোলে কামড় দিয়েই যারপরনাই আহ্লাদিত সাহেব। লালমুখো সাহেবের মুখে তখন খুশির ঝিলিক। প্রশংসা করলেন দোকান মালিকের নয়া কনসেপ্টের। তার পর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে গেল নিজামের কাঠি রোল।

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    কেবল এই পরিবর্তনই নয়, লোহার শিকগুলির পরিবর্তে বাঁশের কাঠির ব্যবহারও কলকাতার বুকে তিনিই প্রথম করেছিলেন। এতে লাভ হয় দুটো। এক, লোহার শিক ভারী। তাড়াতাড়ি গরম হওয়ায় মাংস পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। আর দুই, লোহার শিকের দামও বেশি। বাঁশের কাঠিতে এগুলির কোনওটাই নেই। মাংসও হয় সুসিদ্ধ।

    নিজামের কাঠি রোল প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশ-বিদেশের বহু নামজাদা ব্যক্তিত্বের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ অমিতাভ বচ্চনও। কলকাতায় এক শ্যুটিংয়ে এসে (Nizams Kebab) তিনি বলেছিলেন, “কলকাতার কাঠি রোলের স্বাদ অতুলনীয় (Kathi Roll)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 74: “কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি”

    Ramakrishna 74: “কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি”

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে বলরামাদি সঙ্গেবলরামকে শিক্ষা

    লক্ষণসত্যকথাসর্বধর্মসমন্বয়কামিনীকাঞ্চনই মায়া

    পূর্বকথাবর্ধমানপথেদেশযাত্রানকুড় আচার্যের গানশ্রবণ

    আচ্ছা আমার একি অবস্থা বল দেখি। ও-দেশে যাচ্ছি বর্তমান থেকে নেমে, আমি গরুর গাড়িতে বসে—এমন সময়ে ঝড়বৃষ্টি। আবার কোথেকে লোক এসে জুটল। আমার সঙ্গের লোকেরা বললে (Kathamrita), এরা ডাকাত!—আমি তখন ঈশ্বরের (Ramakrishna) নাম করতে লাগলাম। কিন্তু কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি, এ কিরকম বল দেখি।

    ঠাকুর এই কথা কি বলিতেছেন যে, এক ঈশ্বর তাঁর অসংখ্য নাম, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বা সম্প্রদায়ের লোক মিথ্যা বিবাদ করিয়া মরে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বলরামের প্রতি)—কামিনী-কাঞ্চন মায়া। ওর ভিতর অনেকদিন থাকলে হুঁশ চলে যায়—মনে হয় বেশ আছি। মেথর গুয়ের ভাঁড় বয়—বইতে বইতে আর ঘেন্না থাকে না। ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন করা অভ্যাস করলেই ক্রমে ভক্তি হয়।

    (মাষ্টার প্রতি)—ওতে লজ্জা করতে নাই। লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—তিন থাকতে নয়।

    ও-দেশে বেশ কীর্তন গান হয়—খোল নিয়ে কীর্তন। নকুড় আচার্যের গান চমৎকার! তোমাদের বৃন্দাবনে সেবা আছে?

    বলরাম—আজ্ঞে হাঁ। একটি কুঞ্জ আছে—শ্যামসুন্দরের সেবা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমি বৃন্দাবনে গেছলাম। নিধুবন বেশ স্থানটি।

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—সমাধি মন্দিরে

    আজ কোজাগর লক্ষ্মীপূজা। শুক্রবার ২৭শে অক্টোবর, ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ। ঠাকুর দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির সেই পূর্বপরিচিত ঘরে বসিয়া আছেন। বিজয় (গোস্বামী) ও হরলালের সহিত কথাবার্তা (Kathamrita) কহিতেছেন। একজন আসিয়া বলিলেন, কেশব সেন জাহাজে করিয়া ঘাটে উপস্থিত। কেশবের শিষ্যেরা প্রণাম করিয়া বলিলেন, মহাশয় জাহাজ এসেছে, আপনাকে যেতে হবে, চলুন একটু বেড়িয়ে আসবেন; কেশববাবু জাহাজে আছেন, আমাদের পাঠালেন।  

     আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share