Tag: news in bengali

news in bengali

  • Jawaharlal Nehru University: হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন চর্চা হবে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে! কবে থেকে শুরু পঠনপাঠন?

    Jawaharlal Nehru University: হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন চর্চা হবে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে! কবে থেকে শুরু পঠনপাঠন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের জন্য এক দারুণ খবর। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় এবার (Jawaharlal Nehru University) হিন্দু পঠনপাঠনের (Hindu Studies) পাশাপাশি বৌদ্ধ (Buddhist) ও জৈন পঠনপাঠনের (Jain Studies) কেন্দ্র খুলবে। নতুন এই বিষয়গুলো চালু করার জন্য এর আগে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। জাতীয় শিক্ষা নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার অন্বেষণ এবং সুপারিশ করার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর গত ২৯ মে বৈঠকের সিদ্ধান্তটি অনুমোদন পেয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি (JNU new centres) জানানো হয়েছে।

    জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগটি ঘোষণা করে, এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে যে, “এটি আমাদের আধুনিকতার সাথে ঐতিহ্য, পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা, অঞ্চলের সাথে রাজ্য এবং বাস্তবতার সাথে মিথকে একীভূত করার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” 

    Delhi: JNU to establish Centres for Hindu Studies, Buddhist Studies and Jain studies pic.twitter.com/gcKK7ERD67

    — ANI (@ANI) July 12, 2024

    কবে থেকে শুরু হবে এই পঠনপাঠন? (Jawaharlal Nehru University)

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০২৫-২৬ সাল থেকে তিনটি নতুন পঠনপাঠন কেন্দ্র (JNU new centres) চালু করা হবে। যার মধ্যে থাকবে ‘হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন’ অধ্যয়নের সুযোগ। শিক্ষার্থীরা এই তিনটি পঠনপাঠন কেন্দ্র থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি করতে পারবেন। কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট-এর মাধ্যমে বিষয়গুলোতে ভর্তি নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে তিনটি কেন্দ্রেই ২০টি করে আসন থাকবে। পরে সংখ্যা বাড়ানো হবে।

    আরও পড়ুন: জুনের শুরুতেই তীব্র প্রশাসনিক সংকট অন্ধ্রপ্রদেশে! ভারতের একমাত্র রাজ্য, যার রাজধানী নেই

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর, দিল্লি ইউনিভার্সিটি (DU) হিন্দু পঠনপাঠনের জন্য একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে, যেটি বর্তমানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে এবং ভবিষ্যতে স্নাতক কোর্স চালু করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি বৌদ্ধ পঠনপাঠনের জন্যও একটি বিভাগের চিন্তা ভাবনা চলছে। জানা গিয়েছে, এবছর মার্চ মাসে, ৩৫ কোটি টাকার বাজেটে বৌদ্ধ ধর্মে উন্নত পঠনপাঠন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারী অনুমোদন পেয়েছে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dr. George Matthew: আবু ধাবির একটি রাস্তার নামকরণ হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারের নামে

    Dr. George Matthew: আবু ধাবির একটি রাস্তার নামকরণ হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারের নামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৮৪ বছর বয়সী ডাক্তারের নামে। মিউনিসিপ্যালিটিস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (ডিএমটি) আবু ধাবিতে এই রাস্তার নামকরণ করেছে। ডাক্তার জর্জ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew)-এর “অনারিং ইউএইস ভিশনারিস: মেমোরেটিভ স্ট্রিটস” প্রকল্পে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁর নামে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নিই এই চিকিৎসকের জীবন কেমন ছিল।

    বৃহৎ জাতির জন্য অবদানের জন্য সম্মাননা (Dr. George Matthew)

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাজধানী আবু ধাবির একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian origin doctor) ডাক্তার জর্জ ম্যাথিউ-র (Dr. George Matthew) নামে। এই নামকরণের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণে রেখে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এর মূল কারণ হল, তিনি সেই দেশের বৃহৎ জাতির জন্য একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করেছেন। আল মাফরাকের শেখ শাকবুথ মেডিকেল সিটির কাছের রাস্তাটি এখন জর্জ ম্যাথিউ স্ট্রিট নামে নামাঙ্কন হয়েছে।

    কী বলেন ডাক্তার ম্যাথিউ?

    ডাক্তার ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) বলেছেন, “আমি যখন প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরশাহে আসি, তখনও শহরের পরিকাঠামো বিকশিত হচ্ছিল। জাতির পিতা প্রয়াত এইচএইচ শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, আমি মানুষকে সাহায্য করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। সেই সঙ্গে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ যে আমার প্রচেষ্টা স্বীকৃত হয়েছে।”

    দক্ষিণ ভারতের কেরলের বড় হয়েছেন 

    তাঁর চিকিৎসা চর্চা এবং মানব সেবার জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহ সরকার ১০ বছর আগে ডাঃ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) এবং তাঁর পরিবারকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছে। তিনি সেই দেশের আরেকজন সনামধন্য বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল রহিম জাফরের সঙ্গে বেসরকারী স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করেছেন। ডাঃ ম্যাথিউ দক্ষিণ ভারতের কেরলের পাথানামথিত্তার থুম্পামনে বেড়ে ওঠেন এবং ১৯৬৫ সালে ত্রিবান্দ্রম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস নিয়ে স্নাতক হন। বিয়ের পর তিনি তাঁর স্ত্রী ভালসাকে নিয়ে সংযুক্ত আরবে চলে যান। তাঁদের মেয়েও সরকারি চাকরি করেন।

    আল আইনে প্রথম সরকারি ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু

    ডাঃ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) ১৯৬৭ সালে, মাত্র ২৬ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসেছিলেন। প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আল আইনের একজন মিশনারি বন্ধুর কাছে থাকতে রাজি হন। আল আইনে প্রথম সরকারি ডাক্তার হিসেবে তাঁর আবেদন গ্রহণ হয়। আর এরপর শেখ জায়েদের আশীর্বাদে প্রথম ক্লিনিক চালু হয়। এই ভাবেই তাঁর পথ চলা শুরু হয়। একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসাবে তাঁর ডাক্তারি পেশার পরিষেবা শুরু করেছিলেন। ডঃ ম্যাথিউকে স্থানীয়রা ভালোবেশে স্নেহের সঙ্গে ম্যাটিউস নামে ডাকতেন। তিনি দেশের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছেন।

    আরও পড়ুনঃ মহরমে হতে পারে জঙ্গি হামলা, পাক-সরকারকে সতর্ক করল পুলিশ

    স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিশেষ অবদান

    ডাঃ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) ১৯৭২ সালে আল আইন অঞ্চলের মেডিকেল ডিরেক্টর এবং ২০০১ সালে হেলথ অথরিটি কনসালটেন্ট সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তাঁর অবদান সেই দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে এবং দেশের আধুনিক চিকিৎসা সংস্কৃতির প্রচারও শ্রীবৃদ্ধি করেছে। ডাঃ ম্যাথিউ গ্রীষ্মকালীন রোগের ব্যবস্থাপনা শিখতে ইংল্যান্ডে যান এবং পরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গবেষণার জন্য হার্ভার্ডেও যান। শিক্ষা এবং পেশাগত উন্নয়নে তাঁর প্রতিশ্রুতি সংযুক্ত আরবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ল্যান্ডস্কেপ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর কর্মনিষ্ঠা, উৎসাহ সহকর্মীদেরও আস্থা ও প্রশংসায় মুখরিত হয়েছিলেন। চিকিৎসা শাস্ত্রের জ্ঞানের জন্য তিনি (Indian origin doctor) সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিশেষ অনুপ্রেরণা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Andhra Pradesh: জুনের শুরুতেই তীব্র প্রশাসনিক সংকট অন্ধ্রপ্রদেশে! ভারতের একমাত্র রাজ্য, যার রাজধানী নেই

    Andhra Pradesh: জুনের শুরুতেই তীব্র প্রশাসনিক সংকট অন্ধ্রপ্রদেশে! ভারতের একমাত্র রাজ্য, যার রাজধানী নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতি রাজ্যে রাজধানী শহর থাকবে, এ অতি পরিচিত বিষয়। তবে ভারতেই রয়েছে এমন এক রাজ্য (State Without Capital), এই মুহূর্তে যার কোনও রাজধানীই নেই। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) এই মুহূর্তে কোনও রাজধানী নেই। আর রাজধানীহীন রাজ্য হওয়ায় বিভিন্ন প্রশাসনিক সংকটের মধ্যে পড়ছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তবে অমরাবতী এবং বিশাখাপত্তনমকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী করা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। 

    কেন এমন পরিস্থিতি? (State Without Capital)

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) থেকে আলাদা হয়ে পৃথক এবং নতুন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল তেলেঙ্গানা। সেই সময়, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা দুই রাজ্যের যৌথ রাজধানী ছিল হায়দ্রাবাদ। ঠিক হয়েছিল ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৪ পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। তারপর, ২০২৪-এর ২ জুন থেকে হায়দ্রাবাদ হয়ে যাবে শুধুমাত্র তেলেঙ্গানার রাজধানী। সেই হিসেব অনুযায়ী ২ জুন, ২০২৪-এ পেরিয়ে গিয়েছে ১০ বছরের সমসয়সীমা। সেদিন থেকিই রাজধানীহীন রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হবে কোন শহর? (Andhra Pradesh) 

    এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী কোন শহর হবে, তা সিদ্ধান্ত না হওয়ায়, সে রাজ্যের রাজধানীই নেই। যদিও ২০১৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হিসেবে অমরাবতীর নামের পাশে সিলমোহর দেওয়ার কথা বলেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। অমরাবতীতে স্মার্ট এবং বিশ্বমানের রাজধানী বানানোর জন্য ৫১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কৃষকদের থেকে জমি অধিগ্রহণসহ একগুচ্ছ পদক্ষেপও গ্রহণ করেন। তবে ২০১৯ সালে নির্বাচনে হেরে যান চন্দ্রবাবু। তেলেগু দশম পার্টির পরিবর্তে সে রাজ্যের মসনদে বসে জগমোহন রেড্ডির দল। ক্ষমতায় এসেই তারা নাইডুর পরিকল্পনা স্থগিত করে, কমিয়ে দেয় বাজেটও। ফলে অমরাবতীকে আর রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি।

    কী জানালেন চন্দ্রবাবু নাইডু? 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হেরে গেলেও এবছর লোকসভা নির্বাচনে ফের অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ক্ষমতায় ফিরেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দশম পার্টি। তাই শপথ গ্রহণের দিনেই নাইডু জানিয়েছেন, অমরাবতীই হবে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী। এর সঙ্গেই জানিয়েছেন অমরাবতীর পাশাপাশি বিশাখাপত্তনমকে সে রাজ্যের ‘ইকোনমিক ক্যাপিটাল’ এবং উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bagda: নাইনএমএম পিস্তল হাতে তৃণমূল কর্মী? ছবি ফাঁস করে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির

    Bagda: নাইনএমএম পিস্তল হাতে তৃণমূল কর্মী? ছবি ফাঁস করে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইনএমএম পিস্তল হাতে এক যুবকের ছবি আনল বিজেপি। বাগদায় (Bagda) উপনির্বাচনের দিনে কার্যত এই তৃণমূল (TMC) নেতা বন্দুক হাতে নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছেন। যদিও এই মারাত্মক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে এই ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

    কেন পুলিশ গ্রেফতার করেনি (Bagda)?

    গত বুধবার ১০ জুলাই, বাগদা (Bagda) উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব ছিল। এই দিনে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়ে উঠেছিল। বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেছেন, “পিস্তল হাতে এই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী। এই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছিল। ১৮৬, ১৮৭, ১৮৮ এবং মালিপোঁতা পঞ্চায়েতে হামলা হয়েছে। এই লোকটি পিস্তল নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে। আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি? পুলিশকে তথ্য দিয়ে অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়নি।” আবার বিজেপি নেতা রাহুল সিন্‌হা বলেছেন, “তৃণমূল নেতারা আইনের কথা বলে দুষ্কৃতীদের উস্কানি দিচ্ছেন। দোষীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে শাসক দল।”

    সরকারি রিভলভার কীভাবে বাইর পৌঁছচ্ছে?

    অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম আচার্য এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, “এই পিস্তল (Bagda) কারা বিক্রি করছে, আর কারাই বা বাইরে সরবরাহ করেছে, তা নম্বর দেখেই খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এই সব বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত না হলে আগামীদিনে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা নেবে। সরকারি রিভলভার কীভাবে বাইরে পৌঁছচ্ছে?”

    আরও পড়ুনঃ সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্ণ হয়েছে

    তৃণমূলের জেলা (Bagda) সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, “এই নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। আমরা বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী হব বলে, বিজেপি কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি সমাজ বিরোধীদের আশ্রয় দিয়ে থাকে। দুই একজন সমাজ বিরোধীদের ছবি প্রকাশ করে কার্যত নিজেদের মুখ ঢাকতে চেষ্টা করছে। কিন্তু এই ভাবে কাজ হবে না। মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন।” আবার তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “ভোটের দিনে এমন ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছিল? নির্বাচন কমিশনই কোথায় ছিল? দেবদাসবাবু কেন বাহিনীকে ডেকে ধরিয়ে দিলেন না।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    Sikkim: সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম (Sikkim) যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল, সড়ক পথ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি চলেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (National highway 10)। ইতিমধ্যে কালিম্পং, সিকিম যেতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। আর তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসার উপর। যদিও মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কালিম্পং জেলা প্রশাসনের বক্তব্য(Sikkim)

    কালিম্পং জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত এই রাস্তা বন্ধ থাকবে। পূর্ত দফতর এই সড়কের মেরামতি করবে। বিকল্প পথ হিসেবে মনসং হয়ে রংপো লাভা রোড খোলা থাকছে। সেখান দিয়েই চলাচল করছে গাড়ি। লাভা হয়ে কালিম্পং শিলিগুড়ির রাস্তায় খোলা থাকছে। যদিও এতদিন আলগাড়া লাভা হয়ে ঘুরপথে সিকিমে (Sikkim) যাওয়া হচ্ছিল। এই পথ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই সিকিম সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    তিস্তার একাংশ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে

    টানা ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নামতে শুরু করেছে। শ্বেতী ঝোড়া থেকে চিত্রে, সেলফি দাড়ার কাছে বিশাল ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু দার্জিলিং থেকে সিকিম (Sikkim) যাওয়ার পথ খোলা রয়েছে। আবার পাবনু হয়ে কালিম্পং, শিলিগুড়ির রাস্তা খোলা আছে। এই পথে পৌঁছানো যাবে সিকিম। তবে যেতে সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। এই ভূমি ধসের ফলে এখন কবে ১০ নম্বর সড়ক (National highway 10) খোলে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিস্তার একাংশ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। সেবক থেকে তিস্তাবাজার যাওয়ার পথে বেশ কিছু এলাকার জাতীয় সড়কের অংশ জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    এদিকে আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরের পাঁচ জেলায় হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নদীগুলির জলস্তর যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক তেমনি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিচু জায়গাগুলি ইতি মধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jai Anmol Ambani: দেউলিয়া বাবার আশার আলো আনমোল আম্বানি! তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    Jai Anmol Ambani: দেউলিয়া বাবার আশার আলো আনমোল আম্বানি! তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ধনী পিতার সন্তান জয় আনমোল আম্বানি (Jai Anmol Ambani)। কার্যত সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। কিন্তু বছর কয়েক আগে তাঁর বাবা অনিল আম্বানিকে (Ambani Family) দেউলিয়া বা ‘ব্যাঙ্করাপ্ট’ বলে ঘোষণা করা হয়। তবে এখন সেই ছেলেই দেউলিয়া বাবার আশার আলো হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তিনি বেশ বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন বলে শোনা যায়। জানা যায়, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ২০০০ কোটি টাকা। কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠাও নাকি চোখে পড়ার মতো। 

    মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ইন্টার্ন হিসেবে কাজে যোগ 

    খুব কম বয়সেই পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন অনিল ও টিনা আম্বানির জ্যেষ্ঠ সন্তান আনমোল আম্বানি (Jai Anmol Ambani)। কাজে যোগদানের আগে মুম্বইয়ের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন ক্যানন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য ইউকেও যান আনমোল। এরপর সেভেন ওকস স্কুল থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতক হন। স্নাতক পাশ করেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে রিলায়েন্স মিউচুয়াল ফান্ড-এ ইন্টার্ন হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। পরে ট্রেনি হিসেবে কাজ শুরু করেন রিলায়েন্স ক্যাপিটালে। এরপর ২০১৬-তে তিনি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন রিলায়েন্স ক্যাপিটালে। এই সময় সংস্থার আর্থিক বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল তৈরি করেন আনমোল। তাঁর হাত ধরেই সংস্থা লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। এরপর ২০১৭ সালে রিলায়েন্স ক্যাপিটালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের পদ পান তিনি। এর ঠিক এক বছরের মধ্যে রিলায়েন্সেক নিপ্পন লাইফ অ্যাসেটে যোগ দেন জয় আনমোল আম্বানি। তাঁর হাত ধরে রিলায়েন্স গ্রুপের স্টক প্রাইস প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। 

    ছেলের হাত ধরেই ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন অনিল আম্বানি

    এক সময়ে বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ছিলেন অনিল আম্বানি (Ambani Family)। নিট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউকে-র একটি আদালত অনিল আম্বানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল। তবে ছেলে আনমোলের (Jai Anmol Ambani) হাত ধরেই ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন অনিল আম্বানি। গত বছরে তাঁর সংস্থা রিলায়েন্স পাওয়ারের শেয়ারদর ১২০ শতাংশ বেড়েছে। ছেলের এই সাফল্যে অনিল আম্বানি বড় ছেলে আনমোলের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। 

    আরও পড়ুন: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    আনমোলের বিলাসবহুল জীবনযাপন (Jai Anmol Ambani)

    বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে ভালবাসেন জয় আনমোল আম্বানি। তবে তাঁর বিলাসবহুল জীবন চোখে পড়ার মতো। শোনা যায়, তিনি বেশ বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। ল্যাম্বরগিনি গ্যালার্দো, রোলস-রয়েস ফ্যান্টমের মতো বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে তাঁর। এমনকি তাঁর একটি নিজস্ব হেলিকপ্টার এবং বিমানও রয়েছে। এই কপ্টার-বিমান তিনি ব্যবসায়িক সফরের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে নিজের কর্ম গুনেই সফলতার শিখরে পৌঁছেছেন আম্বানি পরিবারের এই সন্তান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 73: “ঈশ্বরকে কেন দর্শন হয় না? কামিনী-কাঞ্চন মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছে বলে”

    Ramakrishna 73: “ঈশ্বরকে কেন দর্শন হয় না? কামিনী-কাঞ্চন মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছে বলে”

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে বলরামাদি সঙ্গেবলরামকে শিক্ষা

    লক্ষণসত্যকথাসর্বধর্মসমন্বয়কামিনীকাঞ্চনই মায়া

    আর একজন আসে, আমি তার জিনিস খেতে পারি না। সে অফিসে কর্ম করে, তার ২০ টাকা মাহিনা। আর ২০ টাকা কি মিথ্যা (bill) লিখিয়ে পায়। মিথ্যাকথা কয় (Kathamrita) বলে সে এলে বড় কথা কি না। হয়তো দু-চারদিন অফিসে গেল না, এইখানে পড়ে রইল। কি জানো, মতলব যে, যদি কারুকে বলে কয়ে দেয়, তাহলে অন্য জায়গায় কর্ম কাজ হয়।

    বলরামের বংশ পরম বৈষ্ণববংশ। বলরামের পিতা বৃদ্ধ হইয়াছেন—পরম বৈষ্ণব। মাথায় শিখা, গলায় তুলসীর মালা, আর হস্তে সর্বদাই হরিনামের মালা, জপ করিতেছেন। ইহাদের উড়িষ্যায় অনেক জমিদারি আছে। আর কোঠরে, শ্রীবৃন্দাবনে ও অন্যান্য অনেক স্থানে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ-বিগ্রহের সেবা আছে ও অতিথিশালা আছে। বলরাম নূতন আসিতেছেন, ঠাকুর গল্পচ্ছলে তাঁহাকে নানা উপদেশ (Kathamrita) দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সেদিন অমুক এসেছিল; শুনেছি নাকি ওই কালো মাগটার গোলাম!—ঈশ্বরকে কেন দর্শন হয় না? কামিনী-কাঞ্চন মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছে বলে। আর তোমার সম্মুখে কি করে সেদিন ও-কথাটা বললে যে, আমার বাবার কাছে একজন পরমহংস এসেছিলেন, বাবা তাঁকে কুঁকড়ো রেঁধে খাওয়ালেন! (বলরামের হাস্য)

    আমার অবস্থা এখন মাছের ঝোল মার প্রসাদ হলে একটু খেতে পারি। মার প্রসাদ মাংস এখন পারি না,–তবে আঙুলে করে একটু চাখি, পাছে মা রাগ করেন। (সকলের হাস্য)

     

    পূর্বকথা—বর্ধমানপথে—দেশযাত্রা—নকুড় আচার্যের গান—শ্রবণ

    আচ্ছা আমার একি অবস্থা বল দেখি। ও-দেশে যাচ্ছি বর্তমান থেকে নেমে, আমি গরুর গাড়িতে বসে—এমন সময়ে ঝড়বৃষ্টি। আবার কোথেকে লোক এসে জুটল। আমার সঙ্গের লোকেরা বললে, এরা ডাকাত!—আমি তখন ঈশ্বরের (Ramakrishna) নাম করতে লাগলাম। কিন্তু কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি, এ কিরকম বল দেখি।

    আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক ঘটনায় মুখ পুড়ছে রাজ্য পুলিশ- প্রশাসনের। ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যু (Dholahat Death Case) ঘিরে এমনিতেই অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকে। এ বার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন (Calcutta HighCourt) ‘জামিন পাইয়ে দেওয়ার শর্ত’ হিসেবেও পুলিশের বিরুদ্ধে পৌনে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করল মৃত যুবকের পরিবার। 

    আগে কী ঘটেছিল? (Dholahat Death Case)   

    ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুন। ওইদিন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর আবু সিদ্দিক হালদার (২২) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। আর সেখানেই গত সোমবার রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    ঠিক কী অভিযোগ মৃতের পরিবারের? 

    মৃতের পরিবারের দাবি, ঢোলাহাট থানার আইসি ওই যুবককে জামিন পাইয়ে দেওয়ার জন্য পৌনে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। থানায় আবুকে বেদম মারধরের পাশাপাশি বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছিল বলেও তাদের অভিযোগ। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, ৪ জুলাই জামিন পাওয়ার পরে আবুর শরীরে আঘাতের দাগ ছিল। বাড়ি ফেরার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মারা যান (Dholahat Death Case) আবু।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভারতীয় পরিচারিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত পাকিস্তানি কুক 

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এ দিন কোর্টে (Calcutta HighCourt) পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনা (Dholahat Death Case) আড়াল করার অভিযোগও করেছেন আবুর পরিবারের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ আবুর দেহের ময়নাতদন্তের কথা পরিবারকে জানায়নি। ডাক্তারের রিপোর্টও দেওয়া হয়নি। কেন এই ‘অতি সক্রিয়তা’, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবি, জন্ডিস এবং রক্তে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনের উচ্চমাত্রাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে অন্যতম বাংলার তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর (Gangasagar)। অমাবস্যার কোটালের জেরে কপিলমুনির মন্দির (Kapil Muni Ashram) সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়ল। গঙ্গাসাগর সমুদ্র পাড়েও দেখা দিয়েছে বড়সড়ো ধস! বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, তৃণমূল সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করলেও, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই রাস্তা ভেঙে পড়ছে। খরচের টাকা সব কি জলে? বিজপির দাবি, তৃণমূলের নেতার কাটমানি খেয়ে সরকারি টাকা লুট করছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল (Gangasagar)

    সমুদ্রের জলের স্রোতে ভেঙে গেল গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মন্দির সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা। একদিকে অমাবস্যার কোটাল, তারপর দ্বিতীয়া ও তৃতীয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে সমুদ্রের জল। উত্তাল হয়ে পড়েছে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সমুদ্রের জলের ধাক্কা লাগছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতেও। কপিলমুনির আশ্রমের (Kapil Muni Ashram) সামনে দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল অবস্থা। অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল চার নম্বর সান ঘাটের ঢালাই রাস্তা। ইতিমধ্যে ভগ্ন এলাকার রাস্তাকে বেরিকেট করে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেছেন, “তৃণমূলের উন্নয়নের পথে কপিলমুনির আশ্রম (Gangasagar) এখন বিপন্ন হওয়ার পথে। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রজেক্ট করা হয়েছিল কাজ, কিন্তু তার সবটাই কাটমানিতে চলে গিয়েছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভেঙে সব তলিয়ে যেতে বসেছে। আগামী দিনে কপিল মুনির মন্দিরও সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে। যেখানে গঙ্গাসাগর থেকেই সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী পেয়েছে, সেখানে এমন হাল সত্যি লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।”

    কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ করা হলেও নজর নেই

    স্থানীয় বাসিন্দা দিব্যেন্দু খাটুই অভিযোগ করে বলেছেন, “গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার সময় কয়েক কোটি টাকা খরচে অস্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করা হলেও, সারা বছর ফিরেও তাকানো হয় না এই গঙ্গাসাগরের দিকে। আর যার ফলে একটু একটু করে ভাঙন আরও বেড়েই চলেছে গঙ্গাসাগরে। অন্যদিকে সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের আবেদন, চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা হোক এই নদী বাঁধের।”

    আরও পড়ুনঃক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    প্রশাসনের বক্তব্য

    পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র জানিয়েছে, “ট্রাটাপট পদ্ধতির মাধ্যমে যে কাজ করা হয়েছিল তা খুব বেশি কাজে আসেনি তবে নতুন করে আবার প্রজেক্ট করা হচ্ছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snakes: ঘরে মাটির কলসিতে রাখা কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া! সাপের বিষ পাচারের হদিশ পূর্ব মেদিনীপুরে

    Snakes: ঘরে মাটির কলসিতে রাখা কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া! সাপের বিষ পাচারের হদিশ পূর্ব মেদিনীপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাপ (Snakes) এবং সাপের বিষ পাচারের কয়েক কোটি টাকার চোরাকারবারের খোঁজ মিলেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর ব্লকের গাজীপুর ও দামোদরপুর গ্রামের বেশকিছু বাড়িতে, জেলার বনবিভাগের বাজকুল রেঞ্জের অফিসারেরা হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সাপের হদিশ পেয়েছেন। এই উদ্ধারের কাজে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ মঞ্চ নামে এক সংগঠন। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    কোটি টাকার সাপ ও সাপের বিষ উদ্ধার (Snakes)!

    ঘরের মধ্যে মাটির কলসি, ট্রাঙ্ক ও ঝুপির মধ্যে রাখা অসংখ্য বিষধর সাপ! কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া সব মিলিয়ে গোটা পঁচিশ হবে। ঘরেই সাপের খাবারের মধ্যে রাখা রয়েছে ল্যাটা মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি। এই সাপ উদ্ধারের ফলে কয়েক কোটি টাকার সাপ ও সাপের (Snakes) বিষ পাচারের বেআইনি কারবারের কথা উঠে এসেছে। একাধিক রাজ্যে এই পাচারের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। এই ভাবে এই পাচার চক্র, অনেক দিন ধরে চলছিল এলাকায়। ইতিমধ্যে সাপের বিষ পাচারের সঙ্গে যুক্ত এক সাপুড়ে এবং তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে তমলুক আদালতে তোলা হয়েছে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, “ধৃতেরা হল জ্যোৎস্না রানি সিং (৬৫) ও সুকুমার বর (৫৫)। তাদের আপাতত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে বনদফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যাদের ধরা হয়েছে তারা আসলে চুনো পুঁটি। আসলে ওরা সাপ্লাই লাইন, তবে তাদের লিঙ্কম্যান কারা, সেই মাথাদের খুঁজে বের করতে হবে।” জীববৈচিত্র দলের সদস্য দেবগোপাল মণ্ডল বলেছেন, “ধৃতেরা এলাকায় বহু বছর ধরে বিষাক্ত সাপ ধরার কাজ করে থাকে। সাপের গতিবিধি তাদের নখদর্পণে। বেইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা।”

    আরও পড়ুনঃ মঙ্গলাহাটে প্রকাশ্যেই চলছে অবাধে ‘তোলাবাজি’, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    পঞ্চাশ বছর ধরে বিষের কাজে যুক্ত ধৃতরা

    ধৃতদের কাছ থেকে তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে সাপের বিষ বের করার কাজ করছিলেন জ্যোৎস্না রানি সিং। সাপ ধরার পর তাদের দাঁত চেপে অতিরিক্ত বিষ বের করে নেওয়া হতো। মোটামুটি ১০-১০০মিলিলিটার বিষ একটি সাপের থেকে বের হয়। আবার চাপ বেশি দিলে দাঁত ভেঙেও যায়। তবে সাপ (Snakes) খেলা দেখানো সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ হলেও, এই এলাকায় অনেক দিন ধরে চলছিল এই খেলা। আর এই সব কিছুর আড়ালে চলছে বিষ পাচারের চক্র। বিষ ভেনম পাউডার করেই চালান দেওয়া হতো। একবার একটি সাপ থেকে বিষ বের করলে ফের দাঁতে বিষ তৈরি হতে সময় লাগে এক মাস। আবার বিষ বের করার সময় সাপের দাঁত ভেঙে গেলে, ভাঙা জায়গায় নতুন দাঁত গাজতে সময় লাগে সাত দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share