Tag: news in bengali

news in bengali

  • Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষমদের (Differently Abled People) অমর্যাদা করা যাবে না কোনও দৃশ্যমাধ্যমে। সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিশেষভাবে সক্ষমদের বর্ণনা দিতে গিয়ে ‘পঙ্গু’, ‘বিকলাঙ্গ’ কিংবা ‘জড়বুদ্ধি’-র মতো শব্দও প্রয়োগ করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের যুক্তি, এই শব্দগুলির অবমাননাকর অর্থ রয়েছে সাধারণ সামাজিক ধ্যানধারণায়।

    “শব্দ প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে” (Supreme Court)

    এই নির্দেশ দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থাকে বলেছেন, এই ধরনের যে কোনও ছবি প্রদর্শনের আগে জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থার উচিত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া। সোমবার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “শব্দ অনেক সময়ই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে পঙ্গু, বিকলাঙ্গের মতো কিছু শব্দকে আমাদের সমাজে অবমাননাকর বলে মনে করা হয়।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    একটি হিন্দি ছবিতে বিশেষভাবে সক্ষমদের চিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ মালহোত্র নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাটিই সোমবার ওঠে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। মামলায় নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “দৃশ্যমাধ্যমগুলির উচিত বিশেষভাবে সক্ষমদের জীবনের জন্য বৈচিত্রময় বাস্তবগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। তাঁদের সমস্যা বা অসুবিধার কথা না বলে তাঁদের সাফল্য, মেধা এবং সমাজে অবদানের কথা দর্শকদের জানানো।” তিনি বলেন, “তাঁদের পৌরাণিক কাহিনির ওপর ভিত্তি করে আলোকপাত করা উচিত নয়। আবার সুপার পঙ্গু হিসেবেও উপস্থাপন করা উচিত নয়।”

    আর পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    প্রসঙ্গত, বিশেষভাবে সক্ষমদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে গত বছরই পদক্ষেপ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে খোলা হয়েছে ক্যাফে। এই ক্যাফেটি চালান বিশেষভাবে সক্ষমরা। ক্যাফেটির উদ্বোধন করেছিলেন চন্দ্রচূড় স্বয়ং। সুপ্রিম কোর্টের সামনের এই ক্যাফেটির নাম ‘মিট্টি ক্যাফে’। ক্যাফেটি চালাচ্ছেন দৃষ্টিহীন, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্তরা। উদ্বোধনের পর সবাইকে ক্যাফেটিতে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, দু’জন বিশেষভাবে সক্ষম (Differently Abled People) মেয়েকে দত্তক নিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court)। বাবার কর্মস্থল দেখাতে তাঁদের একদিন নিয়েও এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। শীর্ষ আদালতে খারিজ রাজ্যের সিবিআই তদন্তের বিরোধিতার আর্জি। রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “রাজ্য কি কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?”

    কী বলল সুপ্রিম কোট? (Sandeshkhali Case)

    সন্দেশখালিতে জমি দখল ও মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে রাজ্য। সেখানেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। তখনই বিচারপতি গাভাই প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “এই বিষয়ে কেন আবেদন করেছে রাজ্য সরকার? তারা কাকে প্রোটেক্ট করতে চাইছে?” বেঞ্চের আরও প্রশ্ন, “সন্দেশখালিতে যেখানে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছে?”

    কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেলেঙ্কারির বেরল কেউটে!

    রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে কেউটে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই কেলেঙ্কারির শেকড় খুঁজতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেই সময় হামলা হয় ইডির আধিকারিকদের ওপর (Sandeshkhali Case)। পরে গ্রেফতার হয় শাহজাহান। তার পরেই একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে কেলেঙ্কারির কেউটে।

    আর পড়ুন: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে পথে নামে সন্দেশখালির প্রমীলা বাহিনী। জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেওয়া হয়েছিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। উচ্চতর আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোটের দুয়ারে হাজির হয় রাজ্য। সেখানেও জুটল রামধাক্কা।

    দেশের শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পোড়ায় যারপরনাই খুশি বিজেপি। সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার কিছু অনৈতিক দাবি নিয়ে কিছু অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। সেই জন্যই মানুষেরই দেওয়া ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় তারা। বারংবার পরাজিতও হয় (Sandeshkhali Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • France Election 2024: ফ্রান্সের কুর্সি দখলে এগিয়ে বামপন্থীরা, অশান্তির আগুন স্যেন নদীর পাড়ে

    France Election 2024: ফ্রান্সের কুর্সি দখলে এগিয়ে বামপন্থীরা, অশান্তির আগুন স্যেন নদীর পাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই অশান্ত ফ্রান্স (France Election 2024)। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হয় ৭ জুলাই, রবিবার। সেই নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী পদে জয়ের পথে বামপন্থীরা। কার্যত তার পরেই অশান্ত (Riots) হয়ে ওঠে দেশ। রাজধানী প্যারিস-সহ দেশের একাধিক শহরে ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। বিক্ষোভ সামাল দিতে নামানো হয় বাহিনী। জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রখান করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ।

    জয়ী বামেরা (France Election 2024)

    ফ্রান্সে প্রথম দফার নির্বাচনে এগিয়ে ছিলেন দক্ষিণপন্থীরা। ভোট বিশেষজ্ঞরাও মনে করেছিলেন, এবার ফ্রান্সের রশি থাকবে ডানপন্থীদের হাতে। যদিও রবিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বামেরা। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে আসন রয়েছে ৫৭৭টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৮৯টি আসন। ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, জয়ী হয়েছে বামপন্থী জোট এনএফপি। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি তারা। এনএফপির পরেই রয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর মধ্যপন্থী জোট এনএস। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগ্র দক্ষিণপন্থী দল আরএন।

    অশান্তির আগুন ফ্রান্সে

    কোনও একটি দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফ্রান্সে হতে চলেছে হ্যাং পার্লামেন্ট বা ত্রিশঙ্কু। ফ্রান্সের (France Election 2024) এই তিন দল অতীতে এক সঙ্গে সরকার চালিয়েছে, এমন নজির নেই। তাই ঠিক কী হবে, তা নিয়ে আগাম কিছু বলতে পারছেন না ফ্রান্সের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তবে যেহেতু বামপন্থারী সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, তাই তাদের নেতৃত্বেই গঠিত হতে পারে সরকার। এই আশঙ্কা থেকেই দেশটিতে জ্বলছে অশান্তির আগুন।

    আর পড়ুন: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    ভারতের মতো ফ্রান্সেও আরএনকে ঠেকাতে জোট গড়ে সোশ্যালিস্ট, পরিবেশবাদী, কমিউনিস্ট এবং কট্টর বামপন্থী দল এলএফআই। জোটের নাম হয় ‘এনএফপি’। নির্বাচনের আগে এই দলগুলো সব সময় একে অন্যের সমালোচনায় মুখর থাকত। দক্ষিণপন্থীদের সরকারে আসা রুখতেই জোট বাঁধে তারা। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় এগিয়ে এই জোটই।

    প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। যে বামপন্থী জোট ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তাদের (Riots) নীতির সঙ্গে মাক্রঁর দলের নীতির ফারাক বিস্তর। তাই বামপন্থীদের মধ্যে থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর যে ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলতেই থাকবে, তা বলাই বাহুল্য (France Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালকে (CV Anand Bose) নানা সময় অসম্মান প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ছোট-বড় নেতাকেও। কটু কথা বলতে শোনা গিয়েছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকেও। এবার রাজ্যপালের অফিসকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA Action)। কলকাতার ডিসি এবং ডিসিপি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    রাজ্যপালের চিঠি (CV Anand Bose)

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের পাঠানো চিঠিতে নাম গিয়েছিল ডিসি বিনীত গোয়েল এবং ডিসিপি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের। গোয়েল ও মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের আর্জি জানিয়ে নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। তার জেরেই পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। যদিও দুই পুলিশ কর্তাই জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। রাজ্যের তরফেও এখনও কিছু জানানো হয়নি তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে রা কাড়েনি রাজভবনও।

    বাংলা থেকে সরানোর চক্রান্ত!

    এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব গোপালিকার বিরুদ্ধেও আইএসএস কার্যবিধি লঙ্ঘন ও দুর্নীতিতে সাহায্য করা ও উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে রাজ্যপাল এও লিখেছেন, বাংলা থেকে তাঁকে সরাতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেই চক্রান্তে শামিল রয়েছেন এই আধিকারিকরাও। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনের এক কর্মী। ওই মহিলা প্রথমে অভিযোগ জানান রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যপাল তাঁকে কু-ইঙ্গিত করছিলেন। সেদিন সন্ধেয় চেম্বারে ডেকে পাঠিয়ে অশালীন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ। রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তিনি সটান চলে যান হেয়ারস্ট্রিট থানায়।

    আর পড়ুন: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা না গেলেও, অভিযোগকারিণীর বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করতে (MHA Action) শুরু করে কলকাতা পুলিশ। এর পরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট ডিসির বিরুদ্ধে ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেসে’র অফিসারদের আচরণবিধি সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Congress: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    Congress: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিয়ে সম্প্রতি পার্লামেন্টে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, “হিন্দুরা কেবল হিংসার কথা বলেন, বলেন ঘৃণার কথা, মিথ্যেও বলেন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল হিন্দুদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা নতুন কিছু নয়, বরং এটা কংগ্রেসের ঐতিহ্যের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। রাহুলের এহেন মন্তব্যে নিঃসন্দেহে আঘাত পেয়েছেন এ দেশের সংখ্যাগুরু হিন্দুরা (Hindu Bashing)।

    রাহুলের বেফাঁস মন্তব্য (Congress)

    তবে তাতে রাহুল কিংবা কংগ্রেস, কারও কিস্যু যায় আসে না! রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে অভ্যস্ত কংগ্রেসের কাছে এই জাতীয় মন্তব্যই কাঙ্খিত। এর আগেও রাহুলকে হিন্দু ধর্ম নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তিনি শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। ‘শক্তি’ বলতে হিন্দু ধর্মে আদ্যাশক্তিকে বোঝায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কংগ্রেসের জন্ম ব্রিটিশদের হাতে, আর বর্তমানে তাকে চালনা করছেন ইটালিয়ানরা। তাই তাঁরা যে হিন্দু-বিরোধী হবেন, তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে? এ প্রসঙ্গে (Congress) পণ্ডিত জওহর লাল নেহরুর মন্তব্যটি প্রনিধানযোগ্য। ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত লাহোর কংগ্রেসে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি হিন্দু হয়ে জন্মেছিলাম। কিন্তু আমি জানি না, আমার নিজেকে কতটা হিন্দু বলে দাবি করা ঠিক হবে।”

    প্রসঙ্গ যখন সোমনাথ মন্দির

    বিধর্মীদের হাতে ধ্বংস হয়েছিল সোমনাথ মন্দির। সেই মন্দির পুনর্গঠন করতে যখন রাজেন্দ্রপ্রসাদ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, কেএম মুন্সি, এনভি গ্যাডগিলের মতো নেতারা জোট বাঁধছেন, তখন তার বিরোধিতা করেছিলেন নেহরু স্বয়ং। এই মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ। তাঁকে যেতে নিষেধ করেছিলেন নেহরু। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই সোমনাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। কংগ্রেসের সেই ‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা’র মুখোশ আমরা দেখলাম এই ২০২৪ সালেও। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এই অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পেয়ে যাননি কংগ্রেসের কেউ। অথচ এসেছিলেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা।

    নেহরুর দ্বিচারিতা

    স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু। তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হন ১৯৫২ সালে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তার পরের লোকসভা নির্বাচনেও। যদিও ১৯৫৮ সালেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিন্দুত্ব নিয়ে তাঁর দ্বিচারিতা। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দফায়ই তিনি বিরোধিতা করেছিলেন প্রো-হিন্দু নেতাদের (Congress)। পাকিস্তানে থেকে যাওয়া হিন্দুদের কী হবে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি এবং কংগ্রেসের অন্য প্রো-হিন্দু নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন ১৯৫০ সালের নেহেরু-লিয়াকত দিল্লি চুক্তি নিয়েও। এই চুক্তিতেই বলা ছিল, দুই দেশই তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করবে। পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে যা অকল্পনীয় বলেই ধারণা হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সিংহভাগেরই। ১৯৫০ সালে অকালে প্রয়াত হন শ্যামাপ্রসাদ। বস্তুত তার পরেই খোলা মাঠ পেয়ে যান নেহরু। এই হিন্দুত্ব নিয়ে নেহরুর সঙ্গে মতদ্বৈততার কারণে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। নেহরুর হিন্দু কোড বিলের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন প্রো-হিন্দু নেতারা।

    নেহরু ‘সাম্প্রদায়িক’!

    পার্লামেন্টে তো নেহরুকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে দেগে দিয়েছিলেন জেবি কৃপালনী। সংবিধান রচয়িতা আম্বেডকর বলেছিলেন, যে দেশে যে ধর্মের প্রধান্য সেই ধর্মের লোকজন চলে যান সেই দেশে। এটাই স্থায়ী সমাধান। (সেই সূত্রে মেনেই বোধহয়) গিয়েছিলেন পূর্ব ভারতের দলিত নেতা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। পাকিস্তানে গিয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তবে তিক্ত অভিজ্ঞতার জেরে আবারও ফিরে আসেন ভারতে। আম্বেডকর এবং মুখার্জি দুজনেই খোলাখুলি নেহরুর হিন্দু-বিরোধী অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। যার জেরে ১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধীর বাবা জওহর লাল। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, মেকি-ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে নেহরু আসলে চিরকাল করে গিয়েছেন তুষ্টিকরণের রাজনীতি। নেহরু সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সীতারাম গোয়েল বলেছিলেন, “পণ্ডিত জওহর লাল নেহরু একজন গর্বিত বাদামি সাহেব। নেহরুর ফর্মুলা হল, প্রতিটি পরিস্থিতিতে হিন্দুদের দোষী করা উচিত, সে তাঁরা প্রকৃত দোষী হোন বা না হোন।”

    আর পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    বিলম্বিত বোধদয়

    নেহরুর সেই ধারা আজও বহমান কংগ্রেসে। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দিনের পর দিন তারা দোষারোপ করে চলেছে হিন্দুদের। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল সংসদে রাহুল গান্ধীর হিন্দু বিরোধী মন্তব্য। রাহুলের আগে প্রো-মুসলিম মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। তিনি বলেছিলেন, “এই দেশের সম্পদের ওপর সবার আগে অধিকার মুসলমানদের।” মৃত্যুর আগে বোধহয় চৈতন্যোদয় হয়েছিল (Hindu Bashing) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর। ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকদের। যে জনসংঘকে ১৯৪৮ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নেহরু, সেই জনসংঘকেই ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর নেহরু বলেছিলেন, “জনসংঘ দেশপ্রেমিক একটি দল।”

    একেই বোধহয় বলে বিলম্বিত বোধদয় (Congress)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NEET UG 2024: নিট-ইউজির কাউন্সেলিং কবে শুরু জানেন?

    NEET UG 2024: নিট-ইউজির কাউন্সেলিং কবে শুরু জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট-ইউজির (NEET UG 2024) কাউন্সেলিং কবে হবে, তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে। তবে এই কাউন্সেলিং (Counselling) কবে হবে জানানো হবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কটি আসন রয়েছে, তা জানানোর পর। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তারা এই ঘোষণা করবে। শনিবার এ খবর জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রথমে ঠিক ছিল, নিট ইউজি (NEET UG 2024) ২০২৪ সালের কাউন্সেলিং হবে ৬ জুলাই। সেটাই আপাতত স্থগিত হয়ে গিয়েছে। কতগুলি আসন রয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন তা জানালে তবেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    নিট ইউজি পরীক্ষা (NEET UG 2024)

    নিট ইউজি পরীক্ষা নিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। দেশের সব ধরনের বড় পরীক্ষাই নেয় এরা। তবে চলতি বছর এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগও। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন। লিখিত পরীক্ষা নেয় এরাই। আর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার। শুক্রবার এই মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিট-ইউজি-র কাউন্সেলিংয়ের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এটি পিছিয়ে যাচ্ছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, সেটি ভুল।’

    আর পড়ুন: কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল রোবট!

    কী বলা হয়েছে বিবৃতিতে?

    এই বিবৃতিতেই আরও বলা হয়েছে, ‘মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটির অধীনে থাকা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেল্থ সার্ভিসের তরফে এখনও নিট ইউজি এবং পিজি ২০২৪ সালের কাউন্সেলিং সিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। নিট পিজি ২০২৪ পরীক্ষা জুন থেকে পিছিয়ে নিয়ে গিয়ে করা হয়েছে অগাস্টে।’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এমসিসি তাদের ওয়েবসাইটে নিট ইউজি এবং পিজির কাউন্সেলিংয়ের সিডিউল ঘোষণা করবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কতগুলি আসন রয়েছে তা জানাবে এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া (Counselling) সম্পূর্ণ হওয়ার পর এই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে (NEET UG 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলচ্চিত্র দুনিয়ায় শোকসংবাদ। প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডো (Jon Landau) প্রয়াত হয়েছেন। যিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মূলক চলচ্চিত্র ‘অ্যাভাটার’ এবং ‘টাইটানিক’-এর মতো হলিউডে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামরন। তবে কী ভাবে মারা গিয়েছেন এই পরিচালক, তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ শুধু ক্যান্সার বলা হয়েছে।

    ‘অবতার ২’-তে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন (Jon Landau)

    জেমস ক্যামরনের চলচ্চিত্র ‘অবতার ২’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র টাইটানিক ছবিতেও অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সেই সময় জনকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি তিনবার অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে সেরা পুরস্কারও জিতে ছিলেন। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে জেমস ক্যামেরনেরও পূর্ণ অবদান ছিল।

    প্রোডাকশন ম্যানেজার দিয়ে কাজ শুরু (Jon Landau)

    জন কর্মজীবনে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, জন ল্যান্ডিউ তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৮০ সালে। তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজক হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে বিশাল ব্যয়ের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁরা ১১ বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জনের দুই ছেলে জেমি ল্যান্ডো এবং জোডি। তাঁর স্ত্রীর নাম জুলি। তাঁদের রেখে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন জন।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    পুত্রের শোক প্রকাশ

    প্রযোজকের ছেলে জেমি ল্যান্ডিউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমার বাবা আর পৃথিবীতে নেই।” অন্যদিকে, জনের মৃত্যুতে জেমস ক্যামেরন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রচুর ভক্ত। এছাড়াও হলিউডের আরও অনেক তারকা জনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তাঁরা জনের (Jon Landau) পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কি হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’ শুরু হয়ে গেল? গত এক সপ্তাহে ভারত (India) এবং বহির্ভারতে হিন্দুদের (Hindus Under Attack) ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এই প্রশ্ন। কখনও জোর করে ধর্মান্তকরণ, কখনও আবার বেছে বেছে হিন্দুদের খুন-মারধর, কখনও আবার হিন্দুদের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, মন্দিরে ভাঙচুর, ঘৃণা ভাষণ এবং যৌন হিংসার ঘটনা শুরু হতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হিন্দু ধর্মের ওপর ফের নেমে এল অত্যাচারীদের খড়্গ-কৃপাণ? এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৩০ জুন থেকে ৬ জুলাই- এই এক সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহ।

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ (Hindus Under Attack)

    মহারাষ্ট্রের ঠানেতে এক হিন্দু মহিলাকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে এক মুসলমানের বিরুদ্ধে। আফসানা পারভিন এই মিথ্যে পরিচয়ে দিল্লির এক তরুণকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের সিএসআই ইমানুয়েল চার্চে রবিবারের প্রার্থনাসভায় হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে প্রিন্স কেলভিনের বিরুদ্ধে। প্রার্থনাসভাটি পরিচালনা করছিলেন তিনিই (Hindus Under Attack)। অসমের গুয়াহাটিতে এক কুখ্যাত যুবকের প্রেম-প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় অপহরণ করা হয় এক আইনের ছাত্রীকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আশরাফ জামান নামে এক যুবককে।

    তালিকায় হরিয়ানা, রাজস্থান…

    হরিয়ানার ফরিদাবাদে জনতা কলোনি এলাকার এক কালী মন্দিরের সামনে নিদারুণভাবে নির্যাতন করা হয় মন্দিরের পুরোহিত রবি কাশ্যপকে। জখম অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রাজস্থানের মহাত্মা গান্ধী পার্ক এলাকায় কর্মসূচি পালন করছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। অদূরেই ক্রিকেট খেলছিল কয়েকজন মুসলমান ছেলে। স্বয়ংসেবকদের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে ৬ জন ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে।

    আর পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে দুই মুসলিম যুবক তানিম এবং ফৈজান হিন্দুদের কয়েকটি দোকানে ঢুকে পড়ে মারধর করে দোকানদার ও তাঁদের কর্মীদের। কর্ণাটকের কালাবুর্গি এলাকায় ভীমশঙ্কর দাশারা নামে এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন মুসলমান যুবক। পাঞ্জাবে শিবসেনা প্রধান সন্দীপ থাপারের ওপর কয়েকজন শিখ তরোয়াল নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে এক মুসলমান ফল বিক্রেতা পাথরের আঘাতে একটি চোখ নষ্ট করে দেয় নিতু সিং নামে একজনের। কেবল ভারত নয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও এই জাতীয় ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে (India) বলে অভিযোগ।

    সনাতনীদের ওপর এহেন আক্রমণ কেন (Hindus Under Attack)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 71: “আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার”

    Ramakrishna 71: “আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার”

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা—শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন

    জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার-কুটীচক-তীর্থ কেন

    কবীরদাসের নিরাকারের উপর খুব ঝোঁক ছিল। কৃষ্ণের কথায় কবীরদাস বলত ওঁকে কি ভজব?—গোপীরা হাততালি দিত আর উনি বানর নাচ নাচতেন! (সহাস্যে) আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার।

    মণি (সহাস্যে)—যার কথা (Kathamrita) হচ্ছে তিনিও (ঈশ্বর) যেমন অনন্ত, আপনিও তেমনি অনন্ত!—আপনার অন্ত পাওয়া যায় না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—তুমি বুঝে ফেলেছ!—কি জানো—সব ধর্ম একবার করে নিতে হয়।–সব পথ দিয়ে আসতে হয়। খেলার ঘুঁটি সব ঘর না পার হলে কি চিকে উঠে?—ঘুঁটি যখন চিকে উঠে কেউ তাকে ধরতে পারে না।

    মণি–আজ্ঞা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যোগীর দুই প্রকার–বহুদক আর কুটীচক। যে সাধু অনেক তীর্থ করে বেড়াচ্ছে, যার মনে এখনও শান্তি হয় নাই, তাকে বহুদক বলে। যে-যোগী সব ঘুরে মন স্থির করেছে, যার শান্তি হয়ে গেছে—সে এক জায়গায় আসন করে বসে—আর নড়ে না। সেই এক স্থানে বসতেই তার আনন্দ। তার তীর্থে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন করে না। যদি সে তীর্থে যায়, সে কেবল উদ্দীপনের জন্য।

    আমায় (Ramakrishna) সব ধর্ম একবার করে নিতে হয়েছিল—হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান আবার শাক্ত, বৈষ্ণব, বেদান্ত, এসব পথ দিয়েও আসতে হয়েছে। দেখলাম, সেই এক ঈশ্বর (Ramakrishna)—তাঁর কাছেই সকলি আসছে—ভিন্ন ভিন্ন পথ দিয়ে।

    তীর্থে গেলাম তা এক-একবার ভারী কষ্ট হত। কাশীতে সেজোবাবুদের বৈঠকখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে দেখি তারা বিষয়ের কথা (Kathamrita) কচ্ছে!–টাকা, জমি, এই সব কথা। কথা শুনে আমি কাঁদতে লাগলাম। বললাম, মা কোথায় আনলি! দক্ষিণেশ্বরে যে আমি বেশ ছিলাম। পইরাগে দেখলাম, সেই পুকুর, সেই দুর্বা, সেই গাছ, সেই তেঁতুল পাতা! কেবল তফাত পশ্চিমে লোকের ভূষির মতো বাহ্য। (ঠাকুর ও মণির হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ তিনি (মা) গুরু—আর ব্রহ্মময়ী স্বরূপা।

    মণিচুপ করিয়া আছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে আবার ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করিতেছেন—

    মণি—আজ্ঞা, নিরাকারে কিরকম দেখা যায়?—ও কি বর্ণনা করা যায় না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (একটু চিন্তা করিয়া)—ও কিরূপ জানো?—

    এই কথা বলিয়া ঠাকুর একটু চুপ করিলেন। তৎপরে সাকার-নিরাকার দর্শন কিরূপে অনুভূতি হয়, একটি কথা বলিয়া দিলেন। আবার ঠাকুর চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি জানো, এটি ঠিক বুঝতে সাধন চাই। ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, আর নিতে চাও, তাহলে পরিশ্রম করে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়। তারপর রত্ন বার করে আনতে হয়। তা না হলে তালা দেওয়া ঘর—দ্বারের কাছে দাঁড়িয়ে ভাবছি, ওই আমি দরজা খুললুম, সিন্দুকের তালা ভাঙলুম—ওই রত্ন বার করলুম। শুধু দাঁড়িয়ে ভাবলে তো হয় না। সাধন করা চাই।

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা—শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন

    জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার-কুটীচক-তীর্থ কেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জ্ঞানীরা নিরাকার চিন্তা করে। তারা অবতার মানে না। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে স্তব (Kathamrita) করেছেন, তুমি পূর্ণব্রহ্ম; কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন আমি পূর্ণব্রহ্ম কিনা দেখবে এস। এই বলে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বললেন, তুমি কি দেখছ? অর্জুন বললেন, আমি এক বৃহৎ গাছ দেখছি,– তাতে থালো থালো কালো জামের মতো ফল ফলে রয়েছে। কৃষ্ণ বললেন, আরও কাছে এস দেখ দেখি ও থালো থালো ফল নয়—থালো থালো কৃষ্ণ অসংখ্য ফলে রয়েছে—আমার মতো। অর্থাৎ সেই পূর্ণব্রহ্মমরূপ থেকে অসংখ্য অবতার হচ্ছে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share