Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bullet-Train: মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন, ভাপি ও সুরাটের মধ্যে ন’টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ

    Bullet-Train: মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন, ভাপি ও সুরাটের মধ্যে ন’টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই-আমেদাবাদ (Bullet-Train) বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ভাপি এবং সুরাতের মধ্যে নয়টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এনএইচএসআরসিএল (NHSRCL) জানিয়েছে, ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডরের জন্য গুজরাটের মোট ২০টি নদী সেতুর মধ্যে ১২টি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

    নদীর উপর ১২০ মিটার সেতু (Bullet-Train)

    ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচএসআরসিএল) রবিবার (৩ নভেম্বর) জানিয়েছে,  প্রকল্পের গুজরাট অংশের অন্তর্গত নভসারি জেলার খারেরা নদীর উপর একটি ১২০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি  সমাপ্তির পর্যায়ে। গুজরাটে ৩৫২ কিমি এবং মহারাষ্ট্রে ১৫৬ কিমি (Bullet-Train) বিস্তৃত হয়েছে এই রেলপথ। এই পথে গুজরাটে ২০টি নদী সেতু রয়েছে। এটি হতে চলেছে দ্বাদশ সেতু। বুলেট ট্রেন প্রকল্পে মুম্বই, ঠানে, ভিরার, বোইসার, ভাপি, বিলিমোরা, সুরাট, ভারুচ, ভাদোদরা, আনন্দ বা নদিয়াদ, আমেদাবাদ এবং সবরমতিতে ১২টি স্টেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ যোগীকে খুনের হুমকি, মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করল মুসলিম তরুণীকে

    সময় ব্যবধান প্রায় ৩ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে

    একবার বুলেট ট্রেনটি (Bullet-Train) চালু হলে সময় ব্যবধান অনেক কমে যাবে। আমেদাবাদ এবং মুম্বইয়ের মধ্যে ভ্রমণের সময় লাগে ৬-৮ ঘণ্টা। এবার এই সময় ব্যবধান প্রায় ৩ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুম্বই-আমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডরে ভাপি এবং সুরাট স্টেশনগুলির মধ্যে নয়টি নদী সেতু তৈরি হওয়ার কথা। সবকটিই তৈরি হয়ে গিয়েছে। খরেরা নদী হল অম্বিকা নদীর একটি উপনদী, যা গুজরাট-মহারাষ্ট্র সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ভানসদা তালুকের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে নদী। নদীটি ভাপি বুলেট ট্রেন স্টেশন থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং বিলিমোরা স্টেশন থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খারেরা ছাড়াও ভাপি ও সুরাতের মধ্যে পার, পূর্ণা, মাইন্ধোলা, অম্বিকা, আওরঙ্গা, কোলাক, কাবেরী এবং ভেঙ্গানিয়া নদীর উপরও সেতু তৈরি করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে এনএইচএসআরসিএল বলেছে, “টানেলের মোট ২১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ব্যবহার করে এবং বাকি ৫ কিলোমিটার নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং পদ্ধতি দ্বারা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

    বোরিং-এর কাজ জোর কদমে চলছে

    বুলেট ট্রেনের (Bullet-Train) রেলপথ নির্মাণে ১৩.৬ মিটার কাটার হেড ব্যাস সহ স্লারি টাইপ টিবিএমগুলি জমির অবস্থা এবং নির্ভরযোগ্যতার কথা মাথায় কাজ করছে। টিবিএম কমানো এবং পুনরুদ্ধারের জন্য তিনটি শ্যাফ্টের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আরও, ৩৯৪ মিটার দীর্ঘ অ্যাডিশনাল ড্রিভেন ইন্টারমিডিয়েট টানেল (এডিআইটি) ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং কাজের গতি বাড়ানোর জন্য এনএটিএম (NATM)-এর মাধ্যমে টানেল বোরিং-এর কাজ জোর কদমে চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: জনজাতিদের বাদ দিয়েই ঝাড়খণ্ডে চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: জনজাতিদের বাদ দিয়েই ঝাড়খণ্ডে চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে চালু করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)। তবে বাদ রাখা হবে জনজাতিদের। তাঁরা এর আওতায় পড়বেন না।” ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    শাহি প্রতিশ্রুতি (Amit Shah)

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮১। নির্বাচন হবে দু’দফায় – ১৩ ও ২০ নভেম্বর। ফল প্রকাশ হবে ২৩ নভেম্বর। প্রথম দফায় যে আসনগুলিতে নির্বাচন হবে, সেগুলিতেই প্রচারে গিয়েছিলেন শাহ। শনিবার রাতে রাঁচিতে পৌঁছন তিনি। রবিবার এক সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সরকারে এলে ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করবে বিজেপি। কিন্তু আমি আশ্বাস দিচ্ছি, জনজাতিদের এর আওতার বাইরে রাখা হবে। জেএমএম (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা) সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে, ইউসিসি এলে জনজাতিদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” শাহ বলেন, “ক্ষমতায় এসেই ঝাড়খণ্ডে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিজেপি।”

    শয়তানদের ঠাঁই হবে গারদে

    অনুপ্রবেশ সমস্যার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। শাহের দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের প্রশ্রয়েই ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। এই বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তুষ্টিকরণের রাজনীতি তুঙ্গে। দেশের মধ্যে সব চেয়ে দুনীতিগ্রস্ত রাজ্য ঝাড়খণ্ড।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে সিবিআই এবং এসআইটি তদন্ত হবে। শয়তানদের ঠাঁই হবে গারদে।” তিনি বলেন, “ক্ষমতায় এলে রাজ্যে ১০টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হবে। ৭০ বছরের বেশি বয়সিদের আয়ুষ্মান জীবন ধারা যোজনায় কভারেজ ফি ৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হবে ১০ লাখ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বেডও বাড়ানো হবে।”

    আরও পড়ুন: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, চাপে পড়ে নিন্দামন্দ করলেন ট্রুডো!

    শাহের বক্তৃতায় অনিবার্যভাবে এসেছে নকশাল প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে নকশালদের মুছে ফেলা হবে। এটাই সেই সময় যখন দলিত-বিরোধী, দরিদ্র বিরোধী এবং যুব-বিরোধী হেমন্ত সরকারকে ঝাড়খণ্ড থেকে তাড়াতে হবে (Uniform Civil Code)। সস্তা রাজনৈতিক লাভের জন্য এরাই অক্সিজেন জোগাচ্ছে নকশালদের (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Uttarakhand: শীতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল উত্তরাখণ্ডের যমুনোত্রী-কেদারনাথ ধামের দরজা

    Uttarakhand: শীতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল উত্তরাখণ্ডের যমুনোত্রী-কেদারনাথ ধামের দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন শীতের জন্য বন্ধ করা করে দেওয়া উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) যমুনোত্রী ধাম। রবিবার দুপুরের ১২ টা ৫ মিনিটের শুভ মুহূর্তে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে, একটি সজ্জিত পালকিতে মাতা যমুনোত্রীকে বসিয়ে শোভাযাত্রা করে খরসালি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এই শোভাযাত্রাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ ছিল ভক্তদের। একই ভাবে কেদারনাথ (Yamunotri-Kedarnath Dham) মন্দিরের ভগবান শিবকে বৈদিক মতে পুজো করে মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়। এই দৃশ্য দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয়েছিলেন।

    ভারতীয় সেনা ব্যান্ডে ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন (Uttarakhand)

    জানা গিয়েছে, শীতের মরশুমে মা যমুনোত্রীকে (Yamunotri-Kedarnath Dham) এই খরশালি গ্রামের যমুনা মন্দিরের নিয়ে আসা হয় এবং এখানেই মায়ের পুজো অর্চনা করা হবে। যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা খোলা না হওয়া পর্যন্ত ভক্তরা এই খরসালি (Uttarakhand) মন্দিরেই পুজো করতে পারবেন। অপর দিকে রবিবারেই আবার শীতের জন্য কেদারনাথ ধামের মন্দির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরের দরজা বন্ধের সময় ওম নমঃ শিবায়, জয় বাবা কেদারনাথ এবং ভারতীয় সেনা ব্যান্ডের ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করে বৈদিক আচার এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের রীতি পালন করা হয়। একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে বলা হয়েছে, ১৫ হাজারের বেশি ভক্ত মন্দিরের দরজা বন্ধের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন। দীপাবলির দিনেই মন্দির প্রাঙ্গণকে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ কৈলাশের পথেই কি কেলেঙ্কারি! কয়েক হাজার কঙ্কাল উদ্ধার পিথোরাগড়ের গুহায়

    পঞ্চমুখী উৎসব পালকি মন্দির থেকে বের করা হয়

    কেদারনাথ (Uttarakhand) মন্দিরে রবিবার ভোর ৫টায় পুজাচার শুরু করা হয়। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি আজ্যেন্দ্র অজয়, আচার্য, বেদপাঠী এবং আরও অনেক পুরোহিতেরা। এই শৈব ধামের স্ব-প্রকাশিত শিবলিঙ্গকে ছাই, ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো করা হয়েছে। এরপর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বাবা কেদারের পঞ্চমুখী উৎসব পালকি মন্দির থেকে বের করা হয়। এরপর কেদারনাথ (Yamunotri-Kedarnath Dham) মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীতের মরশুমে জুড়ে মন্দিরের ফটক বন্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 185: “একদিনে কি নাড়ী দেখতে শেখা যায়? যাদের নাড়ী দেখা ব্যবসা, তাদের সঙ্গ করতে হয়”

    Ramakrishna 185: “একদিনে কি নাড়ী দেখতে শেখা যায়? যাদের নাড়ী দেখা ব্যবসা, তাদের সঙ্গ করতে হয়”

     ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

     শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা উপলক্ষে ভক্তসঙ্গে সুরেন্দ্রভবনে

    স্বাধীন ইচ্ছা না ঈশ্বরের ইচ্ছা? Free will or God’s Will 

    বৈদ্যনাথ—মহাশয়! একটি সন্দেহ আমার আছে। এই যে বলে Free Will অর্থাৎ স্বাধীন ইচ্ছা—মনে কল্লে ভাল কাজও কত্তে পারি, মন্দ কাজও কত্তে পারি, এটি কি সত্য? সত্য সত্যই কি আমরা স্বাধীন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সকলই ঈশ্বরাধীন। তাঁরই লীলা। তিনি নানা জিনিস করেছেন। ছোট, বড়, বলবান, দুর্বল, ভাল, মন্দ। ভাললোক; মন্দলোক। এ-সব তাঁর মায়া, খেলা। এই দেখ না, বাগানের সব গাছ কিছু সমান হয় না।

    “যতক্ষণ ঈশ্বরকে লাভ না হয়, ততক্ষণ মনে হয় আমরা স্বাধীন। এ-ভ্রম তিনিই রেখে দেন, তা না হলে পাপের বৃদ্ধি হত। পাপকে ভয় হত না। পাপের শাস্তি হত না।

    “যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন, তাঁর ভাব কি জানো? আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী; আমি ঘর, তুমি ঘরণী; আমি রথ, তুমি রথী; যেমন চালাও, তেমনি চলি। যেমন বলাও, তেমনি বলি।”

    ঈশ্বরদর্শন কি একদিনে হয়? সাধুসঙ্গ প্রয়োজন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (বৈদ্যনাথের প্রতি)—তর্ক করা ভাল নয়; আপনি কি বল?

    বৈদ্যনাথ—আজ্ঞে হাঁ, তর্ক করা ভাবটি জ্ঞান হলে যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—Thank you (সকলের হাস্য)। তোমার হবে! ঈশ্বরের কথা যদি কেউ বলে, লোকে বিশ্বাস করে না। যদি কোন মহাপুরুষ বলেন, আমি ঈশ্বরকে দেখেছি তবুও সাধারণ লোকে সেই মহাপুরুষের কথা লয় না। লোকে মনে করে, ও যদি ঈশ্বর দেখেছে, আমাদের দেখিয়ে দিগ্‌। কিন্তু একদিনে কি নাড়ী দেখতে শেখা যায়? বৈদ্যের সঙ্গে অনেকদিন ধরে ঘুরতে হয়; তখন কোন্‌টা কফের কোন্‌টা বায়ূর কোন্‌টা পিত্তের নাড়ী বলা যেতে পারে। যাদের নাড়ী দেখা ব্যবসা, তাদের সঙ্গ করতে হয়। (সকলের হাস্য)

    “অমুক নম্বরের সুতা, যে-সে কি চিনতে পারে? সুতোর ব্যবসা করো, যারা ব্যবসা করে, তাদের দোকানে কিছুদিন থাক, তবে কোন্‌টা চল্লিশ নম্বর, কোন্‌টা একচল্লিশ নম্বরের সুতা ঝাঁ করে বলতে পারবে।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 184: “ঈশ্বর কি কারুকে বেশি শক্তি দিয়েছেন? বিভূরূপে সর্বভূতে আছেন, কেবল শক্তিবিশেষ”

    Ramakrishna 184: “ঈশ্বর কি কারুকে বেশি শক্তি দিয়েছেন? বিভূরূপে সর্বভূতে আছেন, কেবল শক্তিবিশেষ”

     ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল 

    শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা উপলক্ষে ভক্তসঙ্গে সুরেন্দ্রভবনে

    সুরেন্দ্রের বাড়ির উঠানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সভা আলো করিয়া বসিয়া আছেন, অপরাহ্ন বেলা ছয়টা হইল।

    উঠান হইতে পূর্বাস্য হইয়া ঠাকুরদালানে উঠিতে হয়। দালানের ভিতর সুন্দর ঠাকুর-প্রতিমা। মার পাদপদ্মে জবা, বিল্ব, গলায় পুষ্পমালা। মাও ঠাকুরদালান আলো করিয়া বসিয়া আছেন।

    আজ শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা। চৈত্র শুক্লাষ্টমী, ১৫ই এপ্রিল, ১৮৮২ রবিবার, ৩রা বৈশাখ, ১২৯০। সুরেন্দ্র মায়ের পূজা আনিয়াছেন তাই ঠাকুরের নিমন্ত্রণ। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে আসিয়াছেন, আসিয়া ঠাকুরদালানে উঠিয়া শ্রীশ্রীঠাকুর-প্রতিমা দর্শন করিলেন, প্রণাম ও দর্শনানন্তর দাঁড়াইয়া মার দিকে তাকাইয়া শ্রীকরে মূলমন্ত্র জপ (Kathamrita) করিতেছেন, ভক্তেরা ঠাকুর-প্রতিমাদর্শন ও প্রণামানন্তর প্রভুর কছে দাঁড়াইয়া আছেন।

    উঠানে ঠাকুর ভক্তসঙ্গে আসিয়াছেন। উঠানে সতরঞ্চি পাতা হইয়াছে, তাহার উপর চাদর, তাহার উপর কয়েকটি তাকিয়া। এক ধারে খোল-করতাল লইয়া কয়েকটি বৈষ্ণব বসিয়া আছেন—সংকীর্তন হইবে। ঠাকুরকে ঘেরিয়া ভক্তেরা সব বসিলেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) একটি তাকিয়া লইয়া বসিতে বলা হইল। তিনি তাকিয়ার কাছে বসিলেন না। তাকিয়া সরাইয়া বসিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—তাকিয়া ঠেসান দিয়া বসা! কি জানো, অভিমান ত্যাগ করা বড় কঠিন। এই বিচার কচ্ছ, অভিমান কিছু নয়। আবার কোথা থেকে এসে পড়ে!

    “ছাগলকে কেটে ফেলা গেছে, তবু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়ছে।

    “স্বপ্নে ভয় দেখেছ; ঘুম ভেঙে গেল, বেশ জেগে উঠলে তবু বুক দুড়দুড় (Kathamrita) করে। অভিমান ঠিক সেইরকম। তাড়িয়ে দিলেও আবার কোথা থেকে এসে পড়ে! অমনি মুখ ভার করে বলে, আমায় খাতির কল্লে না।”

    কেদার—তৃণাদপি সুনীচেন, তরোরিব সহিষ্ণুনা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি ভক্তের রেণুর রেণু।

    বৈদ্যনাথের প্রবেশ

    বৈদ্যনাথ কৃতবিদ্য। কলিকাতার বড় আদালতের উকিল, ঠাকুরকে হাতজোড় করিয়া প্রণাম করিলেন ও একপার্শ্বে আসন গ্রহণ করিলেন।

    সুরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—ইনি আমার আত্মীয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — হাঁ, এঁর স্বভাবটি বেশ দেখছি।

    সুরেন্দ্র—ইনি আপনাকে কি জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করবেন, তাই এসেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বৈদ্যনাথের প্রতি)—যা কিছু দেখছ, সবই তাঁর শক্তি। তাঁর শক্তি ব্যতিরেকে কারু কিছু করবার জো নাই। তবে একটি কথা আছে, তাঁর শক্তি সব স্থানে সমান নয়। বিদ্যাসাগর বলেছিল, “ঈশ্বর কি কারুকে বেশি শক্তি দিয়েছেন?” আমি বললুম, শক্তি কমবেশি যদি না দিয়ে থাকেন, তোমায় আমরা দেখতে এসেছি কেন? তোমার কি দুটো শিঙ বেরিয়েছে? তবে দাঁড়ালো যে, ঈশ্বর (Ramakrishna) বিভূরূপে সর্বভূতে আছেন, কেবল শক্তিবিশেষ।

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 183: “বীজ এত কোমল, অঙ্কুর এত কোমল, তবু শক্ত মাটি ভেদ করে, মাটি ফেটে যায়”

    Ramakrishna 183: “বীজ এত কোমল, অঙ্কুর এত কোমল, তবু শক্ত মাটি ভেদ করে, মাটি ফেটে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    অধরের প্রতি উপদেশ — সম্মুখে কাল

    ঠাকুর (Ramakrishna) অধরের সঙ্গে তাঁর ঘরে উত্তরের বারান্দায় দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (অধরের প্রতি)—তুমি ডিপুটি। এ-পদও ঈশ্বরের অনুগ্রহে হয়েছে। তাঁকে ভূলো না। কিন্তু জেনো, সকলের একপথে যেতে হবে। এখানে দুদিনের জন্য।

    “সংসার কর্মভূমি। এখানে কর্ম করতে আসা। যেমন দেশে বাড়ি কলকাতায় গিয়ে কর্ম করে।

    “কিছু কর্ম করা দরকার। সাধন। তাড়াতাড়ি কর্মগুলি শেষ করে নিতে হয়। স্যাকরারা সোনা গলাবার সময় হাপর, পাখা চোঙ দিয়ে হাওয়া করে যাতে আগুনটা খুব হয়ে সোনাটা গলে। সোনা গলার পর তখন বলে, তামাক সাজ্‌। এতক্ষণ কপাল দিয়ে ঘাম পড়ছিল। তারপর তামাক খাবে।

    খুব রোখ চাই। তবে সাধন হয়। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।

    তাঁর নামবীজের খুব শক্তি। অবিদ্যা নাশ করে। বীজ এত কোমল, অঙ্কুর এত কোমল, তবু শক্ত মাটি ভেদ করে। মাটি ফেটে যায়।

    কামিনী-কাঞ্চনের ভিতর থাকলে মন বড় টেনে লয়। সাবধানে থাকতে হয়। ত্যাগীদের অত ভয় নাই। ঠিক ঠিক তাগী কামিনী-কাঞ্চন থেকে তফাতে থাকে। তাই সাধন থাকলে ঈশ্বরে সর্বদা মন রাখতে পারবে।

    “ঠিক ঠিক ত্যাগী। যারা সর্বদা ঈশ্বরে (Ramakrishna) মন দিতে পারে, তারা মৌমাছির মতো কেবল ফুলে বসে মধু পান করে। সংসারে কামিনী-কাঞ্চনের ভিতরে যে আছে, তার ঈশ্বরে মন হতে পারে, আবার কখন কখন কামিনী-কাঞ্চনেও মন হয়। যেমন সাধারণ মাছি, সন্দেশেও বসে আর পচা ঘায়েও বসে, বিষ্ঠাতেও বসে।

    “ঈশ্বরেতে সর্বদা মন রাখবে। প্রথমে একটু খেটে নিতে হয়। তারপর পেনশন ভোগ (Kathamrita) করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pithoragarh: কৈলাশের পথেই কি কেলেঙ্কারি! কয়েক হাজার কঙ্কাল উদ্ধার পিথোরাগড়ের গুহায়

    Pithoragarh: কৈলাশের পথেই কি কেলেঙ্কারি! কয়েক হাজার কঙ্কাল উদ্ধার পিথোরাগড়ের গুহায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৈলাশের পথে কেলেঙ্কারি! উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের (Pithoragarh) গুহায় উদ্ধার কয়েক হাজার কঙ্কাল (Skeletons)। কীভাবে এই গুহায় এলো কঙ্কাল! এই নিয়ে বিরাট চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এক কথায় হাড় কাঁপানো ঘটনা। ভারত-নেপালের এই সীমান্তবর্তী এলাকার পরেই ভারতের একেবারে শেষ গ্রাম গারবিয়াংয়ের পাশ দিয়েই কৈলাস যাওয়ার পথ শুরু।

    স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে হত্যা (Pithoragarh)?

    পিথরাগড়ে (Pithoragarh) উদ্ধার হওয়া কঙ্কালকে ঘিরে বিস্তর রহস্যের দানা বেঁধেছে। যাঁদের এই কঙ্কাল, তাঁদের মৃত্যু ঠিক কীভাবে ঘটেছে। এই মৃত্যু কি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে, নাকি আবার একসঙ্গে সকলে আত্মবলি দিয়েছিলেন ইত্যাদি-এই সব নানা প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে। তবে এই অজ্ঞাত অঞ্চলে উদ্ধার হওয়া কয়েক হাজার কঙ্কালকে (Skeletons) ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলে প্রাপ্ত মানব দেহের কঙ্কাল কোনও নতুন বিষয় নয়। তীর্থ যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত এবং পবিত্র রূপকুণ্ড থেকে ১৯৪০ সালে বেশ কিছু মানব কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে।

    ১৮০০ শতকের কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছে অনুমান

    ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অতীতে হয়তো কোনও সময় কৈলাসের তীর্থযাত্রীরা (Pithoragarh) তুষারঝড় বা শিলাবৃষ্টির মতো কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন। আর তাতেই হয়তো প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। তবে কঙ্কাল (Skeletons) উদ্ধারের পর দেহগুলিকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানে দুই ধরনের কঙ্কাল রয়েছে। এই কঙ্কালের একদল মানুষেরা আনুমানিক ৮০০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে জীবিত ছিলেন। অপর দিকে অন্য দলের মানুষজনের ১৮০০ শতকের কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত এর থেকে বেশি তথ্য জানা যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ যোগীকে খুনের হুমকি, মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করল মুসলিম তরুণীকে

    কঙ্কাল কী বন ধর্মাবলম্বীদের?

    ১৯০১ সালে দুই সুইস পর্যটক আর্নল্ড হাইম এবং অগুস্ত গানসের এই অঞ্চল দিয়েই তিব্বতের দিকে এগিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁদের লেখা বিখ্যাত বই ‘ওয়েস্টার্ন টিবেট অ্যান্ড দ্য ব্রিটিশ বর্ডারল্যান্ড’-তে ওই গুহাটির উল্লেখ আছে। নৃতত্ত্ববিদদের একাংশ মনে করছেন এই কঙ্কালগুলো তিব্বতের প্রাচীন ‘বন’ সংস্কার বা ‘বন’ ধর্মরীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত। মোটামুটি নবম শতাব্দীর সময় পর্বে আদি শঙ্করাচার্যের প্রভাবে এই অঞ্চলে হিন্দুধর্ম নতুন করে শক্তিশালী হতে শুরু করেছিল। তবে তাঁর মতের আগে এই এলাকায় ‘বন’ নামের একটি বিশেষ ধর্মমত চালু ছিল। ফলে বৌদ্ধ ধর্মের বজ্রযান এবং স্থানীয় কোনও ধর্মের সংস্পর্শে উক্ত ‘বন’ ধর্মের বিকাশ ঘটেছিল কিনা তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে উত্তরাখণ্ডে (Pithoragarh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Plastic Bricks: বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরি করছে ইসিএল, কিনছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Plastic Bricks: বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরি করছে ইসিএল, কিনছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ বান্ধব করে ইট (Eco Friendly Brick) কিনছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কয়লা উৎপাদনের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএল এবার থেকে বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করে ইট তৈরি শুরু করছে। শুরুতে চাহিদা ভালো হওয়ায় এবার পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার (Bardhaman) শ্রীরামপুরে প্লাস্টিকের ইট তৈরির নতুন যন্ত্র বাসিয়েছে ইসিএল।

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের ইট?

    জানা গিয়েছে, এই ইট (Eco Friendly Brick) তৈরির কারখানার উদ্বোধন করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান সমীরণ দত্ত এবং ডিরেক্টর নিলাদ্রি রায়। পরীক্ষামূলক ভাবে দুই এক দিন চালানোর পর সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইসিএল (Bardhaman)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে একটি ইট তৈরি হতে এক কেজি ওজনের প্লাস্টিকের প্রয়োজন হয়। পুরসভা এলাকার ডাস্টবিন বা ডাম্পিং হাউস থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি যে সব ইসিএল এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়, সেখানে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেগুলিকে কেটে টুকরো টুকরো করে তাপ দিয়ে আংশিক গলিয়ে ঠান্ডা জলে ফেলে রাখা হয়। তারপরে সেগুলিকে মেশিনের সাহায্যে মন্ড করে ইট তৈরি করা হয়। এতে বিভিন্ন রকমের ইট প্রস্তুত হয়। কাজের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী বলেন, “প্লাস্টিক গলাতে সময় লাগে সাধারণত ১৫ মিনিট। গরম কালে সময় লাগে ১০ মিনিট। তবে বাজারের ইটের তুলনায় এই ইট অনেক বেশি শক্তিশালী। তুলনায় হালকাও।”

    আরও পড়ুনঃ ব্যর্থ পুলিশ! রাজাবাজারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    প্রতিদিন গড়ে ১০০টি করে তৈরি হচ্ছে

    এই ইট সম্পর্কে সংস্থার পক্ষ থেকে নিলাদ্রি রায় বলেছেন, “প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের নানান নির্মাণে এই ইট ব্যবহার করবে। পাহাড়ি অঞ্চলে এই ইট দিয়ে নির্মাণ হতে পারে। ওজনে হালকা এবং শক্তিশালী হওয়ায় এই ইট বহন করতেও সুবিধা হবে। প্রতিদিন গড়ে ১০০টি করে তৈরি হচ্ছে এই ইট।” আবার রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোলের (Bardhaman) দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “পরিত্যক্ত প্লাস্টিকে কোথাও রাস্তা তৈরির কাজ হয়েছে। বেসরকারি বা সরকারি উদ্যোগে বর্জ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার যদি বাড়ানো যায় তাহলে বহু সমস্যার সমাধান করা যাবে। কয়লায় দূষণ বাড়ে। প্লাস্টিক ইট (Eco Friendly Brick) পরিবেশ থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে। এই ইট পরিবেশ বান্ধব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indonesia President: ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতো হবেন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি

    Indonesia President: ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতো হবেন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia President) সদ্য ক্ষমতায় বসা রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ান্তোকে ২০২৫ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস (Indias Republic Day) উদযাপনের জন্য সম্ভাব্য প্রধান অতিথি হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ এই জল্পনাটি ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে চলমান কূটনৈতিক আলোচনার ব্যস্ততা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে সুবিয়ান্তোর সাম্প্রতিক নির্বাচনী বিজয় এবং পরবর্তী ২০ অক্টোবর, ২০২৪-এ শপথ নেওয়ার পর থেকেই এই সম্ভাবনা শুরু হয়েছে৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টভাবে ভারত সরকার এখনও কিছু মন্তব্য করেনি।

    মোদির সঙ্গে সুবিয়ানতো বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে (Indonesia President)

    সুবিয়ান্তো (Indonesia President) শপথ নেওয়ার পর উল্লেখযোগ্যভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে উভয় দেশ। ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্গেরিটা সহ ভারতীয় কর্মকর্তারা শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন এবং নতুন ঐ রাষ্ট্রপতিকে ভারতে প্রথম সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই মাসের শেষের দিকে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তো এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ শতাব্দীর উষ্ণতম অক্টোবর ছিল এবছর, নভেম্বরেও পড়বে না শীত! বলছে মৌসম ভবন

    প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ ১৯৫০ সালে ভারতের এসেছিলেন

    সুবিয়ন্তোকে (Indonesia President) প্রধান অতিথি হিসেবে (Indias Republic Day) আমন্ত্রণ জানানো হলে ভারতের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতার নতুন দিক সূচনা হবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ ১৯৫০ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের উদ্বোধনী প্রধান অতিথি ছিলেন। তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের উপর জোর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ইন্দোনেশিয়ার একটি সামরিক দল অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে প্রায় ২৫০ সেনা এবং ইন্দোনেশিয়ার বিমান বাহিনী অংশগ্রহণ করবে। ফলে সামরিক ক্ষেত্রে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর প্রবণতার প্রতিফলিনও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Waqf: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের ৪৩টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ দখল ওয়াকফ বোর্ডের!

    Karnataka Waqf: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের ৪৩টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ দখল ওয়াকফ বোর্ডের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে (Karnataka) ৫৩টি পুরাতত্ত্ব বিভাগের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৩টি দখল করেছে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board)। ইতিমধ্যে সরকারের রাজস্ব বিভাগের পক্ষ থেকে ওই সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডের নামে রেকর্ড এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে এএসআই-এর সমীক্ষার অধীনে থাকা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভকে কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি হিসেবে সিলমোহর দেওয়া হোল? সিদ্ধারামাইয়া, ডিকে শিবকুমার এবং রাহুল গান্ধীরা কি তাহলে এএসআইকে অন্ধকারে রেখে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করলেন?

    রেকর্ড করার সময় মন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ মহসিন (Karnataka)!

    এই স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে রয়েছে গোল গুম্বাজ, ইব্রাহিম রৌজা, বড় কামান, বিদারের দুর্গ এবং কালাবুরাগী এবং অন্যান্য আরও অনেক। এই ৫৩টি স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে ৪৩টি কর্ণাটকের বিজয়পুরায়। বাকিগুলির মধ্যে ৬টি হাম্পিতে এবং ৪টি বেঙ্গালুরু সার্কেলে রয়েছে। ডেকান ক্রনিকলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) ২০০৫ সালে ৪৩টি কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভকে নিজস্ব হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সেই সময় রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা) প্রধান সচিব ছিলেন মোহাম্মদ মহসিন। আবার তিনি বিজয়পুরায় ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি কমিশনারের পদেও ছিলেন। এই চেয়ারম্যান বলেন, “প্রমাণিত প্রামাণ্য তথ্য পেশ করার পর রাজস্ব বিভাগ একটি সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওয়াকফ বোর্ড সম্পত্তির মালিক হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড এবং সরকারের শংসাপত্রও পেয়েও গিয়েছে।”

    ১৯৫৮ সালের বিধি দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

    জানা গিয়েছে একবার কোনও সম্পত্তি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) এর অন্তর্গত হয়ে গেলে, তারপর ডি-নোটিফাই করা যায় না। সেই সঙ্গে অন্য পক্ষের কাছে হস্তান্তরও করা যায় না। আই নিয়ম প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান অবশেষ (AMASR) আইন এবং ১৯৫৮ সালের বিধি দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একজন এএসআই (Karnataka) কর্মকর্তা বলেন, “এই স্মৃতিস্তম্ভগুলির একটি যৌথ সমীক্ষার কাজ ২০১২ সাল থেকে চলছে। ওয়াকফ বোর্ড সেই সময়ে তাদের দাবিগুলি প্রমাণ করার জন্য কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এখন ৪৩টি জায়গাকে বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Board) দখল করে ফেলেছে।

    আরও পড়ুনঃ রোটি-বেটি-মাটি সুরক্ষিত করার আহ্বান শাহের, ঝাড়খণ্ডে ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির

    কিছু সম্পত্তি দোকানদাররা দখল করেছে!

    আবার ডেকান ক্রনিকল আরও বলেছে, “বিজয়াপুরার (Karnataka) ৪৩টি স্মৃতিস্তম্ভ ক্ষতি হয়েছে, তাই প্লাস্টার ও সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। স্মৃতিস্তম্ভে ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্লুরোসেন্ট লাইট ও টয়লেট যুক্ত করা হচ্ছে। তবে এলাকার বেশ কিছু সম্পত্তি দোকানদাররা দখল করেছে। ফলে এই স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে পর্যটকদের প্রবাহের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।” এখন এএসআই-এর অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে গেল, সেটাই এক বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share