Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 179: “ঠাকুর সমাধিস্থ! কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে”

    Ramakrishna 179: “ঠাকুর সমাধিস্থ! কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    তুমি হে উপায়, তুমি হে উদ্দেশ্য, তুমি স্রষ্টা পাতা তুমি হে উপাস্য,
    দণ্ডদাতা পিতা, স্নেহময়ী মাতা, ভবার্ণবে কর্ণধার (তুমি) ॥

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি Ramakrishna)—আহা কি গান! “তুমি সর্বস্ব আমার!” গোপীরা অক্রুর আসবার পর শ্রীমতীকে বললে (Kathamrita), রাধে! তোর সর্বস্ব ধন হরে নিতে এসেছে! এই ভালবাসা। ভগবানের জন্য এই ব্যাকুলতা।

    আবার গান চলিতে লাগিল:

    (১)— ধোরো না ধোরো না রথচক্র রথ কি চক্রে চলে,
    যে চক্রের চক্রের চক্রী হরি যার চক্রে জগৎ চলে।

    (২)—প্যারী! কার তরে আর, গাঁথ হার যতনে।

    গান শুনিতে (Kathamrita) শুনিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ গভীর সমাধিসিন্ধুমধ্যে মগ্ন হইলেন! ভক্তেরা একদৃষ্টে ঠাকুরের দিকে অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। আর সাড়াশব্দ নাই। ঠাকুর সমাধিস্থ! হাতজোড় করিয়া বসিয়া আছেন, যেমন ফটোগ্রাফে দেখা যায়। কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে।

    ঈশ্বরের সহিত কথা—শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) দর্শন—কৃষ্ণ সর্বময় 

    অনেকক্ষণ পরে ঠাকুর (Ramakrishna) একটু প্রকৃতস্থ হইলেন। কিন্তু সমাধির মধ্যে যাঁকে দর্শন করিতেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন। একটি-আধটি কেবল ভক্তদের কানে পৌঁছিতেছে। ঠাকুর আপনা-আপনি বলিতেছেন, “তুমিই আমি আমিই তুমি। তুমি খাও, তুমি আমি খাও!… বেশ কিন্তু কচ্ছ।

    “এ কি ন্যাবা লেগেছে। চারিদিকেই তোমাকে দেখছি!

    “কৃষ্ণ হে দীনবন্ধু প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ!”

    প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ! বলিতে (Kathamrita) বলিতে আবার সমাধিস্থ হইলেন। ঘর নিস্তব্ধ। ভক্তগণ মহাভাবময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna)—অতৃপ্ত-নয়নে বারবার দেখিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: আজ কালীপুজোর শুভ সময় কখন? অমাবস্যা তিথির স্থায়িত্বই বা কতক্ষণ? জেনে নিন

    Kali Puja 2024: আজ কালীপুজোর শুভ সময় কখন? অমাবস্যা তিথির স্থায়িত্বই বা কতক্ষণ? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শক্তির দেবী মা কালীর পুজো। এই বছর একই দিনে পড়েছে কালীপুজো (Kali Puja 2024) এবং দীপাবলি। সারা রাত ধরে চলবে মা কালীর আরাধনা। এই কালী পুজো হয়ে থাকে সাধারনত অমাবস্যায়। তিথি যোগে এই সময়পর্ব অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যলগ্ন। যে কোনও ভালো কাজের সফল কামনা করতে মায়ের পুজো করতে হয়। দেওয়া হয় দেবতার উদ্দেশে বলি। এই মা কালী হলেন দীপান্বিতা, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যায়। এবছর কালীপুজো এবং অমাবস্যার (Amavasya) সময়সূচি কেমন আসুন জেনে নিই।

    কোন সময়ে পুজো (Kali Puja 2024)

    মা কালীর পুজোর দিন হল আজ, বৃহস্পতিবার। এদিন রাতে মায়ের আরধনা হবে। তান্ত্রিক মতে এই রাতেই পুজো (Kali Puja 2024) হবে। বেণী মাধব শীলের পঞ্জিকা মতে, কার্তিক অমাবস্যা (Amavasya) তিথি পড়বে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বেলা ৩টে ৫২ মিনিটে। অমাবস্যার অবসান হবে ১ নভেম্বর ২০২৪ বেলা ১২টা ৪৮ মিনিটে। কালীপুজোর মূল সময় হল ৩১ অক্টোবর রাত ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। কালী মায়ের উপাসনা সারা রাত ধরে হয়ে থাকে। এই ১ ঘণ্টা হল যে কোনও মানত পূরণে ভক্তের কাছে পুণ্যের বা শুভ সময়।

    আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার বালুরঘাটের ‘বাহুবলী’ তৃণমূল নেতা

    ধনতেরাস থেকে ভাতৃদ্বিতীয়া

    অনেকেই আবার কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিনে লক্ষ্মীর পুজোও করে থাকেন। কেউ কেউ গোবর্ধন পুজো করে থাকেন। এই দিনেই গোকূলকে রক্ষা করতে গোবর্ধন পর্বতকে নিজের আঙুলে তুলে নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তবে কোনও কোনও বছর দীপাবলি এবং কালীপুজো একদিন আগে পরেও হয়ে থাকে। কালীপুজোর আগের দিন থাকে ভূত চতুর্দশী। এবছর তা হবে বুধবার, ৩০ অক্টোবর। বাড়িতে ১৪ শাক এবং ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে পূর্ব পুরুষদের মুক্তি কামনা করা হয়। একই ভাবে অতৃপ্ত আত্মাকে শান্ত করতে বিশেষ উপাচার করা হয়। আবার ভূত চতুর্দশীর একদিন আগে ধনতেরাস বা ধন ত্রেয়োদশী পালন করা হয়। এদিন অনেকে মঙ্গল কামনায় সোনা-রূপা কেনেন। একই ভাবে কালীপুজোর ঠিক দুই দিন পর ভাতৃ দ্বিতীয়া পালিত হয়। ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় বোন বা দিদিরা ফোঁটা দিয়ে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূর্তি নেই। অশ্বত্থ গাছ-ই কালী রূপে পূজিতা হন। বারাসতের অন্যতম পুরানো কালীমন্দির কাঠোর রোডের ডাকাত কালীবাড়ি। এই ডাকাত কালীবাড়ি  ঘিরে বহু কথা প্রচলিত রয়েছে আজও। আজও কালীপুজোয় (Kali Puja 2024) এখানে ভক্তদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, প্রতিমা তো নেই-ই, নেই কোনও পুরোহিতও৷ সেখানে কোনও প্রতিমাও নেই। অশ্বত্থ গাছেরও সঠিক বয়স এখন জানা নেই কারও। এখানে এসে মায়ের কাছে মানত করে নমস্কার করে মোমবাতি-ধূপকাঠি জ্বালিয়ে নিজেই পুজো করে যায়।

    মন্দিরের কোনও দরজা নেই (Kali Puja 2024)

    আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরানো এই কালীমন্দির। বারাসতের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ডাকাত কালীবাড়ি বর্তমানে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাস বলেন, এক সময় রঘু ডাকাত (Raghu dakat) এই মন্দির থেকেই পুজো করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হতেন। আবার ডাকাতি করে তাঁর দলবল নিয়ে এই মন্দিরেই ফিরে আসতেন৷ এটাই তাঁর প্রধান আস্তানা ছিল। রঘু ডাকাত সেসময় জমিদারদের বাড়ি ডাকাতি করে গরিবদের বিলিয়ে দিতেন৷ রঘু ডাকাত কখনও গরিবদের ওপর অত্যাচার করতেন না৷ এসব কথা তিনিও শুনেছেন৷ পাশাপাশি আর এক বাসিন্দা সোমনাথ ব্রহ্মচারী জানান এই মন্দিরের কোনও দরজা নেই। যতবারই দরজা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা গিয়েছে, সেই দরজা নেই। সবার বিশ্বাস, মা স্বয়ং দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাই দরজার কোনও দরকার পড়ে না এই মন্দিরে।

    এই ডাকাত কালীবাড়ি জাগ্রত

    এক সময় এই এলাকায় মানুষ আসতে ভয় পেতেন৷ গোটা এলাকা জঙ্গলে ঘেরা ছিল৷ রাতে এই রাস্তায় কেউ যাতায়াত করত না৷ বাড়িঘরও তেমন ছিল না এখানে৷ আজ চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। তবে আজও দূর-দূরান্তের মানুষের কাছে এই ডাকাত কালীবাড়ি (Kali Puja 2024) জাগ্রত। মন্দিরটির ছাদ বলতে অশ্বত্থ গাছের শিকড়৷ ইটগুলি রঘু ডাকাত সহ তার দলবলই কাঠের ডাইস বানিয়ে তাতে মাটি দিয়ে সেই সময় তৈরি করেছিল বলেই শোনা যায়৷ তাঁর দাবি, এই ইট দেখলেই বোঝা যায় একেবারে আলাদা। নেই কোনও নম্বর এবং অক্ষর, যা অন্যান্য ইটের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মন্দির বলতে গাছে শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহা, যার চারিদিকে ইট দিয়ে গাঁথা। আজও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে অন্যতম এই মন্দির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার কুঁড়ে ঘরে থাকতে ভালো লাগছে না, অতি তাড়াতাড়ি মন্দির তৈরি করে দে।” রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেওয়ার পরে এতটুকুও বিলম্ব না করে মন্দির তৈরি করেন রাজা। এর পর থেকেই ১৫ ফুট উচ্চতার হাড়িকাঠে ১০৮টি মহিষ বলি দিয়ে শুরু হয় জাগ্রত দেবী মহিষখাগীর বিশেষ পুজো-অর্চনা (Kali Puja 2024)।

    তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা

    নদিয়ার শান্তিপুর শহরের প্রায় ৩৫০ বছরের প্রাচীন মহিষখাগী কালীমাতার পুজোর ইতিহাস অনন্য। শোনা যায়, এই স্থানে এক তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীতে চ্যাটার্জি বংশের কাঁধে পুজোর দায়িত্বভার পড়ে। কিন্তু দেবীর মন্দির না থাকায় স্বপ্নাদেশে মন্দির নির্মাণ করেন স্বয়ং নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। বর্তমানে স্থানীয় বারোয়ারির তত্ত্বাবধানেই হয়ে আসছে এই জাগ্রত কালীমায়ের পুজো। প্রথমদিকে মন্দির ছিল একটি কুঁড়েঘরের আদলে। পুজোটি (Kali Puja 2024) আগে ছিল চ্যাটার্জি বংশের দায়িত্বে, পরে তাঁরা গত হলে বারোয়ারির হাতে দিয়ে যান পুজোর দায়িত্বভার। আগের মন্দির বহু প্রাচীন হয়ে যাওয়ায় এখন মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ হয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায়। শোনা যায়, বাঙালি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পুজো করা হয় মহিষীখাগী কালীমা’কে। মাকে প্রথম পাটে তোলার সময় থাকে একাধিক নিয়মরীতি। পাটে তোলার পরে মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে সেদিন ভোররাতে হয় দধিমঙ্গল। তারপরে অমাবস্যা শুরু হলে বিয়ের রীতি মেনেই পুজো করা হয় দেবীকে। পরের দিন পালন করা হয় বাসি বিয়ের রীতি। বাসি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পূজিত হন মা। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় মা’কে নিরঞ্জনের জন্য।

    আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে (Kali Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে জানা যায়, বহু বছর আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে, পরবর্তীতে হয় পাঁঠা বলি। তবে অনেক বছর আগে একবার পুজার্চনা করতে দেরি হয়ে যাওয়াতে বলি উৎসর্গের সময় পেরিয়ে যায়। সেই দিন থেকেই মহিষখাগী কালীমায়ের পুজোতে কোনও রকম বলি উৎসর্গ করা হয় না। সেই থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মহিশখাগী মাতার পুজোতে বলি প্রথা। তবে নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে (Goddess Mahishkhagi) দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ। এই পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে সারা শান্তিপুরবাসী মেতে ওঠেন দীপাবলির আনন্দে। দেবীর নিরঞ্জনের ক্ষেত্র রয়েছে দেবী ও ভক্তদের মেলবন্ধন, ভক্তদের কাঁধে করেই নিরঞ্জনযাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয় দেবী মহিষখাগীকে। মনের ভক্তি ও মায়ের আবার আগমনীর আহ্বান জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple: মাথায় হাত চিনের! ভারতে তৈরি ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের আইফোন রফতানি করল অ্যাপল

    Apple: মাথায় হাত চিনের! ভারতে তৈরি ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের আইফোন রফতানি করল অ্যাপল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি) মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন (IPhone) রফতানি করল আমেরিকান কোম্পানি অ্যাপল (Apple)। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ছ’মাসে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে এক তৃতীয়াংশ। মার্কিন এই কোম্পানি যে ক্রমেই চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে, এই ঘটনাই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ। এতে বার্ষিক রফতানি ২০২৪ অর্থবর্ষে ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চৌকাঠ পার হতে চলেছে বলে খবর।

    অ্যাপলের কৌশল (Apple)

    মার্কিন কোম্পানি অ্যাপল ভারতে উৎপাদন নেটওয়ার্ক দ্রুত সম্প্রসারণ করছে। স্থানীয় ভর্তুকি, দক্ষ শ্রমিক এবং দেশীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতার উন্নতির সুযোগ নিচ্ছে এই কোম্পানি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি করা আদতে চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বেজিংয়ের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের উত্তেজনার কারণেই এই কৌশল।

    বাড়ছে অ্যাপলের রফতানির পরিমাণ 

    অ্যাপল (Apple) ভারতের স্মার্টফোন বাজারের প্রায় ৭ শতাংশ দখল করে রেখেছে। এই কোম্পানির তিনটি সরবরাহকারী সংস্থা – তাইওয়ানের ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ এবং পেগাট্রন কর্প এবং দেশীয় টাটা ইলেকট্রনিক্স – ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে আইফোন অ্যাসেম্বল করে। চেন্নাইয়ের শহরতলিতে অবস্থিত ফক্সকনের স্থানীয় ইউনিটটি ভারতের শীর্ষ সরবরাহকারী কোম্পানি। দেশের মোট আইফোনের সিংহভাগ রফতানি করে এরাই। টাটা গ্রুপের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন শাখাটি গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্নাটকের কারখানা থেকে প্রায় ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন রফতানি করেছে বলে সূত্রের খবর (Apple)। টাটা গত বছর উইস্ট্রন কর্পের কাছ থেকে এই ইউনিটটি অধিগ্রহণ করে। এটাই অ্যাপলের সর্বাধিক বিক্রিত পণ্য অ্যাসেম্বল করা প্রথম ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।  

    আরও পড়ুন: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    ভারত ক্রমেই বেশি বেশি করে আইফোন উৎপাদন করছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ রফতানির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ভারত। এর মূল্য ২.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাঁচ বছর আগে, যখন অ্যাপল ভারতে উৎপাদন শুরু করেনি, তখন আমেরিকায় ভারতের বার্ষিক স্মার্টফোন রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২০ কোটি মার্কিন ডলার (Apple)। এখন সেটাই এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি (IPhone)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার আবাস যোজনায় (Awas Yojana scheme) নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দেগঙ্গায়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে রাজ্যের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে। মূলত আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গেলে দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনায় তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। পাল্টা বিজেপি এক হাত নিয়েছে চুরি নিয়ে। উল্লেখ্য একই ভাবে সোমবারও পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।

    যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি (Awas Yojana scheme)

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাস যোজনার (Awas Yojana scheme) পরিকল্পনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার আবাস যোজনায় প্রচুর পরিমাণে আর্থিক নয়-ছয় করেছে। লোকসভার ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার আবাসে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। দুর্নীতির কারণে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থও কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় সমীক্ষার কাজে গেলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভের মুখে পড়েন। স্থানীয়দের বক্তব্য, “তৃণমূলের নেতারা মানুষের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। প্রকৃত প্রাপকরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কারণে। যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি। যাঁদের দুটো তিনটে বাড়ি আছে তাঁদের বাড়িতেই সমীক্ষা করেছে রাজ্য সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা। প্রকল্পের সুবিধা থেকে গরিবদের বঞ্চনা করা হয়েছে।” এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “পুরনো তালিকা অনুযায়ী আবাসের (Awas Yojana scheme) সমীক্ষা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।” 

    পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক ক্ষোভ

    একই ভাবে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। অভিযোগে ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আবার পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে সরকারি সমীক্ষা করছেন বলে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে তৃণমূল পরিচালিত বাঘমুণ্ডি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যায় তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই কর্মীরা। আবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে আরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার বঞ্চিতরা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি করেন। অন্যদিকে, বীরভূমের ইলামবাজারের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের সামনে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুনঃ কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    শুভেন্দুর তোপ

    আসানসোলে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবাসে ব্যাপক রাজনীতি হচ্ছে। তৃণমূল অনেকদিন খেতে পায়নি। তাই প্রকল্প বিক্রি করতে পথে নেমেছে। প্রথমত এই তালিকাতেই কয়েক লক্ষ যোগ্য লোকের নাম নেই ৷ দ্বিতীয়ত, যে নাম এসেছে, অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেদের নাম৷ যাঁদের পাকাবাড়ি (Awas Yojana scheme) আছে, পাওয়ার যোগ্য নয়৷ আমি অন্তত ১০০টা ছবি দেখাতে পারি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pedro Sanchez: ইউপিআইয়ের মাধ্যমে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট, সস্ত্রীক পালন করলেন দীপাবলিও

    Pedro Sanchez: ইউপিআইয়ের মাধ্যমে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট, সস্ত্রীক পালন করলেন দীপাবলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই (UPI) ব্যবহার করে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো স্যাঞ্চেজ (Pedro Sanchez)। যেহেতু তিনি এ ব্যাপারে সড়গড় নন, তাই স্যাঞ্চেজ নিজে ইউপিআই ব্যবহার করতে পারেননি। স্পেনের প্রেসিডেন্টকে লেনদেনে সাহায্য করেছেন এক ভারতীয় প্রতিনিধি। ইউপিআই ব্যবহার করে গণেশ মূর্তি কিনতে পারায় যারপরনাই খুশি স্যাঞ্চেজ।

    জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইউপিআইয়ের (Pedro Sanchez)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্ক প্রসূত ইউপিআই দেশে তো বটেই বিদেশেও ভীষণ জনপ্রিয় হচ্ছে। কিছুদিন আগেই মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ভারত সফরে এসেছিলেন। মলদ্বীপেও যাতে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন করা যায়, তার ব্যবস্থা পাকা করে গিয়েছেন তিনি। অচিরেই মলদ্বীপেও মিলবে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেনের সুবিধা। ইউপিআইয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা। ফ্রান্স সহ একাধিক দেশে এখন কার্যকর ইউপিআই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও গেয়েছেন ইউপিআই-প্রশস্তি। যেভাবে প্রযুক্তিকে সর্বসাধারণের কাজে লাগানো হয়েছে, তা বিশ্বের আর কোনও দেশ, এমনকী আমেরিকাও করে দেখাতে পারেনি বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক পল রোমার। সেই ব্যবস্থাই কাজে লাগিয়ে মুম্বইয়ে গণেশের মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট।

    দীপাবলি পালন

    সস্ত্রীক তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট (Pedro Sanchez)। সোমবার স্ত্রী বেগোনা গোমেজকে নিয়ে মুম্বইয়ে দীপাবলি উৎসবে মাতলেন তাঁরা। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীকে প্রদীপ জ্বালাতে দেখা যায়। তারাবাতিও জ্বালাতে দেখা যায় তাঁদের। লাড্ডু-সহ বিভিন্ন সুস্বাদু ভারতীয় মিষ্টির স্বাদও গ্রহণ করেন তাঁরা (Pedro Sanchez)। স্যাঞ্চেজ বলেন, “স্পেন ও ভারত ২০২৬ সালকে সংস্কৃতি, পর্যটন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বছর হিসেবে উদযাপন করছে।”

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগে ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    তিনি জানান, স্পেন ভারতের জন্য ফুটবল কোচ পাঠাবে। আর ভারত স্পেনে ক্রিকেট প্রচার করতে পারে। সাঞ্চেজ স্পেন ও ভারতের মধ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় উন্নত করার কথাও বলেন। তিনি জানান, শীঘ্রই স্প্যানিশ দল ভারতের ফুটবল ম্যাচে অংশ নেবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ভারতের ডিজিটাল বিপ্লবকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করলেন (পেদ্রো সাঞ্চেজ)। প্রেসিডেন্ট পেদ্রো স্যাঞ্চেজ আজ মুম্বইতে ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেসের মাধ্যমে পেমেন্ট করেছেন। এর রিয়েল-টাইম ও সাচ্ছন্দ্যপূর্ণ লেনদেন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। ডিজিটাল পথ দ্রুতই ভারত-স্পেন প্রযুক্তিগত (UPI) অংশীদারিত্বকে সংযুক্ত করছে (Pedro Sanchez)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোয় বিশেষ মেট্রো ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। দর্শনার্থীদের যাতে ঠাকুর দর্শন এবং বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। কলকাতা শহর এবং শহরতলির প্রচুর মানুষ কালীপুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। বড় বড় ক্লাব এবং প্রসিদ্ধ মন্দিরস্থল দর্শন করে থাকেন ভক্তরা। রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোর সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে।

    কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে ভক্তদের ব্যাপক লাইন পড়ে (Kolkata Metro)

    দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও (Kolkata Metro) ব্যাপক ভিড় হয় দর্শনার্থীদের। বিশেষ করে কালীঘাট এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের প্রচুর লাইন পড়ে। এবার যাতে ভক্তদের ভিড়ে অসুবিধা না হয় তাই গভীর রাত পর্যন্ত মেট্রো ট্রেনের সূচিতে বদল করা হয়েছে। মেট্রো জানিয়েছে, কালীপুজোর রাতে চার জোড়া বিশেষ মেট্রো ট্রেন চলবে। বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো পড়েছে তাই শহরের কিছু বিখ্যাত ঠাকুর দেখার জন্য বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হবে। সাধারণ দিনে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ মেট্রো ছাড়া হয় ৯টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু কালীপুজোর দিনে এই দুই স্টেশন থেকে আরও রাত পর্যন্ত অতরিক্ত দুটো করে মোট চারটি ট্রেন চলবে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    কোন কোন সময়ে চলবে মেট্রো

    মেট্রোর (Kolkata Metro) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৯টা ৪০ মিনিটের পর রাত ১১টা পর্যন্ত, ২০ মিনিট অন্তর অন্তর স্পেশ্যাল মেট্রো চলবে। কবি সুভাষ থেকে যে চারটি বিশেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা, ১০টা ২০ মিনিট, ১০টা ৪০ মিনিট এবং ১১টায়। অপর দিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে স্পেশ্যাল মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৮ মিনিট, ১০টা ০৮ মিনিট, ১০টা ২৮ মিনিট এবং ১০টা ৪৮ মিনিটে। তবে কালীপুজোতে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত গ্রিন লাইনে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মেট্রো চলবে। এই লাইনে শিয়ালদা থেকে প্রথম ট্রেন চলবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। একই ভাবে সেক্টর ফাইভ থেকে ৭টা ৫ মিনিটে প্রথম ট্রেন চলবে। অন্যান্য দিন ওই লাইনে আপ-ডাউন মিলিয়ে ১০৬টি ট্রেন চলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার গ্রিন লাইনে ৯০টি ট্রেন চলবে। তবে প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময় সূচিতে তেমন পরিবর্তন হয়নি। পার্পেল লাইন, অরেঞ্জ লাইনে তেমন কিছু বদল নেই। একইভাবে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মেট্রোতে কোনও ভাবেই আতশবাজি বা দাহ্য পদার্থ বহন করা যাবে না।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে ‘জাগ্রত’ দেবীমূর্তির সামনে বসে গান গাইতেন কিশোর গদাধর!

    Kali Puja 2024: ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে ‘জাগ্রত’ দেবীমূর্তির সামনে বসে গান গাইতেন কিশোর গদাধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহৎ বঙ্গ হল শক্তি সাধনার প্রধান কেন্দ্র। দেবী পার্বতীর ৫১ পীঠের মধ্যে অধিকাংশ বঙ্গের ভূ-মণ্ডলে পড়েছে। শাক্তির আরাধনার সঙ্গে তন্ত্র সাধনা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দেবী দুর্গার আরেক রুদ্র রূপ হল মা কালী। মায়ের শাক্ত গীতিকা বাংলার ঘরে ঘরে পড়া হয় এবং গান গাওয়া হয়। দেবী কালীকথার মধ্যে নানা লৌকিক এবং অলৌকিক আধ্যাত্মিক বিশ্বাস-আস্থার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে এক এক জায়গায়। সাধারণত কালীপুজো সারা বছর ধরেই বিভিন্ন অমাবস্যায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে কার্তিক মাসের অমাবস্যায় কালীপুজো (Kali Puja 2024) সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি (Thanthaniya Kalibari)। ভক্তদের বিশ্বাস, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হয় বলেও বিশ্বাস। এই কালীমন্দিরের অবস্থান উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে একটু দূরেই বিধান সরণিতে।

    কীভাবে নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি (Kali Puja 2024)? 

    নিশ্চয়ই পাঠকের প্রশ্ন রয়েছে, কীভাবে এই মন্দিরের নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি? জনশ্রুতি রয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যখন কেউ যেতেন, তখন দূর থেকেও শোনা যেত এই কালী মন্দিরের (Kali Puja 2023) ঘণ্টাধ্বনি। ঠনঠন আওয়াজ থেকেই এলাকার নাম হয় ঠনঠনিয়া। উত্তর কলকাতার এই কালীপুজোতে (Thanthaniya Kalibari) দেবী পূজিতা হন সিদ্ধেশ্বরী রূপে। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ইতিহাসও। কথিত আছে, কামারপুকুর থেকে যখন কিশোর গদাধর চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় আসেন, তখন মন্দিরের কাছেই ঝামাপুকুরে থাকতেন তিনি। ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে বসে গানও গাইতেন গদাধর। দক্ষিণেশ্বেরে গিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংস হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছেন তিনি। আবার গবেষকদের মতে, সাধক রামপ্রসাদও জড়িত ছিলেন এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সঙ্গে।

    কালীমন্দিরের ইতিহাস

    কথিত আছে, কলকাতার সুতানুটি গ্রাম একেবারে জঙ্গল অধ্যুষিত ছিল। নদীর পাশেই অরণ্যবেষ্টিত এক শ্মশানে তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী তৈরি করেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মূর্তি, যা বর্তমানে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির (Kali Puja 2024) অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সেটা ছিল আনুমানিক ১৭০৩ সাল অর্থাৎ আজ থেকে ৩২০ বছর আগে। তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারীর কালীপুজোর প্রায় ১০০ বছর পরে জনৈক শঙ্কর ঘোষ নামের এক ব্যবসায়ী সিদ্ধেশ্বরী কালীমূর্তির মন্দিরটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে শঙ্কর ঘোষের বংশধররাই এখন এই মন্দিরের সেবায়েত রয়েছেন।

    ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে মূর্তি নির্মাণ হয়

    জনশ্রুতি অনুসারে আরও জানা গিয়েছে, ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে জনৈক তান্ত্রিক মাটি দিয়ে সিদ্ধেশ্বরী কালীমূর্তি গড়েন। ১৮০৬ খ্রিষ্টাব্দে শঙ্কর ঘোষ নামে জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্তমান কালীমন্দির (Kali Puja 2024) ও পুষ্পেশ্বর শিবের আটচালা মন্দির নির্মাণ করেন। নিত্যপূজার ব্যয়ভার গ্রহণ করেন। এখানে মায়ের মূর্তি মাটির, প্রতি বছর মূর্তি সংস্কার করা হয়। ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে (Thanthaniya Kalibari) জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণীর পুজো, কার্তিক অমবস্যায় আদিকালীর পুজো ও মাঘ মাসে রটন্তী কালীর পুজো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 178: “সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা, মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে”

    Ramakrishna 178: “সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা, মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    “বদ্ধজীব—সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা। মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে; কিন্তু নিজে ঘর বানিয়েছে, ছেড়ে আসতে মায়া হয়। শেষে মৃত্যু (Kathamrita)।

    “যারা মুক্তজীব (Ramakrishna), তারা কামিনী-কাঞ্চনের বশ নয়। কোন কোন গুটিপোকা অত যত্নের গুটি কেটে বেরিয়ে আসে। সে কিন্তু দু-একটা।

    “মায়াতে ভুলিয়ে রাখে। দু-একজনের জ্ঞান হয়; তারা মায়ার ভেলকিতে ভোলে না; কামিনী-কাঞ্চনের বশ হয় না। আঁতুড়ঘরের ধূলহাঁড়ির খোলা যে পায়ে পরে, তার বাজিকরের ড্যাম্‌ ড্যাম্‌ শব্দের ভেলকি লাগে না। বাজিকর কি করছে সে ঠিক দেখতে (Kathamrita) পায়।

    “সাধনসিদ্ধ আর কৃপাসিদ্ধ। কেউ কেউ অনেক কষ্টে ক্ষেত্রে জল ছেঁচে আনে; আনতে পারলে ফসল হয়। কারু জল ছেঁচতে হল না, বৃষ্টির জলে ভেসে গেল। কষ্ট করে জল আনতে হল না। এই মায়ার হাত থেকে এড়াতে গেলে কষ্ট করে সাধন করতে হয়। কৃপাসিদ্ধের কষ্ট করতে হয় না। সে কিন্তু দু-এক জনা।

    “আর নিত্যসিদ্ধ, এদের জন্মে জন্মে জ্ঞানচৈতন্য হয়ে আছে। যেমন ফোয়ারা বুজে আছে। মিস্ত্রী এটা খুলতে ফোয়ারাটাও খুলে দিলে, আর ফরফর করে জল বেরুতে লাগল! নিত্যসিদ্ধের প্রথম অনুরাগ যখন লোকে দেখে, তখন অবাক্‌ হয়। বলে এত ভক্তি-বৈরাগ্য-প্রেম কোথায় ছিল?”

    ঠাকুর (Ramakrishna) অনুরাগের কথা বলিতেছেন। গোপীদের অনুরাগের কথা। আবার গান হইতে লাগিল। রামলাল গাহিতেছেন:

    নাথ! তিমি সর্বস্ব আমার। প্রাণাধার সারাৎসার;
    নাহি তোমা বিনে কেহ ত্রিভুবনে, বলিবার আপনার ॥
    তুমি সুখ শান্তি, সহায় সম্বল, সম্পদ ঐশ্বর্য, জ্ঞান বুদ্ধি বল,
    তুমি বাসগৃহ, আরামের স্থল, আত্মীয় বন্ধু পরিবার ॥
    তুমি ইহকাল, তুমি পরিত্রাণ, তুমি পরকাল, তুমি স্বর্গধাম,
    তুমি শাস্ত্রবিধি গুরুকল্পতরু, অনন্ত সুখের আধার ॥
    তুমি হে উপায়, তুমি হে উদ্দেশ্য, তুমি স্রষ্টা পাতা তুমি হে উপাস্য,
    দণ্ডদাতা পিতা, স্নেহময়ী মাতা, ভবার্ণবে কর্ণধার (তুমি) ॥

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share