Tag: news in bengali

news in bengali

  • Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দেখা নেই। ক্রমশ বাড়ছে রাজধানীর তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে দিল্লিতে (Delhi)। তার সঙ্গে রয়েছে তীব্র জল সঙ্কট। উষ্ণায়ন ঠেকাতে গাছ লাগানোর দাবি উঠছে নাগরিকদের বিভিন্ন অংশ থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে দিল্লির রিজ ফরেস্ট এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে ১১০০ গাছ। এমন বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    উপরাজ্যপালকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

    সোমবার এ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি এএস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুইঞাঁর বেঞ্চে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (DDA)। বেঞ্চ বলেছে, ‘‘ডিডিএ’র চেয়ারম্যান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তিনি কী ডিডিএ’র আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন?’’ দিল্লিতে (Delhi) বিশেষ এলাকা রয়েছে যেখানে গাছগাছালিই কেবল থাকার কথা। এই গাছ কেটে নেওয়ার বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদ ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল। এখন নিয়ম হলো সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।  
    অথচ বিপুল সংখ্যায় গাছ কাটা হয়েছে যে এলাকায় সেখানে নিজে গিয়েছিলেন সাক্সেনা। জান গিয়েছে তিনি ঘুরে আসার পরই কাটা হয় একের পর এক গাছ। এ প্রসঙ্গ তুলেই এদিন বিচারপতি ওকা ডিডিএ’র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘দুটি নথিতে স্পষ্ট যে উপরাজ্যপালই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপনারা কী তাঁকে আড়াল করতে চাইছেন?’’ আসলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার ক্ষমতা প্রবল। 

    আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের  

    আদালত ডিডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যানকে বলেছে, ‘‘উপরাজ্যপাল ওই এলাকায় গিয়ে কী নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তার কোনও সরকারি নথি আছে কি? ভাইস চেয়ারম্যানের স্পষ্ট বক্তব্য দরকার।’’ বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘‘ভাইস চেয়ারম্যানের তরফে যে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে যেন কয়েকজন আধিকারিক ঠিক করেছেন গাছ কাটা উচিত। তাঁরাই ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ এই আধিকারিকদের নামেই যদিও আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আইআইটি ক্যাম্পাস, স্বপ্নের উড়ান কৃষক পরিবারের সন্তান ইয়েশুর

    বৃক্ষরোপণ অভিযানের নির্দেশ 

    সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বৃক্ষরোপণ অভিযান চালু করতে হবে ডিডিএ-কে। দিল্লিতে (Delhi) তাপপ্রবাহে সাতদিনের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। আর একইসঙ্গে তাপপ্রবাহের পাশাপাশি তীব্র জলকষ্টে ভুগছে দিল্লি। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের রাজধানী শহরে। আর এরই মধ্যে এবার বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • William Ruto: ব্যাপক অশান্তি, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

    William Ruto: ব্যাপক অশান্তি, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ পিছু হটলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো (William Ruto)। দেশজুড়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ- সংঘর্ষের পর তিনি জানান, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এই বিলে কেনিয়দের কোনও সায় নেই। আমি বশ্যতা স্বীকার করে নিচ্ছি।” বিলটিতে স্বাক্ষর করে সেটিকে তিনি আইনে পরিণত করবেন না বলেও জানান রুতো।

    কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল (William Ruto)

    সম্প্রতি কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল আনার কথা ঘোষণা করে কেনিয়া সরকার। তার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। মঙ্গলবার রাজধানী নাইরোবিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় জনতা (William Ruto)। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভয়ে সংসদ ভবন ছেড়ে পালিয়ে যান সাংসদরা। গুলি ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় সেনাও। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর। আন্দোলনকারীদের মতে, এই বিল পাশ হলে দেশবাসীর দুর্দশা আরও বাড়বে। এদিকে, বুধবার সংসদের অধিবেশন বয়কট করেন বিরোধীরা।

    ব্যাপক বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হলেও, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। নাইরোবির পাশাপাশি বিক্ষোভ চলছে মোম্বাসা, এলডোরেটেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পিছু হটতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি। ঘোষণা করেন, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহারের কথা। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও এরকমই এক আইন পাশ করে বেতন ও বাড়িভাড়ার ওপর কর বসানো হয়েছিল। কেনিয়া সরকারের দাবি, এই কর বসানো হলে অতিরিক্ত ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আদায় সম্ভব হত।

    আর পড়ুন: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    করোনা অতিমারী, ইউক্রেন যুদ্ধ, পর পর দুবছরর দেশে খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন-সহ নানা ধাক্কায় কার্যত বেসামাল কেনিয়ার অর্থনীতি। অর্থনীতির এই বেহাল দশা থেকে বেরতেই একের পর এক আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটছে কেনিয়া সরকার। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। অকালে প্রাণ হারান কেনিয়ার ২২ জন নাগরিক (William Ruto)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Goldy Brar: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    Goldy Brar: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার (Goldy Brar) ও আর এক দুষ্কৃতীর মাথার দাম ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। শুক্রবার এনআইএর তরফে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা গোল্ডির খোঁজ দিলেই মিলবে নগদ পুরস্কার।

    গোল্ডির খোঁজে পুরস্কার

    চলতি বছরের ৮ মার্চ গোল্ডি ও তার ওই সাগরেদ চণ্ডীগড়ে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। তার পরেই গোল্ডি পালিয়ে যায় কানাডায়। ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় পাঞ্জাবের আদেশনগরের বাসিন্দা গোল্ডির (Goldy Brar) বিরুদ্ধে। গোল্ডির সাগরেদ গুরপ্রীত সিং ওরফে গোল্ডি ধিঁলোর খোঁজেও হন্যে এনআইএর আধিকারিকরা। তাদের টিকি ছুঁতে না পারায় শেষমেশ ঘোষণা করা হল ১০ লাখি ইনাম।

    গোল্ডি-খালিস্তানপন্থী যোগ!

    পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনেও অভিযুক্ত গোল্ডি। মাসখানেক আগে গুজব ছড়ায় আমেরিকায় গুলি করে খুন করা হয়েছে কুখ্যাত পাঞ্জাবি গ্যাংস্টার গোল্ডিকে। যদিও পরে জানা যায়, খবরটি নিছকই ভুয়ো। এই গোল্ডির বিরুদ্ধের অভিনেতা সলমান খানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ভারতের অনুরোধে গোল্ডির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল ইন্টারপোল। কানাডার ‘মোস্ট ওয়ান্টেডে’র তালিকায়ও নাম রয়েছে গোল্ডির। ভারতের দাবি, গোল্ডির সঙ্গে যোগ রয়েছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের।

    আর পড়ুন: বিপাকে কেজরিওয়াল, তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে আপ সুপ্রিমো

    পঞ্জাবের এক পুলিশ কর্মীর ছেলে গোল্ডির প্রকৃত নাম সতিন্দরজিৎ সিং। সে প্রথমে স্থানীয় অপরাধী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে জড়িয়ে পড়ে বড় ধরনের অপরাধ চক্রের সঙ্গে। আরও পরে নিজেই বনে যায় গ্যাংস্টার। গোয়েন্দাদের দাবি, কানাডা থেকে গোল্ডিই তোলাবাজি ও অস্ত্র পাচারের কারবার নিয়ন্ত্রণ করত। সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর গোল্ডি দাবি করে, মুসেওয়ালাকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিল সে-ই। কারণ মুসেওয়ালা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী ভিকি মিদুখেরার হত্যায় জড়িত ছিল। এহেন গোল্ডির খোঁজেই ঘোষণা করা হয়েছে ইনাম।

    এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে দুজনকে গ্রেফতারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের খোঁজ যিনি দেবেন, তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে। ওই দুজনের তথ্য জানাতে হবে এনআইএর সদর দফতরের ফোন নম্বর – ০১১-২৪৩৬৮৮০০, হোয়াটসঅ্যাপ/ টেলিগ্রাম: ৯১-৮৫৮৫৯৩১১০০, ইমেল আইডি: ডিও.এনআইএ@গভ.ইন-এ (Goldy Brar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: বিপাকে কেজরিওয়াল, তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে আপ সুপ্রিমো

    Arvind Kejriwal: বিপাকে কেজরিওয়াল, তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে আপ সুপ্রিমো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তিনদিনের জন্য তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠাল দিল্লির নিম্ন আদালত। সিবিআই অবশ্য কেজরিওয়ালকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। তবে দিল্লির রাউজ অ্যাভেনিউ আদালত তাঁকে তিন দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    তিহাড় জেলে বন্দি কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)

    দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বন্দি রয়েছেন তিহাড় জেলে। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের বিশেষ বিচারক অমিতাভ রাওয়াত নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআই চাইলে আবগারি দুর্নীতি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে। তার পর মঙ্গলবারই তিহাড় জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার করা হয় গ্রেফতার। ২০ জুন রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টই জামিন মঞ্জুর করেছিল কেজরিওয়ালের। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যায় ইডি। মঙ্গলবার রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এর পরেই কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    বন্দিদশা ঘোঁচেনি

    মার্চে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তিহাড় জেলে রয়েছেন কেজরিওয়াল। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ২১ দিনের জন্য মিলেছিল অন্তর্বর্তী জামিন। নির্বাচন-পর্ব সাঙ্গ হওয়ার পরেই ফের তিহাড়ে ফিরে যান আম আদমি পার্টির সর্বাধিনায়ক। পরে নিম্ন আদালত জামিন মঞ্জুর করলেও, বন্দিদশা ঘোঁচেনি কেজরিওয়ালের। নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে গিয়েছিল ইডি। সেই জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। তার পরেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

    আর পড়ুন: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাঁরা এমনকি চিনতেও পারেন না যে বিজয় নায়ার তাঁদের অধীনে কাজ করেছিলেন।” তিনি বলেন, “নায়ার অতিশি ও সৌরভ ভরদ্বাজের অধীনে কাজ করছিলেন। তিনি সমস্ত দায় মণীশ সিসোদিয়ার ওপর চাপিয়ে দেন। তাঁদের ফের মুখোমুখি হতে হবে, কাগজপত্র দেখাতে হবে (Arvind Kejriwal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি নিজে গিয়ে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব।” বুধবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দখলদার উচ্ছেদ করতে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ‘অমানবিক’ আখ্যাও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর সাফ কথা, তিনি বা তাঁর দল বেআইনিভাবে সরকারি জমি অধিগ্রহণের বিপক্ষে। তাঁর দাবি, রাজ্যের সর্বত্র নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজ করতে হবে। এজন্য আগে রাজ্য সরকারকে স্ট্যান্ডার্ড ওপারেটিং প্রসিডিওয়র তৈরি করতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিকেলে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের সামান্য রোজগারের ওপর ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবরোধ নামিয়ে আনা হয়েছে। বিজেপির তরফে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগী হয়েছে, আমরা প্রথমে তা মহৎ বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, সরকারি জমি আদৌ উদ্ধার হচ্ছে না। বিশেষ কয়েকটি এলাকায় সাধারণ গরিব মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে ক্যামেরার সামনে। অর্থাৎ কাজের চেয়ে প্রচারের তাগিদ বেশি।”

    ‘এসওপি তৈরি করুন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “জেলা থেকে যে গরিব মানুষেরা প্রতিদিন কলকাতায় এসে সামান্য হকারি করে পেট চালান, এটা কি শুধু তাঁদের জন্য? না গোটা রাজ্যে এ নিয়ে কোনও নীতি তৈরি হয়েছে? আমার দাবি, প্রথমে একটি এসওপি তৈরি করুন। সরকারি জমি চিহ্নিত করুন। তারপর মানুষকে নোটিশ দিয়ে জমি ছাড়তে বলুন।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “হকার উচ্ছেদ করার পর প্রান্তিক গরিব মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, তিনি অনেককে চাকরি দিয়েছেন। এবার কয়েক লক্ষ হকারকেও চাকরি দিন।”

    আর পড়ুন: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এভাবে অন্যায় অত্যাচার চললে আমরা হকারদের পাশে থাকব। প্রয়োজনে আমি নিজে বুলডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াব। লালবাজারের পুলিশ অন্যায়ভাবে গরিব মানুষদের ব্যবসার জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী কাজ।” তিনি বলেন, “কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা ওদের সেই হারের জ্বালার বহিঃপ্রকাশ (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উপদ্রব বাড়ছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের। এবার প্রকাশ্যে এল জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিজেই পেশায় চিকিৎসক। মহারাষ্ট্রের পুণের এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

    জিকা ভাইরাস (Zika Virus)

    জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বছর ছেচল্লিশের ওই চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী কন্যা। জ্বর না সারায় তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রক্তের নমুনা পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় জানা যায়, জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত পিতা-পুত্রী। যদিও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্তে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। জিকা ভাইরাস ডিজিজ একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগের ভাইরাস বহন করে এডিস মশা। এই এডিস মশাই ছড়ায় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এবং ইয়োলো ফিভার। এই মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।

    রোগের লক্ষণ

    এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হালকা জ্বর হবে। সারা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেবে। মাথাব্যথা করবে। পেশি এবং গাঁটে গাঁটে ব্যথা হবে। চোখের নীচে হবে প্রদাহ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কোনও গর্ভবতী এই রোগে ভুগলে তাঁর শিশুর দেখা দিতে পারে জন্মগত ত্রুটি। পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেল্থ অফিসার রাজেশ দিঘে বলেন, “৪৬ বছরের এক চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী মেয়ে যাঁরা পুণে শহরের এরান্ডওয়ান এলাকার বাসিন্দা, তাঁদের শরীরে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। দুজনকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের শরীরে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ দেখে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের এনআইভিতে। ২১ জুন রিপোর্ট মেলে। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাতেই জানা যায়, তাঁর মেয়েও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি।”

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    তিনি জানান, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে এলাকাবাসীকে তাঁদের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) প্রথম সন্ধান মেলে ১৯৪৭ সালে, আফ্রিকার উগান্ডায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    অনেকদিন পরে কাপ্তেনের সঙ্গে সৌরীন্দ্র ঠাকুরের বাড়িতে গিছলাম। তাকে দেখে বললাম, তোমাকে রাজা-টাজা বলতে পারব না, কেননা, সেটা মিথ্যাকথা হবে। আমার সঙ্গে খানিকটা কথা কইলে। তারপর দেখলাম, সাহেব-টাহেব আনাগোনা করতে লাগল। রজোগুণী লোক, নানা কাজ লয়ে আছে। যতীন্দ্রকে খবর পাঠানো হল। সে বলে পাঠালে, আমার গলায় বেদনা হয়েছে।

    সেই উন্মাদ (Ramakrishna) অবস্থায় একদিন বরানগরে ঘাটে দেখলাম, জয় মুখুজ্জে জপ করছে, কিন্তু অন্যমনস্ক! তখন কাছে গিয়ে দুই চাপড় দিলাম।

    একদিন রাসমণি ঠাকুরবাড়িতে এসেছে। কালীঘরে এল। পূজার সময় আসত আর দুই-একটা গান গাইতে বলত। গান গাচ্ছি, দেখি যে অন্যমনস্ক হয়ে ফুল বাচ্ছে। অমনি দুই চাপড়। তখন ব্যস্তসমস্ত হয়ে হাতজোড় করে রইল।

    হলধারীকে বললাম, দাদা একি স্বভাব হল! কি উপায় করি, তখন মাকে ডাকতে ডাকতে ও-স্বভাব গেল।

    মথুরের সঙ্গে তীর্থ ১৮৬৮—কাশীতে বিষয় কথা শ্রবণ ঠাকুরের রোদন

    ওই অবস্থায় ঈশ্বরকথা (Ramakrishna) বই আর কিছু ভাল লাগে না। বিষয়ে কথা হচ্ছে শুনলে বসে বসে কাঁদতাম। মথুরবাবু যখন সঙ্গে করে তীর্থে লয়ে গেলে, তখন কাশীতে রাজাবাবুর বাড়িতে কয়দিন আমরা ছিলাম। মথুরাবাবুর সঙ্গে বৈঠকখানায় বসে আছি, রাজাবাবুরাও বসে আছে। দেখি তারা বিষয়ের কথা কইছে। এত টাকা লোকসান হয়েছে—এই সব কথা। আমি কাঁদতে লাগলাম, বললাম, মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম, তীর্থ করতে এসেও সেই কামিনী-কাঞ্চনের কথা। কিন্তু সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) তো বিষয়ের কথা শুনতে হয় নাই।

    ঠাকুরের ভক্তদের, বিশেষঃ নরেন্দ্রকে, একটু বিশ্রাম করিতে বলিলেন। নিজেও ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতে গেলেন।

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ (Ramakrishna) হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    তাই হল! তার নিজের উন্মাদ হল। তখন সে কেবল ওঁ ওঁ বলত আর একঘরে চুপ করে বসে থাকত। সকলে মাথা গরম হয়েছে বলে কবিরাজ ডাকলে। নাটাগড়ের রাম কবিরাজ এল। কৃষ্ণকিশোর তাকে বললে, ওগো আমার রোগ আরাম কর, কিন্তু দেখো, যেন আমার ওঁকারটি আরাম করো না। (সকলের হাস্য)

    একদিন গিয়ে দেখি, বসে ভাবছে (Ramakrishna)। জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে? বললে টেক্সোয়ালা এসেছিল—তাই ভাবছি। বলেছে টাকা না দিলে ঘটি-বাটি বেচে লবে। আমি বললাম, কি হবে ভেবে? না হয় ঘটি-বাটি লয়ে যাবে। যদি বেঁধে লয়ে যায় তোমাকে তো লয়ে যেতে পারবে না। তুমি তো ‘খ’ গো! (নরেন্দ্রাদির হাস্য) কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি আকাশবৎ। আধাত্ম পড়ত কিনা। মাঝে মাঝে তুমি খ বলে, ঠাট্টা করতাম। হেসে বললাম, তুমি খ টেক্স তোমাকে তো টানতে পারবে না।

    উন্মাদ অবস্থায় লোককে ঠিক ঠিক কথা, হক কথা, বলতু! কারুকে মানতাম না। বড়লোক দেখালে ভয় হত না।

    যদু মল্লিকের বাগানে যতীন্দ্র এসেছিল। আমিও সেখানে ছিলাম। আমি তাকে বললাম, কর্তব্য কি? ঈশ্বরচিন্তা করাই আমদের কর্তব্য কি না? যতীন্দ্র বললে, আমরা সংসারী লোক। আমাদের কি আর মুক্তি আছে! রাজা যুধিষ্ঠিরই নরক দর্শন করেছিলেন। তখন আমার বড় রাগ হল। বললাম, তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ? যুধিষ্ঠিরের সত্যকথা ক্ষমা, ধৈর্য, বিবেক, বৈরাগ্য, ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্তি—এ-সব কিছু মনে হয় না। আর কত কি বলতে যাচ্ছিলাম। হৃদে আমার মুখ চেপে ধরলে। যতীন্দ্র একটু পরেই আমার একটি কাজ আছে বলে চলে গেল।  

    আরও পড়ুনঃ “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন (Lok Sabha Adjourned)। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনডিএর নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। স্পিকার মনোনীত হয়েছেন ওম বিড়লা। স্পিকার হিসেবে বুধবারই ছিল তাঁর প্রথম বক্তৃতা। আর এদিনই বিরোধীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নয়া স্পিকার।

    ‘জরুরি অবস্থার কালো দিন’ (Lok Sabha Adjourned)

    স্পিকার হিসেবে প্রথম বক্তৃতায়ই ‘জরুরি অবস্থার কালো দিনে’র প্রসঙ্গ টানেন ওম। জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদদের দু’মিনিট নীরবতা পালন করতেও বলেন। জনগণের জীবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী শাসনের ক্ষতিকর প্রভাবও তুলে ধরেন তিনি। স্পিকার বলেন (Lok Sabha Adjourned), “এই হাউস ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির তীব্র বিরোধিতা করছে। একই সঙ্গে যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, ভারতের গণতন্ত্র রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছিলেন, তাঁদের অ্যাপ্রিসিয়েট করছে।” তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    স্পিকারের এহেন বক্তব্যের প্রবল বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। ‘দেশ কো জেল বানা দিয়া হ্যায়’, ‘তানাশাহি বন্ধ কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’-র সাংসদরা। এদিকে, দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করতে থাকেন এনডিএর সাংসদরা। বাদানুবাদের জেরে চরমে ওঠে হট্টগোল। তখনই এদিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।

    এদিকে, লোকসভার অধ্যক্ষের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “মাননীয় স্পিকার জরুরি অবস্থার তীব্র নিন্দা করেছেন, সেই সময় ঘটনার বাড়াবাড়িগুলো তুলে ধরেছেন এবং যেভাবে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেছেন। এতে আমি আনন্দিত। সেই দিনগুলিতে যাঁরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের সম্মানে নীরবতা পালন করাও দুর্দান্ত পদক্ষেপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫০ বছর আগে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও, আজকের যুবকদের এই ঘটনা সম্পর্কে জানা উচিত।” তিনি জানান, সংবিধানকে উপেক্ষা করা হলে, জনমতকে দাবিয়ে দেওয়া হলে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হলে কী ঘটে, তার উপযুক্ত উদাহরণ হল জরুরি অবস্থা। তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল, তা স্বৈরাচারী শাসনের উদাহরণ (Lok Sabha Adjourned)।”

    আর পড়ুন: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করেছে আরাবুল।” এবার ভাঙড়ের জেলবন্দি নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রকাশ্য সভা থেকে শওকতের (Saokat Molla) দাবি, আরাবুলের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন আরাবুল। নিজের ছেলেকে জেলা পরিষদের টিকিট পাইয়ে দিতে তাঁর কাছে দরবার করেছেন।

    শওকত মোল্লার মন্তব্য (Saokat Molla) 

    এ প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে আরাবুল (Arabul Islam)। যে তথ্য সামনে এসেছে, তার প্রত্যেক বিষয়ে তদন্ত হবে। সে বিষয়ে পদক্ষেপও করা হবে। আমাদের সামনে অনেক তথ্য এসেছে। সেগুলো সময় মতো সামনে আনা হবে।” শওকত মোল্লার দাবি, জেলা পরিষদ সদস্য খাদিজা বিবি দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। তাঁদেরকে দলের কোনও মিছিলে ডাকা হবে না। প্রশাসনিকভাবে যাতে ওঁরা কোনও সহযোগিতা না পান, সে চেষ্টা করা হবে।

    আগে কী ঘটেছিল? 

    লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে এক আইএসএফ সমর্থকের মৃত্যুর মামলায় ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। এরপর লোকসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ভাঙড় কলেজের মাঠে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে হাজির ছিলেন ওই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শওকত মোল্লাও। সেখানেই জেলবন্দি আরাবুলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    তৃণমূল বিধায়ক শওকতের (Saokat Molla) দাবি, দিন দুয়েক আগে তিনি একটি চিঠি পান। তাতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি হিসাব পেয়েছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে ৬ লক্ষ, তো কারও কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তোলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য ২৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ সবের মূলে ছিলেন আরাবুল। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও আরাবুলের (Arabul Islam) বিরুদ্ধে আরও অনেক অপকর্মের অভিযোগ এসেছে। সমস্ত অভিযোগের তদন্ত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share