Tag: news in bengali

news in bengali

  • Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা বাগান দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ। পুলিশের সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন স্থানীয় ব্যক্তি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার নীচাখালি গ্রামের ডানকান-এর আনারকলি চা বাগানে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় চোপড়া থানার পুলিশ। এরপর আহতদের চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছে। তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭০ বিঘার এই আনারকলি চা বাগান (Uttar Dinajpur) লাভজনক না হওয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে বাগান ছেড়ে চলে যায় ‘ডানকান’ সংস্থা। চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন বাগানের শ্রমিকরা। শ্রমিকরা তাই বাগানের একাংশে চাষ করে কোনক্রমে সংসার চালাচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে এই বাগান নিজেদের কব্জায় আনতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন চোপড়া ব্লকের ভবানীপুর এলাকার তৃণমূল নেতা হাসিবুল ইসলাম সহ তাঁর সঙ্গীরা। হাসিবুল ইসলাম স্থানীয় দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। বাগানের শ্রমিকদের উচ্ছেদ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। বিবাদ মেটাতে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়িতে সালিশী সভা বসলেও তাতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপর শনিবার সকালে হাসিবুল ইসলামের সহযোগিরা বাগান দখল করতে এলে, বাগান দখলে থাকা শ্রমিকরা তাঁদের বাধা দেন। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এরপর চলে গুলি।

    আরও পড়ুনঃ শিয়ালদায় আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে চলবে ১২ কামরার ট্রেন, উঠতে পারবেন হাজারেরও বেশি যাত্রী

    আহত শ্রমিকদের বক্তব্য

    আহত শ্রমিক হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বললেন, “পুলিশের উপস্থিতিতেই হাসিবুলের লোকজন আমাদের উপর গুলি চালিয়েছেন। স্থানীয় (Uttar Dinajpur) পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।” আক্রান্ত আনোয়ারা আরও বলেন, “তৃণমূল নেতা হাসিবুল, শাহিন, সামসুল সকলে মিলে আমাদের উপর পাথর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। বাগানের মালিক কোম্পানি অনেকদিন আগে চলে গিয়েছে, আমরা কোনও ক্রমে কাজ করে খাচ্ছিলাম। কিন্তু এটাই তৃণমূলের গুন্ডাদের সহ্য হচ্ছিল না। ওঁরা এসে গুলিও করেছেন।” ঠিক এরপর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন স্থানীয় চা শ্রমিকেরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrababu Naidu: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    Chandrababu Naidu: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারকে অপমান করার অভিযোগে বিধানসভা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)। সেদিনই বলেছিলেন, যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেদিন ফিরবেন এই ভবনে। ‘কথা’ রাখলেন তিনি। বিধানসভায় ফিরলেন শুক্রবার, ৩১ মাস পরে এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়েই। আড়াই বছরেরও বেশি সময় বিধানসভার বাইরে থাকার পর এদিন সভায় পা রেখেই খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন চন্দ্রবাবু। বিধানসভায় তাঁকে স্বাগত জানান তেলগু দেশম পার্টির বিধায়ক এবং জোটসঙ্গীরা।

    চন্দ্রবাবুর ‘প্রতিজ্ঞা’

    ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা চলছিল অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায়। এই সময় তৎকালীন শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন চন্দ্রবাবু। সেই সময় আচমকাই জগন্মোহন রেড্ডির দলের বিধায়করা চন্দ্রবাবুর স্ত্রীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ (Chandrababu Naidu)। প্রতিবাদে বিধানসভা ছেড়ে চলে যান। সজল চক্ষে বলে যান, “এর পর আমি আর কোনও অধিবেশনে যোগ দেব না। আবার যখন মুখ্যমন্ত্রী হব, তখন বিধানসভায় পা রাখব।” তৎকালীন বিধানসভাকে ‘কৌরবদের সভা’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।

    প্রতিজ্ঞা পূরণ হওয়ায় বিধানসভায়

    উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্সিতে বসেছিলেন জগন্মোহন। চব্বিশের ভোটে পাশা উলটেছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। বিজেপি এবং জনসেনা পার্টির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই নির্বাচনে লড়েছিল টিডিপি। তাতেই উলটে যায় পাশার দান। ১৭৫ আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ১৩৫ আসনে জয়ী হয় টিডিপি। ২১টি আসনে জেতে জন সেনা পার্টি। রাজ্যের আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে ফোটে পদ্ম। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন টিডিপি সুপ্রিমো। এই নিয়ে চতুর্থবার। শুক্রবার পা রাখেন বিধানসভায়।

    আর পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    প্রসঙ্গত, ১২ জুন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন চন্দ্রবাবু। সেদিন কৃষ্ণা জেলার গান্নাভারম বিমানবন্দরের কাছে কেসারাপল্লি আইটি পার্কে বিশাল মঞ্চে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আগামিদিনে অমরাবতীকেই রাজ্যের রাজধানী করা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Chandrababu Naidu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) আবারও চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির৷ রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু বর্তমানে জেলে। এই আবহে এবার আদালতে রেশন-মামলায় ১০ হাজার কোটির দুর্নীতির কথা জানাল ইডি। এর মধ্যে ১ হাজার কোটির মালিকানাও জেনে গিয়েছে তাঁরা। তবে রেশন দুর্নীতির বাকি ৯ হাজার কোটি টাকার উৎস কী এবার সেদিকেই নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।   

    ইডির দাবি (ED) 

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বাকি এই ৯ হাজার কোটির দুর্নীতি (Ration Scam) করেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা আরও একাধিক রাইস ও আটা মিল এবং এই সমস্ত রাইস মিল ও আটা মিলগুলির মালিকদের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তবে এই সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম পরিচয় এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই সকল প্রভাবশালী আটা এবং রাইস মিলের মালিকদের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি৷ মূলত তদন্তকারী আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করবেন যে, ওই সকল রাইস মিল এবং আটা মিলের মালিকরা তাঁদের টাকা কোথায় পাঠাতেন? কার কার কাছে যেত সেই টাকা৷  

    আরও পড়ুন: ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হলেই অর্ধদিবস ছুটি কাটা! সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নিয়ম কেন্দ্রের

    শুক্রবার বিশেষ ইডি আদালতে রেশন মামলায় (Ration Scam) ধৃত বাকিবুর রহমান, তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যদের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানেই ১০ হাজার কোটির দুর্নীতির কথা ফাঁস করে ইডি (ED)। প্রসঙ্গত, এর আগে এই বাকিবুরকে জেরার সময়ই উঠে এসেছিল বালুর নাম। এরপর তাঁর গ্রেফতারি হয়। তবে এবার ইডির এই তদন্তে আবারও নতুন কোনও মোড়ের দেখা মিলবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Station: শিয়ালদায় আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে চলল ১২ কামরার ট্রেন, উঠতে পারবেন হাজারেরও বেশি যাত্রী

    Sealdah Station: শিয়ালদায় আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে চলল ১২ কামরার ট্রেন, উঠতে পারবেন হাজারেরও বেশি যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা স্টেশনের (Sealdah Station) ১, ২ এবং ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২ কামরার লোকাল ট্রেন ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ শনিবার থেকেই তিনটি প্ল্যাটফর্ম সচল হয়ে গিয়েছে। মাত্র আর কয়েক দিনের মধ্যে ৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। বাকি দুটি প্ল্যাটফর্ম থেকেও ১২ কোচের লোকাল চালাচল শুরু হবে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

    রেলের ঘোষণা (Sealdah Station)

    পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, রেল সবসময় পরিষেবা উন্নত করার প্রচেষ্টা করে থাকে। শিয়ালদা (Sealdah Station) অত্যন্ত ব্যস্ত রেল স্টেশন তাই নবতম সংযোজন স্টেশনের জন্য অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং কেবিনের প্রতিস্থাপন। ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণ হয়েছে। এই শিয়ালদার তিনটি শাখার মধ্যে দক্ষিণ শাখার সমস্ত ইএমইইউ ট্রেনকে ১২ কামরার করা হয়েছে। কিন্তু উত্তর এবং মেইন শাখায় এখনও বেশির ভাগ ট্রেন ছিল ৯ কামরার। ট্রেনে ভিড় এবং জনসংখ্যার চাপ সামালতে ব্যাপক হিমশিম খেতে হতো। তাই এবার থেকে ১২ কামরার ট্রেন চালানো হবে উত্তর এবং মেইনে। ১২ কামরার ট্রেন চালালে প্রায় এক হাজার জনের অতিরিক্ত যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেশি হবে। ফলে দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে।

    জনসংযোগ আধিকারিকের বক্তব্য

    পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, “পূর্ব রেল নির্ভরযোগ্য এবং যাত্রী-কেন্দ্রিক পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিয়ালদা (Sealdah Station) ১, ২ এবং ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২ কামরার ট্রেন চালু হওয়ার ফলে যাত্রীরা আরও সুবিধাজনক এবং নিরাপদ ভাবে যাত্রা করতে পারবেন।’’

    আরও পড়ুনঃ মরসুমের প্রথম ইলিশ ঢুকল ডায়মন্ড হারবারে, কত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে জানেন?

    দুর্ভোগে পড়তে হতো

    শিয়ালদা (Sealdah Station) দক্ষিণ শাখার তুলনায় উত্তর এবং মেনের প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘ না হওয়ায় ৯ কামরার ট্রেন চালানো হত। কিন্তু অফিস টাইমে ব্যাপক ভিড়ের কারণে যাত্রীদের যাতায়তে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হতো। এই নিয়ে একাধিকবার যাত্রীরা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। এবার থেকে ১২ কোচের ট্রেন চলায় সুবিধা হবে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বারাসত, ব্যারাকপুর, শান্তিপুর, নৈহাটি, শ্যামনগর, বনগাঁ, ডানকুনি, সোদপুর, খড়দহ-সহ বিভিন্ন স্থানের যাত্রীদের বিধাননগর, দমদম স্টেশন থেকে উঠতে সুবিধা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Govt Employees: ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হলেই অর্ধদিবস ছুটি কাটা! সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নিয়ম কেন্দ্রের

    Central Govt Employees: ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হলেই অর্ধদিবস ছুটি কাটা! সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নিয়ম কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীদের (Central Govt Employees) আরামে থাকার দিন শেষ। এবার থেকে অফিসে ১৫ মিনিট দেরিতে ঢুকলেই আধা দিনের জন্য ‘অনুপস্থিত’ ঘোষণা করা হবে সরকারি কর্মীদের। এই মর্মে নয়া নির্দেশিকা ( New Rule) জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের হাফ ডে-র ক্যাজুয়াল লিভ কাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। সম্প্রতি এক অর্ডার জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা (Central Govt Employees) দেরি করে অফিসে ঢুকছেন এবং যাঁরা নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ এবার থেকে নিজের সময় মতো অফিসের ঢোকার দিন শেষ। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে একাধিক বিষয়ে কর্মচারীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

    কী কী বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র? ( New Rule) 

    কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। রিপোর্ট বলছে, এবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে সরকারি কর্মচারী (Central Govt Employees) এবং আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট দফতরে ঢুকতে বলা হয়েছে। ১৫ মিনিট দেওয়া হয়েছে ‘গ্রেস টাইম’ হিসাবে। অর্থাৎ, দফতরে প্রবেশের সরকারি সময় সকাল ৯টা। সব চেয়ে দেরি হলে ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁরা দফতরে ঢুকতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি দেরি করা যাবে না। কর্মীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি নথিভুক্ত করাতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে। অর্থাৎ, নিজ নিজ পরিচয়পত্র দফতরে ঢোকার সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ‘পাঞ্চ’ করাতে হবে। তাতেই উপস্থিতি নথিভুক্ত হবে। ৯টা ১৫ মিনিটের পর কেউ নিজের কার্ড ‘পাঞ্চ’ করালে তাঁর পৌঁছতে দেরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
    এছাড়াও জারি করা নির্দেশিকায় ( New Rule) বলা হয়েছে, নিয়মিত হাজিরা পোর্টাল থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার থেকে সরকারি কর্মীরা (Central Govt Employees) অফিসে আসতে দেরি করলে তাদের আর্ধেক দিনের ক্যাজুয়াল লিভ কেটে নেওয়া হবে। মাসে দুবার দেরি করে আসার পরে ফের যদি দেরি হয়, তাহলে তখন থেকে এই সিএল কাটা শুরু হবে। তবে বৈধ কারণ দেখালে এক ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বকে ছুট দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    আসলে সরকারি কর্মীদের (Central Govt Employees) অফিসে দেরি করে ঢোকা কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। ম্যানেজাররা একাধিকবার কর্মীদের সতর্ক করলেও কে কার কথা শোনে! কোনও না কোনও অজুহাত লেগেই রয়েছে। আর এরফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কর্মীদের দেরিতে আসা ও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাওয়া অভ্যাসে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেক কাজও বাকি রয়ে যাচ্ছে। তাই এবার অফিসে দেরি করে ঢোকা বন্ধ করতে এই কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: মরসুমের প্রথম ইলিশ ঢুকল ডায়মন্ড হারবারে, কত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে জানেন?

    Hilsa Fish: মরসুমের প্রথম ইলিশ ঢুকল ডায়মন্ড হারবারে, কত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে না করতেই বাজারে দেখা মিলল ইলিশের (Hilsa Fish)। গতকাল শুক্রবার এই মরসুমের প্রথম ইলিশ ঢুকেছে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে। প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা হিসাবে। ভোজন রসিক বাঙালিদের কাছে পছন্দের মাছ হল ইলিশ। ইলিশের ঝাল, ভাপা, পাতুরি, সর্ষে ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়। বর্ষার মরশুমে ইলিশ মাছ পাতে না পড়লে যেন রসনা তৃপ্তি বাঙালির ভোজন সম্পূর্ণ হয় না। তাই ইলিশের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। যদিও মাত্র কয়েকদিন আগে গিয়েছে বাঙালির জামাইষষ্ঠীর উৎসব। কিন্তু সেই সময় টাটকা ইলিশের খোঁজ মেলেনি। তাতে অনেকেরই মন খারাপ ছিল। এইবার বর্ষা আসতেই ইলিশের নিয়ে আশার কথা শোনালেন মৎস্যজীবীরা।

    গত দুই মাস বন্ধ ছিল মাছ ধরা (Hilsa Fish)

    উল্লেখ্য গত দুই মাস সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। অবশ্য এই দুই মাস মাছ ধরার জন্য সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। কারণ এই সময় পরিণত মাছগুলি ডিম দেয়। সেই জন্য মাছের বংশ বিস্তার এবং ছোট মাছ পরিণত হওয়ার সময় সমুদ্রে মাছ ধরার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই বছর ১৫ জুনের পর থেকে মাছ ধরতে ট্রলার নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। ডায়মন্ডহারবারের মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে প্রচুর ইলিশ (Hilsa Fish)। নগেন্দ্রনগর বাজারের আড়তদার এবং ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রায় ৩০০০ কেজি ইলিশ ঢুকেছে বাজারে।

    আরও পড়ুনঃ ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে, মাহেশে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    বাজার সিমিতির বক্তব্য

    নগেন্দ্রনগর বাজার সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার বলেছেন, “এই বছর ইলিশের (Hilsa Fish) মরসুমের শুরুতেই জালে ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে মাছের পরিমাণ কম হলেও ইলিশের আকার অনেক বড় বড় ছিল। দুই মাস সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন আবার। ভালো সাইজের মাছ ধরা পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর ভালো পরিমাণে ইলিশ পাওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি।” শনিবার যৌথ বিবৃতিতে (Modi Hasina Joint Statement) একথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (India Bangladesh Relation)।

    যৌথ বিবৃতি মোদি-হাসিনার

    তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই ইটালি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি৭ সম্মেলন শেষে ফিরেছেন দেশে। তাঁরই আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন হাসিনা। শুক্রবার বিকেলেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার পড়শি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে (India Bangladesh Relation)। তার আগে এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে সংবর্ধনা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুপুর দুটো নাগাদ শেষ হয় সেই বৈঠক। তার পরেই যৌথ বিবৃতি দেন ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

    প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিন ও পাকিস্তানের সাঁড়াশি আক্রমণ প্রতিহত করতেই ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই প্রথমে আমন্ত্রণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা, নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নয়ন ও নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর। এই বৈঠকে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় ও পারস্পরিক বৃদ্ধির ওপরও নজর করা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতাই গুচ্ছ যৌথ উদ্যোগ এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন বৈঠকে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমাদের নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিসান সাগর এবং ইন্দো প্যাসিফিক ভিশনের সঙ্গমস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। গত এক বছরে জনকল্যাণে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি। দুই দেশের মধ্যে চালু হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য। গঙ্গায় বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ সফরও সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।”

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    এদিনের বৈঠক শেষে ভারতকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বলেও সম্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান তিনি। হাসিনা বলেন, “গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধের আবহ, তখন নজির গড়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডাল পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ (Modi Hasina Joint Statement) ফ্রেন্ডশিপ স্যাটেলাইট দুই দেশের সম্পর্ককে নয়া উচ্চতা দেবে।” তিনি জানান, ভারত ও বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে ৫৪টি অভিন্ন নদী (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hinduja Family: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    Hinduja Family: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী শোষণের কালি লাগল ভারতীয় বংশোদ্ভুত হিন্দুজা পরিবারের (Hinduja Family) গায়ে! ব্রিটেনের সব চেয়ে ধনী এই পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুইৎজারল্যান্ডের আদালত। হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে ৪ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজাও শুনিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না হিন্দুজা পরিবারের কোনও সদস্য। মামলাগুলির মধ্যে মানব পাচারের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে এই ধনকুবের পরিবারকে।

    কী বলছেন অজয় হিন্দুজা?

    দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অজয় হিন্দুজাও (Hinduja Family)। তিনি বলেন, “এটি লঘু পাপে গুরুদণ্ডের শামিল। সামাজিক সুবিচার নয়, বরং ন্যায় বিচারের কথা মাথায় রেখেই মামলা পরিচালিত হওয়া দরকার।” বিশ্বের ৩৮টি দেশে তেল, গ্যাস, ব্যাঙ্কিং ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ব্যবসা রয়েছে হিন্দুজাদের। পরিবারের মোট সম্পত্তির মূল্য ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। বিশ্বজুড়ে এঁদের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারির সংখ্যা লাখ দুয়েক।

    হিন্দুজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    এহেন হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারত থেকে সুইৎজারল্যান্ডে জেনেভায় কর্মচারি নিয়ে আসত তারা। পরে তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে রেখে দিত নিজেদের হেফাজতে। আরও অভিযোগ, গার্হস্থ্য কর্মীদের সামান্য মাইনের বিনিময়ে অমানবিক পরিশ্রম করানো হত। বাড়িতে কোনও ভোজসভা বা আমোদ-প্রমোদ চললে কাজ করতে হত ভোররাত পর্যন্ত। অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না ওই পরিচারক-পরিচারিকাদের। রান্নাঘরের মেঝেয় ঘুমোতে হত তাঁদের। কোনও ছুটিও দেওয়া হত না।

    আর পড়ুন: পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের, ধরা পড়লেই জেল-জরিমানা

    এই গার্হস্থ্য কর্মীদের শোষণ, মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়নের অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে হিন্দুজাদের। আইনজীবী ইয়েভস বার্তোস্সা বলেন, “হিন্দুজারা একজন পরিচারক কিংবা পরিচারিকার থেকে একটি পোষ্য কুকুরের জন্য বেশি খরচ করেন। একজন মহিলা পরিচারিকাকে বেতন হিসেবে দিনপ্রতি দেওয়া হয় মাত্র ৬৫৬.৭০ টাকা। সপ্তাহে সাতদিন ১৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয় ওই গার্হস্থ্য কর্মীকে।” হিন্দুজা পরিবারের যাঁদের শাস্তি দিয়েছে আদালত, তাঁরা হলেন প্রকাশ হিন্দুজা, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ। হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হবে উচ্চ আদালতে (Hinduja Family)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahesh Snan Yatra: ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে, মাহেশে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Mahesh Snan Yatra: ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে, মাহেশে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির মাহেশে জগন্নাথ স্নানযাত্রা (Mahesh Snan Yatra) পড়ল ৬২৮ বছরে। বাংলার পুরাতন রথযাত্রা মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই রথযাত্রা। আজ জগন্নাথের স্নানযাত্রায় প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। মূলত প্রতিবছরই জগন্নাথদেবের এই আবির্ভাব দিবস তিথিতে প্রভুকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। বিভিন্ন নিয়ম এবং পুজাচারের মধ্য দিয়ে এই মহা উৎসব পালন করা হয়। জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তিনি আবার অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার (Rath Yatra 2024) দিন তাঁকে আবার রাজপথে দেখতে পাওয়া যায়। আবার মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে এই স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমন্বয়ে এদিন জগন্নাথদেবের অভিষেক ঘটানো হয়।

    দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নানযাত্রা জগন্নাথের (Mahesh Snan Yatra)

    আষাঢ় মাস মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। গ্রীষ্মের প্রবল গরমের পর প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে স্নান (Snan Yatra 2024) করানো হয়। হুগলির মাহেশে ২২ ঘড়া জল এবং দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হয়েছে প্রভু জগন্নাথকে। এই মাহেশের স্নানযাত্রা ছয়শ বছরের বেশি প্রাচীন, ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসেন প্রচুর ভক্ত। সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। তারপর বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির সংলগ্ন মাঠের স্নানমঞ্চে। এরপর করানো হয় স্নান। তবে পুরীতে জগন্নাথের কলেবর পরিবর্তিত হলেও মাহেশে একই বিগ্রহে পুজো করে আসা হচ্ছে। স্নানের পর ঠাকুরের খুব জ্বর আসে, প্রভু জগন্নাথ লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেবন। এরপর রথযাত্রার ঠিক ২দিন আগে মন্দির আবার খোলা হয়। জ্বর সারলে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথ দেব। মাহেশের রথের স্নানযাত্রায় ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়।

    ইসকন জনসংযোগ আধিকারিকের বক্তব্য (Snan Yatra 2024)

    মাহেশের স্নানযাত্রার (Mahesh Snan Yatra) পাশাপাশি মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, “ভগবান জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে তাঁকে স্নান (Snan Yatra 2024) করিয়ে অভিষেক করানো হয়। সকল ভক্তরাই এদিন সুযোগ পান জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর। শুধুমাত্র দেশের ভক্তরাই নয় বিদেশেরও হাজার হাজার ভক্তরা এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজাপুরে এসে উপস্থিত হন। ভোর বেলা থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে জগন্নাথদেবের স্নান করানোর পর তিনি জগদেশ রূপে আবার সকলের অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার দিন (Rath Yatra 2024) তাঁকে আবার রাজপথে দেখা মেলে। সেদিন তিনি রাজাপুর থেকে তাঁর মামার বাড়ি ইসকন মন্দিরের প্রাণকেন্দ্রে চলে আসেন। আজকের এই দিনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে হাজার হাজার ভক্তদের জন্য থাকে প্রসাদের ব্যবস্থা।”

    আরও পড়ুনঃ আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    নবদ্বীপে পোড়ামাতলায় স্নানযাত্রা

    তীর্থ নগরী নদিয়ার নবদ্বীপ শহরের প্রাণকেন্দ্র পোড়ামাতলায় অবস্থিত মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু তীর্থযাত্রী এবং নবদ্বীপ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের আনাগোনা চলে। জানা যায়, প্রায় পাঁচশো বছরের পুরানো এই মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরে প্রতি বছর জগন্নাথের স্নানযাত্রার (Snan Yatra 2024) দিনে পরম্পরা মেনে মা পোড়ামার বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ভোরবেলায় নবদ্বীপের সুরধনীগঙ্গা থেকে ১০৮ ঘড়া গঙ্গাজল নিয়ে আসা হয় এবং মাকে স্নান করিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মায়ের ভোগারতির পর বিকেলে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য এদিন সকাল থেকে দেখা গেল পোড়ামা মন্দির প্রাঙ্গনে অসংক্ষ্য ভক্তদের ভিড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Update: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    Monsoon Update: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। উত্তরবঙ্গে বর্ষা (Monsoon Update) প্রবেশ করেছিল গত ৩১ মে৷ কিন্তু এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো চেয়ে ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী৷ এবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল। ২১ জুন দক্ষিণবঙ্গেও (West Bengal Weather Update) প্রবেশ করল বর্ষা। সম্প্রতি এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে দুই বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের এই ফারাক গত পাঁচ বছরে দেখা যায়নি ৷

    দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ বর্ষার (Monsoon Update) 

    আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশিরভাগ অংশে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলার কিছু অংশেরও দখল নিয়েছে মৌসুমী বায়ু। তবে বর্ষা এলেও ভারী বৃষ্টি এখনই হবে না সেখানে। বরং রবিবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে ৷ 

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস 

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহারের আরও কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে। আবহবিদদের মতে, খুব বেশি বৃষ্টি (Monsoon Update) না হলেও দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে। কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘাছন্ন থাকবে। রাতের তাপমাত্রাও যে খুব বাড়বে তা না। পাশাপাশি, আর্দ্রতা ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather Update) 

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝিরঝিরে হালকা বৃষ্টি (Monsoon Update) চললেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এখনই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং আগামী রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বেশ কমে যাবে। সেই সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী সপ্তাহের বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ফের বৃষ্টি বাড়বে। 

    আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল এমবাপে-হীন ফ্রান্স

    কলকাতার আবহাওয়া 

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতা শহরে হালকা বৃষ্টি (Monsoon Update) হতে পারে। বৃষ্টির হাত ধরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে এরপর আগামী দিন চারেক শহর কলকাতার আবহাওয়ায় বিশেষ বদল নেই। 

    ফের বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে 

    অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের যে অংশে বর্ষার (Monsoon Update) প্রবেশের বাকি ছিল, সেই অংশেও ছড়িয়েছে মৌসুমী বায়ু। ফলে উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় বৃষ্টি চলবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share