Tag: news in bengali

news in bengali

  • India Bloc: বাদল অধিবেশনের আগে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লক

    India Bloc: বাদল অধিবেশনের আগে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) আগে দেশজুড়ে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়া ব্লকের (India Bloc) শীর্ষ নেতারা। তবে সেই বৈঠকে ঐক্যের বদলে ধরা পড়ল অনৈক্যের ছবিই। সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ইন্ডিয়া জোটে ফাটলের এই ছবির প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বৈঠকে অনৈক্যের ছবি (India Bloc)

    এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ২৪টি রাজনৈতিক দল। আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত ছিল আম আদমি পার্টি। এই বৈঠকে যেসব বিষয়ে ঐক্য এবং অনৈক্যের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেগুলি হল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাম-আরএসএস মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সিপিআই নেতা ডি রাজা। সম্প্রতি রাহুল কেরালার বাম আদর্শের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন আরএসএসের সঙ্গে। তা নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগরে দেন রাজা। জোট রাজনীতিতে শরিকদের মধ্যে সমালোচনা একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই থাকা উচিত বলে রাহুলকে মনে করিয়ে দেন এই সিপিআই নেতা।

    বাদল অধিবেশনে হতে পারে হইচই

    এদিনের বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লকের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকের দাবি জানান কয়েকজন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার এবং রাম গোপাল যাদব-সহ কয়েকজন। তাঁরা জানান, অনিয়মিত যোগাযোগ কৌশলগত পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। অগাস্টের শুরুতে জোটের আর একটি বৈঠক হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের দাবিও ওঠে ইন্ডিয়া জোটের এই বৈঠকে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা সংসদে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার দাবি তোলার আহ্বানও জানান। উপস্থিত নেতারা এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেন। গত এপ্রিলে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। এই হামলাকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে চায় ইন্ডিয়া ব্লক। আসন্ন বাদল অধিবেশনে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যর্থতা নিয়েই সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপস্থিত নেতারা (Monsoon Session)।

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান ও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনার আহ্বান

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান ও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয় এদিনের বৈঠকে। দীপঙ্কর ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের মাওবাদী বিরোধী অভিযান এবং বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক (India Bloc) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়টি উত্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি এই সংঘাত মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে একটি বিস্তৃত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। গোয়েন্দা ব্যর্থতা, পেগাসাস এবং এনআরসি নিয়ে সংসদে যে তৃণমূল সোচ্চার হবে, এদিন তারও ইঙ্গিত মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, পহেলগাঁও হামলার পরেও কেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল। তাঁর অভিযোগ, পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এসআইআর-কে এনআরসি বাস্তবায়নের এক গোপন পথ হিসেবেও তুলে ধরেন তিনি।

    ট্রাম্পের বারবার যুদ্ধবিরতির দাবি

    ট্রাম্পের বারবার যুদ্ধবিরতির দাবি নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ বার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করানোর দাবি করেছেন। এনিয়ে চুপ করে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে জোট গভীরভাবে উদ্বিগ্ন (Monsoon Session)।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে। তিওয়ারি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য ছিল।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপির শাসন কালে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে (India Bloc)। বিহারে এসআইআর নিয়ে ঘোষণা ছাড়াই জরুরি অবস্থার অভিযোগও ওঠে। বিহারে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রক্রিয়া তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। বিরোধী জোট একে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার এক ছদ্ম চেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে তারা ঘোষণাহীন জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে।

    অনৈক্যের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে আগেও

    এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না আম আদমির পার্টির তরফে কেউ। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি ইন্ডিয়া ব্লক থেকে ক্রমেই দূরত্ব বাড়াচ্ছে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Monsoon Session)! প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এনডিএকে ঠেকাতে জোটবদ্ধ হয় দেশের ২৬টি বিজেপি বিরোধী দল। এই জোটেরই নাম হয় ইন্ডিয়া ব্লক (India Bloc)। জন্মলগ্ন থেকেই এই জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিবাদ। কখনও প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন তা নিয়ে জোটের অন্দরেই দেখা গিয়েছে অসন্তোষ, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায় এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় জোটের। এছাড়াও জোটের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েও একাধিকবার চোখে পড়েছে জোটের ফাটল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফাটল আরও চওড়া হয়। বিহার নির্বাচনের আগে সেই জোটই তুলে ধরতে চেয়েছিল ঐক্যের ছবি। যদিও (Monsoon Session) প্রকাশ্যে যা এল, তার সঙ্গে ঐক্যের ফারাক বিস্তর (India Bloc)।

  • China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সীমান্তঘেঁষা তিব্বতের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করল চিন (China)। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, ইয়ার্লুং সাংপো (যা ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) নদীর নিম্নভূমিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বাঁধ নির্মাণের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী লি কুয়াং। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা বা ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।

    কেন ভারতের জন্য আশঙ্কার কারণ হতে পারে?

    তিব্বতের এই ইয়ার্লুং সাংপো নদ ভারতে প্রবেশ করে অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে পরিচিত হয় এবং এরপর অসমে এসে ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra River) নাম ধারণ করে। ২০১৫ সাল থেকে ভারতের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে চিন একাধিক পর্যায়ে নদীর উপর নির্মাণকাজ চালিয়ে আসছে। এতে নদীর জলের স্তর হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এই বাঁধের কারণে অসম, অরুণাচল সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে জলসংকট দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করেছেন, তিব্বতে চিনের (China) এই বাঁধ ভারতের জন্য এক গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাঁর মতে, এই বাঁধ কার্যত একটি বিস্ফোরক সময়বোমার মতো।

    প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও

    চিনের (China) এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারত। যদিও সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবু নয়াদিল্লি পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের একটি বাঁক বরাবর, যার ফলে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চিনের হাতে চলে যেতে পারে। বর্ষাকালে নদীতে অতিরিক্ত জল ছেড়ে নিচের দিকের এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং শুষ্ক মৌসুমে জলধারণ কমিয়ে দিয়ে তীব্র জলাভাব তৈরি করার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, ফলে এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। নদীর স্বাভাবিক গতি কৃত্রিমভাবে বাঁধা দিলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের নির্মিত বাঁধ পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বেজিং (China)।

  • Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি আবাক্কা চৌতা (Rani Abbakka Chowta)। ষোড়শ শতকের এই রানি, চৌতা রাজবংশের শাসক ছিলেন এবং কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাজত্ব করতেন, যা তুলুনাড়ু (Tulu Nadu) নামে পরিচিত ছিল। জানা যায়, তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। এই চৌতা রাজবংশ কর্নাটকে দ্বাদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত শাসন করে ছিল।

    মহিলারাও পেতেন যুদ্ধ বিদ্যার প্রশিক্ষণ (Rani Abbakka Chowta)

    এই সময়ে তারা একটি বিশেষ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ছিল আলিয়াসনাতন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যরা যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হতেন, তেমনি মহিলারাও ঘর সামলানোর পাশাপাশি সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতেন। এই সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো ছিল এমন এক ভিত্তি, যেখানে মহিলারা মিলিটারি প্রশিক্ষণ পেতেন এবং রাজ্যশাসন সম্পর্কেও পারদর্শিতা অর্জন করতেন। এই আলিয়াসনাতন ব্যবস্থা ভারতবর্ষে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে—যেখানে মহিলারা যুদ্ধবিদ্যার প্রশিক্ষণ পেতেন, মার্শাল আর্ট শিখতেন এবং রাজনীতি ও প্রশাসন চালাতে সক্ষম হতেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই রানি আবাক্কা চৌতা-র উত্থান হয় এবং তাঁকে একজন যোদ্ধা রানি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাচীন ভারতের এই সমাজব্যবস্থা নারীর ক্ষমতায়নকেই প্রতিফলিত করে। পাশ্চাত্যের থেকেও প্রাচীন ভারতে নারীরা এগিয়ে ছিলেন বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    কাকা তিরুমালা রায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেন আবাক্কা (Rani Abbakka Chowta)

    জানা যায়, আবাক্কা চৌতা-র (Rani Abbakka Chowta) কাকা তিরুমালা রায় কর্ণাটকের উলাল অঞ্চলের শাসক ছিলেন (১৫১০ থেকে ১৫৪৪ সাল পর্যন্ত)। তিনিই আবাক্কাকে মার্শাল আর্ট, মিলিটারি কৌশল, এবং রাজ্যশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিরুমালা রায়ের পরেই আবাক্কা চৌতা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কেউ কেউ বলেন, তাঁর শাসনকাল শুরু হয় ১৫২৫ সালে, আবার অনেকে বলেন ১৫৪৪ সাল থেকে। ঐতিহাসিকদের মতে, আবাক্কা চৌতা-র শাসনকাল ছিল সুশাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর রাজত্বে জৈন, হিন্দু ও মুসলিম — সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকারভোগী ছিলেন এবং তাঁর দরবারে স্বাধীনভাবে উপস্থিত হতে পারতেন। তাঁর প্রশাসনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সুযোগ পেতেন। এমনকি তাঁর সেনাবাহিনীও ছিল বহুধর্মীয় ও বহুজাতিক। এইভাবেই আবাক্কা চৌতা ইতিহাসে একজন প্রগতিশীল, সাহসী এবং দক্ষ শাসক ও যোদ্ধা রানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

  • Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের (Ayodhya Hills) কোলে ছোট্ট গ্রাম। নাম জিলিং সেরেং। পাহাড়ের হিলটপ থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে। নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। নেই বিদ্যুৎ, নেই রাস্তা। নেই সুযোগ-সুবিধা। তাতে কি! জনজাতি গ্রামের এক গৃহবধূ, এক মা নিজেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন শিক্ষার মশাল। নাম মালতী মুর্মু (Malati Murmu)। দুই মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রায় ৪৫ জন শিশুকে পড়াচ্ছেন তিনি। না, কোনও বেতন নেই। নেই সরকারি সার্টিফিকেট। নেই মিড-ডে মিলের সাহায্য। আছে জনজাতি মায়ের এক অদম্য এক ইচ্ছাশক্তি। আছে ভালোবাসা। রয়েছে সংকল্প। সমাজকে বদলাতে হবে। সকাল হলেই মালতী দিদিমণির স্কুল শুরু হয়। একটা নামমাত্র ঘর রয়েছে। আছে কিছু খাতা-কলম, আর অনেকগুলো খুদে মুখ। যাদের চোখে রয়েছে স্বপ্ন। আর দিদিমণির কাছে শেখার আগ্রহ।

    করোনার ঢেউয়ে থেমে গিয়েছিল পৃথিবী, তখনই শুরু হয়েছিল মালতীদেবীর পথচলা

    ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী। লকডাউনের সময় বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হয়, কিন্তু সেই সময় গ্রামের অধিকাংশ ছেলেমেয়ের কাছেই স্মার্টফোন ছিল না। তখনই মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজে একটি স্কুল গড়ার কথা ভাবেন। তিন-চারজন শিশুকে নিয়ে শুরু পথচলা। এই গ্রামে মোট পরিবার রয়েছে ৯৫টি। তবে অধিকাংশ লোকজনই জানেনা পড়াশোনা। শিক্ষার আলো হাতে মালতীদেবীর এগিয়ে চলা মুছে দিচ্ছে গ্রামের অশিক্ষার আলো।

    দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মালতীদেবী

    জানা যায়, মালতি মুর্মুর (Malati Murmu) বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তারপর তিনি জিলিং সেরেং গ্রামের এক বাড়িতে আসেন। তখন তাঁর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না শিক্ষক হওয়ার। অন্যান্য মহিলাদের মতো তিনিও বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এরপর তিনি লক্ষ্য করেন যে, গ্রামে একটি স্কুল আছে বটে, তবে শুধুমাত্র তার পরিকাঠামোই আছে—সেখানে কেউ পড়াতে আসেন না। এরপরেই তিনি নিজের একটি ঘরে স্কুল শুরু করেন। জানা যায়, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

    কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়?

    বর্তমানে ৪৫ জন পড়ুয়া প্রতিদিন মাটিতে বসে মালতি মুর্মুর কাছে ক্লাস নেন। তারা পড়েন ও লেখেন সাঁওতালি ভাষায় এবং অলচিকি অক্ষরে। এর পাশাপাশি সেখানে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও বিজ্ঞানও পড়ানো হয়। জানা যাচ্ছে, মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজেই বলেন, শিক্ষা শুধুমাত্র পরীক্ষা পাশ করার জন্য নয়—শিক্ষা কুসংস্কার দূর করে, শ্রদ্ধাবোধ আনে এবং সমাজে সমতা গড়ে তোলে। প্রথমে যখন মালতি এই স্কুল খুলেছিলেন, তখন অনেকেই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এখন প্রত্যেকেই তাঁকে বিশ্বাস করেন এবং নিজেদের সন্তানদের তাঁর কাছে পড়তে পাঠান ভবিষ্যৎ নির্মাণের আশায়।

    নিজের সংকল্পে অটুট ছিলেন মালতী, শিক্ষিত করতেই হবে শিশুদের

    এমন উদ্যোগের কথা মালতীদেবী প্রথম তাঁর স্বামীকে জানান। পেশায় কৃষিজীবী স্বামী প্রথমে সায় দেননি (Ayodhya Hills)। সংসার, সন্তান, খেতের কাজ সব সামলে আবার পড়ানো! কীভাবে সম্ভব! কিন্তু মালতী মুর্মুর অদম্য মনোবলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কোনও কিছুই। অবশেষে স্বামীও বুঝলেন। পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রীর। একজন গৃহবধূ, একজন মা, নিজে হাতে গড়ছেন ভারতের ভবিষ্যৎ। মালতী মুর্মু যেন এক জীবন্ত প্রতিমা। যিনি আমাদের শেখাচ্ছেন, সমাজ বদলাতে লাগে মনের ইচ্ছা আর সংকল্প। এর সামনে টিকতে পারেনা কোনও বাধা।

  • Daily Horoscope 20 July 2025: খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 July 2025: খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা।

    ২) দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের যোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভাল সময়।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩)  ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল। নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন। তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন। নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

    গিরিশ (নারায়ণ দৃষ্টে-) কে খবর দিলে? মাস্টারি দেখছি সব ছাড়লে, সকলের হাস্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)- রোসো, চুপচাপ করে থাকো, এর নামে একে বদনাম উঠছে।

    অন্য চিন্তা চমৎকার—ব্রাহ্মণের প্রতিগ্রহ করার ফল।

    আবার নরেন্দ্রর কথা পরিল।

    একজন ভক্ত- এখন তত আছেন না কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- অন্য চিন্তা চমৎকার! কালিদাস হয় বুদ্ধিহীনা।

    বলরাম- শিব গুহর বাড়ির ছেলে অন্নদা গুহর কাছে খুব আনাগোনা আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যাঁ, একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়। সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে।

    একজন ভক্ত: তার নাম তারাপদ।

    বলরাম (হাসিতে): ব্রাহ্মণরা বলে অন্নদা গুহ লোকটার বড় অহংকার।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: ব্রাহ্মণদের ওসব কথা শুনো না। তাদের তো জানো—না দিলেই খারাপ লোক, দিলেই ভালো। সকলের হাস্য! অন্নদাকে আমি জানি, ভালো লোক।

  • Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতির সংগঠিত চক্রের পর্দা ফাঁস করল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুলিশ। তারা গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক আবদুল কালামকে। গত আট বছর ধরে সে নেহা (Neha) নামে রূপান্তরকামী নারী সেজে ভোপাল শহরে বসবাস করছিল। বছর দশেক বয়সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কালাম। দু’দশক মুম্বইয়ে কাটানোর পর চলে আসে ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায়। অভিযোগ, সেখানে রূপান্তরকারী পরিচয় নিয়ে স্থানীয় রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে সে। দালাদদের ধরে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় পাসপোর্ট পর্যন্ত জোগাড় করে ফেলেছিল সে।

    আবদুলই নেহা (Neha)

    তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, আবদুল কেবল ভুয়ো পরিচয়পত্রই ব্যবহার করেনি, জাল পাসপোর্ট বানিয়ে সে বিদেশও ঘুরে এসেছে। বুধওয়ারা এলাকায় সে একাধিকবার বাসা বদল করেছে। স্থানীয়রা তাকে নেহা নামেই চেনেন। সে রূপান্তরকামী কিনা, তা জানতে চলছে শারীরিক পরীক্ষা। পুলিশ এও জেনেছে, আবদুল মহারাষ্ট্রেও রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ থেকে স্পষ্ট, তার এই ছদ্মবেশ বড় কোনও চক্রের অংশ হতে পারে। রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা অথবা সব জেনেও কেউ তাকে সাহায্য করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জাল পরিচয়পত্র

    জানা গিয়েছে, আবদুলকে (Neha) ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড় করতে সাহায্য করেছে স্থানীয় দুই যুবক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিস্তৃত চক্র। আবদুলের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কল রেকর্ড এবং চ্যাটগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শালিনী দীক্ষিত বলেন, “সে গত ৮-১০ বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছে। তার আগে সে ছিল মহারাষ্ট্রে। আমরা একটি সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে তার পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করি। এই সময়ের মধ্যে সে বাংলাদেশেও গিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।”

    জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তার আগে এই পুরো (Bangladeshi) চক্রের বিস্তার এবং আবদুলের পুরানো কার্যকলাপ, বাংলাদেশে যাতায়াত এবং যোগাযোগ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে (Neha)।

  • Pilbara Region: পিলবারা অঞ্চলে খোঁজ মিলল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লোহা আকরিকের ভাণ্ডার, পাল্টে দেবে বিশ্বের অর্থনীতি

    Pilbara Region: পিলবারা অঞ্চলে খোঁজ মিলল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লোহা আকরিকের ভাণ্ডার, পাল্টে দেবে বিশ্বের অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পিলবারা অঞ্চলে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার বিশ্ব লোহা আকরিক বাজারে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে। কার্টিন ইউনিভার্সিটির একদল ভূবিজ্ঞানী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বের বৃহত্তম লোহা আকরিকের ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছেন। এই খনিজ সম্পদের মূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। পিলবারা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই লৌহ আকরিক উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই সাম্প্রতিক আবিষ্কার রীতিমতো চমকে দিয়েছে খনিজ বিশেষজ্ঞদের। নতুনভাবে খুঁজে পাওয়া ভাণ্ডারে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন মেট্রিক টন আকরিক রয়েছে, যার লোহার ঘনত্ব ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    প্রত্যাশার চেয়েও বড় আবিষ্কার

    প্রধান গবেষক, ড. লিয়াম কোর্টনি-ডেভিস বলেন,”এই আকরিকের পরিমাণ ও মান এতটাই বিস্ময়কর যে এটি বিশ্বে লোহা উৎপাদন ও বাণিজ্যের মানচিত্রই পাল্টে দিতে পারে।” এটি শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কেও নতুন প্রশ্ন তুলছে। আগে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, পিলবারার লোহা আকরিক গঠন হয়েছিল প্রায় ২.২ বিলিয়ন বছর আগে। কিন্তু নতুন আইসোটোপিক বিশ্লেষণ বলছে, এই আকরিকের বয়স মাত্র ১.৪ বিলিয়ন বছর। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মার্টিন ডানিসিক বলেন, “এই আবিষ্কার দেখাচ্ছে, সুপারকন্টিনেন্টের গতিবিধি কীভাবে খনিজ গঠনে প্রভাব ফেলে।” নতুন আইসোটোপ ডেটিং ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা আকরিকের পরিমাণ ও মান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে, বলে দাবি গবেষকদের।

    অর্থনীতিতে বড় প্রভাব

    এই আবিষ্কার আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও বড়সড় প্রভাব ফেলবে। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম প্রধান লোহা আকরিক রফতানিকারক দেশ। এই নতুন ভাণ্ডার তাদের অবস্থান আরও শক্ত করবে। চিনসহ যেসব দেশ অস্ট্রেলিয়ার আকরিকের ওপর নির্ভরশীল, তাদের কৌশলে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভাণ্ডার কয়েক দশক নয়, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লোহা উৎপাদনের জোগান দিতে পারবে। ফলে লোহা আকরিকের দাম, সরবরাহ, এবং ভূরাজনৈতিক কৌশলেও বিরাট পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পিলবারায় পাওয়া এই বিশাল লোহা আকরিক ভাণ্ডার শুধু একটি খনিজ আবিষ্কার নয়—এটি একটি বৈপ্লবিক ঘটনা, যা পৃথিবীর ভূতত্ত্ব, অর্থনীতি ও বাণিজ্যকে একযোগে বদলে দিতে চলেছে।

  • Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোর থেকে উঠে এল গা শিউরে ওঠা ঘটনা। কলেজের মধ্যেই অধ্যাপকের লাগাতার যৌন হেনস্থায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ুয়া আত্মহত্যা করল কলেজ চত্বরে। অভিযুক্ত অধ্যাপক বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে, কলেজের প্রিন্সিপালকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বালাসোর জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএড কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। দিনের পর দিন তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্য, অশ্লীল ইঙ্গিত ও শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন চালাতেন তাঁরই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সমীর কুমার সাহু।

    মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ছাত্রী

    অভিযোগ, অধ্যাপকের হেনস্থা সহ্য না করতে পেরে কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির (Internal Complaint Committee) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বাধ সেধেছিল অভিযুক্ত অধ্যাপকের ক্ষমতা। ওই ছাত্রীর ১০০ জন সহপাঠীর মধ্যে ৭১ জন, যার মধ্যে ৪১ জন মহিলাও রয়েছেন, তার চরিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে এবং সেই অধ্যাপকের পক্ষে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। ওড়িয়া ভাষায় লেখা এই চিঠিটি ১ জুলাই তারিখের। যেখানে বলা হয়, ভুক্তভোগী তার উপর হওয়া হয়রানির “ভিডিও প্রমাণ” না দিলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। চিঠিতে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার এবং কম উপস্থিতির কারণে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেওয়ার পর অধ্যাপককে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার অভিযোগও করা হয়েছে। এরপরই পুরোপুরি ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী।

    বিজেডি ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের কুমিরের কান্না

    জানা গিয়েছে, এখন যাঁরা ওই ছাত্রীর হয়ে বিচার চাইছেন একদিন তাঁরাই ওই ছাত্রীর চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করেছিল। ওই ছাত্রীর রুমমেট প্রকাশ জানান যে আত্মহত্যা করার আগের রাতে, নির্যাতিতা ঘুম থেকে উঠেছিলেন, বিচলিত হয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অপবাদে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছিলেন। যার বেশিরভাগই বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর সাথে যুক্ত ছাত্র নেতাদের দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কলেজের প্রিন্সিপাল দিলীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

  • IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি রুরকি (IIT Roorkee) বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) মডেল তৈরি করেছে, যা ঐতিহাসিক মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল। এটি কেবল প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ, ভারতের বিস্মৃত ভাষাতাত্ত্বিক (Devanagari) ঐতিহ্যের এক ডিজিটাল পুনর্জন্ম, এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘ভাষিণী’, ‘ভারত জিপিটি’, ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর মতো জাতীয় উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

    দুটি শক্তিশালী উপকরণ (IIT Roorkee)

    এই উদ্যোগের মূল দুটি শক্তিশালী উপকরণ হল ১) মোদি স্ক্রিপ্ট কনভার্সান নেটওয়ার্ক (এমওএসসি)। এটি একটি একটি উন্নত ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল, যা প্রচলিত অপটিকাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) টুলগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। এবং ২) মোদি দেবনাগরী ট্রান্সলিটারেটেড ডেটাসেট। এটি হল মোদি লিপিতে হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির প্রথম এবং একমাত্র ব্যাপক ডেটাসেট, যেখানে প্রামাণ্য দেবনাগরী প্রতিলিপি যুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুটি টুলই হাগিং ফেস প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে বিশ্বব্যাপী গবেষক, ডেভেলপার ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি এই উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে আরও গবেষণা ও উন্নয়ন চালাতে পারে। এটি প্রাচীন ভাষা বিষয়ক এআইয়ের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।

    মোদি লিপি

    মোদি লিপি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে বিভ্রান্ত হবার মতো নয়। এটি একটি আধা-সাঁড়াশি ধরণের লিপি যা ঐতিহাসিকভাবে মহারাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্য ও পশ্চিম অংশে ব্যবহৃত হত। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের শাসন কালে জারি করা রাজকীয় ফরমান, পেশওয়াদের আমলের প্রশাসনিক নথিপত্র, এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় ভূমি ও আইনি রেকর্ড – সব কিছুর জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী এই মোদি লিপিই ছিল সরকারিভাবে স্বীকৃত ভাষা (IIT Roorkee)। তবে এত সমৃদ্ধ ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও ঔপনিবেশিক শাসকরা দেবনাগরী (Devanagari) ও ইংরেজি চাপিয়ে দেওয়ায় মোদি লিপির ব্যবহার কমে যায়। ধীরে ধীরে এই লিপির চর্চাও প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যায়। বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি মোদি লিপিতে লেখা নথি দেশে বিভিন্ন আর্কাইভ, মন্দির, ব্যক্তিগত সংগ্রহ এবং সরকারি দফতরে পড়ে রয়েছে। এর অধিকাংশই অপঠিত, কারণ দক্ষ পাঠকের অভাব রয়েছে।

    কী বললেন প্রধান গবেষক?

    এই প্রেক্ষাপটেই এসেছে মোদিএসসিনেট। সর্বাধুনিক ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ এআই ব্যবহার করে নির্মিত এই মডেলটি হাতে লেখা মোদি অক্ষরকে চিনতে পারে এবং প্রাসঙ্গিকভাবে তা বুঝে যথাযথভাবে দেবনাগরীতে রূপান্তর করতে পারে। সাধারণ ওসিআর সিস্টেম যেখানে হাতে লেখা, অলঙ্করণযুক্ত বা পুরোনো ক্ষয়প্রাপ্ত লেখার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, সেখানে মোদি লিপির গতি, শৈল্পিক বৈচিত্র্য এবং সাঁড়াশি প্রকৃতিকে চমৎকার নিখুঁতভাবে সামলাতে পারে। আইআইটি রূরকির প্রধাণ গবেষক তথা প্রকল্পের প্রধান অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি ট্রান্সলিটারেশন সরঞ্জাম নয়। এটি একটি যন্ত্র, যা কালি ও কালের মাঝে চাপা পড়া সভ্যতার জ্ঞানকে উন্মোচন করতে সক্ষম, আর্কাইভে সংরক্ষিত, হারিয়ে যাওয়া উপভাষায় লুকিয়ে থাকা ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারে।” তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি এআই তৈরি করছি, যা ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, উত্তরাধিকারকে (Devanagari) বিশ্লেষণ করতে সক্ষম এবং ভারতীয় ইতিহাসের নতুন অধ্যায় উন্মোচনের পথ খুলে দেয় (IIT Roorkee)।”

    প্রযুক্তির ভিত্তি

    গবেষকরা শুধু একটি মডেল তৈরি করেই থেমে থাকেননি, তাঁরা এই প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছেন মোদিট্রান্স নামের একটি বিশেষভাবে সংগৃহীত, উচ্চমানের ডেটাসেটের মাধ্যমে, যা প্রামাণিক মোদী লিপিতে লেখা ২০০০-রও বেশি স্ক্যান করা পাণ্ডুলিপির ছবি নিয়ে গঠিত। এই পাণ্ডুলিপিগুলি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল, শিবকালীন (১৭শ শতাব্দী) – ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সময়কাল, পেশওয়াকালীন (১৮শ শতাব্দী)- পেশওয়া প্রশাসনের অধীনে এবং আঙ্গলকালীন (১৯শ শতাব্দী) – ব্রিটিশ শাসনের সময়। প্রতিটি পাণ্ডুলিপির সঙ্গে অভিজ্ঞ ভাষাবিদদের দ্বারা যাচাই করা দেবনাগরী লিপ্যন্তর যুক্ত রয়েছে, যা এটিকে শুধুই একটি প্রযুক্তিগত উপাদান নয় বরং বিপুল মূল্যমানের একটি ভাষাগত ঐতিহ্য-ভান্ডারে পরিণত করেছে। গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে এমন একটি টুল, যা একদিকে অ্যাকাডেমিক কড়াকড়ি বজায় রাখে, অন্যদিকে ব্যবহারিক প্রয়োগে উপযোগী, ঐতিহ্য সংরক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে এক বিরল কৃতিত্ব (IIT Roorkee)।

    একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে যুক্ত

    এই এআই মডেলটি ভারতের একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এগুলি হল, ডিজিটাল ইন্ডিয়া – লক্ষ (Devanagari) লক্ষ প্রাচীন পান্ডুলিপিকে যন্ত্র-পঠনযোগ্য রূপে রূপান্তর করে ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ভাষিণী – বহু-ভাষিক ভাষা প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমর্থন জোগাচ্ছে। ভারতজিপিটি– ভারতীয় প্রসঙ্গকে ভিত্তি করে বৃহৎ ভাষা মডেল গঠনের ভিত্তি তৈরি করছে। এবং ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন মিশন– আঞ্চলিক ভাষার সংরক্ষণ এবং লিপ্যন্তরের মাধ্যমে ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক। বৈশ্বিক পর্যায়ে এই উদ্যোগটি রাষ্ট্রসংঘের মজবুত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১১.৪-কে সরাসরি সমর্থন করে- বিশ্বের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও রক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করা (IIT Roorkee)।

    যখন জলবায়ু পরিবর্তন, সময় এবং অবহেলা প্রাচীন নথিগুলোর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন এই ধরনের এআই ভিত্তিক কাঠামো বিশ্বব্যাপী প্রয়োগযোগ্য হতে পারে। এই টুলের মাধ্যমে তামিলনাড়ুর সংস্কৃত (Devanagari) গ্রন্থ লিপি হোক বা লাদাখের তিব্বতি পান্ডুলিপি, কিংবা খেমার, পালি ও থাই ভাষার শিলালিপি – সব ক্ষেত্রেই এআই সাহায্য করতে পারে (IIT Roorkee)।

LinkedIn
Share