Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 38: “গীতা গীতা দশবার বলতে গেলে, ত্যাগী ত্যাগী হয়ে যায়”

    Ramakrishna 38: “গীতা গীতা দশবার বলতে গেলে, ত্যাগী ত্যাগী হয়ে যায়”

    চতুর্থ অধ্যায়

    শুধু পাণ্ডিত্য, পুঁথিগত বিদ্যা অসার—ভক্তিই সার

    শ্রীরামকৃষ্ণ—শুধু পাণ্ডিত্যে কিছু নাই। তাঁকে পাবার উপায়, তাঁকে জানবার জন্যই বইপড়া। একটি সাধুর পুঁথিতে কি আছে, একজন জিজ্ঞাসা করলে, সাধু খুলে দেখালে। পাতায় পাতায় ওঁ রামঃ লেখা রয়েছে, আর কিছুই লেখা নাই!

    গীতার অর্থ কি? দশবার বললে যা হয়। গীতা গীতা, দশবার বলতে গেলে, ত্যাগী ত্যাগী হয়ে যায়। গীতায় এই শিক্ষা—হে জীব, সব ত্যাগ করে ভগবানকে লাভ করবার চেষ্টা কর। সাধুই হোক, সংসারীই হোক, মন থেকে সব আসক্তি ত্যাগ করতে হয়।

    চৈতন্যদেব যখন দক্ষিণে তীর্থভ্রমণ করছিলেন—দেখলেন, একজন গীতা পড়ছে। আর-একজন একটু দূরে বসে শুনছে, আর কাঁদছে—কেঁদে চোখ ভেসে যাচ্ছে। চৈতন্যদেব জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি এ-সব বুঝতে পারছ? সে বললে, ঠাকুর! আমি শ্লোক এ-সব কিছু বুঝতে পারছিনা। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তবে কেন কাঁদছো? ভক্তটি বললে, আমি দেখছি অর্জুনের রথ, আর তার সামনে ঠাকুর আর অর্জুন কথা কচ্চেন। তাই দেখে আমি কাঁদছি।

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্তিযোগের রহস্য—The Secret of Dualism

    শ্রীরামকৃষ্ণ-বিজ্ঞানী কেন ভক্তি লয়ে থাকে? এর উত্তর এই যে, আমি যায় না। সমাধি অবস্থায় যায় বটে, কিন্তু আবার এসে পড়ে। আর সাধারণ জীবের ‘অহং’ যায় না। অশ্বত্থগাছ কেটে দাও, আবার তার পরদিন ফেঁক্‌ড়ি বেরিয়েছে। (সকলের হাস্য)

    জ্ঞানলাভের পরও আবার কোথা থেকে আমি এসে পড়ে! স্বপনে বাঘ দেখেছিলে, তারপর জাগলে, তবুও তোমার বুক দুড়দুড় করছে। জীবের আমি লইয়েই তো যত যন্ত্রণা। গরু হাম্বা (আমি) হাম্বা করে, তাই তো অত যন্ত্রণা। লাঙলে জোড়ে, রোদ বৃষ্টি গায়ের উপর দিয়ে যায়, আবার কসাইয়ে কাটে, চামড়ায় জুতো হয়, ঢোল হয়—তখন খুব পেটে। (হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CPM: দুর্দিনের বাজারে জামানত খুইয়েছেন ২১ সিপিএম প্রার্থী, কত টাকা খোয়াল আলিমুদ্দিন?

    CPM: দুর্দিনের বাজারে জামানত খুইয়েছেন ২১ সিপিএম প্রার্থী, কত টাকা খোয়াল আলিমুদ্দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় যে বামেদের দাপটে ট্যাঁ-ফোঁ করার জো ছিল বাংলায়, এখন সেখানেই কিনা খাবি খাচ্ছে বামফ্রন্ট! রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪২ (CPM)। তার মধ্যে ২৩টিতে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। বামফ্রন্টের শরিকদলগুলি প্রার্থী দিয়েছিল সাতটি আসনে। সিপিএম যে ২৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, তার মধ্যে ২১ জন প্রার্থীই জামানত খুইয়েছেন। দলের এই দুর্দিনে জলে গিয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ রাজ্যে সিপিএমের একজন প্রার্থীও জিততে পারেননি। তবে জামানত বাঁচিয়ে মুখরক্ষা করেছেন দুই বাম প্রার্থী।

    বৃদ্ধতন্ত্রের তকমা ঝেড়ে ফেলতে নয়া মুখ! (CPM)

    দলের গা থেকে বৃদ্ধতন্ত্রের তকমা ঝেড়ে ফেলতে এবার একঝাঁক তরুণ মুখকে প্রার্থী করেছিল বিমান বসুদের দল (CPM)। এঁদের সকলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তমলুকে বিজেপি প্রার্থী করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে সিপিএম লড়িয়ে দিয়েছিল পেশায় আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বামেরা বোধহয় ভেবেছিলেন, সমানে সমানে টক্কর হবে। ওমা! কোথায় কী! এই কেন্দ্রে মাত্র ৫.৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে জামানত খুইয়েছেন সিপিএমের আইনজীবী প্রার্থী।

    বাজেয়াপ্ত জামানত

    ৫.৬৮ শতাংশ ভোট পাওয়ায় জামানত রক্ষা করতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতীক-উর রহমানও। এই কেন্দ্রে হইহই করে জিতে গিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জামানত খুইয়েছেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য এবং শ্রীরামপুরের দীপ্সিতা ধরও। তবে হেরে গেলেও, জামানত বাঁচিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এবং দমদমের সুজন চক্রবর্তী। রাজনীতি তো বটেই, বয়সেও যাঁরা প্রবীণ। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে সিপিএম। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই হার ছিল ৬.৩৩ শতাংশ। সব শরিক মিলিয়ে বামেরা এবার সাকুল্যে ৬.১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। উনিশে এই হার ছিল ৭.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে ছিল ১৬.৭২ শতাংশ।

    আর পড়ুন: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    জামানত রক্ষা হয়নি বামফ্রন্টের বাকি শরিকদের প্রার্থীদেরও। আরএসপি তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিয়েছিল দুটি করে আসনে। এই সাত কেন্দ্রেই জামানত খুইয়েছেন বাম প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হতে গেলে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রাখতে হয়। একে জামানত বলে। লোকসভা নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। কোনও একটি কেন্দ্রে যত ভোট পড়ে, তার এক ষষ্ঠাংশ ভোট পেলে কোনও প্রার্থীর জামানত রক্ষা হয়। না হলে টাকা জমা থাকে নির্বাচন কমিশনে। ফেরত পাওয়া যায় না (CPM)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। এবার জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই সম্পত্তি মূলত রয়েছে বীরভূমে (Birbhum)। এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমেরই বোলপুরে একটি বাড়ির হদিশ পেয়েছিল ইডি। আর এবার ইডির সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পার্থের আরও অন্তত ৫টি সম্পত্তি রয়েছে সেই বোলপুরেই। 

    ঠিক কী জানা গিয়েছে তদন্তে?

    সূত্রে খবর, বোলপুরের (Bolpur) বুকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর যে সম্পত্তি রয়েছে তা মূলত জমি। বর্তমানে যার বাজারদর কয়েক কোটি টাকা। যদিও এই সম্পত্তি কিন্তু পার্থর নামে নেই। বরং সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ওই সম্পত্তিগুলির নথিতে এক পার্থ ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে। ঠিক যেমন এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল ইডি। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ওই ঘনিষ্টের নামে জমিগুলি কেনা হলেও সংশ্লিষ্ট জমিগুলির মালিক আদতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিজেই। এমনকী তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন, সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে মাঝেমধ্যেই আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটার-সহ বেশ কয়েক জনকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে তারা।

    কোন দিকে মোড় নেবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল? 

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সেই থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। প্রায় দুবছর ধরে ওটাই তাঁর ঠিকানা। আর এরই মধ্যে আবারও জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি। বলাই বাহুল্য যে দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আর এরই মধ্যে ফের পার্থর সম্পত্তির খোঁজ মেলায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মোড় অন্যদিকে বাঁক নেয় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠকে তলব ইডির (Partha Chatterjee)

    তবে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমে এই কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ এই প্রথম নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর পার্থ-অর্পিতার নামে যৌথ একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের মধ্যে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই বীরভূমের (Birbhum) জায়গায় জায়গায় অনুসন্ধানে নেমেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওই ঘনিষ্ঠকে খুব শীঘ্রই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Odisha CM: মোদির মাণদণ্ড মেনেই হবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন, ঘোষণা ওড়িশা বিজেপি নেতৃত্বের

    Odisha CM: মোদির মাণদণ্ড মেনেই হবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন, ঘোষণা ওড়িশা বিজেপি নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল ভোটে ওড়িশা বিজয় বিজেপির। পদ্ম ঝড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে নবীন পট্টনায়েকের দল। রেকর্ডের দোরগোড়া থেকে ফিরে গেলেন নবীন। সিকিমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং রাজ করেছেন ২৪ বছর ১৬৫ দিন। আর নবীনের মুখ্যমন্ত্রিত্বের কাল ২৪ বছর ৮৮ দিন। ওড়িশায় (Odisha CM) নবীন ‘বধে’র পর সরকার গড়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

    কী বলছে ওড়িশা বিজেপি (Odisha CM)

    বিজেপির ওড়িশা সভাপতি মনমোহন সামল বুধবার বলেন, “বিজেডি সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই লোকজন এই নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। এই নির্বাচন ছিল ওড়িয়া অশ্মিতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের। ওড়িশাবাসী বিজেপির আশ্বাসে ভরসা রেখেছেন। নয়া সরকার দ্রুত তাঁদের জন্য কাজ শুরু করে দেবে। ওড়িয়া নন এমন মুখ্যমন্ত্রীকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন, ভোট দিয়েছেন বিজেপির পক্ষে।” কেন্দ্রে তৃতীয় মোদি সরকার শপথ (Odisha CM) নেবেন ৮ জুন। পরের দিন শপথ নেওয়ার কথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর।

    ওড়িশায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই জানিয়েছিলেন, ওড়িশায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে ১০ জুন। বিজেপির ওড়িশা সভাপতি জানান, ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, এক-দুদিনের মধ্যেই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দলের সংসদীয় বোর্ড। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেঁধে দেওয়া মাণদণ্ডের ভিত্তিতেই ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। এই পদে কোনও ওড়িয়া নারী কিংবা পুরুষকেই বসানো হবে, যিনি ওড়িয়া সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।”

    আর পড়ুন: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    সামল বলেন, “রাজ্যে যে স্বাস্থ্যকার্ড চালু রয়েছে, তা দ্রুত বদল করা হবে। ওড়িশায় চালু হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। রাজ্যের বাইরে থাকা দেড় কোটি ওড়িয়াও এই প্রকল্পের সুযোগ পাবেন। বর্তমানে রাজ্যে যে বিস্কি (BSKY) চলে, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ পাঁচ লাখ টাকার একশো শতাংশই পাবেন। চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও সীমাবদ্ধতা থাকবে না। আয়ুষ্মান ভারত খুবই জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। নয়া সরকার শপথ নেওয়ার পরেই এই প্রকল্প লাগু হবে।” সামল বলেন, “রত্ন ভাণ্ডার খোলাই হোক কিংবা শ্রীমন্দিরের গেট খোলা, প্যাডি এমএসপি কিংবা অন্য কিছু – শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে এসব কাজ (Odisha CM)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) অব্যাহত। এবার বর্ধমান বিজেপির জেলা অফিসে হামলার অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে ইট, লাঠি নিয়ে হামলা করেছে। কিন্তু কার্যালয়ে অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পার্টি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Post Poll Violence)

    বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে এসে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। জেলা সভাপতির গাড়িতে ইট মারা হয়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গার দলীয় কর্মীরা ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মীরা পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন হামলার সময় আমাদের দলীয় কর্মীদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থেকে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পালিয়ে যায়।” বিজেপির আর এক নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, “বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বাইক মিছিল হয়। সেই মিছিল শেষে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।”

    পানীয় জলের লাইন কাটা হয়েছে!

    বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “জেলার বিভিন্ন জায়গার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা (Post Poll Violence) করা হচ্ছে। ভাতারে পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন প্রশাসনের উপর ভরসা আছে। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন দুস্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্ধমানের তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, “জেলায় বিজেপি সাফ হয়ে গেছে। তাই ওদের তৃণমূল কেন আক্রমণ (Post Poll Violence) করবে? বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) জেরে মিনাখাঁর আটপুকুর অঞ্চলের কচুরহূলো এলাকার ১১৩ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আনুমানিক ১০ থেকে ১২টি ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে দুটি মোটর বাইক, তিনটি সাইকেল সহ একাধিক বাড়ি থেকে টিভি, ফ্রিজ নানা জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার শতাধিক বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর আটপুকুরের আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের পরিবারের উপর আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। চলছে লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুর। এমনকী আমাদের বাড়ির বাইকে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে নিপীড়িত মানুষের জীবন এবং সম্পত্তিকে রক্ষা করা। দেশের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ গ্রহণের পর, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটা কি এই রাজ্যে অন্যায়? তৃণমূল স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে।”

    আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) অভিযোগকে অস্বীকার করে মিনাখাঁ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধিতার নামে চক্রান্ত করেছে বিজেপি। তৃণমূল ব্যাপক জনমত নিয়ে এই ভোটে জয়ী হয়েছে। বিজেপি নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল বাঁধিয়েছে। পুরোটাই একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।” অপর দিকে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নিউটাউন, ক্যানিং, কোচবিহার, নদিয়া, বীরভূমের একাধিক এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সরকার গড়ার আগে নীতীশ-নাইডুর কাছে লিখিত সমর্থন নিল এনডিএ  

    PM Modi: সরকার গড়ার আগে নীতীশ-নাইডুর কাছে লিখিত সমর্থন নিল এনডিএ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরিক-কাঁটার ঘায়ে যাতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার পড়ে না যায়, তাই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে বিজেপি (PM Modi)। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। এনডিএ সম্মিলিতভাবে পেয়েছে ২৯৩টি কেন্দ্রের রাশ। প্রত্যাশিতভাবেই সরকার গড়ার দাবিদার এনডিএ। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির ভাঙাতে না পেরে বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘ইন্ডি’ জোটের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) নেতারা।

    শনিবার মোদির শপথ (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে শপথ নেবে নয়া সরকার। তার আগের দিন সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা। এনডিএর জয়জয়কারের খবর পাওয়ার পর বুধবারই বৈঠকে বসেছিলেন এনডিএ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতারাও। তবে যেহেতু না আঁচালে বিশ্বাস নেই, তাই রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গড়ার দাবি জানাতে যাওয়ার আগে ফের একপ্রস্ত বৈঠকে বসছেন এনডিএ নেতারা। এই বৈঠকে এনডিএর নবনির্বাচিত সব সাংসদকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এজন্য বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যেই তাঁদের চলে আসতে বলা হয়েছে দিল্লিতে।

    সমর্থনের লিখিত আশ্বাস

    জানা গিয়েছে, এবার বিজেপির তরফে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জনতা দল ইউনাইটেড নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। কারণ, বিজেপি বাদে এনডিএর শরিকদলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি সাংসদ রয়েছেন এই দুই দলের। জেডিইউয়ের সাংসদ সংখ্যা ১২, টিডিপির ১৬। এদের সম্মিলিত সাংসদ সংখ্যা ২৮। এই সাংসদরা যাতে শিবির-ছাড়া না হন, তাই এই দুই দলের কাছ থেকে বিজেপি নেতৃ্ত্বাধীন এনডিএ সরকারকে সমর্থনের নিশ্চিত আশ্বাস পেতে চেয়েছে পদ্ম পার্টি। সেজন্য সমর্থন প্রদানের কথা লিখিত আকারে দিতে বলা হয় টিডিপি এবং জেডিইউ নেতৃত্বকে।

    আর পড়ুন: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    এর কারণও রয়েছে। আগে একাধিকবার শিবির বদলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে গিয়েছেন নীতীশ। আর বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেও মাঝ পথে গেরুয়া-হাত ছাড়ার রেকর্ড রয়েছে চন্দ্রবাবুর। সেই কারণেই এবার আটঘাট বেঁধে সরকার গড়ার দাবি জানাতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shivrajyabhishek Sohala: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    Shivrajyabhishek Sohala: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬৩০ খ্রীস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারী, বর্তমান মহারাষ্ট্রে ভোঁসলে মারাঠা বংশে শাহাজি এবং জিজাবাইয়ের কাছে জন্মগ্রহণ করেন ছত্রপতি শিবাজি (Chhatrapati Shivaji)। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সেনাপতি এবং বীর যোদ্ধা। গোপন যুদ্ধের শিল্পের জন্য তাকে প্রায়শই ‘পাহাড়ের ইঁদুর’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ১৬৭৪ সালে রায়গড়ে শিবাজিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রাজ্যের ছত্রপতি বা সম্রাট হিসাবে মুকুট দেওয়া হয়েছিল। ছত্রপতির এই রাজ্যাভিষেক মারাঠা ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসাবে রয়ে গেছে। ছত্রপতির রাজ্যাভিষেকের (Shivrajyabhishek Sohala) ৩৫০ বছর পূর্তিতে জেনে নেওয়া যাক কিছু অজানা তথ্য।  

    কথিত আছে, শিবাজি মহারাজের মা স্থানীয় দেবী শিবাইয়ের কাছে প্রার্থনার পর পুত্র সন্তান শিবাজির জন্ম হয়। তাই শিবাজি মহারাজের নামকরণ করা হয়েছিল দেবী শিবাইয়ের নামানুসারে। পরবর্তীকালে এই শিবাজিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মারাঠা রাজ্য। দক্ষ নেতৃত্ব, বীরত্ব এবং সামরিক কৌশলের জন্য পরিচিত তিনি। ভারতীয় ইতিহাসে ছত্রপতি শিবাজি (Chhatrapati Shivaji) মহারাজের ভূমিকা ও অবদান তাঁকে একজন জাতীয় বীর করে তোলে। তিনি ছিলেন মধ্যযুগীয় ভারতের প্রথম ভারতীয় শাসক যিনি তার নিজস্ব নৌবাহিনী গড়ে তোলেন এবং ১৬৬৫ সালে তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৌ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। 

    রাজ্যাভিষেকের তাৎপর্য (Shivrajyabhishek Sohala) 

    ছত্রপতি হিসাবে শিবাজির রাজ্যাভিষেক নিছক একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ছিল না বরং মারাঠাদের স্বাধীনতা এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলির উপর সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করার একটি রাজনৈতিক ঘটনা ছিল। এটি মুঘল ও আদিল শাহীদের অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে শিবাজির আজীবন সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি নিশ্চিত করে।

    শিবাজির অবদান (Chhatrapati Shivaji) 

    সেই অর্থে কোনও আনুষ্ঠানিক বা প্রথাগত শিক্ষা ছিল না শিবাজির। তবুও রামায়ণ এবং মহাভারত সহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থগুলির গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন তিনি। হিন্দু রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যও তিনি পরিচিত। বহুল ব্যবহৃত ভাষা ফার্সির পরিবর্তে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় মারাঠি ও সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার প্রচারেও তাঁর অবদান অনেক। তাঁর রাজত্বকালে তিনি (Chhatrapati Shivaji) আটজন মন্ত্রীকে নিয়ে অষ্ট প্রধান মন্ডল গঠন করেন, যা উপদেষ্টা পরিষদ হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে শিবাজিকে পরামর্শ দিত। তিনি তাঁর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে হাইন্দব ধর্মোধারক (হিন্দু ধর্মের রক্ষক) উপাধিও নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: এই নিয়ে তৃতীয় বার! ফের মহাকাশ অভিযানে রওনা সুনীতা উইলিয়ামসের

    রাজ্যাভিষেকের বছর পূর্তির উদযাপন    

    প্রতি বছর এই দিনটি মহা সমারহে মহারাষ্ট্রে পালিত হয়। বিশেষ করে রায়গড়ের লোকেরা এদিন রায়গড় দুর্গে শিবাজির জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এরপর তারা একে অপরকে শুভ রাজ্যাভিষেক (Shivrajyabhishek Sohala) দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিবাজির মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    NDA: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) জিতেছে ২৯৩টি আসনে। এরপর বুধবার বৈঠকে বসে নরেন্দ্র মোদিকেই সর্বসম্মতভাবে নেতা নির্বাচিত করেছেন এনডিএ-র নেতারা। তার পরেই শুরু হয়েছে সরকার গড়ার প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, শুক্রবার সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা। বুধবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন মোদি। তার পরেই সপ্তদশ লোকসভা ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সূত্রের খবর, ৮ জুন, শনিবার শপথ নেবে নয়া সরকার।

    ফের বৈঠকে এনডিএ

    রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার আগে শুক্রবার সকালে বৈঠকে বসবেন এনডিএ-র নবনির্বাচিত সাংসদরা। সে জন্য বৃহস্পতিবারই তাঁদের চলে আসতে বলা হয়েছে দিল্লিতে। শনিবার মোদি সরকার শপথ নেওয়ার পর রবিবার (NDA) অন্ধ্রপ্রদেশে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বে সরকার গড়বে টিডিপি। 

    শাহ-সিং-নাড্ডাকে ‘গুরু’ দায়িত্ব

    বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকার গঠন নিয়ে এনডিএর জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলতে। চন্দ্রবাবুর দল টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের কাছ থেকে বিজেপি নেতৃত্ব ‘পাকা কথা’ করে নিতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই দুই দলের নেতাদেরই ঘনঘন শিবির বদলানোর বদনাম রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    আর পড়ুন: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ ও তার পরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এনডিএর শরিকদলগুলিকে নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে হয়নি গেরুয়া নেতৃত্বকে। তবে এবার শরিকদের নিয়ে বিশেষ করে ভাবতে হচ্ছে পদ্ম-পার্টিকে। তার কারণ, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। সম্মিলিতভাবে এনডিএ-র শক্তি ২৯৩। এর মধ্যে আবার বেশি করে সাংসদ রয়েছে নীতীশ এবং চন্দ্রবাবুর দলের। তাই এনডিএ-র এই দুই শরিককে গেরুয়া শিবির বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে খবর। তবে ‘হর্সট্রেডিং’ করে ‘ইন্ডি’ জোট যাতে সরকার গড়তে না পারে, তাই আটঘাট বেঁধেই শুক্রবার সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা।

    জানা গিয়েছে, এবার এনডিএতে একজনকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এঁর কাজ হবে ঘনঘন শরিকদলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করা। তবে তৃতীয় মোদি সরকার যে ‘বিকশিত ভারতে’র লক্ষ্যেই কাজ করবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বুধবারের বৈঠকে। ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার যে দায়বদ্ধ, তা-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে (NDA)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sunita Williams: এই নিয়ে তৃতীয় বার! ফের মহাকাশে পাড়ি দিয়ে নজির সুনীতা উইলিয়ামসের

    Sunita Williams: এই নিয়ে তৃতীয় বার! ফের মহাকাশে পাড়ি দিয়ে নজির সুনীতা উইলিয়ামসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে যাবতীয় বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে মহাকাশে রওনা দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য মহাকাশে রওনা দিলেন, নাসায় কর্মরত সুনীতা। সুনীতার সঙ্গেই নাসার আর এক মহাকাশচারী ব্যারি উইলমোর মহাকাশে রওনা (Indian-Origin Astronaut) দিয়েছেন। জানা গিয়েছে আগামী এক সপ্তাহ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই থাকবেন তাঁরা।

    শীঘ্রই স্পেস স্টেশনে হবে রকেট লঞ্চ 

    বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা বেজে ৫২ মিনিটে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুনীতা এবং তাঁর সহযাত্রী। অ্যাটলাস ৫ রকেটে করে স্টারলাইনার স্পেস ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি (Indian-Origin Astronaut) দিয়েছেন সুনীতারা। স্টারলাইনারের রকেটটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। মহাকাশচারীরাই সেটির নকশা তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে নাসা। এছাড়াও আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, স্টারলাইনার সঠিক কক্ষপথের সন্ধান পেয়ে গিয়েছে। এরপর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রকেট লঞ্চ করবে সুনীতা (Sunita Williams) এবং উইলমোর। তবে এদিন উৎক্ষেপণের পরেই গন্তব্যের পথে যেতে যেতে রকেটে হিলায়াম লিক হয়। যদিও তাতে বড় কোনও সমস্যা হয়নি। সব ঠিক থাকলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের অগ্রভাগে, হারমোনি মডিউলে নোঙর করবেন সুনীতা এবং উইলমোর। সেখানে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন। এরপর আগামী ১০ জুন পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তাঁরা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর, প্যারাশ্যুট এবং এয়ারব্যাগ ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে মাটি ছোঁবেন দুই মহাকাশচারী। 

    আরও পড়ুন: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    মহিলাদের অনুপ্রেরণা সুনীতা (Sunita Williams) 

    মহাকাশ অভিযানে মহিলাদের জন্য অনুপ্রেরণা সুনীতা। এর আগে, ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন সুনীতা। একসময় সর্বোচ্চ স্পেসওয়াকের রেকর্ডও তাঁর দখলে ছিল। পরে তাঁকে ছাপিয়ে যান পেগি হুইটসন। তবে এবার নিজেদের তত্ত্বাবধানে তৈরি নয়া রকেটে চেপে মহাকাশ অভিযানে (Indian-Origin Astronaut)  বেরিয়ে আবারও ইতিহাস রচনা করলেন সুনীতা। যদিও অনেক আগেই এই অভিযান সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বার বার অভিযান বাতিল হয়। রকেটের আসনে বসে পড়ার পরও নেমে আসতে হয় সুনীতা (Sunita Williams) এবং উইলমোরকে। তবে এবার সবকিছু ভালোয় ভালোয় সম্পন্ন হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share