Tag: news in bengali

news in bengali

  • Lok Sabha Election Result: সরকার গড়ার সংখ্যা নেই, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনেই

    Lok Sabha Election Result: সরকার গড়ার সংখ্যা নেই, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডিয়া’ ব্লক আপাতত সরকার গড়ার চেষ্টা করবে না।” বুধবার ‘ইন্ডি’ জোটের (Indi Alliance) তরফে কথাগুলি বললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এদিকে, এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ নেতারা। সেখানে ঠিক হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা (Lok Sabha Election Result)।

    বৈঠকে ‘ইন্ডি’ ব্লক

    এদিন খাড়্গের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন ‘ইন্ডি’-র প্রায় সব দলের নেতাই। সেখানেই ঠিক হয়, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনে। তবে লড়াই চালিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে। ‘ইন্ডি’ জোটের (Lok Sabha Election Result) সব শরিকের মধ্যে সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন। বৈঠক শেষে খাড়্গে বলেন, “আমাদের বিপুলভাবে সমর্থনের জন্য জোট শরিকদের তরফে দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। মানুষ তাঁদের রায়ে বিজেপি এবং তাদের ঘৃণা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং ধুর্ত পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংবিধান রক্ষা ও গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির ফ্যাসিবাদ শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাখবে।”

    কী বললেন খাড়্গে?

    কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “মানুষ চান না যে বিজেপি আর দেশ শাসন করুক। এই বিষয়টি মাথায় রেখে জনগণের ইচ্ছে পূরণে আমরা ঠিক সময় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এটি আমাদের সিদ্ধান্ত এবং আমরা এই বিষয়গুলিতে সম্পূর্ণ এক মত। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করব আমরা।” এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী এবং জেএমএম বিধায়ক কল্পনা সোরেন, এনকে প্রেমচন্দ্রন।

    আর পড়ুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    ছিলেন এএপি সাংসদ রাঘব চাড্ডা, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, সীতারাম ইয়েচুরি, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। প্রসঙ্গত, এনডিএ যেখানে ২৯২টি আসন পেয়েছে, সেখানে ‘ইন্ডি’ জোটের সাংসদ সংখ্যা মাত্র ২৩৪ (Lok Sabha Election Result)। এনডিএ থেকে নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে ভাঙানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ম্যাজিক ফিগারে (২৭২) পৌঁছানো সম্ভব নয় জেনেই ‘ইন্ডি’ জোট-বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নেয় বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • China: “ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত”, মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলল চিন

    China: “ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত”, মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা।” বুধবার কথাগুলি বললেন চিনের (China) বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত চিন। দুদেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকুক। উন্নতি হোক, আমরাও এটা চাই। আগামিদিনে দুদেশের স্বার্থ ও নাগরিকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্য পূরণে আমাদের নজর থাকবে।”

    বেজিংয়ের শুভেচ্ছা বার্তা (China)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে ৪ জুন। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। নির্বাচন হয়েছে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তাই সরকার গড়ার দাবিদার মোদির নেতৃ্ত্বাধীন এনডিএ। বুধবারই সরকার গড়তে এনডিএর শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই এল বেজিংয়ের শুভেচ্ছা বার্তা।

    ২০২০ সালের ৫ মে লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে লালফৌজ। তারপর থেকে দুদেশের বাণিজ্যক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে। অরুণাচল প্রদেশের একাংশকে সে দেশের মানচিত্রে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দেখানোয় চিনের ওপর রুষ্ট নয়াদিল্লি। লাদাখে সংঘর্ষের পর একুশ বার বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের সেনাকর্তারা। তার পরেও কাটেনি অচলাবস্থা। এহেন আবহে চিনের (China) শুভেচ্ছা বার্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কূটনৈতিক মহল।

    শুভেচ্ছা-বার্তার জোয়ার

    মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএর জয়ের পর প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পড়শি দেশ নেপাল, ভুটান, মলদ্বীপ ও মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁও।

    আর পড়ুন: সর্বসম্মত নেতা মোদি-ই, “তাড়াতাড়ি সরকার গড়ুন”, এনডিএ বৈঠকে বললেন নীতীশ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “ভারত-ইজরায়েলের সম্পর্ক নয়া উচ্চতায় উঠবে। বধাই হো।” প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও। তিনি বলেন, “ভারতের নাগরিকদের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় থাকবে। ভারত ও ইউক্রেনের মূল্যবোধ প্রায় এক, দুই দেশেরই সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে। আমাদের অংশীদারিত্ব উন্নতি লাভ করুক, বয়ে আনুক সমৃদ্ধি। দুই দেশের মধ্যে বজায় থাকুক স্বাভাবিক বোঝাপড়া (China)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NDA Meet: সর্বসম্মত নেতা মোদি-ই, “তাড়াতাড়ি সরকার গড়ুন”, এনডিএ বৈঠকে বললেন নীতীশ

    NDA Meet: সর্বসম্মত নেতা মোদি-ই, “তাড়াতাড়ি সরকার গড়ুন”, এনডিএ বৈঠকে বললেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বার সরকার গড়ার লক্ষ্যে বুধবার বৈঠকে বসলেন এনডিএ নেতারা (NDA Meet)। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সর্বসম্মতভাবে এনডিএর নেতা নির্বাচিত হন মোদি। তাঁর বাসভবনেই জড়ো হয়েছিলেন এনডিএর নেতারা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনতা দল ইউনাইটেড নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। সরকার গড়তে প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেন তিনি। বৈঠকে নীতীশ বলেন, “দ্রুত কাজ শুরু করুন। সরকার গড়ায় দেরি করা উচিত হবে না। আমরা এটা (সরকার গঠন) যত শীঘ্র সম্ভব করব।”

    এনডিএ

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (NDA Meet) বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। জোট শরিকদের আসন নিয়ে এনডিএর আসন সংখ্যা ২৯২। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তাই এবার সরকার গড়তে পদ্ম শিবিরের ভীষণ প্রয়োজন নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থন। এই দুই দলের সাংসদের সংখ্যা ২৮। এদিন দিল্লিতে আয়োজিত এনডিএ-র বৈঠকের আগে চন্দ্রবাবু বলেন, “আমরা এনডিএতে রয়েছি। এনডিএর বৈঠকেই যোগ দিতে দিল্লিতে যাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার আসন রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি জয়ী হয়েছে ১৬টি আসনে। বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হয়েছে নীতীশের দল জেডিইউ।

    বৈঠকে ছিলেন কারা

    জানা গিয়েছে, সরকার গড়ার দাবিতে এদিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন এনডিএ নেতারা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার, একনাথ শিন্ডে, এইচডি কুমারস্বামী, জিতন রাম মাঝি, চিরাগ পাশোয়ান, পবন কল্যাণ, অনুপ্রিয় প্যাটেল, জয়ন্ত চৌধুরী এবং প্রফুল্ল প্যাটেল। জনতা দল ইউনাইটেড দলের নেতা লালন সিংহ এবং সঞ্জয় ঝা-ও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বিজেপির তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও।

    একনাথ শিন্ডে বলেন, “মোদিজি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। মোদিজির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার গড়বে।” উল্লেখ্য, ২০১৪ এবং ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি (NDA Meet)।

    আর পড়ুন: ‘‘সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে’’, দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সবুজ আবির খেলার মধ্যেই গেরুয়া আবির নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য, উত্তর মালদা থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী (Election Result 2024) হয়েছেন খগেন মুর্মু। প্রথম থেকেই তাঁর রাজনৈতিক লড়াই ছিল ব্যাপক জোরদার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে আরেকবার পদ্মফুল ফোটালেন মালদায়। উত্তরবঙ্গে বিজেপির এই জয়ে ব্যাপক উল্লাস।

    জয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস (Election Result 2024)

    লোকসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূলের কাছ থেকে ভেল্কিবাজ, বেইমান, চোরের মতো বাক্যবাণ শুনতে হয়েছিল খগেন মুর্মুকে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের বড় বড় নেতারাও কুমন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু সকল প্রতিকূলতার মধ্যে নিজের রাজনৈতিক লড়াইকে তীব্র করে জনমতকে সঠিক ভাবে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তিনি। উত্তর মালদার সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য বিজেপি সরকার গড়তে জনাদেশ (Election Result 2024) দিয়েছেন তাঁর পক্ষে। তাঁকে ঘিরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই বারে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আলম, আইএসএফ প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ সোহেল।

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আগের বারের মার্জিন ছিল ৮০ হাজার

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে, মালদা উত্তর থেকে জয়ী  হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছিলেন প্রায় ৮০ হাজার ভোটে। তাঁর গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭৯৮। তৃণমূলের মৌসম পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১৭। ওই বছর কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করেছিলেন ইশা খান চৌধুরী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৯৬৪। আর সিপিএমের বিশ্বনাথ ঘোষ পেয়েছিলেন ৫০ হাজার ৩১৫ ভোট। এইবারে জয় (Election Result 2024) করে, বিজেপি আরও একবার প্রমাণ করল উত্তরবঙ্গের অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র উত্তর মালাদা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ লোকসভা ভোটের ফলাফল। ফলাফলে ইন্ডিয়া জোট অপ্রত্যাশিতভাবে উত্তর প্রদেশে বিজয়ী হয়েছে। আর সেই ফল প্রকাশের পরেই বুধবার লখনউ (Lucknow) এর একটি কংগ্রেস অফিসের বাইরে প্রচারের সময় প্রতিশ্রুত ‘গ্যারান্টি কার্ডের’ দাবিতে ভিড় জমায় অসংখ্য মহিলা। কারন নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় কংগ্রেস অনেক পরিবারকে ‘গ্যারান্টি কার্ড’ বিতরণ করেছিল। একইসঙ্গে প্রতি দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানকে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। আর এদিন সেই প্রতিশ্রুতির দাবি নিয়েই কংগ্রেস অফিসের (Congress office) বাইরে ভিড় জমান অসংখ্য মহিলা। 

    প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ (Lucknow)

    সম্প্রতি একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এই গরমে রোদ মাথায় নিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক মুসলিম মহিলা লখনউতে কংগ্রেস অফিসের (Congress office)  বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের মধ্যে কিছু মহিলা ‘গ্যারান্টি কার্ড’ দাবি করেছেন। অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যে তাদের গ্যারান্টি কার্ড পেয়েছেন তারা তাদের অ্যাকাউন্টে প্রতিশ্রুত অর্থ জমা দেওয়ার জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে তারা তাদের ফর্ম জমা দেওয়ার পরে কংগ্রেস অফিস থেকে রসিদ পেয়েছেন।

     

    ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি  

    নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ২৫টি গ্যারান্টি কার্ড সহ প্রায় ৮ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি চালু করেছিল। এর মধ্যে ছিল মহালক্ষ্মী স্কিম, যা দারিদ্র্য সীমার নীচে (বিপিএল) পরিবারের মহিলা প্রধানদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রতি মাসে ৮,৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এই প্রকল্পটি আসলে কর্ণাটকের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন গৃহ লক্ষ্মী প্রকল্পের অনুরূপ। যদিও কর্ণাটকে দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানদের ২,০০০ টাকা প্রদান করে এই স্কিম।  

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষে শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও ভোগান্তির আশঙ্কা নিত্য যাত্রীদের

    অন্যদিকে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে এসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি অনেক মহিলা বেঙ্গালুরুর জেনারেল পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলতে ছুটে এসেছেন। কারন তাঁরা আশা করেছিলেন যদি ইন্ডি জোট কেন্দ্রে ক্ষমতা পায় তাহলে মাসিক ৮,৫০০ টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। তবে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে ইন্ডি জোট এক্সিট পোলকে মিথ্যে করে দিয়ে ২৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। একইসঙ্গে এনডিএ পরবর্তী সরকার গঠনের জন্যও প্রস্তুত করেছে নিজেদের। কারন বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯২টি আসন লাভ করে, ২৭২টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 37: “তিনি বিভুরূপে সর্বভূতে আছেন, পিঁপড়েতে পর্যন্ত, কিন্তু শক্তিবিশেষ”

    Ramakrishna 37: “তিনি বিভুরূপে সর্বভূতে আছেন, পিঁপড়েতে পর্যন্ত, কিন্তু শক্তিবিশেষ”

    চতুর্থ অধ্যায়

    জ্ঞান ও বিজ্ঞান, অদ্বৈতবাদ, বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদ—এই তিনের সমন্বয়

    Reconciliation of Non-Dualism, Quality Non-Dualism.

    জ্ঞানীর পথও পথ। জ্ঞান-ভক্তির পথও পথ। আবার ভক্তির পথও পথ। জ্ঞানযোগও সত্য, ভক্তিপথও সত্য—সব পথ দিয়ে তাঁর কাছে যাওয়া যায়। তিনি যতক্ষণ আমি রেখে দেন, ততক্ষণ ভক্তিপথই সোজা।

    বিজ্ঞানী দেখে ব্রহ্ম অটল, নিস্ক্রিয়, সুমেরুবৎ। এই জগৎসংসার তাঁর সত্ত্ব রজঃ তমঃ তিন গুণে রয়েছে। তিনি নির্লিপ্ত (Ramakrishna)।

    বিজ্ঞানী দেখে যিনিই ব্রহ্ম তিনিই ভগবান, যিনিই গুণাতীত, তিনিই ষড়ৈশ্বর্যপূর্ণ ভগবান। এই জীবজগৎ মন-বুদ্ধি, ভক্তি-বৈরাগ্য-জ্ঞান—এ-সব তাঁর ঐশ্বর্য। (সহাস্য) যে বাবুর ঘর-দ্বার নাই, হয়তো বিকিয়ে গেল সে বাবু কিসের বাবু। (সকলের হাস্য) ঈশ্বর (Ramakrishna) ষড়ৈশ্বর্যপূর্ণ। সে ব্যক্তির যদি ঐশ্বর্য না থাকত তাহলে কে মানত! (সকলের হাস্য)

    বিভুরূপে এক—কিন্তু শক্তিবিশেষ

    দেখ না, এই জগৎ কি চমৎকার। কতরকম জিনিস—চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র। কতরকম জীব। বড়, ছোট, ভাল, মন্দ, কারু বেশি শক্তি, কারু কম শক্তি।

    বিদ্যাসাগর—তিনি কি কারুকে বেশি শক্তি, কারুকে কম শক্তি দিয়েছেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তিনি বিভুরূপে সর্বভূতে আছেন, পিঁপড়েতে পর্যন্ত, কিন্তু শক্তিবিশেষ। তা না হলে একজন লোকে দশজনকে হারিয়ে দেয়, আবার কেউ একজনের কাছ থেকে পালায়, আর তা না হলে তোমাকেই বা সবাই মানে কেন? তোমার কি শিং বেরিয়েছে দুটো? (হাস্য) তোমার দয়া, তোমার বিদ্যা আছে—অন্যের চেয়ে, তাই তোমাকে লোকে মানে, দেখতে আসে। তুমি এ-কথা মানো কি না? (বিদ্যাসাগর মৃদু মৃদু হাসিতেছেন)।

    আরও পড়ুনঃ “ছাদ যে জিনিসে তৈয়ারি—সেই ইঁট, চুন, সুরকিতেই সিঁড়িও তৈয়ারি”

    আরও পড়ুনঃ “সাপের ভিতরে বিষ আছে, অন্যকে কামড়ালে মরে যায়, সাপের কিন্তু কিছু হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে হিন্দু নারী-পুরুষ-শিশুদের। পরে জোর করে তাঁদের করা হচ্ছে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা নানা অছিলায় হিন্দু তরুণীদের নিয়ে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। সেখানেই চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণ। সম্প্রতি এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তাজ্জব প্রশাসন।

    অপহৃত হিন্দু কিশোরী (Love Jihad)

    কিছু দিন আগেই বাংলাদেশের সিপাহিজেলা থেকে অপহৃত হয় বছর পনেরোর এক হিন্দু কিশোরী। জনৈক সাব্বির আহমেদ ও তার বাবা তাকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। এর পরেই বাংলাদেশ প্রশাসন বর্ডার গার্ডকে (বিবিজি) এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। ভারত থেকে অপহৃত মহিলা কিংবা তরুণীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় পাকড়াও করার নির্দেশও দেওয়া হয়। বিবিজিকে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও, স্থানীয় ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এবং আদালতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়নি। তার জেরেই বন্ধ হয়নি তরুণী অপহরণ কিংবা জোর করে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। ফলশ্রুতি হিসেবে বাংলাদেশে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে লভ জিহাদ ও হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তকরণ।

    অপহৃত ১১ জন গ্রেফতার

    এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া খবর করে। সেই সংবাদ প্রতিবেদনের লিঙ্ক শেয়ার করা নিষিদ্ধ করে দেয় ফেসবুক, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অজুহাতে। বাংলাদের নামী দৈনিক ‘যুগান্তর’ ও নিউজ পোর্টাল ‘জাগো নিউজ’ একটি প্রতিবেদনে জানায়, রামগঞ্জ উপজিলার লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে। এদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল, করা হয়েছিল ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণও। মৌলবাদী ঘৃণা প্রচারক মিজানুর রহমান আজহারি স্বয়ং ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠান করেছিল। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছিল, ২০০৬ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে যায় স্থানীয় কাউন্সিল সদস্য ফতেমা বেগম ও মোজিবল হকের ছেলে মনির হোসেন।

    ওপার বাংলার মনির এপারে এসে শঙ্কর!

    পশ্চিমবঙ্গে এসে সে যোগ দিয়েছিল তবলিঘি জামাতে। শঙ্কর অধিকারী নাম নিয়ে দিব্যি সে বাস করছিল এপার বাংলায়। এখানেই সে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করে। এক দশকেরও বেশি সময় এ দেশে বসবাস করার পর মনির ও তাঁর স্ত্রী ফাঁদে পড়ে তবলিঘি জামাতের। ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। জামাতের তরফে মনির ওরফে শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের এক ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি এই নাগরিক মনিরকে হিন্দু তরুণী ও মহিলাদের বাংলাদেশের পাচারের অফার দেয়। তাঁদের ইসলামে দীক্ষিত করাতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তার বিনিময়ে মনিরকে ওই বাংলাদেশি মোটা টাকা মিলবে বলেও টোপ দেয়। টোপ গেলে মনির। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যের ছ’জন মহিলা, যাঁদের অধিকাংশই তার স্ত্রীর (যিনি আদতে হিন্দু) আত্মীয়, তাঁদের ভিসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। মনিরের স্ত্রী ও দুই সন্তানকেও পাঠানো হয় তাঁদের সঙ্গে। সেখানে তাঁদের প্রত্যেককেই জোর করে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়।

    লভ জিহাদের ফাঁদ

    ‘যুগান্তরে’র অন্য এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচাং উপজিলার হিন্দু মহিলা করফুল সরকারকে লভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়। সে পড়েছিল কাজল মিঞার খপ্পরে। প্রেমের জালে (Love Jihad) জড়িয়ে তাঁকে মুসলমান করার পর ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন করফুল। এতেই খেপে যান স্থানীয় মুসলমান নেতারা। তাঁকে তাঁর বাবার বাড়ির বাইরে বসবাস করতে বাধ্য করেন। শর্ত দেওয়া হয়, তাঁর বাবা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হলে, তবেই মিলবে এক সঙ্গে বসবাসের অনুমতি।

    হিন্দু পরিবারকে মুসলমান হতে চিঠি!

    বাংলাদেশের এক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদ। সে-ও এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে করে জোর করে দীক্ষিত করে মুসলমান ধর্মে। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করায় গ্রেফতার করা হয় শামিমকে। ২০২৩ সালের অগাস্টে কয়েকজন মুসলমান ঐশী বণিক নামে এক হিন্দু তরুণীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নামকরা বাংলা দৈনিক ‘ইত্তেফাকে’র একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, সে দেশের কয়েকজন মুসলমান মাগুরা জেলার ৫০টি হিন্দু পরিবারকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হতে হবে বলে চিঠি দেয়। ওই ঘটনায় চারজন মুসলমানকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশের প্রশাসন। যদিও তারা প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যায়।

    অন্য একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবে ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দুকে ইসলামি গ্রুপের তরফে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার টোপ দেওয়া হয়। ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দু ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে ভুয়ো খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান এবং আরও কয়েকটি দেশেও রমরমিয়ে চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণের ব্যবসা।

    আর পড়ুন: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    বাংলাদেশেরই আর একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ক্রমাগত চাপের কাছে নতি স্বীকার করে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের মাদারিপুরের হিন্দু দম্পতি অশোক মিত্র ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এই মাসেই জনৈক সাগরিকা দাস লভ জিহাদের খপ্পরে পড়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য হন। চেন্নাই পুলিশ কীভাবে আন্তর্জাতিক লভ জিহাদের একটি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছিল, সে খবর ফাঁস করে বাংলাদেশের নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা ট্রিবিউন’।

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ হিসেবে, তখন জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল অনেক হিন্দু পরিবার। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর আগে। যদিও আজও সেই ট্র্যাডিশন সমানে (Love Jihad) চলছে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর লোকসভার পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। টানা ২৫ বছর ধরে দিল্লি, বহরমপুরে রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রে তৃণমূলের কাছে পারাজিত হয়েছেন তিনি। যদিও নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, হেরে গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। একইভাবে, ইন্ডি জোট নিয়ে এই রাজ্যে মমতাকে সমর্থন করার বিষয়ে দলের সঙ্গে মতান্তর হয়েছিল তাঁর। পাল্টা দলের জাতীয় সভাপতির কাছ থেকে দল ছেড়ে গেলে কিছুই যাবে আসবে না এমন মন্তব্য শুনতে হয়েছিল। কিন্তু অধীর নিজের ভাবনায় স্থির ছিলেন।

    পরাজয়ের পর কী বললেন অধীর (Adhir Chowdhury)?

    নিজের পরাজয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) বলেন, “হেরে যাওয়া মানে হেরেই যাওয়া। আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি আমার কথা থেকে সরে আসিনি। আমার সিদ্ধান্ত আমি স্পষ্ট করে জানাব। আপনারা জানেন এখানে কোনও ভোট হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে সমীকরণ বদলে গিয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী, রাহুল গান্ধীকেও নির্বাচনে হারতে হয়েছিল। আমিও ভোটে হেরেছি। মানুষ আমাকে ভোট দেননি এটাই সত্য। আমিও মানুষের রায় মেনে নিলাম।”

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আর কী বললেন?

    সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) আরও বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে এটা কখনই বলিনি সারা পশ্চিমবঙ্গে জয়ী হব। কিন্তু আমাদের যেখানে যেখানে সম্ভব ছিল আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই করেছি। তবে হ্যাঁ, এখন পরাজয় স্বীকার করছি। ইউসুফ পাঠানকে আমি অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। বঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষের উপর চরম আঘাত আসতে চলেছে। মোদি কখনই ৪০০ সিট পাবেন না বলে আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কিছু সংবাদ মাধ্যম মোদির হয়ে প্রচার করেছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে। কঠোর পরিশ্রম এবং মানুষের বিশ্বাস আমাদের বড় জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Division: সপ্তাহান্তে শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও যাত্রী-ভোগান্তির আশঙ্কা

    Sealdah Division: সপ্তাহান্তে শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও যাত্রী-ভোগান্তির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই আবারও যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division)। বাতিল হতে পারে বহু ট্রেন। ৭ জুন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে তিনদিন ট্রেন বাতিলের পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। মঙ্গলবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই আলোচনায় বসেন রেলকর্তারা। আগামী শুক্রবার থেকে টানা তিনদিনে বেশ বহু ট্রেন বাতিলের (Local train cancelled) পাশাপাশি বহু ট্রেনের যাত্রাপথেও কাটছাঁট করা হবে।

    কী কারণে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত? 

    শিয়ালদা মেইন এবং বনগাঁ শাখায় প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ সহ ইন্টারলকিংয়ের কাজের পরিকল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই করছিল রেল। তবে এতদিন ধরে ভোট চলার কারণে যাত্রী হয়রানির কথা ভেবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়নি। তবে এবার ভোট মিটতেই সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। বুধবার রেলের কর্তারা বৈঠক করেছেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য মেগা পাওয়ার ব্লক করা হবে। সেই কারণে শিয়ালদা ডিভিশনের (Sealdah Division) বেশ কিছু শাখায় বহু ট্রেন বাতিল (Local train cancelled) থাকবে।

    পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ১২ কোচের ট্রেন চালানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ করা হবে। এর পাশাপাশি রেল চলাচলকে আরও মসৃণ করতে ইন্টারলকিংয়ের কাজ করা হবে। তার জন্য শিয়ালদা মেইন এবং বনগাঁ শাখায় পাওয়ার ব্লক করা হবে। ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই কাজ হবে।  এই সমস্ত কারণে শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division) প্রচুর সংখ্যক ট্রেন বাতিল (Local train cancelled) করা হবে। এছাড়া বহু ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর পর্যন্ত চলতে পারে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেন পদত্যাগপত্র

    সড়ক পথে অতিরিক্ত যান চালানোর আবেদন 

    রেলের এই সিদ্ধান্তে সপ্তাহের শেষে টানা তিন দিন শিয়ালদা মেন (Sealdah Division) ও বনগাঁ শাখার যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। তাই যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে সড়ক পথে অতিরিক্ত যান চালানোর জন্য সরকারের কাছে রেলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে রেলের তরফে তরফে জানানো হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত রেল লাইন রক্ষণাবেক্ষণ করলে বড়সড় মেরামতি এবং যন্ত্রাংশ পাল্টানোর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। সেক্ষেত্রে যাত্রী হয়রানি কমানো সম্ভব হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Post Poll Violence) ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল ২৯টি আসনে জয়ের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীরা লাঠি, বন্দুক, বাঁশ নিয়ে বাসিন্দাদেরকে হুমকি দিচ্ছে অনবরত। আক্রান্ত বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, “তৃণমূল হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছে, এলাকায় থাকতে গেলে বিজেপি করা যাবে না।” অপর দিকে ক্যানিংয়ে বিজেপি নেত্রীর মায়ের চোখ মেরে ফাটিয়ে দিল তৃণমূল। উল্লেখ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিরোধীরা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল।

    ক্যানিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা (Post Poll Violence)

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী অসীম কুমার দাস ও মা অনিতা সিনহা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী বলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    মধ্যমগ্রামে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ১০-১২টি বাড়ি ভাঙচুর (Post Poll Violence) হয়েছে মধ্যমগ্রাম বিধানসভার নেতাজী পল্লী এলাকায়। গতকাল রাতে ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এই এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাতে লোহার রড বাস বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালায়। বিজেপির কার্যালয়ের সাটারে লাগাতার লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে এবং সেই সঙ্গে ওই বাড়ি ভাঙচুর চালায় গুন্ডারা। কখনও মহিলাদের বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেওয়া হয় হুমকি। আবার কখনও বিজেপি করার অপরাধে লাগাতার কিল ঘুষি চড় মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। বাহিনী চলে যাবার পরে আবার দুষ্কৃতীরা এসে তাণ্ডব চালায়, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুনঃ গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    নিউটাউনে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এবার নিউটানে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাংচুর হয়েছে। অভিযোগ মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে নিউটাউনের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ১২ থেকে ১৪ জন পাথর, লাঠি ও মদের বোতল নিয়ে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ২টি বাইক ভাঙচুর করা হয়। মদের বোতল মেরে বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় বিজেপির মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share