Tag: news in bengali

news in bengali

  • Lok Sabha Polls 2024: রেকর্ড ভোট অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে, কত শতাংশ জানেন?

    Lok Sabha Polls 2024: রেকর্ড ভোট অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে, কত শতাংশ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড ভোট পড়ল জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে (Lok Sabha Polls 2024)। শনিবার ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন হয়েছে এই আসনে। দিনের শেষে দেখা গিয়েছে মতদান করেছেন ৫৩ শতাংশ ভোটার। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল মাত্র ৯ শতাংশ। এবার ভোটদানের হার বাড়ল ৬ গুণ।

    রেকর্ড ভোট (Lok Sabha Polls 2024)

    এদিন বেলা তিনটের মধ্যেই এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে গিয়েছিল ৪৫ শতাংশ। বেলা ১টার মধ্যে ভোট পড়েছিল ৩৫ শতাংশ। রাজৌরির বুদ্ধল এলাকায় ভোট পড়েছে ৬৮ শতাংশ। কুলগাম বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৩৪ শতাংশের কিছু বেশি। সামগ্রিকভাবে অনন্তনাগ, কুলগাম, সোপিয়ান এবং পুলওয়ামার চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায়। বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই দুই জেলায় ভোট পড়ে যায় (Lok Sabha Polls 2024) ৬৫ শতাংশ।

    ভোটারদের উৎসাহ 

    জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি লোকসভা আসনে নির্বাচন হয়েছে পাঁচ দফায়। ষষ্ঠ দফায় ভোট হয়েছে অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্রে। এর আগে বেশি ভোট পড়েছিল শ্রীনগর ও বারামুল্লায়। শতাংশের হিসেবে এই দুই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ৫৯। রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় ভোটারদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। উনিশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৩.৯৩ লাখ। সেটাই এবার বেড়ে হয়েছে ১৮.৩৬ লাখ। এর মধ্যে প্রথমবার ভোট দেবেন এমন ভোটারের সংখ্যা ৮১ হাজার। এই লোকসভা কেন্দ্রে কাশ্মীরি পণ্ডিত ভোটার ছিলেন প্রায় ২৫ হাজার।

    আর পড়ুন: ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার, দায়ের হল অভিযোগ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী হাসনেইন মাসুদি। তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৪০ হাজার ১৮০টি ভোট। যদিও ভোটারের সংখ্যা সেবার ছিল ১৩ লাখের কিছু বেশি। ভোট দিয়েছিলেন মাত্র ৯ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচনের পরেই ভূস্বর্গে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই বাড়ল ভোটদানের হার। অথচ ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ২৮ শতাংশ। এই কেন্দ্রে সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল ১৯৮৪ সালে, ৭০ শতাংশ। আর সব চেয়ে কম ভোট পড়েছিল ১৯৮৯ সালে, মাত্র ৫ শতাংশ। বর্তমানে রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলা অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলেই এটা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৬৭ সাল থেকে ২০২২ সালের আগে পর্যন্ত ভূস্বর্গে হয়নি সীমানা পুনর্বিন্যাস। ৩৭০ জারি থাকায় ওই কাজ হয়নি। উনিশে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই শুরু হয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ (Lok Sabha Polls 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Army Chief Gets Extension: সেনা প্রধানের চাকরির মেয়াদ বাড়ল, কেন জানেন?

    Army Chief Gets Extension: সেনা প্রধানের চাকরির মেয়াদ বাড়ল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার চিফ জেনারেল মনোজ পাণ্ডের (Army Chief Gets Extension) চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হল আরও এক মাস। রবিবার সরকারের তরফে এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে করা হল ৩০ জুন। দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। ফল বের হবে ৪ জুন। সরকারি সূত্রে খবর, জেনারেল পাণ্ডের উত্তরসূরি নির্বাচন করবে নয়া সরকার। সেই কারণেই বাড়ানো হল পাণ্ডের চাকরির মেয়াদ।

    বাড়ানো হল চাকরির মেয়াদ (Army Chief Gets Extension)

    পাণ্ডে সেনাপ্রধান পদে বসেছিলেন ২৫ মাস আগে। ৩১ মে তাঁর অবসরের দিন ছিল। যেহেতু দেশে নির্বাচন চলছে এবং পাণ্ডের উত্তরসূরি নির্বাচন হয়নি, তাই কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হল সেনা প্রধানের। জারি করা বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিটি ২৬ মে, ২০২৪ আর্মি স্টাফের প্রধান মনোজ পাণ্ডের (Army Chief Gets Extension) কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হল আরও এক মাস। তাঁর অবসরের দিন ছিল ৩১ মে, ২০২৪। সেটাই বাড়িয়ে করা হল ৩০ জুন, ২০২৪।

    জেনারেল পাণ্ডে

    উল্লেখ্য যে, গত কয়েক দশকে এই প্রথম সরকার কোনও সার্ভিস চিফের কার্যকালের মেয়াদ বাড়াল। ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল আর্মি স্টাফের প্রধান নিযুক্ত হন জেনারেল পাণ্ডে। কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্স পদে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। আর্মি প্রধান পদে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ছিলেন আর্মি স্টাফের ভাইস চিফ। এদিকে, জেনারেল পাণ্ডেকে রিটায়ারিং অফিসার্স আয়োজিত সেমিনারে বিদায় সম্বর্ধনা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জুন মাসে আরও দুই প্রবীণ আধিকারিকের অবসর রয়েছে। তার আগেই বাড়ানো হল সেনা প্রধানের কার্যকালের মেয়াদ।

    আর পড়ুন: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    এদিকে, অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, আগামী মাসে ভারতে সফরে আসার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেই সময় হতে পারে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি। জেনারেল পাণ্ডের নেতৃত্বে সেই চুক্তির জল গড়িয়েছে অনেক দূর। সম্প্রতি তিনি ঢাকা ঘুরেও এসেছেন। সেই কারণেও তাঁর কার্যকালের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে দেওয়া হল বলে খবর (Army Chief Gets Extension)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Remal Cyclone: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’! বাংলায় প্রস্তুত ১৪টি এনডিআরএফের টিম

    Remal Cyclone: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’! বাংলায় প্রস্তুত ১৪টি এনডিআরএফের টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Remal Cyclone)! বাংলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৪ টি বিপর্যয় মোকাবেলা টিম। ঠিক এমনটাই জানালেন বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর পূর্ব ক্ষেত্রের কমান্ডার। ইতিমধ্যে দুপুর থেকেই বৃষ্টি পড়ছে কলকাতায়। সমুদ্র উপকূলবর্তী দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। ইতিমধ্যে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি বইতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে।

    সুন্দরবন এলাকায় মানুষজন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। জিনিসপত্র, গরু, বাছুর, ছাগল, মোষ, হাঁস, মুরগী নিয়ে নিকটবর্তী ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এই ঝড়ের আতঙ্কে পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কট বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

    কী জানিয়েছন এনডিআরএফের কমান্ডার (Remal Cyclone)?

    রাজ্যের বঙ্গোপসাগরের তৈরি গভীর নিম্নচাপ এখন রেমাল (Remal Cyclone) নাম নিয়ে সুন্দরবন সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে। বিপর্যয়ের মোকাবেলায় ইতিমধ্যে এনডিআরএফের বাহিনী নেমে পড়েছে। এনডিআরএফের পূর্বক্ষেত্রের কমান্ডার গুরমিন্দর সিং জানিয়েছেন, “আজ মধ্য রাতের মধ্যে রেমাল সমুদ্রউপকূলের ভূখণ্ডের উপর আছড়ে পড়বে। আইএমডির সর্তকবার্তা অনুযায়ী ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় জানা গিয়েছে ১২০-১৩০ কিমি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হবে। ব্যাপক ভাবে ঝড় বৃষ্টি হবে। তবে সুপার সাইক্লোন বা আমফানের মতো হবে না। দুর্গত মানুষদের ইতিমধ্যে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    আর কী বললেন?

    এনডিআরএফের কমান্ডার এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “রাত ১২টা নাগাদ আছড়ে পড়বে রেমাল (Remal Cyclone)। কাঁচা বাঁধ রয়েছে এমন এলাকায় ১৪টি এনডিআরএফের টিম মোয়াতেন করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২টি করে টিম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে, একটি করে হাওড়া ও হুগলিতে টিম রাখা হয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, সুন্দরবনের সাগর সংগলগ্ন এলাকার বেশকিছু অংশে এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা জায়গায় জায়গায় মাইকিং করেছি। এলাকার বিপন্ন মানুষদের দ্রুত সরানো হবে শিবিরে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে যাঁদের বাড়ি কাঁচা তাঁরা যেন দ্রুত পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেন। ত্রিপল, দড়ি সহ নানা সরঞ্জামের আয়োজন করা হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নে সাঙ্গ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ভূস্বর্গে ভোটও পড়েছে ব্যাপক হারে। এতেই উৎসাহিত কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথায়। তিনি বলেন, “৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই হবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন।”

    জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা (Amit Shah)

    সংবাদ সংস্থায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলেই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে।” শাহ বলেন, “ভূস্বর্গে লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে মিটেছে। যা থেকে প্রমাণ হয়, মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতি সফল।” তিনি বলেন, “আমি সংসদেও বলেছি, কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলে আমরা রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে দেব। অনগ্রসর শ্রেণিগুলির সমীক্ষা, বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আসন পুনর্বিন্যাস বা ডিলিমিটেশন- সব পরিকল্পনামাফিক চলছে। আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তা না হলে শ্রেণি অনুযায়ী সংরক্ষণ দেওয়া সম্ভব হত না। কাশ্মীরে লোকসভা নির্বাচনও হয়ে গিয়েছে। বাকি শুধু বিধানসভা ভোট, তা-ও হয়ে যাবে।”

    ‘সুপ্রিম রায় মেনেই হবে ভোট’

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আগেই ওই প্রক্রিয়া আমরা শেষ করব।” প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে। শাহ বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে বলেছিলেন, উপত্যকার মানুষ ভারতের সংবিধানে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এই নির্বাচনটি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে। কাশ্মীরের সংবিধান আর সেখানে নেই। যাঁরা উপত্যকায় পৃথক দেশ চান, যাঁরা পাকিস্তানে চলে যেতে চান, তাঁরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের জয়। মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির জয়।”

    আর পড়ুন: “বিজেপি কখনওই সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলাবে না”, বললেন রাজনাথ

    ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই মোদি সরকার ভূস্বর্গ থেকে রদ করেন ৩৭০ ধারা। যার জেরে বিশেষ রাজ্যের অধিকার এবং রাজ্যের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। তার তিন বছর আগেই অবশ্য ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। সেই নির্বাচনই হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেও। উল্লেখ্য, অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ভূস্বর্গে লোকসভার আসন পাঁচটি। পাঁচ দফায় হয়েছে নির্বাচন (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 28: “আমাকে বিদ্যাসাগরের কাছে কি লইয়া যাইবে? আমার দেখিবার বড় সাধ হয়”

    Ramakrishna 28: “আমাকে বিদ্যাসাগরের কাছে কি লইয়া যাইবে? আমার দেখিবার বড় সাধ হয়”

    কলিকাতায় শ্রীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের মিলন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    বিদ্যাসাগরের বাটি

    আজ শনিবার, (২১ শে) শ্রাবণের কৃষ্ণা ষষ্ঠী তিথি, ৫ই অগষ্ট ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ। বেলা ৪ টা বাজিবে।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতার রাজপথ দিয়া ঠিকা গাড়ি করিয়া বাদুড়াবাগানের দিকে আসিতেছেন। সঙ্গে ভবনবাথ, হাজার ও মাস্টার। বিদ্যাসাগরের বাড়ি যাইবেন।

    ঠাকুরের জন্মভূমি, হুগলী জেলার অন্তঃপাতী কামারপুকুর গ্রাম। এই গ্রামটি বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ নামক গ্রামের নিকটবর্তী। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বাল্যকাল হইতে বিদ্যাসাগরের দয়ার কথা শুনিয়া আসিতেছেন। দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়িতে থাকিতে থাকিতে তাঁহার পাণ্ডিত্য ও দয়ার কথা প্রায় শুনিয়া থাকেন। মাস্টার বিদ্যাসাগররের স্কুলে অধ্যাপনা করেন শুনিয়া তাঁহাকে বলিয়াছিলেন, আমাকে বিদ্যাসাগরের কাছে কি লাইয়া যাইবে? আমার দেখিবার বড় সাধ হয়। মাস্টার বিদ্যাসাগরকে সেই কথা বলিলেন। বিদ্যাসাগর আনন্দিত হইয়া তাঁহাকে একদিন শনিবার ৪ টার সময় সঙ্গে করিয়া আনিতে বলিলেন। একবার মাত্র জিজ্ঞাসা করিলেন, কিরকম পরমহংস? তিনি কি গেরুয়া কাপড় পরে থাকেন? মাস্টার বলিয়েছিলেন, আজ্ঞা না, তিনি এক অদ্ভুত পুরুষ, লাল পেড়ে কাপড় পড়েন, জামা পরেন, বার্নিশ করা জুতা পরেন, রাসমণির কালীবাড়িতে একটি ঘরের ভিতর বাস করেন, সেই ঘরে তক্তপোশ পাতা আছে—তাহার উপর বিছানা, মশারি আছে, সেই বিছানায় শয়ন করেন। কোন বাহ্যিক চিহ্ন নাই-তবে ঈশ্বর বই আর কিছু জানেন না। অহর্নিশ তাঁহার চিন্তা করেন।

    গাড়ি দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ি হইতে ছাড়িয়াছে। পোল পার হইয়া শ্যামবাজার হইয়া ক্রমে আমহার্ষ্ট ষ্ট্রীটে আসিয়াছে। ভক্তেরা বলিতেছেন, এইবার বাদুড়বাগানের কাছে আসিয়াছে। ঠাকুর বালকের ন্যায় আনন্দ গল্প করিতে করিতে আসিতেছেন। আমহার্ষ্ট ষ্ট্রীটে আসিয়া তাঁহার ভাবান্তর হইল, যেন ঈশ্বরাবেশ হইবার উপক্রম।

    আরও পড়ুনঃ “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    আরও পড়ুনঃ“এই স্থানে নরেন্দ্রের গান ঠাকুর প্রথমে শুনেন ও তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে বলেন”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মোদির সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক ভীষণ নিবিড়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “মোদির সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক ভীষণ নিবিড়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শৈশবে চায়ের কাপ-প্লেট ধুতে ধুতে কৈশোরে পৌঁছেছি। পরে চা পরিবেশন করেছি। মোদির সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক ভীষণ নিবিড়।” রবিবার উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে যে ভোট নষ্ট, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, “সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিয়ে কেউ তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। কেউই তাঁকে ভোট দেন না, যিনি ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন, যাঁর সরকার গড়াটা প্রায় নিশ্চিত।”

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডি’ জোট (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ ইন্ডি জোটের নেতাদের ভালো করে চিনে ফেলেছেন। এই মানুষগুলো ভয়ঙ্করভাবে সাম্প্রদায়িক। এরা নিদারুণভাবে বর্ণবাদী, চূড়ান্তভাবে পরিবারবাদী। যখনই তাদের সরকার গঠিত হয়, তখনই এসবের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।” এদিনের সভায় সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “যাদব সম্প্রদায়ের মধ্যেও অনেকেই রয়েছেন যাঁরা প্রতিশ্রুতিমান। কিন্তু তিনি (অখিলেশ) কেবল বেছে বেছে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরই নির্বাচনের টিকিট দিয়েছেন।”

    ‘মাফিয়াদের স্বর্গ ছিল’

    তিনি বলেন, “এই সমাজবাদী পার্টির লোকজন ধৃত জঙ্গিদেরও মুক্তি দিয়েছিল। যেসব পুলিশ কর্মী এটা করতে চাইতেন না, তাঁদের সাসপেন্ড করে দিত। তারা গোটা উত্তরপ্রদেশ ও পূর্বাঞ্চলকে মাফিয়াদের স্বর্গ বানিয়ে ফেলেছিল। সেটা জীবন-মাফিয়া হোক বা জমি-মাফিয়া। কেউ জানতেন না কখন কাকে কিংবা কার জমি মাফিয়ারা ছিনিয়ে নেবে। সমাজবাদী পার্টির সরকারের ভোটব্যাঙ্কই ছিল মাফিয়ারা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সাহসের সঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছিলেন। সমাজবাদী পার্টির সরকারের আমলে যারা ক্ষমা পেত, বিজেপি সরকারের জমানায় সেই মাফিয়ারাই ভয়ে কাঁপছে।”

    আর পড়ুন: “বিজেপি কখনওই সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলাবে না”, বললেন রাজনাথ

    তিনি বলেন, “আমাদের দেশের পবিত্র সংবিধানও তাদের (ইন্ডি জোটের) লক্ষ্য। এসসি-এসটি-ওবিসির সংরক্ষণ লুট করতে চায় তারা। আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হতে পারে না। অথচ ২০১২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সময় সমাজবাদী পার্টি ইস্তাহারে বলেছিল, দলিত এবং ব্যাকওয়ার্ড শ্রেণির মতো মুসলমানদেরও সংরক্ষণ আওতায় আনা হবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সন্ন্যাসীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বাংলার সন্ত-সাধু সমাজ মোটেই ভালো চোখে নেননি। মমতা গোঘাটের জনসভা থেকে ইসকন, রামকৃষ্ণ এবং ভারতসেবা আশ্রমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) নাম করে বলেন, “বুথে তৃণমূল এজেন্ট”-দের বসতে না দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাজনীতি করছেন তিনি। প্রতিবাদে বঙ্গীয় সন্ত সমাজের উদ্যোগে খালি পায়ে ২৪ মে বাগবাজার থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত প্রতিবাদ সভা করেন। সভার একদিন পর একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়ে কার্তিক মহারাজ মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং একাধিক বিষয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে।”

    হুমায়ুকে শো-কজ কেন করেনি মমতা (Kartik Maharaj)?

    রাজ্যের মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সুর চড়িয়েছেন। মমতার বিরুদ্ধে মুসলমান তোষণ এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) মমতাকে নিশানা করে বলেন, “বাংলার মানুষ আমায় চেনে, গোটা বাংলার মানুষ আমার পিছনে রয়েছে। বহরমপুরের মানুষ জানেন কার্তিক মহারাজ কেমন। মমতা রাজ্যের প্রধান। পুলিশ, আইন সবই ওঁর পক্ষে। ওঁর আঁতে ঘা লেগেছে। আমি নিজে ১২টা স্কুল চালাই, যেখানে ৮০ শতাংশ মুসলিম ভাইরা পড়াশুনা করে। আমাদের সেবা প্রতিষ্ঠান সব সময় সেবা কাজ করে থাকে। সাহায্যের সময় ধর্ম, রাজনীতি কিছু দেখি না আমরা। আমাদের কাছে আমাদের সংস্কৃতি-ধর্ম আগে। তাই আমাকে কথা বলতেই হয়। আমাকে নিয়ে এত কথা বলেছেন মমতা, অথচ হুমায়ুন অত বড় কথা বললেন, কিন্তু পার্টি থেকে কোনও রকম শোকজ করা হয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেছিলেন ‘আমরা ৭০ শতাংশ, ওরা ৩০ শতাংশ, ভাসিয়ে দেব’। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না কেন মমতা? তবে আমি ডন নই যে আমার ৫০০ ছেলে রয়েছে। একা আমাকে নয়, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন সবাইকেই আক্রমণ করেছেন মমতা।”

    আরও পড়ুনঃ বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    চক্রান্ত দেশভাগের আগে থেকে চলছে

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) বলেন, “দেশ বিভাজনের আগে থেকেই বাংলায় চক্রান্ত চলছে। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ হল, সেটা কেন হল? ইসকনের ওপরও আক্রমণ করা হয়েছে। আমি কার্তিক মহারাজ, আমি আমার ধর্ম, আমার সমাজ, সংস্কৃতির জন্য লড়ব। তাতে আমার মৃত্যু হলে হবে। রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক আজ নতুন নয়। দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরেই দেখা গেছে ধর্ম, বর্ণের ওপর নির্ভর করে প্রার্থী দেওয়া হয়। এমনকী বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় ভোটের আবহে। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটের শুরুতেই কংগ্রেসের ইস্তেহারকে মুসলিম লীগের ইস্তেহার বলে প্রধানমন্ত্রী যেমন আক্রমণ করেছিলেন, তেমন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গেছে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠানের রাজনীতির অভিযোগ। ভারতে নুন ছাড়া তরকারির মতো ধর্ম ছাড়া রাজনীতি হয় কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার সপ্তম দফায় ভোট বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের। এই কেন্দ্রে মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি। নারী নির্যাতন, হিন্দু মহিলাদের বেছে বেছে ধর্ষণ, জোর করে জমি দখল সহ একাধিক ইস্যুতে সাধারণ মহিলাদের ক্ষোভের আগুনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতা মহিলাদের পাশে না দাঁড়িয়ে পক্ষাবলম্বন করেছিলেন শেখ শাহজাহানের। ইতিমধ্যে প্রতিবাদী মুখ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রচার ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠেছে এলাকায়। কিন্তু এই কেন্দ্রে ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি তাঁর দলের বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। তিনি হাড়োয়ায় নির্বাচনী সভা থেকে দলের বিধায়ককে হুমকি দিয়ে বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”।

    ঠিক কি বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    এদিন নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা (Mamata Banerjee) দলের কর্মী-নেতা-বিধায়কদের কোন্দলকে আরও স্পষ্ট করে দেন। তিনি নিজের দলের মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানী এবং তাঁর স্বামী মৃত্যঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কার্যত সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইলে কোনও জায়গা নেই দলে। তৃণমূলের এমএলএ থাকবেন আর মিটিংয়ে আসবেন না তা করা চলবে না। যতক্ষুণ ক্ষমা না চেয়ে পা ধরবে, ততক্ষুণ মুক্তি নেই। আপনি স্বামীকে নিয়ে দল বিক্রি করে দেবেন এমনটা দলে চলবে না। এটা মানবো না। তৃণমূল নেতা তৈরি করে, একটা যাবে তো লক্ষ নেতা তৈরি হবে। ব্লকে যারা আছে, জেলার যারা আছে তাদের তুলে ধরব।”

    আরও পড়ুনঃ ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    বিধায়ককে বাদ রেখে টিম গঠন

    এদিন দলের মধ্যে প্রকাশ্যে এই বিস্ফোরক মন্তব্যে ভোটের আগে একটা বড় ফাটল নজরে এসেছে। একই ভাবে এই বিধায়কে বাদ দিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে দেন মমতা (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য ঊষারানী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন বলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করে ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এসএসসিতে গ্রুপ সিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। কিন্তু নিয়োগ বেআইনি হওয়ায় চাকরি বাতিল হয়েছে। মেয়ে ডি-র দাবিতে মিছলে যোগ দিয়েছিলেন। তাতেও শাসক দলের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। অপর দিকে সন্দেশখালির বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী রেখা পাত্রকে চয়ন করেছিলেন। ফলে বসিরহাটে শাসক দলের কোন্দলে বিজেপি কতটা বাজিমাত করবে সেই দিকেই নজর এখন ওয়াকিবহল মহলের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Abhijit Ganguly: ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের মধ্যেই প্রতিবাদ ধর্নায় বসলেন তমলুক বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। গতকাল শনিবার ছিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। এই পর্বে ছিল তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর কেন্দ্র। একাধিক কেন্দ্রে পুলিশ সরাসরি তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছে বলে অভিযোগ করে ধর্নায় বসলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট ভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ তৃণমূলকে জয়ী করতে জুলুমবাজি করেছে।” সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় তাঁকে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। উল্লেখ্য এই বিচারপতির রায়ে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন। একই ভাবে রেশন দুর্নীতি, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ছিলেন তিনি।

    কী বললেন অভিজিৎ (Abhijit Ganguly)?

    ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার সেক্রেটারির বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ধর্নায় বসেন। তিনি ধর্নায় বসে বলেন, “ময়নার পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা গৌতম গুরু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে অপহরণ করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাত থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তাঁর স্ত্রীর কাছে অভিযোগ পেয়ে বাড়িতে যাই। এখন গৌতমের বাড়িতে বসেই ধর্না বিক্ষোভ করব।”

    আরও পড়ুনঃ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’! গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী

    মূল অভিযোগ কী?

    ময়নার এই অঞ্চলটি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়েছে। পুলিশ, অশোক দিন্দার সেক্রেটারির বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) অর্ডার দেখতে চান। পুলিশ সেরকম কোনও তথ্য দিতে পারেনি। ফলে তাঁর দাবি, এই ঘটনা পুলিশের অত্যাচার, ক্ষমতার অপব্যবাহার এবং জুলুমের সমতুল্য। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ধর্নায় বসেন এই বিজেপি প্রার্থী। ভোটের মধ্যে এই ধর্না রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ইতি মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “৪০০ পার নিছক স্লোগান নয়…”, সাক্ষাৎকারে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “৪০০ পার নিছক স্লোগান নয়…”, সাক্ষাৎকারে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই বলেছিলেন চলতি লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পাবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এবার প্রধানমন্ত্রীর সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) মুখেও।

    ৪০০ আসন পার… (Rajnath Singh)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীরা লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পাবে।” শনিবারই দেশে হয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ভোট হয়েছে ৫৮টি আসনে। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বিজেপির অন্য শীর্ষ নেতারাও প্রত্যয়ী, এবার ৪০০ আসন পাবে বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্লোগান ছিল, ‘অব কি বার, ৪০০ পার’। এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “এটা নিছকই আমাদের প্রচারের স্লোগান নয়, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। আজ, ষষ্ঠ (২৫ মে) দফার নির্বাচন শেষে আমরা খুবই কনফিডেন্ট যে ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাব আমরা।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    গত ১২ মে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Rajnath Singh) দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এবার পূর্ব ভারতেও বিজেপি দাপিয়ে বেড়াবে। যার জেরে এনডিএ অনায়াসেই ৪০০ আসনের লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে যাবে।” তিনি বলেছিলেন, “আমি ভারতের প্রায় সব কেন্দ্রেই গিয়েছি। আমি বলতে পারি, বিজেপিতে অনেক রং যোগ করেছে বিহার। তাই এনডিএর যে ৪০০ পারের রেজ্যুলিউশন, তা অতিক্রম করবে এনডিএ। কেবল বিহার নয়, এ ছবি কমবেশি গোটা দেশের একই।”

    আর পড়ুন: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    এবারও উত্তরপ্রদেশের লখনউ আসনে লড়ছেন রাজনাথ। তিনি এই কেন্দ্রের দু’বারের সাংসদ। এক সময় এই আসনেই জয়ী হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে বিজেপি। উনিশের নির্বাচনে তার চেয়ে বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে পদ্ম-পার্টি। রাজনাথকে দেওয়া হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র স্লোগান মাথায় রেখে রাজনাথ ২০২০ সালেই ১০১টি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তার পরের বছরও ১০৮টি মিলিটারি অস্ত্র এবং সিস্টেম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share