Tag: news in bengali

news in bengali

  • Remal Cyclone: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’! গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী

    Remal Cyclone: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’! গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Remal Cyclone) আছড়ে পড়বে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে, আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে সুন্দরবন এলাকার মানুষের। অন্যদিকে মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং প্রচার করছে প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাতের মধ্যেই ব্যাপক রূপ নেবে এই ঘূর্ণিঝড়।

    গোসাবায় প্রস্তুতি (Remal Cyclone)

    একেই কোটাল তাই ঘূর্ণিঝড়ে (Remal Cyclone) নদীর জলের স্তর বেড়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে নদীর জলের গতিও বৃদ্ধি পাবে। নদী বাঁধগুলি ভেঙে চাষের জমিতে জল ঢুকে পড়ারা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভয়, আতঙ্ক এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাপক। ফলে প্রশাসন সতর্ক হয়ে আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গোসাবা ব্লক এলাকার ১টি দ্বীপের ১৪টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। আবার গোসাবার একাধিক নদীর ধার সংলগ্ন এলাকার গ্রামের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ জোরকদমে প্রচার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

    ঝড় মকাবেলায় প্রস্তুতি হিঙ্গলগঞ্জে

    আবার ঘূর্ণিঝড় (Remal Cyclone) মোকাবেলার সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও। হিঙ্গলগঞ্জের এক গ্রামবাসী রেনুকা মন্ডল বলেন, “আগেও ঝড় হয়েছে আমাদের সব কিছু শেষ করে দিয়ে গিয়েছে। আইলা ঝড়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সরকারের কোনও সহযোগিতা পাইনি। পঞ্চায়েত থেকে অনেককে ঘর দিলেও আমাকে দেয়নি। এইবার শুনেছি ঝড় আসবে। তাই খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি।” আরও এক মহিলা নমিতা মন্ডল  বলেন, “বড় ঝড় আছে শুনেছি। প্রচণ্ড আশঙ্কার মধ্যে রয়েছি। রাতটা এখন কীভাবে কাটবে সেই চিন্তার মধ্যে রয়েছি।” আইলা, আমফান, বুলবুল-এর মত ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে দেখেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বাড়ি ভেঙে পড়েছে, নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম জল জলের তোরে ভেসে গিয়েছে, গ্রাম ছেড়ে থাকতে হয়েছে মাসের পর মাস। বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরেও সেই বাড়ির তৈরির ক্ষতিপূরণ আজও পায়নি বহু মানুষ। তাই আবার ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে চিন্তায় মাথায় হাত হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন এলাকার মানুষের।

    আরও পড়ুনঃ রেমাল আতঙ্কে ২১ ঘণ্টা বন্ধ বিমান, বন্ধ ফেরি, বাতিল বহু লোকাল

    দিঘা-মন্দারমণিতে সতর্কতা জারি

    পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের রেমাল (Remal Cyclone) ঘূর্ণিঝড়ে জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলার ২৫টি বিডিও অফিসে খোলা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলা দফতর। একই ভাবে চলছে বিশেষ নজরদারি। গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরে না যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। চলছে মাইকিং। সমুদ্রের জলে নামতে নিষেধাজ্ঞাজারি করা হয়েছে। তমলুকে খোলা হয়েছে বিশেষ সদর দফতর। কোলাঘাট, গেঁওখালি, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, জুনপুট, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, দিঘায় চলছে বিশেষ নজরদারি। সবরকম বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajiv Kumar: “সন্দেহ সৃষ্টি করা কিছু মানুষের কাজ”, বললেন রাজীব কুমার

    Rajiv Kumar: “সন্দেহ সৃষ্টি করা কিছু মানুষের কাজ”, বললেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেহ সৃষ্টি করা কিছু মানুষের কাজ। তবে একথা বলতে পারি আমাদের সিস্টেম খুব স্ট্রং।” শনিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের শেষে কথাগুলি বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি বলেন, “কেবল আজ বলতে আজ নয়, গত ৭০-৭২ বছর ধরেই সিস্টেম স্ট্রং রয়েছে।”

    স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্জি খারিজ (Rajiv Kumar)

    গত পাঁচ দফার নির্বাচনে বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ করা হয় এদিন। এরই একদিন আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  সংস্থার দাবি ছিল, প্রতিটি বুথে কত ভোট পড়ছে, তা প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরের দিনই নির্বাচন কমিশনের কর্তার (Rajiv Kumar) এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটদানের হার জানাতে ডেটা ফরম্যাট করবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা থাকবে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা।

    কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল। শেষমেশ শীর্ষ আদালত রায় দিয়ে দিয়েছে।” এর পরেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমি কেবল এটুকুই বলতে পারি এ ব্যাপারে কোনও ভুল নেই। কোনও ভুল হতেও পারে না। তার পরেও কেন সন্দেহ দানা বাঁধবে? সেগুলো কীভাবে সৃষ্টি করা হচ্ছে? ভোট এবং ভোট-আবহের ওপর কীভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, কীভাবে আমাদের সম্পূর্ণ শক্তি ডাইভার্ট হয়ে যাবে, তা সবার জানা প্রয়োজন। একদিন দেশবাসীকে আমরা এ ব্যাপারে সব বলব।”

    আর পড়ুন: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    কোনও একটি লোকসভা কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে, তা শতাংশের হিসেবে প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রতি দফায় প্রকৃতপক্ষে কত ভোট পড়েছে, কমিশন যাতে সেটাই জানায় সেই আবেদন নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে কমিশনকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ওয়েবসাইটে ফর্ম ১৭-সি আপলোড করুন। এই ফর্ম পূরণ করলেই জানা যাবে প্রতিটি বুথে কত ভোট পড়েছে (Rajiv Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।      

     

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় ভোটদানে শীর্ষে বাংলা, বিজেপি এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় ভোটদানে শীর্ষে বাংলা, বিজেপি এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে উতরোল ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনও (Lok Sabha Election 2024)। পয়লা জুন হবে সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। ২৫ মে শনিবার নির্বাচন হয়েছে দেশের ৫৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। ভোটদানের হারে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গই। বাংলার আটটি আসনের মধ্যে এগিয়ে বিষ্ণুপুর। এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮১.৪৭ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে তমলুক। এখানে ভোট পড়েছে ৭৯.৭৯ শতাংশ। কাঁথিতে মত দিয়েছেন ৭৫.৬৬ শতাংশ মানুষ। ঘাটালে ৭৮.৯২, বাঁকুড়ায় ৭৬.৭৯, মেদিনীপুরে ৭৭.৫৭ এবং পুরুলিয়ায় ৭৪.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ভোটদানের হার ৭৭.৯৯ শতাংশ।

    এই দফায় গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024)

    ষষ্ঠ দফায় গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর-পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির মনোজ তিওয়ারি। নতুন দিল্লি কেন্দ্রে আম আদমি পার্টির মন্ত্রী সোমনাথ ভারতীর বিরুদ্ধে লড়ছেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি। হরিয়ানার কারনাল কেন্দ্রে বিজেপির তাস প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মনোহরলাল খট্টর। কুরুক্ষেত্র কেন্দ্রে লড়ছেন শিল্পপতি নবীন জিন্দল। গুরগ্রাম কেন্দ্রে এদিন ভাগ্য পরীক্ষা হয়েছে রাজ বব্বরের। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বিজেপির মানেকা গান্ধী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও।  অনন্তনাগ-রাজৌরিতে লড়ছেন(Lok Sabha Election 2024) জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    কমিশন সূত্রে খবর, এদিন ভোট হয়েছে দেশের আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত গড় ভোটদানের হার ৪৯.২ শতাংশ। এদিন দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভোট দিয়ে বেরিয়ে বলেন, “ভোট দিয়ে দেশের নাগরিক হিসেবে আমি নিজের দায়িত্ব পালন করলাম। আমি আগেও বলেছি, এটা প্রত্যেক দেশবাসীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।” রাঁচির একটি বুথে ভোট দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দিল্লিতে সস্ত্রীক ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কপিল দেবও। তিনি বলেন, “নিজের কেন্দ্রের জন্য সঠিক প্রার্থী বাছাই করাটা খুব জরুরি।”

    আর পড়ুন: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    এদিকে, দেশের বাকি আসনগুলিতে বিঘ্নহীনভাবে নির্বাচন হলেও, এদিনও অশান্তির আঁচ লাগল বাংলায়। কেবল দুই মেদিনীপুরে কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ৩৩৭টি। এদিন ভোট হয়েছে বাঁকুড়া, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে। হলদিয়ায় বিজেপির এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেশপুরের বুথে বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তমলুক কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেবাংশু লড়ছেন তাঁরই বিরুদ্ধে।

    দেবাংশুর অভিযোগ (Debangshu Bhattacharya)

    তৃণমূলের এই প্রার্থীই বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েবকাস্টিংয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের যে কোনও সারবত্তা নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বুথের ভিতরের ভিডিও ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে, তার উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে পরেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) (ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ইভিএমের সামনে কয়েকজন জড়ো হয়ে রয়েছেন। দেবাংশুর দাবি, ভিডিওটি নন্দীগ্রাম ১ এর সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। দেবাংশুর অভিযোগ, এই বুথে বিজেপি দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে।

    কমিশনের দাবি

    তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, ওই বুথে ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেটি পাল্টানো হচ্ছিল। তাই ভিড় হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেবাংশুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপির অভিজিৎ। হেভিওয়েট এই প্রার্থীর সামনে দাঁড়ানোটাই চ্যালেঞ্জ দেবাংশুর কাছে। তিনি জানেন, অভিজিতের কাছে গোহারা হারবেন। তাই গেয়ে রেখেছেন আগাম গাওনা। দেবাংশুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন অভিজিৎও। তিনি বলেন, “কমিশন আগেও ওঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। কোথাও কোনও ছাপ্পার অভিযোগ নেই।”

    আর পড়ুন: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির

    তবে ওয়েবকাস্টিংয়ের ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে তা জানার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। ওয়েবকাস্টিং নিয়ন্ত্রিত হয় দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতর, সিইওর দফতর এবং জেলাশাসকের দফতর থেকে। ওয়েবকাস্টিংয়ের পাশওয়ার্ড রয়েছে হাতে গোণা কয়েকজনের কাছে। তাই কীভাবে বাইরে এল ভিডিও ফুটেজ? সিইও দফতর সূত্রে খবর, সেখান থেকে ফুটেজ বের হয়নি। তাহলে বাকি রইল জেলাশাসকের দফতর। যদি তা হয়ে থাকে, তবে তা সার্ভিস রুল অবমাননার শামিল। ফুটেজ লিকের নেপথ্যেই বা কে, তাও জানার চেষ্টা করছে কমিশন (Debangshu Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির  

    PM Modi: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করেছিল চন্দ্রযান-৩। জায়গাটির নাম ‘শিব-শক্তি’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দাবি, এই নামটি দেওয়া হয়েছে যাতে ভারতের নাগরিক এই নামের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করতে পারেন। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে ওই জায়গাটির নাম পরিবারের কোনও সদস্যের নামে করে দিত।”

    শিব-শক্তি নাম কেন? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চন্দ্রযান-৩ প্রথম যেখানে ভূমি স্পর্শ করেছিল তার নাম অন্য কিছুও হতে পারত। তবে তারা(কংগ্রেস) ক্ষমতায় থাকলে, তারা জায়গাটির নাম তাদের পরিবারের কারও নামে নামকরণ করতে পারত…কিন্তু আমি সেটা করতে পারি না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত তামাম বিশ্বকে একটা দর্শন (ফিলোজফি) দিয়েছে। আমি গর্ব অনুভব করি এই ভেবে যে এর (চাঁদের ওই ভূমি) যে নাম দেওয়া হয়েছে, সেই শক্তি মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে।”

    পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি যখন বলি শিব-শক্তি, ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ এর সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন। যদি একটা পরিবারের নামে এর নামকরণ করা হত, তাহলে জনগণের একটা অংশ মাত্র এর সঙ্গে নিজেকে রিলেট করত। শিব-শক্তি হল একটা নাম, যেটা আমাদের মোটিভেট করে, শক্তি জোগায়। এটা এমন একটা নাম যা কোটি কোটি মানুষকে গাইড করে।”

    আর পড়ুন: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। আজ, শনিবার হল ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। তার আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কংগ্রেসকেই চাঁদমারি করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা সময় তিনি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। কংগ্রেসের আমলে চন্দ্রাভিযান-৩ সফল হলেও, যে তার ব্যতিক্রম হত না, এদিন প্রকাশ্যেই তা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে চন্দ্রযান-৩। বিশ্বে ভারতই প্রথম দেশ, যারা এই অঞ্চলে ল্যান্ড করতে সক্ষম হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ প্রথম যে জায়গাটিতে ল্যান্ড করে, সেখানকার নাম দেওয়া হয় শিব-শক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের ৭৭টি শ্রেণিকে (যার সিংহভাগই মুসলমান এবং তাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল জমানায়) দেওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও উচ্চতর আদালতের এই রায়ের প্রসঙ্গে নিশানা (Rajasthan Govt) করেছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যকে কষিয়ে এক থাপ্পড়।”

    কাদের ওবিসি শংসাপত্র! (Rajasthan Govt)

    আদালতের এই রায়ের দু’দিনের মধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজস্থান সরকার পূর্বতন সরকারের আমলে কাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে। ২৪ মে রাজস্থানের সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রী অবনীশ গেহলট বলেন, “তুষ্টিকরণের রাজনীতির অংশ হিসেবে কংগ্রেস ১৪টি মুসলিম শ্রেণিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছিল।” তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত সমস্ত সার্কুলার আমাদের রয়েছে। যথা সময়ে দফতর ও সরকার এটি পুনর্মূল্যায়ন করবে।” গেহলট বলেন (Rajasthan Govt), “ধর্মের ভিত্তিতে কোনও শ্রেণিকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা সংবিধানের নীতিবিরুদ্ধ। আমরা এ ব্যাপারে একগুচ্ছ অভিযোগ পেয়েছি। দফতর অভিযোগগুলি যাচাই করে দেখছে। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাজস্থানে সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের হার ২১ শতাংশ। চলতি বছর এপ্রিল মাসে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের কোটা কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ঢালাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক নির্বাচনী জনসভায় অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই এরা কী দলিত, উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করবে না? যদি তা না করে, তাহলে দেশবাসীকে কথা দিতে হবে।”

    আর পড়ুন: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। যদিও ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে বাকিরা আর চাকরিপ্রক্রিয়ায় ওই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবেন না বলেই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের। বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রাজ্যকে ফের নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে (Rajasthan Govt)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয়। একাধিক বুথে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখায়। সৌমেন্দু অবশ্য পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ করেন। অপর দিকে তমলুক, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বার হামলা করার চেষ্টা করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, বুথে বসতে না দেওয়া এবং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অশান্তি মূলের তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।

    কী বললেন সৌমেন্দু (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের দিন (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সৌমেন্দু বলেন, “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বাহিনী কী করবে কী করবে না তা কী ওরা ঠিক করবে? বুথের সামনে ব্যাপক অবৈধ জমায়েত করা হচ্ছে। সকলের ভোটার আইডি দেখা হোক। আমি এখানকার প্রার্থী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে কিনা, তাই দেখতে এসেছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, “বুথে বাহিনী অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যারা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর লোকজন বিজেপি নেতাদের বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।”

    আরও পড়ুনঃমেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য

    নন্দীগ্রামে ভোট দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সৌমেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) আমাদের অধিকার। আমি আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য মোদি জি-কে ভোট দিলাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন। তিনি তৃণমূলের অনেক চোরকে জেলে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় আরও বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দরকার। এই এলাকায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। ২০০ টির বেশি বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর সেই বিষয়েই মন্তব্য করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajib Kumar)। শনিবার ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিতে এসে রাজীব কুমার জানান, এ বছর লোকসভা ভোট যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে এগোচ্ছে। এর মধ্যে ভোট দানের হার প্রকাশিত না হওয়ায়াই ভালো। এতে ভোটারদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

    তিন প্রজন্মের একসঙ্গে ভোটদান 

    এদিন রাজীব কুমার তাঁর বাবা, স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে এসে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান তার বাবার সাথে প্রথম ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “তিন প্রজন্ম একসঙ্গে ভোট দেওয়াটা গর্বের বিষয়।” একই সঙ্গে তিনি এ দিন সেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত প্রত্যেকজন ভোটারকে ভোটদানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।

    আরও পড়ুন: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    কমিশনের প্রশংসা 

    এদিন রাজীব কুমার জানান প্রথম পাঁচ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) যথেষ্ট ভালোভাবে নিজের দায়িত্ব সামলেছে কমিশন। একই সঙ্গে কমিশনের প্রশংসা করে  তিনি বলেন, ভোটের জন্য কমিশনের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ রাজ্যে ভোটদানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দেশের ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮৮৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে ১১.১৩ কোটিরও বেশি ভোটার। ষষ্ঠ দফায় বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্বু কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওড়িশার ৬টি, উত্তরপ্রদেশের ১৪ টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি আসনে ভোটগ্রহন হয়েছে। একই সঙ্গে ওড়িশার ৪২ টি বিধানসভা কেন্দ্রেও এদিন ভোটগ্রহণ হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 27: “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    Ramakrishna 27: “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কেশবের প্রতি স্নেহজগন্মাতার কাছে ডাবচিনি মানা

    আজ কমলকুটিরে সেই বৈঠকখানাঘরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে উপবিষ্ট। ২রা এপ্রিল ১৮৮২, বেলা ৫টা। কেশব ভিতরের ঘরে ছিলেন, তাঁহাকে সংবাদ দেওয়া হইল। তিনি জামা-চাদর পরিয়া আসিয়া প্রণাম করিলেন। তাঁহার ভক্তবন্ধু কালীনাথ বসু পীড়িত, তাঁহাকে দেখিতে যাইতেছেন। ঠাকুর আসিয়াছেন, কেশবের আর যাওয়া হইল না। ঠাকুর বলিতেছেন, তোমার অনেক কাজ, আবার খপরের কাগজ লিখতে হয়; সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) যাবার অবসর নাই; তাই আমিই তোমায় দেখতে এসেছি। তোমার অসুখ শুনে ডাব-চিনি মেনেছিলুম; মাকে বললুম, মা! কেশবের যদি কিছু হয়, তাহলে কলিকাতায় গেলে কার সঙ্গে কথা কইব।

    শ্রীযুক্ত প্রতাপাদি ব্রাহ্মভক্তদের সহিত শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অনেক কথা কহিয়াছেন। কাছে মাস্টার বসিয়া আছেন দেখিয়া তিনি কেশবকে বলিতেছেন, ইনি কেন ওখানে (দক্ষিণেশ্বরে) যান না; জিজ্ঞাসা করত গা; এত ইনি বলেন, মাগছেলেদের উপর মন নাই। মাস্টার সবে এক মাস ঠাকুরের কাছে যাতায়াত করিতেছেন। শেষে যাইতে কয়দিন বিলম্ব হইয়াছে তাই ঠাকুর এরূপ কথা বলিতেছেন। ঠাকুর বলিয়া দিয়াছিলেন, আসতে দেরি হলে আমায় পত্র দেবে।

    ব্রাহ্মভক্তেরা শ্রীযুক্ত সমাধ্যায়ীকে দেখাইয়া ঠাকুরকে বলিতেছেন, ইনি পণ্ডিত, বেদাদি শাস্ত্র বেশ পড়িয়াছেন। ঠাকুর বলিতেছেন, হাঁ এঁর চক্ষু দিয়া ভিতরটি দেখা যাচ্ছে, যেমন সার্সীর দরজার ভিতর দিয়া ঘরের ভিতরকার জিনিস দেখা যায়।

    শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য গান গাইতেছেন। গান গাইতে গাইতে সন্ধ্যার বাতি জ্বালা হইল, গান চলিতে লাগিলেন। গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর হঠাৎ দণ্ডায়মান—আর মার নাম করিতে করিতে সমাধিস্থ। কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া নিজেই নৃত্য করিতে করিতে গান ধরিলেনঃ

    সুরা পান করি না আমি সুধা খাই জয় কালী বলে,

    মন-মাতালে মাতাল করে মদ-মাতালে মাতাল বলে।

    গুরুদত্ত গুড় লয়ে, প্রবৃত্তি তায় মশলা দিয়ে;

    জ্ঞান শুঁড়িতে চোঁয়ায় ভাঁটি পান করে মোর মন মাতালে।

    মূল মন্ত্র যন্ত্রভরা, শোধন করি বলে তারা;

    প্রসাদ বলে এমন সুরা খেলে চতুর্বর্গ মেলে।

    শ্রীযুক্ত কেশবকে ঠাকুর স্নেহপূর্ণ নয়নে দেখিতেছেন। যেন কত আপনার লোক; আর যেন ভয় করিতেছেন, কেশব পাছে অন্য কারু, অর্থাৎ সংসারে হয়েন! তাঁহার দিকে তাকাইয়া আবার গান ধরিলেন;

    কথা বলতে ডরাই; না বললেও ডরাই

    মনের সন্দ হয়; পাছে তোমা ধনে হারাই হারাই।।

    আমরা জানি যে মন-তোর; দিলাম তোরে সেই মন্তোর।

    এমন মন তোর, যে মন্ত্রে বিপদেতে তরী তারই।।

    আমরা জানি যে মন-তোর সেই মন্তোর; এখন মনতোর। অর্থাৎ সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক,–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য; তাঁকে না লাভ করলে কিছুই হল না! এই মহামন্ত্র।

    আবার উপবেশন করিয়া ভক্তদের সঙ্গে কথা কহিয়াছেন।

    তাঁহাকে জল খাওয়াইবার উদযোগ হইতেছে। হলঘরের একপাশে একটি ব্রাহ্মভক্ত পিয়ানো বাজাইতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) হাস্যবদন, বালকের ন্যায় পিয়ানোর কাছে গিয়া দাঁড়াই দেখিতেছেন। একটু পরেই অন্তঃপুরে তাঁহাকে লইয়া যাওয়া হইল। জল খাইবেন। আর মেয়েরাও প্রণাম করিবেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জলসেবা হইল। এইবারেই তিনি গাড়িতে উঠিলেন। ব্রাহ্মভক্তেরা সকলেই গাড়ির কাছে দাঁড়াইয়া আছেন। কমলকুটির হইতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরাভিমুখে যাত্রা করিল।

    আরও পড়ুনঃ“এই স্থানে নরেন্দ্রের গান ঠাকুর প্রথমে শুনেন ও তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে বলেন”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anasuya Sengupta: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    Anasuya Sengupta: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়ল কলকাতা। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ‘আঁ সার্ত্যাঁ রোগার’ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন কলকাতার মেয়ে অনসূয়া সেনগুপ্ত (Anasuya Sengupta)। অনসূয়াই প্রথম ভারতীয় যিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে (Cannes Film Festival)। যা বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সিনেমার জন্য এক অভাবনীয় সাফল্য৷ বুলগেরিয়ান পরিচালক কনস্টানটিন বোজানভ পরিচালিত ছবি ‘দ্য শেমলেস’-এর হাত ধরে এই শিরোপা পেলেন বাঙালি অভিনেত্রী। এই প্রথম কান-এ কোনও ভারতীয় অভিনেত্রী এই বিভাগে পুরস্কৃত হলেন। 

    ছবির বিষয় 

    ‘দ্য শেমলেস’-আবর্তিত রেণুকাকে ঘিরে। রেণুকার ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন বাংলার অনুসূয়া (Anasuya Sengupta)। সিনেমায় চলচ্চিত্রকার একজন যৌনকর্মীর কাহিনী তুলে ধরেছেন৷ গল্পে এক পুলিশ অফিসারকে ছুরি মেরে দিল্লির যৌনপল্লী থেকে পালায় সে। এরপর উত্তর ভারতের যৌনকর্মীদের একটি সম্প্রদায়ের কাছে আশ্রয় নেন৷ সেখানে তাঁর পরিচয় হয় দেবিকা (ওমারা)-র সঙ্গে৷ এই তরুণী পতিতাবৃত্তির জীবনকে ঘৃণা করেন৷ এরপর এই দুজনের জীবনের ওঠাপড়া নিয়েই বোনা হয় ছবির গল্প।  

    আরও পড়ুন: সাইবার জালিয়াতি রুখতে ৩ হাজারেরও বেশি সোশ্যাল সাইট, লিঙ্ক বন্ধ করল কেন্দ্র

    অনুসূয়ার কর্মজীবন (Anasuya Sengupta)

    জানা যায়, খাস কলকাতাতেই বেড়ে ওঠেন অনুসূয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনা। তবে অনসূয়ার কর্মজীবনের শুরুটা অনেক বছর আগে। বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। অঞ্জন দত্তের ‘ম্যাডলি বাঙালি’ ছবিতে তানিয়ার চরিত্রে দেখা যায় অনসূয়াকে। এখানেই শেষ নয়, অনুসূয়া ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সের সত্যজিৎ রায়ের সংকলন ‘ফরগেট মি নট’ এবং ‘মাসাবা মাসাবা’র মতো শোয়ে প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসাবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি ৷ 
    শনিবার পরিসপমাপ্তি ঘটবে ২০২৪ কান চলচ্চিত্র উৎসবের (Cannes Film Festival)৷ আর তার আগে শুক্রবার রাতে কানের মঞ্চে এই সম্মান নিতে উঠে অনসূয়া (Anasuya Sengupta) তাঁর এই পুরস্কার সমাজের সেই সমস্ত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে উৎসর্গ করেছেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত বিশ্বের সর্বত্র নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে চলেছেন৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share