Tag: news in bengali

news in bengali

  • PM Modi: প্রতি বছর ৬০ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে মোদির স্বচ্ছ ভারত মিশন, বলছে গবেষণা

    PM Modi: প্রতি বছর ৬০ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে মোদির স্বচ্ছ ভারত মিশন, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সূচনা করেন স্বচ্ছ ভারত মিশন। সম্প্রতি, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদির শুরু করা স্বচ্ছ ভারত মিশন বছরে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষাটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশনের (Swachh Bharat Mission) অধীনে টয়লেট নির্মাণ এবং ভারতে শিশু মৃত্যু’। এই সমীক্ষাটি করেছেন সুমন চক্রবর্তী, সোয়ার্জ গুনে, টিএমএ ব্রুকনার, জুলি স্ট্রোমিগার এবং পার্বতী সিংরা। এখানেই দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুরু করা এই কর্মসূচি অত্যন্ত সফল এবং তা শিশুদের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

    ব্যতিক্রমী কর্মসূচি বলছে গবেষণা

    নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় স্বচ্ছ ভারতকে একটি ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘এমন মিশনের মাধ্যমে শুধুমাত্র যে মোদি (PM Modi) সরকার টয়লেট নির্মাণ করেছে তাই নয়, এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষাদানও করা হয়েছে এবং খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করলে তা নানা রোগ জীবাণুকে বহন করে- একথাও সচেতনতা মূলক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।’’ সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের জীবনধারাকে পরিবর্তন করতেও বলা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সম্মত জীবন পেতে নীরোগভাবে বাঁচতে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তাও বলা হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে।’’ সাম্প্রতিক যে সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতবর্ষের জেলাগুলিতে স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ৩০ শতাংশ পরিবার টয়লেট পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে প্রতি হাজার জন জীবিত শিশুতে মৃত্যুর হার ৫.৩ শতাংশ কমেছে এবং কম বয়সিদের মৃত্যুর হার কমেছে ৬.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করার ফলে নানা রকমের রোগ ছড়াতে পারে। ডায়রিয়ার মত সংক্রমণও দেখা যায় এরফলে, যা মারাত্মক ক্ষতি করে শিশু এবং বাচ্চাদের মধ্যে, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়।

    ভারত জুড়ে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করতে পেরেছে মোদি সরকার (PM Modi)

    উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি এদেশে শিশু এবং পাঁচ বছর বয়সের কম বাচ্চাদের মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। কারণ স্বচ্ছ ভারত মিশনের (Swachh Bharat Mission) আওতায় দেশজুড়ে গ্রামগুলিতে টয়লেট নির্মাণ শুরু করে মোদি সরকার। ২০১৪ সালের ক্ষমতা আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত জুড়ে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করতে পেরেছে বলে জানা গিয়েছে এই সমীক্ষায়। এভাবেই খোলা মাঠে মলমূত্র ত্যাগ করার যে প্রবণতা তা বহু অংশে কমে গিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ৬৪০টি জেলায় স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে।

    সফল স্বচ্ছ ভারত মিশন

    প্রসঙ্গত, প্রতিটি দেশই স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, কারণ এর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে জনস্বাস্থ্যের। কিন্তু ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের নানা দিক, স্যানিটেশন নিয়ে অবহেলা করতে দেখা গিয়েছে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর নতুন দিল্লির রাজঘাটে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছিলেন, ‘‘২০১৯ সালে যখন ভারত মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে, তখন স্বচ্ছ ভারতই হবে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।’’ তারপরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। তৃতীয়বার মোদি সরকার তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালে। ১০ বছর আগে তাঁর শুরু করা স্বচ্ছ ভারত মিশন যে সম্পূর্ণ সফল তাতেই সিলমোহর দিল নেচার প্রত্রিকায় প্রকাশিত এই সাম্প্রতিক গবেষণা।

    স্বচ্ছ ভারত মিশনের সূচনা

    ২০১৪ সালের পর থেকে পরিচ্ছন্নতার গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং দিল্লির মন্দির মার্গ থানা এলাকায় এই কর্মসূচির সূচনা করেন। আবর্জনা পরিস্কার করতে হাতে ঝাড়ু তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন – ‘‘নোংরা করবেন না, করতে দেবেন না।” তিনি মন্ত্রের মতো উচ্চারণ করেন – “না গন্দগি করেঙ্গে, না করনে দেঙ্গে।’’ বলিউডের খ্যাতনামা চিত্রতারকা থেকে শুরু করে টেলিভিশনের অভিনেতারা এগিয়ে এসে সেসময় সামিল হন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে। অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, কৈলাশ খের, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা স্বচ্ছ ভারতের প্রচার শুরু করেন। সচিন তেন্ডুলকর, সাইনা নেহওয়াল এবং মেরি কমের মতো বহু বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদও সামিল হন এই মিশনের প্রচারে। ১০ বছরে এই মিশন যে সফল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: সংঘাত অতীত, প্রতিরক্ষা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় ভারত ও মলদ্বীপ

    India Maldives Relation: সংঘাত অতীত, প্রতিরক্ষা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় ভারত ও মলদ্বীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ তাহলে গলল ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের (India Maldives Relation) বরফ? অন্তত শুক্রবারের পর তো এ কথা বলাই যায়। এদিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় (Defence Talks) অংশ নেয় নয়াদিল্লি ও মালে (মলদ্বীপের রাজধানী)। চলতি বছরের শুরুর দিকে মুইজ্জু প্রশাসনের নির্দেশ মেনে দ্বীপরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের। তার পর এদিন হল উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা।

    আলোচনায় ভারত-মলদ্বীপ (India Maldives Relation)

    আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রকল্প ও দ্বিপাক্ষিক সামরিক মহড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘পঞ্চম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আলোচনার নেতৃত্ব দেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানে এবং মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ইব্রাহিম হিলমি। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা প্রকল্পের ত্বরান্বিতকরণ, উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় এবং সক্ষমতা উন্নয়ন ভারতের পাশাপাশি সামরিক মহড়ার পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।’ ‘আলোচনা ফলপ্রসূ’ বলেও দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার লক্ষ্যেই এই আলোচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক

    ভারত-মলদ্বীপের বন্ধুত্বের (India Maldives Relation) সম্পর্ক বহু পুরানো। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ক্ষমতায় আসেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মুইজ্জু চিনপন্থী। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ভারত মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনিত ঘটে। মলদ্বীপের অন্য রাষ্ট্রপ্রধানরা শপথ নিয়েই প্রথমে সফর করেন ভারত। আর মুইজ্জু প্রথম গিয়েছিলেন বেজিং। মলদ্বীপে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান মুইজ্জু। তার জেরে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। সেই মতো ১০ মার্চ থেকে ১০ মে-র মধ্যে প্রায় ৮০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “অনুচ্ছেদ ৩৭০ ইতিহাস, আর কখনও ফিরবে না”, স্পষ্ট করলেন শাহ

    পরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে সচেষ্ট হয় মলদ্বীপ। দ্বীপরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির ভারত সফর করেন। এর ঠিক এক মাস পরে (Defence Talks) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুইজ্জু। তার পর এই হল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: শুক্রবারের পর শনিবারও অশান্ত মণিপুর, গত দু’দিনে নিহত ৬

    Manipur Violence: শুক্রবারের পর শনিবারও অশান্ত মণিপুর, গত দু’দিনে নিহত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। শুক্রবারের পরে শনিবারও ছড়াল হিংসা। গত ২ দিনে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬। শুক্রবারই সে রাজ্যের বিষ্ণুপুরের মইরাং এলাকা লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা, এতেই প্রাণ হারান এক প্রবীণ ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বোমা ছোড়া হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবামের বাড়ি লক্ষ্য করে। অন্যদিকে, এই ঘটনার জেনে শনিবারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করে সরকার। শনিবার সকাল থেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সম্ভাব্য জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়। ধ্বংস করা হয় ৩ জঙ্গি ঘাঁটি। এরই মাঝে ফের অশান্তির খবর আসে। মণিপুরের (Manipur Violence) জিরিবান জেলায় দুই গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছে এই খবর মিলেছে।

    গত ১ ও ২ সেপ্টেম্বর ড্রোন হামলায় ২ জন নিহত হন, অভিযোগ কুকিদের বিরুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, গত  ১ এবং ২ সেপ্টেম্বর কাংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলে জেলায় বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনের হামলায় নিহত হন দু’জন। আহত হত সাত জন। মেইতেই জনগোষ্ঠীর এলাকায় (Manipur Violence) এই হামলা কুকি জঙ্গিরাই চালায় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বিষ্ণুপুর জেলার মুয়ালসাং গ্রামে দু’টি এবং চুরাচাঁদপুরের লাইকা মুয়ালসাউ গ্রামে একটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। সেগুলি কুকি জঙ্গিদের ডেরা বলেই দাবি পুলিশের। শনিবার বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর তল্লাশি অভিযানের বিরোধিতা করে কুকি জনগোষ্ঠীর (Manipur Violence) দাবি, পুলিশ এবং মেইতেই জঙ্গিরা সংগঠিত ভাবে এলাকা দখলের অভিযানে নেমেছে।

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir Election 2024: “অনুচ্ছেদ ৩৭০ ইতিহাস, আর কখনও ফিরবে না”, স্পষ্ট করলেন শাহ

    Jammu Kashmir Election 2024: “অনুচ্ছেদ ৩৭০ ইতিহাস, আর কখনও ফিরবে না”, স্পষ্ট করলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুচ্ছেদ ৩৭০ এখন ইতিহাস। আর কখনও ফিরে আসবে না।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের (Jammu Kashmir Election 2024) ইস্তাহার প্রকাশ করেন। সেখানেই আসে অনুচ্ছেদ ৩৭০এর প্রসঙ্গ। এবং তার প্রেক্ষিতে শাহের মন্তব্য।

    বিরোধীদের নিশানা (Jammu Kashmir Election 2024)

    ভূস্বর্গে বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে লড়ছে ন্যাশনার কনফারেন্স ও কংগ্রেস। ইস্তাহারে অনুচ্ছেদ ৩৭০ ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওমর আবদুল্লার দল। সে প্রসঙ্গেই এদিন বিরোধীদের নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার জন্য বেছে নেন বিজেপির ইস্তাহার (পোশাকি নাম সংঙ্কল্পপত্র) প্রকাশের অনুষ্ঠানকে। তিনি বলেন, “বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে মাথা নোয়াতে অনুচ্ছেদ ৩৭০ ব্যবহার করত কোনও কোনও সরকার। যখন ভারত এবং জন্মু-কাশ্মীরের ইতিহাস লেখা হবে, তখন ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাস লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।” তিনি বলেন, “৩৭০ ধারায় কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের হাতে অস্ত্র ও পাথর তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত ছিল। শ্যামাপ্রসাদের আদর্শের পথে হেঁটে আমরা তা বাতিল করেছি। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের ইতিহাসে আর কোনও দিন তা ফিরে আসবে না।”  

    আরও পড়ুন: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, আগামী কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর, পুজোয় বিশেষ ‘ডিউটি’

    কী লিখলেন শাহ

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টির জেরে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস কমেছে। সমৃদ্ধি হয়েছে। হিংসা, বন‍্‍ধ, পাথর ছোড়ার মতো ঘটনা এখন কাশ্মীরে ইতিহাস। একদম প্রান্তিক গ্রামেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আসছনে জম্মু-কাশ্মীরে। এজন্য জম্মু-কাশ্মীরের সব অংশের মানুষ ভরসা রাখছেন মোদিজির নেতৃত্বে। জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপিকে সুযোগ দিতে মানুষ উন্মুখ হয়ে রয়েছেন।”

    আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির স্লোগান, ‘ম্যাক্সিমাম টেরটিজম টু ম্যাক্সিমাম ট্যুরিজম’। শাহ (Jammu Kashmir Election 2024) বলেন, “ক্ষমতায় এলে আমরা ‘মা সম্মান যোজনা’ প্রকল্পে প্রতিটি পরিবারের বয়স্ক মহিলাকে বছরে ১৮ হাজার করে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে প্রতি বছর দুটি গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেব। প্রগতি শিক্ষা যোজনায় আমরা প্রতি বছর কলেজপড়ুয়াদের ভ্রমণ ভাতা বাবদ দেব ৩ হাজার করে টাকা (Amit Shah)।” সন্ত্রাসে ঘরছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসন যোজনা ও রাজৌরিতে পর্যটন হাব গড়ার ঘোষণাও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Jammu Kashmir Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indonesia: অগ্নুৎপাত থেকে তাঁদের রক্ষা করেন, প্রাচীন গণেশ মূর্তিতে বিশ্বাস এই দেশের ভক্তদের

    Indonesia: অগ্নুৎপাত থেকে তাঁদের রক্ষা করেন, প্রাচীন গণেশ মূর্তিতে বিশ্বাস এই দেশের ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) ব্রোমো পাহাড়ের ওপরে রয়েছে ৭০০ বছরেরও প্রাচীন একটি গণেশ মূর্তি (Ancient Ganesh Murti)। প্রসঙ্গত, ব্রোমো পাহাড় হল ইন্দোনেশিয়ার একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ইন্দোনেশিয়া এমন একটি দেশ যেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে হিন্দু জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। সেদেশে হিন্দু উৎসবগুলিও অত্যন্ত ভক্তি সহকারে পালন হতে দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়াতে একাধিক গণেশ মন্দিরও দেখা যায়। যেখানে ভক্তরা গণপতি বাপ্পার উদ্দেশে পুজো করেন। তবে ব্রোমো পাহাড়ের (Indonesia) গণেশ মূর্তি (Ancient Ganesh Murti) একেবারেই ব্যতিক্রম। ঠিক আগ্নেয়গিরির পাশেই অবস্থিত এই গণেশ মূর্তি ভক্তদের অগ্নুৎপাতের বিপদ থেকে রক্ষা করেন বলে বিশ্বাস। মাউন্ট ব্রোমোর এই গণেশ মূর্তির অসামান্য শক্তি রয়েছে বলেও ভক্তদের বিশ্বাস।

    টেঞ্জার ম্যাসিফ রাজার বংশধররা অধিষ্ঠিত করেন এই মূর্তি (Indonesia)

    বিশ্বাস করা হয়, এই গণেশ মূর্তিকে আগ্নেয়গিরির ঠিক পাশেই অধিষ্ঠিত করেছিলেন (Ancient Ganesh Murti) টেঞ্জার ম্যাসিফ রাজার বংশধররা, আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগে। এরপর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা মূর্তির পুজো (Indonesia) করতে থাকেন কারণ তাদের বিশ্বাস আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে স্বয়ং ভগবান গণেশ তাঁদেরকে রক্ষা করেন। ফুল-ফল সহযোগে ভক্তরা এই পুজো করেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে মুসলিম প্রধান দেশ হলেও পূর্বে এই ভূমিতে বেশ জনপ্রিয় হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্ম। যা ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণে গিয়ে দেশটির রাস্তাঘাটে ঘুরলেই অনুমান করা যায়।  এগুলো আদতে ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন ইতিহাসেরই সাক্ষীস্বরূপ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এখনও ১৩০টি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে (Anicient Ganesh Murti)

    প্রসঙ্গত ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) হল এমন একটি দেশ যেখানে ১৪১টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার মধ্যে ১৩০টি এখনও জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। এর মধ্যে অন্যতম মাউন্ট ব্রোমো। এখানে এখনও মাঝেমধ্যেই অগ্নুৎপাতের ঘটনা দেখা যায়। প্রসঙ্গত, ব্রোমো শব্দের জাপানি উচ্চারণ হয়, ব্রহ্মা। মাউন্ট ব্রোমো সিমারু জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত। ৮০০ বর্গ কিলোমিটারের এই জাতীয় উদ্যানে ইন্দোনেশিয়ার অন্য়তম বৃহৎ উদ্যান বলেই জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ঘটনার ভোরেই কুচকাওয়াজের মহড়া! দোষীদের আড়াল করতেই কি? প্রশ্ন আইএমএ-র

    RG Kar: ঘটনার ভোরেই কুচকাওয়াজের মহড়া! দোষীদের আড়াল করতেই কি? প্রশ্ন আইএমএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে গত ৯ অগাস্ট উদ্ধার হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ, সেইদিনই ভোর সাড়ে ৫টায় হাসপাতাল থেকে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া শুরু নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতর! সেই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর (IMA) পশ্চিমবঙ্গ শাখা। চিকিৎসক সংগঠনের অভিযোগ, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার ‘অ্যালিবাই’ (অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় অভিযুক্তের অন্যত্র থাকার দাবি) খুঁজে দিতেই কি প্রকাশ্যে আনা হল সেই নির্দেশিকা? ওই নির্দেশিকায় যে তিন জন চিকিৎসকের মহড়ায় উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন সন্দীপ ঘোষ-‘ঘনিষ্ঠ’ চিকিৎসক অভীক দে। প্রবল চাপে পড়ে যাঁকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য।

    একাধিক প্রশ্ন আইএমএ-র (IMA)

    দেখা যাচ্ছে, গত ৬ অগাস্ট ওই নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকায় ৯, ১০, ১৩ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর (RG Kar) থেকে এসএসকেএম পর্যন্ত কুচকাওয়াজের মহড়ার কথা বলা হয়। সেখানেই অভীক, চিকিৎসক সৌত্রিক রায় এবং চিকিৎসক সৌরভ পালের উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে আইএমএ এই নির্দেশিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে (RG Kar)। আইএমএ-র প্রশ্ন, কীভাবে আরজি কর হাসপাতাল থেকে মহড়া শুরু করার কথা বলা হয়েছিল? তা-ও আবার ওই ‘দুর্ভাগ্যজনক’ দিনের ভোরে? নির্দেশিকায় মেমোর নম্বর এবং তারিখ ছাপা অক্ষরে কেন লেখা নেই? কেন তা পেন দিয়ে লেখা হল?- এরকম একাধিক প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকদের সংগঠন। আইএমএ-র আরও দাবি, এই একই মর্মে একটি নির্দেশিকাও সামনে এসেছে। সেটায় সই রয়েছে অন্য ব্যক্তির। সেখানে মহড়ার দায়িত্বও অন্য ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি আইএমএ-র। তারা প্রশ্ন তুলেছে, দু’টি নির্দেশিকার মধ্যে কোনটি আসল?

    সিবিআইকে সত্য আবিষ্কারের অনুরোধ

    আইএমএ-র আরও প্রশ্ন, কেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পরেই প্রকাশ্যে এল সেই নির্দেশিকা? চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, সন্দীপ জেরায় কারও নাম বললে, তাঁর মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। আইএমএ সিবিআইয়ের কাছে এই নিয়ে সত্য আবিষ্কারের জন্য অনুরোধও জানিয়েছে। সংগঠনের আরও দাবি, ৯ অগাস্ট ঘটনার সময় সৌত্রিক এবং সৌরভ — এই দুই চিকিৎসকের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানও খতিয়ে দেখুক সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশ। সমাজমাধ্যমে আইএমএ লিখেছে, ‘‘আশা করি, আপনারা সত্য উদ্‌ঘাটন করবেন, যা কলকাতা পুলিশ করেনি। অভীক দে যে ঘটনাস্থলে ছিলেন, তা নিয়ে আমাদের দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি কলকাতা পুলিশ। জবাব দেওয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে গিয়েছে। এর আগে, সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তারা অভীককে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aparajita Bill 2024: ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! মমতার ‘অপরাজিতা বিল’ রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন বোস

    Aparajita Bill 2024: ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! মমতার ‘অপরাজিতা বিল’ রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্য সরকার পাশ করেছে ধর্ষণবিরোধী বিল (Aparajita Bill 2024)। যার নাম ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরে এই বিলকে পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সেই বিলে সম্মতি দিতে পারছিলেন না কারণ প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল রিপোর্ট ছিল না। শুক্রবারে সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। এরপর এই বিলকে (Aparajita Bill 2024) বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এখানেই শেষ নয়। বিলের সঙ্গে অনেক কিছু মন্তব্য জুড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। সাধারণভাবে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সম্মতি দিলেই রাজ্যের বিল আইনে পরিণত হয়, কিন্তু রাজ্যপাল সই না করে তা রাষ্ট্রপতির কাছেও পাঠাতে পারেন।

    বিলটি পাশ করাতে তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে রাজ্য (Aparajita Bill 2024)

    নিয়ম অনুযায়ী, কেন বিল আনা হয়েছে, কী ভাবে আনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই পাঠানো হয়। কিন্তু রাজভবনের বক্তব্য, অপরাজিতা বিলের ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফ থেকে কিছুই পাঠানো হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যপালের সমস্যা হলে, তিনি তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অপরাজিতা বিল (Aparajita Bill 2024) রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন বোস (CV Ananda Bose)। শুক্রবার রাতেই রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতির সামনে আসে এবং সেখানে বলা হয় যে টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজ্যপাল অপরাজিতা বিল রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিলটি পাশ করাতে তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে রাজ্য। বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে যা সংশোধন করা প্রয়োজন।

    কন্যাকে হারানো শোকাহত মায়ের চোখের জল মুছে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তিনি জানিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করে কাজ করবেন না, না হলে আফশোস হতে পারে। রাজ্যপালের আরও সংযোজন, ‘‘বিলটি (Aparajita Bill 2024) কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত জনগণ অপেক্ষা করতে পারে না। জনগণ ন্যায় বিচার চান এবং আইনের কাঠামোয় যা রয়েছে সেই অনুযায়ী তাঁদেরকে ন্যায়বিচার দিতে হবে। সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে।’’ রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) মনে করিয়ে দেন, কন্যা হারানো শোকাহত মায়ের চোখের জল মুছে দেওয়ার দায়িত্বও রাজ্যের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 126: “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    Ramakrishna 126: “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    আপূর্যমাণমচলপ্রতিষ্ঠং, সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি যদ্বৎ ৷
    তদ্বৎ কামা যং প্রবিশন্তি সর্বে, স শান্তিমাপ্নোতি ন কামকামী ॥
       (গীতা—২।৭০)

    ন্যাড়াদের এত তেজ যে, ধ্যান করতে করতে সমাধি হল। কখন জোয়ার মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে হুঁশ (Kathamrita) নাই। আবার ভাঁটা পড়েছে তবু ধ্যান ভাঙে না। তেরশোর মধ্যে একশো বুঝেছিল—বীরভদ্র কি বলবেন। গুরুর বাক্য লঙ্ঘন করতে নাই, তাই তারা সরে পড়ল, আর বীরভদ্রের সঙ্গে দেখা করলে না। বাকী বারশো দেখা করলে। বীরভদ্র বললেন, এই তেরশো নেড়ী তোমাদের সেবা করবে। তোমরা এদের বিয়ে কর। ওরা বললে, যে আজ্ঞা, কিন্তু আমাদের মধ্যে একশোজন কোথায় চলে গেছে। ওই বারশোর এখন প্রত্যেকের সেবাদাসীর সঙ্গে থাকতে লাগল। তখন আর সে তেজ নাই, সে তপস্যার বল নাই। মেয়েমানুষ সঙ্গে থাকাতে আর সে বল রইল (Kathamrita) না; কেননা সে সঙ্গে স্বাধীনতা লোপ হয়ে যায়। (বিজয়ের প্রতি) তোমরা নিজে নিজে তো দেখছ, পরের কর্ম স্বীকার করে কি হয়ে রয়েছ। আর দেখ, অত পাশ করা, কত ইংরাজী পড়া পণ্ডিত, মনিবের চাকরি স্বীকার করে তাদের বুট জুতার গোঁজা দুবেলা খায়। এর কারণ কেবল ‘কামিনী’। বিয়ে করে নদের হাট বসিয়ে আর হাট তোলবার জো নাই। তাই এত অপমানবোধ, অত দাসত্বের যন্ত্রণা।”

    ঈশ্বরলাভের (Ramakrishna) পর কামিনীকে মাতৃভাবে পূজা

    যদি একবার এইরূপ তীব্র বৈরাগ্য হয়ে ঈশ্বরলাভ হয়, তাহলে আর মেয়েমানুষে আসক্তি থাকে না। ঘরে থাকলেও, মেয়েমানুষে আসক্তি থাকে না, তাদের ভয় থাকে না। যদি একটা চুম্বক পাথর খুব বড় হয়, আর-একটা সামান্য হয়, তাহলে লোহাটাকে কোন্‌টা টেনে লবে? বড়টাই টেনে লবে। ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?

    একজন ভক্ত—মহাশয়! মেয়েমানুষকে কি ঘৃণা করব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন, তিনি কামিনীকে আর অন্য চক্ষে দেখেন না যে ভয় হবে। তিনি ঠিক দেখেন যে, মেয়েরা মা ব্রহ্মময়ীর অংশ, আর মা বলে তাই সকলকে পূজা করেন। (বিজয়ের প্রতি)—তুমি মাঝে মাঝে আসবে (Kathamrita), তোমাকে দেখতে বড় ইচ্ছা করে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI Circle: দেশে চালু হল ‘ইউপিআই সার্কেল’, কাজ করবে কীভাবে? কীই বা এর উপকারিতা?

    UPI Circle: দেশে চালু হল ‘ইউপিআই সার্কেল’, কাজ করবে কীভাবে? কীই বা এর উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণ যোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘ইউপিআই (UPI) সার্কেল’ নামে একটি নতুন বৈশিষ্ট্য চালু করেছে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI)। এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি প্রাথমিক ব্যবহারকারীর পরিবারের সদস্যদের বা বন্ধুদেরকে সেকেন্ডারি বা দ্বিতীয় ব্যবহারকারী হিসাবে যুক্ত করার অনুমতি দিয়ে থাকে। প্রাথমিক ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করতে সক্ষম করা হয়েছে এই ব্যবস্থায়। তবে সমস্তটাই পূর্ব-নির্ধারিত সীমার মধ্যে শর্ত মেনে করতে হয়। আসুন জেনে নিই কীভাবে কাজ করে এই অ্যাপ। 

    কত টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন?

    যাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই বা ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করছেন, তাঁদের কাছে ইউপিআই (UPI) লেনদেনের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এনপিসিআই (NPCI)-এর মতে এই ফিচারটির উদ্দেশ্য হল, সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়ন দেওয়া। সেই সঙ্গে তারাও ইউপিআইকে গ্রহণ করার জন্য আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হতে পারেন। ‘ইউপিআই সার্কেল’-এ সর্বাধিক মাসিক সীমা ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে এনপিসিআই  যেখানে একটি একক লেনদেন ৫ হাজার টাকার বেশি করা যাবে না।

    ইউপিআই সার্কেল বৈশিষ্ট্য

    একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনপিসিআই, ইউপিআই (UPI) সার্কেল-এর জন্য একাধিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। সংস্থার মতে, প্রাথমিক ব্যবহারকারীরা এখন অর্থপ্রদানের অনুমোদন সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীদের কাছে অর্পণ করতে পারবেন। যেমন-পরিবারের সদস্য বা কর্মচারীরা প্রাথমিক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি লেনদেন করতে পারবেন। এই বৈশিষ্ট্যটি বিশেষ করে শিশুদের ভাতা প্রদানকারী অভিভাবকদের জন্য উপকারী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডিজিটাল লেনদেন পরিচালনার বিষয়ে প্রবীণ নাগরিক এবং ব্যবসায়ীরা সময়কে সাশ্রয় করে, অন্যের হাতে সামান্য পরিমাণের নগদ অর্থ পরিচালনা করতে পারবেন। গোটা ব্যবস্থাটাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, নানা স্তরগুলিকে ঠিক করা হয়েছে। একবার এই ইউপিআই সার্কেলে যুক্ত হলে, প্রাথমিক ব্যবহারকারীদের কাছে প্রতিটি লেনদেনের সিমাবদ্ধতাকে স্থির করে অনুমোদন নিতে হয়। তবে প্রাথমিক ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার সুবিধাও থাকবে। উল্লেখ্য, একজন প্রাথমিক ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ পাঁচটি সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীকে যোগ করতে পারবেন। তবে, একজন সেকেন্ডারি ব্যবহারকারী শুধুমাত্র একজন প্রাথমিক ব্যবহারকারীকে গ্রহণ করতে পারবেন। একই ভাবে প্রাথমিক ব্যবহারকারী যে কোনও সময়ে সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীর স্বীকৃতীকে প্রত্যাহার করতেও পারবেন।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে চলবে সিবিআই তদন্ত, সুপ্রিম-ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের

    কীভাবে ইউপিআই সার্কেল সেট আপ করবেন?

    নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরণ করুন-

    ১>ইউপিআই সার্কেল মেনুতে যান: “পরিবার বা বন্ধুদের যোগ করুন”। এরপর হালকা চাপুন। একটি সেকেন্ডারি ইউপিআই আইডি লিখুন। ইউপিআই কিউ আর (UPI QR) কোড স্ক্যান করুন। এরপর আপনার ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট সার্চ করুন।

    ২>অনুমতি সেট করুন: “সীমার মধ্যে ব্যয় করুন” বা “প্রতিটি অর্থপ্রদান অনুমোদন করুন” এর মধ্যে একটিকে বেছে নিন।

    ৩>সেকেন্ডারি ব্যবহারকারী অনুরোধ গ্রহণ করার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি পাবেন। একবার গৃহীত হলে, সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীরা প্রাথমিক ব্যবহারকারীর ইউপিআই (UPI) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করা শুরু করতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 125: “কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে, জীবের স্বাধীনতা যায়, তার জন্য পরের দাসত্ব”

    Ramakrishna 125: “কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে, জীবের স্বাধীনতা যায়, তার জন্য পরের দাসত্ব”

     শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    আপূর্যমাণমচলপ্রতিষ্ঠং, সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি যদ্বৎ ৷
    তদ্বৎ কামা যং প্রবিশন্তি সর্বে, স শান্তিমাপ্নোতি ন কামকামী ॥
       (গীতা—২।৭০)

    কামিনী-কাঞ্চন জন্য দাসত্ব (Ramakrishna)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি)—আগে অত আসতে; এখন আস না কেন?

    বিজয়—এখানে আসবার খুব ইচ্ছা, কিন্তু আমি স্বাধীন নই। ব্রাহ্মসমাজের কাজ স্বীকার করেছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে। জীবের স্বাধীনতা যায়। কামিনী থেকেই কাঞ্চনের দরকার। তার জন্য পরের দাসত্ব। স্বাধীনতা চলে যায়। তোমার মনের মতো কাজ করতে পার না।

    জয়পুরে গোবিন্দজীর পূজারীরা প্রথম প্রথম বিবাহ করে নাই। তখন খুব তেজস্বী ছিল। রাজা একবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তা তারা যায় নাই। বলেছিল, রাজাকে আসতে বল। তারপর রাজা ও পাঁচজনে তাদের বিয়ে দিয়ে দিলেন। তখন রাজার সঙ্গে দেখা করবার জন্য, আর কাহারও ডাকতে হল না। নিজে নিজেই গিয়ে উপস্থিত। মহারাজ, আশীর্বাদ করতে এসেছি, এই নির্মাল্য এনেছি, ধারণ করুন। কাজে কাজেই আসতে হয়; আজ ঘর তুলতে হবে, আজ ছেলের অন্নপ্রাসন, আজ হাতেখড়ি—এই সব।

    বারশো ন্যাড়া আর তেরশো নেড়ী তার সাক্ষী উদম সাড়ী—এ গল্প তো জান (Kathamrita)। নিত্যানন্দ গোস্বামীর ছেলে বীরভদ্রের তেরশো ন্যাড়া শিষ্য ছিল। তারা যখন সিদ্ধ হয়ে গেল, তখন বীরভদ্রের ভয় হল। তিনি ভাবতে লাগলেন (Kathamrita), এরা সিদ্ধ হল, লোককে যা বলবে তাই ফলবে; যেদিক দিয়ে যাবে সেইদিকেই ভয়; কেননা, লোক না জেনে যদি অপরাধ করে, তাদের অনিষ্ট হবে। এই ভেবে বীরভদ্র তাদের বললেন, তোমরা গঙ্গায় গিয়ে সন্ধ্যা-আহ্নিক করে এস।

    আরও পড়ুনঃ “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share