Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 25: “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    Ramakrishna 25: “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীযুক্ত কেশবের হিন্দুধর্মের উপর উত্তরোত্তর শ্রদ্ধা

    ১৮৯৭, ২৯ শে অক্টোবর বুধবার (১৩ই কার্তিক, ১২৮৬), কোজাগর পূর্ণিমায় বেলা ১ টার সময় কেশব আবার ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণকে দক্ষিণেশ্বরে দর্শন করতে যান। স্টীমারের সঙ্গে একখানি বজরা, ছয়খানি নৌকা, দুইখানি ডিঙ্গি, প্রায় ৮০ জন ভক্ত। সঙ্গে পতাকা পুষ্পপল্লব খোল করতাল ভেরী। হৃদয় অভ্যর্থনা করিয়া কেশবকে স্টীমার হইতে আনেন—গান গাইতে গাইতে সুরধনীর তীরে হরি বলে কে, বুঝি প্রেমদতা নিতাই এসেছে। ব্রাহ্মভক্তগণও পঞ্চবটী হইতে কীর্তন করিতে করিতে তাঁহার সঙ্গে আসিতে লাগিলেন; সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ রূপানন্দ ঘন! তাহাদের মধ্যে ঠাকুর মাঝে মাঝে সমাধিস্থ। এই দিনে সন্ধ্যার পর বাঁধঘাটে পূর্ণচন্দ্রের আলোকে কেশব উপাসনা করিয়াছিলেন।    

    উপাসনার পর ঠাকুর বলিতেছিলেন, তোমরা বল “ব্রহ্ম আত্মা ভগবান” “ব্রহ্ম মায়া জীব জগৎ” “ভগবত ভক্ত ভগবান”। কেশবাদি ব্রাহ্মভক্তগণ সেই চন্দ্রালোকে ভাগীরথীতীরে সমস্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে সঙ্গে ওই সকল মন্ত্র ভক্তিভরে উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ আবার যখন বলিলেন, “বল গুরু কৃষ্ণ বৈষ্ণব”। তখন কেশব আনন্দে হাসিতে হাসিতে বলিতেছেন, মহাশয়, এখন অতদূর নয়; “গুরু কৃষ্ণ বৈষ্ণব” আমরা যদি বলি লোকে বলিবে গোঁড়া! শ্রীরামকৃষ্ণও হাসিতে লাগিলেন ও বলিলেন, বেশ তোমরা (ব্রাহ্মরা) যতদূর পার তাহাই বল।

    কিছু দিন পরে ১৩ই নভেম্বর (২৮ শে কার্তিক), ১৮৭৯ কালীপূজার পরে রাম, মনোমোহন, গোপাল মিত্র দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণকে প্রথম দর্শন করেন।

    ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে একদিন গ্রীষ্মকালে রাম ও মনোমোহন কমলকুটিরে কেশবের সহিত দেখা করিতে আসিয়াছিলেন। তাঁহাদের ভারী জানিতে ইচ্ছা, কেশববাবু ঠাকুরকে কিরূপ মনে করেন। তাঁহারা বলিয়াছেন, কেশববাবুকে জিজ্ঞাসা করাতে বলিলেন, “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই। ইনি এত সুন্দর, এত সাধারণ ব্যক্তি, ইঁহাকে অতি সাবধানে সন্তর্পণে রাখতে হয়; অযত্ন করলে এঁর দেহ থাকবে না; যেমন সুন্দর মূল্যবান জিনিস গ্লাসকেসে রাখতে হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরলাভ না করলে তাঁর আদেশ পাওয়া যায় না”

    “বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ ইতিহাসের দেশ। এমন কত ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও জমা রয়েছে ভারতবর্ষের (India) বুকেই। তেমনি এক ঐতিহাসিক নিদর্শন হল কাল্লানাই বাঁধ। ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত তামিলনাড়ু শুধুমাত্র তার প্রাচীন প্রকৌশল কিংবা প্রাচীন মন্দিরের জন্য বিখ্যাত নয় বরং এইখানে রয়েছে এমন এক স্থাপত্য যার জন্য সারা ভারত তথা বিশ্বের মধ্যে বিখ্যাত এ রাজ্য। তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায় ১৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি বাঁধ রয়েছে। যা ভারতের প্রাচীনতম বাঁধ (Oldest Operational Dam) এবং বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম জল নিয়ন্ত্রক কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হয়।  কাবেরী নদীর উপর নির্মিত এই কাল্লানাই বাঁধ চোল রাজবংশের রাজা কারিকালা চোলের রাজত্বকালে নির্মিত হয়। রাজা কারিকালা প্রাচীন তামিলনাড়ুতে শাসনকারী সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাটদের মধ্যে একজন ছিলেন। 

    কেন তৈরি হয়েছিল এই বাঁধ? (Oldest Operational Dam)

    জানা গিয়েছে, এই বাঁধ নির্মাণের পেছনে প্রধান কারণ ছিল নদীর জলকে  ধরে রেখে তা কৃষি কাজে ব্যবহার করা এবং পরোক্ষ ভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা। কারিকালা চোল বুঝতে পেরেছিলেন যে কাবেরী ঘন ঘন প্লাবিত হয়। ফলে প্রতি বছর ওই এলাকার বাসিন্দাদের বন্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই প্রজাদের রক্ষা করতে তিনি কাবেরীর উপর এই বিশাল বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।     

    এই বাঁধের বিশেষত্ব 

    প্রতি সেকেন্ডে দুই লক্ষ ঘনফুট জল প্রবাহিত কাবেরীর উপর নির্মিত এই বাঁধটি ২১০০ বছর ধরে একইরকম ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার প্রধান কারণ হল প্রাচীন তামিলদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান। সে সময় বাঁধ (Oldest Operational Dam) নির্মাণের জন্য প্রথমে নদীতে বড় বড় পাথর বসানো হয়েছিল। কিন্তু জলের স্রোতে ক্ষয়ের কারণে পাথরগুলো ভেঙে মাটিতে মিশে গিয়েছিল। এরপর ওই পাথরের স্তরগুলির উপর স্থাপন করা হয়েছিল এক ধরনের কাদামাটির মিশ্রণ যা জলে দ্রবণীয় ছিল না। বরং সেই মিশ্রণ একটি আঠালো পদার্থে পরিণত হয়েছিল যাতে পাথরগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বছরের পর বছর ধরে।   

    আরও পড়ুন: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    আজও সমান সচল এই বাঁধ

    জানা গিয়েছে, এরপর ১৯ শতকে ব্রিটিশরা এই বাঁধটির সংস্কার করে। ১৮০৪ সালে, ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন ক্যাল্ডওয়েল, একজন সামরিক প্রকৌশলীকে কাবেরী নদী এবং ব-দ্বীপ অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় সেচ ব্যবস্থার উন্নতি করার দায়িত্ব দেয়। সেই সময় ক্যাল্ডওয়েল বাঁধটিকে (Oldest Operational Dam) উঁচু করার পরামর্শ দেন এবং তিনি বাঁধের পাথর ৬৯ সেন্টিমিটার বাড়িয়ে দেন, যার ফলে বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই ২১০০ বছরের পুরনো বাঁধটি (Oldest Operational Dam) এখনও সফলভাবে কাবেরীর জল ধরে রেখে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে চলেছে। তাই সারা বিশ্ব থেকে বহু পর্যটক এই বাঁধ দেখতে হাজির হন তামিলনাড়ুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC Reservation Case: “অনেক জাতিকেই নিয়ম বিরুদ্ধভাবে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে”, তোপ কমিশনের

    OBC Reservation Case: “অনেক জাতিকেই নিয়ম বিরুদ্ধভাবে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে”, তোপ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গে এক বছরে অনেক জাতিকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ম বিরুদ্ধ।” বুধবার সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন জাতীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহির (OBC Reservation Case)।

    বিস্ফোরক দাবি জাতীয় ওবিসি কমিশনের (OBC Reservation Case)

    তিনি বলেন, “ওবিসি তালিকায় কোনও জাতিকে জুড়তে গেলে যে যে নিয়ম মানতে হয়, যেভাবে রিপোর্ট তৈরি করতে হয়, তার কোনও কিছুই করা হয়নি। সেটাই এখন সামনে এসেছে। হাইকোর্ট মেনে নিয়েছে। কোনও জাতিকে ওবিসি তালিকায় আনতে গেলে তার একটা সার্ভে করতে হয়, রিপোর্ট তৈরি করতে হয়।” ওবিসি কমিশনের (OBC Reservation Case) চেয়ারম্যান বলেন, “এই কাজটা করে কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট। কিন্তু ওরা ঠিকভাবে কাজ করে না। এদিকে, ওদের রিপোর্ট এখানকার ওবিসি কমিশন মানে, সেটাই আবার এখানকার সরকার মানে। এটা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “আমরা ১০ থেকে ১২ বার রিপোর্ট দিতে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। এক বছর হয়ে গেল, রিপোর্ট দেয়নি। কেউ আসেনি দেখা করতে। আমরা দ্রুত অ্যাকশন নেব।”

    নিশানা মুখ্য সচিবকেও

    এদিন রাজ্যের মুখ্য সচিবকেও নিশানা করেছেন হংসরাজ। বলেন, “এখানকার মুখ্যসচিব কোনও সহযোগিতা করেন না। আমরা রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব। কতবার রিপোর্ট চেয়েছি, পাইনি। এরা অসম্মান করে।” তিনি বলেন, “একশোর বেশি মুসলিম জাতি আর ৬১টি হিন্দু জাতির মানুষ এখানকার ওবিসির তালিকায়। এখানকার কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট একদম খারাপ সার্ভে করে। কতবার রিপোর্ট চেয়েছি, দেয়নি।”

    আর পড়ুন: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    প্রসঙ্গত, বুধবার ২০১০ সালের পরে রাজ্যে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশের জেরে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। শুধু ৫ লাখ সার্টিফিকেট নয়, ৩৭টি শ্রেণির ওবিসি সংরক্ষণও বাতিল করেছে আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুসলমানদের ৭৭টি শ্রেণিকে ওবিসি সংরক্ষণ দেওয়া গোটা মুসলিম সমাজ ও গণতন্ত্রের অপমান। তবে হাইকোর্টের রায় মানবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের খড়দহের এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, “কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। তাঁর রায় আমি মানি না। এটা বিজেপির রায়। আমরা মানব না (OBC Reservation Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ‘ইন্ডি’ জোটকে একটা বড় থাপ্পড় মেরেছে কলকাতা হাইকোর্ট।” ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বুধবার এক নির্বাচনী জনসভায় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য যাচাই না করেই তাঁদের ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আজ আদালত থাপ্পড় মেরেছে।” কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন (PM Modi), “এরাই বলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এরাই লাগাতার সরকারি জমি ওয়াকফ বোর্ডকে দিচ্ছে, পরিবর্তে ভোট চাইছে। এরা ধর্মের ভিত্তিতে সরকারি টেন্ডার দিতে চাইছে।”

    কী বললেন শাহ?

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণ দিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের রায় মানেন না। বাংলার মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন, এমন কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি হতে পারেন, যিনি বলেন আদালতের নির্দেশ মানেন না? এতেই স্পষ্ট, বাংলায় গণতন্ত্র কী অবস্থায় রয়েছে!” এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন শাহ।

    আর পড়ুন: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    বিজেপি যে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চায় না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “হাইকোর্টের রায় যাতে কার্যকর হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব। যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির, তাঁরা যাতে নিজেদের অধিকার পান, তা আমরা নিশ্চিত করব। যাঁরা ওবিসি নন, তুষ্টিকরণের নীতি ও ভোটব্যাঙ্কের নীতির জন্য তাঁদের ওবিসির সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর। পাক সেনার অত্যাচারে জেরবার এই এলাকার বাসিন্দারা চান মুক্তি। তবে স্বতন্ত্র কোনও দেশ কিংবা স্বায়ত্ত্ব শাসন তাঁরা চান না। তাঁরা চান এই অঞ্চলকে জুড়ে দেওয়া হোক ভারতের সঙ্গে। ভারতভুক্তিই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রধান দাবি। যে দাবিতে পাক অধিকৃত এই অঞ্চলে জ্বলছে অশান্তির আগুন। যে আগুন নেভানোর ছলে আন্দোলনকারীদের দমন করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে পাক সেনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখ খুলে দিয়েছে মোদি সরকারের জমানায় জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন। ভারতের অংশে যেখানে বয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের জোয়ার, সেখানে পাক অধিকৃত অংশের সর্বাঙ্গে স্পষ্ট অনুন্নয়নের ছাপ।

    ভারতভুক্তির দাবি (POJK)

    প্রত্যাশিতভাবেই তাঁরা দাবি তুলেছেন আজাদির, আরও স্পষ্ট করে বললে ভারতভুক্তির। ২০১৯ সালের ১৪ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ভূস্বর্গে আক্ষরিক অর্থেই নেমে এসেছে কাঙ্খিত শান্তি। বুক ভরে তাজা শ্বাস নিচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ। এর ঠিক উল্টো ছবি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তাই ২০২৩ সাল থেকে ভারতভুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন পকেটে। এহেন পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসে নেই পাক সেনা। আন্দোলনকারীদের ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করতে মাঠে নেমে পড়েছে তারা। তাদের মারে জখম হয়েছেন গিলগিট-বাল্টিস্তানের পর্যটনমন্ত্রীও। তার পরেও ভারতভুক্তির দাবি থেকে একচুলও সরেননি এই এলাকার মানুষ। ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি ‘পাকিস্তানি সেনা মুর্দাবাদ’ স্লোগানও দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলন দমন করতে গুলিও ছুড়েছে পাক সেনা। বেশ কয়েকজন জখম হওয়ার পাশাপাশি নিহত হয়েছেন জাকির হুসেন, গাজি আনওয়ার এবং আশিক মির।

    আর পড়ুন: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    ধ্বংস করছে পাকিস্তান

    সেই ১৯৯০ সাল থেকে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা মনে করেন তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক, পাকিস্তান তাঁদের শোষণ করছে। তাই জীবন বাজি রেখেই তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিনা-পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে (POJK)। এর খেসারতও দিয়ে হয়েছে তাঁদের কাউকে কাউকে। নওয়াজ নাজি, বাবা জান, আবদুল হামিদ খান এবং আরও অনেককে জেলে পচিয়ে মারছে পাক সরকার। এঁদের দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তার পরেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি স্থানীয়দের বুকে জমে থাকা ক্ষোভের আগুন। পাক রাজনীতির টালমাটাল দশা আর তার সঙ্গে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের কারণেই তাঁরা আরও বেশি করে ঝুঁকছেন ভারতের দিকে। তাই জোরালো হচ্ছে ভারতভুক্তি দাবি।

    দখলদারির রাজত্ব

    ১৯৪৭ সালে রাজন্য-শাসিত রাজ্যগুলিকে হয় পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়। তখন কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেন। এরই একটা অংশ আগেই দখল করে নিয়েছিল পাকিস্তান, উপজাতির ছদ্মবেশে। সেই অংশই পাক অধিকৃত কাশ্মীর।

    আরএসএসের ভূমিকা

    হরি সিং যখন ভারত না পাকিস্তান কোন দিকে যাবেন তা নিয়ে দোটানায়, তখনই আরএসএসের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক গুরুজি সাক্ষাৎ করেন কাশ্মীরের মহারাজের সঙ্গে। এর পরেই ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হরি সিং। সে খবর (POJK) পেয়েই কাশ্মীরে উড়ে যান ভিপি মেনন। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মহারাজা। এর ঠিক দু’মাসের মাথায়ই মঙ্গলা, আলিবেগ, মিরপুর, ভীমবের, দেবা এবং বাটালা অঞ্চল, রাজৌরি ও নৌসেরা, ঝাঁগার এবং কোটলির পুরো অঞ্চলটা দখল করে নেয় পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ভারতের এই অংশগুলোও। গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশও হরি সিং ভারতের হাতে তুলে দেন। যদিও সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে তখনও ছিলেন গিলগিট স্কাউটরা। এঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর ডব্লিউ ব্রাউন। তিনি মুসলমান কিছু অফিসার ও জম্মু-কাশ্মীরের সৈন্যদের নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেন। এর পরেই তাঁরা পৌঁছে যান গিলগিটে, আশ্রয় নেন রাজ্যপাল ঘনসারা সিংয়ের বাসভবনে। পরে তাঁকে বাধ্য করেন সারেন্ডার করতে। সৈন্যদের মধ্যে যাঁরা শিখ এবং হিন্দু ছিলেন, তাঁদের হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশে যুদ্ধ বিরতি হয় ১৯৪৮ সালে। ততক্ষণে গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশ জোর করে দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান (POJK)।

    জনসংখ্যার বদল

    বস্তুত তার পর থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে দমন পীড়ন। পাক প্রশাসনের মূল লক্ষ্যই হল, এই অঞ্চলের জনসংখ্যা ধ্বংস করা, লুটে নেওয়া মাটির নীচে সঞ্চিত প্রাকৃতিক সম্পদ। এলাকার জনসংখ্যার হার বদল করতে পাঞ্জাব এবং নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স থেকে সুন্নি মুসলমানদের এনে এখানে বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হয়। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের বাসিন্দারা কলোনি জীবন যাপন করেন। পণ্ডিতরা যাকে ‘বিশ্বের শেষ কলোনি’ আখ্যা দিয়েছেন। মিরপুর মুজফ্ফরাবাদ কিংবা গিলগিট-বাল্টিস্তানের লোকজনের প্রতিবাদের অধিকারেও লাগাম পরানো হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় অপহরণ, খুন-জখম-রাহাজানি। পাক সেনা জোর করে জমি দখল করে নিলেও টুঁ শব্দটি করার জো নেই এই এলাকার বাসিন্দাদের। পাক শাসকরা কৌশলে ধ্বংস করছে এই এলাকার ভাষা, লিপি, জঙ্গল, উৎসব। বাসিন্দাদের তাঁদের মূল থেকেও উপড়ে ফেলার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে পাক সেনা। অথচ এই এলাকাটি যেন পাকিস্তানের সোনার ডিম দেওয়া সেই হাঁস। বিদেশ থেকে যাঁরা পাকিস্তানে বেড়াতে আসেন, তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশই আসেন গিলগিট-বাল্টিস্তানে। তাই রোজগার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি বিদেশি মুদ্রা। মিরপুর-মুজফফরাবাদ অঞ্চলে মাটির নীচে রয়েছে দামী ধাতু-পাথর। আর গিলগিট-বাল্টিস্তানের পেটে লুকানো রয়েছে ১ হাজার ৪৮০টি সোনার খনি। এসব থেকে রোজগার হলেও, এলাকায় উন্নয়ন থেকে যায় অধরা।

    অবহেলায় শারদা পীঠ

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৭ মাইল দূরে রয়েছে শারদা পীঠ। জ্ঞানের দেবী শারদার মন্দির রয়েছে এখানেই। সনাতনীদের কাছে এক সময় যে জায়গা ছিল তীর্থক্ষেত্র, যে মন্দিরে নিত্য বাজত ঘণ্টা, নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত মন্দিরের ধূপ-দীপের গন্ধে যেখানে তৈরি হত স্বর্গীয় পরিবেশ, সেখানে আজ শুধুই শ্মশানের স্তব্ধতা। দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগ্নপ্রায় এক মন্দিরের কাঠামো। বিগ্রহ? কে জানে কোথায়!

    ভারত বরাবর দাবি করে আসছে অখণ্ড জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বহুবার বলেছেন এই অঞ্চলের দখল পেতে আমরা জীবন বলি দিতেও প্রস্তুত (POJK)।

    ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও আমাদের ভূস্বর্গ…পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাতাসে ভাসছে এমনই আর্তি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramkrisha Mission: জমির মালিক মিশনই, তবুও কেন গ্রেফতার হলনা প্রদীপ? প্রশ্ন পুলিশের বিরুদ্ধে

    Ramkrisha Mission: জমির মালিক মিশনই, তবুও কেন গ্রেফতার হলনা প্রদীপ? প্রশ্ন পুলিশের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার তদন্তে আজবকাণ্ড! ১৫ বছরের আগে অন্যত্র চলে যাওয়া মহারাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এই মহারাজের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে হামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। আবার শিলিগুড়ি ডিসিপি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, মূল অভি যুক্ত প্রদীপ ‘বেপাত্তা’। তবে কেন তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে লঘু ধারা? উত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে মিশনের হামলায় অভিযুক্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের আজ আদালতে তোলা হলে, বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলে, “আমাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে”।

    পুলিশের বক্তব্য (Ramkrisha Mission)

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “১৯ মে মাঝ রাতে সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রদীপ রায় আরও ১০-১২ জন মিশনে (Ramkrisha Mission) ঘরে ঢুকে হামলা করে। মিশনের কর্মীদের ভয় দেখানো হয় এবং মারধর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও নষ্ট করে দেওয়া হয়। প্রদীপ রায় একটি কেস করেছে। তার দাবি, রামকৃষ্ণ মিশনের জমির মালিক সে। উত্তরাধিকার সূত্রে টুকা সিংয়ের কাছ থেকে এই জমি পেয়েছে প্রদীপ। কিন্তু তদন্তে জানা গিয়েছে, এই টুকা সিং অনেক আগে জমি বিক্রি করে দিয়েছে হরদুয়াল সিং গিল বলে এক ভদ্রলোকের কাছে। সে আবার বিক্রি করেছে এসকে রায়ের কাছে। এসকে রায় আবার জমিদান করেছে রামকৃষ্ণের কাছে। ফলে আদলাতের নির্দেশ অনুযায়ী জমির মালিক রামকৃষ্ণ মিশনই। তবে ল্যান্ড রেকর্ড অনুযায়ী জমি রয়েছে টুকা সিংয়ের নামেই। মিউটেশন হয়নি।”

    অধরা মূল অভিযুক্ত!

    রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। কেন গ্রেফতার করা হয়নি প্রশ্ন করলে পুলিশ তার উত্তর ঠিক করে দিতে পারেননি। অথচ সেই মিশনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। এমনকি এফআইআর কপিতে ১৫ বছর আগে জলপাইগুড়ি থেকে চলে যাওয়া স্বামী অক্ষয়ানন্দ মহারাজের নাম রয়েছে। তিনি বর্তমানে প্রয়াগেরাজে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে কীভাবে এফআইআর করল পুলিশ? আবার মিশনের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছে সেখানে অভিযুক্তের নামের প্রদীপ রায়ের নাম থাকলেও, অস্ত্র আইনের মামলা রুজু করেনি পুলিশ। সবটা মিলিয়তে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে অনেক।

    গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বক্তব্য

    রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলা থাকার সন্দেহে যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আজ বুধবার তাদের আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বক্তব্য, “আমাদের জোর করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্দোষ। আমারা কেউ হামলার সঙ্গে যুক্ত নই।

    আরও পড়ুনঃহাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে শনিবার ১৯ মে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ৩৫ জনের একটি বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrisha Mission)  ঘরে ঢুকে হামলা করে। একই সঙ্গে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। এরপর মিশনের সন্ন্যাসীদের শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে বাড়ি থেকে বাইরে করে দেওয়া হয়। একই ভাবে পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউজলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঠ-মিশন-সংঘের সাধু-সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্যে সন্ন্যাসী ও আশ্রমের ওপর হামলার ঘটনা বাড়বে বলেই মনে করেন বিভিন্ন মঠ-মিশন কর্তৃপক্ষ। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। মামালার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে।

    কী বলেছিলেন মমতা? (Viswa Hindu Parishad)

    সন্ন্যাসী বিতর্কের জল এতদূর গড়ানোর কারণ শনিবার আরামবাগের এক জনসভায় করা তৃণমূল নেত্রীর একটি মন্তব্য। ওই সভায় মমতা রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েকজন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার কার্তিক মহারাজের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সব সাধু সামান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ রয়েছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই (Viswa Hindu Parishad) মন্তব্যের পরে পরেই শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্যও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজ। চিঠিতে চার দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। চার দিনের মধ্যে জবাব না মিললে মহারাজ আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। মহারাজের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। তাঁর সম্মানহানির চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী অসত্য ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ ওই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর। সাধুদের নিশানা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন মঠ-মিশন-আশ্রমের সাধু-সন্তরা। এহেন আবহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় শহরে বাড়তি নিরাপত্তা, থাকবে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় শহরে বাড়তি নিরাপত্তা, থাকবে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম পাঁচ দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) মোটামুটি নির্বিঘ্নে কেটেছে। বিক্ষিপ্ত কিছু হিংসার ঘটনা ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য বড় কোনও খবর সামনে আসেনি৷ সাত দফার মধ্যে বাকি আর দুই দফা। তবে এর মধ্যে সপ্তম দফায় ভোট রয়েছে শহরে। আর তার জেরেই শেষ দফায় শহরে বাড়ানো হলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। 

    ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব লালবাজারের কাঁধে 

    আগামী ১ জুন ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে কলকাতায়। মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হবে লালবাজারকে। সেই ভোট-পর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে মেটাতে কলকাতা পুলিশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার মধ্যে ১০ কোম্পানি ইতিমধ্যেই শহরে রয়েছে। বুধবারের মধ্যে শহরে চলে আসার কথা ২১ কোম্পানির। আর বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central forces)  আগামী শনিবার, ষষ্ঠ দফার ভোটের পরে শহরে চলে আসবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central forces) জাওয়ানদের সঙ্গে থাকছেন কলকাতা পুলিশের কয়েক হাজার পুলিশকর্মী। 
    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এ বার বুথের সংখ্যা কমেলেও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকায় এ বার মোট বুথের সংখ্যা ৫১৫৮টি এবং ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৪০টি। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতার মতো লোকসভা কেন্দ্রের পুরোটাই রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। এ ছাড়া, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছুটা অংশও রয়েছে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায়। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় লালবাজারের অধীনে চলে আসায় এ বার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নিরাপত্তা সামলাতে হবে লালবাজারকে। 

    আরও পড়ুন: লজ্জা! ফের রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিককে সরাল কমিশন

    স্পর্শকাতর বুথ গুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা 

    সূত্রের খবর, এ বার প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর। তাই প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। লালবাজার জানিয়েছে, এ বার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নিরাপত্তায় গোটা শহরে থাকছে ২৩০টি কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি। যাতে থাকবে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবেন এক জন করে কলকাতা পুলিশের অফিসার। এ ছাড়া, থাকছে কলকাতা পুলিশের কর্মী-অফিসারদের নিয়ে গঠিত ৩৪৭টি সেক্টর মোবাইল। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবে ওই সেক্টর মোবাইল। এ ছাড়াও থাকছে এইচআরএফএস এবং আরটি মোবাইল ভ্যান। সেগুলিতে অবশ্য থাকবে কলকাতা পুলিশের বাহিনী।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 24: “ঈশ্বরলাভ না করলে তাঁর আদেশ পাওয়া যায় না”

    Ramakrishna 24: “ঈশ্বরলাভ না করলে তাঁর আদেশ পাওয়া যায় না”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    কমলাকুটিরে শ্রীরামকৃষ্ণ শ্রীযুক্ত কেশব সেন

    তোমরা বক্তৃতা দাও সকলের উপকারের জন্য, কিন্তু ঈশ্বরদর্শন করে বক্তৃতা দিলে উপকার হয়। তাঁর আদেশ না পেয়ে লোকশিক্ষা দিলে উপকার হয় না। ঈশ্বরলাভ না করলে তাঁর আদেশ পাওয়া যায় না। ঈশ্বরলাভ যে হয়েছে, তার লক্ষণ আছে। বালকবৎ, জড়বৎ, উন্মাদবৎ, পিশাচবৎ হয়ে যায়; যেমন শুকদেবাদি। চৈতন্যদেব কখন বালকবৎ, কখন উন্মাদের ন্যায় নৃত্য করিতেন। হাসে, কাঁদে, নাচে, গায়। পুরীধামে যখন ছিলেন, তখন অনেক সময় জড় সমাধিতে থাকতেন।  

    শ্রীযুক্ত কেশবের হিন্দুধর্মের উপর উত্তরোত্তর শ্রদ্ধা

    এইরূপ নানাস্থানে শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনকে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কথাচ্ছলে নানা উপদেশ দিয়েছিলেন। বেলঘরের বাগানে প্রথম দর্শনের পর কেশব ২৮শে মার্চ, ১৮৭৫ রবিবার ‘মিরার’ সংবাদপত্রে লিখিয়াছিলেন, আমরা অল্প দিন হইল, দক্ষিণেশ্বরে পরমহংস রামকৃষ্ণকে বেলঘরের বাগানে দর্শন করিয়াছি। তাঁহার গভীরতা, অর্ন্তদৃষ্টি, বালকস্বভাব দেখিয়া আমরা মুগ্ধ হইয়াছি। তিনি শান্তস্বভাব, কোমল প্রকৃতি, আর দেখিলে বোধ হয়, সর্বদা যোগেতে আছেন। এখন আমাদের বোধ হইতেছে যে, হিন্দুধর্মের গভীরতম প্রদেশ অনুসন্ধান করিলে কত সৌন্দর্য, সত্য ও সাধুতা দেখিয়ে পাওয়া যায়। তা না হইলে পরমহংসের ন্যায় ঈশ্বরীয়ভাবে ভাবিত যোগীপুরুষ কিরূপে দেখা যাইতেছে? ১৮৭৬ জানুয়ারি আবার মাঘোৎসব আসিল, তিনি টাউন হলে বক্তৃতা দিলেন; বিষয়—ব্রাহ্মধর্ম ও আমরা কি শিখিয়াছি—(Our Faith and Experiences)—তাহাতেও হিন্দুধর্মের সৌন্দর্যের কথা অনেক বলিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) তাঁহাকে যেমন ভালবাসিয়াছিলেন, কেশবও তাঁহাকে তদরূপ ভক্তি করিতেন। প্রায় প্রতি বৎসর ব্রাহ্মোৎসবের সময়েও কেশব দক্ষিণেশ্বরে যাইতেন ও তাঁহাকে কমলকুটিরে লইয়া আসিতেন। কখন কখন একাকী কমলকুটিরের দ্বিতলস্থ উপাসনাকক্ষে পরম অন্তরঙ্গজ্ঞানে ভক্তিভরে লইয়া যাইতেন ও একান্তে ঈশ্বরের পূজা ও আনন্দ করিতেন।

    ১৮৭৯ ভাদোৎসবের সময় আবার কেশব শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) নিমন্ত্রণ করিয়া বেলঘরের তপোবনে লইয়া যান। ১৫ই সেপ্টেম্বর সোমবার (৩১ শে ভাদ্র, ১২৮৬, কৃষ্ণা চতুর্দর্শী)। আবার ২১ শে সেপ্টেম্বর কমলকুটিরে উৎসবে যোগদান করিতে লইয়া যান। এই সময় শ্রীরামকৃষ্ণ সমাধিস্থ হইলে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে তাঁহার ফটো লওয়া হয়। ঠাকুর দণ্ডায়মান, সমাধিস্থ। হৃদয় ধরিয়া আছেন। ২২শে অক্টোবর (৬ই কার্তিক, ১২৮৬, বুধবার), মহাষ্টমী—নবমীর দিন কেশব দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে তাঁহাকে দর্শন করিলেন।

    “বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: হাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    Lok Sabha Election 2024: হাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলকে ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলেরই সংঘর্ষ বাধে। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় মিছিল নিয়ে তৃণমূল বনাম তৃণমূলে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সকলেই হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থক, কিন্তু একপক্ষ আদি তৃণমূল, ওপর পক্ষ নব্য তৃণমূল।

    কীভাবে ঘটল গোষ্ঠী সংঘর্ষ (Lok Sabha Election 2024)?

    বসিরহাট লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের সমর্থনে আদি-নব্যের জোড়া মিছিলের মুখোমুখি হতেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আদি-নব্যের সংঘাতে লাঠি-বাঁশ-ইট নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন আটপুকুর অঞ্চল থেকে আদি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন। অন্যদিকে বিহারী এলাকা থেকে নব্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আরও একটি মিছিল নিয়ে বের হয়। দু’টি মিছিল বিহারী অঞ্চলে মুখোমুখি হতেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, আদি তৃণমূলের লোকজন নব্য তৃণমূলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়ে বলে অভিযোগ। দুই শিবিরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাদানুবাদ হয় বলে খবর। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য

    তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী হাফিজুল ইসলাম ঢালি বলেন, “এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। আমরা হাজি নুরুল সাহেবের সমর্থক। অপর দিকের কর্মীরাও তৃণমূল কর্মী। আমরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বেরিয়ে ছিলাম সঙ্গে সাংবাদিকেরাও ছিলেন। আমাদের উপর বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। আমাদের লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়। ধারালো অস্ত্র, বাঁশ-রড দিয়ে মারা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতী মিজানুর রহমান, আইনুল ইসলাম সহ আরও অনেকে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।”

    আরও পড়ুনঃ “পতন এসে গেছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ

    এদিকে গোলমালের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। তখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। শেষে পুলিশি তৎপরতায় আস্তে আস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে তৃণমূল শিবির খানিকটা চাপে পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share