Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG Kar: প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ-অভীককে সাসপেন্ড মমতার, পিঠ বাঁচাতেই কি?

    RG Kar: প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ-অভীককে সাসপেন্ড মমতার, পিঠ বাঁচাতেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বাহুবলী ডাক্তার-নেতা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আরএমও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য ভবন, যার মাথায় খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এই দুই শাসক ঘনিষ্ঠ ডাক্তার নেতা সন্দীপ ঘোষের শাগরেদ বলেই পরিচিত। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সন্দীপ। কিন্তু ইস্তফার দিনেই তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দেয় মমতার সরকার। তাঁকে কলকাতা ন্যাশনালের অধ্যক্ষ করে পাঠানো হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সে পদ খারিজ হয় সন্দীপের। এরপরেই সন্দীপের দুই শাগরেদ হিসেবে নাম উঠে আসে বাহুবলী ডাক্তার নেতা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র। এবার আন্দোলনের চাপে (West Bengal Government) এতদিন পর সন্দীপের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হল দুজনকেই। শাসক দল ঘনিষ্ঠ এই দুই ডাক্তার নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতদিন লেগে গেল সরকারের? এই প্রশ্নই উঠছে এখন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‘দুই চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া লোক দেখানো। নিজেদের পিঠ বাঁচানোর প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।’’

    সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের এমন ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বারবার দেখা গিয়েছে

    এই আশঙ্কা উঠছে, তার কারণ অতীতে একাধিকবার এমন নজির সামনে এনেছে রাজ্য সরকার। খুব সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় শেখ শাহজাহানকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal Government) তাও আবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। পরে চাপে পড়ে সেই শাহজাহানকে ছেঁটে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। গত বছর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে কিংবা ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁকেও জনরোষের চাপে পড়ে সাসপেন্ড করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। নিয়োগ দুর্নীতিতে দলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হতেই, তাঁর মাথা থেকেই হাত সরিয়ে নেয় মমতার দল। সাসপেন্ড করা হয় অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে। একইভাবে হুগলির যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করে মমতার দল। প্রশ্ন উঠছে, ব্লক থেকে জেলা, জেলা থেকে রাজ্য এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের অসংখ্য নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীত- গুণ্ডামির অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের কি মমতার দল সাসপেন্ড করবে নাকি জনরোষ তৈরি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিগত কয়েক বছরের এই উদাহরণগুলিই বলে দিচ্ছে এগুলো আসলে ড্যামেজ কন্ট্রোল ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আরও মত, আরজি করকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভায় তড়িঘড়ি করে পাশ করানো অপরাজিতা আইনও হল এই ড্যামেজ কন্ট্রোলের অঙ্গ।

    হাসপাতালে গুণ্ডামি চালাতেন শাসক সন্দীপ ঘনিষ্ঠ দুই ডাক্তার নেতা (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, সন্দীপের দুই শাগরেদ বিরূপাক্ষ ও অভীক দুজনেই যে তৃণমূলের অতি ঘনিষ্ঠ তা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে বারবার। বাহুবলী প্রভাবশালী এই দুই ডাক্তার নেতাকেই আরজি কর কাণ্ডের পরের দিনই সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছিল। প্রশ্ন তখনই ওঠে যে বহিরাগত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা আরজি করের সেমিনার রুমে কী করছিলেন সেদিন? ডাক্তার নেতা অভীক দে আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য স্তরের পদাধিকারীও ছিলেন। কিন্তু নিজেদের পিঠ বাঁচাতে রীতিমতো প্রেস বিবৃতি জারি করে তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। এরপরে তাঁকে চাকরি থেকেও বরখাস্ত করে সরকার। অন্যদিকে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। ডাক্তারি ছাত্রদের পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেওয়া, রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার হুমকি দেওয়া ছাড়াও ডায়মন্ডহারবারের এক মহিলা চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং ডায়মন্ড হারবারের জুনিয়র ডাক্তাররা।

    কড়া বিবৃতি চিকিৎসক সংগঠনের

    এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে এক বিবৃতি লেখা হয়েছে। তাতে মমতা সরকারের ড্যামেজ কন্ট্রোলের (RG Kar) প্রচেষ্টার তত্ত্বকে তীব্র সমালোচনা ধরা হয়েছে। কেন এই বিলম্বিত বোধোদয়? সে প্রশ্নও রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি, সন্দীপ-বিরূপাক্ষ-অভীকদের মাথাদেরও শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চিকিৎস সংগঠন নিজেদের বিবৃতিতে লেখেন, ‘‘আমরা মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটের সময় থেকেই এঁদের বিরুদ্ধে বলে এসেছি। মামলা করা হয়েছে। তার পর সন্দীপ ঘোষের কুকীর্তি নিয়েও বহু বার বলেছি। অধরা রয়ে গেছে আমাদের স্বর। আমাদের প্রার্থী-সমর্থকদের প্রতিহিংসামূলক বদলি করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে, কাউন্সিলে ডাকা হয়েছে। জল বাড়তে বাড়তে এখন মাথার ওপর উঠে গিয়েছে এবং আরজি করে আমাদের বোনের নারকীয় দুর্ঘটনার ২৭ দিন বাদে (RG Kar) প্রশাসনের টনক নড়েছে। গ্রেফতার এবং সাসপেনশন হচ্ছে। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পদত্যাগের হিড়িক উঠেছে। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেল। না আমরা আনন্দিত নই। এদের মাথার উপর যে মাথারা রয়েছে, তাদের শাস্তি না পাওয়া অবধি আমরা স্বস্তি পাব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি…’’, খোলা চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar: ‘‘আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি…’’, খোলা চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর ছিল শিক্ষক দিবস। ওই দিনই মেয়ের হয়ে তাঁর শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানাতে কলম ধরলেন আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার মা। লিখলেন খোলা চিঠি। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন তিনি।

    আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি (RG Kar) 

    চিঠির প্রথমেই লেখা রয়েছে, ‘‘আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি।’’ এরপরেই শুরু হচ্ছে চিঠির বিষয়বস্তু। চিঠির প্রথমেই শিক্ষক দিবসে মেয়ের হয়ে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রণাম জানিয়েছেন নির্যাতিতা পড়ুয়ার মা (RG Kar Victim’s Mother)। এরপরে তিনি লেখেন, ছোট থেকেই তাঁর মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘তিলোত্তমা’র মা মায়ের মন্তব্য, ‘‘আপনারা সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কান্ডারী ছিলেন। আমরা অভিভাবক হিসেবে পাশে থেকেছি। নিজেও অনেক কষ্ট করেছিল। কিন্তু আমি মনে করি আপনাদের মত ভালো ভালো শিক্ষকদেরকে পাশে পেয়েছিল বলেই মেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সফল করতে পেরেছিল। আমার মেয়ে বলত, মা আমার টাকা পয়সা চাই না। শুধু চাই নামের পাশে অনেকগুলো ডিগ্রি। আর আমি যেন অনেক অনেক রোগীকে ভালো করতে পারি।’’

    দ্বিতীয় প্যারাতে লেখা রয়েছে ওই অভিশপ্ত দিনের কথা

    চিঠির দ্বিতীয় প্যারাতে লেখা রয়েছে ওই অভিশপ্ত দিনের কথা (RG Kar)। নির্যাতিতার মা লিখছেন, বৃহস্পতিবারও বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে গিয়ে অনেক রোগীকে পরিষেবা দিয়েছিলেন মেয়ে এবং ডিউটিরত অবস্থাতেই কিছু দুর্বৃত্তের হাতে বলি হতে হয় তাঁকে। চরম নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতিতার স্বপ্নগুলোকে গলা টিপে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা, এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের। এর ফলে তাঁর মেয়ের অনেক স্বপ্ন অধরা থেকে গেল বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা (RG Kar)। এরপরেই তিনি (RG Kar Victim’s Mother) লেখেন যে, নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক তৎপরতায়।

    মেয়ের সুবিচারের আশায় (RG Kar)

    চিঠির একেবারে শেষ প্যারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সকল মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা যদি কোনও তথ্য প্রমাণ জেনে থাকেন, তবে সেগুলোকে অবশ্যই সামনে আনুন। এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা উল্লেখ করেছেন, ‘‘ভালো মানুষের নীরবতা অপরাধীদের সাহস যোগায়।’’ খোলা চিঠির একেবারে শেষে ‘তিলোত্তমা’র মায়ের বার্তা, ‘‘চিকিৎসক সমাজ, সাধারণ মানুষ যে আন্দোলন শুরু করেছে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এবং শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রণাম জানিয়ে মেয়ের সুবিচারের আশায়… তিলোত্তমার মা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর মামলার শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর, জানাল শীর্ষ আদালত

    RG Kar: আরজি কর মামলার শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বুধবার, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ না বসায় সেই শুনানি পিছিয়ে যায়। এর পর বৃহস্পতিবার বিকেলে আরজি কর মামলার নতুন শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধার্য করে। শীর্ষ আদালতের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, আরজি কর মামলা শোনা হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর থেকে উত্তাল হয়েছে সারা বাংলা। প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। এই আবহে আরজি কর মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ সমেত প্রবাসী ভারতীয়রাও।

    ঘটনার একমাস পূর্ণ হওয়ার দিনই সুপ্রিম শুনানি

    উল্লেখ্য ৯ সেপ্টেম্বর ঘটনার একমাস পূর্ণ হবে, সেদিনই রয়েছে মামলার শুনানি। ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে, এমনটা জানতে পেরে আগে থেকে আন্দোলনকারীরা প্রদীপ জ্বালানো ও রাত দখলের কর্মসূচিও গ্রহণ করেন ৪ সেপ্টেম্বর। ঠিক হয়, ৫ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে দেখা হবে মামলার শুনানি। কিন্তু, বুধবারে হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ওই দিন বসছেন না। প্রসঙ্গত আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। প্রসঙ্গত, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো আরজি করে মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।

    শুনানি পিছিয়ে যেতে হতাশ আন্দোলনকারীরা 

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই হতাশা (RG Kar) ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারী এবং প্রতিবাদকারীদের মধ্যে। কারণ দীর্ঘ ৯ অগাস্ট থেকে এই আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভ, অবরোধ, নবান্ন অভিযান, লালবাজার অভিযান, রাত দখলের কর্মসূচি, মানব বন্ধন সব কিছুই সম্পন্ন হয়েছে আরজি কর ইস্যুকে কেন্দ্র করে। চলছে একাধিক কর্মসূচিও। সবাই তাকিয়ে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। তার মধ্যে নির্ধারিত দিন পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ হন প্রতিবাদীরা। যদিও, আন্দোলকারী চিকিৎসকরা একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, তাঁরা নিজেদের অবস্থানেই অনঢ় রয়েছেন। তাঁদের কথায়, সুপ্রিম কোর্টে যত মামলা পিছবে, মিছিল তত এগোবে। কোনও অবস্থাতেই আর মিছিল ও বিক্ষোভ থামবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁদের দাবিগুলি মানা হবে তখন পর্যন্ত মিছিল এগিয়ে যাবে। তবে, এরই মধ্যে সামনে এল শুনানির নয়া দিনক্ষণ। এবার দেখার সোমবার কী হয়! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghar Wapsi: ঝাড়খণ্ডে ‘ঘর ওয়াপসি’! হাজারীবাগ ও সুকমায় সনাতন ধর্মে প্রত্যাবর্তন ১৫০ জনের

    Ghar Wapsi: ঝাড়খণ্ডে ‘ঘর ওয়াপসি’! হাজারীবাগ ও সুকমায় সনাতন ধর্মে প্রত্যাবর্তন ১৫০ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জেলায় অনুষ্ঠিত হল ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi) অনুষ্ঠান। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করা শতাধিক লোক, হিন্দু সনাতন (Hinduism) ধর্মে পুনরায় ফিরে এসেছেন। মোট ৮১টি পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরলেন। বাদকাখুর্দ পঞ্চায়েতের অধীনে ছয়টি গ্রামের ৬৭টি পরিবারের মোট ১২০ জন একটি যজ্ঞের পরে সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। আবার সুকমায় ১৪টি পরিবারের ৩০ জনেরও বেশি লোক হিন্দুধর্মে ফিরে এসেছেন। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের বিশিষ্ট সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যাবর্তনের পর গ্রামবাসীরা তাঁদের পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে পা ধুয়ে স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানের সময় বস্ত্র উপহার দিয়ে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়। বিশ্বহিন্দু পরিষদ এই ‘ঘর ওয়াপসি’-কে স্বাগত জানিয়েছন।

    প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল (Ghar Wapsi)

    জানা গিয়েছে, হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তনকারীরা (Ghar Wapsi) আগে সনাতন (Hinduism) ধর্মাবলম্বী ছিলেন। কিন্তু একাধিক খ্রিস্টান মিশনের প্রভাবে বিভ্রান্ত হয়ে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যদিও, পরবর্তীকালে তাঁরা স্বীকার করেন, সেই সময়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করা ভুল পদক্ষেপ ছিল। অনেক দিন ধরেই মূল হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন তাঁরা। অবশেষে তাঁদের বাসনা পূর্ণ হওয়ায় খুশি ব্যক্ত করেন। মূল ধর্মে ফরে তাঁরা জানিয়েছেন, খ্রিস্টান ধর্মগ্রহণ করার সময় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু ধর্মান্তরিত হওয়ার পর শীঘ্রই অনুতপ্ত হতে শুরু করেন তাঁরা। বাকি পরিবারের সদস্যরা, তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাতে শুরু করেছিল। ভুল সিদ্ধান্তে সমাজ থেকে চ্যুত হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।

    সুকমায় ১৪টি পরিবারের হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তন

    আবার সুকমায় অনুষ্ঠিত আরও এক ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi) অনুষ্ঠানে ১৪টি পরিবারের ৩০ জনেরও বেশি লোক হিন্দুধর্মে ফিরে এসেছেন। যাঁরা সনাতন ধর্মের স্রোতে ফিরে এসেছেন তাঁরা সুকমার সোদিপাড়ার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। প্রত্যাবর্তনকারীরা কিছু মিশন গ্রুপের প্রভাবে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। গ্রামের স্থানীয়রা প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠান করে স্বাগত জানান তাঁদের। ‘গঙ্গাজল’ ছিটিয়ে এবং কপালে ‘তিলক’ লাগানো হয়। উল্লেখ করা উচিত, অবৈধ ধর্মান্তর সম্পর্কিত নানা প্রতিবেদন উপজাতি-অধ্যুষিত ২ রাজ্য — ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড় থেকে বারবার সামনে আসছে, যা দেশের কাছে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ।

    আরও পড়ুনঃমাদ্রাসা থেকে উদ্ধার জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম! মিলেছে ভুয়ো আধারের সন্ধানও

    স্বাগত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    হিন্দু ধর্মে (Ghar Wapsi) ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসল। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক ধর্মান্তরকরণ চলছে, হিন্দু বিরোধী ধর্মপ্রচারকদের সাম্রাজ্য চলছে। জোড়া সমস্যার সম্মুখীন রাজ্যটি। একদিকে, অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, তো অন্যদিকে হিন্দু বিরোধী ধর্মপ্রচারকদের আক্রমণ। এখনই সময় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে এই সব গতিবিধিকে চিহ্নিত করতে হবে এবং বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeep Ghosh: ঘুরপথে পড়ুয়াদের ফান্ডের টাকা যেত সন্দীপের পকেটে, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআই-এর

    Sandeep Ghosh: ঘুরপথে পড়ুয়াদের ফান্ডের টাকা যেত সন্দীপের পকেটে, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোজাসুজি নয়, একপ্রকার ঘুরপথে টাকা রোজগারের পথ বের করেছিলেন সন্দীপ (Sandeep Ghosh)। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের আরও এক কীর্তি ফাঁস হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। জানা গেল, ডাক্তারি পড়ুয়াদের ফান্ডের টাকা ঘুরপথে যেত এই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ডাক্তারের পকেটে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই অফিসারদের হাতে এল এমনই চাঞ্চাল্যকর তথ্য। উল্লেখ্য, চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর থেকে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তিনি ঘটনার দিন সঠিক দায়িত্ব পালন না করে কার্যত হত্যাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন, সামজিক মাধ্যমে এমন অভিযোগে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।

    সন্দীপের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা যেত (Sandeep Ghosh)

    সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) বিভিন্ন কন্ট্রাক্টরদের টাকা দিয়েছেন অ্যাকাডেমিক ফান্ড থেকে। আরজি কর হাসপাতালের জন্য যে টাকা আসত, তা ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য কলেজে ব্যয় করার কথা। কিন্তু সেই টাকা নিজের কাজে ব্যবহার করে ভোগ করতেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। একই ভাবে আরও জানা গিয়েছে, যাদের কাছে এই টাকা যেত, তারাও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বা সন্দীপ ঘনিষ্ঠ। প্রথমে টাকা কন্ট্রাক্টরদের কাছে গেলেও পরে তাঁরা সেই টাকা সন্দীপের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতেন। এই প্রসঙ্গে সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনকে অন্ধকারে রেখেই চলত এই লেনদেন। এই টাকা এখন কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখানেও যে বড় রকমের দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে যে সন্দেহ নেই, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে এই তদন্তে।

    আরও পড়ুনঃ ‘কেড়ে নেওয়া হোক বিনীতের পুলিশ মেডেল’, রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    আরও অভিযোগ

    সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) বেআইনিভাবে বিপজ্জনক বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি করতেন। জিম এবং নিজের চেম্বারের সৌন্দর্যায়নের জন্য কোভিড ফান্ডের অপব্যবহার করছেন। টাকার বিনিময়ে চিকিৎসক-অফিসারদের বদলি করতেন। অযোগ্যদের কাজের বরাত দিতেন। আরও ১৫ রকমের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছিলেন আখতার আলি। সরকারি অর্থের অপচয়, টেন্ডার না ডেকে সরকারি জায়গা খাবারের দোকান, ক্যাফে, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয়ের জন্য বরাদ্দ করা, ভেন্ডার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ ইত্যাদি নানা কুকর্ম তিনি করতেন। সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজকর্ম সরকারি সংস্থাকে না দিয়ে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে কাজ করাতেন। ইচ্ছাকৃতভাবে অর্ডার ভেঙে এক লক্ষ টাকার নীচে যাতে থাকে এবং ই-টেন্ডারকে এড়ানো যায়, সেই কাজ করতেন। রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভাকে এড়িয়ে, বেআইনিভাবে ২ চাকার গাড়ি পার্কিং-এর বেনামি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম! মিলেছে ভুয়ো আধারের সন্ধানও

    Uttar Pradesh: মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম! মিলেছে ভুয়ো আধারের সন্ধানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মাদ্রাসায় (Madrasa) জাল নোটের কারবার ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একাধিক বিদেশি সংযোগ এবং ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে প্রয়াগরাজ পুলিশ। এই মাদ্রাসায় নকল টাকা তৈরির সরঞ্জামেরও খোঁজ মিলেছে। তদন্তকারী অফিসাররা এখন মাদ্রাসার ৬৩০ জন ছাত্রের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছেন।

    মৌলবাদের জন্ম দেয় মাদ্রাসা(Uttar Pradesh)!

    স্থানীয় (Uttar Pradesh) সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদ্রাসার (Madrasa) শিক্ষক মৌলভী তাফসীরুল ছাত্রদের মগজ ধোলাইয়ের কাজ করতেন। এই মাদ্রাসা প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) দল বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। মাদ্রাসা থেকে প্রায় ৬৩০ জন ছাত্র পাশ করেছে। উল্লেখ্য, এই মাদ্রাসা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (আরএসএস) সেখানে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে রেখেছে। মৌলভী তাফসীরুল প্রায় ৬ বছর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছিলেন। আর এখান থেকে বছরে গড়ে প্রায় ১০৫ জন করে ছাত্র পাশ করে থাকে। আবার তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মৌলভী ছাত্রদের মধ্যে মৌলবাদের জন্ম দিয়েছেন। এই ছাত্ররা রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের খোঁজে ছয়টি রাজ্যে এটিএস, আইবি ও পুলিশ সক্রিয় হয়ে অভিযানে নেমেছে।

    সৌদি আরব-তুরস্ক থেকে বছরে ৪৮ লক্ষ টাকা আসত

    সৌদি আরব, তুরস্কের মতো দেশগুলি থেকে প্রতি বছর ৪৮ লাখ টাকা পাঠানো হয় এবং এখন পর্যন্ত মাদ্রসায় ২ কোটির বেশি টাকা জমা হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। মাদ্রাসা (Uttar Pradesh) কমিটির ম্যানেজার শহিদ দাবি করেছেন, এই অর্থ অন্যান্য দেশের সাহায্য, যা শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিক্ষার খরচ হিসেবে বহন করা হয়। এখনও পর্যন্ত ২ কোটি টাকার বেশি টাকা জমা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ “আমরা অশুভ শক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করি”, বললেন ভাগবত

    অবৈধ লেনদেন

    যারা টাকা পাঠিয়েছে তাদের পরিচয় তদন্তকারী সংস্থা প্রকাশ করেনি। তবে পাকিস্তান-সংযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাদ্রাসার (Uttar Pradesh) অধ্যক্ষ মৌলভী তাফসীরুলের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের হিসেবের বিবরণও চাওয়া হয়েছে। মাদ্রাসা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলির কাছ থেকে অবৈধ লেনদেনের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। আইবি জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরও চাঞ্চাল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, আব্দুল জহির নামক এক ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে ওড়িশায় তাঁর ভাইও জাল আধার কার্ড তৈরির চক্রের সঙ্গে যুক্ত। এর খোঁজেও তদন্তে নেমেছে আইবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: পদ ৬০ হাজার ২০০, পরীক্ষার্থী ৩২ লক্ষ! পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় নজির যোগী সরকারের

    Uttar Pradesh: পদ ৬০ হাজার ২০০, পরীক্ষার্থী ৩২ লক্ষ! পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় নজির যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ পুলিশ নিয়োগ (Police Recruitment) পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী সরকার। এই রাজ্যে ৬০ হাজার ২০০টি পদের জন্য পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে মোট ৩২ লক্ষ প্রতিযোগী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এটি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একটি যুগান্তকারী কৃতিত্ব বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ, সুষ্ঠুভাবে, কোনও রকম বিঘ্ন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বিশাল পরীক্ষা। যোগী বিষয়টি নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও ছিলেন। উল্লেখ্য, আগের সমাজবাদী সরকারের অধীনে একাধিক বার পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা বাতিল এবং দুর্নীতির অভিযোগে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাই এবার কড়া নিরাপত্তায় নিয়োগ-পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আদিত্যনাথ সংকল্পবদ্ধ ছিলেন।

    মোট কতগুলি কেন্দ্র ছিল (Uttar Pradesh)?

    বিশ্বের সর্ববৃহৎ পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা (Police Recruitment) সফলভাবে এবং নিরাপদে পরিচালনা করার জন্য সাহায্যকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নিয়োগ বোর্ড এবং সমস্ত জেলা প্রশাসনকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড প্রমোশন বোর্ড (ইউপিপিআরপিবি) পাঁচদিনের মধ্যে ৬৭টি জেলার ১১৭৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজনের এই বিশাল কাজটি পরিচালনা করেছে। গত মাসের ২৩ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিয়োগের পরীক্ষা। যোগী সরকার এক অভূতপূর্ব সমন্বয় এবং নিরাপত্তার মাধ্যমে কাজটি সম্পাদন করেছে।

    ২০১৭ সাল থেকে নিয়োগের পরীক্ষায় বড় রকমের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। অতীতের সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এবারের পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং তা নির্বিঘ্নে করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করেছিল। কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারির (PAC) ৩৫টি কোম্পানি এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ৮টি কোম্পানি সহ ১৯৭৮৫৯ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। এসবের পরেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষার স্বচ্ছতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অন্য মাত্রায়। মোট ১৬৪৪০টি পরীক্ষার কক্ষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল।

    প্রার্থীর আধার যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক ছিল (Uttar Pradesh)

    পরীক্ষার্থীদের (Police Recruitment) পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রার্থীর আধার পরীক্ষা ছিল বাধ্যতামূলক। ৮৫ শতাংশ প্রার্থীর আধার বিবরণ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অবশিষ্ট ১৫ শতাংশের অতিরিক্ত ই-কেওয়াইসি যাচাই করা হয়েছে। প্রতিটি শিফট শুরু হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থীর তথ্য ক্রস-ভেরিফাই করা এবং যাবতীয় তথ্য পরীক্ষার বিষয়টি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কাজগুলি সময় সাপেক্ষ হলেও উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে করা গিয়েছিল। যে কোনও অসঙ্গতি অবিলম্বে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছিল। এমনকী সন্দেহ হলে গ্রেফতারও করা হয়েছে। প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য পরিবহণ কর্পোরেশন বিনামূল্যে বাস পরিষেবাও প্রদান করেছে। একই ভাবে বেশ কয়েকটি জেলায় (Uttar Pradesh) বৈদ্যুতিক বাসে বিনামূল্যে পরীক্ষার্থীদের পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    কী বললেন যোগী?

    রাজ্যের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য জড়িত সকল সরকারি কর্মী এবং বিভিন্ন সংস্থাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “পুলিশ কনস্টেবল সিভিল পদের ৬০ হাজার ২০০টিরও বেশি পদে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য লিখিত পরীক্ষা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। তার জন্য সকল প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এটি উত্তরপ্রদেশে নিরাপত্তা ও সুশাসনের মডেলকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই পরীক্ষার সফল সম্পাদন শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের জন্য নয়, সমগ্র ভারতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। শাসন ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। নতুন পুলিশ কনস্টেবলের মধ্যে ১৫০০০ জনেরও বেশি মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যা রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশা রাখতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “আমরা অশুভ শক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করি”, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আমরা অশুভ শক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করি”, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা অশুভ শক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “তামাম বিশ্বে যখন অশুভ শক্তি মাথা তুলে দাঁড়ায়, তাদের ক্ষয় হতে থাকে। আর তারা যখন ভারতে এসে পৌঁছায়, তখন আমরা তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।”

    ‘বেদসেবক সম্মান সোহলা’ অনুষ্ঠান (Mohan Bhagwat)

    বুধবার ভাগবত যোগ দেন ‘বেদসেবক সম্মান সোহলা’ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সদগুরু গ্রুপ। অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয় ২০০ গুরুজিকে। এই গুরুজিরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় ১৬ মাস ধরে চারটি বেদের অনুষ্ঠান সম্পাদনে অংশ নিয়েছিলেন। সরসঙ্ঘ চালক বলেন, “অশুভ শক্তিগুলি সব সময় সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ থাকে। তাদের কোনও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তবে যাঁরা ন্যায়পরায়ণ, তাঁদের মাঝেমধ্যে একত্রিত হওয়া প্রয়োজন গাইডেন্স ও সাহায্য পাওয়ার জন্য।” তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান অশুভ শক্তি। তাদের ইভিল অ্যাক্টস সর্বত্র ঘটে। এর প্রথম উদাহরণ বাংলাদেশ নয়। প্রথম উদাহরণ হল আমেরিকা।”

    কী বললেন ভাগবত

    ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমি একজন আমেরিকান লেখকের লেখা একটি বই পড়েছি, যার নাম ‘কালচারাল ডেভেলপমেন্ট অফ আমেরিকা’, যেখানে আমেরিকার গত ১০০ বছরে সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রথমে এই অবক্ষয়ের পুনরাবৃত্তি হয় পোল্যান্ডে। আরব বসন্তের সময় তা ছড়িয়ে পড়ে আরব দেশগুলোতে। সম্প্রতি এটি বাংলাদেশে ঘটেছে।”

    আরও পড়ুন: আরজি করের সেমিনার হল লাগোয়া রুম ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ!

    আরএসএস প্রধান বলেন, “যারা বিশ্বকে তাদের দখলে রাখতে চায় এবং বিশ্বাস করে যে তারাই একমাত্র ঠিক – অন্যরা ভুল – তারাই নিজেদের স্বার্থে এই বিভাজনের প্রবণতা প্রচার করে।” তিনি বলেন, “এমন প্রবণতা কোনও একটি জাতিকে বিপর্যয় ও পতনের দিকে নিয়ে যায়। আমাদের এই প্রবণতাগুলির ওপর নজর রাখা উচিত। ইতিহাস দেখায়, এই প্রবণতাগুলি যত বড় হয়, এবং শেষ পর্যন্ত ভারতে পৌঁছায়, তারা এখানে এসে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। কারণ আমরা এই প্রবণতাগুলিকে কীভাবে বশে আনতে হয়, তা জানি।”

    শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে অনাস্থা ও অশ্রদ্ধা বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভাগবত। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আদর্শ রয়েছে। কিন্তু একজন মানুষকে পরিবর্তন করতে হলে তার চারপাশে এমন কারও থাকা প্রয়োজন, যিনি (RSS) তাঁকে পথ দেখাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    অসংশয়ং মহাবাহো মনো দুর্নিগ্রহং চলম্‌ ৷
    অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে ॥
       (গীতা—৬।৩৫)

    তীব্র বৈরাগ্য ও বদ্ধজীব

    তীব্র বৈরাগ্য (Ramakrishna) কাকে বলে, একটি গল্প শোন। এক দেশে অনাবৃষ্টি হয়েছে। চাষীরা সব খানা কেটে দূর থেকে জল আনছে। একজন চাষার খুব রোখ আছে; সে একদিন প্রতিজ্ঞা করলে যতক্ষণ না জল আসে, খানার সঙ্গে আর নদীর সঙ্গে এক হয়, ততক্ষণ খানা খুঁড়ে যাবে। এদিকে স্নান করবার বেলা হল। গৃহিণী মেয়ের হাতে তেল পাঠিয়ে দিল। মেয়ে বললে (Kathamrita), বাবা! বেলা হয়েছে, তেল মেখে নেয়ে ফেল। সে বললে, তুই যা আমার এখন কাজ আছে। বেলা দুই প্রহর একটা হল, তখনও চাষা মাঠে কাজ করছে। স্নান করার নামটি নাই। তার স্ত্রী তখন মাঠে এসে বললে, এখনও নাও নাই কেন? ভাত জুড়িয়ে গেল, তোমার যে সবই বাড়াবাড়ি! না হয় কাল করবে, কি খেয়ে-দেয়েই করবে। গালাগালি দিয়ে চাষা কোদাল হাতে করে তাড়া করলে; আর বললে, তোর আক্কেল নেই? বৃষ্টি হয় নাই। চাষবাস কিছুই হল না, এবার ছেলেপুলে কি খাবে? না খেয়ে সব মারা যাবি! আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, মাঠে আজ জল আনব তবে আজ নাওয়া-খাওয়ার কথা কবো। স্ত্রী গতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল। চাষা সমস্ত দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, সন্ধ্যার সময় খানার সঙ্গে নদীর যোগ করে দিলে। তখন একধারে বসে দেখতে লাগল যে, নদীর জল মাঠে কুলকুল করে আসছে। তার মন তখন শান্ত আর আনন্দে পূর্ণ হল। বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে ডেকে বললে, নে এখন তেল দে আর একটু তামাক সাজ। তারপর নিশ্চিন্ত হয়ে নেয়ে খেয়ে সুখে ভোঁসভোঁস করে নিদ্রা যেতে লাগল! এই রোখ তীব্র বৈরাগ্যের (Ramakrishna) উপমা।

    আর একজন চাষা—সেও মাঠে জল আনছিল। তার স্ত্রী যখন গেল আর বললে (Kathamrita), অনেক বেলা হয়েছে এখন এস, এত বাড়াবাড়িতে কাজ নাই। তখন সে বেশি উচ্চবাচ্য না করে কোদাল রেখে স্ত্রীকে বললে, তুই যখন বলছিস তো চল! (সকলের হাস্য) সে চাষার আর মাঠে জল আনা হল না। এটি মন্দ বৈরাগ্যের উপমা।

    খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mobile Phone: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্ন করে না, জানালো ‘হু’

    Mobile Phone: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্ন করে না, জানালো ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) ব্যবহার ক্যান্সার ডেকে আনে না। অনেক আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে স্বস্তির খবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO)। তাদের দাবি, সারা বিশ্বে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, মোবাইল ফোনের বেশি ব্যবহার মস্তিস্কে ক্যান্সার বৃদ্ধি করেনি। মানব শরীরে আলাদা করে তেমনভাবে প্রভাবও ফেলেনি। এই গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি জার্নালে। ২০১১ সালে আইএআরসি (IARC) রেডিয়েশনকে মানব স্বাস্থ্যেরর জন্য কার্সিনোজেনের তকমা দিয়েছিল। আর এই ঘটনার কারণেই ব্রেন ক্যান্সার এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর গবেষণা, পর্যালোচনা শুরু হয়।

    গবেষণায় কী বলেছে (Mobile Phone)?

    গবেষণায় (WHO) জানা গিয়েছে, সেই সব ব্যক্তিদের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে, যাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইলে (Mobile Phone) কথা বলেন। পেশাগত কারণে গত কয়েক দশক ধরে এই ভাবে মোবাইলে যাঁরা বেশি কথা বলেন, তাঁদেরকে সামনে রেখে তথ্য গ্রহণ করে গবেষণাপত্রটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৩টি গবেষণার প্রতিবেদনকে একত্রিত করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষক দলে ছিলেন ১০টি দেশের মোট ১১ জন বিশেষজ্ঞ। একই ভাবে এই গবেষণা কাজে ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন অথরিটি’ যুক্ত ছিল।

    আরও পড়ুনঃ চিংড়ির মালাইকারি কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, শরীরে নারকেলের প্রভাব কম নয়!

    গবেষকদের বক্তব্য

    গবেষক দলের সদস্য নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মার্ক এলউড বলেন, “বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়েছিল। কোনও ক্ষেত্রেই ক্যান্সার বাড়ার আশঙ্কা দেখা যায়নি। শুধু পরিণতদের ক্ষেত্রেই নয়, কম বয়সিদের শরীরেও মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) রেডিয়েশনের প্রভাব খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রেই বিপদের আশঙ্কা নেই। মস্তিষ্কের ক্যান্সার বা পিটুইটারি গ্ল্যান্ড-স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডে ক্যান্সার কিংবা লিউকেমিয়ার ভয় একেবারেই নেই।” একই ভাবে আরও দুই বিজ্ঞানী সারা লোগার্ন ও কেন কারিপিডিস বলেছেন, “গবেষণার ফালাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। মোবাইল ফোনে খুব সামান্য মাত্রায় রেডিও তরঙ্গ বিকিরণ করে। আর এই বিকিরণ একদম বিপজ্জনক নয়। মানুষের শরীর-স্বাস্থ্যে তার খুব একটা প্রভাব পড়ে না।”

    লো-লেভেল রেডিওওয়েভ

    উল্লেখ্য আগেও একটি সমীক্ষা করেছিল হু (WHO)। সেখানেও রিপোর্টে বলা হয়েছে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ব্যবহারের সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে সেই সময় বলা হয়েছিল, আরও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন। তবে এই বারের গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা আরও জোর দিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মোবাইলের সেফটি লিমিট স্থির করা হয়েছে। এই লিমিটের মধ্যেই খুব লো-লেভেল রেডিওওয়েভ নিঃসরণ করে মোবাইল ফোন। যা খুব একটা প্রভাব ফেলে না বলে দাবি গবেষকদের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share