Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীযুক্ত মনোমোহন ও শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রের বাটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    সুরেন্দ্র দাদা ও সদরওয়ালার পদ—জাতিভেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এইবার সুরেন্দ্রের বাড়িতে আসিয়াছেন। আসিয়া দোতালা বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। সুরেন্দ্রের মোজোভাই সদরওয়ালা, তিনিও উপস্থিত ছিলেন। অনেক ভক্ত ঘরে সমবেত হইয়াছেন। ঠাকুর সুরেন্দ্রের দাদাকে বলিতেছেন (Kathamrita), আপনি জজ, তা বেশ, এটি জানবেন সবই ঈশ্বরের শক্তি। বড় পদ তিনিই দিয়েছেন, তাই হয়েছে। লোকে মনে করে আমরা বড়লোক; ছাদের জল সিংহটা মুখওয়ালা নল দিয়ে পড়ে, মনে হয় সিংহটা মুখ দিয়ে জল বার কচ্ছে। কিন্তু দেখ কোথাকার জল। কোথা আকাশে মেঘ হয়, সেই জল ছাদে পড়েছে, তারপর গড়িয়ে নলে যাচ্ছ; তারপর সিংহের মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে।

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা—মহাশয়, ব্রাহ্ম সমাজের বলে স্ত্রী-স্বাধীনতা; জাতিভেদ উঠিয়ে দাও; এ-সব আপনার কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরের উপর নূতন অনুরাগ হলে ওইরকম হয়। ঝড় এলে ধুলো ওড়ে, কোনটা আমড়া, আর কোনটা তেঁতুলগাছ, কোনটা আমগাছ বোঝা যায় না। ঝড় থেকে গেলে, তখন বোঝা যায়। নবানুরাগের ঝড় থেকে গেলে ক্রমে বোঝা যায় যে, ঈশ্বরই শ্রেয়ঃ নিত্যপদার্থ আর সব অনিত্য। সাধুসঙ্গ তপস্যা না করলে এ-সব ধারণা হয় না! পাখোইয়াজের বোল মুখে বললে (Kathamrita) কি হবে; হাতে আনা বড় কঠিন। শুধু লেকচার দিলে কি হবে; তপস্যা চাই, তবে ধারণা হবে।

    জাতিভেদ? কেবল এক উপায় জাতিভেদ উঠিতে পারে। সেটি ভক্তি। ভক্তের জাতি নাই। অস্পৃশ্য জাত শুদ্ধ হয়—চণ্ডাল ভক্ত হলে আর চণ্ডাল থাকে না! চৈতন্যদেব আচণ্ডালে কোল দিয়েছিলেন।

    ব্রহ্মজ্ঞানীরা হরিনাম করে, খুব ভাল। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে (Kathamrita) তাঁর কৃপা হবে, ঈশ্বরলাভ হবে।

    সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়। এক ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকে। যেমন একঘাটের জল হিন্দুরা খায়; বলে জল; আর-একঘাটে খ্রীষ্টানরা খায়, বলে ওয়াটার; আর-একঘাটে মুসলমানেরা খায়, বলে পানি।”

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা — মহাশয়, থিওজফি কিরূপ বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— শুনেছি নাকি ওতে অলৌকিক শক্তি (Miracles) হয়। দেব মোড়লের বাড়িতে দেখেছিলাম একজন পিশাচসিদ্ধ। পিশাচ কত কি জিনিস এনে দিত। অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়? ঈশ্বর যদি না লাভ হল তাহলে সকলই মিথ্যা!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অনুদান (Durga Puja donation) ফেরত দিল কলকাতার একটি নামী ক্লাব। এর আগে, হুগলির চারটি ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে, এই প্রথম কলকাতার কোনও ক্লাব একই পথে হাঁটল। এই বছর দুর্গাপুজোয় আয়োজক ক্লাবগুলিকে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদানের কোথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Rape-Murder) এবার এই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করল গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’ উদ্যোক্তারা।

    মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর বক্তব্য (RG Kar Rape-Murder)

    গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আরজি কর হাসপাতলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান (Durga Puja donation) করা হচ্ছে। নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য এই সিদ্ধান্ত। পুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা প্রতিবাদ স্বরূপ গ্রহণ করলাম না।’’ একই ভাবে এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিবছর আমরা মা দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আমরা দেখছি বর্তমান তৃণমূল সরকার মাকে নিয়ে আসার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছে, আর বিসর্জনের জন্য ১০ লক্ষ টাকার কথা বলা হচ্ছে। আমরা নির্যাতিতার বিচার চাই। একজন মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

    আমারা সরকারি অর্থে পুজো করব না

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে আগেই উত্তরপাড়ার তিনটি ক্লাব তৃণমূল সরকারের পুজোর অনুদান প্রত্যাখান করেছে। উত্তরপাড়ার মহিলাদের পুজো ‘বৌঠান সঙ্ঘ’,  ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’, ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’— এই তিনটি ক্লাব অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে। তিনটি ক্লাবের বক্তব্য, “আমরা সরকারি অর্থে পুজো করব না। আগে মহিলা চিকিৎসক খুনের ন্যায় বিচার চাই।” ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে চিঠি করা হয়েছে। এরপর কোন্নগরের ক্লাব ‘মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি’ একই পথে হেঁটেছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, “প্রতিবাদের ফলে যদি পরের বছর রাজ্য অনুদান (Durga Puja donation) না দেয়, তাহলেও আমাদের পুজো আটকাবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রীর দায়!

    উল্লেখ্য, রাজ্যে মমতার সরকার প্রতি বছর রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দিয়ে থাকে। আগে টাকার পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বেড়ে হয় ৬০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে অনুদানের পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ৭০ হাজার টাকা। এই বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে সেই অঙ্ক ৮৫ হাজার টাকা করেছেন। একই ভাবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খরচ মকুব করেছেন। প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতলে শিক্ষানবিশ-চিকিৎসককে ধর্ষণ (RG Kar Rape-Murder) করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতা হওয়ায় ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পরেন না, এমনটাই দাবি তুলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে নেমেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করে ভুল প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে! দাবি সিবিআইয়ের, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

    RG Kar: আরজি করে ভুল প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে! দাবি সিবিআইয়ের, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) নিহত তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে একাধিক বেনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার কথা যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের, তাঁরা তা করেননি। বদলে দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন অন্য ফরেন্সিক টিম (যাঁরা ওই কাজের যোগ্য নন!) চিকিৎসক মহলের মতে, সাধারণত ফরেন্সিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরাই মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। তাঁরা পেশায় চিকিৎসক হন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক গবেষকরা। তাঁরা চিকিৎসক নন। কিন্তু, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

    কী বলছে সিবিআই?

    প্রসঙ্গত দেহ থেকে যাঁরা (RG Kar) নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষ বিশেষ ঘটনার ক্ষেত্রে তাঁদের আলাদা আলাদা দক্ষতার প্রয়োজন থাকে। যেমন বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুতে কিছু বিশেষ দিক থাকে, আবার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নমুনা সংগ্রহের আলাদা দিক থাকে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের কথায়, “ঘটনাস্থলে আততায়ীর পায়ের ছাপ এবং হাতের ছাপের নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেমিনার হলে উপস্থিত অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও আইনজীবীদের প্রত্যেকেরই ওই বিষয়ে জানার কথা। তা সত্ত্বেও এমন হল কীভাবে?” জানা গিয়েছে, আরজি করের নিহত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন যে দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তাঁদের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিয়েছে সিবিআই। দু’জনকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে এবং তাঁরা ঠিক কাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তাও জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।

    কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার কথা লিখিতভাবে জানাবে সিবিআই

    এর পাশাপাশি, বেলগাছিয়াতে রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (RG Kar) কর্তাদেরও চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। ওই পরীক্ষাগারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই যোগাযোগ করলেও পরীক্ষাগারে কর্তারা কোনও রকমের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দেয়নি। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আর অভিযোগ, এক্ষেত্রে টালবাহানা এখনও অব্যাহত। সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, “মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহে ধোঁয়াশা রয়েছে। আবার, তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে মামলা দুর্বল করে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।” সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার বিষয়ে লিখিতভাবে তাঁরা জানাবেন।

    প্রথম থেকেই কি প্রমাণ লোপাটের (RG Kar) চেষ্টা শুরু হয়েছিল?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে ঘটনার দিন সেমিনার রুমে থিকথিক করছে ভিড়। সেই সময়ে আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের শিক্ষক চিকিৎসক দেবাশিস সোম সহ আরও অনেক জনই উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যেই দেবাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে সেমিনার রুমে পোস্টিং করা হয়েছিল সকালে, কিন্তু কে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তা খোলসা করেননি দেবাশিস। ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক দেবাশিসের উপস্থিত থাকা নিয়েও দানা বেঁধেছে বিতর্ক। চিকিৎসকদের একটা অংশ বলছে, কোনও ঘটনার তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে হলে সেই বিষয়ে সব থেকে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞই। তাহলে কি প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা শুরু হয়েছিল? কাকে আড়াল করতে? এমন প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দাবি করেছে, সকাল ন’টার পরেই দেহ দেখা গিয়েছিল কিন্তু বাস্তবে যে তেমনটা নয় তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছে সিবিআই। কারণ দেহ উদ্ধারের দিন সাত সকালেই সেমিনার রুমে ভিড়ের সমস্ত প্রমাণ দেখা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কি তবে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)? অন্তত এমনই জল্পনা দানা বেঁধেছে। কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সরকারিভাবে পাকিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে শেহবাজ শরিফের সরকার। জানা গিয়েছে, এ বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। সম্মেলন হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি। এই সম্মেলনেই (SCO Summit) যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।

    কী বলছে পাকিস্তান? (PM Modi)

    পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে সব সদস্য দেশের সরকারকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। ইসলামাবাদে এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর সরকারের প্রধানদের নিয়ে কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের বৈঠক হবে।” এসসিও সম্মেলনে যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, দিন দুই আগেই তা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান অবশ্যই এই আঞ্চলিক বৈঠকে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) আমন্ত্রণ জানাবে।” অক্টোবরের ১৫ ও ১৬ এই দুদিন ধরে সম্মেলন হবে ইসলামাবাদে।

    কী বলছে ভারত?

    গত বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সম্মেলন হয় জুলাই মাসে। সেবার ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তানকে। তার আগে মে মাসে গোয়ায় বৈঠকে বসেন এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। এই বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী বিলওয়াল জারদারি ভুট্টো। ভুট্টো এলেও, এসসিও-র মূল সম্মেলনে আসেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে যান কিনা, সেটাই দেখার। যদিও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে, ‘পাকিস্তানে এসসিও-র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন না। বা বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানে এই এসসিও বৈঠকে যাবে। স্পষ্ট করে দেওয়া ভালো যে, বিদেশমন্ত্রক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এই জাতীয় খবরগুলো উপেক্ষা করা উচিত।’

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৫ জুন প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় এসসিও-র। প্রথমে সদস্য দেশ ছিল পাঁচটি। বর্তমানে সদস্য দেশ ৯টি। এগুলি হল, ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, চিন, রাশিয়া এবং ইরান। ফি বছর একটি করে (PM Modi) দেশ আয়োজন করে সম্মেলনের (SCO Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে চমক, বারাণসীর ধাঁচে দ্বারকাতীরে হবে আরতি

    Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে চমক, বারাণসীর ধাঁচে দ্বারকাতীরে হবে আরতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki Amavasya 2024) তারাপীঠে (Tarapith) ভক্তদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। পুণ্যার্থী, ভক্ত এবং পর্যটকদের জন্য দ্বারকা নদীর পাড়ে বিশেষ গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যার অন্ধকার রাতে দ্বারকার পাড় এবার নতুন করে সেজে উঠবে। এই নিয়ে তারা মায়ের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দিয়েছে।

    আরতির প্রস্তুতি শুরু (Tarapith)

    বীরভূম জেলাশাসক এই আরতির বিষয় নিয়ে তারাপীঠ (Tarapith) উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, এই বছর কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2024) থেকে শুরু হবে দ্বারকার নদীতে আরতি। তাকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। নদীর পাড় বাঁধানোর কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে আরতির জায়গা ঠিক করা হয়েছে। অত্যন্ত তৎপর হয়ে প্রশাসন কাজ করেছে। তবে এতো দিন পর্যন্ত মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর আটলা মন্দির, বীরচন্দ্রপুর ছাড়া আর তেমন কোনও জায়গা ছিল না দেখার মতো। এবার থেকে আরতি একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মন্দির কমিটির বক্তব্য (Kaushiki Amavasya 2024)

    হাতে যেহেতু মাত্র আর কয়েকটা দিন তাই দ্রুত কাজ করছে টিআরডিএ। তারাপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘাট বাঁধানোর কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। শ্মাশান ঘাটে রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের জন্য বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। টাইলস দিয়ে সব কাজে সৌন্দর্যায়ণ চলছে। সেই সঙ্গে লাগানো হয়েছে রঙ্গিন ফুলের গাছ।”

    আরও পড়ুনঃ “সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ এই সব প্রয়োজন, তবে চিত্তশুদ্ধি হয়, তাঁর দর্শন হয়”

    পঞ্চপ্রদীপ হাতে আরতি (Tarapith)

    বারাণসীর মতো দ্বারকাতেও আরতির দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। পঞ্চপ্রদীপ হাতে তারা মায়ের সেবাইতরা প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতি (Kaushiki Amavasya 2024) করবেন। সারা বছর যেমন কাশীর গঙ্গার ঘাটে আরতি হয়, ঠিক সেই ভাবে আরতি করা হবে। তবে ভক্ত, পর্যটক, পুণ্যার্থীদের আগ্রহ এবং উৎসাহকে মাথায় রেখে আগেই কলকাতার গঙ্গাতীরে সন্ধ্যারতি শুরু হয়েছে। এবার তারা মায়ের মন্দিরকে আরও আকর্ষণীয় করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ও পরের দিন বিজেপির ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধে পুলিশি অত্যাচার (Police Atrocities)। এই জোড়া অত্যাচারের প্রতিবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নোটিশ পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। নোটিশ পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন সৌমিত্র। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আরও পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? (Saumitra Khan)

    চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত একটি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় গোটা দেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিবাদের পাশাপাশি ন্যায় বিচারের দাবিও জানানো হচ্ছে। এই কাণ্ডের ফলে রাজ্য সরকারের আসল চেহারা বাইরে বেরিয়ে এসেছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চালিত এক রাজ্যে মহিলারা যে সুরক্ষিত নন, তাও প্রকাশ্যে এসেছে।’ চিঠিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) লিখেছেন, ‘আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের জন্য গত ২৭ অগাস্ট বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক যোগসূত্র ছাড়া সকলে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটছিলেন। পুলিশের (Kolkata Police) তরফে এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।’

    সৌমিত্রদের অভিযোগ

    সৌমিত্রদের (Saumitra Khan) অভিযোগ অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানে ২০০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ (Kolkata Police) তাঁদের ওপর যে নির্যাতন করেছে, তা নৃশংস, নিষ্ঠুর। এতে তাঁদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। মানুষের অধিকারের প্রতি পুলিশের যে অশ্রদ্ধা, নবান্ন অভিযানের ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে পুলিশের অত্যাচারই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তা গুরুতর। সুপ্রিম কোর্টও পর্যবেক্ষণে এটা জানিয়েছে। পুলিশ (Kolkata Police) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (NHRC) ব্যর্থ হয়েছে। তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: এবার থেকে রবিবারেও ছুটবে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো, পুজোর মুখে ঘোষণা কর্তৃপক্ষের

    Kolkata Metro: এবার থেকে রবিবারেও ছুটবে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো, পুজোর মুখে ঘোষণা কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) এবার মিল মিলবে রবিবারও। প্রসঙ্গত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা রবিবার বন্ধ থাকত। তবে এবার রবিবারও ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রবিবারও চলবে মেট্রো। তবে মেট্রোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিষেবা আপাতত পরীক্ষামূলক, তা স্থায়ী হবে কিনা তা নির্ভর করবে যাত্রীদের চাহিদার ওপরেই। প্রসঙ্গত, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) চালু হয়েছে চলতি বছরের ৬ মার্চ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করেন। প্রথম দিন থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে এই পরিষেবা। অন্যান্য রুটের তুলনায় যাত্রীদের চাহিদাও এখানে বেশি। রাস্তার যানজট এড়াতে কলকাতা পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে মেট্রোকেই বেছে নেন বেশিরভাগ যাত্রী। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার রবিবারও মেট্রো চলবে।

    আপ-ডাউন মিলিয়ে চলবে ৬২টি মেট্রো (Kolkata Metro) রবিবার

    মেট্রো তরফ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে রবিবার হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড রুটের আপ এবং ডাউন মিলিয়ে মোট ৬২টি মেট্রো চলবে। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর মিলবে ট্রেন। আরও জানা গিয়েছে, রবিবার হাওড়া ময়দান থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়বে দুপুর ২:১৫ মিনিট নাগাদ। ওই একই সময়ে এসপ্ল্যানেড থেকেও প্রথম মেট্রো ছাড়বে। অন্যদিকে, রাত্রি ৯:৪৫মিনিটে আবারও দুই স্টেশন থেকেই শেষ মেট্রো ট্রেন মিলবে।

    ৪.৮ কিমি রুটের এই মেট্রো (Kolkata Metro) নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ বেশি

    জেলা থেকে প্রতি দিন অসংখ্য মানুষ কলকাতায় আসেন নিজেদের কাজে। তাঁদের যাতায়াতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে গঙ্গার নীচে মেট্রো পরিষেবা। হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন, মহাকরণ এবং ধর্মতলা— মোট চারটি স্টেশনে মেট্রো (Howrah Maidan Esplanade Metro) দাঁড়ায়। এই ৪.৮ কিলোমিটার দূরত্বের রুট নিয়েই যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ সবচেয়ে বেশি। প্রসঙ্গত, গঙ্গার নীচের সুড়ঙ্গপথের দৈর্ঘ্য ৫২০ মিটার, যা অতিক্রম করতে সময় লাগছে ৪৫ সেকেন্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: পড়ুয়াদের বিক্ষোভ! মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দিতে পারলেন না আরজি করের অধ্যাপক

    RG Kar: পড়ুয়াদের বিক্ষোভ! মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দিতে পারলেন না আরজি করের অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছিল মালদা মেডিক্যাল কলেজে। তিনিই ছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়া ‘অভয়া’-র বিভাগীয় প্রধান। ঘটনার পর তাঁকে বদলি করা হয় মালদা মেডিক্যালে। এখানেই কাজে যোগ দিতে এসে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত অভিযোগ থেকে তিনি মুক্ত হচ্ছেন, মালদা মেডিক্যাল কলেজের (Malda Medical College) অধ্যাপক হিসেবে তাঁকে মেনে নেওয়া হবে না। এই ঘটনায় মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পড়ুয়াদের সঙ্গে এ নিয়ে তাঁরা বৈঠকে বসছেন।

    আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, ঠিক দুদিন আগেই মালদা মেডিক্যাল (Malda Medical College) কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবর্জনার স্তুপ নয়। আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের কোনও অধ্যাপককে মালদা মেডিক্যালে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন পড়ুয়ারা। তখনই বোঝা গিয়েছিল আরজি করের ওই অধ্যাপকের কাজে যোগ দেওয়া খুব সহজ হবে না। বৃহস্পতিবার সেই প্রমাণই মিলল।

    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো কাজে যোগ দিতে আসেন ওই অধ্যাপক

    প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর থেকেই হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওই বিভাগীয় প্রধান। সেই মতোই স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কাজে যোগ দিতে এসেই এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হল তাঁকে।

    অধ্যাপককে ঘেরাও

    বৃহস্পতিবারে কাজে যোগ দিতে এসে প্রথমেই অরুনাভ দত্ত চৌধুরী অধ্যক্ষের ঘরের দিকে যান। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা তাঁর পিছু পিছু চলে যায়। সে সময় দেখা যায় যে অধ্যক্ষের ঘরেও অনেক জন অপেক্ষা করছেন। এই সময়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয় অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে ঘিরে ধরে এবং তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, এমন স্লোগান তুলতে থাকেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    কী বলছেন মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ? 

    মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন, ‘‘আজ উনি আমাদের কাছে এসেছেন। জয়েনিং অর্ডার নিয়ে এসে তিনি এই মেডিক্যালে কাজে যোগদান করতে চান বলে জানিয়েছেন। এতক্ষণ আমরা একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমরা বিষয়টি দেখছি। এনিয়ে আমরা পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলব। কথা বলব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। অরুণাভবাবু এখনও কাজে যোগ দেননি ৷ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মাত্র।’’

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির ধর্না কর্মসূচির বিরোধিতা করার কারণে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনা করল মমতার সরকারকে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই ঘটনায় রাজ্যের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্টের মন্তব্য, ‘‘যেখানে ডান হাতে কাজ হয় না, সেখানে আপনারা বাঁ হাত ব্যবহার করেন। আপনাদের পদ্ধতি আমাদের জানা আছে।’’

    শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধর্মতলাতে ধর্না অবস্থান করার অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মামলাতেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল বিজেপির ধর্নার পক্ষেই। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিরোধিতায় বিরক্তি প্রকাশ করে। শাসক দল কর্মসূচি নিলে তখন অসুবিধা হয় না, এমন ইঙ্গিতও বৃহস্পতিবার করা হয়েছে আদালতের (Calcutta High Court) রায়ে। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন যে শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে।

    শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস! বুধবারের কর্মসূচিতে কেন আপত্তি করেনি রাজ্য, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির 

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং সেদিনই শহরে কর্মসূচি পালন করে শাসক দল। বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তৃণমূল নেতৃত্ব। এ নিয়েই সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘বুধবার শহরে চারটি বড় কর্মসূচি হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট কর্মসূচি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপত্তি আসেনি। এক পক্ষ বিচার করলে তো হবে না। উভয় পক্ষই কর্মসূচি করছে।’’ আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গেও রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘একটি ঘটনা নিয়ে মানুষের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করুন। নতুন করে আঘাত দেবেন না, যাতে তা আরও বেড়ে যায়। বিক্ষুব্ধ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর ব্যবস্থা করুন।’’

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Projects: মোদি সরকারের উপহার, নয়া ৩টি রেলপ্রকল্প পেল বাংলা

    Rail Projects: মোদি সরকারের উপহার, নয়া ৩টি রেলপ্রকল্প পেল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার বড় উপহার দিল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাজ্যের জন্য নতুন তিনটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করে। এগুলি হল জামশেদপুর-পুরুলিয়া- আসানসোল (চান্ডিল- আনাড়া-দামোদর) তৃতীয় লাইনের প্রকল্প, বারগড়-নোয়াপাড়া নতুন লাইন প্রকল্প ও সরডেগা-ভালুমুডা ডবল লাইন প্রকল্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্পগুলি (Rail Projects) বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

    এ নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘এর ফলে যেমন একদিকে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা হবে, তেমনি সার্বিকভাবে হাওড়া-মুম্বই এবং হাওড়া-দিল্লি করিডরকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যাবে।’’ পাশাপাশি রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘‘তৃতীয় লাইনের ফলে কার্বন নিঃসরনের পরিমাণ কমবে। সেটা যদি সবুজায়নের নিরিখে বিবেচনা করা যায়, তাহলে তিন কোটি নতুন গাছ বসানোর সমান।’’ এবিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন প্রধানমন্ত্রী (Rail Projects)। লেখেন, এর ফলে উপকৃত হবে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্য ও সহজ হবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ।

    জামশেদপুর-পুরুলিয়া-আসানসোল (চান্ডিল-আনাড়া-দামোদর) তৃতীয় লাইনের প্রকল্প

    এই প্রকল্পের (Rail Projects) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া এবং বর্ধমানে তৃতীয় লাইন তৈরির কাজ চলবে। এর পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলাতেও এই প্রকল্পের কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। মোট ১২১ কিলোমিটার লাইন তৈরি হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ৪২ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে বলেও জানা গিয়েছে। এর ফলে, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যও লাভবান হবে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২,১৭০ কোটি টাকা।

    রেলমন্ত্রীর মতে, ‘‘তৃতীয় লাইনের ফলে যাত্রীদের যেমন যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে, তেমনি পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সুবিধা হতে চলেছে। যেহেতু দুর্গাপুর-আসানসোল-বার্নপুরে শিল্প হাব রয়েছে, তাই সহজে সেখান থেকে পণ্য নিয়ে আসা যাবে। এছাড়া পর্যটকরাও যথেষ্ট লাভবান হবেন। কারণ ওই অংশের মধ্যেই চুরুলিয়া, মাইথন বাঁধ প্রকল্প এবং কল্যানেশ্বরী মন্দিরের মতো জায়গা রয়েছে।’’

    বারগড়-নোয়াপাড়া নতুন লাইন প্রকল্প (Rail Projects)

    ওড়িশার ধানের ভান্ডার বলেই পরিচিত বারগড়। রেলমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই নতুন লাইন তৈরি হওয়ার পরে পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতে সহজেই চাল পাঠানো সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে ২৯২৬ কোটি টাকা।’’

    সরডেগা-ভালুমুডা ডাবল লাইন প্রকল্প

    এই প্রকল্প নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওড়িশার সরডেগা এবং ছত্তিশগড়ের ভালুমুডার মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার ডাবল লাইন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১,৩৬০ কোটি টাকা খরচ হবে। ২৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে। হাওড়া-মুম্বই করিডরের ক্ষেত্রে ঝারসুগুড়া থেকে বিলাসপুর সেকশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সেকশনে (Rail Projects) এই নতুন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share