Tag: news in bengali

news in bengali

  • Sandeshkhali: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    Sandeshkhali: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে বার করে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা। ভুয়ো ভিডিও করতে এসে বিধায়কের সামনে তৃণমূল নেতাকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করলেন প্রতিবাদী মহিলারা। মূলত এলাকাবাসীর অভিযোগ হল, মিথ্যা মামলায় বিজেপির দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ! এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার দুপুরে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীসমর্থকরা। বিক্ষোভে এদিন নেতৃত্ব দেন বসিরহাটের এবারের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ইতিমধ্যে জেলিয়াখালি এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Sandeshkhali)?

    চতুর্থ দফা নির্বাচনের আগের দিনেই ফের শিরোনামে নতুন করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এবং বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সামনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাতান গায়েনকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করলেন গ্রামের মহিলারা। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই ঘটল এমনই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর সন্দেশখালিতে একটি বাড়িতে দিলীপ এবং সুকুমার ছিলেন সকাল থেকেই। খবর পেয়ে সেখানে চড়াও হন মহিলারা। এরপর তৃণমূল নেতাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে এনে পেটান মহিলারা। এদিন মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই পৌঁছে যায় পুলিশ।

    মহিলাদের বক্তব্য

    এদিন এলাকাবাসীর (Sandeshkhali) কয়েকজন মহিলা বলেন, “আমরা বিক্ষোভ করতে এসেছি কারণ আমাদের নামে ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা টাকা খেয়েছি। আমাদের নাকি টাকা দিয়ে পথে নামিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কে আমাদেরকে টাকা দিয়েছে তাকে আমাদের সামনে নিয়ে আসুক। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে আমাদের নামে। পাশাপাশি মহিলারা আরো জানান, আমাদেরকে ঘরছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন। তাই আমরা এদিন রীতিমতো আটক করে রাখি তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কদের।”

    এদিন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “যা হয়েছে, তা কেউ ছড়িয়েছে, তবে কে প্ররোচনা দিয়েছে, তা আমরা জানি না। ঘটনায় কারও প্ররোচনা তো আছেই।”

    আরও পড়ুন: “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”, অভিযোগ সুভাষের

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলিয়াখালি এলাকার বিজেপির তরফ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে, মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। রবিবার আবারো প্রকাশ্যে এসেছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্টিং ভিডিয়োর দ্বিতীয় পর্ব। এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে। প্রথম ভিডিয়োতেই দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে গঙ্গাধর নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। কিন্তু আজ এলাকার মানুষ দাবি করেন, টাকার বিনিময়ে সন্দেশখালির আন্দোলন হয়েছে। ফলে এই নিয়ে প্রতিদিনই ভুয়ো ভিডিয়ো বানাচ্ছে তৃণমূল। এলাকার মানুষের আরও বক্তব্য, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে টাকার বিনিময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভিডিও বানিয়েছেন, যা কয়েকদিনের মধ্যেই আবার প্রকাশ্যে আসবে। এই এলাকার মহিলাদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতেই তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে বলেও এদিন দাবি করা হয়। সাধারণ মানুষের এই অভিযোগকে এদিন তুলে ধরে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ-সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি তুলে থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সিএএ থেকে রামনবমী পালন, রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে পাঁচ গ্যারান্টি প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: সিএএ থেকে রামনবমী পালন, রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে পাঁচ গ্যারান্টি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় চতুর্থ দফা নির্বাচনের আগে লোকসভা ভোটের প্রচারে আবারও রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন অর্জুন সিং। তাঁর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এদিন একটি জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ব্যারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে সভা থেকে ৫ গ্যারান্টি দিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। ভাষণের মাঝে বাংলায় বলে উঠলেন, মোদির গ্যারান্টি হল গ্যারান্টি পূরণের গ্যারান্টি।” তুললেন সিএএ ইস্যুও। তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য, “রাতারাতি সিএএ -কে ভিলেন বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ব্যারাকপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্মরণ করলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও। 

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলায় এসে কী কী গ্যারান্টি দিলেন মোদি (Narendra Modi)

    ১) যতক্ষণ মোদি আছে ভাগবান রামের পুজো কেউ আটকাতে পারবে না। 
    ২) যতক্ষণ মোদি আছে রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় কেউ বদলাতে পারবে না।  
    ৩) যতক্ষণ মোদি আছে কেউ সিএএ আটকাতে পারবে না।
    ৪)যতক্ষণ মোদি আছে ততক্ষণ ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না।  
    ৫) যতক্ষণ মোদি আছে এসসি এসটি ওবিসি সংরক্ষণ কেউ বন্ধ করতে পারেব না। 

    মঞ্চ থেকে ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান’

    রবিবার জনসভা থেকে প্রচারের সুর সপ্তমে চড়ালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।যার আগাগোড়া হিন্দুত্বের বার্তায় ভরা। এদিন মোদি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে রামের নাম নিতে দেয় না তৃণমূল সরকার। রামনবমী উৎসব পালন করতে দেওয়া হয় না। তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস আর বামফ্রন্টও রামনবমীর বিরুদ্ধে। এমন লোকজনদের হাতে এই মহান দেশ তুলে দেওয়া যায় কি?” প্রশ্ন তোলেন মোদি। এরপরেই সভা মঞ্চ থেকে ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান’ তোলেন তিনি।
    বাংলায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন মোদি। ব্যারাকপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাংলায় বরদাস্ত করা হবে না।’ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাংলায় অবস্থান নিয়ে বড় দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তিনি বলেন, “বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। হিন্দুদের তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এঁদের এত বড় সাহস! আদিবাসী, দলিতদের সঙ্গে অন্যায় আমরা মেনে নেব না।”

    এছাড়াও দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণের সময় মোদির মুখে উঠে আসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে, ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) মুখে ফের একবার উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে। আবারও একবার সরাসরি শেখ শাহজাহানের নাম মুখে আনেন নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালিতে মা-বোনের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, সবকিছু জেনেও এখানকার সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ তাঁর। 

    আরও পড়ুন: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন অর্জুন সিং। জয়ীও হয়েছিলেন। যদিও পরে তৃণমূলের ফিরে যান তিনি। কিন্তু এবারের লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে তৃণমূল টিকিট না দেওয়ায় ফের একবার পদ্মশিবিরে যোগ দেন অর্জুন। মোদির আশা, ২০১৯-এর চেয়েও ২০২৪ এ ভালো ফল হবে বারাকপুরে (Barrackpore)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Subhash Sarkar: “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”, অভিযোগ সুভাষের

    Subhash Sarkar: “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”, অভিযোগ সুভাষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইভিএম সম্পর্কে তৃণমূল ভুল বোঝাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে নালিশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। তাঁর দাবি, “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”। কার্যত নির্বাচনে হারার ভয়ে তৃণমূল এই আচরণ করছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। পাল্টা তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

    ঠিক কী বললেন সুভাষ (Subhash Sarkar)?

    রবিবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগ এবং ডামি ভোটার স্লিপ বিতরণ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। তিনি বাঁকুড়া পুরসভা নিয়ন্ত্রিত বাজারে প্রচার কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, “তৃণমূল নিশ্চিত হারবে, আর তাই মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তৃণমূল বলছে আগে ১ নম্বর বোতাম টিপে দেখবেন মেশিন ঠিক আছে কি না, কিন্তু এই কথা অত্যন্ত অন্যায়। তৃণমূল মানুষের মধ্যে ভ্রান্তি তৈরি করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানাবো। ভোটাররা যাকে খুশি ভোট দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “এলাকায় পান চাষের জন্য একটি শেড তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ত্রলাকার তৃণমূল বিধায়ক এই কাজ করতে দেননি। সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকার অনুমোদন দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের অপশাসনে কার্যকর হল না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের নাম রয়েছে ইভিএমে ১ নম্বরে। আর বিজেপির নাম রয়েছে ৪ নম্বরে। সুভাষবাবু (Subhash Sarkar) পাগল হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

    রাজ্যের বিজেপি নেতা হিসাবে সুভাষ সরকার গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ১ লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। পরবর্তী কালে তিনি কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। বাঁকুড়ার রাজনীতিতে সুভাষ সরকার বেশ পরিচিত মুখ। এইবারের নির্বাচনে তিনি নিজের জয় নিয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রচার এলাকায় ব্যাপক জমজমাট।

    আরও পড়ুন: হাইওয়েতে উড়ছে টাকা, টেম্পো থেকে উদ্ধার থরে থরে বিপুল টাকা! চাঞ্চল্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    West Bengal Weather: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে। আবার বাড়বে গরম। নাজেহাল হবে বাংলা। এপ্রিলের শুরু থেকেই অসহ্য গরমে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো প্রতীক্ষায় ছিল মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল গত সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সেই মতোই নামে বৃষ্টি। ফলে তীব্র দহনের পর স্বস্তি এনে দিয়েছিল সেই বৃষ্টি। গত কয়েক দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রায় সর্বত্রই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে একধাক্কায় কমেছে অনেকটা তাপমাত্রা। কিন্তু বৃষ্টির এই স্বস্তি সাময়িক ছিল। আলিপুর আহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামীকাল সোমবার ১৩ মে থেকে আহাওয়ার (West Bengal Weather) কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।  ধীরে ধীরে চড়তে শুরু করবে পারদ। সর্বত্রই তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে নীচেই রয়েছে তাপমাত্রা। বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। 

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? (West Bengal Weather) 

    দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ অংশেই হলুদ সতর্কতা থাকছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রাজ্যের (West Bengal Weather) বাকি জেলাগুলিতেও থাকছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে সেখানে ঝোড়ো হাওয়ার গতি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার থাকবে। তবে কলকাতা (Kolkata Weather), হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে রবিবারের পর আর ঝড়বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
    অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ঝড়বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা। উত্তরবঙ্গে বজ্রপাতের তীব্রতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কোনও কোনও জায়গায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় কিছু কিছু স্থানে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেকারণে ওই জেলাগুলিতে জারি থাকছে হলুদ সতর্কতা।  

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    কলকাতার আবহাওয়া (Kolkata Weather)

    রবিবার সকাল থেকেই কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। যদিও বেলা বাড়লে সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশের দেখা মিলেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বিকেলের দিকে শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইবে। এরপর সোমবার থেকে আবার ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। তবে রবিবারে শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৭ ডিগ্রি কিম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Andhra Pradesh: হাইওয়েতে উড়ছে টাকা, টেম্পো থেকে উদ্ধার থরে থরে বিপুল টাকা! চাঞ্চল্য

    Andhra Pradesh: হাইওয়েতে উড়ছে টাকা, টেম্পো থেকে উদ্ধার থরে থরে বিপুল টাকা! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইরোডে যেন টাকা কুড়ানোর ধুম লেগে গেছে। জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ছোটা হাতি এবং আরেকটি টেম্পোকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় টেম্পো। এবার এই টেম্পো থেকে হাওয়ায় উড়তে থাকে টাকা। পরে পুলিশ এসে টেম্পোর ভিতর থেকে উদ্ধার হয় কয়েক বাক্সে কোটি কোটি টাকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh)।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Andhra Pradesh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর একদিন বাদেই লোকসভার চতুর্থ দফার নির্বাচন, ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। পূর্ব গোদাবরী জেলার একটি সড়ক দুর্ঘটনার জেরে এই কোটি কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে। পুলিশ উল্টে যাওয়া টেম্পো থেকে বাক্সে বন্দি করা থরে থরে টাকা উদ্ধার করে। প্রথমে পথ চলতি মানুষ ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে ওই টেম্পো থেকে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেন। আরও জানা গিয়েছিল গাড়িটি বিজয়ওয়াড়া থেকে বিশাখাপত্তনমের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটলে এই বিপত্তি ঘটে। ইতিমধ্যে গাড়ির চালককে গুরুতর অবস্থায় গোপালপুরম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু টাকার মালিক কে তা এখনও জানা যায়নি।

    আগেও উদ্ধার হয়েছে টাকা

    উল্লেখ্য লোকসভার ভোটে এই ভাবে টাকা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম নয়, আগেও অনেক নগদ অঙ্কের টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই রাজ্য বাংলায় হাওড়া স্টেশন থেকে একাধিক বার রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। আবার দক্ষিণের এই রাজ্যে গত ১০ মে পুলিশ পাইপ বোঝাই একটি ট্রাক থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। অন্ধ্রপ্রেদেশের মোট ২৫ টি লোকসভার আসন। আগামীকাল ১৩ মে এই রাজ্যের নির্বাচন। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “গণতন্ত্রের জন্য আকাশ পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে”, কপ্টারে ভোটকর্মীদের পাঠিয়ে বলল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: “গণতন্ত্রের জন্য আকাশ পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে”, কপ্টারে ভোটকর্মীদের পাঠিয়ে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসবে (Lok Sabha Election 2024) যাতে সবাই শামিল হতে পারেন, তাই হেলিকপ্টারে করে ভোট কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বুথে। এ ছবি ঝাড়খণ্ডের মাও অধ্যুষিত সিংভূমের। ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন ১৩ মে, সোমবার। এমতাবস্থায় ভোটকর্মীদের বুথে পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও ট্রেনে করে, কোথাও আবার হেলিকপ্টারে করে ভোটকর্মীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বুথে।

    বিশেষ ব্যবস্থা (Lok Sabha Election 2024)

    পশ্চিম সিংভূমের ডেপুটি কমিশনার কুলদীপ চৌধুরী বলেন, “শনিবার চক্রধরপুর থেকে রৌরকেল্লায় একটি বিশেষ ট্রেনে করে মোট ৯৫টি পোলিং টিমকে পাঠানো হয়েছিল। মনোহরপুর, জারাইকেলা এবং পোসাইতা স্টেশনে পৌঁছে তাঁরা গাড়ি ধরবেন এবং পায়ে হেঁটে নির্দিষ্ট বুথে পৌঁছবেন।” তিনি জানান, ৭৮টি পোলিং পার্টিকে পাঠানো হয়েছে হেলিকপ্টারে করে। কুলদীপ বলেন, “মাও-অধ্যুষিত এলাকায় তাঁদের পৌঁছে দিতে তিনটি চপারও কাজে লাগানো হয়েছে। মনোহরপুর ও জগন্নাথপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় এভাবেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পোলিং স্টাফদের।” তিনি (Lok Sabha Election 2024) বলেন, “অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে আমরা ইভিএমগুলির ওপর লাইভ ট্র্যাকিং করছি। জিপিএস-যুক্ত যানবাহনের মাধ্যমে পোলিং পার্টিদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।” তিনি জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চক্রধরপুরে পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফ এবং সিএপিএফের জওয়ানরা।

    কী বলছে কমিশন?

    এদিকে, এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে নির্বাচন কমিশনের তরফে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পোলিং পার্টি ও ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে ট্রেনে করে। লেখা হয়েছে, “আমরা প্রস্তুত! আপনিও কি প্রস্তুত। ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমের পোলিং পার্টিকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানো হচ্ছে বিশেষ ট্রেনে করে। গণতন্ত্রের জন্য আকাশপথেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পোলিং পার্টিরা ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছচ্ছেন। প্রতিটি ভোট যাতে বাক্সে পড়ে, তাই এই ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, একজন ভোটারও যাতে বাদ না পড়েন, সেজন্য আমরা দায়বদ্ধ। আমরা এমন অনেক জায়গা চিহ্নিত করেছি, যেসব জায়গায় এবারই প্রথম ভোট হচ্ছে। কোথাও আবার ভোট হচ্ছে দু’দশক পরে। কারণ এই সব এলাকায় এক (Lok Sabha Election 2024) সময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল মাওবাদীরা।”

    আরও পড়ুুন: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Bribhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বোলপুরের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা। অনুব্রত জেলবন্দি থাকলেও পুলিশের নিরাপত্তাতেই রয়েছে দাপুটে এই তৃণমূল নেতার বাড়ি। কিন্তু তার মধ্যেই শনিবার সকালে দেখা গেল অন্য ছবি। পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেও অনুব্রতর বাড়ির ছাদে উড়ল গেরুয়া পতাকা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। 

    কে লাগাল পতাকা? (Anubrata Mondal)

    এক বছরের বেশির সময় বোলপুরের এই বাড়িতে নেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। তিহাড় জেলে বন্দি তারা। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তবে কে লাগাল পতাকা? আগে একটা সময় ওই বাড়ির নীচে লাইন পড়ত মানুষের। এখন ফাঁকা পড়ে বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীরাই পাহারা দেন। মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজনরা আসেন। এছাড়া বাড়ির কাজের লোকেরাও মাঝে মধ্যে এসে ঘর পরিষ্কার করেন। তা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই ওই বাড়িতে। বেশিরভাগ সময়েই তালবন্ধই হয়ে পড়ে থাকে। তালে  ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা ছাদের মাথায় কে লাগিয়ে গেল তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। নিরপত্তারক্ষীরাও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।    
    সম্প্রতি বীরভূমে (Bribhum) ভোট প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেষ্ট (Anubrata Mondal) ও তার মেয়েকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যাতে সে তৃণমূল করতে না পারে…আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোটের পর ওদের ছেড়ে দেবে।”

     বিরোধীদের দাবি

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধীদের দাবি, বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় বোঝাপড়া রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারই প্রকাশ হল ছাদের পতাকায়। বীরভূম (Bribhum) সিপিএম এর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “ওদের সম্মতিতে এটা ঘটেছে। আমার কাছে যা খবর আছে তাতে মনে হয় ওদের পরিবারের লোকেরা তলে তলে বিজেপি করছে। এখন তৃণমূলের যা অবস্থান তাতে রাম নবমীর পতাকা ওরাই ঝোলাবে। আগে থেকে সবাই বুঝতে পারছেন যে, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই বেরোনোর ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরাও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) যদি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেরিয়ে আসেন, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগেই বোলপুর এসে অধীর চৌধুরী বলে গিয়েছিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেল থেকে বের হতে গেলে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরোতে হবে। ফলে সে রকম কোনও ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

    আরও পড়ুন: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    যদিও  এপ্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। ফলে তাঁর বাড়িতে যদি জয় শ্রীরামের পতাকা ওড়ে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর রাম তো কারও একার নয়, বাড়িতে রামের পতাকা ঝুলবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী

    Yogi Adityanath: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই নির্বাচন রাম ভক্ত বনাম রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে পছন্দ করে নেওয়ার নির্বাচন।” শনিবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় থাকা নেতা যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে তিনি ‘রাম-দ্রোহী’ বলে দেগে দিলেন। তাঁর অভিযোগ, গো-হত্যাকারীদের মদত দিয়ে দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করতে চায় তারা। তারা মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করতে চায়।

    কী বললেন যোগী? (Yogi Adityanath)

    বিহারের বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন যোগী। সেখানেই তিনি বলেন, “যে নির্বাচন চলছে, সেখানে আপনাদের হয় বেছে নিতে হবে রাম ভক্তদের নয়ত রাম-দ্রোহীদের।” এর পরেই তিনি স্লোগান দেন, “যো রাম কো লায়া হ্যাঁয়, হম উনকো লায়া হ্যাঁয় (যিনি রামকে নিয়ে এসেছেন, আমরা তাঁকে নিয়ে আসব)।” উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, “আমি প্রভু রামের দেশ থেকে এসেছি। আমি জানি, বিহারের বাসিন্দাদের হৃদয়ে অযোধ্যার জন্য একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে। কারণ সীতাদেবী জন্মেছিলেন এখানেই।” সমাজবাদী পার্টির (ইন্ডিয়া ব্লকের শরিক) নাম না নিয়েই যোগী বলেন, “রাম-দ্রোহীদের মধ্যে রয়েছে তারাও, যারা রামভক্তদের গুলি করেছিল। এরাই আবার মাফিয়া ডনের মৃত্যুতে কান্নাকাটি করে।”

    কংগ্রেস-সপাকে নিশানা

    প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে অযোধ্যায় করসেবকদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। সেই সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব। সরাসরি না বলে এদিন এই ঘটনারই উল্লেখ করেন যোগী। বিহারে এনডিএ ক্ষমতায় আসার আগে আইন-শঙ্খলার অবনতির জন্য আরজেডি-কংগ্রেসকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, “ওরা দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার একটা পরিকল্পনা করে এসেছিল। মুসলমানদের জন্য সংক্ষরণ করতে চেয়েছিল। বাবা সাহেব অম্বেডকরের(সংবিধান রচয়িতা) সঙ্গে প্রতারণা করেই ওরা এটা করতে চেয়েছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “সংরক্ষণের কোটা যদি ভাগ হয়ে যায় তবে আমাদের দলিত এবং ওবিসিদের কী হবে?” কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন সাচার কমিটি গড়ে এসব করার ষড়যন্ত্র করেছিল বলেও দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath)।

    আরও পড়ুুন: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kalyan Banerjee: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট

    Kalyan Banerjee: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের তিনবারের সংসদ এবং হেভি ওয়েট নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerje)। আগে একবার বিধায়কও ছিলেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। হুগলির শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের এই বারের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই মেয়ের প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোস। অপরে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের প্রার্থী দিপ্সীতা ধর। নিজের মনোনয়ন জমা করে এদিন কল্যাণ নিজের হলফ নামায় সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন।

    সম্পত্তির পরিমাণ কত(Kalyan Banerje)?

    বছর সাতষট্টীর এই আইনজীবী তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ নিজের হলফ নামায় জানিয়েছেন ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের হিসেব জানিয়েছেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৬৬ টাকা। তার আগের অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ এ তাঁর আয় ছিল ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৪ টাকা। তিনি ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ১২৩ টাকা আয় করেছিলেন ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ২ কোটি ১২ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬৯ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তিনি ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮২০ টাকা আয় করেছিলেন।

    স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ কত?

    কল্যাণ নিজের হলফ নামায় স্ত্রী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের হিসাবে জানিয়েছেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর স্ত্রীর আয় ছিল ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয় ছিল ২ লক্ষ  ৮৮ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫০ টাকা আয় করেছিলেন ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের অর্থবর্ষে ২০১৯-২০ তে তাঁর আয় ছিল ২ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫৪ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২০ টাকা আয় করেছিলেন ছবিদেবী। মনোনয়ন পেশ করার সময় কল্যাণের (Kalyan Banerje) হাতে নগদ ছিল ৫০ হাজার টাকা। একাধিক ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একই ভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

    রয়েছে দুটি গাড়ি

    হলফ নামায় কল্যাণ (Kaylan Banerje) জানিয়েছেন তাঁর দুটি গাড়ি রয়েছে। একটি গাড়ি ২০২১ সালে ২২ লক্ষ ৬৭ হাজার দিয়ে কিনেছেন। অপর আরেকটি গাড়ি ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। তাঁর কাছে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা রয়েছে। স্ত্রীর কাছে রয়েছে ২৪ লক্ষ টাকার সোনা। তাঁর বাড়িতে আইনজীবী পেশার কারণে ১ কোটি টাকার বই রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ২৪ কোটি ২০ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৩৫ টাকা। স্ত্রীর কাছে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ রয়েছে ২ কোটি ৭১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫৩৬ টাকা। এছড়াও কালীঘাটে, দিল্লি এবং শ্রীরামপুরে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। তিনি ১৯৭৫ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম পাশ করেছিলেন। এরপর ১৯৭৯ সালে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি পাশ করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

    Amit Shah: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পঁচাত্তর বছর বয়সের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন নরেন্দ্র মোদি।” শনিবার এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথা ঘোষণা করলেন মোদির সেনাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “আমি অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ইন্ডিয়া ব্লককে বলতে চাই যে, বিজেপির সংবিধানে এই জাতীয় কিছুরই (নির্দিষ্ট বয়সসীমা) উল্লেখ নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিই মেয়াদ শেষ করবেন। আগামিদিনেও তিনিই দেশকে নেতত্ব দেবেন। বিজেপির মধ্যে এনিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই।”

    আগামী বছর ৭৫ মোদি (Amit Shah)

    আগামী বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পাঁচাত্তর বছরে পা দেবেন মোদি। তারপর কি তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন? মোদির পরে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? অমিত শাহ? (Amit Shah) শনিবার এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে কেজরিওয়াল হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রাজনৈতিক মহলে। এদিনের জনসভায় কেজরির সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন শাহ। দিল্লি আবগারি মামলায় ২১ মার্চ গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পঞ্চাশ দিন পর অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পেয়েছেন শুক্রবার।

    আরও পড়ুুন: স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর, পুলিশের গুলিতে নিহত ২

    কী বললেন কেজরিওয়াল?

    শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে পদ্ম-পার্টিকেই নিশানা করেন কেজরিওয়াল। বলেন, “ওরা (বিজেপি) প্রশ্ন করছে, বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুখ কে? আমি বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? আগামী বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পঁচাত্তরে পা দেবেন মোদিজি। ২০১৪ সালে তিনি নিজেই নিয়ম করেছিলেন যে পঁচাত্তর বছর বয়সী ব্যক্তিদের অবসর দেবেন। সেই মতো লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, সুমিত্রা মহাজনেরা অবসর নিয়েছিলেন।” আপ সুপ্রিমো আরও বলেন, “তিনি আগামী বছর অবসর নেবেন। তিনি অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য ভোট চাইছেন। শাহ কি মোদিজির গ্যারান্টি পূরণ করবেন?” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই সব প্রশ্নের জবাবই শাহ দিলেন এদিনের জনসভায়। জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন মোদিই। শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভবিষ্যতেও দেশকে নেতৃত্ব দেবেন মোদি। এনিয়ে বিজেপির মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share