Tag: news in bengali

news in bengali

  • Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষে রক্ত ঝরল জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভা এলাকায়। বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুরের গণকর এলাকার। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ হামলাকারী তৃণমূলীদের গ্রেফতারের দাবিতে রঘুনাথগঞ্জের দাদা ঠাকুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। সেই অবরোধে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে।

    বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায় তৃণমূল (Jangipur)

    মঙ্গলবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই ধনঞ্জয় ঘোষের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা বুথের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিজেপি প্রার্থী তাঁর প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে একাধিক জায়গায়। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরের গণকর ২৬৮ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয় তৃণমূলের লোকজন। চোখের সামনে দলীয় এজেন্টকে মারতে দেখেই বিজেপি কর্মী অশোক কর্মকার বুথের মধ্যেই ছুটে যান। বিজেপি কর্মী অশোকবাবু বলেন, আমার অপরাধ আমার দলের এজেন্টকে আমি বাঁচাতে গেছি। এরপরে ওরা বুথ থেকে আমাকে তাড়া করে। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেঠায়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। তৃণমূল বুথে ভোট লুট করেছে। আমরা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    পুলিশ বিজেপির অবরোধে লাঠিচার্জ করে

    বিজেপি প্রার্থী (Jangipur) ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, পুলিশ দলদাস হিসেবে কাজ করছে। বুথের মধ্যেই আমাদের দলের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে। দলীয় কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।  পুলিশ আমাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি। এই ধরনের অন্যায় মেনে নেয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে দেদার ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার খড়গ্রাম ব্লকের পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোপীনাথপুর গ্রামের ৩৯ নম্বর বুথে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jangipur)

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে উত্তর গোপীনাথপুরের (Jangipur) ৩৯ নম্বর বুথে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। এদিন দুপুরেব দিকে এই বুথের কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোট করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বুথের কংগ্রেসের এজেন্ট আবুল বাসারের বলেন, বেলা বারোটা নাগাদ আমাকে তৃণমূলের কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। পরে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি প্রাণভয়ে ওই বুথ ছেড়ে বেরিয়ে আসি। তারপরই তৃণমূল দেদার ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে। যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আবসার সেখ বলেন, এখানে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সমস্ত দলেরই এজেন্ট বুথের মধ্যে আছেন। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কারণ, এখানে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। মিথ্যা অভিযোগ করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন।

    আরও পড়ুন: ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! পুলিশ আধিকারিককে ধমক দিলেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিতে যাওয়ায় হামলা তৃণমূলের

    সামশেরগঞ্জের (Jangipur) যোতকাশী গ্রামে ১২৫ নম্বর বুথে কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের যোতকাশী গ্রামে সোমবার রাতে তৃণমূলের লোকজন বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিয়ে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসে। সেই হুমকি উপেক্ষা করে মইদুল সেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ইব্রাহিম সেখ ও রেজাউল হক নামে দুই তৃণমূল কর্মী প্রথমে ভোট দিতে বাধা দেয়। কংগ্রেস কর্মী আপত্তি জানালে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলার জেরে কংগ্রেস কর্মীর পা ভেঙে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নিয়ে এসে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।                                                      

  • Arvind Kejriwal Bail: “জামিন হলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না”, কেজরিওয়ালকে সুপ্রিম নির্দেশ

    Arvind Kejriwal Bail: “জামিন হলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না”, কেজরিওয়ালকে সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে আপ প্রধান। আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) ধৃত অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিনের (Arvind Kejriwal Bail) আর্জি মঞ্জুর করল না দেশের শীর্ষ আদালত। নয় নয় করে টানা ৪৭ দিন ধরে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে শুনানি করলেও, মঙ্গলবার কোনও রায় দিল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল না। 

    বিচারপতির মন্তব্য 

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গ্রেফতাররি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। ধৃত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেই আবেদন মামলায় (Arvind Kejriwal Bail) ইডির কাছে এবার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আম আদমি পার্টির প্রধানের দায়ের করা মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয়, মঙ্গলবার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। একই সঙ্গে বেঞ্চ ইডিকে বলে, “কারও জীবনের অধিকার থেকে আপনি বঞ্চিত করতে পারেন না।” শীর্ষ আদালত আরও বলে, কেজরিওয়াল এক জন মুখ্যমন্ত্রী। যদি কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়, তা হলেও তিনি কোনও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না।    

    কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা ইডির (Arvind Kejriwal Bail) 

    এর আগে, গত সপ্তাহে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার ইঙ্গিত দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার শুাননি শুরু হলে ইডির সঙ্গে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে আদালতে। কেজরিওয়ালের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে ইডি। শেষ পর্যন্ত আদালত জানায়, বৃহস্পতিবার অথবা আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে, তাতে জামিন পেতেও পারেন কেজরিওয়াল, আবার নাও পেতে পারেন। জামিন পেলে কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে হবে, তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না বলেও জানায় শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    উল্লেখ্য আগামী ৯ মে এই মামলা (Arvind Kejriwal Bail) নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীনই আবার এদিন ২০ মে পর্যন্ত কেজরিওয়ালের হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে দিল্লির রাউস এভেনিউ কোর্ট।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরেছে চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস। সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে সে দেশে। ক্ষমতায় আবারও এসেছে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একদা (India Maldives Relation) ‘পরমমিত্র’ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের নয়া সরকারের সম্পর্ক কী হবে? বিশেষত মুইজ্জুর চিন-প্রেমের পাশাপাশি ভারত-বিরোধিতা যেখানে জলের মতো স্পষ্ট।

    মলদ্বীপে নির্বাচন (India Maldives Relation)

    মুইজ্জুর সঙ্গে পিপলস মজলিশের দ্বন্দ্বের মধ্যেই মলদ্বীপে হয়েছে নির্বাচন। যার জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে তাঁর মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের নিয়োগ। তা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে জিতে ফের মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। ধরাশায়ী হয়েছে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি। উনিশের সাধারণ নির্বাচনে যে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি, প্রায় সেরকমই জনসমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। মুইজ্জুর দল যেখানে চিনপন্থী, সেখানে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি তাদের ভারত-প্রেমের জন্য জনপ্রিয় সে দেশে। মুইজ্জুর সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। ঘনিষ্ঠ হতে থাকে ড্রাগনের দেশের সঙ্গে। ভারতের পরিবর্তে চিনের অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রত্যাশী হয় মুইজ্জু সরকার। তবুও মলদ্বীপ সরাসরি ভারতের বিরোধিতা করতে পারেনি। কারণ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের রয়েছে ভৌগোলিক নৈকট্য।

    ভোট-বৈতরণী পার মুইজ্জুর দলের

    মনোহর পরিক্কর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের রিসার্চ ফেলো স্মূর্তি পট্টনায়েক বলেন, “যে নেতাই ক্ষমতায় আসুন না কেন, তাঁকে প্র্যাগমেটিক (বাস্তবপন্থী) হতেই হবে।” দক্ষিণ এশিয় এই বিশেষজ্ঞ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের বক্তৃতাগুলি ছিল আলাদা আলাদা।” গত নির্বাচনেই প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। ভারত-বিরোধিতাকেই হাতিয়ার করে তার দল পার হয়েছিল ভোট-বৈতরণী। প্রচার করতে গিয়ে তিনি জোর দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানে। ভারতের যে কয়েকজন সেনা জওয়ান মলদ্বীপে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁদেরও দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তোলেন। ভারতীয় এই সেনার সংখ্যাটা একশোরও কম। ভারত-বিরোধী হাওয়া জোরালো করে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন মুইজ্জু। তার পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় সে দেশে থাকা ভারতীয় জওয়ানদের।

    ভারত-মলদ্বীপ মন কষাকষি

    গত ডিসেম্বরে ভারতের সঙ্গে জলভাগের মানচিত্র চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৮ জুন, মোদির মলদ্বীপ সফরের সময়। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বলার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে চিনা জলযানকে রিসার্চ ওয়ার্কের জন্য নিজেদের জলসীমায় প্রবেশ করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মুইজ্জু সরকার। চিনের এই চর জাহাজ যাতে মলদ্বীপের জলসীমায় না ঢোকে সে জন্য নানাভাবে মুইজ্জু প্রশাসনকে চাপ দিতে থাকে ভারত। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে যাতে চিনের ওই গুপ্তচর জাহাজ (যাকে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত জাহাজ বলে দাবি করছে চিন) যাতে না নোঙর করে, সেজন্য নয়াদিল্লির তরফে অব্যাহত হতে থাকে মুইজ্জু প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। তা সত্ত্বেও ভারত মহাসাগরে মলদ্বীপের জলসীমানয় নোঙর করেছিল ওই চিনা চর জাহাজ।

    ভারতের নীতির পথে চিন কাঁটা

    ভারত-মলদ্বীপের এসব মন কষাকষির মধ্যেই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো প্রকাশ্যে চলে আসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য। পরে আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন সে দেশের মুইজ্জু সরকারের বরখাস্ত হওয়া এক মন্ত্রী। এসবের জেরেই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা পরিণত হয়েছে গভীর ফাটলে। অথচ নয়াদিল্লির ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’ অনুযায়ী ভারতের কাছে মলদ্বীপের গুরুত্ব কম নয়। কারণ ভারত মহাসাগরে এই দেশটির অবস্থান। ভারতের (India Maldives Relation) সঙ্গে মলদ্বীপের এথনিক, লিঙ্গুইসটিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং বাণিজ্যিক বিষয়-আশয় আদান-প্রদান হয়। সেই কারণেই ভারত বরাবর মলদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। মুইজ্জু প্রশাসনের ভারত-বিরোধিতার মাঝেও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চালিয়ে মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতের এই প্রচেষ্টায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অত্যধিক চিন-প্রীতি।

    আরও পড়ুুন: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    ভারত মহাসাগরের একটি দেশ হওয়ায় মলদ্বীপকে যতটা প্রয়োজন ভারতের, দ্বীপরাষ্ট্রেরও তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ভারতকে। সেই কারণেই তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নিতে পারছে না মুইজ্জু প্রশাসন। এর একটা কারণ যদি হয়, ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের ভৌগোলিক দূরত্ব, তবে অন্য কারণটি অবশ্যই পর্যটনগত। চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের যা দূরত্ব, তার চেয়ে ঢের কম ভারতের সঙ্গে দূরত্ব। তাছাড়া, পর্যটন শিল্প নির্ভর দেশ মলদ্বীপ। প্রতি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপে বেড়াতে আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। তাই ভারতকে সমঝে চলাই দস্তুর বলে মনে করে মলদ্বীপ প্রশাসন। সর্বোপরি, মলদ্বীপ প্রশাসনের মাথার ওপর রয়েছে বিপুল দেনার বোঝা। ২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতকে ৪০০.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ফেরানোর কথা ছিল মুইজ্জু সরকারের। বছর পেরিয়ে গিয়ে নতুন বছরের মাঝামাঝি হতে চলল, সে ঋণ শোধ করেনি মালে (মলদ্বীপের রাজধানী)। এসবের জেরেই মলদ্বীপ প্রশাসনের পক্ষে তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। তাই ভারতের মুখেপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই মুইজ্জু সরকারের সামনে (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোথাও আবার বুথ থেকে ভোটারদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এসবই অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন ভোট দিতে না পারা ভোটাররা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার নদিয়ার করিমপুর বিধানসভার থানারপাড়া থানার শুভরাজপুর এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার মধ্যে নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা পড়ে। এই বিধানসভার শুভরাজপুর এলাকায় এদিন সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে, বুথের আগে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করে রেখেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের একটি বড় অংশ বিরোধী সমর্থক। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে ভোট লুট করতে পারছে না তৃণমূল। তাই, বুথে যাওয়ার মুখে তৃণমূল জমায়েত করে রেখেছে। কেউ ভোট দিতে গেলেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখাচ্ছে। ফলে, আমরা কেউ ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারছি না। এক ভোটার বলেন, ৩৫ নম্বর বুথে আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল। আমি বুথে গেলে বলা হয়, ভোট হয়ে গিয়েছে চলে যা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কেউ কিছু করল না। আমি ভোট না দিয়ে বুথ থেকে ফিরে এসেছি। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে আমরা ভোট দিতে পারিনি।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    সাগরপাড়া বুথে ভুয়ো ভোটার!

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানার রওশননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭২ নম্বর বুথের ভেতরেই চলল তুমুল উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এক ভুয়ো ভোটার বুথে আসেন। তাঁর ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় সিপিএম এজেন্ট আপত্তি জানান। এরপরই তৃণমূলের এজেন্ট সহ কর্মীরা তাঁকে বুথের ভিতরের মারধর করে বলে অভিযোগ। গন্ডগোলের কারণে ভোটদান কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tata Electronics: বেঙ্গালুরু থেকে সেমিকন্ডাক্টর চিপের নমুনা রফতানি শুরু টাটা ইলেকট্রনিক্সের

    Tata Electronics: বেঙ্গালুরু থেকে সেমিকন্ডাক্টর চিপের নমুনা রফতানি শুরু টাটা ইলেকট্রনিক্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্বল্প বিনিয়োগে সেমিকন্ডাক্টর চিপ রফতানি শুরু হল ভারতেরই একটি শহর থেকে। বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত টাটা ইলেকট্রনিক্স (Tata Electronics)-এর কারখানা থেকে বের হল এই সেমিকন্ডাক্টর চিপ। যা বিদেশে পাড়ি দিল। টাটা ইলেকট্রনিক্সের এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সেমিকন্ডাক্টর চিপ উপাদানের জন্য ভারতের ক্ষমতাকে উন্নত করছে। এই সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলি (semiconductor chip) টাটা ইলেকট্রনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে অবস্থিত একটি পাইলট উৎপাদন লাইনে প্যাকেজ করা হচ্ছে।   

    কোন কোন দেশে রফতানি হচ্ছে? 

    এই চিপগুলি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপের মত নানান দেশে রফতানি করা হচ্ছে। মূলত এই সব দেশের টাটা ইলেকট্রনিক্সের কিছু অংশীদারের কাছে সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলি পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে বাইরের দেশে চিপ গুলি পাঠিয়ে টাটা ইলেকট্রনিক্সের (Tata Electronics)  গ্রাহকদের বেস সমপ্রসারিত করছে। তবে এই পণ্যগুলির মধ্যে কিছু এখনও পাইলট পরীক্ষা চলছে।

    ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে শীর্ষে টাটা 

    টাটা বর্তমানে ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন (PSMC)-এর সাথে অংশীদারিত্বে টাটা গ্রুপ (Tata Electronics) দ্বারা স্থাপন করা দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবকে অনুমোদন করেছে ৷ বর্তমানে কোম্পানিটি ২৮এনএম (ন্যানোমিটার), ৪০এনএম, ৫৫এনএম, এবং ৬৫এনএম সহ বিভিন্ন আকারের সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলির (semiconductor chip) জন্য ডিজাইন প্রস্তুতের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একটি সফল টেপ-আউট অর্জন করার আগে, উন্নয়নের বিভিন্ন রাউন্ড আছে। অতএব, এই পণ্যগুলির মধ্যে কিছু গবেষণা এবং উন্নয়নের উন্নত পর্যায়ে থাকবে। পরীক্ষা এবং আরও বর্ধিতকরণের জন্য প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করতে তাদের নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হবে। ফলে বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন ২০২৭ সালের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।  

    আরও পড়ুন:রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    উল্লেখ্য টাটা (Tata Electronics) সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলির কারখানায় দৈনিক ৪.৮ কোটি চিপ তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে নতুন ব্যবসায় টাটা সন্স বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের নজরে সেমিকন্ডাক্টর, প্রতিরক্ষা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং এয়ার ইন্ডিয়া, অর্থাৎ বিমান পরিষেবাও রয়েছে। আগামী বছরগুলিতে এই চার ক্ষেত্রে সংস্থাটির মোট বিনিয়োগের অঙ্ক ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাপিয়ে যাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আর ২০২৭ সালের মধ্যে নতুন ব্যবসার বিস্তারে প্রায় ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলেই প্রাথমিক অনুমান। এর সিংহভাগ সেমিকন্ডাক্টর এবং এয়ার ইন্ডিয়ার মতো যে ক্ষেত্রগুলিতে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন সেই খাতে ব্যয় করা হবে। যা এখন পর্যন্ত ঘরোয়া বাজারে সংস্থাটির সব থেকে বেশি বিনিয়োগ হতে চলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Malda: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    Malda: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা (Malda) উত্তরের হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রামপঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ ১২২ নম্বর বুথ। সাড়ে তেরোশো ভোটার। বুথের মধ্যে ছিল সমস্ত আয়োজন। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে প্রিসাইডিং অফিসার সকলেই উপস্থিত। কিন্তু, যাদের জন্য এত আয়োজন, সেই ভোটাররা কেউ বুথ মুখী হননি। তবে, বুথের কাছে পোস্টার হাতে একাধিক দাবি নিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন ভোটাররা। বিকাল ৪ পর্যন্ত ওই বুথে একটি ভোটও পড়েনি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে।

    ভোট না দিয়ে অবস্থানে ভোটাররা (Malda)

    রাজ্যে জুড়ে ভোটের আগে ভোট বয়কট করার অভিযোগ অনেক শোনা যায়। পরে, ভোটারদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, মালদা উত্তরের (Malda) হবিবপুরের মঙ্গলপুরার ১২২ নম্বর বুথের ঘটনাটি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, এই বুথের বাসিন্দারা আগাম ভোট বয়কট করার কথা ঘোষণা করেননি। তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের কাছে রেখেছিলেন। কিন্তু, সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় এদিন বুথে গিয়ে ভোট না দেওয়ার সকলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, কেউ বাড়ির মধ্যে ছিলেন না। বাড়ির মহিলারা সকাল থেকে বুথের বাইরে বিভিন্ন দাবি দাওয়ার পোস্টার হাতে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ আধিকারিক থেকে প্রশাসনের আধিকারিক সকলেই বহু চেষ্টা করার পরও ভোটারদের ভোটদানে ব্যবস্থা করতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের (Malda) বক্তব্য, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নেই। এলাকায় নেই কোনও ব্রিজ। ফলে, বাসিন্দাদের চরম নাকাল হতে হয়। বহুবার প্রশাসনের কাছে দরবার করা হয়েছে। দিনের পর দিন ভোটের প্রচারে এসে নেতারা আশ্বাস দেন, সব উন্নয়ন হয়ে যাবে। অথচ ভোট মিটলে কারও দেখাটুকু মেলে না। কথা শোনার কেউ থাকে না আর। তাই  আমরা এদিন ভোট দেওয়ার পরিবর্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছি। আমরা দাবি আদায়ের জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। আগে আমাদের দাবি পূরণ করে দিলে আমরা এই আন্দোলন করতাম না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti)। আপামর বাঙালির কাছে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এবছর ভোটের আবহের মধ্যেই পড়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। আর সেই কারনেই এবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও রাশ টানল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকতে পারবেন না বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। কেবল মুখ্যসচিব-সহ সরকারি স্তরের আধিকারিকরা সরকারিভাবে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করতে পারবেন।

    কমিশনের নির্দেশ (Election Commission)

    ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে সাধারণ বাঙালি, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নেতা–মন্ত্রীরা কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বা রবীন্দ্র জয়ন্তীর কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বুধবার রবীন্দ্র সদনে থাকতে পারবেন না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলেই জানিয়েছে কমিশন (Election Commission)। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র সদনে। প্রত্যেক বছরের এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা। তবে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে এবার সেটি আর হচ্ছে না। কমিশন আরও জানিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবি রবীন্দ্র জয়ন্তী সংক্রান্ত ব্যানার বা হোর্ডিং ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন:সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    আগেও দেখা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে রাজ্য সরকারকে শর্তসাপেক্ষে ‘‌বাংলা দিবস’‌ পালনের অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পয়লা বৈশাখ পালন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছিল, সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি অফিসাররাই। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট ছিল রাজ্যে। তার আগে ১৪ এপ্রিল ছিল পয়লা বৈশাখ। কিন্তু তাতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও। আর পয়লা বৈশাখের পর এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti) পালনের ক্ষেত্রেও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    PM Modi: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনারা আত্মনির্ভর হোন। আপনাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্দেশে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “আজ আমি এই প্রথমবারের জন্য আপনাদের বলছি, আমি ভারতীয় মুসলমানদের বলছি, দয়া করে আত্মনির্ভর হোন। এ ব্যাপারে ভাবুন। দেশ দ্রুত এগোচ্ছে। কী কারণে ভারতীয় মুসলমানরা অগ্রগতির সঙ্গে পা মেলাতে পারছেন না? কেন কংগ্রেসের শাসনকালে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা আপনারা নেননি? কংগ্রেসের রাজত্বকালে আপনারা কি এর শিকার হয়েছিলেন? আত্মমন্থন করুন। এখনই সিদ্ধান্ত নিন। সবার কথা ভাবুন।”

    ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন! (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন। যাঁরা ক্ষমতার অলিন্দে রয়েছেন, তাঁরা অন্যদের দমন করছেন। তামাম বিশ্বেই মুসলমান সম্প্রদায় নিজেদের বদলাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন আমি গলফ দেশগুলিতে যাই, ব্যক্তি মানুষ হিসেবে তখন তাঁরা আমায় ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। সৌদি আরবের সিলেবাসে যোগা রয়েছে। আমি যদি ভারতে যোগা নিয়ে আলোচনা করি, তখন তাকে মুসলমান-বিরোধী বলে দেগে দেওয়া হয়।” তিনি (PM Modi) বলেন, “গলফ দেশগুলিতে আমি ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাঁরা আমায় প্রায়ই জিজ্ঞাসা করেন লাঞ্চ না ডিনারের পর কখন তাঁরা যোগা করবেন? কখনও কখনও তাঁরা আমায় জিজ্ঞাসা করেন যোগার কোনও একটি নির্দিষ্ট ফর্ম শেখার জন্য কোনও ট্রেনিং হয় কিনা। ওঁদেরই কেউ কেউ আমায় বলেন তাঁদের স্ত্রীয়েরা যোগা শিখতে ভারতে যেতে চান। যোগা শেখার জন্য তাঁরা ভারতে এক মাস থাকতে চান। আমি বলছি, আরব আমিরশাহির আমিরদের (শাসক) স্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের কথা।”

    আরও পড়ুুন: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়! মুখ্যমন্ত্রীর মিম-বিতর্কে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ

    হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের জন্ম

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর এখানে, ভারতে যোগার ধারণা হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যাঁরা এটা করছেন, আমি সেই সব মুসলমানদের বলছি, আপনারা আপনাদের এবং আপনাদের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন।” তিনি বলেন, “আমি চাই না কোনও সম্প্রদায় এভাবে ক্রীতদাসের মতো বাঁচুক। এর একমাত্র কারণ কেউ একজন তাদের ভয় দেখাতে চাইছে। দ্বিতীয়ত, অনেক মুসলমান রয়েছেন যাঁরা বিজেপিকে ভয় করেন। আমি তাঁদের বলছি, যান বিজেপির ৫০জন কর্মীর সঙ্গে বসুন। তাঁরা কী আপনাদের সেখান থেকে ছুড়ে ফেলে দেবে? আমি বলছি, আপনারা বিজেপির হেড কোয়ার্টারে যান, কেউ আপনাদের আটকাবে না (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    Murshidabad: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ লোকসভার আজিমগঞ্জ শহরের রায় বাহাদুর সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ নম্বর বুথে।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ (Murshidabad)

    আজিমগঞ্জ (Murshidabad) শহরের রায় বাহাদুর সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ নম্বর বুথে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ  হতবাক হয়ে যান। তিনি বুথে গিয়ে দেখেন, ওই বুথের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার রুবিনা খাতুন ওই বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষিকা। তিনি বলেন, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী যেই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সেই বিদ্যালয়ে তিনি ডিউটি করতে পারবেন না, তাও কীভাবে ডিউটি করছেন? সেই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তথা প্রিসাইডিং অফিসার রুবিনা খাতুন বলেন, কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হল তা বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! পুলিশ আধিকারিককে ধমক দিলেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    বিরোধী এজেন্টকে মারধর

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকল দক্ষিণ নগর মাঠপাড়া ১৪৫ নম্বর বুথে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। খবর শুনেই পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। বর্তমানে পরিস্থিতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। রানিনগরের ৩৪ নম্বর বুথে সিপিএমের এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধরের কারণে এজেন্ট বুথ ছেড়ে কলা বাগানে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে, রানিনগরের মরিচা নিচুপাড়ায় পিয়ারুল ইসলামের বাড়ির পিছনে জোট প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। গোপীনাথপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে এদিন সকালে পরিদর্শনে যান সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। তিনি বুথে ঢুকে জাল এজেন্ট বের করে দেন।

    মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের হামলায় আক্রান্ত বাম ও কংগ্রেস কর্মী

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার আমডহরা এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হন বাম ও কংগ্রেস কর্মী। জানা গিয়েছে, এসরাফিল সেখ নামে এক বিরোধী দলের সমর্থক মঙ্গলবার সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। আর সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। এই কারণেই এসরাফিল সেখ আক্রান্ত হন। তাঁর হাত ভেঙে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ৭৩ নম্বর রমনা বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭০ এবং ১৭১ নম্বর বুথে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফলে, এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, বুথ জ্যাম করার অভিযোগে বিশাল পুলিশ বাহিনী ধাওয়া করে দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share