Tag: news in bengali

news in bengali

  • Supreme Court: সোমেই ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি এসএসসি মামলার, খোঁজ মিলবে অযোগ্যদের?

    Supreme Court: সোমেই ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি এসএসসি মামলার, খোঁজ মিলবে অযোগ্যদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথক করা যায়নি। তাই এক ধাক্কায় চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। গত সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এই শুনানিতে চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। তবে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। সোমবার ফের মামলাটির শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাই সোমবারের দিকেই তাকিয়ে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষই।

    চাকরি বাতিল (Supreme Court)

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। মামলা দায়ের করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় চাকরিখোয়ানোদের একাংশও। সোমবার এ সংক্রান্ত ১০টি মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ওই প্যানেল থেকে কীভাবে যোগ্যদের খুঁজে বের করা হবে, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় সোম-সকালে শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং দাদা ধরে চাকরি পাওয়াদের নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হতে পারে বলে আইনজীবীদের একাংশের ধারণা।

    আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি

    কেলেঙ্কারির গন্ধ থাকায় এমনিতেই মামলাটির দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। এর ওপর আবার যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারই বর্ধমানের একটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি। আমি দলের রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, রাজ্য বিজেপির তরফে একটি আইনি সহায়তা সেল ও সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হোক। যাঁরা ঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, তাঁদের সেই সেল থেকে সাহায্য করা হবে।” তিনি এও বলেছিলেন, “যারা দুর্নীতি করেছে, তারা সাজা পাবে। কিন্তু যোগ্যদের জন্য বাংলায় বিজেপি কাজ করবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।” সোমবার এই মামলায় মূল চাকরি প্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করবেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের হয়ে দেখা যেতে পারে আইনজীবী কপিল সিব্বল ও রাকেশ দ্বিবেদী। অংশ নিতে পারেন আইনজীবী হরিশ সালভেও (Supreme Court)।

    আরও পড়ুুন: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: উত্তর-পূর্ব ভারতে ভোট দিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ, কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: উত্তর-পূর্ব ভারতে ভোট দিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মেগা শো। নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে তৃতীয় দফার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শেষ দফার নির্বাচন হওয়ার কথা পয়লা জুন। ফল বেরবে ৪ জুন। এবারের নির্বাচনে উঠে এসেছে একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য। সেটি হল, এবার নির্বাচনে উত্তর-পূর্ব ভারতের ভোটাররা অংশ নিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক।

    নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস (Lok Sabha Elections 2024)

    এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল অবাধ, মুক্ত এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করণীয়, তা করা হবে। এবার নির্বাচন হচ্ছে অষ্টাদশ লোকসভার। লোকসভার মোট আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। তবে নির্বাচন হচ্ছে ৫৪৩টিতে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার দিনই কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। ভোটারদের আরও বেশি করে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিল কমিশন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এবার উত্তর-পূর্বের ভোটাররা ভোট দিয়েছেন হাত উপুড় করে (Lok Sabha Elections 2024)।

    রেকর্ড ভোট!

    জানা গিয়েছে, বিচ্ছিন্ন হাতে গোণা কয়েকটি ঘটনা ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণই। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির কোথাও বৃষ্টি, কোথাও আবার তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ভোট দিতে বেরিয়েছেন দলে দলে মানুষ। জানা গিয়েছে, প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোটার এবার মতদান করেছেন। অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে  নির্বাচন। উত্তর-পূর্ব ভারতের জনসংখ্যা ৬০ মিলিয়ন। লোকসভায় তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন ২৫ জন সাংসদ।ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমে ভোট দিয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ। নাগাল্যান্ডের ছ’টি জেলায় একজনও ভোট দেননি। যার জেরে এই রাজ্যে ভোটের হার ৫৭ শতাংশ। অরুণাচল প্রদেশে মতদানের হার প্রায় ৬৭ শতাংশ। এখানে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দশজন প্রার্থী রয়েছেন। এঁদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু এবং ডেপুটি চওনা মেই নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। সিকিমে ৩২টি বিধানসভা আসনেও নির্বাচন হয়েছে। এখানে সাংসদ রয়েছেন একজন। ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অনেক লোককে আজকাল কেনা–বেচা যায়’’, সন্দেশখালির ভিডিও নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    একশো শতাংশ ভোটারই যাতে নির্বাচনে অংশ নেন, তাই ব্যাপক প্রচার করেছিল লোক জাগরণ মঞ্চ অসম। সবাইকে ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনও। তারই সুফল ফলেছে। এবার ভোট দিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ভোটার (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CV Ananda Bose: এফআইআর করার অধিকার নেই পুলিশের, রাজভবনের কর্মীদের চুপ থাকার নির্দেশ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: এফআইআর করার অধিকার নেই পুলিশের, রাজভবনের কর্মীদের চুপ থাকার নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে এবার কড়াবার্তা রাজভবনের। সংবিধানের ৩৬১ ধারা তুলে ধরে বিবৃতি জারি করেছে রাজভবন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) প্রশ্ন তুলে ধরলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “পুলিশ কীভাবে তথ্যানুসন্ধান করছে?” ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ফের শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট  করের বলেন, “সংবিধানের ধারা ৩৬১ নম্বরকে অমান্য করছে পুলিশ। রাজভবনের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ রাজভাবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে আবেদনের কথা বলেছে। একই ভাবে রাজভাবনের সমস্ত স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীদের পুলিশের সঙ্গে বার্তালাপের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।” তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, “মুখোমুখি, ফোনে কিংবা কেউ যেন পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম কথা না বলেন। সকলের কাছে এই বার্তা দিতে রাজভবনের সিনিয়র আধিকারিক এস কে পট্টনায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়ে রাজভবন থেকে বলা হয়, “সংবিধানের ৩৬১ (২) ও ৩৬১ (৩) নম্বর ধারায় বিশেষ রক্ষা কবজ পান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত করার কোনও এক্তিয়ার নেই। পুলিশের তদন্তের বিরুদ্ধে আদলতও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না। পুলিশ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকম এফআইআর দায়ের করতে পারবে না।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    গত বৃহস্পতিবার রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী হেয়ার স্ট্রীট থানায় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা কর্মী নিজে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “চাকরি যাহেতু অস্থায়ী, তাই স্থায়ীর জন্য আমি আবেদন করি। কিন্তু রাজ্যপাল দুই বার অশালীন আচরণ করেছেন।” এরপর থেকেই তৃণমূল রাজ্যপালকে নিশানা করে ময়দানে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে। তাই ওঁই মহিলার অভিযোগকে ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চায় এবং রাজভবনের ওসির কাছে এই মর্মে একটি চিঠিও দেয় লালবাজার। আর এরপরই রাজভবন থেকে পাল্টা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: গর্ভবতীদের ইউএসজি-র নামে কী চলছে! সিঙ্গুরে মহিলা চিকিৎসকদের হাতেনাতে ধরলেন লকেট

    Locket Chatterjee: গর্ভবতীদের ইউএসজি-র নামে কী চলছে! সিঙ্গুরে মহিলা চিকিৎসকদের হাতেনাতে ধরলেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে সিঙ্গুর হাসপাতাল নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের লোকসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। আর সেই মেশিনেই চলছে গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা। খোদ হাসপাতালে দাঁড়িয়েই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই হাসপাতালে পড়ে গেল ব্যাপক শোরগোল।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Locket Chatterjee)

    রবিবার সকালে আচমকাই সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছন লকেট। হাসপাতালে পৌঁছেই কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন দিয়ে হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। লকেটের অভিযোগ, সাত বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। আর সেই মেশিনই এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে সিঙ্গুর ও হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে। রবিবার সকালে সেই নথি হাতে নিয়ে সিঙ্গুর হাসপাতালে (Singur hospital) যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। 

    রোগীর আত্মীয়দের সতর্কবার্তা লকেটের (Locket Chatterjee)

    চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি এবং আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন যে মেয়াদ উত্তীর্ণ, তা নিয়েও সাধারণ মানুষকে সাবধান করেন। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ওই আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে তা রিন্যুয়ালের জন্য আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি।

    লকেটের বক্তব্য 

    কর্তব্যরত চিকিৎসকদেরও নথি দেখিয়ে প্রশ্ন করেন লকেট। এক মহিলা চিকিৎসককে লকেট বলেন, “আপনারা এতদিন ধরে যেটা করেছেন, যেটা সহ্য করেছেন, সেটা একজন মহিলা হিসাবে করা উচিত হয়নি। চাকরির জন্য আমরা নিজেদের বিবেক বেচে দিতে পারি না।” লকেটের প্রশ্নের মুখে পড়ে  চিকিৎসক আমতা আমতা করে বলেন, “আমাদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ডিসিশন তো জেলা থেকে হয়।” লকেট (Locket Chatterjee) পাল্টা বলেন, “আপনারা আমাকে কেন জানাননি? হুগলির সাংসদকে জানানোর প্রয়োজন ছিল।” এমনকি মেয়াদ উত্তীর্ণ আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলেও জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
    এ প্রসঙ্গে এক কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রেগন্যান্সিতে তো অনেক রকম ক্লিনিক্যাল সায়েন্সে অনেক কিছু বোঝা যায়। আমাদের রিপোর্ট দেখে কোথাও কোনও খটকা লাগত, আমরা বাইরে থেকে আরও একবার ইউএসজি (USG) করিয়ে আনতে বলতাম। আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না, এই মেশিন ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের কিছু রিপোর্ট দেখে সমস্যা মনে হচ্ছিল, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।”

    আরও পড়ুন: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য  

    অন্যদিকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি সংস্থা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এই পরিষেবা দেয়। নিদির্ষ্ট সময় অন্তর তার লাইসেন্স রিনিউ করতে হয়। এক্ষেত্রে সংস্থাটির লাইসেন্স আছে কি না তা খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মেশিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে কিছু হয় না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • DY Chandrachud: স্কুলে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি, কেন জানেন?

    DY Chandrachud: স্কুলে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, মারের নাম মধুসূদন! এই মধুসূদনের কৃপায় কত মানুষ নির্বিঘ্নে পার হয়েছেন বা হচ্ছেন জীবন নদী। যাঁরা সাফল্যের চূড়ায় বসে রয়েছেন, তাঁরাও রেহাই পাননি শিক্ষকের বেত্রাঘাত থেকে। এই যেমন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)।

    মার খেয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি

    স্কুলজীবনে তিনিও বেধড়ক মার খেয়েছিলেন। যে মারের কথা প্রৌঢ়ত্বের চৌকাঠ পেরিয়েও ভোলেননি দেশের প্রধান বিচারপতি। ছাত্রদের শৃঙ্খলার পাঠ দিতে গিয়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাত বর্তমানে ‘নৃশংস’ অভিধায় ভূষিত হয়েছে। শনিবার এক সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ছোট্ট একটা ভুলের জন্য তিনি যে শিক্ষকের হাতে মার খেয়েছিলেন, তা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, “আপনি শিশুদের কীভাবে ট্রিট করবেন, তা তাদের মনে থেকে যাবে সারাজীবন। আমি আমার স্কুল জীবনের একটি দিনের কথা কখনও ভুলব না। যখন আমায় বেত্রাঘাত করা হয়েছিল, তখন আমি শিশু অপরাধী ছিলাম না। আমি ক্র্যাফ্ট শিখছিলাম। আমায় যে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল, সেই আকারটা আমি ঠিকঠাক আনতে পারিনি। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।”

    আরও পড়ুুন: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! প্রশ্ন তুলে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি? 

    তিনি বলেন, “সেই সময় যেভাবে শিশুদের ট্রিট করা হত, তার প্রভাব থেকে যেত সারা জীবন। আমি এখনও মনে করতে পারি, আমি ওই শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম, আমার হাতে মলম লাগানোর দরকার নেই, বেতটায় মলম দিন। মার খাওয়ার সেই লজ্জার কথা আমি বাড়িতে বলতে পারিনি। দশ দিন ধরে ডান হাতের চেটোর ক্ষত লুকিয়ে রেখেছিলাম, যাতে কেউ দেখতে না পায়।” তিনি বলেন, “শারীরিক ক্ষত সেরে যায়। কিন্তু মন এবং আত্মায় তার একটি চিরকালীন ক্ষত রয়ে যায়। আমিও মনে সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি। যখনই কোনও কাজ করি, তখনই মনে পড়ে। এই ধরনের অত্যাচার শিশু মনে গভীর ছাপ ফেলে।” তিনি (DY Chandrachud) বলেন, “কিশোর মনের গতিপ্রকৃতিটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের বিভিন্ন গতিপ্রকৃতি এবং আন্তর্সম্পর্কটাও তাকে বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ভোটের মধ্যেই মালদা-মুর্শিদাবাদে আইসি-ওসি’কে সরাল কমিশন

    Election Commission: ভোটের মধ্যেই মালদা-মুর্শিদাবাদে আইসি-ওসি’কে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭মে তৃতীয় দফায় ভোট মালদা-মুর্শিদাবাদে। আর তার আগেই মালদা-মুর্শিদাবাদে আইসি-ওসি-কে সরাল নির্বাচন কমিশন।  মালদার হবিবপুর থানার (Habibpur Police Station) আইসি ও মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার (Ranitala Police Station) ওসিকে সরিয়ে দিল কমিশন (Election Commission)। 

    আইসি-ওসি বদল মালদহ-মুর্শিদাবাদে

    শনিবার রানিতলা থানার ওসি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর রবিবার মালদার হবিবপুর থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় কমিশনের (Election Commission) পক্ষ থেকে। ভোটের মাঝে একের পর এক পুলিশ অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিকমহলে।

    কেন এই পদক্ষেপ? (Election Commission) 

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি হবিবপুর থানা এলাকায় গোলমালের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইসির বিরুদ্ধে কমিশনে (Election Commission) নালিশ গিয়েছিল। তারই জেরেই ভোটের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে হবিবপুর থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। 
    সূত্রের খবর, হবিবপুর থানার দায়িত্ব ও রানিতলা থানার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে তিনজন অফিসারের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। আর এই দুই থানার আইসি ও ওসিকে আপাতত পুলিশ হেড কোয়ার্টারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন এও জানিয়েছে, ওই দুই অফিসারকে ভোটের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখা যাবে না। 
    উল্লেখ্য, ভোটের মাঝে একের পর এক থাানার অফিসার বদল কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগে কলকাতার আনন্দপুর এবং ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত আনন্দপুর ও ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার পুলিশ অফিসার বদল আরও ২ থানায় (Malda-Murshidabad)।

    আরও পড়ুন: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

     
    এছাড়াও দেশে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরে রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজীব কুমারকে। আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরে সেটাই রাজ্যে বড় পদক্ষেপ ছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। তার মাস খানেক আগেই রাজীব কুমারকে রাজ্যে পুলিশের ডিজি পদে আনা হয়েছিল। কিন্তু বেশিদিন অবশ্য ওই পদে থাকতে পারলেন না তিনি। দেশে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

    Rajnath Singh: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস। নির্বাচনে লাভের কড়ি ঘরে তুলতে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে তারা।” রবিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। তবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কোনও ‘আগুন’ নেই বলেও মনে করেন তিনি।

    উত্তেজনার সৃষ্টি করতে চাইছে কংগ্রেস! (Rajnath Singh)

    রাজনাথ বলেন, “নির্বাচনে ফয়দা তুলতে কংগ্রেস ধর্মীয় লাইনে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে চাইছে। কংগ্রেস সামাজিক ঐক্য বিঘ্নিত করতে চায়। তারা মুসলমান সম্প্রদায়কে দেখে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। তাদের জন্য আমার একটা সাজেশন রয়েছে, সেটা হল কেবল সরকার গড়তেই রাজনীতি করা উচিত নয়। রাজনীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশ গঠন।” এর পরেই কংগ্রসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধীর কোনও আগুন নেই, তবে কংগ্রেস আগুন নিয়ে খেলছে। কংগ্রেস একটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা হিন্দু-মুসলমান তাস খেলতে চাইছে।” তিনি বলেন, “ওদের (কংগ্রেসের) কোনও ইস্যু নেই। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণির ভিত্তিতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে সরকার গড়তে চাইছে। তারা চিরকাল এটাই করে এসেছে।”

    উত্তরাধিকার ট্যাক্স!

    ক্ষমতায় এলে আমেরিকার ধাঁচে কংগ্রেস যে এ দেশেও উত্তরাধিকার ট্যাক্স চালু করবে, এদিন সেই বিষয়টিকেও হাতিয়ার করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বলেন, “আর্জেন্টিনা এবং ভেনেজুয়েলা এটা (উত্তরাধিকার ট্যাক্স) চালু করেছিল। দুই দেশই ভয়ঙ্কর পরিণতির সম্মুখীন হয়েছিল। এটা চালু হলে লগ্নিকারীরা ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবেন।”

    আরও পড়ুুন: বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা, ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ জওয়ান

    চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই যে ক্ষমতায় ফিরছে, এদিন সে প্রত্যয়ও শোনা গিয়েছে রাজনাথের গলায়। তিনি বলেন, “বিজেপি একাই ৩৭০টি আসনে জিতবে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসনের গণ্ডি ছাড়াবে।” তিনি জানান, এই যে আসন বিজেপি জিতবে বলা হচ্ছে, তা মানুষের মুখের কথায় বিশ্বাস করে বলা হচ্ছে না, তৃণমূলস্তরে সমীক্ষা চালিয়েই এই দাবি করা হচ্ছে। রাজনাথ বলেন, “উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও আমাদের আসন বাড়বে। তামিলনাড়ুতেও আমরা কিছু আসন পাব। কেরলে এবার আমরা খাতা খুলব। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনায়ও আমরা ভালো সংখ্যক আসন পাব (Rajnath Singh)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

    Lok Sabha Election 2024: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিদায়ী সাংসদ। কার্যত দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটা বিস্তৃত এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। শাসক দল এই সমস্যাকে উপেক্ষা করেছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাই এবার জয়নগরের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদকে সামনে পেয়ে এলাকার মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন। পাল্টা জল সঙ্কটকে অতরিক্ত গরম বলে উষ্ণায়নকে দুষলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ (Lok Sabha Election 2024)

    গত ১০ বছরে এলাকার সাংসদকে চোখে দেখেননি কেউ। রবিবার সকালে হরিনারায়ণপুরে ভোট প্রচারে (Lok Sabha Election 2024) ভোট চাইতে গেলে এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। এলাকায় মানুষের তীব্র জলের কষ্ট, নেই রাস্তায় লাইটের ব্যবস্থা। এই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন অপর আরেক তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। কিন্তু অভিযোগ করার সময় এই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী বিষয় শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এরপর প্রতিমা নিজে দুই পক্ষকে সরিয়ে গোলমাল সামাল দেন।

    আবার স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাত কয়াল বলেন, “আমার পাড়ায় একটা আলো নেই। টিপকলের জল আসে না। আমাদের এখানে এক ফোঁটা জলই আসে না। সাংসদ এলাকায় এসেছেন ১০ বছর পরে। ভোটের সময় কাছে পেয়ে তাই সমস্যার কথা তাঁকে বললাম।” আবার আরেক গৃহবধূ বলেন, “এলাকায় কোনও কাজ হয়নি। আমাদের জল একান্ত প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুনঃ এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন হল লিগ্যাল সেল

    কী বললেন প্রতিমা?

    এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনে প্রতিমা বলেন,“জলের সমস্যা শুধু এই রাজ্যের সমস্যা নয়, সারা দেশ এবং বিশ্বের মধ্যে এই জলের সঙ্কট রয়েছে। বিশ্বউষ্ণায়নের জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ছে। ভূগর্ভের জল অনেকটা নেমে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) আচরণ বিধি আছে তাই ইচ্ছে থাকলেও নলকূপ বসানো যাবে না। আবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করব। এখন পিএইচ থেকে জল বাড়িতে বাড়িতে দেওয়ার কথা বলছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: পানীয় জলের যন্ত্রণায় ভুগছে ঘাটাল! ভোটের মুখে দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘাটালের ৩০ পরিবারের

    Ghatal: পানীয় জলের যন্ত্রণায় ভুগছে ঘাটাল! ভোটের মুখে দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘাটালের ৩০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যের তেজে পুড়ছে গোটা বাংলা। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে জল সংকটে ভুগছে ঘাটাল। তাপমাত্রার পারদ যখন প্রায় ৪০ ডিগ্রি পার করেছে তখন পানীয় জলের সংকটে (Ghatal Water Crisis) নাজেহাল হচ্ছে ঘাটালের (Ghatal) গ্রামবাসী। প্রবল দাবদহের মধ্যে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে ঘাটালের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দন্দিপুর বক্সী পাড়া এলাকার ৩০ পরিবার। 

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদায়ী সাংসদ দেবকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। তাতেই গ্রামে (Ghatal) বিক্ষোভের আঁচ। এলাকার লোকজনের দাবি, আজ নয়, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে একই অবস্থা এলাকার। কিছুদিন আগেই এলাকায় প্রচারে এসেছেন ঘাটালের দুবারের সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী দেব। তাঁর কাছে জলের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। 

    দেবের প্রতিশ্রুতি (Dev) 

    এ প্রসঙ্গে এলাকার (Ghatal) বাসিন্দা অনিমা বক্সি বলেছেন, “কার্তিক মাস থেকে জল নেই। সবাইকে বলেছি। কেউ কিছু শোনেনি। দেবও কদিন আগে এসেছিল। ওকেও বলেছিলাম আমরা। এখন তো এদিক ওদিক থেকে জল এনে কোনওরকমে কাজ চালাচ্ছি।” আর এক মহিলা বলেন, “৬ মাস ধরে জল নেই। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করছি।” যদিও দেব (Dev) 
    প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইলেকশনের পর কাজ হয়ে যাবে।   

    আরও পড়ুন: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    জল সংকটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী (Ghatal) 

    জানা গেছে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গ্রামে হয়েছিল সজল ধারার কাজ। তবে সূত্রের খবর, বিদ্যুতের বিল সময় মতো না দেওয়ায় সেই সংযোগও বিচ্ছিন হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আবার এলাকায় পিএইচইর পাইপ লাইনের ট্যাপ কল বসেছে। কিন্তু, জল এখনও আসেনি তাতে। ফলে সমস্যার (Ghatal Water Crisis)সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। এদিকে জল সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বেড়ে চলেছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপর। 
    বিষয়টি নিয়ে বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত রায়ের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে দুষছেন। তবে তাঁর আশ্বাস সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে। জল পাবে এলাকার মানুষ। কিন্তু, এলাকার (Ghatal) মানুষের দাবি, প্রতিশ্রুতি অনেক পেয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

    BJP West Bengal: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যোগ্য অথচ চাকরি হারাদের পাশে বিজেপি (BJP West Bengal)। যোগ্য শিক্ষক কিন্তু নিজের চাকরি খুইয়েছেন, এমন শিক্ষকদের আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য বিজেপি। আদালতে আইনি লড়াই করার জন্য বিজেপির তরফে তৈরি করা হল লিগ্যাল সেল। পাঁচ সদস্যকে নিয়ে এই সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী বুধবার থেকে চালু করা হবে একটি বিশেষ পোর্টাল।

    করা কারা রয়েছেন এই সেলে (BJP West Bengal)?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসসিতে চাকরি হারা শিক্ষকদের মধ্যে যোগ্য শিক্ষকদের আইনি সাহায্য দিতে বিজেপি (BJP West Bengal) রাজ্য স্তরে পাঁচ সদস্যের লিগ্যাল সেল গঠন করেছে। এই সেলের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী তীলক মিত্র, রাহুল সরকার, কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়, সহশ্রাংশু ভট্টাচার্য এবং সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। আগামী বুধবার থেকে যোগ্য শিক্ষকদের জন্য একটি পোর্টাল খোলা হচ্ছে। নিজের নিজের অভিযোগের কথা জানিয়ে আইনি সহায়তা পেতে পারেন ভুক্তভুগীরা। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির (BJP West Bengal) যে লিগাল সেল রয়েছে, তার পক্ষ থেকে আমরা আজ পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছি। একটি পোর্টাল আগামী বুধবার থেকে খোলা হবে। যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে এবং যাঁরা নিজেদের যোগ্য মনে করছেন তাঁরা সকলে এই পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। নিজের নিজের নাম নথিভুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। দরকার হলে আমরা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে সকলকে সহযোগিতা করব। তবে আইনি খরচ বিজেপির পক্ষ থেকে বহন করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মোদি সহায়তা কেন্দ্রের কথা বলে ছিলেন

    রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ায় সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি রাজ্যের নির্বাচন প্রচারে এসে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থী মুশকিলে পড়েছেন। বাংলার বিজেপি (BJP West Bengal) সভাপতিকে বলেছি যোগ্যদের সহযোগিতা করতে জেলা স্তরে লিগাল সেল এবং একটি সোশ্যাল মিডিয়ার টিম এবং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে।” এবার প্রধানমন্ত্রীর কথায় এই পরিষেবা চালু করল বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share