Tag: news in bengali

news in bengali

  • NEET 2024: প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    NEET 2024: প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যালে প্রবেশিকার জন্য ‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স’ (NEET 2024) পরীক্ষায় নয়া নির্দেশিকা। এবছরের নিট পরীক্ষা হতে চলেছে ৫ মে। ২৪ লাখেরও বেশি ছেলে মেয়ে মেডিকেল পরীক্ষার  জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সেন্টার থেকে তাদের পরীক্ষা হবে দুপুর ২টো থেকে ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। আর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৪ জুন ২০২৪। তবে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে মানতে হবে কিছু নির্দেশিকা।

    ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) দ্বারা প্রকাশিত নির্দেশিকা গুলি হল-(NEET 2024)

    ১) পরীক্ষার দিন হলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে কোনো রকম স্টেশনারি আইটেম, ফোন, আনুষঙ্গিক দ্রব্য, খাদ্য সামগ্রী এবং অলংকার সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে পারবে না। 
    ২) পরীক্ষা হলে নিজের জায়গায় অন্য কাউকে ছদ্মবেশে প্রবেশ করালে বাতিল হবে পরীক্ষা। 
    ৩) কোন রকম অসৎ উপায় ব্যবহার করে পরীক্ষার (NEET 2024) উত্তর লেখা বা এই কাজে কাউকে সাহায্য করলে বাতিল হবে পরীক্ষা।
    ৪) পরীক্ষার সময় পরীক্ষকের দেওয়া উত্তরপত্র ছাড়া অন্য কোন উত্তরপত্র গৃহীত হবেনা। 
    ৫) পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কর্মী ব্যতীত অন্য কোনো বাইরের ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
    ৬) পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা হল থেকে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট বাইরে আনা যাবে না। 
    ৭) উত্তরপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
    8) পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষক বা পরীক্ষার (NEET 2024) সঙ্গে যুক্ত কোনো কর্মী বা কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া যাবে না।  
    ৯) পরীক্ষার আগে বা পরীক্ষা শেষে জোর করে পরীক্ষা হলে প্রবেশ বা হল থেকে প্রস্থান করা যাবে না। 
    ১০) ওএমআর শিটে ব্যবহার করা রাফ, বা কোনরকম তথ্য মুছে ফেলা যাবে না।  
    ১১) উত্তরপত্রে কোনরকম ওভার রাইটিং করা যাবে না। 
    ১২) উত্তরপত্রে কোনোরকম ভুল তথ্য দিলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল হবে। 

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পরীক্ষার নিয়মাবলী 

    প্রসঙ্গত, এবারের নিট ইউজি ২০২৪ মূলত পেন-পেপার ফর্ম্যাটেই আয়োজিত হবে। দেশের মোট ৫৭১টি শহরে সিট পড়েছে নিটের। এমনকী দেশের বাইরেও ১৪টি জায়গায় এই পরীক্ষার (NEET 2024) সিট পড়েছে। ইংরাজি, তামিল, মালয়ালম, উর্দু, বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, পঞ্জাবি, হিন্দি, অসমীয়া এবং মারাঠি ও তেলুগু ভাষায় আয়োজিত হবে এই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় (NEET 2024) মোট ২০০টি প্রশ্ন থাকবে, যার মধ্যে ১৮০ টির উত্তর করতে হবে, যার মোট নম্বর ৭২০।  

    আর পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় নিজের অ্যাডমিট কার্ড, একটা পাসপোর্ট মাপের ছবি, অরিজিনাল আইডি প্রুফ, বিশেষভাবে সক্ষম হলে তাঁর অরিজিনাল সার্টিফিকেট ইত্যাদি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারেও বাদ গিয়েছে ডান হাত! তবুও মাধ্যমিকে সফল শান্তিপুরের শুভজিৎ

    Nadia: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারেও বাদ গিয়েছে ডান হাত! তবুও মাধ্যমিকে সফল শান্তিপুরের শুভজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারে ডানহাত বাদ গেলেও মনের জোরে মাধ্যমিক দিয়ে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে শান্তিপুরের শুভজিৎ বিশ্বাস। তার সাফল্যে পরিবার এবং এলাকায় খুশির আবহ। মনের জোরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাফল্যের নজির গড়ল নদিয়ার (Nadia) এই কৃতী সন্তান। তার বাবা কলকাতায় জন মজুররের কাজ করেন। মা লোকের বাড়িতে কাজ করেন। কোনও রকমে সংসার চালান, তাই আর্থিক অবস্থা ভালো না হবার কারণে মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে শুভজিৎ। তবে দীর্ঘ প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ায় খুশি নদিয়ার (Nadia) শুভজিৎ ও তার পরিবার।

    হাতে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল (Nadia)

    ছোটবেলায় হাতে সাইকেল পড়ে যাওয়ায় গুরুতর আহত হয় হাত। তারপর কালের নিয়মে দিনের পর দিন অসুস্থ থাকার পর, হঠাৎই হাতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে চিকিৎসকেরা জানান তার হাত কেটে বাদ দিতে হবে। তারপরেই বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সমস্ত চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না থাকার কারণে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। তারপর কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্র প্রচার করে বাদ যায় ডান হাত। ঘটনায় রীতিমতো মনোবল ভেঙে পড়ে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভজিৎ বিশ্বাসের। 

    শুভজিৎ-এর বক্তব্য

    নদিয়ার (Nadia) ছাত্র শুভজিৎ কথায়, “যখন হাত কাটা যায়, তখন মনোবল ভেঙে পড়ে আমার। কীভাবে পরীক্ষা দেব! তারপর বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ চলে আসে আমার মাথায়। নিজের মনের জোরে বাম হাত দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তারপর দীর্ঘ দেড় মাসের প্রখর অনুশীলনে বাম হাতে লেখা অভ্যাস করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসি। তবে আমি ভেবেছিলাম পরীক্ষায় পাশ করতে পারব না। কারণ জটিল অস্ত্রোপচার, তারপর হাত বাদ যাওয়া এবং হাতে সময় কম থাকার কারণে পড়াশুনা একদম হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্ন হয়েছিল অনেকটা কঠিন, যেটুকু পড়াশোনা করেছি, তাতে করে পাশ করাটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু বাড়িতে পরিবারের সহযোগিতা এবং মনের অদম্য জেদ আমাকে সফলতার পথে নিয়ে গেছে। রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন শুভজিৎ-এর (Nadia) যে যদি রাজ্য সরকার তার পড়াশোনার জন্য এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আর্থিক কিংবা কোনও রকম সাহায্য করে, তাহলে খুবই উপকৃত হবে পরিবার।

    আরও পড়ুনঃভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পরিবারের বক্তব্য

    অপরদিকে শুভজিৎ-এর বাবা ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘ চার বছর ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারেনি। তার হাতের অস্ত্রোপচারের কারণে পরীক্ষার আগে ডান হাতটা বাদ যাওয়ায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল পরিবারের সকলে। শুভজিৎ-এর ইচ্ছা ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, তাই আমরা যথাসাধ্য তার মনবল বাড়িয়ে (Nadia) তাকে পরীক্ষায় বসার জন্য সহযোগিতা করেছি। তারপর সাফল্য আসে, তবে ওর রেজাল্ট যাই হোক না কেন, পাস করেছে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা। তবে রাজ্য সরকার যদি একটুখানি পরিবারের দিকে মুখ তুলে চায়, তাহলে উচ্চশিক্ষার জন্য শুভজিৎ-এর অনেকটাই সুবিধে হবে। এখন দেখার, রাজ্য সরকার এই দুস্থ পরিবারের পাশে কতটা দাঁড়ায়? নাকি অন্ধকারেই ভবিষ্যত কাটাতে হবে শুভজিৎ-এর পরিবারকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৃষ্টিতে ভিজবে শহর, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

    Weather Update: বৃষ্টিতে ভিজবে শহর, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে তীব্র গরম থেকে মুক্তির অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরশুর পর থেকে তাপপ্রবাহের কবলের বাইরে চলে যাবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দহনজ্বালা থেকে মুক্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গ। এতদিনে স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার রাজ্যের সব জেলায় বৃষ্টির (Rain fall) সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় আগামিকাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার কলকাতাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? (Weather Update) 

    সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি চলতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শনিবার থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। হাওড়া, হুগলি ছাড়াও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার থেকেই হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনায়। 

    দহনজ্বালা থেকে মুক্তি দক্ষিণবঙ্গে 

    আবহাওয়া দফতর মনে করছে, এই বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। তবে এখনই নিস্তার মিলবে না ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বীরভূমে। শনিবার পর্যন্ত চলবে তীব্র তাপপ্রবাহ। কিন্তু রবিবারের পর গোটা রাজ্যেই ৪০ ডিগ্রির নীচে নামবে পারদ (Weather Update)। এমনই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আরও পড়ুন: গিলগিট বালতিস্তানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদ থেকে বাস গড়িয়ে মৃত ২০, আহত ২১

    শহরের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update) 

    কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

    তবে এই বৃষ্টি তাপপ্রবাহ কে পরবর্তী কতদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে উষ্ণ এবং জলীয় হাওয়ার সংঘাতে কতটা ঘন মেঘ তৈরি হচ্ছে তার ওপর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি করায় ৬ বছর ধরে রাস্তা বন্ধ! অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে

    South 24 Parganas: বিজেপি করায় ৬ বছর ধরে রাস্তা বন্ধ! অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়াই কাল হয়েছে! বিজেপি করার অপরাধে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়েছে গত ছয় বছর ধরে। বারে বারে জানিও মিলছেনা সুরাহা। প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস করলেও পরে বিজেপি দলের সাথে যোগ দেন মাধব চন্দ্র পড়ুয়া, আর সেটাই ছিল তাঁর সব থেকে বড় দোষ। আর এই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন তাঁর। চরম বিপাকে এখন পরিবার। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে।

    বিজেপি কর্মীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন বাজার এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা বিজেপির সমর্থক মাধব চন্দ্র পড়ুয়া। “বর্ষাকালেই এক কোমর জল থেকে স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে কখনও লোকের বাঁশ বাগান কখনো জল ঝাপিয়ে মাঠের মধ্য থেকে যাতায়াত করতে হচ্ছে, এমনকী এখনও পর্যন্ত বাড়িতে বিদ্যুতের আলোও পৌঁছায়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসন, শাসক দলকে জানিও কোনও কাজ হচ্ছে না”, এমনই অভিযোগ মাধব চন্দ্র পড়ুয়ার। বিজেপি করার অপরাধে এই দুর্ভোগান্তি চলছে। তিনি আরও বলেন, “জায়গার মালিকের কাছ থেকেই রাস্তা সহ বাস্তু জায়গা কিনে বসতবাড়ি করে বসবাস শুরু করি প্রায় ১১ বছর আগে থেকে। এমনকী দলিলে উল্লেখিত নিজের কেনা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি।” আবার মাধব চন্দ্রের স্ত্রী পার্বতী পড়ুয়া বলেন, “শাসক দলকে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আমার স্বামীকে। আর তারপর থেকেই চরম হেনস্থা শিকার হচ্ছে পরিবারের সকলে। দেওয়া হচ্ছে না চলাচলের রাস্তা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ।”

    আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারা কেউ শিক্ষক হতে চাইছেন না! কেন জানেন?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বলেন, “এই ঘটনার সাথে শাসক দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয় সম্পূর্ণটাই পারিবারিক বিষয়, তিনি কার থেকে জায়গা কিনেছেন কী করেছেন তাঁর নিজের ব্যাপার।” তবে প্রশ্ন উঠছে কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কেন রাস্তা করতে দেওয়া হচ্ছে না মাধব চন্দ্র পড়ুয়াকে? বিজেপি করাই কি তার অপরাধ যে কারণে এতদিন ধরে রাস্তা হোক বা বিদ্যুৎ কোনও কিছুই পাচ্ছে না ওই স্থানীয় বাসিন্দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • POK: গিলগিট বালতিস্তানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদ থেকে বাস গড়িয়ে মৃত ২০, আহত ২১

    POK: গিলগিট বালতিস্তানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদ থেকে বাস গড়িয়ে মৃত ২০, আহত ২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit-Baltistan) ডায়মার জেলায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত হয়েছেন ২০ জন। আর দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কারাকোরাম হাইওয়ের যশোখাল এলাকায় (POK) এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? (POK)

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। চিলাস শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাঁক নেওয়ার সময় ওভারস্পিডিং এর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। ফলে সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাস। দুর্ঘটনার সময় কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বাসে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। আপাতত আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিলাসের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে দুজনকে গিলগিট শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    অন্যদিকে মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. নুরুল হক জানান, আহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি। 

    শোক প্রকাশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর  

    বাস দুর্ঘটনায় (POK) নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। অন্যদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

    আরও পড়ুন: যেদেশে মেয়েরা ভোগের বস্তু! প্রতিবছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন কিম

    এদিকে পাকিস্তানে (POK) সড়ক দুর্ঘটনা এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে না মানা এবং রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু লাগাতার দুর্ঘটনার পরেও টনক নড়েনি স্থানীয় প্রশাসনের। রাস্তা বা যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হয়নি ওই এলাকায়। সেই উদাসীনতার বলি হলেন ২০ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারা কেউ শিক্ষক হতে চাইছেন না! কেন জানেন?

    Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারা কেউ শিক্ষক হতে চাইছেন না! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন একটা সময়ে প্রত্যকে মেধাবী পড়ুয়ারা দেখত। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি শুধু এই রাজ্যের আলোচনার বিষয় নয়। ভোটের প্রচারে জাতীয় স্তরে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এখন সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। গতকাল রাজ্যে মাধ্যমিক (Madhyamik Result 2024) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ঝোঁক বেশি। এমন কী বাবা-মা শিক্ষকের পেশায় নিযুক্ত থাকলেও সন্তান আর চায় না শিক্ষক হতে। কিন্তু কেন এই ভাবনার উদয়?

    শিক্ষক নয় ডাক্তার হতে চায় ছাত্রী (Madhyamik Result 2024)

    এবার মধ্যমিকে (Madhyamik Result 2024) সম্ভাব্য নবম হয়েছে বাঁকুড়ার মেয়ে। নাম অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়। কাটজুড়িডাঙা মিলনপল্লির বাসিন্দা এই ছাত্রী। এই কৃতী ছাত্রী বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। অরুণিমা নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করে বলে, “আমার বাবা-মা দুইজনেই শিক্ষকতা করেন। এক সময় আমি নিজে ভাবতাম শিক্ষিকা হবো। কিন্তু যা রাজ্যের পরিস্থিতি, এই পেশাতে স্বচ্ছ নিয়োগ কীভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই আগামী দিনে ডাক্তারি পড়ারা কথা ভাবছি।” অপর দিকে অরুণিমার মা বলেন, “মেয়ে এক সময়ে শিক্ষিকাই হতে চেয়েছিল। এখন তা আর চাইছে না। যে পথেই যাক, আমাদের সমর্থন থাকবে!”

    আরও পড়ুনঃ রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চায় পড়ুয়া

    আবার এই জেলার মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2024) মেধা তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে তিনজন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা স্কুলে ছাত্র শৌভিক দত্ত বলে যে চিকিৎসক হতে চায় সে। শৌভিকের বাবা সেচ দফতরের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করেন, মা গৃহবধূ। নিজে ভূগোল, জীববিজ্ঞনে একশে একশ পেয়েছে। এই কৃতী ছাত্র নিজে চিকিৎসক হতে চায়। আবার তালড্যাংরা ফুলমতী হাই স্কুলের সৌমিক খাঁ মাধ্যমিকে দশম স্থানের অধিকারী হয়েছে। তার বাবা তালড্যাংরা গ্রামীণ হাসপাতলের ফার্মাসিস্ট। মা ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স। সৌমিক নিজে আগামী দিনে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চায়। আবার দশমস্থানে থাকা বাঁকুড়ার গড়রাইপুর হাই স্কুলের সৌম্যদীপ মণ্ডলের ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে। এই পথেই তার পড়াশুনার ইচ্ছে রয়েছে। সৌম্যদীপের বাবা একজন শিক্ষক এবং মা হলেন গৃহবধূ। ফলে মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা যে আর শিক্ষকতার দিকে যেতে চাইছে না, তার পিছনে রাজ্যের দুর্নীতি একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন একাংশের মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • North Korea: যে দেশে মেয়েরা ভোগের বস্তু! প্রতি বছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন কিম

    North Korea: যে দেশে মেয়েরা ভোগের বস্তু! প্রতি বছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন কিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত কমিউনিস্ট দেশ উত্তর কোরিয়া। এখানে মেয়েরা ভোগের বস্তু! যেখানে ভারতে নারীকে মায়ের আসনে বসিয়ে পুজো করার রীতি রয়েছে সেখানে উত্তর কোরিয়া একনায়ক কিম জং উন নিজের যৌন তৃপ্তির জন্য মেয়েদের ব্যবহার করছে দিনের পর দিন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া (North Korea) থেকে পালিয়ে আসা ইওনমি পার্ক নামে এক তরুণী কিম জং উন সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কিম জং উন যৌন তৃপ্তির জন্য প্রতিবছর প্রায় ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন। উল্লেখ্য, এখানে মহিলাদের চেহারা, শরীরের গঠন ও পারিবারিক রাজনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়।  

    কোন মেয়েদের টার্গেট করা হয়? (North Korea) 

    ইওনমি জানান যে, কিমের “প্লেজার স্কোয়াড” এর জন্য তাঁকে দুবার বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু তার পারিবারিক অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত তাকে আর নির্বাচিত করা হয়নি। জানা গেছে, কিম সেখানকার (North Korea) প্রতিটি স্কুল ও স্কুলের শ্রেণিকক্ষে থাকা প্রতিটি মেয়েকে দেখে তার মধ্যে থেকে সুন্দরী মেয়ে খুঁজে পেলে প্রথমেই তাঁর পারিবারিক অবস্থান ও দলের প্রতি আনুগত্যের বিষয়ে খোঁজ নেন। এক্ষেত্রে পরিবারের কেউ উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে গেলে কিংবা দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্য কোন দেশে আত্মীয়-স্বজন আছে এমন মেয়েদেরকে প্লেজার স্কোয়াডে (Pleasure Squad) নেওয়া হয় না।  

    আরও পড়ুন: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    কুমারিত্বের পরীক্ষা 

    ইওনমি আরও দাবি করেন, মেয়েরা একবার নির্বাচিত হলে, তারা কুমারী কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। যদি পরীক্ষার ফলে কোনরকম ত্রুটি থাকে তবে সেই মেয়ে কিমের “প্লেজার স্কোয়াড” থেকে তৎক্ষণাৎ বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে কঠোর পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়া (North Korea) জুড়ে শুধুমাত্র বাছাই করা কিছু মেয়েকেই পিয়ং ইয়ং এ পাঠানো হয়। যেখানে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য কিমের যৌন সঙ্গিনী হওয়া। 

    পার্ক জানান, “প্লেজার স্কোয়াড” এ বাছাই হওয়ার পর মেয়েদের কিম (Kim Jong-un) ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যৌনমিলনে বাধ্য করা হত। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ওই পুরুষদের খুশি করা। মেয়েদের ইচ্ছের কোন তোয়াক্কা করা হত না। বিদ্রোহ করলে একটাই শাস্তি, কঠিন মৃত্যু।  

    কিমের সেবা করার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়েদের নির্বাচন করা হলেও তাঁদের চোখে প্লেজার স্কোয়াডের দ্বিতীয় শ্রেণীর মেয়েদের নিম্নপদস্থ জেনারেল এবং রাজনীতিবিদদের সন্তুষ্ট করার জন্য নিয়োগ করা হত। মেয়েদের যখন কুড়ির ওপরে বয়স হয়ে যায়, তখন তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং তখন তারা প্রায়শই নেতাদের দেহরক্ষীর সাথে বিয়ে করে। 

    এই “প্লেজার স্কোয়াডের” উৎপত্তি হয়েছিল ১৯৭০ দশকে, কিম জং উনের (Kim Jong-un) বাবার সময়কালে। যিনি বিশ্বাস করতেন, “যৌন ঘনিষ্ঠতা তাঁকে অমরত্ব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    Lok Sabha Election 2024: রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার কাজের মান নিয়ে ফের তোপের মুখে শতাব্দী রায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিউড়ি ১ ব্লকের আলুন্দা পঞ্চায়েতে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এবং মানুষের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে পূরণ না করার অভিযোগে আগেও সরব হয়েছেন জেলার মানুষ। যদিও এদিনের অভিযোগের কথা গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিল এই তৃণমূল প্রার্থী। পাল্টা এলাকার মানুষের দাবি ভোটে বোঝাবো।

    প্রচারে ফের তোপের মুখে (Lok Sabha Election 2024)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের ইটাগড়িয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক, তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী বলেন সিউড়ি-সাঁইথিয়া রাস্তা সারাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তোপ দাগেন। এখনেই শেষ নয়, রাস্তার পিচ তুলে নিয়ে দেখান বলেও জানা গিয়েছে। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল এই রাস্তা। কিছু দিন আগে পূর্ত দফতর কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু এই কাজ নিয়ম মেনে করা হচ্ছে না। আবার স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুবউদ্দিন বলেন, “রাস্তায় পিচ কি কখনও হাতে করে তুলে দেওয়া যায়? এই কাজে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা তাঁকে বললাম। কোনও কাজ হবে না বলে মনে করছি। ভোটে আমরাও বোঝাবো।”

    পূর্ত দফতরের বক্তব্য

    পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উৎপল চৌধুরী বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় মানুষেরা নানা কারণে কাজ আটকে রেখেছেন, না হলে কাজ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। যেখানে কাজ হয়ে গিয়েছে সেখানে কোনও ত্রুটি নেই।”

    আরও পড়ুনঃ “নামটা শাহজাহান বলেই কী বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    আবার তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখন জেলায় প্রচুর তাপমাত্রা রয়েছে। ফলে নতুন কাজ হওয়া রাস্তায় পিচ কিছুটা নরম হয়ে গিয়েছে। ফলে ভুল ত্রুটি ধরতে যাওয়াটা ঠিক নয়।” অবশ্য শতাব্দী যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানুষের এই অভিযোগ বা তোপকে মানতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Hospital: মুম্বই হাসপাতালে ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব, মা ও শিশুর মৃত্যু!

    Mumbai Hospital: মুম্বই হাসপাতালে ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব, মা ও শিশুর মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হাসপাতালে (Mumbai Hospital) ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব করায় মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের তরফে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ইতিমধ্যে মুম্বই নাগরিক সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে ঘটনার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। অপরে পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ করায় অবশেষে বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (বিএমসি) অবশেষে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের আর্থিক রাজধানীতে ঘটনা (Mumbai Hospital)?

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হাসপাতালের (Mumbai Hospital) ডাক্তারেরা সেলফোন টর্চ ব্যবহার করে সিজারিয়ান ডেলিভারি অর্থাৎ সন্তান প্রসাব করার পরেই গর্ভবতী মা এবং তার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি যথেষ্ট মর্মান্তিক। কিন্তু দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বই শহরে ভারতের সবচেয়ে ধনী নাগরিক সংস্থা বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয় এই হাসপাতাল। এই সংস্থা যার বাজেট ৫২০০০ কোটির বেশি। এখানে স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দকৃত পরিমাণ ১২ শতাংশ বা ৬,২৫০ কোটি টাকা। এই রকম একটি জায়গায় এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিবারে তীব্র শোকের ছায়া।

    পরিবারের অভিযোগ

    খুসরুদ্দিন আনসারি, যিনি বিশেষভাবে সক্ষম এবং একটি পা নেই। তাঁর ২৬ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদুনকে তাঁর প্রসবের জন্য মুম্বই (Mumbai Hospital) সুষমা স্বরাজ মাতৃসদনে ভর্তি করান। এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১১ মাস। পরিবারের মূল অভিযোগ, সোমবার প্রসূতি রুমে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং তিন ঘণ্টা জেনারেটর চালু হয়নি। তারা জানান, মা ও সন্তানের মৃত্যুর পরও অন্ধকারে আরেকটি প্রসব করানো হয়। ২৯ এপ্রিল সকাল ৭ টায় স্ত্রী সাহিদুনকে প্রসবের জন্য হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে সারাদিন রেখে দেওয়া হয়। পরে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিবারকে বলা হয়েছিল সবকিছু ঠিক আছে। এমনকী প্রসব স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পরিবারের লোকজন তার সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন সে রক্তে ঢেকে আছে।

    আরও পড়ুনঃ পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্বামীর বক্তব্য

    মৃত সাহিদুনের স্বামী আনসারি বলেন, “প্রসবের জন্য স্বাক্ষর নিতে এসে বলা হয় সব ঠিক আছে, একটি সি-সেকশন প্রয়োজন। তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়, কিন্তু তখনও এই হাসপাতাল আমাদের অন্য হাসপাতালে (Mumbai Hospital) পাঠায়নি। এরপর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফোনের টর্চের সাহায্যে ডেলিভারি করে, কিন্তু ততক্ষণে আমার শিশুটি মারা গিয়েছে। ডাক্তার তখনও বলেছিল মা বেঁচে যাবে। এরপর আমাদের সাইন হাসপাতালে রেফার করে দেয় কিন্তু ততক্ষণে আমার স্ত্রীও মারা গিয়েছেন। সেখানেও অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। আজ আমি যেমন কষ্ট পাচ্ছি, ডাক্তার ও স্টাফদের কষ্ট হওয়া উচিত, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এই হাসপাতাল বন্ধ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • UAE weather: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    UAE weather: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার দুই সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবারও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত (UAE weather) হলো। টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার অনেক আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল (Flights cancelled in Dubai) করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক শহর। বন্যার তোড়ে রাস্তা ডুবে গিয়েছে। ফলে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর দুবাইতে বাতিল হল বহু বিমান। জানা গেছে প্রায় ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমান। 

    বাড়িতেই থাকার অনুরোধ প্রশাসনের

    ইতিমধ্যেই অরেঞ্জ এলার্ট জারি (UAE weather) হয়েছে একাধিক এলাকায়। ফলে দুবাই (Dubai) ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অন্যান্য শহরগুলিতেও বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়িতেই থাকার অনুরোধ করেছে প্রশাসন। এই আবহে ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতি গ্রহণ করেছে বহু সংস্থা। স্কুলগুলি অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। 

    তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (UAE weather) 

    জানা গেছে বুধবার ভোররাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎসহ তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে একটানা ঝড় বৃষ্টির (UAE weather) প্রভাবে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। তবে সরকার জানিয়েছেন যে কোন রকমের জরুরি অবস্থার মোকাবিলার জন্য তৈরি আছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়াও সবসময় দেশের (Dubai) পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দুবাই পুলিশ ও ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজির (NCM) টিম। 

    আরও পড়ুন: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    মরু দেশে হঠাৎ কেন এত বৃষ্টিপাত? 

    দেশের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, গত ৭৫ বছরে এত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়নি। শুষ্ক জলবায়ু ও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ উপসাগরীয় দেশগুলি। তবে সেই মরুদেশেই দেখা দিয়েছে বন্যা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, মরু দেশে (Dubai) হঠাৎ কেন এত বৃষ্টিপাত? এর জন্য ‘ক্লাউড সিডিং’ কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবহাওয়া বিভাগ দাবি করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের (UAE weather) কারণে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Flights cancelled in Dubai) মধ্যে পড়েছে দুবাই।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল রেকর্ড ভাঙা ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE)। যেখানে মরু দেশটিতে এক বছরের গড় বৃষ্টিপাত হয় ৯৪ মিলিমিটার, সেখানে দুদিনে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৫৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share