Tag: news in bengali

news in bengali

  • Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। শুরু করেছিল তদন্তও। এদিন সেই তদন্তেই স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ।

    কেস ডায়েরি তলব

    রাজ্যের কাছে এই ঘটনার কেস ডায়েরিও তলব করেছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ইডি আধিকারিকেরা কি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন? প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অনেক চেষ্টা করেও শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) একই দিনে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল থানায়। এর মধ্যে দুটি এফআইআরের বয়ানে কোনও মিল নেই।

    বিচারপতির প্রশ্ন?

    সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, “এফআইআর নেওয়ার আগে পুলিশ কি ন্যূনতম অনুসন্ধান করেছিল?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “ধরুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ হয়েছে। ন্যূনতম অনুসন্ধান না করেই কি সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর লিখতে বসে যাবেন? আপনার রায় কি সে কথা বলছে? পুলিশের দুটি অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। একটি ঘটনার সঙ্গে অন্যটিকে মেলানো যাচ্ছে না।” তিনি বলেন, “প্রথমে একটি বয়ানে পুলিশ এফআইআর নিল। ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন। আবার দুপুরে আর একজন গিয়ে থানায় উল্টো ঘটনা বললেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেও এফআইআর করা হল। আর তাতেও ওসি সই করে দিলেন!”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে গ্রেফতারে দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, “পুলিশের একবারও মনে হল না, একটু আগে এই একই ঘটনা নিয়ে এফআইআর নেওয়া হয়েছে? আগে যিনি এসেছিলেন তিনি অন্য কথা বলেছেন। তখন দ্বিতীয় জনকে পুলিশ তো সেকথা বলবে। তা না করে চোখ বন্ধ করে ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন! এটা পুলিশের কী ধরনের বোকামি?” বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে চালাকি করা হতে পারে। তাই কোন এফআইআর আগে হয়েছে, কোনটি পরে, তা জানতে এফআইআরের কপি তিনি পাঠাতে পারেন ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Situation: মণিপুরে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার বাহিনীর, নতুন হিংসায় বলি ৪, পৌঁছলেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    Manipur Situation: মণিপুরে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার বাহিনীর, নতুন হিংসায় বলি ৪, পৌঁছলেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরের (Manipur Situation) শান্তি রক্ষা অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার হল বিপুল অস্ত্রশস্ত্র। তার মধ্যেই মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের সফরে গিয়েছেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। 

    রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সেনাকর্তার

    বৃহস্পতিবার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের অশান্ত কাংপোকপি, সেনাপতি, জ্বলামুখি ও চূড়াচাঁদপুরে অবস্থিত অসম রাইফেলসের ফরমেশনে গিয়ে কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি প্রচেষ্টায় জওয়ানদের নিরন্তর প্রচেষ্টাকে বাহবা দিয়ে তাঁদের মনোবল বাড়ান। এছাড়া, রাজ্যের পরিস্থিতি (Manipur Situation) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেণ সিং এবং রাজ্যপাল অনুসিয়া উইকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন জিওসি-ইন-সি। রাজ্যে শান্তি ও স্থিবাবস্থা ফেরানোর জন্য সকল সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান করেন।

    গত বছর মে মাস থেকে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির (Manipur Situation) জেরে জ্বলছে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সবচেয়ে হিংসা-কবলিত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল চূড়াচাঁদপুর। বুধবার সেখান থেকেই বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাহিনী। একইসঙ্গে, তেঙ্গনুপল থেকেও অস্ত্র উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একে-৫৬ রাইফেল থেকে শুরু করে গ্রেনেড, কার্বাইন উদ্ধার হয়। 

    উদ্ধার বিপুল অস্ত্র, গোলাবারুদ

    বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চূড়াচাঁদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— ১টি কার্বাইন, ম্যাগাজিন ও বুলেট সমেত ১টি দেশি ৯এমএম পিস্তল, ৫টি একনলা বন্দুক, ৬টি শেল সমেত ১টি কাঁদানে গ্যাসের বন্দুক, ৮টি এইচই-৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৬টি রবার বুলেট, ১টি এসএলআর ম্যাগাজিন, ৫.৫৬ রাইফেলের বুলেট, ২০টি .৩০ এমএম এম১ কার্বাইনের গুলি। 

    অন্যদিকে, তেঙ্গনুপল থেকে উদ্ধার হয়েছে— ১১টি গুলি সমেত ১টি একে-৫৬ রাইফেল, গুলি সমেত ৫টি দেশি শটগান, ৪টি এইচই-৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, ৫.৫৬ রাইফেলের গুলি, ম্যাগাজিন সমেত ১টি ৯এমএম পিস্তল, দেশি ম্যাগাজিন সমেত .৩০৩ রাইফেল, দেশি গোলা, ৫টি দেশি বোমা, ৪টি আইইডি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ২টি এম১৬ ম্যাগাজিন, ১টি ছুরি, একটি মটোরোলা ওয়ারলেস সেট, ব্যাটারি চার্জার সেট, একে-৪৭ ম্যাগাজিন।

    নতুন হিংসার বলি ৪

    এরই মধ্যে, বুধবার সেখানে নতুন করে হিংসা (Manipur Situation) ছড়িয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলার সীমানা এলাকার কুমবি বিধানসভা কেন্দ্রে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। তাতে নিখোঁজ হন চার জন। বুধবার তাঁধের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সেখানে নতুন করে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চারজন জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। গোটা এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও। বুধবার এ খবর জানান বিশ্বহিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার। এদিনই অলোক কুমারের সঙ্গে আডবাণীর বাসভবনে গিয়েছিলেন আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রবীণ বিজেপি নেতাকে।

    উপস্থিত থাকবেন আডবাণী

    অলোক কুমার জানান, যেহেতু প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আদবানি উপস্থিত থাকবেন, তাই তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হচ্ছে মন্দির চত্বরে। ২২ তারিখে রাম মন্দিরের (Ram Temple) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার বিগ্রহের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। গর্ভগৃহে মূর্তিটি বসাবেন তিনিই। তার পরেই হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানটি ২২ তারিখে হলেও, তার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠান চলবে চার দিন ধরে 

    মন্দির কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি অক্ষত পুজোর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানের দিন গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে দুপুরের শুভক্ষণে। তার পরেই শুরু হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান অনুষ্ঠান। যদিও এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে পুজো-পাঠ। এদিন রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজটি করবেন বারাণসীর পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত  অযোধ্যায় চলবে অমৃত মহোৎসব।

    আরও পড়ুুন: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার মানুষকে। এঁদের মধ্যে তিন হাজারই ভিআইপি। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন সাধু-সন্তরাও। আমন্ত্রিতদের থাকার জন্য ইতিমধ্যেই বুক করা হয়ে গিয়েছে অযোধ্যার হোটেলগুলি। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরেরও। যেহেতু ২২ তারিখে প্রধান অনুষ্ঠান, তাই দেবভক্তরা বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ২৩ তারিখ থেকে। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তাই এই ব্যবস্থা।

    এদিকে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও যাচ্ছেন না কংগ্রেসের কেউ। মন্দির কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে (Ram Temple) আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সিপিএম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য মুইজ্জু মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রীর। তার জেরে গদি টলোমলো মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (India Maldives Row)। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবিও উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্রে।

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    মলদ্বীপের সাংসদ তথা পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতা আলি আজিম ওই দাবি জানিয়েছেন। মোদির অপমান সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রী মুশা জামিরকে কেন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে পার্লামেন্টকে প্রশ্ন করতে বলছেন মলদ্বীপের আর এক সাংসদ মিকালী নাসিম। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘটনার জেরে মলদ্বীপ সফর বাতিল করেন ভারতীয়রা।

    অশনি সঙ্কেত দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

    মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়া হয় ভারতীয় পর্যটকদের তরফে। যেহেতু মলদ্বীপের সিংহভাগ পর্যটকই ভারতীয় এবং তারা মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় অশনি সঙ্কেত দেখেন সে দেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষ। তাঁরাও ভারতের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। ভারতের কাছে (India Maldives Row) ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারাও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে মুইজ্জু সরকার। তা সত্ত্বেও কমেনি ক্ষোভের আঁচ। তার পর থেকে মলদ্বীপে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি। আজিম বলেন, “মুইজ্জুকে পদ থেকে সরাতে যা করতে হয়, করব। তাঁকে অপসারণের জন্য আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনব।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা চাই দেশের বিদেশনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। কোনও প্রতিবেশী দেশকে কোণঠাসা করার চেষ্টা বন্ধ হোক।”

    আরও পড়ুুন: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা চিনপন্থী মুইজ্জুকে দুষে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষত মেরামতের ডাক দিয়েছেন মলদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান ফয়াজ ইসমাইলও। মুইজ্জুর বিরুদ্ধে মলদ্বীপ-ভারত সম্পর্ক নষ্ট করার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ দিদি। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাও। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন মলদ্বীপের দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও। ওই মন্ত্রীদের মন্তব্য ঘৃণার্হ্য বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পরে পরে ভারত সফরে আসতে চেয়েছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু (India Maldives Row)। তবে ভারত বিশেষ আগ্রহ না দেখানোয় ভারত-দর্শন হয়নি মুইজ্জুর। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মলদ্বীপের জুনিয়র তিন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে এসে ঠেকেছে।

    উদাসীন ভারত

    অথচ ভারত মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। এহেন এক দেশের শাসকের ভারত সফর নিয়ে নয়াদিল্লির ‘শৈত্য’ বুঝিয়ে দেয়, চিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় মুইজ্জুর প্রতি ভারত উদাসীন। সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটি ছবির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে সরকার। তার পরেও অবশ্য মলদ্বীপের প্রতি ভারতের ক্ষোভের আঁচ স্তিমিত হয়নি এতটুকুও। যার প্রমাণ,  অতি সম্প্রতি মলদ্বীপের বিভিন্ন হোটেলের ১৪ হাজার টিকিট বাতিল করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা।

    জানুন কারণ

    কী কারণে মলদ্বীপের (India Maldives Row) নয়া শাসকের প্রতি এই শৈত্য প্রদর্শন ভারতের? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ তিনটি। প্রথম কারণটি হল, মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় বসেই মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় সেনাদের দেশে ফিরে যেতে বলে মুইজ্জু সরকার। দ্বিতীয় কারণটি হল, ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে মুইজ্জু লাগাতার ভারত-বিরোধী প্রচার করে চলেছিলেন। সর্বোপরি, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই মুইজ্জু প্রথা ভেঙে ভারতের পরিবর্তে তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর পূর্বসূরিরা প্রথমে ভারত সফর করতেন। পরে যেতেন অন্যত্র।

    আরও পড়ুুন: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    এই তিন কারণে নয়াদিল্লি বুঝে যায়, ভারতের প্রতি মুইজ্জু সরকারের মনোভাব কী। তাই তুরস্ক এবং আরব আমিরশাহি সফর সেরে মুইজ্জু যখন ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নেন, তখন আর বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি। অগত্যা চিন সফরের সিদ্ধান্ত নেন মুইজ্জু। এই সফরের মধ্যেই মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য তাঁর তিন মন্ত্রীর। যার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন হাজার হাজার ভারতীয়। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপে যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁদের সিংহভাগই ভারতীয় (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সে দেশের বিশেষ আদালত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে (Pervez Musharraf) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। যদিও তার প্রায় সাত বছর আগেই পাকিস্তান ছেড়ে প্রয়াত সেনা প্রধান আশ্রয় নিয়েছিলেন দুবাইয়ে। ক্রিমিনাল ট্রায়াল এড়াতেই দুবাইয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত 

    বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয় এই মামলার। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফিরোজ ইসা। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যে সময় ওই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত মুশারফ নিয়েছিলেন, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। মুশারফের (Pervez Musharraf) তরফে করা আবেদন খারিজ করে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, একাধিক নোটিশ পাওয়ার পরে পারভেজ মুশারফের উত্তরসূরিরা মামলাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করেননি। মুশারফের আইনজীবী সলমান সফদর বলেন, “আদালত যখন মুশারফের করা আবেদনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি।”

    দুবাইয়ে প্রয়াত মুশারফ

    গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে প্রয়াত হন পাকিস্তানের একনায়ক শাসক মুশারফ। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বীরবিক্রমে দেশ শাসন করলেও, প্রয়াত একনায়ক শাসককে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয় বিদেশে। ভারতের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল মুশারফের। তাঁর পরিবার বাস করতেন দিল্লিতে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার চলে যান পাকিস্তানে। পরে হয়ে ওঠেন সে দেশের একনায়ক (Pervez Musharraf)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মুশারফ পাকিস্তানের সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন পড়শি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। যার জেরে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ধরাশায়ী হয় পাক সেনা (Pervez Musharraf)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকের কাছে তিনি সাক্ষাৎ ভগবান। কারও কারও কাছে তিনি ভগবানের দূত। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবার কারও কাছে গলার কাঁটাও। এই যেমন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক অবশ্য মুখে কিছু বলেননি।

    অভিষেকের আর্জি

    তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের এই দাপুটে বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর্জি জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোরও। দেশের শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হোক কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আদালতের বাইরে বারংবার যে এক পক্ষের বয়ান তুলে ধরছেন, তা থেকে তাঁকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশও দেওয়া হোক। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে (Abhishek Banerjee) সেই বেঞ্চ। বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেগুলি যাতে ওই বেঞ্চে যায়, তার ব্যবস্থাও করা হোক।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অভিষেকের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রশ্ন করেন, একজন নেতা হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির উৎস কী? তিনি কি তাঁর সম্পত্তির হিসেব সমাজমাধ্যমে পোস্ট করবেন? তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তির উৎস কী? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক যদি সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট করেন, তবে তাঁর সমসাময়িক নেতা, ধরুন, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা অন্য নেতাদের কাছেও একই আবেদন রাখব। তাঁরাও সম্পত্তির হলফনামা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিন, আমরা দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিভিন্ন পদক্ষেপে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ওদের বিভিন্ন চোরেরা জেলে রয়েছেন। আরও কিছু জেলে যাবেন। সেই জন্যই আমার ওপর এত রাগ।” প্রসঙ্গত, ইডি এবং সিবিআই চাইলে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে গত বছরই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    তাই কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aligarh University: ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়, কোনও সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয়’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Aligarh University: ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়, কোনও সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয়’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে’র তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh University) গায়ে। এবার সেই ‘দাগ’ মুছে ফেলতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্ববিদ্যালয় নয়, হতেও পারে না।

    কেন্দ্রের যুক্তি 

    কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।” কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান এই তকমা পায়, তা কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের হতে পারে না। এদিন সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারতীয় সংবিধান রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত গণপরিষদেও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল।” ১৯৮১ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh University) আইন সংশোধন করে একে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ২০০৬ সালে ওই আইন খারিজ করে দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    ধর্মনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী

    আলিগড় ও দিল্লি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে লেগে রয়েছে সংখ্যালঘু তকমা। মোদি সরকারের যুক্তি, এই তকমা অসাংবিধানিক। সংসদের আইনের মাধ্যমে যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, তাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিশেষ তকমা দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল ইউপিএ সরকার এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউপিএ সরকারের সেই আবেদনই প্রত্যাহার করতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন আইন ২০০৬ এর তিন নম্বর ধারা অনুযায়ী আলিগড়ে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ বজায় রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় কোনও জাতীয় ইনস্টিটিউটের উচিত তার ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখা। তাদের প্রথম কাজ হল, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করা। প্রসঙ্গত, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh University) নিজস্ব একটি ভর্তি পদ্ধতি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ৬ দিন পার! এখনও অধরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। কোন ডেরায় তিনি ঘাপটি মেরে বসে আছেন, মেলেনি তার খোঁজ। তবে, বসে নেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ধীরে ধীরে জাল বিছোতে শুরু করে দিয়েছে তারা। আর এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও।

    শাহজাহানকে নিয়ে নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) সরবেরিয়াতে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডেরায় অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই তাদের ওপর হামলা হয়। শাহজাহানের অনুগামীরা বাঁশ, লাঠি ও ইট দিয়ে হামলা চালায় ইডি অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর। হামলার জেরে মাথা ফেটে যায় ৩ ইডি আধিকারিকের। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ি। সেদিনকার মতো সন্দেশখালি থেকে খালি হাতে চলে এলেও, শাহজাহানকে ধরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ইডি। নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    সমন্বয় বৃদ্ধি ও নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্টে জোর

    মঙ্গলবারই, কলকাতায় এসেছিলেন ইডি-র ডিরেক্টর রাহুল নবীন। এখানকার আঞ্চলিক আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে এগোতে হবে তদন্তে, সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে এলাকায় অভিযান হবে আগে সেই এলাকার নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্ট তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটিদের।

    ইডিকে সাহায্যের আশ্বাস বাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির

    এর পাশাপাশি, দ্বিতীয় বৈঠক রাহুল নবীন করেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এবং নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সিজিও কমপ্লেক্সে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, আয়কর ও এনআইএ-র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন ইডি ডিরেক্টর। প্রত্যেক এজেন্সির থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের অনুরোধ করেন। সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি এজেন্সি ইডিকে যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    নতুন করে জাল বিছানোর কাজ শুরু

    এর পরই, শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ধরতে জাল বিছানোর কাজ নতুন করে শুরু করেছে ইডি। তবে, এবার একা নয়। এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও। জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। তাই সেখানে বিএসএফ-এর বিচরণ। শাহজাহান যাতে স্থল বা জলসীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে না পৌঁছতে পারে, তার জন্য বিএসএফ সতর্ক। শাহজাহানের নামে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। তা হাতিয়ার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-কে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আগে অভিযোগ উঠেছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। মানব পাচার যোগ খতিয়ে দেখবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শাহজাহানের আর্থিক হাল হকিকত নিয়ে তথ্য সংগ্রহে আয়কর দফতর। 

    ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা

    ফলে, এজেন্সির ফাঁসে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ধীরে ধীরে তাকে ঘিরে ফেলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। শেখ শাহজাহানকে তাঁর অনুগামীরা ‘বাঘ’ বলে ডাকেন। অনুগামীদের মতে, শাহাজাহান নাকি হলেন ‘প্রকৃত সুন্দরবনের বাঘ’। আবার স্থানীয় একাংশ মানুষের কাছে, তিনি ছিলেন ‘মূর্তিমান ত্রাস’। আতঙ্কের অপর নাম। তাঁর অত্য়াচার দিনের পর দিন সহ্য করতে হয়েছে সেখানকার গরিব সাধারণকে। এখন সেই ‘বাঘ’, সেই ‘মূর্তিমান ত্রাস’ এখন বেপাত্তা। তবে, বেশিদিন নয়। শেখ শাহাজাহানকে ধরতে এবার সঠিক জাল বিছিয়েছে ইডি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাটে’র আগে মোদি-বিন জায়েদের রোড শো, কী বললেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট?

    PM Modi: ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাটে’র আগে মোদি-বিন জায়েদের রোড শো, কী বললেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার উদ্বোধন হয়েছে ভাইব্র্যান্ট গুজরাটের। উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে মঙ্গলবার আমেদাবাদে টানা তিন কিলোমিটার রোড শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিম। 

    ভাইব্র্যান্ট গুজরাট

    ভাইব্র্যান্ট গুজরাট এবার ১০ বছরে পড়ল। এই অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট। এদিন রোড শো-র আগে মহম্মদ বিন জায়েদকে স্বাগত জানাতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দরে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানানোর পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমার ভাই মহম্মদ বিন জায়েদ আপনাকে ভারতে স্বাগত। আপনি ভারত সফরে আসায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি।”

    রোড শো দুই রাষ্ট্রপ্রধানের

    বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয় রোড শো। চলে ১৫ মিনিট ধরে। পরে দুই নেতা গাড়িতে করে চলে যান আমেদাবাদের ইন্দিরা ব্রিগেডে। দুই নেতাকে দেখতে পুরো রাস্তাটার দু’পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে লেখা পোস্টার-ব্যানারে ছয়লাপ গোটা রাস্তা। রোড-শো শেষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদি (PM Modi) ও আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট। এই বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয় চারটি মউ।

    এগুলি হল, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বন্দর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন টিমোরের প্রেসিডেন্ট লেস্টে জোশ রামোশ হোর্তা এবং মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপি জাসিন্টো নিউশির সঙ্গে। বিশ্বের একাধিক গ্লোবাল কর্পোরেশনের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    গত সাত মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এনিয়ে চারবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি (PM Modi) ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট। বৈঠক শেষে মহম্মদ বিন জায়েদ বলেন, “ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অংশীদারিত্ব ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। দুই দেশের সহযোগিতা কীভাবে আরও বাড়ানো যায় এবং দুই দেশের নাগরিকদের স্বার্থে স্থায়ী উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, এদিন মূলত আলোচনা হয়েছে তা নিয়েই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share