Tag: news in bengali

news in bengali

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির (ED) দুই কর্তা। জখম হয়েছিলেন সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনার পরে ওই দিনই সন্ধেয় বনগাঁয় গিয়েও প্রায় একইরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকরা।

    ইডির বিবৃতি

    ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও রাজ্যের শাসক দলের সাফাই ছিল, পুলিশকে না জানিয়ে যাওয়ায়ই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ঘটনায় বিবৃতি জারি করেছে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ইডির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টি ৪৬ মিনিটে ই-মেইল মারফত অভিযানের বিষয়টি জানানো হয় বনগাঁর পুলিশকে। বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়।

    এফআইআরের প্রতিলিপি মেলেনি

    তাঁদের কাছে ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা চাওয়া হয়। তার পরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয়। পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইডি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরের প্রতিলিপি তারা এখনও হাতে পায়নি। সন্দেশখালিকাণ্ডে ন্যাজাট থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি।

    আরও পড়ুুন: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছে ইডি (ED)। আবার সিআরপিএফের মাধ্যমেও ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তিনি রিপোর্ট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে। এদিকে, শাহজাহানকে ধরতে নবান্নের ওপর তৈরি হচ্ছে চাপ। শাহজাহানের গতিবিধি জানতে ও তাকে ধরতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটের টুকরো। এর (ED) পরেই লাঠিচার্জ করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • India Maldives Row: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    India Maldives Row: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর। তার জেরে উত্তাল ভারত। ফি বছর দলে দলে পর্যটক ভারত থেকে বেড়াতে যান মলদ্বীপে। এবার সেই মলদ্বীপ ভ্রমণই বাতিল করছেন সিংহভাগ ভারতীয় (India Maldives Row) পর্যটক। যার জেরে মার খাবে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা।

    মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    অনলাইন ফোরামস এবং ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্মেও ক্ষোভ ওগরানো হচ্ছে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে। মলদ্বীপের তরফে যতক্ষণ না পর্যন্ত অফিসিয়ালি ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মলদ্বীপকে বয়কট করতে অনলাইনে অনুরোধও করছেন অনেকেই। লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি এবং ভিডিও আপলোড করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রেক্ষিতে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী আবদুল্লা মাহজুম মাজিদ। তাঁর দাবি, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয়দের নজর ঘোরাতেই ভারতের (India Maldives Row) প্রধানমন্ত্রী লাক্ষাদ্বীপের ছবি দিয়েছেন। তিনি এও বলেন, “লাক্ষাদ্বীপকে ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে ভারত। বিচ ট্যুরিজমের সাম্রাজ্যে মলদ্বীপকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে ভারত।” 

    ‘আমি আত্মনির্ভর’

    এর পরেই দলে দলে ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করেছেন। বিমানের টিকিট বাতিল এবং হোটেল-রেস্তরাঁর বুকিং বাতিলের স্ক্রিনশটও ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (India Maldives Row)। অক্ষিত সিংহ নামে এক নেট নাগরিক লিখেছেন, “দুঃখিত মলদ্বীপ। আমার নিজস্ব লাক্ষাদ্বীপ রয়েছে। আমি আত্মনির্ভর।” প্রসঙ্গত, ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই মোদির প্রতিই অবমাননাকর মন্তব্য করায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    স্পোর্টস ফিজিওথেরাপিস্ট ফলক জোশীপুরা ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিনটি কাটাতে চেয়েছিলেন মলদ্বীপে। কথা ছিল জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি হবে অমেয় কুদা রাহ রিসর্টে। মলদ্বীপের মন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে মলদ্বীপ ট্রিপ বাতিল করে দিয়েছেন ওই ফিজিওথেরাপিস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমার জন্মদিন ২ ফেব্রুয়ারি। মলদ্বীপ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে ফাইনাল কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছিল।

    মলদ্বীপের এক ডেপুটি মন্ত্রীর মন্তব্যের কথা জানতে পেরে আমি মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করেছি।” চলচ্চিত্র নির্মাতা রুশিক রাওলও বাতিল করেছেন মলদ্বীপ ভ্রমণ। তিন সপ্তাহ ধরে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে মলদ্বীপের পালম রিট্রিটে থাকার কথা ভাবছিলেন রাওল। মন্ত্রীর মন্তব্যকে জাতিবাদ বলে দেগে দিয়েছেন রাওল। তিনিও জানিয়েছেন, মলদ্বীপের মন্ত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিলের প্রাথমিক কারণ (India Maldives Row)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা।

    আদালতে শুভেন্দু 

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “ওরা চাপে আছে। ওরা আদালতে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চায়। বরিশালের সঙ্গে যোগ আছে। বাংলাদেশে পাচারে যুক্ত শাহজাহান।” বাংলাদেশের বন্ধু সরকার শাহজাহানকে ধরতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    এনআইএ দাবি

    তিন বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান যে জড়িত, তা আগেই জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সোমবার শুভেন্দুও বলেন, “কেবল রেশন কেলেঙ্কারি নয়, তিনজনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনটি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির দুই মহিলা আমার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই দুই পরিবারের ন’জনকে আমি নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।” বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁর টিকি না ছোঁওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থের! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতেই খুন হন বিজেপির তিন কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিরাপত্তা নেই। তাই বাংলায় নির্বাচনকে ঘিরে এত হিংসা।” তিনি বলেন, “সিপিএম শুরু করেছিল। বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল (রবিবার) ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটাও কথা নেই কেন?” জায়ান্ট কিলার (গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে এই নামেই পরিচিত শুভেন্দু) (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনজনের দেহ লোপাট করেও স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। ওই মামলা রি-ওপেন করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডবল সেঞ্চুরি পার আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুশোর বেশি আসনে জয়ী (Bangladesh Elections 2024) হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল। হাসিনার জয়ে উচ্ছ্বসিত ভারত। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে হাসিনাকে জানান ভার্মা।

    হাসিনা-ভার্মা বৈঠক

    বস্তুত ভার্মাই প্রথম দূত, যিনি হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আওয়ামি লীগ সরকারের নয়া ইনিংসে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভার্মা। দুই দেশই তাদের জাতীয় উন্নয়নে সাহায্য করবে বলেও আলোচনা হয়েছে হাসিনা-ভার্মা বৈঠকে। ভারত যে সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, বৈঠকে তাও জানান ভার্মা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, বাংলাদেশ যাতে স্থায়ী, উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সেজন্য সাহায্যের হাত (Bangladesh Elections 2024) বাড়াবে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে ভারত পাশে ছিল, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বন্ধুত্ব, তাও অটুট থাকবে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন ভার্মা।

    বিপুল ভোটে জয়ী হাসিনা 

    রবিবারই হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। যদিও তাতে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশের নাগরিকরা। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি বাদে সে দেশের সব রাজনৈতিক দলই। বহু নির্দল প্রার্থীও ছিলেন নির্বাচনী ময়দানে। গোপালগঞ্জ-৩ কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হন আওয়ামি লীগ সুপ্রিমো হাসিনা। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার ৯৬২টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহম্মদ আতিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৯৯৯টি ভোট। প্রধানমন্ত্রীর আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুর মোল্লার ঝুলিতে পড়েছে মোটে ৪২৫টি ভোট।  

    আরও পড়ুুন: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    এনিয়ে হাসিনা সংসদে গেলেন পাঁচ বার। হাসিনার দল জয়ী হয়েছে ২২৩টি আসনে। রবিবার ভোটগ্রহণ শেষেই শুরু হয় গণনা। প্রথম থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন হাসিনার দলের প্রার্থীরা। গণনা শেষে দেখা যায় ২২৩টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে আওয়ামি লীগ। ফল বের হওয়ার ঢের আগেই হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনার ফাঁদে পা দিতে নিষেধ করেন। কোনও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যাতে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা মারপিটে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারেও সর্তক করে দিয়েছিলেন (Bangladesh Elections 2024) হাসিনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Row: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    India Maldives Row: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল সাসপেন্ড করলেই হবে না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে। সোমবার ভারতে নিযুক্ত মলদ্বীপের (India Maldives Row) রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে সাফ জানিয়ে দিল ভারত।

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    এদিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তলব করা হয় ভারতে নিযুক্ত মলদ্বীপের হাইকমিশনারকে। তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের করা মন্তব্যের প্রভাব পড়েছে ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। এর জন্য দায়ী মলদ্বীপই। এই সম্পর্ক মেরামত করার দায় মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজুর। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এও বলা হয়, জুনিয়র ওই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করলেই হবে না, তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে।

    এঁরা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টেরই প্রতিনিধি!

    সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল (India Maldives Row) হয়। অভিযোগ, মলদ্বীপের ওই মন্ত্রীরা এরকমই কয়েকটি ছবিতে মোদিকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এরই প্রেক্ষিতেই সাসপেন্ড করা হয় তিন মন্ত্রীকে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজনই মহিলা। এঁরা মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    আরও পড়ুুন: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ভারতপন্থী। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজু চিনপন্থী। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ইব্রাহিমকে হারিয়েই ক্ষমতায় আসেন চিনপন্থী শাসক হিসেবে পরিচিত মুইজু। তাই মুইজু ক্ষমতায় আসার পর যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি ঘটবে, তার একটা ইঙ্গিত ছিলই। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মুইজু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। কিছু দিনের মধ্যেই চিন সফরে যাচ্ছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে ফান্ড নিয়ে দরবার করবেন। তার আগে মন্ত্রীদের দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এহেন কুরুচিকর মন্তব্য করানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিদেশের নেতা এবং পদস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে যেসব অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়, সে সম্পর্কে মলদ্বীপ সরকার সচেতন। এই জাতীয় মন্তব্য ব্যক্তিগত এবং তা মলদ্বীপ সরকারের (India Maldives Row) দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচায়ক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Row: “মন্ত্রীদের মন্তব্য আপত্তিকর, লজ্জাজনক, বৈষম্যমূলক”, বললেন মলদ্বীপের সাংসদ

    India Maldives Row: “মন্ত্রীদের মন্তব্য আপত্তিকর, লজ্জাজনক, বৈষম্যমূলক”, বললেন মলদ্বীপের সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীকে। তারপরেও থিতু হয়নি বিতর্ক। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামলেন সেদেশের সাংসদ তথা প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার এলভা আবদুল্লা।

    কী বললেন মলদ্বীপের সাংসদ?

    দেশের (India Maldives Row) মন্ত্রীদের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “মন্ত্রীদের ওই মন্তব্য আপত্তিকর, লজ্জাজনক এবং বৈষম্যমূলক।” আবদুল্লা বলেন, “ভারত ঠিকই বলছে। তাদের রেগে যাওয়াই স্বাভাবিক। যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা আপত্তিকর। তবে ওই মন্তব্য মলদ্বীপের সধারণ মানুষের মতামত নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই লজ্জাজনক এবং বৈষম্যমূলক মন্তব্যের জন্য ভারতের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।”

    মোদির প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল (India Maldives Row) হয়। অভিযোগ, মলদ্বীপের ওই মন্ত্রীরা এরকমই কিছু ছবিতে মোদিকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এই প্রেক্ষিতেই সাসপেন্ড করা হয় তিন মন্ত্রীকে।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তোলেন মলদ্বীপের দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি এবং মহম্মদ নাসিদ। তাঁরা জানান, মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এহেন মন্তব্য প্রভাব ফেলতে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। মহম্মদ নাশিদও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মরিয়ম শিউনারও অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন ও একে ‘ভয়াবহ ভাষা’ বলে অভিহিত করেছেন। মলদ্বীপের প্রাক্তন মন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ বলেন, “ভারতীয়রা যদি মলদ্বীপকে পর্যটনস্থল হিসাবে বয়কট করে তবে তা মলদ্বীপের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।” তিনি বলেন, “মুইজু সরকারের উচিত ভারতীয়দের কাছে ক্ষমা চাওয়া।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির অপমানে ক্ষুব্ধ অক্ষয়-সলমনরা, দেশের দ্বীপগুলিতে যাওয়ার আর্জি সচিনের

    মলদ্বীপের সাংসদ বলেন, “এটি গুরুত্বপূর্ণ যে মলদ্বীপ সরকার মন্ত্রীর মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। আমি জানি সরকার মন্ত্রীদের বরখাস্ত করেছে, কিন্তু আমি মনে করি যে মলদ্বীপের সরকারের আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “আমরা ভারতের ওপর কতটা নির্ভরশীল, তা তারাও ভালো করে জানে। যখনই আমাদের প্রয়োজন, ভারত সর্বদাই প্রথম সাড়া দিয়েছে।” আবদুল্লা বলেন, “আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক, সামাজিক সম্পর্ক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও পর্যটন ইত্যাদি বিষয়ে (India Maldives Row) ভারতের ওপর নির্ভরশীল ও মলদ্বীপের জনগণ এর জন্য অন্ত্যন্ত কৃতজ্ঞ…।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bilkis Bano Case: দোষীদের ফিরতে হবে জেলেই, বিলকিস বানো মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Bilkis Bano Case: দোষীদের ফিরতে হবে জেলেই, বিলকিস বানো মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ধর্ষকদের। মুক্তি পাওয়া ওই ১১ জন ধর্ষককে ফিরে যেতে হবে জেলে। বিলকিস বানো মামলায় (Bilkis Bano Case) গুজরাট সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা এক্তিয়ার বহির্ভুত বলেও জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, এই মামলার শুনানি চলবে।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

    সোমবার বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই গুজরাট সরকারের ছিল না। কারণ এই মামলার শুনানি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তাই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে মহারাষ্ট্র সরকারই। ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর হিংসার ঘটনা ঘটে গুজরাটে। এই সময় দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে (Bilkis Bano Case) গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর বছর তিনেকের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা।

    মুক্তি দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসে

    বিলকিসের মেয়ের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের আরও সাত সদস্যকেও খুন করা হয়। মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে দোষীদের কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় সিবিআইয়ের ওই আদালত। বছর দুয়েক আগে মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানায় দোষীরা। এ ব্যাপারে গুজরাট সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে আদালত। সরকার ১১ জন ধর্ষকের মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। ছাড়পত্র মেলে সুপ্রিম কোর্টেও। তার পরেই ২০২২ সালের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মেয়াদ শেষের আগেই ধর্ষকরা ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় হইচই পড়ে যায়। ধর্ষকদের মুক্তিতে শুরু হয় বির্তকও। যদিও গুজরাট সরকার জানিয়েছিল, সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন ভালো আচরণ করায় মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের। এদিন রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ধর্ষকদের মুক্তির নির্দেশ বা অব্যাহতির আদেশ যথাযোগ্য নয়। তাই বিলকিস বানোর (Bilkis Bano Case) ধর্ষকদের মুক্তি বাতিল করছে শীর্ষ আদালত। আদালত এও জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তদের আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে টেলিফোন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Sukanta Majumdar)। এই একই ইস্যুতে তাঁকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। শুভেন্দুর মতো তিনিও এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন।

    আক্রান্ত ইডি

    রেশন কেলেঙ্কারি কাণ্ডের মূলে কুঠারাঘাত করতে শুক্রবার সাত সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছে যান ইডির তদন্তকারীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁরা গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে। সেখানে ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বেনজির মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।

    শাহকে চিঠি সুকান্তর

    এই ঘটনায়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত। চিঠির এক জায়গায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি লিখেছেন, “আমি আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি সন্দেশখালিকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিন। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা জানতে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন।” তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেছেন, এটি একটি সাংবিধানিক সমস্যা। রাজ্যপালের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রয়োজন রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা। সন্দেশখালির অকুস্থলে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করতেও অনুরোধ করি আপনাকে। যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।”

    আরও পড়ুুন: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে রোহিঙ্গা যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে ক্যাম্প করে রাখেন। তারপর তাদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।” তিনি বলেন, “বিজেপির তিন কর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এঁদের মধ্যে দু’জনের দেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপি (Sukanta Majumdar) সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “বাংলায় বারংবার গণতন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে। তাই ইডি কর্তারা আক্রান্ত হয়েছেন। যেসব সংগঠন দেশ বিরোধী কাজ করছে, তারা ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে বম্ব-পিস্তল ইত্যাদি। যদিও যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তাই এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে জারি করা হোক জরুরি অবস্থা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্বোচিত আক্রমণ এবং তাণ্ডব রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে সভ্য সমাজের গণতান্ত্রিক সরকারকে।” শুক্রবার সন্দেশখালিকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V ananda Bose)। তিনি বলেন, “সরকার তার ন্যূনতম কর্তব্যপালনে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে। বাংলায় নয়।”

    ‘মগের মুলুক নয়’

    তিনি বলেন, “বাংলা কোনও মগের মুলুক নয়। সরকারের উচিত তার কর্তব্য করা। যাঁরা ভাবছেন, আমি ডনের মাধ্যমে শাসন করছি, আর তাঁরা শীঘ্রই নিজেদের ‘ডন কুইকজোট’ (স্প্যানিশ মহাকাব্য) হিসেবে দেখতে পাবেন। এটা প্রাক নির্বাচনী পর্বের হিংসা। অবিলম্বে এই হিংসায় লাগাম টানা প্রয়োজন। সমাজের এই হিংসা নিহিত সরকারের সঙ্গেই। চারদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।” রাজ্যপাল বলেন, “হিংসা ও গুন্ডাগিরিতে রাশ টানার সময় এসে গিয়েছে। বাংলায় হিংসার অবসান ঘটবে। অপশাসন চলবে না। সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বর্বরতা ও নৈরাজ্যকে কঠোর হাতে দমন করা। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান চলবে নিজের পথে।”

    রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, অবিলম্বে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির মামলার শুনানি (C V ananda Bose) পর্বে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?”

    আরও পড়ুুন: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির গভীরে পৌঁছতে শুক্রবার সাত সকালে ইডির আধিকারিকরা যান সন্দেহখালিতে। এখানে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দোরে খিল এঁটে বসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই দরজা ভেঙে শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ানও জখম হন। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডামাডোলের (C V ananda Bose) বাজারে গা-ঢাকা দিতে পারেন শাহজাহান। সরিয়ে ফেলা হতে পারে তাঁর বাড়িতে থাকা (যদি থাকে) কাগজপত্রও।  

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি তদন্তকারীরা মার খান, তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে?” শুক্রবার ভরা এজলাসে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    সন্দেশখালির মামলার শুনানি পর্বে তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “তোমরা কী করছ? তোমাদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পার না? দু’জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠাও।” রাজ্যে একাধিক কেলেঙ্কারির জট খুলতে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে তারা হানা দিয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বাড়িতে। এই তালিকায় রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরাও। এহেন হেভিওয়েটদের বাড়ি কিংবা অফিসে নির্বিঘ্নে তদন্ত চালালেও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের ওপর হামলা চালালেন তৃণমূলের এক ‘পেটি’ নেতার অনুগামীরা!

    শাহজাহানের দাপট!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, শাহজাহান মোটেই ছোটখাট দরের কোনও নেতা নন। বাম আমলেই মাথা তুলেছিলেন তিনি। তৃণমূল জমানায় ঘাসফুল শিবিরে ঢুকে পড়ায় প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) থাকে শাহজাহানের দাপট। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়ায় কার্যত সাপের পাঁচ পা দেখেন শাহজাহান। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই আড়ে-বহরে বেড়েছে শাহজাহানের প্রতিপত্তি। এহেন শাহজাহানের অনুগামীরাই এদিন হামলা চালিয়েছে ইডির আধিকারিকদের ওপর। যার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    গত এপ্রিলেই যাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “রাজনৈতিক নায়ক হওয়ার জন্য এক্তিয়ার-বহির্ভুত কাজ করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” বলেছিলেন, “বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির মদতে ঠান্ডা মাথায় অভিষেকের চরিত্রহনন করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” তার পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র বলেছিলেন, “চেয়ার ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।” ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলের এই নেতা লিখেছিলেন, “যেভাবে কোনও ক্ষেত্রে বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে নিজের উইশ লিস্ট বলা হচ্ছে, নিজেকে ব্যক্তি প্রচারে হিরো সাজানোর চেষ্টা চলছে, তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ওই চেয়ারটা ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।”

    এহেন কুণালের দলের এক নেতার অনুগামীদের হামলায় জখম হয়েছেন ইডি কর্তারা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তদন্ত কীভাবে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এহেন আবহে ফের তৃণমূল কী প্রতিক্রিয়া দেয়, তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share