Tag: news in bengali

news in bengali

  • Iran Blast: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল ইরানের শহর, মৃত্যু মিছিলে শতাধিক লাশ

    Iran Blast: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল ইরানের শহর, মৃত্যু মিছিলে শতাধিক লাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Iran Blast) কেঁপে উঠল ইরানের কেরমান শহর। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। জখম হয়েছেন ১৪১ জন। সাম্প্রতিক অতীতে এমন ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়নি এ শহর। বুধবার বিস্ফোরণটি ঘটে নিহত কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির কবরস্থানের কাছে।

    সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ!

    রাজধানী তেহরান থেকে অকুস্থলের দূরত্ব ৮২০ কিলোমিটার। ঘটনাটিকে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন কেরমান প্রভিন্সের ডেপুটি গভর্নর রাহাম জালানি। মঙ্গলবারই হামাসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সেলে আল আরুরি-র মৃত্যু হয়। বেইরুট ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় ইজরায়েলকেই দায়ি করেছে লেবানন। এই হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। তার পরে পরেই ইরানে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় শঙ্কিত কেরমানের বাসিন্দারা। ইরানের (Iran Blast) সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দু ব্যাগ বোমা বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে। কেরমান শহরের মেয়র সঈদ তাবরিজি জানান, বোমার ব্যাগগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ১০ মিনিট ছাড়া।

    বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন দেহ

    প্রসঙ্গত, ইরানের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সুলেমানি, ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একটি মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ঘায়ে নিহত হন তিনি। এদিন প্রয়াত এই কমান্ডারের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বহু মানুষ। আচমকা বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান তাঁদের অনেকই।

    ইরানে প্রয়াত এই কমান্ডারের জনপ্রিয়তা খুব কম নয়। ২০১৮ সালের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, ইরানের ৮৩ শতাংশ মানুষ সোলেইমানির পক্ষে রয়েছেন। যা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাসান রউহানি এবং বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জারফির চেয়ে ঢের বেশি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে হামাসের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে ইরান। স্বাভাবিকভাবেই তারা রয়েছে ইজরায়েলের বিষ নজরে। দিন কয়েক আগেই ইরান জানিয়েছিল, যারা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে, তাদের যথোচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। তার পরেই ঘটল এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনা (Iran Blast)।

    নিছকই কাকতালীয়, নাকি ঘটনার পরম্পরা!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়ঃ-তত্ত্বকে কেন্দ্র করে অশান্তি চরমে তৃণমূলে। রবিবার পার্টির জন্মদিন থেকেই চলছে গৃহযুদ্ধ। সন্ধিস্থাপনে বৈঠকে বসেছিলেন বুয়া-ভাতিজা। তার পরেও যে দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি, বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তাপস রায়ের মমতা-বৃত্তের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁদমারি করাই তার প্রমাণ।

    শুভেন্দুর চিত্র-তত্ত্ব

    তবে তৃণমূলে কারা নবীন, প্রবীণই বা কারা এক্স হ্যান্ডেলে একটি ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তা তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিত্রে দেখা যাচ্ছে, নবীন-বৃত্তে রয়েছেন কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া নেতারা। আর প্রবীণ-বলয়ে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্য এবং জ্যোতিপ্রিয়র মতো গ্রেফতার হওয়া নেতারা। ওপরে লেখা, “তোলামূলের দুই ভাগ, তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, তোলামূলের আপাদমস্তক সবাই চোর।”

    গা বাঁচানোর চেষ্টা তৃণমূল নেতাদের!

    তৃণমূলের এই নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাতে গর্দান না যায়, তারও চেষ্টা করছেন অনেকে। এই (Suvendu Adhikari) যেমন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া উদয়ন গুহু। কোচবিহারের এই নেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলে অভিষেকের ধারেকাছে কেউ নেই। নতুন প্রজন্মকে মানতেই হবে। আর যাঁরা নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে পারেন না, তাঁদের চেয়ে ব্যর্থ আর কেউ নেই।” অনেকে আবার ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’র মতো আচরণ করছেন। দলের এই অংশটি অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা স্বীকারই করছেন না। কেউ কেউ আবার মমতা না অভিষেক কোন ফ্যান ক্লাবে ঢুকবেন, তা বুঝতে না পেরে আপাতত জল মাপছেন। তবে দলে অভিষেকের উত্থান যে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভালোভাবে নেননি, তার প্রমাণ মিলেছে আগেই।

    ঘনিষ্ঠ মহলে অভিষেক বলেছিলেন, তিনি শুধু তাঁর কেন্দ্রটি (ডায়মন্ড হারবার লোকসভা) নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন, অন্য কেন্দ্রগুলি নিয়ে নয়। নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্বের জল যে অনেক দূর গড়াতে চলেছে, তা আঁচ করে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ, তাপস রায় সহ তাঁর ফ্যান ক্লাবের কয়েকজন। তার পরের দিনই হয় বুয়া-ভাতিজা বৈঠক। তার পরেও অবশ্য নেভেনি তৃণমূলের গৃহযুদ্ধের আগুন (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুুন: বুধেও জারি তৃণমূলের অন্তর্কলহ, সুদীপকে ফের নিশানা তাপসের, এবার কী বললেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Spy Ship: মোদির কূটনীতির জয়, ১ বছরের জন্য চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ

    Chinese Spy Ship: মোদির কূটনীতির জয়, ১ বছরের জন্য চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের কোনও গবেষণামূলক (পড়ুন গুপ্তচর) জাহাজকে (Chinese Spy Ship) এক বছরের জন্য তাদের কোনও বন্দরে প্রবেশ বা এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক এলাকায় (ইইজেড) কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে ভারতকে আশ্বাস দিল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka India Relations)। 

    আপত্তির কথা শ্রীসঙ্কাকে জানিয়েছিল ভারত

    গত জুলাই মাসের সাক্ষাতে চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)  ইস্যুতে ভারতের অসন্তোষের কথা দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘের সমানে উত্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের নিরাপত্তাজনিত এবং কৌশলগত উদ্বেগকে যাতে সম্মান করা হয়, সেই অনুরোধও নয়াদিল্লির তরফে কলম্বোকে করা হয়েছিল। এর পরেই শ্রীলঙ্কার তরফে এই পদক্ষেপ করা হল। গত সপ্তাহে কূটনৈতিক মাধ্যমে ভারতকে এই স্থগিতাদেশের কথা জানানো হয় শ্রীলঙ্কার তরফে (Sri Lanka India Relations)। শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে সোমবার, অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই। 

    আগেও শ্রীলঙ্কায় আসে একাধিক চিনা গুপ্তচর জাহাজ

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী ৫ জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার, ভারত মহাসাগরের গভীর জলে ‘গবেষণা’ করার জন্য কলম্বো বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল চিনের জাহাজ ইয়াং হং ৩-এর (Chinese Spy Ship) । কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। বদলে আগামী ১ বছরের জন্য চিনা জাহাজের ঠাঁই নেওয়া স্থগিত করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন। মে মাস পর্যন্ত জাহাজটির সেখানে থাকার কথা ছিল বলে শ্রীলঙ্কাকে জানিয়েছিল চিন। এই প্রথম নয়। এর আগেও, গবেষণার নাম করে শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ২০২২ সালে চিনের নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল। এর পর গত বছর অগাস্ট মাসে দ্বীপরাষ্ট্রে ঘাঁটি গেড়েছিল পিএলএ-র জাহাজ ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’।

    লক্ষ্য ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারি

    বার বার চিনা গুপ্তচর জাহাজের (Chinese Spy Ship)  এভাবে শ্রীলঙ্কার বন্দরে আসাটা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ভারত। গত বছর এই নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে কলম্বোকে সেই বার্তা দিয়েছিলস নয়াদিল্লি। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আপত্তির কথা (Sri Lanka India Relations)। চিন দাবি করে আসছিল, এই জাহাজগুলি একবারেই গবেষণামূলক। কিন্তু, ভারতের আশঙ্কা ছিল যে, পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারি করতেই বার বার শ্রীলঙ্কায় ভিড়ছে এই জাহাজগুলি। এই নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোট ৪৮টি চিনা বৈজ্ঞানিক গবেষণা জাহাজ মোতায়েন করা হল। পাশাপাশি, চিনা নৌসেনার অন্তত ২৫টি যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। এই নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়ছিল। তবে, এবার শ্রীলঙ্কাকে পাশে পেল ভারত। যে কারণে, তীরে এসেও তরী ভেড়াতে পারল না চিন। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন ভারত মহাসাগরের আরেকটি দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের দিকে এগোচ্ছে ওই জাহাজ।

    ভারতকে এখন চটাতে চাইছে না শ্রীলঙ্কা…

    শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্তকে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান নেতৃত্ব ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এখন চটাতে চাইছে না। কারণ, এখন দ্বীপরাষ্ট্রে বন্দর উন্নয়নে বড় বরাত পেয়েছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী। সেই প্রকল্পে আবার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ত, আর্থিক দুরবস্থার কবলে পড়া শ্রীলঙ্কার বিপদের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সাহাজ্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। সমুদ্রসীমা নিরাপত্তায় দ্বীপরাষ্ট্রের হাতে ডর্নিয়ার নজরদারি বিমান তুলে দিয়েছিল ভারত। পাশাপাশি, চিন (Chinese Spy Ship) নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে সম্প্রতি সাবধান করে আমেরিকাও। এমতাবস্থায়, এখন ভারতকে চটালে আখেরে তাদেরই যে প্রভূত ক্ষতি হবে এটা বুঝেছে লঙ্কা-প্রশাসন (Sri Lanka India Relations)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Inner Clash: বুধেও জারি তৃণমূলের অন্তর্কলহ, সুদীপকে ফের নিশানা তাপসের, এবার কী বললেন?

    TMC Inner Clash: বুধেও জারি তৃণমূলের অন্তর্কলহ, সুদীপকে ফের নিশানা তাপসের, এবার কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলের পর বুধবারও গড়াল তৃণমূলের দ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জের। এদিন প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায় নিশানা করলেন দলেরই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার সুদীপকে আক্রমণ শানিয়ে তাপস বলেছিলেন, “রাজনীতি না করে অভিনয় করলে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেতেন সুদীপ”। বুধবার ফের তাপস বলেন, “যারা মমতাপন্থী, যারা তৃণমূলপন্থী, যারা অভিষেকপন্থী, সুদীপ তাদের পছন্দ করে না।”

    সুদীপের জবাব

    মঙ্গলবারই তাপসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুদীপ বলেছিলেন, “একটা কথাই বলব, হাতি চলে বাজার…। আর কিছু বলব না।” তিনি বলেন, “কে, কী বলবেন, সেটা তাঁদের নিজের রুচির ব্যাপার। মানুষ বিচার করবেন।” পাল্টা (TMC Inner Clash) জবাবে তাপস বলেন, “ও নিজেকে হাতি ভাবে, কিন্তু ও মোটেই হাতি নয়। আর যদি হাতি হয়, সেটাও সাদা হাতি, সব ক্ষেত্রেই অনুৎপাদক।” তাপস বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তৃণমূল করি। কিন্তু যদি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুষ্ট করে চলতে হয়, তাহলে নিশ্চয়ই আমাকে ভাবতে হবে।”

    তাপসের পাল্টা

    তিনি বলেন, “দলে কিছু লোক বিভাজন করতে চাইছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুদীপ ভুলে গিয়েছে ওর থেকে বেশি দিন তৃণমূল করি। উত্তর কলকাতাজুড়ে গোষ্ঠীবাজি করছে।” তাপস বলেন, “উনি (সুদীপ)ছ’-সাত বছর দলে ছিলেন না। বলেছিলেন, দলটা ছ’ মাস থাকবে তো! এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে কী করেছিল, তার সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। প্রয়োজনে সব তুলে ধরব। এক সময় বলেছিলেন, আমি হেরেছি তো কী হয়েছে, তৃণমূলকে তো হারিয়েছি। এত বছর ধরে আমার ওপরে যে অন্যায় হয়েছে, তার বিচার হোক।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    প্রসঙ্গত, রবিবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে সুদীপ বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন থাকবেন না, সেদিন বাংলার অবস্থা ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো হয়ে যাবে।” এর প্রেক্ষিতেই তাপস নিশানা করেন সুদীপকে।

    প্রসঙ্গত, বয়ঃ-তত্ত্ব নিয়ে তৃণমূলে শুরু হয়েছে নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব। যার জেরে খোদ তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁরই ভাইপো তথা দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। পরে অবশ্য ধামাচাপা দেওয়া হয় নবীনের ক্ষোভের আগুনে। এই দ্বন্দ্বেরই জের তাপস-সুদীপের বাক-যুদ্ধ। তাপস ও সুদীপ দুজনেই প্রবীণ হলেও, তাপস অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলে তৃণমূলে (TMC Inner Clash) পরিচিত। আর সুদীপ মমতা-বৃত্তের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Arvind Kejriwal: “অপরাধীর মতো পালাচ্ছেন”, ইডির সমন এড়ানোয় কেজরিওয়ালকে তোপ বিজেপির

    Arvind Kejriwal: “অপরাধীর মতো পালাচ্ছেন”, ইডির সমন এড়ানোয় কেজরিওয়ালকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডির ডাকে সাড়া দিলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আজ, ৩ জানুয়ারি তাঁকে ইডির দফতরে দেখা করতে বলে সমন পাঠানো হয় ২২ ডিসেম্বর। ৩ জানুয়ারি, বুধবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইডির দফতরে আসছেন না তিনি। ইডির দফতরে আসতে না পারার কারণও দর্শিয়েছেন আপ সুপ্রিমো। তবে দলের তরফে বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালকে সমন পাঠানো হচ্ছে গ্রেফতার করার জন্য। আপের দাবি, ‘ওরা (বিজেপি) চায় না, উনি (কেজরিওয়াল) নির্বাচনে প্রচার করুন। কেজিরওয়ালকে থামাতেই এই নোটিশ।’

    ইডির সমন এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, এনিয়ে তৃতীয়বার ইডির সমন এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে তাঁকে তলব করা হয়েছিল প্রথমে ২ নভেম্বর ও পরে ২১ ডিসেম্বর। দু’ বারই ইডির সমন এড়িয়েছেন তিনি। প্রথমবার কেজরিওয়াল গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারের কাজে। আর দ্বিতীয়বার কারণ হিসেবে তাঁর দলের তরফে জানানো হয়েছিল, যোগাভ্যাস অনুশীলনের জন্য। ওই দু’বারই আপের তরফে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ডেকে পাঠানো হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে (Arvind Kejriwal)।

    কেজরিওয়ালকে ইডি যে সমন পাঠাচ্ছে, তা আইনত বৈধ নয় বলেও দাবি আপের। এদিনও ইডিকে অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে গিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁকে পাঠানো ইডির সমন বেআইনি। তদন্তে সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত তিনি। যে কোনও আইনত বৈধ সমনেরও জবাব দিতে রাজি তিনি। তবে তার আগে সরাতে হবে বেআইনি সমনগুলি।

    বিজেপির নিশানায় কেজরি

    বারংবার ইডির সমন এড়ানোয় কেজরিওয়ালকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম পার্টির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “আজ, আবারও অরবিন্দ কেজরিওয়াল তৃতীয় সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি একজন অপরাধীর মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।” তিনি বলেন, “এ নিয়ে তৃতীয়বার ইডির সমন এড়ালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ থেকে প্রমাণ হয়, তিনি কিছু লুকোচ্ছেন। তাই তিনি (Arvind Kejriwal) অপরাধীর মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আদালত মণীশ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিংহকে জামিন দেয়নি। আদালত এটা প্রতিষ্ঠা করেছে যে, অর্থ তছরুপের ঘটনা ঘটেছে। তারা একই ভিক্টিম কার্ড খেলছে।” প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারির সূত্রে ইডি সমন পাঠিয়েছে কেজিরিওয়ালকে।

     

    আরও পড়ুুন: ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘সিট’ গঠনের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘সিট’ গঠনের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে স্বস্তি পেলেন গৌতম আদানি। সেবির নিয়ম লঙ্ঘন করে শেয়ারের দর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে সেবিরই তদন্তে ভরসা রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।

    কী বলল আদালত?

    বুধবার মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। বেঞ্চ জানায়, কোনও অসমর্থিত রিপোর্টে ভরসা করে জাতীয় স্তরের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তে সন্দেহ করা ঠিক নয়। এই রিপোর্টকে বড় জোর এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে দেখা যেতে পারে, প্রামাণ্য নথি হিসেবে নয়। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে যে ‘সিট’ গঠনের দাবি উঠেছিল, এদিন তাও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    সেবির তদন্তেই আস্থা

    প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে মার্কিন শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে নিজেদের নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেবির নিয়মকে ফাঁকি দিতে ভুঁইফোঁড় বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের সংস্থার শেয়ার কিনিয়েছে তারা।’

    এর ভিত্তিতেই দুটি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তারই একটিতে সিট গঠনের আর্জি জানানো হয়। এই মামলারই রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় সিট গঠন করা হবে না। সেবির তদন্তেই আস্থা রাখছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বেঞ্চ জানায়, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার আওতায় যেখানে তদন্ত চলছে, সেখানে শীর্ষ আদালত দখলদারি করতে পারে না। সেবি যেভাবে তদন্ত করছিল, সেভাবেই এ সংক্রান্ত বাকি দুটি মামলার তদন্তও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় রিপোর্ট পেশ করবে সেবি।’ মামলাকারীর উদ্দেশে বেঞ্চের মন্তব্য, ‘সেবির তদন্ত ব্যতিরেকে আলাদা তদন্তের বা সিট গঠনের যে দাবি করা হচ্ছে, তা হিন্ডেনবার্গ বা ওই ধরনের যে কোনও রিপোর্টের ভিত্তিতে করা যায় না। এই ধরনের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা করা হলে তাতে কাজের কাজ কিছু তো হয়ই না। উল্টে অকাজ বেশি হয়।’ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের প্রেক্ষিতে আদানির প্রতিক্রিয়া, “সত্যমেব জয়তে। ভারতের বৃদ্ধির পথে আমাদের এই স্বল্প পরিমাণ অবদান অব্যাহত থাকবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024:  ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

    Lok Sabha Elections 2024:  ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় যে নিশ্চিত, তা ধরে নিচ্ছেন পদ্ম নেতারা। তবে আরও বেশি জনসমর্থন নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন তাঁরা। কিছু দিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর (Lok Sabha Elections 2024) দফতরে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের তাঁর সেই ইচ্ছের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং।

    নয়া স্লোগান বিজেপির

    প্রধানমন্ত্রীর সেই আশা পূরণে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে পদ্ম-বাহিনী। বাঁধা হয়েছে নয়া স্লোগানও, ‘তিসরি বার মোদি সরকার, অব কি বার চারশো পার’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘তৃতীয়বার মোদি সরকার, এবার চারশো পার’। এপ্রিলের মাঝামাঝি লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) হওয়ার কথা। এই নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, ভূপেন্দ্র যাদব, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারা।

    কী নির্দেশ দিলেন নাড্ডা?

    বৈঠকে চারশো আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনোর নির্দেশ দেন নাড্ডা। এই বৈঠকেই বেঁধে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচারের সুর। নির্বাচনের আগে দলে যাতে বেনোজল ঢুকে না পড়ে, তাই স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটিই স্থির করবে, নির্বাচনের আগে অন্য দল থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা তুলে দেওয়া হবে কিনা। এর পাশাপাশি গঠন করা হবে ক্লাস্টার কমিটি। প্রতি তিনজন ‘সুপার ওয়ারিয়র’ পিছু থাকবে একটি ক্লাস্টার কমিটি। প্রতি বিধানসভার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে থাকবেন একজন। ইনিই ‘সুপার ওয়ারিয়র’।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    তিন ‘সুপার ওয়ারিয়র’কে নিয়ে যে ক্লাস্টার গঠিত হবে, সেই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকবেন রাজ্য পর্যায়ের কোনও পদস্থ নেতা। তিন-চারটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে যে যৌথ ক্লাস্টার তৈরি হবে, সেখানে প্রচারে যাবেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতারা। দেশের প্রতিটি রাজ্যের সভাপতিকে তাঁর রাজ্যের সব লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে যেতে হবে। ওই লোকসভা কেন্দ্রগুলির কোনটিতে সংগঠনের হাল কেমন, সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রকে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওই কেন্দ্রে কীভাবে সংগঠন মজবুত করা যাবে, সে দাওয়াই দেওয়া (Lok Sabha Elections 2024) হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করা হবে কীভাবে? জোড়া পদ্ধতিতে জোর কেন্দ্রের

    Amit Shah: কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করা হবে কীভাবে? জোড়া পদ্ধতিতে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া পরপর জঙ্গি-হামলার প্রেক্ষিতে উপত্যকা অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক (J&K Security Meet) করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং একইসঙ্গে নাশকতা নির্মূল করার কী কী কৌশল হতে পারে, তা স্থির করতে বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়। 

    দিল্লিতে শাহের দফতরে হওয়া ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা (J&K Security Meet)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, আইবি প্রধান তপন ডেকা, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি, এবং কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর প্রধানরা।

    স্পর্শকাতর অঞ্চলে বেশি বাহিনী মোতায়েন

    সূত্রের দাবি, জঙ্গিদমন অভিযানে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ (Amit Shah)। একইসঙ্গে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের মুখপাত্র জানান, স্পর্শকাতর অঞ্চলে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপসহীন নীতি বজায় রাখবে (J&K Security Meet)।

    বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধিতে জোর

    সূত্রের দাবি, সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়ানোর ডাকও দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই প্রেক্ষিতে বৈঠকে এরিয়া ডমিনেশন-এর উপর আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপত্যকায় পুলিশ, সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও ভালো করার জন্যও বলেছেন তিনি। তিনি মনে করিয়ে দেন, সাফল্য পেতে হতে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে (J&K Security Meet)।

    স্থানীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করার ডাক

    একইসঙ্গে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করতে হলে স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের নেটওয়ার্ককে যে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করতে হবে, তাও বৈঠকে মনে করিয়ে দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এর জন্য স্থানীয়দের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতাকে বাড়ানোর পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন, কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করতে হলে স্থানীয়দের পাশে পেতেই হবে। 

    ২০২৩ সালে একাধিক সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি ও বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ ডিসেম্বর। পুঞ্চ জেলার ডেরা কি গলি সেক্টরের অন্তর্গত থানামন্ডিতে এলাকায় ভারতীয় সেনার দুটি গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই। জঙ্গিদমন অভিযান চলাকালীন চার সেনা জওয়ান শহিদ হন। আহত হন আরও ২ জন। এর আগে, নভেম্বরে রাজৌরির কালকোটে জঙ্গিদমন অপারেশন চলাকালীন দু’জন ক্যাপ্টেন-সহ পাঁচ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তারও আগে, মে মাসে এক মেজর পদমর্যাদার অফিসার সহ পাঁচ সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন চারমের জঙ্গলে। এক জঙ্গিও খতম হয়েছিল।

    সরকারি তথ্য বলছে, গত বছর রাজৌরি, পুঞ্চ ও রেয়াসি সেক্টরে চলা জঙ্গিদমন অভিযানে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তালিকায়, ২৮ জন জঙ্গি ও ১৯ জন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। এই ৫৪ জনের মধ্যে, ১০ জঙ্গি ও ১৪ নিরাপত্তা কর্মী সহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজৌরিতে। পুঞ্চে ১৫ জঙ্গি ও ৫ নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং রেয়াসিতে ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশ করার সময় সেনা-জঙ্গির এনকাউন্টার হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    CAA: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। তার আগেই লাগু হয়ে যেতে পারে সিএএ (CAA)। কিছু দিন আগেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখনই তিনি বলেছিলেন, “আজ আমি আপনাদের সামনে বলে যাচ্ছি, সিএএ হচ্ছে এই দেশের আইন। একে কেউ আটকাতে পারবে না।”

    কী বলছেন অমিত শাহ?

    শাহ এও বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি হওয়া মানে শরাণার্থীদের সিএএর মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া। আর দিদি, শরাণার্থী ভাইদের বিভ্রান্ত করেন যে সিএএ হবে, হবে না। আইন বানিয়ে কেন্দ্র আটকে গিয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সামনে বলে যাচ্ছি, সিএএ হবেই।” তার পর থেকেই চলছিল জল্পনা। শেষমেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের দাবি, শীঘ্রই আইনটি কার্যকর করা হতে পারে। তার পরেই যোগ্যদের দেওয়া হতে পারে ভারতীয় নাগরিকত্ব (CAA)।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিক?

    তিনি বলেন, “আমরা শীঘ্রই সিএএ নিয়ম জারি করতে যাচ্ছি। আইনটি চার বছরেরও বেশি সময় বিলম্বিত হয়েছে এবং আইনটি বাস্তবায়নের জন্য বিধি প্রয়োজন।” ওই আধিকারিক বলেন, “বিধি প্রস্তুত। অনলাইন পোর্টালও প্রস্তুত। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে।” তিনি জানান, আবেদনকারীদের অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে যে তারা ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে কোনও নথি চাওয়া হবে না।

    উনিশের ডিসেম্বর মাসে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয় সিএএ বিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনও মেলে। তার পরেও ওই আইন লাগু করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার ছ’মাসের মধ্যে কোনও আইনের রুল জারি করতে হবে। অথবা লোকসভা ও রাজ্যসভার কাছ থেকে তা বাড়ানোর অনুরোধ করতে হবে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর প্রতি ছ’ মাস অন্তর ওই আইনের ধারা তৈরির জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  

    আরও পড়ুুন: ইজরায়েলের নিঁখুত ড্রোন নিশানা, খতম হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আল-অরৌরি

    প্রসঙ্গত, সিএএ আন্দোলনের জেরে এ পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিএএর (CAA) সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক পিটিশন। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lt General RC Tiwari: সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দায়িত্ব নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি

    Lt General RC Tiwari: সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দায়িত্ব নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের (Army Eastern Command) দায়িত্বে নতুন মুখ। ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) হিসেবে দায়িত্ব তুলে নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি (Lt General RC Tiwari)। সদ্য অবসর গ্রহণ করা লেফটেন্যান্ট জেনারেল  আরপি কলিতার স্থলাভিষিক্ত হলেন তিওয়ারি। কলকাতা স্থিত সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর ফোর্ট উইলিয়ামের দফতরে এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। বিজয় স্মারকে বীর শহিদ সেনানীদের উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার পদে আসীন হন তিওয়ারি। তাঁকে গার্ড অফ অনার দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ফোর্ট উইলিয়ামে। 

    কাউন্টার ইনসারজেন্সি যুদ্ধ-কৌশলে পারদর্শী

    কাউন্টার ইনসারজেন্সি যুদ্ধ-কৌশলে পারদর্শী হিসেবে সেনায় বিশেষভাবে পরিচিতি পাওয়া আরসি তিওয়ারি (Lt General RC Tiwari) এর আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলি অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ছিলেন। অত্যন্ত পোড়খাওয়া সামরিক অফিসার তিওয়ারি ভারতীয় সেনায় প্রায় চার দশক কাটিয়ে ফেলেছেন। ১৯৮৭ সালে কুমাওন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নে কমিশন্ড হন তিওয়ারি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্বেও দীর্ঘদিন পোস্টিংয়ে ছিলেন। এর পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার শান্তি বাহিনীর অঙ্গ হিসেবে কঙ্গোতেও বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন তিওয়ারি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রভূত নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা

    উত্তর-পূর্ব সীমান্তে তিওয়ারির (Lt General RC Tiwari) প্রভূত নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অসমে কাউন্টার ইনসারজেন্সি অভিযানের সময় তিনি কুমাওন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া, সিকিমে মাউন্টেন ব্রিগেড ও মাউন্টেন ডিভিশনের পাশাপাশি, উত্তর-পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোরের দায়িত্বও সামলেছেন কমান্ডার হিসেবে। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি একাধিক উচ্চ সামরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এহেন অভিজ্ঞ অফিসারের ওপরই পূর্ব দিকে চিন সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Army Eastern Command)। গত বছরের শেষদিন পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা। ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share