Tag: news in bengali

news in bengali

  • Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯। সিবিআই হন্যে এক পুলিশ কর্তার খোঁজে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা শহরে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ভূ-ভারতে এমন নজির আর একটিও রয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরাও।)

    কী বললেন শুভেন্দু?

    যে পুলিশ কর্তার জন্য এতকাণ্ড, সেই রাজীব কুমারকেই রাজ্যের ডিজি পদে বসালেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পরেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজীবকে ডিজি করে প্রমাণ লোপাটের পুরস্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, “আমার মতো কোনও নির্দোষকে যেন কারও নির্দেশে কখনও বলি দিতে যাবেন না। ভগবান ভালো করবেন না।”

    রাজীব কুমার

    ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব। বাম আমলে তিনি বামেদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ। পালাবদলের পর বদলে যান রাজীবও। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েন তিনি। যার জেরে সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজীবের খোঁজে পুলিশ যখন হন্যে, তখন তাঁর ‘কবচ-কুণ্ডল’ হয়ে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এহেন রাজীবকে পুলিশের ডিজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এদিনই মেয়াদ শেষ হয়েছে পুলিশের বর্তমান জিজি মনোজ মালব্যের।

    মাঝ-এপ্রিলেই হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজীবকে পুলিশে নয়া পদ দেওয়ার নেপথ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অবশ্য একে প্রতিদান হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “সারদার প্রমাণ নষ্ট করে রাজীব কুমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদান দিচ্ছেন। আমি সিবিআইকে বলব, সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠছে না কেন? সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা পড়ে রয়েছে, তা তোলার ব্যবস্থা করুন। নইলে আমরা, বাংলার মানুষ সুপ্রিম কোর্টে মামলা তোলার জন্য যা করার করব।”

    আরও পড়ুুন: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    রাজীবের পদপ্রাপ্তিতে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “রাজীব কুমারের জন্য ধর্না দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব কুমারকে এখন তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখেও অটল মুখ্যমন্ত্রী। তাই ডিজির পদ আলোকিত করবেন রাজীব।

    স্বাভাবিক। দুয়ারে যে লোকসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India China LAC) বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। এমনটাই মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা (Lt General RP Kalita)। তাঁর মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে এবং চিনকে চুপ রাখতে হলে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন হচ্ছে সমাধান।

    ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’

    চলতি বছরের শেষে অবসর নিচ্ছেন বর্তমান আরপি কলিতা। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। অবসরের প্রাক্কালে এদিন কলিতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই চিন সীমান্ত থেকে শুরু করে মণিপুর ও মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (India China LAC) নিয়ে কলিতা বলেন, চিন সীমান্তে বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। তাঁর কথায় ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’। অর্থাৎ, কখন কী হবে, অনুমান করা যায় না। তিনি জানিয়ে দেন, যে কোনও সময়ে যে কোনও সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যে কোনও (প্রতিকূল) পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত। 

    চিনকে দমিয়ে রাখার দাওয়াই…

    বিদায়ী কমান্ডারের মতে, চিনকে দমিয়ে রাখতে সীমান্তে (India China LAC) প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোগত ও যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সড়ক হোক বা বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড কিংবা হোক ডেটা-নেটওয়ার্ক— পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেই সীমান্তাঞ্চলের কায়েম বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা ভারত এখন করে চলেছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে একদিকে যেমন বাহিনীর সুবিধা হবে, তেমনই সাধারণ নাগরিকদেরও ভালো হবে। পাশাপাশি, সীমান্তে আধুনিকতম অস্ত্র মোতায়েন করাও সমান জরুরি বলে মনে করেন সেনা কমান্ডার। তিনি জানান, পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র মোতায়েন করতে হবে সীমান্তে। তবেই কেউ সাহস করবে না। 

    মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে এই দুই!

    চলতি বছর সেনার পূর্ব কমান্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মণিপুরের অশান্তি। এ প্রসঙ্গে সেনা কমান্ডার জানান, মণিপুরের পরিস্থিতি জটিল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ— প্রথমত, উপজাতিদের হাতে অস্ত্র চলে আসা। দ্বিতীয়ত, সীমান্তপার অনুপ্রবেশ। কলিতা (Lt General RP Kalita) জানান, ওখানে জঙ্গিরা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মিশে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিচ্ছে। এটা দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। তার ওপর মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী এসে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। কমান্ডারের মতে, এই প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের হাতে চলে আসা বাহিনীর থেকে লুট হওয়া বা মায়ানমার থেরে চোরাচালান করা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। 

    ভৌগলিক বিন্যাস সমস্যা…

    একইসঙ্গে, সীমান্তপার অনুপ্রবেশও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন কলিতা। কমান্ডারের (Lt General RP Kalita) মতে, ওই এলাকার ভৌগলিক বিন্যাস অন্যরকম। তা ঘন জঙ্গলে ঘেরা। ফলে, কাঁটাতার লাগাতে সমস্যা হচ্ছে। যার সুযোগ নিয়ে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ও আগ্নেয়াস্ত্রই শুধু নয়, প্রভূত পরিমাণে মাদক চোরাচালানও হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলেই, শুধু মণিপুর নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলিতা। যদিও, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করেন কলিতা। তিনি জানান, কাঁটাতার লাগানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। নজরদারি ও তল্লাশি-অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sangeet Utsab: রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ, ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র আয়োজন বিজেপির

    Sangeet Utsab: রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ, ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র আয়োজন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। অভিযোগ, এই স্বজনপোষণের কারণেই যেমন ফুলেফেঁপে উঠেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মেজ নেতারা, তেমনি বঞ্চিত হয়েছেন শাসক দল-বিরোধী দলের লোকজন। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাননি বহু নামী শিল্পী। এবার সেই সব প্রতিভাবান শিল্পীদের সুযোগ দিতে ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র (Sangeet Utsab) আয়োজন করছে বিজেপি।

    বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব

    উৎসব হবে ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গলে’র ব্যানারে। উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, এই উৎসবে বাংলার লোকগান থেকে ছৌনাচ, সব শিল্পীই অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এই উৎসবের কথা ঘোষণা করেন আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গলে’র সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

    কারা থাকছেন

    তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ একদিনের বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব হবে। পাহাড় থেকে সাগর, যে শিল্পীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বজনপোষণের কারণে সুযোগ পান না, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।” এক্স হ্যান্ডেলে জিতেন্দ্র লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গান মেলায় শিল্পীদের প্রতি স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে মাননীয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব ২০২৪ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হল।” ট্যুইটের সঙ্গে ট্যাগ করা করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।

    উৎসব (Sangeet Utsab) হবে প্রিন্সেপ ঘাটে। অংশ নেবেন পূর্ণদাস বাউল, দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নামীদামি শিল্পীরাও। প্রসঙ্গত, এদিন থেকেই কলকাতার ১১টি মঞ্চে একযোগে শুরু হয়েছে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গীত মেলা। অনুষ্ঠান চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার শিল্পীরাও এই মঞ্চগুলিতে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পাবেন। রাজ্যের দাবি, প্রতিভাবান নবীন শিল্পীরাও এই মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। উৎসব (Sangeet Utsab) প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যে কোনও মেলা হতেই পারে। যে কেউ তার আয়োজনও করতেই পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • RBI: বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি আরবিআই-সহ তিন ব্যাঙ্কের দফতর, তারপর…

    RBI: বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি আরবিআই-সহ তিন ব্যাঙ্কের দফতর, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ব্যাঙ্কের দফতরে বোমা মারার হুমকি। এই ব্যাঙ্ক তিনটির মধ্যে রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও (RBI)। মঙ্গলবার দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দফতরে মেইল পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যে মেইল-আইডি থেকে হুমকিটি এসেছিল, সেটি হল ‘খিলাফত ডট ইন্ডিয়া অ্যাট জি-মেইল ডট কম’।

    মেইলে দুটি দাবি

    হুমকির পাশাপাশি ওই মেইলে দুটি দাবিও জানানো হয়েছে। এই দাবি না মানলেই অ্যাকশন নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই হুমকি-বার্তায়। এই বার্তায় যে দুটি দাবি করা হয়েছে, সেগুলি হল অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকেও ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এই দুই দাবি পূরণ না হলেই অ্যাকশন হবে বলেই জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ১১টি বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই বার্তায়।

    ১১টি জায়গায় বোমা!

    মেইলটিতে বলা হয়েছে, “আমরা মুম্বইয়ের ১১টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বোমা রেখে দিয়েছি। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে ভারতের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় জালিয়াতি করেছে আরবিআই।” মেইলটিতে দাবি করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিলে আরবিআই যে জালিয়াতি করেছে, তাতে আরবিআইয়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ব্যাঙ্কিং সেক্টরের কয়েকজন বিশিষ্ট কর্তা ও ভারত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী জড়িত রয়েছেন। তাই অর্থমন্ত্রী ও আরবিআইয়ের (RBI) গভর্নরকে প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই জালিয়াতির বিষয়ে সবটা জানিয়ে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এই দুজন বাদে আরও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলের শাস্তিও দাবি করা হয়েছে।

    মুম্বইয়ে ওই তিন ব্যাঙ্কের কোথায় কোথায় হামলা হবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই মেইলে। দুপুর দেড়টা নাগাদ বোমাগুলিতে বিস্ফোরণ হবে বলেও জানানো হয়েছিল হুমকি-মেইলে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই তিন ব্যাঙ্কের দফতরগুলিতে তল্লাশি চালায় মুম্বই পুলিশ। যদিও কিছুই মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যে মেইলটি থেকে হুমকি-বার্তা এসেছিল, সেই মেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে (RBI) এমআরএ মার্গ থানায়।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডি জোটের (INDI Alliance) অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ারের মঞ্চ শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে, কখনওবা অন্য কোনও কারণে। তবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুখ নিয়ে এবার প্রকাশ্যে চলে এল ইন্ডি জোটের কোন্দল।

    মমতার প্রস্তাবে জল পাওয়ারের

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেন। মঙ্গলবার এনসিপি প্রধানের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মুখ ছাড়াই নির্বাচনে জয় সম্ভব।

    কী বললেন পাওয়ার?

    সচরাচর প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাঁকে প্রজেক্ট করেই নির্বাচনে যায় রাজনৈতিক দলগুলি। কোনও কোনও দল আবার স্ব-দলের সুপ্রিমোকেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রজেক্ট করে নির্বাচনে যায়। ভোটাররাও মূলত তাঁকে দেখেই ভোট দেন সংশ্লিষ্ট পার্টির পক্ষে। এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। মঙ্গলবার যে প্রসঙ্গ তুলেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, “১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাউকে প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট করেনি কংগ্রেস বিরোধী দল। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী করা হয় মোরারজি দেশাইকে। তার আগে মোরারজি দেশাইয়ের নাম কোথাও ছিল না। বস্তুত, তার পরেই একটি নয়া দল প্রকাশ্যে এল (INDI Alliance)। তাই প্রধানমন্ত্রী মুখ প্রজেক্ট না করেও নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে।” পাওয়ারের কথায়, “মানুষ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে পরিবর্তন আসবেই।” পাওয়ার-বচনের নির্যাস হল, তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন এনসিপি প্রধান।

    প্রসঙ্গত, মমতার প্রস্তাব শুনেই খাড়্গে জানিয়ে (INDI Alliance) দিয়েছিলেন, সবার আগে জয় কীভাবে আসবে, তার ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। তারপর আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাবের পর পরই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার প্রস্তাবের উল্টো সুর পাওয়ারের গলায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা লেখেন, মমতা দিদি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না কংগ্রেসও। লোকসভা নির্বাচন হতে পারে মাঝ-এপ্রিলে। ইতিমধ্যেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অথচ এখনও ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির।

    প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কি তবে ইন্ডি জোটে শুরু হয়ে গেল মৌষলপর্ব?

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • BJP: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

    BJP: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি (BJP)। সেই কারণে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার নিউটাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন পদ্ম শিবিরের এই দুই কর্তা। সেখানেই তৈরি হয় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেই কলকাতায় পা রেখেছেন শাহ ও নাড্ডা।

    ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম

    ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে’ রয়েছেন ১৫ জন। এঁদের মধ্যে ১০ জন বঙ্গ বিজেপির নেতা। বাকি পাঁচজন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরির পাশাপাশি কোন কোন আসনে জোর দেওয়া হবে, মূলত তা-ই ঠিক করবে এই কমিটি। জানা গিয়েছে, বাংলার যে ১০ জনের ঠাঁই হয়েছে ওই কমিটিতে, তাঁরা হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহা, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মণ, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো। আর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রয়েছেন সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, মঙ্গল পাণ্ডে এবং সতীশ ধন্ড।

    কমিটিতে জায়গা হয়নি যাঁদের

    কমিটিতে (BJP) জায়গা হয়নি চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার এবং জন বার্লার। ঠাঁই পাননি গেরুয়া শিবিরের তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী, মনোজ টিগ্গা এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ওই কমিটিতে ঠাঁই হয়নি তাঁরও। এদিনের বৈঠকেও ডাকা হয়নি তাঁকে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাসে বঙ্গ সফরে এসে শাহ লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলার নেতারা কতটা প্রস্তুত, মূলত তা দেখতেই সোমবার ফের বাংলায় এসেছেন বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা।

    আরও পড়ুুন: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!

    এ রাজ্যে আক্ষরিক অর্থেই শূন্য থেকে শুরু করেছিল বিজেপি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এ রাজ্যের ১৮টি আসনে জেতে। তার পর থেকে বাংলায় ক্রমেই শক্ত হয়েছে বিজেপির পায়ের তলার মাটি। তাই বেড়েছে প্রত্যাশাও। সেই কারণেই এবার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩৫। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দেশজুড়ে ৪০০-র বেশি আসনে পদ্ম (BJP) ফোটাতে চায় তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচারের অভিযোগে যাত্রিবাহী একটি বিমানকে ফ্রান্সের বিমানবন্দরে আটকে রেখেছিল সে দেশের প্রশাসন। বিমানটি যাচ্ছিল নিকারাগুয়ার উদ্দেশে। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় (Indian Passengers) ছিলেন ৩০৩ জন। রবিবার ফ্রান্সের আদালত জানিয়ে দেয়, ফান্স ছাড়তে পারবেন ভারতীয় যাত্রীরা। ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয় আটক করা চাটার্ড বিমানটিকেও। প্রশাসনিক অনুমতি মেলায় সোমবার দুপুরে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ সেটি ছোঁয় মুম্বই বিমানবন্দরের মাটি। যদিও ফ্রান্সে রয়ে গিয়েছেন দুই শিশু সহ মোট ২৭ জন যাত্রী।

    ফ্রান্সে অবতরণ বিমানটির

    ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। জ্বালানি ভরতে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দরে নামে ওই চাটার্ড বিমানটি। যাত্রীদের মধ্যে ছিল ১১টি শিশু, যাদের অভিভাবক বিমানটিতে ছিলেন না। ফরাসি প্রশাসনের সন্দেহ হয়, শিশুগুলিকে পাচারের উদ্দেশ্যেই নিকারাগুয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর পরেই আটক করা হয় বিমানটিকে (Indian Passengers)। থাকা-খাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয় সে দেশের প্রশাসনের তরফে। বিষয়টি ততক্ষণাৎ জানানো হয় ভারতীয় দূতাবাসে। ঘটনাস্থলে যান দূতাবাসের আধিকারিকরা। প্রথমে জেরা করা হয় বিমান ক্রু-দের। বিমানটির যাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে মানব পাচারে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল হয়।

    বিমানটি রোমানিয়ার

    জানা গিয়েছে, বিমানটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে কাজ করতেন। নিকারাগুয়া হয়ে আমেরিকা বা কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। যে বিমানটিকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেটি রোমানিয়ার একটি সংস্থার। বিমানকাণ্ডের মামলা গড়ায় ফরাসি আদালতে। রবিবার আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানটির ভারতীয় যাত্রীরা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। বিমানটিও যেতে পারে ফ্রান্স ছেড়ে। আদালতের রায় মেলার পর দুই নাবালক সহ ২৫ জন যাত্রী ফ্রান্সে থেকে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বাদ দিয়েই ২৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ভারতের মাটি ছোঁয় রোমানিয়ার ওই বিমানটি (Indian Passengers)।

    আরও পড়ুুন: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!

    উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিকারাগুয়া ক্রমেই একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বর্ষে এ পর্যন্ত অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছে ৯৬ হাজার ৯১৭ জন ভারতীয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হয়েছে সমাবর্তন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকেও। এই উপাচার্যকেই বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে রবিবার সমাবর্তন উৎসব করিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠান মঞ্চে ঠায় বসেছিলেন সদ্য পদ খোয়ানো অন্তর্বর্তী উপাচার্য। তবে সমাবর্তনে তাঁর স্বাক্ষরিত শংসাপত্রই বিলি করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। অনুমতি ছাড়াই সমাবর্তন করায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    পড়ুয়াদের উদ্বেগ

    জানা গিয়েছে, সমাবর্তনের শংসাপত্রে উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউয়ের স্বাক্ষর থাকায় রাজ্যপালকে মেইল করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কয়েকজন পড়ুয়া। এই সার্টিফিকেট নিয়ে পরে কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও তৈরি করেছে রাজভবন। সমাবর্তন করতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের সবুজ সঙ্কেত, শংসাপত্র প্রাপকদের হাতে সহ-উপাচার্যের ডিগ্রি তুলে দেওয়া এবং সেই শংসাপত্রে সদ্য অপসারিত উপাচার্য বুদ্ধদেবের স্বাক্ষর থাকা – এসব নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়েছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মতামত নিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। এ সব ক্ষেত্রের মতই হল, এভাবে সমাবর্তন করা যায় না। পুরোটাই বেআইনি।

    রাজ্যপালই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য

    রাজ্যপালই পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তাই রাজভবনের দাবি, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের বিষয়ে আইনত কিছু বলতে পারে না রাজ্য সরকার। সমাবর্তনে সহ-উপাচার্যেরও কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে তাঁর কাজের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে পারেন কেবলই আচার্য। উপাচার্য থাকলে অবশ্য অন্য কথা। সেক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব দিতে পারেন তাঁর অধীনস্থ কাউকে। সেক্ষেত্রে আবার আইন অনুযায়ী নিযুক্ত কিংবা আচার্য মনোনীত অন্তর্বর্তী উপাচার্য তা করতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমনতর ছিল না। কারণ রবিবার সমবর্তনের ঠিক আগের দিন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে। তাই তিনি তখন উপাচার্য নন, কেবলই শিক্ষক। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন সহ- উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। যা আইনানুগ নয় বলেই মনে করছে রাজভবন। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Nyaya Sanhita Bill: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    Bharatiya Nyaya Sanhita Bill: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনে পরিণত হয়ে গেল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) সহ তিনটি বিল। শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছিল বিল তিনটি। পরে পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। সেই বিলেই স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। স্বাভাবিকভাবেই বিলটি পরিণত হল আইনে।

    বিল পেশ শাহের

    ১১ অগাস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই তিনটি বিল হল— ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ যা প্রতিস্থাপিত করল ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’-কে। ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’, যা দিয়ে প্রতিস্থাপিত ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ যা প্রতিস্থাপিত করল ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’-কে। লোকসভায় বিল (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) তিনটি পাঠানোর পাশাপাশি সংসদীয় সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির কাছেও পাঠানো হয়েছিল। আইন বদলের বিষয়ে অবগত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীদেরও।

    অবসান ‘তারিখ পে তারিখযুগের

    সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ হয় রাজ্যসভায়। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবার অবসান হতে চলেছে ‘তারিখ পে তারিখ’ যুগের। বিচার মিলবে তিন বছরের মধ্যেই। এই বিল তিনটি পেশ করে তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লোকসভার পর রাজ্যসভায়ও বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। সূত্রের খবর, সোমবার বিলটিগুলিতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। তাই বিল তিনটি পরিণত হয়েছে আইনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দণ্ড সংহিতার এই নয়া আইন সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে আরও কড়া হতে চলেছে। গণপিটুনি, জাতীয় সুরক্ষা লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি হতে চলেছে কঠিনতর।

    আরও পড়ুুন: ‘সম্প্রীতি ও সহানুভূতির চেতনা উদযাপনের দিনই বড়দিন’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলতে চেষ্টার কম কসুর করছে না মোদি সরকার। বিভিন্ন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বলতে শোনা গিয়েছে এ কথা। ‘ভারতীয় দণ্ড সংহিতা’ (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) বিল তিনটি পাশ হওয়ায় পূরণ হল তাঁর সেই স্বপ্ন। প্রসঙ্গত, ১৮৬০ সালে ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’ চালু করেছিল ব্রিটিশ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shah-Nadda in Kolkata: লক্ষ্য ২০২৪! লোকসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করতে কলকাতায় শাহ-নাড্ডা

    Shah-Nadda in Kolkata: লক্ষ্য ২০২৪! লোকসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করতে কলকাতায় শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ নির্বাচন। সেই লক্ষ্যপূরণে বছর শেষের আগেই বঙ্গ-সফরে এলেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। বড়দিনের রাতেই কলকাতায় পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে দুজনেরই। তবে, প্রধান অবশ্যই বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। যেখানে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল কী হবে তা রাজ্য নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা।

    বড়দিনের রাতেই শহরে শাহ-নাড্ডা

    গোটা তিলোত্তমা যখন বড়দিনের আনন্দে মশগুল, তখনই বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি সারতে কলকাতায় এলেন শাহ-নাড্ডা। সোমবার প্রায় রাত পৌনে একটা নাগাদ (ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পাতায় মঙ্গলবার) বিশেষ বিমানে করে দমদম বিমানবন্দরে একসঙ্গে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃবৃন্দ। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিউটাউনের হোটেলে পৌঁছন শাহ-নাড্ডা। সেখানেই রাত্রিবাস করেন দুজনে।

    দিনভর কর্মসূচি শাহ-নাড্ডার…

    আজ, মঙ্গলবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে শাহ-নাড্ডার। বিজেপি সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁরা প্রথমে যাবেন জোড়াসাঁকোর গুরুদ্বারে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে যাবেন এবং পুজো দেবেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে কালীঘাট মন্দিরে যেতে পারেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। 

    মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তাঁরা নিউটাউনের হোটেলে ফিরে যাবেন এবং সেখানেই দুপুর ১টা নাগাদ রাজ্য নেতৃত্বের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তারপর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলের সোশ্যাল মিডিয়ার ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন শাহ ও নাড্ডা। এরপর ফের নিউটাউনের হোটেলে ফিরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। তা শেষে সন্ধ্যে ৬টার বিমানে তাঁরা ফিরে যাবেন দিল্লিতে।

    চব্বিশে টার্গেট ৩৫

    ২০১৯ লোকসভা ভোটে, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিল বিজেপি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে ৩৫টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে বিজেপি। সোমবার সে কথা জানিয়েও দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসন জয় করার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহজি। আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে এগোচ্ছি।” দলীয় কর্মীদের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের রণকৌশল স্থির করতেই শাহ ও নাড্ডার এবারের কলকাতা সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ

    টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪টে করে আসন পিছু একজন স্পেশাল অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে দাবি, কোন কোন কেন্দ্রগুলোতে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা আছে, কোথায় ভাল লড়াই দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত কোথায় সেই সম্ভাবনা কম, তার ভিত্তিতেই কেন্দ্র ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, যা এদিন কোর কমিটির বৈঠকে পেশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share