Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে (Terrorist Ajmal Kasab) ফাঁসিতে ঝোলানোর কারিগর আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam) সদস্য হলেন রাজ্যসভার। রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, মোট ১২জনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। নিকম তাঁদেরই একজন।

    আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam)

    স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর উজ্জ্বল নিকম আইনজীবী হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার মামলা। তিন দিনের ওই হামলায় মারা গিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট ৯ জঙ্গি। দেড়শোরও বেশি নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গি হামলায়। পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকেছিল জলপথে। ওই হামলায় একমাত্র জীবিত অবস্থায় ধরা হয় জঙ্গি কাসভকে। তাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই নিকমই। সেই মামলায় গোটা দেশের নজর ছিল ওই মামলার দিকে। শুধু তাই নয়, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মামলায়ও আইনজীবী হিসেবে জঙ্গিদের বিপক্ষে লড়েছেন উজ্জ্বল নিকম। অস্ত্র আইনে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে জেলের ঘানি টানানোর নেপথ্যেও ছিলেন সেই তিনিই। বর্ষীয়ান এই আইজীবীকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠালেন রাষ্ট্রপতি।

    হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন

    উজ্জ্বল নিকম একজন সরকারি আইনজীবী সরকারের হয়ে একাধিক হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের বাসিন্দা তিনি। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি পরিচালনা করেছিলেন, তার মধ্যেই একটি মুম্বই জঙ্গি হামলার বিচার। ১৯৯১ সালের মুম্বই বোমা বিস্ফোরণ মামলা, ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং ২০০৩ সালের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বোমা হামলা সন্ত্রাস সম্পর্কিত অন্যান্য মামলার মধ্যে রয়েছে যেখানে তিনি মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গুলশন কুমার হত্যা মামলা এবং বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায়ও (Terrorist Ajmal Kasab) শানিত সওয়াল করেছিলেন তিনি।

    বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন পুরস্কারও 

    আইনের ফেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছেন নিকম। তার মধ্যে একটি হল মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রীও। ২০১৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজ্যসভা মনোনীত হওয়ার পর উজ্জ্বল নিকমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “আইনি ক্ষেত্র এবং আমাদের সংবিধানর প্রতি তাঁর নিষ্ঠা অনুকরণীয়।” এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উজ্জ্বল নিকম শুধুমাত্র একজন সফল আইনজীবীই ছিলেন না বরং গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “তাঁর সমগ্র আইনি জীবনে তিনি (Ujjwal Nikam) সর্বদা সাংবিধানিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য এবং সাধারণ নাগরিকদের সর্বদা মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন।”

    নিকমকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    নিকমকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এটা আনন্দের যে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছেন। তাঁর সংসদীয় ইনিংসের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করায় যারপরনাই খুশি এই প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমি কখনও ভাবিনি বা আশাও করিনি যে (Terrorist Ajmal Kasab) ভারতের রাষ্ট্রপতি আমায় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করবেন।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর কি হাইতে কথা বলা উচিত? এও জিজ্ঞেস করলেন এনডিআই অথবা মারাঠিতে। সেটা শুনে আমরা দু’জনেই হাসতে শুরু করলাম।”

    নিকমের প্রতিক্রিয়া

    নিকম বলেন, “তারপর তিনি আমার সঙ্গে মারাঠি ভাষায় কথা বললেন। তিনি জানালেন যে রাষ্ট্রপতি আমায় দায়িত্ব দিতে চান। এরপর (Ujjwal Nikam) তিনি আমায় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেন। আমি তৎক্ষণাৎ হ্যাঁ বলে দিলাম।” প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব সত্যিকার অর্থে এবং সততার সঙ্গে পালন করব।”

    প্রসঙ্গত, উজ্জ্বল নিকমের বাবাও ছিলেন আইনি পেশায়। তিনি ছিলেন বিচারক। উজ্জ্বল কেসিই সোস্যাইটির মানিয়ার ল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন সায়েন্সেও। জলগাঁওয়ে একজন জেলা সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন নিকম। বহু দশকের অভিজ্ঞতা ও ভারতের সব চেয়ে জটিল ও আলোচিত মামলাগুলি সামাল দিয়ে তিনি নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা কৌঁসুলি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিরিশ বছরের কেরিয়ারে তিনি মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৩৭ জনের (Terrorist Ajmal Kasab)। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৬২৮জনের (Ujjwal Nikam)।

  • Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে গঠিত একাধিক উদ্যোগ এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ স্বীকৃতি পেল (Ayurveda)। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিল “ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মানচিত্র”। সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের আয়ুষ ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা।

    ভারতের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Ayurveda)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণা প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের (Artificial Intelligence) প্রথম দিক নির্দেশিকা হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারকে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগকে। যেমন “প্রচলিত জ্ঞান ডিজিটাল গ্রন্থাগার” – এইভাবে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির জ্ঞানকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতই প্রথম দেশ, যেটি ডিজিটাল গ্রন্থাগারের এমন উদ্যোগ নিয়ে দেশের ঐতিহ্যকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

    কৃত্রিম মেধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি

    এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ “সবার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” – সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সেটিকেও প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তা তাদের বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালেই জানিয়েছিলেন যে, তার সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (Artificial Intelligence) জনকল্যাণে ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক শক্তিশালী হাতিয়ার বলেও তিনি সে সময় উল্লেখ করেছিলেন (Ayurveda)।।

    এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন

    এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন ঘোষণাকে ঘিরে আয়ুষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপরাও যাদব জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার “নমস্তে”, “আয়ুষ গবেষণা” প্রভৃতি পোর্টালের মাধ্যমে শুধু চিকিৎসার আধুনিকীকরণ করেনি, বরং প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানভাণ্ডারকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে “আয়ুষ গ্রিড” শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি তথ্যভাণ্ডার।

    ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ দলের মতে, ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আয়ুর্বেদের (Ayurveda) নাড়ি নির্ণয়, জিভ পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতিগুলিকে আরও উন্নত ও নির্ভুল করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শুধু চিকিৎসার নির্ভুলতা বেড়েছে তা নয়, রোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাও অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে।

    রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ সহজ হয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় গবেষকদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসায়নিক সংবেদকের সাহায্যে আয়ুর্বেদের গুণাগুণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিচার করা এখন সম্ভব হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে একটি কার্যকর সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ, ওষুধ উদ্ভাবন এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

    আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে ভারতের নেতৃত্বের স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন অনেকেই। এটি শুধু ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেনি, বরং দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞান ও মানবকল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারত তার প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বৈশ্বিক মঞ্চে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এই পথ ধরেই আগামী দিনে ভারত আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদের ভূমিকা আরও গভীর, কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে – এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

  • S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের জন্য প্রতিবেশী দেশ চিন সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোমবার চিনের রাজধানী বেজিংয়ে চিনের (China) উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। উল্লেখ করেন ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি। জয়শঙ্করের আশা, তাঁর সফরের সময় যেসব আলোচনা হবে, তা এই ইতিবাচক ধারাই বজায় রাখবে।

    জয়শঙ্করের বার্তা (S Jaishankar)

    এবার এসসিও-র (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) সভাপতিত্ব করেছে চিন। হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকে জয়শঙ্কর তাকে সমর্থন জানান। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে ভারতের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “আজ বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পরপরই উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। চিনের এসসিও সভাপতিত্বের প্রতি ভারতের সমর্থন জানিয়েছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টিও উল্লেখ করেছি এবং আমার সফরের বিভিন্ন আলোচনা এই ইতিবাচক ধারাকে বজায় রাখবে বলেই আশা করছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর জানান যে, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে সফরের আলোচনাগুলি ইতিবাচক ধারার দিকেই যাবে। তিনি বলেন, “কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত চিনের সফল এসসিও সভাপতিত্বকে সমর্থন করে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আপনি (চিনের উপরাষ্ট্রপতি) যেমন বলেছেন, তা গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর থেকে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে, আমার এই সফরের আলোচনাগুলি সেই ইতিবাচক ধারাকেই বজায় রাখবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু হওয়ায় ভারতে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে (S Jaishankar)।” চিনের (China) উপরাষ্ট্রপতিকে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছি। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার পুনরারম্ভ ভারতে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে উপকৃত হবে দুই দেশই।”

    আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল

    বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল আখ্যা দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা যখন আজ সাক্ষাৎ করছি, তখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। প্রতিবেশী দেশ এবং প্রধান অর্থনীতি হিসেবে, ভারত ও চিনের মধ্যে মুক্তভাবে মত ও দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় অত্যন্ত জরুরি। আমি এই সফরের সময় এমন আলোচনার প্রত্যাশাই করছি (S Jaishankar)।” প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুর সফর শেষে চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সোমবার সেখানেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই শেষবারের মতো গত ফেব্রুয়ারি মাসে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানে উভয় পক্ষই পারস্পরিক আস্থা ও সমর্থনের ওপর জোর দেন।

    এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক

    ১৫ জুলাই তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হবে এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। মূলত সেই বৈঠকে যোগ দিতেই চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী চিন সফর করবেন। এছাড়াও, তিনি ওই সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেবেন।” ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘাত হয়। সেই ঘটনার পর এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তার পর এই প্রথমবার চিনে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্করের আগে শি জিনপিংয়ের দেশে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। জুন মাসে এসসিও বৈঠকে অংশ নিতেই সে দেশে গিয়েছিলেন রাজনাথ ও ডোভাল।

    ভারতে আসতে পারেন ওয়াং ই

    এদিকে, আগামী (S Jaishankar) মাসে ভারত সফরে আসতে পারেন ওয়াং ই। তিনি বৈঠক করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। এটি হবে বিশেষ প্রতিনিধি প্রক্রিয়ার আওতায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ (China) মেটানোর পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি ছিল গত ৪০ বছরের মধ্যে ভারত ও চিনের মধ্যে সব চেয়ে খারাপ সীমান্ত সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুই দেশেরই কয়েকজন করে সেনা। এই ঘটনার পরেই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে।

    দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া সেই উত্তেজনার পারদ কমাতেই সচেষ্ট হয়েছে দুই দেশই। গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সেখানেই ঠিক হয় দুই দেশের মধ্যে থেমে যাওয়া আলোচনা ফের শুরু করা হবে। সেই মতোই চলছে (China) সব কিছু। ফের শুরু হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে (S Jaishankar) বন্ধ থাকা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রাও।

  • Rain Forecast: ফের তৈরি নিম্নচাপ অঞ্চল! ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, সতর্ক করা হল মৎস্যজীবীদের

    Rain Forecast: ফের তৈরি নিম্নচাপ অঞ্চল! ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, সতর্ক করা হল মৎস্যজীবীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত দ্রুত ঘনীভূত হচ্ছে, যা বর্তমানে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে (Rain Forecast)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখাও। এই দুটি আবহাওয়াগত সিস্টেমের মিলিত প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির দাপট বাড়বে।

    দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    বর্ষা সক্রিয় থাকার কারণে (Low Pressure) রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলছে। কলকাতাতেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, কখনও ঝিরঝিরে তো কখনও দাপুটে বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনাতেও। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় (Rain Forecast)। বিশেষভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুরে সোমবার অতি ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান ও বীরভূমে বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত চলবে। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় আপাতত নতুন করে কোনও আবহাওয়া সতর্কতা নেই।

    উত্তাল সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা

    রবিবার বিকেলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে (Rain Forecast) একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭.৬ কিলোমিটার উপরে বিস্তৃত। এর প্রভাবে উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার অঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে সমুদ্র হতে পারে অত্যন্ত উত্তাল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)

    উত্তরবঙ্গেও আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাত চলবে। মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর দিনাজপুর ও মালদা জেলায়। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও সপ্তাহান্তে (শনিবার ও রবিবার) আবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

  • Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালে মনে হয়, ভারত ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’। আত্মবিশ্বাসী, ভয়ডরহীন, গর্বিত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ এই দেশ। মহাশূন্য থেকে ঘরে ফেরার আগে এমনই বললেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Subhanshu Sukla)। সব ঠিকঠাক থাকলে ১৫ জুলাই পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশু। সঙ্গে অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের আরও তিন সদস্য- পেগি হুইটসন, টিবর কাপু ও স্লাওস উজনানস্কি। আজ, সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ শুরু হবে শুভাংশুদের আনডকিং প্রক্রিয়া। আনডকিং শেষ হওয়ার পর পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন শুভাংশুরা। এই দু’টি প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যাবে নাসার ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে।

    বিদায় সংবর্ধনা, মহাকাশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান

    রবিবারই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তাঁদের ফেয়ারওয়েল জানানো হয়েছে। রবিবার, ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান। নাসার এক্সপিডিশন ৭৩-এর সাতজন সদস্য বিদায় সংবর্ধনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারীকে। সেই সংবর্ধনা সরাসরি সম্প্রচার করে নাসা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন শুভাংশুরা। গাজরের হালুয়া-আম রস অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেন শুভাংশু। পোল্যান্ডের স্লাওস উজনানস্কি ভাগ করেন পোলিশ স্যান্ডউইচ। ক্ষণিকের জন্য ঘরোষা উষ্ণতায় ভরে যায় আইএসএস।

    নাসার ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার

    ১৪ জুলাই ভারতীয় সময়ানুসারে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে (আমেরিকার সময় ভোর ৭টা বেজে ৫ মিনিটে) ড্রাগন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তারপর পৃথিবীর অভিমুখে যাত্রা করবে ড্রাগন। প্রায় ৩০ মিনিট এই যাত্রার সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। তারপর নাসার সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। শুভাংশুদের মহাকাশযান পৃথিবীতে প্রবেশের পর যখন সমুদ্রে অবতরণ করবে, তখন ফের শুরু হবে লাইভ টেলিকাস্ট। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল তিনটের সময় পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশুরা। সেই দৃশ্যও সম্প্রচারিত হবে নাসার ওয়েবসাইটে।

    সাতদিন রিহ্যাবে শুভাংশুরা

    ক্যালিফোর্নিয়ায় উপকূলে অবতরণ করবেন শুভাংশুরা। এরপর সাতদিন রিহ্যাবে থাকবেন ভারতীয় নভশ্চর। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একথা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব নেই। যার ফলে হাড়ের ওজন কমে যায়। দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি। এছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পৃথিবীতে ফিরলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব পড়বে শরীরে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্যই এই রিহ্যাব। বিবৃতিতে ইসরো জানিয়েছে, ‘স্প্ল্যাসডাউনের পর ফ্লাইট সার্জনের পর্যবেক্ষণে সাতদিনের রিহ্যাবে থাকবেন গগনযাত্রী। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এই পদক্ষেপ। যেমন হয়েছিল সুনীতা উইলিয়ামসের ক্ষেত্রেও। বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়রে মাধ্যমে শুভাংশুর স্বাস্থ্যের খবর রাখছেন ইসরোর ফ্লাইট সার্জনরা।’

    সারে জাঁহা যে আচ্ছা

    ১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা যে অবিস্মরণীয় মন্তব্য করেছিলেন, সেটার রেশ ধরেই ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু বলেন, ‘আজও এখান থেকে ভারতকে দেখে মনে হচ্ছে, সারে জাঁহা যে আচ্ছা….।’ সোমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর দিকে রওনা দিতে চলেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। তার আগে অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের মহাকাশচারীদের জন্য বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছেন। আর তিনি যা শিখেছেন, সেই অভিজ্ঞতা দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তাঁর কথায়, ‘এটা আমার কাছে মায়াবী মনে হচ্ছিল। আমার এই যাত্রাটা দুর্দান্ত কাটছে।’

    মহাকাশে ১৭ দিন, শুভাংশুদের জন্য ইসরোর কত খরচ

    মহাকাশে ১৭ দিনে শুভাংশু শুক্লা ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে তিনি ৭টি বিশেষ পরীক্ষা করেছেন, যার মধ্যে ছিল— টার্ডিগ্রেডস, একটি ক্ষুদ্র জীব যা মহাকাশে কীভাবে বেঁচে থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে তা দেখার জন্য গবেষণা। মেথি ও মুগ চাষ, যা থেকে মহাকাশে খাদ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা বাড়বে। সায়ানোব্যাকটেরিয়া, মহাশূন্যে অক্সিজেন ও জৈবজ্বালানির সম্ভাব্য উৎস খোঁজাও ছিল শুভাংশুর কাজ। মায়োজেনেসিস, মানুষের পেশীর উপর স্থানের সংস্পর্শের প্রভাব বোঝারও চেষ্টা করেন ভারতীয় মহাকাশচারী। বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুকে যে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, সেটার জন্য ইসরোর প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আসলে কয়েক মাস পরেই ভারতের গগনযান মহাকাশে পাড়ি দেবে। তার আগে যাতে আরও নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করতে পারে ইসরো এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু মহাকাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, সেটার জন্যই তাঁকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।

     

     

     

  • Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক দশক ধরে মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের এক নবজাগরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে (Indonesia)। বিশেষ করে দেশটির বালি দ্বীপ, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, সেখানে ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপপুঞ্জজুড়ে মোট ১২টি বিখ্যাত মন্দিরের পুনঃসংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যে দেশের ৮৭ শতাংশের বেশি মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দু জনসংখ্যার হার এক শতাংশের সামান্য বেশি, সই দেশে পরপর মন্দির সংস্কারের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    এক হাজার মন্দির তৈরি (Hindu Temples)

    সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) হিন্দু সম্প্রদায় এক পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছে। যার নাম “এক হাজার চান্দি নুয়াসান”। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল— গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে এক হাজার নতুন মন্দির নির্মাণ করা। “চান্দি” শব্দটি ইন্দোনেশিয়ান সংস্কৃতিতে মন্দির বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা মূলত হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের উপাসনাস্থল হিসেবে বিবেচিত।

    চলছে প্রচার (Hindu Temples)

    এই কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে এক ব্যাপক প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্মের মূল্যবোধ, শান্তির বার্তা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি তুলে ধরা হচ্ছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। গোটা দ্বীপপুঞ্জে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেক যুবক হিন্দু এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে (Indonesia)। অনেকে একে ‘হিন্দু সংস্কৃতির নতুন জোয়ার’ হিসেবেও অভিহিত করছেন।

    সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) হিন্দু ধর্মের প্রসার ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এর ফলে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক চিরকালই গভীর এবং এই কর্মসূচি সেই বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গুরুত্বপূর্ণ মন্দির

    সংস্কার চলছে এমন মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কেদুলান মন্দির, যা ভগবান শিবকে উৎসর্গ করে নির্মিত। এই মন্দিরটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে এবং বর্তমানে এর সংস্কারকাজ জোরকদমে চলছে। এছাড়া রয়েছে কালাসান মন্দির, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের স্পষ্ট প্রভাব দেখা যায়। এটিও ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং বর্তমানে এটি সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। লাউসান মন্দির নামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির, যার স্থাপত্যে বৌদ্ধ ধর্মীয় শৈলী লক্ষ করা যায়, সেটিও পুনঃসংস্কারের আওতায় এসেছে। এ ছাড়া সুকুয়া মন্দির, যা মধ্য জাভা প্রদেশে অবস্থিত, সেখানেও সংস্কারকাজ চলছে পুরোদমে।

  • Ramakrishna 409: মাস্টার সেবা করিতে জানেন না, তাই ঠাকুর নিজেই তাঁকে সেবা শেখাচ্ছেন

    Ramakrishna 409: মাস্টার সেবা করিতে জানেন না, তাই ঠাকুর নিজেই তাঁকে সেবা শেখাচ্ছেন

    তখন ঠাকুর আহার করার জন্য বৈঠকখানায় একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। মাঝে মাঝে থলি থেকে কিছু মসলা, কাবাব বা চিনি ইত্যাদি খাচ্ছেন। অল্পবয়স্ক ভক্তরা চারদিকে ঘিরে বসে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসতে হাসতে): “হে, তুমি যে এখন এলে! স্কুল নেই?”

    মাস্টার: “স্কুল থেকে আসছি, এখন বিশেষ কাজ নেই।”

    ভক্ত (হাসতে হাসতে): “মহাশয় স্কুল পালিয়ে এসেছেন!”

    (সকলের হাস্য)

    মাস্টার (হাসি): “হায়! কে যেন টেনে আনলে!”

    ঠাকুর যেন কিছুটা চিন্তিত হয়ে উঠলেন। তারপর মাস্টারকে পাশে বসিয়ে কত কথা বললেন। তারপর বললেন,
    “আমার গামছাটা একটু নিংড়ে দাও তো গো, আর জামাটা শুকোতে দাও। পাটা একটু কামড়াচ্ছে, একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারো?”

    মাস্টার সেবা করিতে জানেন না, তাই ঠাকুর নিজেই তাঁকে সেবা শেখাচ্ছেন। মাস্টার ব্যস্ত হয়ে একে একে সমস্ত কাজ করতে লাগলেন—তিনি ঠাকুরের পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, গামছা নিংড়াচ্ছেন, জামা শুকোতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণ নানা কথা বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন।

    ঠাকুর- “এই যে মাস্টার, আমার হ্যাঁগা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা কদিন ধরে হচ্ছে। বল তো, কেন হচ্ছে? এখন আর কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে পারি না। একবার একটা ধাতব বাটিতে হাত দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে মনে হল চিংড়ি মাছের কাঁটা ফুটল যেন—কনকন করতে লাগল। তখন ভাবলাম গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে তুলতে পারি কিনা। কিন্তু যাই হাতে দিই, অমনি হাতটা ঝনঝন করতে থাকে, খুব বেদনাও হয়।”

    “শেষে মাকে প্রার্থনা করলাম, ‘মা, আর এমন কর্ম করব না। মা, এবার মাফ করো।”

  • Daily Horoscope 14 July 2025: তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 14 July 2025: তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    ৩) ভাই-বোনের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি লাভজনক থাকবে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞতা অর্জনের ফলে আনন্দিত হবেন।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের বদলির কারণে স্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে।

    মিথুন

    ১) মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ব্যবসায়ীরা মন্দার কারণে চিন্তিত থাকলে এবার উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে।

    ৩) সন্তান আপনার প্রত্যাশা পূরণ করবে।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, তাঁরা আপনার জন্য লাভজনক প্রমাণিত হবেন।

    ৩) ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    সিংহ

    ১) আজ মিশ্র পরিণাম লাভ করবেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের কথা আপনার খারাপ লাগতে পারে।

    ৩) চাকরিজীবী জাতকরা পদোন্নতি লাভের ফলে আনন্দিত হবেন।

    কন্যা

    ১) আজ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।

    ২) কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) অংশীদারীর কাজে লাভ হবে।

    তুলা

    ১) আজ কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীরা আপনার পরিশ্রম ও সমর্পণ দেখে আশ্চর্যচকিত হবেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার পরিকল্পনা করবেন।

    ২) মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ৩) পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে তর্ক হলে লোকসান হতে পারে।

    ধনু

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সফল হবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে আপনাকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হলে তা পূর্ণ করুন।

    ৩) বরিষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সতর্ক থাকুন।

    মকর

    ১) পারিবারিক জীবনে সমস্যা চললে ধৈর্য ধরুন ও সতর্কতার সঙ্গে তার সমাধান করুন।

    ২) ব্যবসায়ীরা যাত্রায় যেতে পারেন, মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বড়সড় লগ্নি করবেন না, তা না-হলে টাকা আটকে যেতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) পরিবারে কোনও অতিথির আগমনের আনন্দ থাকবে।

    ৩) পৈতৃক ব্যবসায়ে নতুন কিছু শুরু করতে পারেন।

    মীন

    ১) আশপাশের পরিবেশ আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) একের পর এক সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) বাজেট অনুযায়ী ব্যয় করুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Lawyer Shot: বিহারে গুলি করে খুন আইনজীবীকে, অন্যত্র আততায়ীরা হত্যা করল বিজেপি নেতাকে

    Lawyer Shot: বিহারে গুলি করে খুন আইনজীবীকে, অন্যত্র আততায়ীরা হত্যা করল বিজেপি নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহারে (Patna)। তার আগে আজ, রবিবার প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হল একজন আইনজীবীকে (Lawyer Shot)।

    পাটনায় খুন আইনজীবী (Lawyer Shot)

    পাটনা পূর্বের এসপি পরিচয় কুমার জানান, নিহত ব্যক্তির নাম জিতেন্দ্র মাহাতো। তাঁকে গুলি করে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি বলেন, “অপরাধীরা জিতেন্দ্র মাহাতো নামে একজনকে গুলি করেছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা যান।” তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো এদিনও ওই আইনজীবী এলাকার একটি দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি গুলির খোল। এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তাদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    গুলি করে খুন বিজেপি নেতাকেও

    এসপি বলেন, “ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।” তিনি জানান, জিতেন্দ্র মাহাতো নামের ওই আইনজীবী গত দু’বছর ধরে আইনি পেশায় ছিলেন না। তাই ঠিক কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, পাটনার পিপরা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন বিজেপি নেতা তথা কিষান মোর্চার প্রাক্তন কর্মী সুরেন্দ্র কেওয়াত। জানা গিয়েছে, এদিন নিজের জমিতেই কাজ করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। বিহার পুলিশের এক কর্তা কানহাইয়া সিং বলেন, “সুরেন্দ্রকে বাইকে করে এসে দুই ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করে। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় এইমসে। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর।” পুলিশ (Patna) জানিয়েছে, সুরেন্দ্রর পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেনসিক দল। আততায়ীদের ধরতে পাটনা ও তার আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করছে পুলিশ (Lawyer Shot)।

    শনিবারও সীতামারহি জেলার মেহসৌল চকে ব্যস্ততম বাজার এলাকায় গুলি করে খুন করা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী পুটু খানকে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর (Lawyer Shot)।

  • An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তোমায় একটা গোপন কথা বলি। তোমার দাদু নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদি পরিবারগুলিকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন।” মায়ের মুখ থেকে শোনা এই একটিমাত্র বাক্যই বিনয় গুপ্তকে ঠেলে দিয়েছিল তাঁর দাদুর অতীত খুঁজে বের করার কাজে হাত দিতে। শেষমেশ (An Unsung Indian) তিনি যা আবিষ্কার করেন, তা কল্পনার চেয়েও বেশি নাটকীয় — এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর অজানা বীরত্বগাথা, যিনি ইউরোপের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে (Austrian Jews) অপরিচিত মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে বাজি রেখেছিলেন নিজের সব কিছু।

    ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প (An Unsung Indian)

    এটি শুধুমাত্র সহানুভূতি কুড়নোর কোনও গল্প নয়, বরং একটি পরিকল্পনা, ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প। ভারতে ফিরে এসে কুন্দনলাল ইহুদিদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, তাঁদের মাথা গোঁজার জন্য ঘর বানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরেই ব্রিটিশরা তাঁদের ‘শত্রু বিদেশি’ বলে ঘোষণা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই আটক করা হয় তাঁদের। কুন্দনলালের জীবনটা যেন একটা আস্ত মহাকাব্য। লুধিয়ানার এক হত দরিদ্র ছেলের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সংসার চালাতে তিনি কাঠ, নুন থেকে শুরু করে পরীক্ষাগার সরঞ্জাম ও বলগাড়ির চাকা পর্যন্ত সব কিছু বিক্রি করেন। পরে কাপড়ের ব্যবসা এবং একটি দেশলাই কারখানাও চালান। লাহোরে ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে ২২ বছর বয়সে ঔপনিবেশিক সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে যোগ দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। নিজেকে নিয়োজিত করেন শিল্প গড়ার কাজে।

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা”

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা” নামে এক পারিবারিক স্মৃতিচারণে বিনয় আবিষ্কার করেন বিদেশের মাটিতে তাঁর দাদুর এই অসাধারণ উদ্ধার অভিযানের কাহিনি। ১৯৩৮ সালে হিটলারের অস্ট্রিয়া দখলের ছায়ায়, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরের মেশিন টুল প্রস্তুতকারী কুন্দনলাল গোপনে ইহুদিদের ভারতে চাকরির অফার দেন, যাতে তাঁরা জীবনরক্ষাকারী ভিসা পেতে পারেন। তিনি তাঁদের কাজ দেন, জীবিকার ব্যবস্থা করেন, এমনকি তাঁদের জন্য ভারতে ঘরও বানিয়ে দেন। সব মিলিয়ে কুন্দনলাল মোট ৫টি পরিবারকে উদ্ধার করেছিলেন। ফ্রিট্‌জ ওয়েইস একজন বছর তিরিশের ইহুদি আইনজীবী। প্রাণ বাঁচাতে অসুস্থতার ভান করে তিনি লুকিয়েছিলেন একটি হাসপাতালে। অসুস্থতার কারণে সেখানে ভর্তি ছিলেন কুন্দনলালও। নাৎসিরা যখন ওয়েইসকে বাধ্য করেছিল নিজের বাড়ির সামনের বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার করতে, তখন কুন্দনলাল তাঁকে (Austrian Jews) “কুন্দন এজেন্সিজ” নামের এক কাল্পনিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার দেন। এই অফারের পেতেই ওয়েইস ভারতে ভিসা পান (An Unsung Indian)।

    কুন্দনলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আলফ্রেড ভাখ্‌সলার দক্ষ কাঠের কারিগর। এই ইহুদি যুবকও হাসপাতালে গিয়ে কুন্দনলালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর পরিবারও চলে আসেন ভারতে। হান্স লোশ ছিলেন টেক্সটাইল প্রযুক্তিবিদ। একটি অস্ট্রিয়ান পত্রিকায় কুন্দনলালের দেওয়া বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে লুধিয়ানায় তাঁর কাল্পনিক “কুন্দন ক্লথ মিলসে” চাকরি দেওয়া হয় তাঁকে। নবজীবন লাভ করেন এই ইহুদিও। আলফ্রেড শাফ্‌রানেক নিজেই একসময় ৫০ জন কর্মচারীর একটি প্লাইউড কারখানার মালিক ছিলেন। কুন্দনলালের কাছে নিজের দক্ষতার কথা জানান তিনি। তার পরেই ভারতের সবচেয়ে আধুনিক প্লাইউড ইউনিট তৈরির কাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান আলফ্রেড। তাঁর পুরো পরিবারও একইভাবে রক্ষা পেয়েছিল নাৎসিদের হাত থেকে।

    ত্রাতার ভূমিকায় কুন্দনলাল

    সিগমুন্ড রেটার ব্যবসা করতেন যন্ত্র সরঞ্জামের। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ হয় কুন্দনলালের। নাৎসি শাসনে ব্যবসা লাটে উঠলে কুন্দনলাল তাঁর ভারতে আসার ব্যবস্থা করে দেন। এসবই শুরু হয়েছিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Austrian Jews) থাকার সময়ই কুন্দনলাল জানতে পারেন ইহুদিদের বিরুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বাড়তে থাকা হিংসা ও জীবনজীবিকা ধ্বংসের কথা (An Unsung Indian)। পরবর্তী কয়েক মাসে তিনি আরও কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের বাঁচাতে ফের দক্ষ কর্মী চাই বলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন কুন্দনলাল। সেই বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওয়াখ্সলার, লসচ, শাফ্রানেক এবং রেটারও। কুন্দনলাল এঁদের প্রত্যেককে চাকরি, আর্থিক নিশ্চয়তা এবং ভারতীয় ভিসা পেতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

    বিনয় গুপ্তর বক্তব্য

    বিনয় লেখেন, “এই সব পরিবারগুলির জন্য কুন্দনলালের এত জটিল পরিকল্পনার একটি বিস্ময়কর দিক ছিল তাঁর গোপনীয়তা — তিনি সব সময় এটিকে ভারতের প্রযুক্তি স্থানান্তরের একটি প্রচেষ্টা বলে তুলে ধরতেন। তিনি তাঁর ইচ্ছা বা পরিকল্পনার কথা কোনও ভারতীয় বা ব্রিটিশ আধিকারিকের সঙ্গে শেয়ার করেননি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তা জানতে পারেন কুন্দনলাল বাড়ি ফিরে এলে (An Unsung Indian)।” ১৯৩৮ সালের অক্টোবরে লসচ ছিলেন কুন্দনলালের ডাকা প্রথম ব্যক্তি যিনি লুধিয়ানায় পৌঁছন। বিনয় লেখেন, তাঁকে কুন্দনলালের (Austrian Jews) বাড়িতে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু ইহুদি কোনও সমাজ না থাকায়  এবং কুন্দনলালের বস্ত্রকলের বিপর্যস্ত দশা দেখে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লসচ তৎকালীন বোম্বেয় চলে যান। ওয়েইস টিকেছিলেন দুমাসেরও কম। তাঁর জন্য যে কোম্পানিটি তৈরি করা হয়েছিল, ‘কুন্দন এজেন্সি’, সেটি কোনওদিন চালুই হয়নি। তিনিও দ্রুত বোম্বে চলে যান। তাঁরা চলে যাওয়ার পরেও কুন্দনলালের কোনও ক্ষোভ ছিল না। বিনয় লেখেন, “আমার পিসি আমায় বলেছিলেন, বরং কুন্দনলাল লজ্জিত ছিলেন এই ভেবে যে তিনি ভিয়েনার মতো জীবনধারা বা সামাজিক পরিবেশ দিতে পারেননি, এবং তিনি মনে করতেন যদি দিতে পারতেন, তাহলে এই দুই ব্যক্তি হয়তো লুধিয়ানায়ই থেকে যেতেন।”

    লুধিয়ানায় ইহুদি পরিবার

    আলফ্রেড এবং লুসি ভ্যাক্সলার তাঁদের ছোট ছেলেকে নিয়ে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেশ লুধিয়ানায় এসে পৌঁছন। তাঁরা ওঠেন একটি বিরাট বাড়িতে, যেটি কুন্দনলাল তাঁদের জন্য বানিয়েছিলেন। পাশেই আর একটি বাড়ি যেটি তৈরি হয়েছিল শাফরানেক পরিবারের জন্য। ১৯৩৯ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রিয়া থেকে আলফ্রেড শাফরানেক, তাঁর ভাই সিগফ্রিড এবং তাঁদের পরিবার নিয়ে লুধিয়ানায় পৌঁছন। তাঁরা চালু করেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন প্লাইউড কারখানা (An Unsung Indian)। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন। এর ক’দিনের মধ্যেই ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতকে সেই যুদ্ধে জোরপূর্বক টেনে নিয়ে যায়। এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ লাখেরও বেশি ভারতীয়, যাঁদের মধ্যে ৮৭ হাজার জন আর ফিরে আসেননি।

    বন্দি শিবিরে জার্মানরা

    ১৯৪০ সালের মধ্যে নয়া নিয়মে সব জার্মান নাগরিককে পাঠানো হয় বন্দি শিবিরে। ওয়াখসলার ও শাফরানেকের পরিবারকে জোর করে পুনার (বর্তমান পুণে) নিকটবর্তী পুরানধর ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়। করাচিতে চাকরি পাওয়ায় ওয়াখসলার পরিবার ১৯৪২ সালে ক্যাম্প ছাড়েন। ১৯৪৮ সালে আলফ্রেড ওয়াখসলারের এক খুড়তুতো ভাই তাঁদের পরিবারের জন্য আমেরিকায় শরণার্থী ভিসার ব্যবস্থা করেন। তার পরেই চিরতরে ভারত ছেড়ে চলে যান তাঁরা। শাফরানেক পরিবার ১৯৪৭ সালে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। বিনয় লেখেন, “মাত্র ১০ বছর বয়সে মার্কিন (Austrian Jews) যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও, আজ তাঁর বয়স আশির কোঠায়, অ্যালেক্স ওয়াখসলার এখনও ভারতের জীবনকে গভীরভাবে মিস করেন, ভারতীয় রেস্তোরাঁয় খেতে ভালোবাসেন, ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করে খুশি হন এবং উর্দু ভাষায় তাঁর জ্ঞান দিয়ে তাঁদের চমকে দেন (An Unsung Indian)।”

    মেয়েদের জন্য স্কুল

    লুধিয়ানায় কুন্দনলাল তাঁর মেয়েদের জন্য বাড়িতেই একটি স্কুল তৈরি করেছিলেন। সেই স্কুলে বর্তমানে ৯০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ১৯৬৫ সালে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় কুন্দনলালের স্ত্রী সরস্বতীর। এর ঠিক এক বছর পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কুন্দনলাল। বিনয় লেখেন, “‘নীরব দর্শক’ হওয়া কুন্দনলালের চরিত্রে ছিল না। যদি তিনি কিছু দেখতেন বা কারও যার যত্নের প্রয়োজন, তিনি তৎক্ষণাৎ এগিয়ে আসতেন। সমস্যা তাঁকে কখনও ভয় দেখাতে পারেনি (An Unsung Indian)।”

     

LinkedIn
Share