Tag: news in bengali

news in bengali

  • TET 2022: ভুল ছিল ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নেও, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ৫০০ পরীক্ষার্থী

    TET 2022: ভুল ছিল ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নেও, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ৫০০ পরীক্ষার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি, দুটি নয়, ২০২২ সালের টেটে ভুল রয়েছে ১৫টি প্রশ্নে। মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মৌসোনা মিত্র-সহ ৫০০ টেট পরীক্ষার্থী (TET 2022)। তাঁদের দাবি, টেটের ১৫টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এর পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য জানতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    কী বলল আদালত? (TET 2022)

    তাঁর মন্তব্য, প্রশ্ন ভুল নিয়ে স্থায়ী কোনও সমাধান বের করতে হবে পর্ষদকে। তারা কী পদক্ষেপ করবে, আদালতকে তা জানাতে হবে পরবর্তী শুনানির দিন। তা না হলে নীতি নির্ধারণ করবে আদালতই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ মার্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘প্রশ্ন ভুল হলে কোন ক্ষেত্রে কাদের নম্বর দেওয়া হবে, কাদের দেওয়া হবে না, তা নিয়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে পর্ষদকে। পর্ষদ তা (TET 2022) না পারলে নীতি নির্ধারণ করবে আদালতই।’

    অতীতেও টেটে ভুল প্রশ্ন

    এই প্রথম নয়, ২০১৪ সালের টেটেও প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় সব পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মুখ পোড়ে সেখানেও। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন পরীক্ষার্থীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ২০১৪, ২০১৭ সালের টেটের প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে ভুল রয়েছে ২০২২ সালের টেটেও।

    আরও পড়ুুন: ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে”, সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের টেটে সাতটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ২০২৩ সালে। সেবার আবেদন করেছিলেন শুক্লা ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন টেট পরীক্ষার্থী। ওই একই অভিযোগে মঙ্গলবার ফের দায়ের হল মামলা। 

    শিক্ষক মহলের আশঙ্কা, পর্ষদ যদি সাতটি প্রশ্নে ভুল থাকার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করে নেয়, তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা আরও বাড়বে। কারণ, যেসব পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত হবে টেট পরীক্ষার্থীর তালিকা। তালিকায় অদল-বদলও ঘটাতে হবে। তখন আর শেষ থাকবে না বিড়ম্বনার (TET 2022)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi in Pokhran: “ত্রিশক্তির এই মহড়া ঘোষণা করছে নয়া ভারতের উত্থান”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi in Pokhran: “ত্রিশক্তির এই মহড়া ঘোষণা করছে নয়া ভারতের উত্থান”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সৈন্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Pokhran)। মঙ্গলবার রাজস্থানের পোখরানে ভারতীয় সেনার (Indian Army) ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আজ যে দৃশ্য আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, ত্রিশক্তি বাহিনীর যে সাহসের সাক্ষী আমরা হলাম, তা অনন্য সাধারণ। আকাশে ভারতীয় সেনার গর্জন, স্থলভাগে ভরতীয় সেনার দুঃসাহস এবং সেনার বিজয়োল্লাস যে দিকে দিকে ধ্বনিত হচ্ছে, তা সগর্বে ঘোষণা করে নয়া ভারতের উত্থান।”

    আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান

    এদিন পোখরানে ত্রিশক্তির অনুশীলন (Exercise Bharat Shakti) প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বলেন, “আজ পোখরান আরও একবার সাক্ষী রইল আত্মনির্ভর ভারত, আত্মবিশ্বাসী ভারত এবং আত্মগর্বিত ভারতের।” সোমবারই অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran) তাকে ‘প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। অতীতে যে এই পোখরানেই ভারত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “পোখরান ভারতের আত্মনির্ভরতা, বিশ্বাস এবং আত্মগৌরবের সাক্ষী হয়ে রইল।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran)?

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের ধারণাকে মাথায় রেখেই হয়েছে এদিনের সেনা মহড়া (Exercise Bharat Shakti)। প্রদর্শিত হয়েছে ভারতের তৈরি বিশেষ যুদ্ধ সরঞ্জাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান। এদিনের মহড়ায় তেজস যুদ্ধবিমান, এএলএইচ মার্ক-৪, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, কে-৯, আর্টিলারি গান, ইউএভি (ড্রোন), পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার, শর্ট রেঞ্জ মিসাইল অংশগ্রহণ করেছিল। অবশ্য এই প্রথম নয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় বায়ুসেনার মহড়ায়ও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উন্নত ভারতের স্বপ্নপূরণ লুকিয়ে রয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের মধ্যেই। উন্নয়ন পেতে গেলে আমাদের অবশ্যই অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। তাই ভোজ্য তেল থেকে কাটিং এজ এয়ারক্র্যাফ্ট পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আত্মনির্ভরতায় জোর দিচ্ছে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran) বলেন, “এই যে ভারত শক্তির সেলিব্রেশন হচ্ছে, এটা কেবল রাজস্থান নয়, সাহসের এই গাথা পৌঁছে যাবে তামাম বিশ্বে।”

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া। সেটা ২০২২ সাল। সে বছরই ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হয় প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে। মস্কো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ওই আঘাত হানতে চেয়েছিল। তবে, সময়মতো হস্তক্ষেপ করে, একটা বড় বিপর্যয় রুখে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। 

    মোদির (PM Modi) উদ্যোগের প্রশংসা

    রাশিয়া যদি ওই পারমাণবিক আঘাত হানত, তাহলে সেটা হত জাপানের হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ-উত্তর প্রথম পারমাণবিক হামলার ঘটনা। প্রায় আশি বছর আগে জাপানের ওই দুই শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। সিএনএন-এর রিপোর্টেই এই তথ্য মিলেছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করতে নিরস্ত করেছিলেন যিনি, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও কয়েকটি দেশও রাশিয়াকে নিষেধ করেছিল ইউক্রেনে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে।

    শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)

    ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ সমর্থন করেনি ভারত। তাই এসসিও সামিটে উজবেকিস্তানে গিয়ে যখন পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তখনই তিনি পুতিনকে শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়, বন্ধু। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই মস্কো যে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্বেগে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনও। সিএনএন-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে আঁচ করেই ভারত (PM Modi) সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য চায় বাইডেন প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    এই দেশগুলি যাতে পুতিনকে বোঝায়, তিনি যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন। প্রবীণ এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “আমরা ওই দেশগুলিকে কেবল বার্তা পাঠিয়েই ক্ষান্ত হইনি, আমরা তাদের কাছে জোরালো অনুরোধও করেছিলাম। তারা যাতে অন্য দেশগুলিকেও একই অনুরোধ করে, তাও বলেছিলাম।” সিএনএনের প্রবীণ কর্তারা স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য কয়েকজন এই সঙ্কট (ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ) কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের ওই বর্ষীয়ান আধিকারিক বলেন, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উদ্বেগ বুঝতে পারবে রাশিয়া।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এ বিষয়ে কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। অন্যান্য বহু দেশের সঙ্গে ভারতও সচেষ্ট হয়ে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র হামলা রুখে দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Haryana CM: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    Haryana CM: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Haryana CM) হলেন বিজেপির নায়েব সিং সাইনি। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। এদিনই সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বিজেপি নেতা মনোহর লাল খট্টর। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে তাঁকে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন খট্টর। তার পরেই বিজেপির হরিয়ানার সভাপতি সাইনিকেই বসানো হয় খট্টরের চেয়ারে।

    বিরোধীদের মাত বিজেপির (Haryana CM)

    সাইনি ওবিসি সম্প্রদায়ের। হরিয়ানায় এই সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা খুব কম নয়। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় আট শতাংশ মানুষ সাইনি সম্প্রদায়ের। কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, যমুনানগর, রেওয়ারি এবং হিসারের মতো জেলায় সাইনি সম্প্রদায়ের বহু মানুষের বাস। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের অনুগত সৈনিক সাইনিকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়ে রাজ্যের বিরোধীদের কার্যত ছত্রখান করে দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    সাইনির উত্তরণ

    সাইনি কুরুক্ষেত্রের সাংসদ। গত বছর বিজেপির হরিয়ানা রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে জন্ম সাইনির। মুজফফরপুরের বিআর আম্বেদকর বিহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ২০১০ সালে মেরঠের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন এলএলবি। ১৯৯৬ সাল থেকেই বিজেপির হরিয়ানা ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। সংগঠন বিস্তারে নিবেদিত প্রাণ। ২০১৬ সালে মনোহরলাল খট্টর মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিলেন সাইনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কুরুক্ষেত্র কেন্দ্রে কংগ্রেসের নির্মল সিংকে ৩.৮৩ লক্ষ ভোটে পরাস্ত করেন সাইনি।

    ২০০২ সালে বিজেপি সাইনিকে আম্বালায় দলের যুব শাখার (Haryana CM) জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে বসায়। ২০০৫ সালে আম্বালা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি হন তিনি। হরিয়ানার বিজেপির কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন সাইনি। ২০১২ সালে আম্বালা জেলা সভাপতি পদে বসানো হয় তাঁকে। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নারায়ণগড় কেন্দ্রে পদ্ম প্রতীকে দাঁড়িয়ে হেরে যান তিনি। ২০১৪ সালে ওই আসনেই বিপুল ভোট জয়ী হন বিজেপির এই নেতা। এদিন চণ্ডীগড়ে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন সাইনি। তার আগে পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন খট্টরকে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় লোকসভার আসন রয়েছে ১০টি। সবকটিতেই একলা চলো নীতি নিয়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা (Haryana CM)। 

    আরও পড়ুুন: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • CAA: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

    CAA: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএকে (CAA) স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের।” নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এই প্রতিক্রিয়াই দিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট মৌলানা শাহাবউদ্দিন রাজভি বরেলভি।

    কী বলছেন জামাত প্রেসিডেন্ট (CAA)?

    তিনি বলেন, “এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। এই আইন নিয়ে মুসলমানদের মনে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। এর সঙ্গে মুসলমানদের কোনও সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আগে কোনও বিধান ছিল না। সেই কারণেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আগে সিএএ-র (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। তার কারণ মুসলমানদের ভুল বোঝানো হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল এই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।” তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সিএএকে স্বাগত জানানো।”

    “এই আইন আগেই করা উচিত ছিল”

    শাহাবউদ্দিন বলেন, “ভারত সরকার সিএএ (CAA) আইন লাগু করেছে। আমি এই আইনকে স্বাগত জানাই। এটা আগেই করা উচিত ছিল। কিন্তু না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়া ভালো। এই আইনটি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে।” অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারতের কোটি কোটি মুসলমানের ওপর এই আইনের কোনও প্রভাব পড়বে না। ভারতের কোনও মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না এই আইন। মুসলমানদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বীজ বপন করেছেন কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।”

    আরও পড়ুুন: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    “সিএএ (CAA) নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন”

    প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, “সিএএ লাগু হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।” তিনি এও বলেছিলেন, “আমাদের দেশের সংখ্যালঘুরা বিশেষত মুসলমান সম্প্রদায় প্ররোচিত হচ্ছেন। সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না। কারণ এই আইনে এমন কোনও ব্যবস্থাই নেই। সিএএ আইন তাঁদের জন্য, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে (হিন্দু-সহ ছটি সম্প্রদায়) বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন।”

    সোমবারই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসে সংসদে সিএএ বিল পাশ করে কেন্দ্র। পরে বিলটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। পাশও হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু দেশবাসীর একাংশকে ভুল বুঝিয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manohar Lal Khattar: পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, প্রার্থী হচ্ছেন লোকসভায়?

    Manohar Lal Khattar: পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, প্রার্থী হচ্ছেন লোকসভায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপিরই নায়েব সাইনি অথবা সঞ্জয় ভাটিয়া। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে খট্টরকে করনাল কেন্দ্রে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। এমনটাই খবর সূত্রের।

    মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা খট্টরের (Manohar Lal Khattar)

    এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বাসভবনে বিজেপি এবং সরকারের সমর্থক নির্দল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন খট্টর। তারপরেই ইস্তফা দেন তিনি। এদিনই জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) নেতা দুষ্মন্ত চৌটালা ১১টায় বৈঠক ডেকেছিলেন। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে হিসার এবং ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড় কেন্দ্রের প্রার্থী বাছাই নিয়েও আলোচনা হয় খট্টরের ডাকা বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিলে মন্ত্রিসভা ভেঙে যায়। নয়া মন্ত্রিসভায় কারা (Manohar Lal Khattar) মন্ত্রী হবেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জেজেপির পরিবর্তে নির্দলদের সমর্থনে এবার সরকার গড়তে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। 

    হরিয়ানায় সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব

    হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। এর মধ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৪১। কংগ্রেসের রয়েছেন ৩০ জন বিধায়ক। জেজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০। নির্দল রয়েছেন ৭ জন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল ও হরিয়ানা লোকহিত পার্টির একজন করে বিধায়কও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, নায়েব সাইনি কিংবা সঞ্জয় ভাটিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হরিয়ানার রাজভবনের কনফারেন্স রুমে শপথ গ্রহণের প্রস্তুতিও চলছে।

    আরও পড়ুুন: এনডিএ শিবিরে ফিরলেন চন্দ্রবাবু, বিজেপি-টিডিপি আসন রফা চূড়ান্ত

    জেজেপিকে লোকসভা আসন ছাড়তে নারাজ বিজেপি

    হরিয়ানায় লোকসভার আসন রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে জেজেপি ২টি আসন চেয়েছিল। যা ছাড়তে রাজি হয়নি বিজেপি। জেজেপি নেতা তথা হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী (মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ায় এখন প্রাক্তন) দুষ্মন্ত চৌটালা সোমবার সাক্ষাৎ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। দিল্লিতে আয়োজিত সেই বৈঠকে নাড্ডা জেজেপি সুপ্রিমোকে সাফ জানিয়ে দেন, হরিয়ানায় একটি আসনও তারা ছাড়তে পারবে না জেজেপিকে।

    হরিয়ানায় একা লড়বে বিজেপি?

    অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, এর পরেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান জেপিপি সুপ্রিমো। সেই বৈঠকও হয়নি। দিল্লিতে যখন দুটি আসনের জন্য দরবার করে বেড়াচ্ছেন দুষ্মন্ত, তখনই এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন খট্টর (Manohar Lal Khattar)। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, এবার নির্দলদের নিয়েই সরকার গড়বে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানায় একলা লড়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোদি-শাহের দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন (CAA) পাশ হয়েছিল বছর চারেক আগে। কার্যকর হল ১১ মার্চ, ২০২৪, সোমবার। এদিন থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল সিএএ আইন। এই আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছয় ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও ধর্মের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    প্রশ্ন হল, সিএএর (CAA) জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? indiancitizenshiponline.nic.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা আবেদন করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে পৃথক ফর্ম। বিভিন্ন ফর্মের জন্য নানা নথির প্রয়োজন হবে। এগুলি হল, বৈধ বিদেশি পাসপোর্ট, বাসস্থানের অনুমতিপত্র, বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র অথবা তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় জমা করা ৫০০ টাকার একটি ব্যাঙ্ক চালান, আবেদনকারীর স্বামী বা স্ত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট বা জন্মের শংসাপত্র, বিয়ের শংসাপত্র, ভারতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে (যাঁরা অন্য দেশ থেকে আসবেন), ভারতে ব্যবহৃত যে কোনও একটি ভাষা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান রয়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র থাকতে হবে অথবা আবেদনকারীর জেলায় বসবাসকারী দুজনকে মান্যতা দিতে হবে। আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কেও দুজনকে দিতে হবে শংসাপত্র। অনলাইন ছাড়াও ফর্ম ফিল-আপ করে জমা দেওয়া যাবে ডিএম বা ডিসি অফিসে গিয়ে।

    ভারতীয় নাগরিক কারা?

    মনে রাখতে হবে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁদের জন্ম হয়েছে, তাঁরা জন্মসূত্রেই ভারতীয়। এর পর থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের জন্মের সময় বাবা-মায়ের ভারতীয় নাগরিকত্ব থাকলে তবেই তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এর পর যাঁরা জন্ম গ্রহণ করেছেন, হয় তাঁর বাবা-মাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে কিংবা দুজনের মধ্যে যে কোনও একজন ভারতীয় ও অন্যজন অনুপ্রবেশকারী নন (CAA)।

    আরও পড়ুুন: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: কথা রাখলেন মোদি, চালু সিএএ, নয়া আইন সম্পর্কে জানুন বিশদে

    CAA: কথা রাখলেন মোদি, চালু সিএএ, নয়া আইন সম্পর্কে জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ। কথা দিয়েছিলেন অচিরেই দেশে লাগু হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA)। সোমবারই এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    সিএএ (CAA) নিয়ে ‘মিথ্যে’ প্রচার 

    সিএএ লাগু হলে অনেকে নাগরিকত্ব হারাবেন বলে বিরোধীরা ‘মিথ্যে’ প্রচার করছিলেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “সিএএ (CAA) কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। আইনে এমন কোনও বিধান না থাকায় কোনও ভারতীয়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। সিএএ হল বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি আইন।”

    সিএএ (CAA) কী জানেন?

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরে সিএএ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছিল যাবতীয় প্রস্তুতি। মিথ্যে প্রচার করে বিরোধীরা দেশজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। তারপর বিষয়টি থিতু হলে নতুন করে আইনটি লাগু করতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনে (CAA) বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছয় ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও ধর্মের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

    সংশোধিত আইনে শিথিল শর্ত

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব পেতে হলে টানা এক বছর ভারতে থাকতে হবে। এ ছাড়াও গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতে থাকা বাধ্যতামূলক। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে ১১ বছরটা কমিয়ে করা হয়েছে মাত্রই ৫ বছর। আইন অনুযায়ী, ভিসা কিংবা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও, ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন ওই ছয় ধর্মের কোনও শরণার্থী।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যে ইস্তেহার বিজেপি প্রকাশ করেছিল, তাতেও সিএএ-র প্রতিশ্রুতি ছিল। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি অমিত শাহও বলেছিলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হয়ে যাবে সিএএ।” হলও তাই। দেশে লাগু হয়ে গেল সিএএ (CAA)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Myanmar: ভারতে পালিয়ে আসা মায়ানমারবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু

    Myanmar: ভারতে পালিয়ে আসা মায়ানমারবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধের কারণে মায়ানমার (Myanmar) ছেড়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছেন অনেকে। মায়ানমারের সেই সব নাগরিকদের সে দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করল ভারত। ৮ মার্চ, শুক্রবার অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া প্রথম দলটিকে মায়ানমারের মোরে শহরে ফেরত পাঠানো হয়। এই দলে এক শিশু সহ মোট সাত মহিলা ছিলেন।

    আপাতত ফেরত পাঠানো হচ্ছে ৭৭ জনকে

    মায়ানমারে ফেরতের প্রক্রিয়াটির ভিডিও করেছে মণিপুর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ সেটি পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মহিলাকে পাঠানো হচ্ছে ইম্ফল বিমানবন্দরের দিকে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মায়ানমারের ৭৭ নাগরিককে (যাঁরা অবৈধভাবে ভারতে চলে এসেছিলেন) ৮ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে একাধিক দলে ভাগ করে ফেরত পাঠানো হবে মায়ানমারে (Myanmar)। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন মহিলা। শিশু রয়েছে পাঁচটি। বাকিরা সবাই পুরুষ।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? 

    রবিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সংখ্যাটি বিশাল। তাই আমরা তাদের এক সঙ্গে মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারি না। কয়েকটি দলে ভাগ করে তাদের সে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছি। এজন্য কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এগুলি অনুসরণ করতে হবে আমাদের। অবৈধভাবে যারা ভারতে এসেছে, পর্যায়ক্রমে তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।” মণিপুর সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, এই বিদেশি নাগরিকদের প্রথম দলটিকে ইম্ফল থেকে সীমান্ত শহর মোরে পর্যন্ত হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, আজ রাতেই দেশে চালু হচ্ছে সিএএ, খবর সূত্রের

    প্রসঙ্গত, একুশ সালে মায়ানমারের নির্বাচিত আং সান সু কিয়ের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মায়ানমারের সেনা জুন্টা। তার পর থেকে সে দেশে চলছে সামরিক শাসন। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে লড়ছে মায়ানমারের একাধিক রাজনৈতিক দল। তার জেরেই শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। যার জেরে প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে আসছেন বহু মায়ানমারবাসী। তাঁদের মধ্যে যেমন সাধারণ মানুষ রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন সে দেশের সেনাবাহিনীর লোকজনও। অবৈধভাবে ভারতে আশ্রয় নেওয়া এই সব মায়ানমারবাসীকেই তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার।

    জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মায়ানমার থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন সে দেশের ৬০০ সেনা। বিদ্রোহীরা তাঁদের শিবির দখল করে নেওয়ায় তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামে। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩৫৯জন সেনাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাঁদের দেশে (Myanmar)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহানকে পুলিশি হেফাজত থেকে সিবিআই হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

    এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ (Sandeshkhali Case)

    শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। এই ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া এই দুই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেই তৃণমূলের ওই নেতাকে সাসপেন্ড করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেই আরও একবার মুখ পুড়েছে রাজ্যের। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেই মতোই তদন্ত চালিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের (সাসপেন্ডেড)সন্দেশখালির নেতা শেখ শাহজাহানেরও। তাঁর বাড়িতে তদন্তে যান ইডির কয়েকজন কর্তা। অভিযোগ, ইডি কর্তাদের লক্ষ্য করে শাহজাহানের দলবল ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। জখম হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এর পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। ৫৫ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    এর পরেই শাহজাহানকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার তদন্ত সিবিআই করবে বলে ৫ মার্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই। ওই দিন বিকেলের মধ্যেই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। মুখ পোড়ে সেখানেই (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share