Tag: news in bengali

news in bengali

  • Jammu Kashmir: রাজৌরিতে সেনা অভিযানে খতম এক সন্ত্রাসবাদী, বারামুল্লায় ধৃত ২ লস্কর জঙ্গি

    Jammu Kashmir: রাজৌরিতে সেনা অভিযানে খতম এক সন্ত্রাসবাদী, বারামুল্লায় ধৃত ২ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) রাজৌরিতে সেনা এনকাউন্টারে খতম এক জঙ্গি। এর আগে গতকাল বারামুল্লায় ২ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

    দসাল জঙ্গলে অভিযান

    রাজৌরির (Jammu Kashmir) দসাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর আসে পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিদমন অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। অন্ধকারের মধ্যেই জঙ্গল থেকে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ধেয়ে আসে। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে দুপক্ষের গুলি বিনিময়। এরপর শুক্রবার সকালে এক জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে গোটা জঙ্গল ও তার সংলগ্ন এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। 

    বারামুল্লায় গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি

    এর আগে, গতকাল বারামুল্লা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। জম্মু কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসে বারামুল্লার ফেস্টিয়ার খেরি গ্রামের কাছে কিছু জঙ্গি ঘোরাফেরা করছে। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে ফেস্টিয়ার ওয়ারিপোরা ক্রসিং এলাকায় একটি মোবাইল চেকিং চেকপয়েন্ট মোতায়েন করা হয়। আর তাতেই মেলে সাফল্য। জঙ্গিরা প্রথমে চেকপয়েন্ট দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ফেস্টিয়ার খেরি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম সুহালি গুলজার এবং ওয়াসিম আহমেদ পাটা। 

    আরও পড়ুন: ভারত সফরে প্রচণ্ড, মোদির সঙ্গে স্থল বন্দর উদ্বোধন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Junior Asia Hockey 2023: ছোটদের বড় রেকর্ড! পাকিস্তানকে হারিয়ে জুনিয়র এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    Junior Asia Hockey 2023: ছোটদের বড় রেকর্ড! পাকিস্তানকে হারিয়ে জুনিয়র এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হকিতে ফের এশিয়া সেরা হল ভারতের ছোটরা। চির-প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল (Junior Asia Hockey 2023)। সেইসঙ্গে ছিনিয়ে নিল এতদিন পাকিস্তানের ধরে রাখা সর্বাধিক জয়ের রেকর্ডও। এই নিয়ে চতুর্থ বার এশীয় সেরা হল ভারতীয় দল।

    বৃহস্পতিবার ওমানের সালালাহে আয়োজিত জুনিয়র এশিয়া কাপের (Junior Asia Hockey 2023) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেছিল ভারতীয় দল। বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল উত্তম সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। তৃতীয় কোয়ার্টারে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় পাকিস্তান। দ্বিতীয়ার্ধে কঠিন লড়াই চালায় পাকিস্তান। এই সময় পাকিস্তানের হয়ে ব্যবধান কমান বাশারত আলি। যদিও শেষমেশ ম্যাচে সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি পাকিস্তানের পক্ষে।

    এই নিয়ে সব থেকে বেশি চারবার ছেলেদের জুনিয়র হকি এশিয়া চ্যাম্পিয়ন (Junior Asia Hockey 2023) হল ভারত। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত হকি ইন্ডিয়া। তারা খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে। প্রত্যেক খেলোয়াড় পাবে ২ লক্ষ টাকা। প্রত্যেক সাপোর্ট স্টাফ পাবেন ১ লক্ষ করে। এর আগে সব থেকে বেশিবার এই টুর্নামেন্ট জয়ের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের। তারা ৩ বার ছেলেদের বিভাগে হকির জুনিয়র এশিয়া কাপ জিতেছে। এর আগে, ভারত জুনিয়র এশিয়া কাপ শিরোপা জেতে ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৫ সালে। চারবারের মধ্যে তিনবার পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের ছোটরা।

    আরও পড়ুন: পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক! জ্যাভলিনে বিশ্বের ১ নম্বর নীরজ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় দিল্লির আদালতে জোড়া ধাক্কা খেলেন বীরভূমের দাপুটে মণ্ডল-পরিবারের দুই জেলবন্দি সদস্য (Anubrata-Sukanya)। একদিকে, যেমন কেষ্ট মণ্ডলের শুনানি স্থগিত হয়ে গেল, তেমন অন্যদিকে ওই আদালতেই খারিজ হয়েছে মেয়ে সুকন্যার জামিনের আর্জি। ফলে, এখন বাপ-বেটিকে আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। 

    শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা গরহাজির থাকায় অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়নি। ওদিকে সুকন্যার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Anubrata-Sukanya)।

    সুকন্যার শুনানিতে মণীশের বয়ান হাতিয়ার ইডি-র

    শুনানিতে সুকন্যার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, সুকন্যার বয়স কম। তিনি এই দুর্নীতিতে যুক্ত নন। তিনি সব রকম ভাবে ইডিকে সহযোগিতা করেছেন। ফলে, তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। পাল্টা ইডি জানায়, বাবার কারবারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সুকন্যা। তিনিই গরু পাচারের টাকা বিনিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন। এ ব্যাপারে এই মামলায় জেলবন্দি অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির বয়ানকে হাতিয়ার করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র আইনজীবী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, সুকন্যা ব্যবসার দেখাশোনা করতেন এবং তাঁকেও নির্দেশ দিতেন। উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে জামিন খারিজ করেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    গোটা জুন মাস তিহাড়েই কাটবে কেষ্ট-সুকন্যার? (Anubrata-Sukanya)?

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে সুকন্যাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। ৩১ বছরের সুকন্যাকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার পর থেকে সুকন্যা তিহাড় জেলে। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় আগামী এক মাসে আর এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই মনে করা হচ্ছে, গোটা জুন মাস তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে (Anubrata-Sukanya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal PM in India: ভারত সফরে প্রচণ্ড, মোদির সঙ্গে স্থল বন্দর উদ্বোধন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

    Nepal PM in India: ভারত সফরে প্রচণ্ড, মোদির সঙ্গে স্থল বন্দর উদ্বোধন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল (Nepal PM in India) ওরফে প্রচণ্ড-কে পাশে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রথম স্থল বন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    ভারত সফরে প্রচণ্ড

    চারদিনের সফরে বুধবার ভারতে এসেছেন প্রচণ্ড (Pushpa Kumar Dahal)। গত বছরের শেষে তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নেপালের প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM in India) নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। বৃহস্পতিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এর পর সকাল সাড়ে এগারোটায় নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ‘রূপাইডিহা ল্যান্ড পোর্ট’-এর উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন, কী কথা হল?

    কী এই স্থল বন্দর?

    রূপাইডিহা স্থল বন্দরটি ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের বারাইচে অবস্থিত। ল্যান্ড পোর্ট হল আন্তর্জাতিক সীমান্তের এক অংশ, যেখান দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রূপাইডিহা স্থলবন্দরটি তৈরি করা হয়েছে ১১৫ একর জমির উপর, খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশেই বেশ কয়েকটি চেক পোস্ট গড়ে তোলা হয়েছে। সীমান্তের দুই পাশের এই চেকপয়েন্টগুলোতে এক ছাদের নিচে দুই দেশের শুল্ক, অভিবাসন ও অন্যান্য পরিষেবা বিভাগগুলোকে আনা হয়েছে। এর ফলে আন্তঃসীমান্ত পরিবহনের ক্ষেত্রে পণ্যবাহী ট্রাকগুলির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর

    এর আগে, হায়দরাবাদ হাউসে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিল্প, বাণিজ্য সহ একাধিক বিষয় স্থান পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্ক প্রসারিত করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে অর্থনীতি, শক্তি এবং পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও মজবুত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইন্দোরে যাবেন পুষ্প কুমার দহল (Nepal PM in India)। শনিবার কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে হিংসার কারণ খুঁজে বের করতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। রাজধানী ইম্ফলে এই ঘোষণা করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কমিটির শীর্ষে রয়েছেন হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি৷

    গত এক মাস ধরে জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮০ জন। আহত শতাধিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে চারদিন ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পড়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ঘোষণা করেন বিশেষ সহায়তা প্যাকেজেরও। বৃহস্পতিবার, তার চারদিনের সফরের শেষ দিনে মণিপুর হিংসার তদন্ত নিয়ে বিশেষ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ।

    হিংসা তদন্তে বহুমুখী পদক্ষেপ

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন প্যানেল গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। এছাড়া, হিংসার সঙ্গে জড়িত ৬টি মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, রাজ্য ও জেলাস্তরে সরকারের উদ্যোগে শান্তি কমিটিও গঠন করা হবে, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতে সব সম্প্রদায়ের স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা ছাড়াও সরকারি পদাধিকারীরা থাকবেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে এমন ৬টি হিংসাত্মক ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের সিবিআই তদন্ত হবে। কেন্দ্রের নজরদারিতেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগোবে৷ আমি সকলকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, হিংসার শিকড় সন্ধানে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে এই তদন্ত করা হবে৷’’

    একাধিক সহায়তার ঘোষণা

    এর আগে, হিংসায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, প্রতিটি পরিবারকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকা অর্থনৈতিক সাহায্য করা হবে৷ এছাড়া, মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘রাজ্যের উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলা করতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানো হবে কেন্দ্রের তরফে৷ রাজ্যে আরও চিকিৎসক পাঠানো হবে৷ ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷’’

    আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    ভুয়ো খবর থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ

    একইসঙ্গে, ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য আমি মণিপুরের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ করছি। যদি কেউ সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র বহনকারীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আগামিকাল থেকে চিরুনি তল্লাশি শুরু হবে এবং কারও কাছে অস্ত্র পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China Border: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন, কী কথা হল?

    India China Border: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত (India China Border) জটিলতার সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টায় ফের একবার আলোচনার টেবিলে বসল ভারত ও চিন। বুধবার নয়াদিল্লিতে বসেছিল ভারত-চিন কূটনীতি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কো অর্ডিনেশন’-এর (WMCC) ২৭তম আলোচনায় অংশ নেন দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা।

    বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আলোচনা হয়েছে খোলামেলা ও ইতিবাচক পরিবেশে। ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। অন্যদিকে, চিনের তরফে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত ও সমুদ্র বিষয়ক দফতরের ডিজি। বৈঠকে পূর্ব লাদাখে (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর যে সংঘাতের জায়গাগুলি চিহ্নিত হয়ে রয়েছে, সেখানে অস্ত্র নিবারনের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি স্থাপনের জন্য একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বুধবারের আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে শান্তি স্থাপনের ইস্যুটি। বৈঠকে বলা হয়েছে, একমাত্র সীমান্ত শান্তি ও স্থিতাবস্থার মাধ্যমেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হওয়া সম্ভব। জানা গিয়েছে, সীমান্ত সমস্যার (India China Border) সমাধানে দ্রুত সামরিক কমান্ডার পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকে বসার জন্য উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। এর আগের বৈঠকটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল বেজিংয়ে। 

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    সীমান্ত সমস্যা দীর্ঘদিনের

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য দুপক্ষই আলোচনার টেবিলে একাধিকবার বসেছে। যদিও, সমাধান সূত্র অধরাই থেকে গিয়েছে। কারণ একটাই, চিনের দ্বিচারিতা। বেজিং মুখে একরকম কথা বলে, কাজ করে উল্টো। গত তিন বছর ধরে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি জায়গায় (India China Border) ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিককালে, একাধিকবার ভারতের ভূমিতে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে চিনা পিএলএ। প্রতিবার ভারতীয় জওয়ানরা তা প্রতিহত করেছেন। গালওয়ানে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দুদেশের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে।

    দু-মুখো নীতি বেজিংয়ের

    চিনের দু-মুখো নীতি সম্পর্কে ভারত যথেষ্ট অবগত। এখনও একদিকে উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনায় বসলেও, সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলগুলোতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করে চলেছে বেজিং। যা দেখে স্পষ্ট, মুখে সীমান্তে অস্থিরতা কমানোর কথা যত বলুক না কেন, চিন কিন্তু আদতে তার বিপরীত কাজ করছে। কয়েকদিন আগেই একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) খুব কাছেই বায়ুসেনা ঘাঁটি বানিয়ে চলেছে (India China Border)। এই আবহে আকাশে চিনা বায়ুসেনার শক্তি ক্রমেই বেড়েছে এই অঞ্চলে। শুধু এয়ারফিল্ড নয়, লাদাখের আশেপাশে হেলিপ্যাড, রেললাইন, মিসাইল বেস, সড়ক, সেতু নির্মাণ করে চলেছে চিন। যার স্পষ্ট ইঙ্গিত, সেনা মোতায়েনের জন্যই এসব নির্মাণকাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় কেন রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা দেবে, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার শাসক দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরক্ষা বলয়ের বহরের তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    একজনের নিরাপত্তা ২২৪৫ পুলিশকর্মী!

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাতে কত পুলিশ মোতায়েন করা হয় তা নিয়ে এদিন ট্যুইটারে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এদিন মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে তিনি লেখেন, ‘‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেয়। দেশের যে কোনও ব্যক্তিকে দেওয়া এটাই সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা হওয়া উচিত। তাই তো? তবে এই তথ্য ঠিক নয়।’’ এর সঙ্গেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘‘এবার দেখে নিন ভাইপো প্রোটেকশন গ্রুপের বহর। শুধুমাত্র একদিনেই (আজকের দিনে) ২২৪৫ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে একজনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য— মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোকে।’’ শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য করা নিরাপত্তা এর তুলনায় ফিকে হয়ে যাবে।’’ 

    সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বর্তমানে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। গত মাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব শুধু বিস্ফোরণেই প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছেন। অগণিত খুন (রাজনৈতিক সহ), নারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্যাতন।’’ শুভেন্দু লেখেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গের থানা প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। শুধু একজনের সুরক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কারণ তিনি রাজনৈতিক সফরে বেরিয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সাধারণ মানুষের কথা ভাবছেই না।’’

    প্রশাসনিক নির্দেশে কী কী রয়েছে?

    এখানেই থামেননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অভিষেকের সফরকালে পুলিশ কর্মী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের কী করতে হবে, তাও সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তাও উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। সরকারি নির্দেশিকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তিনি তুলে ধরেছেন। ট্যুইটে এদিন পুলিশকে দেওয়া প্রশাসনের নির্দেশনামার ছবি পোস্ট করে লেখেন, পুলিশকে ১৪ পাতা দীর্ঘ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, নির্দেশিকার ৯ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সকাল থেকে অভিষেকের সভাস্থলের কাছে থাকার জন্য। নির্দেশ দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের তরফে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    সাপ, ব্যাঙও যাতে কাছে না ঘেঁষতে পারে!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, নির্দেশিকার ১০ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, রাতে থাকার জায়গায় কিংবা সভাস্থল কিংবা রোড শো-এর সময় যাতে সাপ, ব্যাঙ, বাঁদর কিংবা গরু কিংবা কুকুর না পৌঁছতে পারে তার জন্যও সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাশাসককে আগেই অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভিআইপিকে পরিবেশন করার আগে সেইসব জায়গায় খাবার, পানীয় ও স্ন্যাক্স ফুড সেফটি অফিসার পরীক্ষা করে দেখেন।

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। পরিস্থিতি শান্ত করতে মণিপুর গিয়ে সেখানে শান্তি-প্রস্তাব রাখলেন অমিত শাহ।

    বৈঠকে দেওয়া হল প্রস্তাব

    সোমবার রাতে চারদিনের সফরে মণিপুর পৌঁছন শাহ। রাজধানী ইম্ফলে নেমেই তিনি দফায় দফায় রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন সেনা কর্তা ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। কথা বলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। এর পাশাপাশি, তিনি বিবাদমান জনজাতি গোষ্ঠী প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও মিলিত হন (Manipur Violence)। তাঁদের অভিযোগ শুনে সমস্যার মূলে পৌঁছে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে কুকি জনজাতি প্রতিনিধিদলের তরফে তাঁর সামনে একাধিক দাবি পেশ করা হয়। শাহ সবকিছু ধৈর্য সহকারে শুনে কথা দেন, সব দাবি বিবেচনা করা হবে। এর সঙ্গেই বিবাদমান দুই জনজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদলের সামনে অমিত শাহ অনুরোধ করেন, ১৫ দিনের জন্য হিংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। শাহের মতে, হিংসা দিয়ে নয়, যে কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে শান্তির পরিবেশেই।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিদর্শন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    আজ বুধবার, মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা, মূলত যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন কাঙ্গপোকপি জেলায় যান শাহ। মণিপুরের যে জেলাগুলিতে সবথেকে বেশি অশান্তি (Manipur Violence) ছড়িয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কাঙ্গপোকপি। এই অঞ্চল কুকি অধ্যুষিত হলেও, সেখানে মৈতেই জনজাতিরও বসবাস রয়েছে। অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই জনজাতির বাড়িই ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) নিহতদের পরিবারের জন্য গতকাল যৌথ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয় নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এছাড়া, নিহতদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের খাদ্য সঙ্কট মেটাতে শীঘ্রই ২০ টন চাল বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    Manipur Violence: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ। এই মর্মে যৌথভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করল কেন্দ্র ও মণিপুর সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের ১ জনের জন্য চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।

    পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মণিপুরে অমিত শাহ

    জাতিগত হিংসায় প্রায় এক মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। এখনও পর্যন্ত এই হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। আহত বহু। ঘরছাড়া শতাধিক। এই পরিস্থিতিতেই চারদিনের সফরে মণিপুর গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা এবং আইবির ডিরেক্টর তপনকুমার ডেকা। সোমবার রাতে ইম্ফলে পা রেখেই পর পর বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক এক করে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং, মণিপুরের মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, নিরাপত্তা আধিকারিক এবং রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠক করেন রাজ্যপালের সঙ্গেও। 

    আরও পড়ুন: শান্তির লক্ষ্যে! অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পৌঁছেই পর পর বৈঠক অমিত শাহের

    কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

    অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মণিপুরে দ্রুত শান্তি (Manipur Violence) এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে। এই জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে। এর পরই, এই প্যাকেজের সিদ্ধান্ত করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে, বাকি ৫ লাখ টাকা দেবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সংঘর্ষে মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। 

    পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জন্য চাল, ডাল, রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রীও মজুত রাখার নির্দেশ সরকারকে দিয়েছেন অমিত শাহ। শাহের বৈঠকে এ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পেট্রল, রান্নার গ্যাস, চাল এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের জোগান বৃদ্ধি করা হবে। যাতে অভাবজনিত মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি ঠেকানো যায় (Manipur Violence)।

  • Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারত। আর বড়জোর মাস দেড়েক। তার পরেই চন্দ্রযান ৩-কে (Chandrayaan 3) সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর দৈত্যকায় জিএসএলভি রকেট। উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইসরোর তরফে।

    সোমবার, সফল এনভিএস-০১ নেভিগেশন উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের পরই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) বিষয়ে খোলসা করেন। তিনি বলেন, “সব ঠিকঠাক চললে ১২ জুলাই চাঁদের দিকে রওনা হবে চন্দ্রযান ৩। আমি এই অভিযানের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।” এই অভিযানের জন্য সরচেয়ে ভারি জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেট (অধুনা লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ বা সংক্ষেপে এলভিএম-৩) ব্যবহার করতে চলেছে ইসরো। ইসরোর এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩ এসে পৌঁছেছে শ্রীহরিকোটায়। চূড়ান্ত অ্যাসেম্বলি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যা চলছে। 

    আরও পড়ুন: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    চন্দ্রযান ২-এর সময় যা ঘটেছিল

    এর আগে, ২০১৯ সালে চাঁদের বুকে অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরো। সেটিই ছিল চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম প্রয়াস। চন্দ্রযান ২-কে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল জিএসএলভি রকেট। তাতে ছিল একটি ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও একটি রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর। মূলত, চাঁদে জলের অস্তিত্বর প্রমাণের খোঁজ করা এবং পৃথিবীর উপগ্রহের মাটি ও তার তলায় থাকা খনিজের সন্ধান করাই ছিল প্রজ্ঞানের লক্ষ্য।

    কিন্ত, অবতরণের ঠিক আগে মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ২-এর। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ ও অবতরণ স্থল থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়ে অবশেষে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) চন্দ্রযান ২। সেই সময় ইসরো স্পেস সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মিশন ব্যর্থ হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ইসরোর তৎকালীন প্রধান কে শিবন।

    চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সতর্ক ইসরো

    চার বছর আগের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ ইসরো। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এ (Chandrayaan 3)। যেমন প্রথমেই অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ল্যান্ডার ও রোভার নামানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ অভিযানের মাধ্যমে চাঁদের ভৌত বৈশিষ্ট্য, ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা পরিবেশ এবং চাঁদে অবতরণ স্থানের আশেপাশে মৌলিক গঠন নিয়ে গবেষণায় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করে নিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share