Tag: news in bengali

news in bengali

  • Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur Clash)। এক হেড কনস্টেবলের সাসপেনশনকে কেন্দ্র করে এবারের অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনায় এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার জেরে চূড়াচাঁদপুর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    তাণ্ডব জনতার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে চূড়াচাঁদপুরে এসপি এবং ডিসির অফিসে হামলা চালায় ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের একটি দল (Manipur Clash)। সরকারি সম্পত্তি তছনছ করার পাশাপাশি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। তার পরেই পাঁচ দিনের জন্য এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

    সংঘর্ষে মৃত ২

    একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা (Manipur Clash) যায়, চূড়াচাঁদপুর জেলার এক হেড কনস্টেবলকে কয়েকজন সশস্ত্র লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঘটনাটি নজরে পড়ে পুলিশের বড় কর্তাদের। এর পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। ওই হেড কনস্টেবলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। সেই দাবি জানিয়েই ওই রাতে এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকটি বাস, ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী। দু পক্ষের সংঘর্ষে কুকি-জো অধ্যুষিত এই এলাকায় মৃত্যু হয় দু জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

    আরও পড়ুুন: মিলবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ থেকে বেশি টাকা, বিজেপি-র প্রচারে এবার ‘লাডলি বহেনা’

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মণিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তিন-চারশো জনের একটি দল এসপি অফিসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে। তারা পাথর ছুড়তে থাকে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। চূড়াচাঁদপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল সিয়ামলালপলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কয়েকজন অস্ত্রধারী নাগরিকের সঙ্গে ভিডিও তৈরি করছেন। সিয়ামলালপলকে বিনা অনুমতিতে রাজ্যের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    এদিকে, ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের তরফে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে এসপি শিবাবনন্দকেই। ফোরামের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এসপি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজকর্ম করছেন না। আমরা তাঁকে কোনও আদিবাসি এলাকায় থাকতে দেব না। এখনই ওই কনস্টেবলের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই জেলা ছেড়ে চলে যেতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য এসপি শিবানন্দ সার্ভে দায়ী থাকবেন (Manipur Clash)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    ED Raid in Kolkata: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের ‘অ্যাকশনে’ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার গোয়েন্দারা হানা দিয়েছেন এই মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতে। এছাড়া, তল্লাশি চলছে বাঁশদ্রোনি, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি মিলিয়ে মোট ৬ জায়গায় চলছে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata)। শুক্রবার সাত-সকালে কলকাতার একধিক জায়গায় একযোগে অভিযানে দিয়েছে ইডি-র টিম। 

    কী জানা যাচ্ছে?

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, নিয়োগকাণ্ডের (Recruitment Scam) তদন্তে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক জায়গায় এই অভিযান সংগঠিত হচ্ছে। শুক্রবার ভোরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় ইডি অফিসারদের গাড়ি। বিভিন্ন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় চলে যায় এক-একটি টিম। মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি চালানো (ED Raid in Kolkata) হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একটি টিম এসেছে নাকতলায়। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দে-র। সেখানে তল্লাশি অভিযান ইডি-র। এর পাশাপাশি, বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও তল্লাশিতে নামেন ইডি আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে বাঁশদ্রোণীর একটি বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, ওই বাড়িটিও রাজীবের মালিকানাধীন।

    কেন হানা এই প্রোমোটারের বাড়িতে?

    জানা যাচ্ছে, রাজীব বরাবরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডি সূত্রে দাবি, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার। তাঁর নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ইডি সূত্রে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা  (Recruitment Scam) করে ইডি। তখনই রাজীব দে-র নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সূত্রেই, এই সকল জায়গায় অভিযানে (ED Raid in Kolkata) যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। 

    রেশনকাণ্ডেও অ্যাকশনে ইডি

    এর আগে, মঙ্গলবার সকালে রেশন দুর্নীতির তদন্তে শহরের ৬ জায়গায় হানা দেয় ইডি। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকরা পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি ও সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছিলেন। রাতভর জেরা করার পর সল্টলেকের আইবি ব্লকের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীকে। তিনি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং রেশন মামলাতেই ধৃত শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর ঘনিষ্ঠ বলে খবর ইডি সূত্রে। ওই মামলায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bond: নির্বাচনী বন্ড স্কিম সাংবিধানিক নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Electoral Bond: নির্বাচনী বন্ড স্কিম সাংবিধানিক নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) মামলায় রায় শোনাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের মতে, নির্বাচনী বন্ড স্কিম সাংবিধানিক নয়। ফলে, তা বাতিল হওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে জানিয়েছে, বেনামি নির্বাচনী বন্ডের ফলে সংবিধানে প্রদত্ত বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রাজনৈতিক দলের ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিক সাহায্য আদতে নাগরিকের তথ্যের অধিকার লঙ্ঘন করে। এই আইন অসাংবিধানিক।”

    ঠিক কী বলেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)?

    গত বছর ২ নভেম্বর শীর্ষ আদালতে এই মামলার (Electoral Bond) শুনানি শেষ হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন এই মামলার রায় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক ও বিধিবহির্ভূত। ইলেকটোরাল বন্ডের ব্যবস্থায় ‘কুইড প্রো কো’ (অর্থাৎ রাজনৈতিক দল ও আর্থিক অনুদানকারীর মধ্যে সুবিধার সম্পর্ক) তৈরি হতে পারে। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিতেই নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পাদরিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্র। এদিন শীর্ষ আদালতের  (Supreme Court) তরফে স্টেট ব্যাঙ্ককে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, কে বা কারা আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে, সেই তথ্য হাতে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

    নির্বাচনী বন্ড কী?

    ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড বা ইলেকটোরাল বন্ড আনা হয়েছিল। এই নিয়মে নিয়মে কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা যদি কোনও রাজনৈতিক দলকে আর্থিক সাহায্য করতে চায়, তবে তারা বন্ড কিনে সংশ্লিষ্ট দলকে দিতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলি সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে পারবে। ওই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের আওতায় যে কোনও ভারতীয় নাগরিক নির্বাচনী বন্ড কিনতে পারেন। কিন্তু কে, কত টাকা বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিচ্ছেন, সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে না। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ ও ১ কোটি টাকা অবধি বন্ড পাওয়া যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায়। এই বন্ডে কোনও সুদ দেওয়া হয় না। নিয়ম অনুযায়ী, শেষ লোকসভা নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে যত ভোট পড়েছে, তার এক শতাংশের কম ভোট পায়নি, সেই দলগুলিকেই শুধুমাত্র নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) কেনার অনুমতি দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India UAE Relation: মোদির আমিরশাহি সফরে স্বাক্ষরিত হল ১০ চুক্তি, জানেন কী কী?

    India UAE Relation: মোদির আমিরশাহি সফরে স্বাক্ষরিত হল ১০ চুক্তি, জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে গত ক’মাসে তিনি প্রায় পাঁচ বার গেলেন সেদেশে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন আবু ধাবিতে। সেটিকে তিনি তাঁর ঘর বলেই মনে করেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন বিদেশ সচিব?

    বুধবার বিদেশ সচিব বিনয় কোয়েত্রা বলেন, “ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (India UAE Relation) মধ্যে ১০টি বিষয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। শক্তি, পরিকাঠামো, লগ্নি এবং আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্টের মতো জটিল ক্ষেত্রগুলিতে দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়াতেও সম্পাদিত হয়েছে চুক্তি। মঙ্গলবার সে দেশে পৌঁছেই প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই সম্পাদিত হয়েছে চুক্তি এবং মউ। দুই দেশের বাণিজ্য যাতে মসৃণ গতিতে চলে এবং শক্তি নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, তাই দুই দেশের (India UAE Relation) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে মউ।

    করিডর তৈরির কাজে জোর

    বিদেশমন্ত্রকের সচিব বলেন, “ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর এবং ইন্টার গভর্নমেন্টাল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট নিয়েও আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উপকৃত হবে দুই দেশই। ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে যে লজিস্টিক প্লাটফর্মে আরও বেশি করে বোঝাপড়া প্রয়োজন, এই করিডর তৈরির জন্যও যে দুই দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন, তাও জানান বিদেশ মন্ত্রকের সচিব। দুই দেশের মধ্যে সাপ্লাই চেনও বজায় রাখতে হবে। বাল্ক কনটেনার্স এবং লিক্যুইড গুডসই যে দুই দেশের  আলোচনার অন্যতম ভরকেন্দ্র, তার ওপরও জোর দিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব। তিনি জানান, ভারতের লক্ষ্য দ্রুত ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর তৈরির কাজ শেষ করা এবং এই করিডরের সঙ্গে যেসব দেশ জড়িত, তাদের সঙ্গে শক্তপোক্ত সম্পর্ক গড়ে তোলা।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে হয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানেই ওই করিডর গড়ে তোলার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। এই করিডর তৈরির কাজ শেষ হলে এক সুতোয় বাঁধা পড়বে ভারত, সংযুক্ত আরব আমির শাহি, সৌদি আরব, জর্ডন, ইজরায়েল এবং ইউরোপ। ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সম্পর্ক যাতে আরও শক্তিশালী হয় তাই ডিজিটাল ইনফ্রাকস্ট্রাকচার প্রজেক্ট নিয়েও মউ স্বাক্ষরিত হবে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের মধ্যে দক্ষতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং এক্সপার্টাইজও শেয়ার করা হবে (India UAE Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vibhakar Shastri: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    Vibhakar Shastri: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকর শাস্ত্রী (Vibhakar Shastri)। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের উপস্থিতিতে এদিন লখনউয়ে  বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিভাকর। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভাঙনের জেরে কংগ্রেস দুর্বল হলেও, স্ফীতকায় হচ্ছে বিজেপি।

    কী বলছেন বিভাকর?

    এদিন পদ্ম ঝান্ডা হাতে নিয়ে বিভাকর (Vibhakar Shastri) বলেন, “আমি মনে করি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমি লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জয় জওয়ান, জয় কিষানের দৃষ্টিভঙ্গীকে আরও শক্তিশালী করতে পারব এবং দেশের সেবা করতে পারব।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বিভাকরের। তখন থেকেই দলের প্রতি চাপা ক্ষোভ ছিল তাঁর। প্রকাশ করেছিলেন অসন্তোষও। শেষমেশ এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে।

    লালবাহাদুর শাস্ত্রী

    কংগ্রেসের মধ্যে যাঁরা মহাত্মা গান্ধীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত, তাঁদের অন্যতম হলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী হন শাস্ত্রী। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভাকর তাঁরই নাতি। এদিনই বিভাকর পদত্যাগ করেন কংগ্রেস থেকে। তার পরেই বিজেপি অফিসে গিয়ে নাম লেখান গেরুয়া খাতায়। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতির উদ্দেশে বিভাকর লেখেন, ‘কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আমি ইস্তফা দিচ্ছি’।

    মঙ্গলবারও একবার ভেঙেছিল কংগ্রেস। এদিন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী অশোক চহ্বান ও কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকিও ‘হাত’ ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। গত কয়েক দিনে কংগ্রেস ছেড়েছেন একের পর এক দুঁদে নেতা। অশোকের আগে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন মিলিন্দ দেওরা। তিনি অবশ্য সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেননি। তিনি যোগ দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডের শিব সেনা শিবিরে।

    আরও পড়ুুন: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রমাদ গুণছেন ইন্ডি জোটের নেতারা। বিজেপি বিরোধী যে ২৬টি দল এক ছাতার এসেছিল পদ্মকে পরাস্ত করতে, তারাই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে। কারণ কংগ্রেস ভেঙে গেলে ইন্ডি জোটের যে ধার কমে যাবে, তা (Vibhakar Shastri) মানছেন জোটে ভোট ম্যানেজাররাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    PM Modi: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজা হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড। সেখান থেকে একেবারে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরা। কাতারের জেলবন্দি নৌবাহিনীর ৮ প্রাক্তন আধিকারিক দেশে ফিরে গাইছেন মোদি-স্তুতি (PM Modi)। তবে কেবল মোদি নন, এই আটজনের বেঁচে ফেরার নেপথ্যে রয়েছেন আরও দুজন। একজন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অন্যজন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই ত্রয়ীর চালেই হয় বাজিমাত। দেশে ফেরেন কাতারে মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আটজন।

    চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার

    ওমান ভিত্তিক দারা গ্লোবালে কাজ করছিলেন ওই আটজন। চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ৩০ অগাস্ট। তার পর থেকে বন্দি ছিলেন সে দেশের জেলে। পরের বছর ২৬ অক্টোবর তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত। এর পরেই নৌসেনার প্রাক্তন এই আট আধিকারিককে বাঁচাতে প্রাণপণ করে ভারত সরকার (PM Modi)। ২০২২ সালের অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে তাঁদের মুক্তির বিষয়ে কাতার সরকারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বিদেশমন্ত্রক জানায়, গ্রেফতার হওয়ার প্রথম দিন থেকেই তাঁদের মুক্ত করতে উঠেপড়ে লাগে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই জয়শঙ্কর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ছয় কূটনীতিককে নিয়ে একটি দল গঠন করেন। মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ার যাবতীয় তথ্য এঁদের নখদর্পণে।

    কাতার সরকারের সঙ্গে আলোচনা

    কাতার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন এঁরাই। ধৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ভারতও। জানা যায়, চরবৃত্তির যে অভিযোগ এই আটজনের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যে। এর পাশাপাশি নয়াদিল্লি ওমানের দারা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস এলএসসির সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ওমানের সুলতান, যাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো, তিনিও এই আটজনকে কাতার যাতে মুক্তি দেয়, সে ব্যাপারে সওয়াল করেন। কাতার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন লন্ডন ভিত্তিক এক ব্যবসায়ীও। এর পাশাপাশি ভারত ইরানকেও এ বিষয়ে কাতারের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করে। এমতাবস্থায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এঁদের মুক্তির বিষয়ে চিঠি লেখেন কাতারকে। দু দিনের সফরে তিনি চলে যান দোহা। সেখানে বৈঠক করেন সে দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ মহম্মদ বিন আহমেদ আল মুসনাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: দুবাইতে স্কুল খুলছে সিবিএসই, আবু ধাবিতে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ডোভাল মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও এ ব্যাপারে অনুরোধ করেন। কাতারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বেশ ভালো। সেই কারণেই অনুরোধ করা হয় ব্লিঙ্কেনকে। ভারতের হয়ে সওয়াল করেন তাঁরা। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে কাতার হামাসদের পক্ষে। এমতাবস্থায় ভারত কথা বলে দোহা, ওয়াশিংটন, তেহরান এবং ম্যাসকটের সঙ্গে। মোদি (PM Modi) স্বয়ং কথা বলেন সে দেশের আমির আল থানির সঙ্গে। এই আটজনকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এঁরা যে চরবৃত্তি করছিলেন না, তার অকাট্য প্রমাণ তুলে ধরেন ডোভাল।

    কাতারে যে প্রচুর ভারতীয় রয়েছেন, ভারত যে সে দেশে ১৫.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য করতে চায়, প্রধানমন্ত্রী এসবই জানান আমিরকে। সেদেশে যে ছ’ হাজার ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে, তাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকের পরেই গলে বরফ। ক্ষমা করে দেওয়া হয় জেলবন্দি আটজনকে। তার পরেই মেলে কাঙ্খিত মুক্তি (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Elections: পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ!

    Pakistan Elections: পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan Elections) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নাম ঘোষণা করেন তাঁরই দাদা পাকিস্তানের তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এর মুখপাত্র মারিয়াম অওরঙ্গজেব জানান, ‘পিএমএল এন প্রধান বছর চুয়াত্তরের নওয়াজ তাঁর ছোট ভাই বছর বাহাত্তরের শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ও তাঁর কন্যা বছর পঞ্চাশের মারিয়াম নওয়াজকে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছেন।’

    প্রধানমন্ত্রীর দৌড়

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী পদের (Pakistan Elections) দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি। বছর পঁয়ত্রিশের বিলাবল জানিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। বরং প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তাঁর বাবা আসিফ আলি জারদারি উপযুক্ত। বিলাবল এও জানিয়েছিলেন, তাঁর দল পিএমএল এনকে সমর্থন করলেও, সরকারে যোগ দেবে না। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেনাবাহিনীর সমর্থন তিনি পাবেন না বুঝেই সরে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে। পাক সেনা প্রধান আসিফ মুনীর অবশ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকেই ফের ক্ষমতায় চেয়েছিলেন। তবে নওয়াজই তাঁর ভাই শাহবাজের নাম ঘোষণা করেন (Pakistan Elections)।

    ত্রিশঙ্কু সংসদ

    দিন কয়েক আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় পাকিস্তানে। এই নির্বাচনে কোনও দলই সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় ম্যাজিক নম্বর পায়নি। পাক সংসদের আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ৯৪টির দখল নিয়েছে জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পার্টি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। সংসদের এই ত্রিশঙ্কু দশা কাটাতে হাত মিলিয়েছে নওয়াজ ও বিলাবলের দল। তার পরেও জোগাড় হয়নি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় ম্যাজিক সংখ্যা। এমতাবস্থায়  ভাইকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়ে নওয়াজ ঝুঁকি এড়াতে চাইলেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অথচ নওয়াজের দল পিএমএল এনের সঙ্গে সমর্থন রয়েছে পাকিস্তানের সেনার। সে দেশে সেনার অঙ্গুলি হেলনেই সরকার চলে। সেই সেনার সর্বাত্মক সমর্থন নিয়েও সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে পিএমএল এন। তার পরেও মঙ্গলবার শাহবাজ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দাদা নওয়াজই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। বেলা গড়াতেই ভাইয়ের নামই প্রধানমন্ত্রী পদে প্রস্তাব করে বসলেন দাদা (Pakistan Elections)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় (Ration Scam) আরও একজনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার সকালে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ‘ডাকু’ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে ইডি (ED Arrests Businessman)। এই নিয়ে রেশনকাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। এ বার শঙ্করের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে ধরল ইডি। 

    রাতভর জেরার পর গ্রেফতার

    মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ, সল্টলেকে বিশ্বজিতের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। একইসঙ্গে মেট্রোপলিটন এলাকায় তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট, বাগুইআটির অফিস-সহ ৬টি জায়গায় চলে তল্লাশি। তবে তখন ব্যবসায়ী কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিকেলে বিমানে কলকাতা পৌঁছলে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটক করেন ইডির গোয়েন্দারা (Ration Scam)। নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের দাবি, বিভ্রান্তিকর জবাব দিয়ে তদন্তকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছিলেন বিশ্বজিৎ। এমনকী তথ্য গোপন করেন তিনি। এর পরই, তদন্তে অসহযোগিতা এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকার জেরে এদিন সকালে গ্রেফতার (ED Arrests Businessman) করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। সেই সঙ্গে ধৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ হাওয়ালা-সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। 

    কীভাবে হত টাকা-পাচার?

    শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, মধ‌্যপ্রাচ‌্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে (Ration Scam)। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শঙ্কর আঢ‌্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ‌্যমে শঙ্করই বনগাঁ থেকে ওই সোনা কখনও ট্রেন, আবার কখনও বা সড়কপথে পাচার করতেন কলকাতায়। সেই সোনা তাঁরই এক আত্মীয়ের লোকজন কলকাতায় বসে নিতেন।

    বিশ্বজিতের ভূমিকা ঠিক কী?

    গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, শঙ্কর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের (ED Arrests Businessman) বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, সোনার ব্যবসা রয়েছে, এছাড়াও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সংস্থা রয়েছে। ইডির অভিযোগ, মোটা কমিশনের বিনিময়ে এই ব্যবসায়ী শংকর আঢ্যকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন। বিদেশি মুদ্রার সংস্থার মাধ্যমে শঙ্করের কালো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ভুয়ো আমদানি দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। জানা গিয়েছে, আজই বিশ্বজিৎ দাসকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করবে তারা (Ration Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দুবাইতে স্কুল খুলছে সিবিএসই, আবু ধাবিতে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দুবাইতে স্কুল খুলছে সিবিএসই, আবু ধাবিতে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষ্ম বিস্তার করছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE)। খুব শীঘ্রই দুবাইতে স্কুল খুলছে তারা। মঙ্গলবার একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আবু ধাবিতে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠান আহলান মোদি (বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় হ্যালো মোদি)-তে যোগ দেন তিনি। সেখানেই জানান সিবিএইর স্কুল খোলার খবর।

    খোলা হবে স্কুল

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেড় লাখেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া সংযুক্ত আরব আমিরশাহির স্কুলে পড়াশোনা করছে। গত মাসে দিল্লি আইআইটির এখানকার ক্যাম্পাসে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে। এবার দুবাইতে খুব শীঘ্রই খুলতে চলেছে সিবিএসই বোর্ডের স্কুল। এখানে বসবাসকারী ভারতীয় পড়ুয়াদের সেরা শিক্ষাটা দেবে এই সব প্রতিষ্ঠান।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ উপস্থিত রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হৃদয় এক সুতোয় বাঁধা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের হৃদয়ে বাজছে এক সুর – ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ।”

    ভারত-প্রশস্তি 

    তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে আমাদের প্রত্যেকের হৃদস্পন্দনে, প্রত্যেকের শ্বাসে, প্রত্যেকের কণ্ঠে একই সুর বেজে চলেছে, ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়ই ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে চান। কোন সেই দেশ যার অর্থনীতি দ্রুত সমৃদ্ধশালী হচ্ছে? ভারত। বিশ্বের কোন দেশে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ রয়েছে? আমাদের ভারত। কোন দেশ প্রথম চেষ্টায়ই পৌঁছে গিয়েছে বুধে? আমাদের ভারত।”ভারতের চন্দ্রযান মিশন সাফল্যের কথাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, “বিশ্বের কোন দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে? আমাদের ভারত। কোন দেশ নিজেদের চেষ্টায় ফাইভ-জি প্রযুক্তি তৈরি করেছে এবং ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে? আমাদের ভারত। কোন দেশ একই সঙ্গে একশোটি স্যাটেলাইট লঞ্চের রেকর্ড করেছে? আমাদের ভারত।”

    প্রসঙ্গত, এদিন আবু ধাবি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বৈঠক করেন ইউএইর প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে। দুই দেশ অন্তত আটটি ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বাণিজ্য এবং ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্ম সংক্রান্ত বিষয়ও।

    আরও পড়ুুন: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় যুদ্ধবিমান লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) সংস্করণের উৎপাদন জোরকদমে চলছে। প্রথম বিমানের নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হতে পারে, প্রথম তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানটি মার্চ মাসেই হস্তান্তর করা হবে। একইসঙ্গে, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে তেজসের সর্বাধুনিক সংস্করণ মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের (HAL Tejas Mk2) প্রথম প্রোটোটাইপের পূর্ব-প্রস্তুতি পর্ব। সূত্রের খবর, ২০২৭ সাল নাগাদ এই মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের উৎপাদন শুরু হতে পারে।

    প্রথম তেজস মার্ক-১এ মার্চ মাসেই?

    ভারতীয় বায়ুসেনায় কমতে থাকা যুদ্ধবিমানের সংখ্যার মোকাবিলা করতে ২০২১ সালে তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) কেনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কেন্দ্র। বর্তমানে ব্যবহৃত মার্ক-১ যুদ্ধবিমানগুলির তুলনায় মার্ক-১এ সংস্করণের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। এছাড়া এতে রয়েছে নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক রেডার, ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, মিড-এয়ার রিফুয়েলিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা। এমন ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছিল দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল-কে। জানা যাচ্ছে, প্রথম বিমানটি মার্চ মাসেই বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। অগাস্ট মাস নাগাদ বায়ুসেনার হাতে চলে আসতে পারে ৪টে তেজস মার্ক-১এ।

    উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর 

    সূত্রে খবর, প্রথমে বরাত দেওয়া ৮৩টি মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) ছাড়াও আরও অতিরিক্ত ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবছে বায়ুসেনা। বর্তমানে, দেশে যুদ্ধবিমান উৎপাদনের বার্ষিক ক্ষমতা ৮। অর্থাৎ, ফি-বছর ৮টি যুদ্ধবিমান উৎপাদনের ক্ষমতা ও পরিকাঠামো রয়েছে দেশে। সেটিকে বাড়িয়ে ১৬ করার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত, চলতি বছরেই সেই পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, বায়ুসেনায় নতুন বিমানের অন্তর্ভুক্তিকরণের সময় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ২০২৭ সালেই তেজস মার্ক-২

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, একবার উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে, তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমান (HAL Tejas Mk2) নিয়ে দ্রুত এগনো সম্ভব হবে। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তা হল— ২০২৫ সালের মধ্যে তেজসের এই মিডিয়াম কমব্যাট ভেরিয়েন্ট বা সংস্করণের প্রথম প্রোটোটাইপ উন্মোচিত হবে। সেটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ২০২৭ সাল নাগাদ এই বিমানের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) তুলনায় মার্ক-২ আরও অনেক বেশি ভারী ও শক্তিশালী হতে চলেছে। যে কারণে, এটি এলসিএ শ্রেণিভুক্ত না হয়ে মিডিয়াম ক্যাটেগরিতে স্থান পেয়েছে। এটির ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা অনেক বেশি হতে চলেছে। পাশাপাশি, ক্ষেপণাস্ত্রের বৈচিত্র্যেও এটি পূর্বসূরিদের টেক্কা দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share