Tag: news in bengali

news in bengali

  • Jharkhand: ডিলিস্টিংয়ের দাবিতে পথে নামলেন ঝাড়খণ্ডের জনজাতিরা

    Jharkhand: ডিলিস্টিংয়ের দাবিতে পথে নামলেন ঝাড়খণ্ডের জনজাতিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথক জেলার দাবিতে পথে নামলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জনজাতিরা। বুধবার থেকে পথে নেমেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের তরফে জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ডি-লিস্টিংয়ের দাবিও জানানো হয়েছে জনজাতিদের তরফে। রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে স্বর্ণ রিলিজিয়ন কোডের মতো একটি রেজলিউশন পাশ করতে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারকে জমা দিতেও বলা হয়েছে।

    জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন

    জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন চলছে। ভারতজুড়ে ডিলিস্টিং এবং জনজাতিদের অবৈধ ধর্মান্তরিতকরণের দাবি (Jharkhand) জানিয়েছে জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ২৪টি জেলায় আন্দোলনে নেমেছেন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। যে জেলাগুলিতে আন্দোলন হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে গুমলা, হাজারিবাগ, সিমডেগা, বোকারো, ছাতরা এবং লাতেহারও। এই সব এলাকায় জনজাতি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ ডিলিস্টিংয়ের প্রতি সরকারি উদাসীনতায় সোচ্চার হয়েছেন।

    বদলালো সমাবেশের দিন

    এই দাবিতে লোহারদাগা ও রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে যে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি এই সমাবেশ হওয়ার কথা। জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের জাতীয় মিডিয়া আহ্বায়ক শারদ চৌহানই এ খবর জানান। উল্লেখ্য যে, এর আগে উলগুলান ডি-লিস্টিং মহা সমাবেশের আয়োজন করেছিল জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ। গত ২৪ ডিসেম্বর রাঁচির মরহাবাদী গ্রাউন্ডে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন জনজাতি সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। খ্রিস্টমাসের আগের দিন এত মানুষের ভিড় জানান দিয়েছিল, নিজেদের দাবিতে অনড় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    আন্দোলনকারীদের তরফে সোমা ওঁরাও বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারকে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলেছিলাম স্বর্ণ কোডের মতো একটি রেজলিউশন পাশ করতে। যাতে জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে যাঁরা খ্রিস্টান কিংবা অন্য কোনও ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন, তাঁরা যেন সংরক্ষণের সুবিধা না পান।”

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পাশ হয় স্বর্ণ রিলিজিয়ন কোড। গত জনগণনায় এঁদের গণনা করা হয়েছিল। পরে সেই তথ্য রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন (Jharkhand) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Baloch Liberation Army: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি

    Baloch Liberation Army: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি (Baloch Liberation Army)। দু’ দিনের দারা-ই-বোলান অপারেশন চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন বালোচ ফ্রিডম ফাইটার্স। এঁদের মধ্যে ১২ জন ফিঁদায়েও ছিলেন।

    অপারেশন দারা-ই-বোলান

    বালোচ লিবারেশন আর্মির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৩৮৫ বালোচ ফ্রিডম ফাইটার্স, যার মধ্যে ১২ ফিঁদায়েও রয়েছেন, অংশ নিয়েছিলেন অপারেশন দারা-ই-বোলানে। খতম করা হয়েছে ৭৮ জন শত্রুকে। শত্রুপক্ষের (পড়ুন, পাকিস্তান) বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় যেসব দেশ, আমরা তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে রাজি।” দু’ দিন ব্যাপী অপারেশন দারা-ই-বোলান শুরু হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। অপারেশনে যে ৩৮৫ জন অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা বালোচ লিবারেশন আর্মির বিভিন্ন শাখার সদস্য। মাজিদ ব্রিগেডের ১২ জন ফিঁদায়েও অংশ নিয়েছিলেন। ফতে স্কোয়াড, স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল অপারেশনস স্কোয়াড এবং গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও অংশ নিয়েছিলেন এই অপারেশনে (Baloch Liberation Army)।

    খতম ৭৮

    ৩১ জানুয়ারি সন্ধে সাতটায় যে অপারেশন হয়েছিল, সেদিন সমস্ত লক্ষ্যে আঘাত হানা করা হয়েছিল বলে দাবি বালোচ লিবারেশন আর্মির। ৭০ কিমি ব্যাসার্ধ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। এর মধ্যে রয়েছে মাচ শহর এবং এনএইচ ৬৫, কৌশলগতভাবে যার গুরুত্ব কম নয়। জানা গিয়েছে, অপারেশন শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টায়ই খতম করা হয়েছে ৭৮ জন শত্রুকে। পরে হামলা চালানো হয় ১০ ফ্রন্টিয়ার কর্পসের ওপর। পিয়ার ঘাইব, বোলন এলাকায়ও হামলা চালানো হয়। জানুয়ারির ৩০ তারিখে বালোচ লিবারেশন আর্মি এফসি হেডকোয়ার্টারে হামলা চালায়। এই হামলায় খতম করা হয় ১২ পাকিস্তানি সেনাকে। পাঁচজন এসএসজি কমান্ডার ও দুই পুলিশ কর্মীও খতম হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্টেশন হাউস অফিসারও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    বালোচ লিবারেশন আর্মির এই অপারেশনে আত্মবলিদান দিয়েছেন ১২ জন ফিঁদায়েও। প্রাণ হারিয়েছেন ফতে স্কোয়াডের এক সদস্যও। বালোচ লিবারেশন আর্মির তরফে জারি করা বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “দেশমাতৃকার জন্য আত্মবলিদান দেবেন বলে যুদ্ধে নেমেছিলেন সব ফিঁদায়েরা। তাঁরা সফলভাবে এফসি হেডকোয়ার্টারে ঢুকে পড়েছিলেন। দু’ দিন ধরে বোলানের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নেওয়ার পরে শত্রুরা আমাদের একজন যোদ্ধাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। এ থেকেই প্রমাণ হয় বালোচ লিবারেশন আর্মির (Baloch Liberation Army) দক্ষতা ও শক্তি কত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paytm: আরবিআইয়ের নিষেধাজ্ঞার পর এবার কি পেটিএমের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে ইডি?

    Paytm: আরবিআইয়ের নিষেধাজ্ঞার পর এবার কি পেটিএমের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটিএমের (Paytm) বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কোনও প্রিপেইড, ওয়ালেট এবং ফাস্টট্যাগে রিচার্জ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আরবিআইয়ের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির পরে কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট, প্রিপেইড উপকরণ, ওয়ালেট, কার্ড ইত্যাদিতে আর কোনও আমানত বা ক্রেডিট লেনদেন বা টপআপের অনুমতিও দেওয়া হবে না পেটিএমকে।

    ইডির নজরদারি

    আরবিআইয়ের নিষেধাজ্ঞার পর পেটিএমের (Paytm) ওপর নজর রাখতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-ও। রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা বলেন, “যদি তহবিলের অপব্যবহারের কোনও নয়া অভিযোগ পাওয়া যায় বা আরবিআই দ্বারা পেটিএমের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের কোনও নতুন অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে ইডির দ্বারাও একই তদন্ত করা হবে।” তিনি বলেন, “এর পর যদি আরবিআই পেটিএমের বিরুদ্ধে নতুন কোনও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আসে তাহলে এ দেশের নিয়ম মেনে তদন্তে নামবে ইডি। আপাতত পেটিএমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।”

    আরবিআইয়ের লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, আরবিআই প্রথমে আমানতকারীদের রক্ষা করতে চায়। ২৯ ফেব্রুয়ারির পরে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই সময় পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে তার গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা ডিজিটাল পেমেন্ট ওয়ালেট ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, আরবিআই পেমেন্ট ব্যাঙ্কগুলির সিংহভাগ ব্যবসা নিষিদ্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে, যার কারণে কোটি কোটি ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    চিনে গ্রাহকদের তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছিল পেটিএমের বিরুদ্ধে। একটি চিনা সংস্থা পরোক্ষভাবে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই ভারতীয় গ্রাহকদের তথ্য সে দেশে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই তথ্য পাচার আরবিআইয়ের গাইডলাইনের বিরুদ্ধে। তবে চিনের সঙ্গে ঠিক কী ধরনের তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। পড়শি দেশে তথ্য পাচারের অভিযোগ ওঠায় পাকাপাকিভাবে এই অ্যাপের পরিষেবা বন্ধ করে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছিল, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংস্থার বিরুদ্ধে লাগাতার নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় সংস্থার অডিটেও উঠে এসেছে বেশ কিছু অসঙ্গতি। সেজন্য জরিমানাও করা হয়েছিল পেটিএমকে। পেটিএমের (Paytm) প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বিজয় শেখর শর্মা ২৯ ফেব্রুয়ারির পরেও একইভাবে কাজ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MQ-9B Predator: সবুজ সঙ্কেত বাইডেন প্রশাসনের, ‘বন্ধু’ ভারতকে ৩১টি ঘাতক ‘প্রিডেটর’ ড্রোন দিচ্ছে আমেরিকা

    MQ-9B Predator: সবুজ সঙ্কেত বাইডেন প্রশাসনের, ‘বন্ধু’ ভারতকে ৩১টি ঘাতক ‘প্রিডেটর’ ড্রোন দিচ্ছে আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল ‘বন্ধু’ ভারত। সেই ইচ্ছাপূরণ করতে ভারতকে ৩১টি এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator) ড্রোন দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবারই, এই মর্মে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩ হাজার ২০০ কোটি)। ৩১টি ড্রোন ছাড়াও এই চুক্তির আওতায় থাকছে ১৭০টি এজিএম-১১৪আর হেলফায়ার মিসাইল, ৩১০টি জিবিইউ-৩৯বি/বি লেজার বম্ব এবং ১৬১ জিপিএস সিস্টেম। 

    নৌসেনা নেবে ১৫টি, স্থল-বায়ুসেনা ৮টি করে

    জানা গিয়েছে, ৩১টি ড্রোনের মধ্যে ভারতীয় নৌসেনা পাবে ১৫টি। স্থল ও বায়ুসেনা ৮টি করে ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator) ড্রোন পাবে। ড্রোনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল অ্যাটোমিক্স গ্লোবাল কর্পোরেশনের তরফে এই বিক্রির সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, এর (প্রিডেটর ড্রোন হাতে এলে) ফলে, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিপদ সহজেই সামলাতে সক্ষম হবে ভারত। বিশেষ করে, মানববিহীন নজরদারি ও সমুদ্রে প্যাট্রলিং অনেক সহজ হবে। নিজেদের সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণ করতে বদ্ধপরিকর ভারত। ফলে, এই ড্রোন (Hunter-Killer Drones) অন্তর্ভুক্ত করতে কোনও সমস্যা হবে না ভারতীয় বাহিনীর।

    চিনের ওপর নজর রাখার প্রয়োজনীয়তা

    হান্টার-কিলার ড্রোনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগেও হয়েছে। পূর্ব লাদাখে গালওয়ানে চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা উপস্থিতির ওপর নজর রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২টি এমকিউ-৯বি ‘সি-গার্ডিয়ান’ ড্রোন লিজে নিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। পরবর্তীকালে, সেই লিজের মেয়াদা একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ছ’বছর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় প্রিডেটর কেনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। বছর দেড়েক আগেই এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছিল দু’পক্ষ। 

    কেন ভারত এই ড্রোন কিনতে আগ্রহী?

    কেন ভারত এই ড্রোন (MQ-9B Predator) কিনতে আগ্রহী? কেন-ই বা এই ড্রোনকে ‘নিঃশব্দ-শিকারী’ বলে ডাকা হয়? তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের প্রধান বায়তুল্লা মেহসুদ, সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদ থেকে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানি এবং আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল এই ড্রোন। দেখে নেওয়া যাক, এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ ড্রোন কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য, যা একে এনে দিয়েছে জগৎজোড়া খ্যাতি—

    ‘নিঃশব্দ-শিকারী’ এমকিউ-৯বি

    এই ড্রোনটি এমকিউ-৯ ‘রিপার’ (Hunter-Killer Drones) ড্রোনের একটি সংস্করণ। মূলত, মার্কিন বায়ুসেনা এটি ব্যবহার করে। ড্রোনটি আদতে হাই অল্টিটিউড লং এনডিওরেন্স চালকবিহীন বিমান। ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ‘প্রিডেটর’। আবার মাটি থেকে মাত্র ২৫০ মিটার উঁচুতেও উড়তে পারে এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator)। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৪২ কিলোমিটার। একটানা ৩৫-ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এটি। রিফুয়েলিং ছাড়া এটি একটানা ২ হাজার মাইল দূরে অনায়াসে যেতে পারে। ফলে, একেক বারে অনেকটা সময় ধরে ও বিশাল এলাকা জুড়ে তা নজরদারি চালাতে পারে। কন্ট্রোল রুম থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও, এই প্রাণঘাতী ড্রোনের কার্যকারিতায় কোনও হেরফের ঘটে না। এর অত্যাধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘটনাস্থলের ‘রিয়েল-টাইম সিচুয়েশন’ বা একেবারে সেই সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে। সবচেয়ে বড় কথা, এটি একেবারে নিঃশব্দে চলে। যা একে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

    ‘নরকের আগুন’ ছুড়তে পারে

    এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (Hunter-Killer Drones) ড্রোন বিভিন্ন ধরনের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বহন সক্ষম। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘নরকের আগুন’ বা ‘হেলফায়ার’ মিসাইল। এই মিসাইল দিয়েই খতম করা হয়েছিল আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরিকে। আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator)। এছাড়া, একাধিক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম এই ড্রোন। যেমন— ভূ ও জলসীমা নজরদারি, অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার, অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এবং সামরিক অভিযান।

    ১৭০০ কেজির পেলোড বহনে সক্ষম

    এর দুটি ভেরিয়েন্ট বা ভেরিয়েন্ট রয়েছে। একটি স্কাই গার্ডিয়ান। অন্যটি সি-গার্ডিয়ান। ২০২০ সাল থেকে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত এই দ্বিতীয় ভেরিয়েন্টটি। এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেক-অফ ও ল্যান্ডিং করতে পারে। দিন হোক বা রাত, স্থল হোক বা জল— এই ড্রোন যে কোনও পরিবেশে উপযোগী। ৪৫০ কেজি বোমা সহ মোট ১৭০০ কেজির পেলোড বহন করতে সক্ষম এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। চারশোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। এজন্য চাই নয়া মন্ত্র। ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মন্ত্রদীক্ষাই দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ও ন্যাশনাল কাউন্সিলে ভাষণ দেবেন তিনি। সেখানেই দলীয় কর্মীদের নির্বাচনে জয়ের মন্ত্র দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কারা থাকবেন বৈঠকে

    বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ও ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক হবে ফেব্রুয়ারির ১৭ ও ১৮ তারিখে। এই বৈঠকে দেশের কয়েক হাজার নেতা উপস্থিত থাকবেন। ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দু’ দিনের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য ও লোকসভার সদস্য, বিধায়ক, লেজিসলেটিভ কাউন্সিল মেম্বার এবং পূর্বতন সাংসদদেরও। বৈঠকে যোগ দেবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের জাতীয় আধিকারিকরাও। রাজ্য বিজেপির আধিকারিক, কোর কমিটির সদস্য, শৃঙ্খলা কমিটি, ফিনান্স কমিটি এবং (PM Modi) ইলেকশন কমিটির সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা, তিন দিনের মধ্যেই শক্তি পরীক্ষা দেবে চম্পাই সরকার

    লোকসভা ক্লাস্টার ইন-চার্জ, লোকসভা কোঅর্ডিনেটর এবং লোকসভা আহ্বায়কদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জাতীয় মুখপাত্র, স্টেট চিফ স্পোকপার্সন, স্টেট মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর, সোশ্যাল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর এবং আইটি কো-অর্ডিনেটরদেরও। দু’ দিনের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দফতরের আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর, জেলা সভাপতি, মেয়র, মিউনিসিপ্যাল চেয়ারপার্সন, মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল এবং মিউনিসিপ্যাল পঞ্চায়েতের সদস্যরাও।

    জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ১০ হাজার পদাধিকারী অংশ নেবেন দু’ দিনের এই বৈঠকে। এঁদের উপস্থিতিতেই সুর বেঁধে দেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের। রাম মন্দির নির্মাণ, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ, এসবই হবে বিজেপির তুরুপের তাস। তার পরেও কীভাবে প্রচার চালিয়ে চারশোর গণ্ডী পূর্ণ করা যাবে, সেই মন্ত্রও দেবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তবে মন্ত্রদীক্ষায় তিনি (PM Modi) ঠিক কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ছ’বছরে বিদেশে পড়তে গিয়ে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০৩ ছাত্রের। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়, কয়েকজনের মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণ এবং কয়েকজনের ন্যাচারাল কারণে।

    কানাডায় মৃত্যু ৯১ জন ছাত্রের

    জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জন ছাত্রের। তার পরেই রয়েছে ব্রিটেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভিন দেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের কল্যাণই রয়েছে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায়।” জয়শঙ্কর বলেন, “মন্ত্রকের তরফে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৪০৩ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বিদেশে পড়তে গিয়ে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে।”

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রী জানান, বিদেশে পড়তে গিয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানই আশু লক্ষ্য সরকারের। এই ছ’বছরে যেসব পড়ুয়ার বিভুঁইয়ে মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের তালিকাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের, ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। রাশিয়ায় পড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। অস্ট্রেলিয়ায় মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। ইউক্রেনে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আর জার্মানিতে মারা গিয়েছেন ২০ জন। সাইপ্রাসে মারা গিয়েছেন ১৪ জন ভারতীয়। ফিলিপিন্স ও ইটালিতে মারা গিয়েছেন ১০ জন করে। কাতার, কিরঘিস্তান এবং চিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন করে ভারতীয়ের।

    আরও পড়ুুন: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেন, “প্যালেস্তাইনের প্রতি ভারতের নীতি দীর্ঘ মেয়াদি এবং একই রয়েছে।” তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। প্যালেস্তাইন একটি সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হোক। নির্দিষ্ট সীমান্তও তৈরি হোক। পড়শি দুই দেশই থাকুক শান্তিতে।” তিনি জানান, অক্টোবরের সাত তারিখে হামাস যে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাতে যে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছে ভারত। মন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বন্দ্বের অবসানে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা চলুক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • LK Advani Bharat Ratna: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    LK Advani Bharat Ratna: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতরত্ন পাচ্ছেন প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী (LK Advani)। শনিবার ঘোষণাটি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে আডবাণীর দুটি ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে যোঘণা করছি যে শ্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীজিকে ভারতরত্ন প্রদান করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছি আমি। ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রনায়ক। ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা অভাবনীয়। তৃণমূল স্তরে কাজ করার মাধ্যমে তাঁর জীবন শুরু করেছিলেন। সেই তিনিই উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের দেশের সেবা করেছেন। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে উনি (LK Advani) নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তিনি লিখেছেন, “ওঁকে ভারতরত্ন প্রদান করতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত আবেগের একটি মুহূর্ত। আমি যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার এবং তাঁর কাছ থেকে শেখার অশেষ সুযোগ পেয়েছি, তার জন্য আমি সর্বদাই এটিকে আমার সাফল্য বলে মনে করব।” ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন। সেই সম্মানেই ভূষিত হতে চলেছেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আডবাণী (LK Advani Bharat Ratna)। তিনি ছিলেন দেশের সপ্তম উপ-প্রধানমন্ত্রী। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

    এলকে আডবাণী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সদস্যও ছিলেন আডবাণী। দেশের সর্বাধিক সময় ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই সৎ রাজনীতিবিদ। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন আডবাণী। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “আডবাণীজি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সাধারণ জনগণকে যে পরিষেবা দিয়েছেন স্বচ্ছতা ও সততা বজায় রেখে, তা রাজনীতিতে মানদণ্ড তৈরি করেছে। দেশের অখণ্ডতা ও সংস্কৃতির পুনরুত্থানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ওঁর সঙ্গে আলাপচারিতা করতে পারা ও ওঁর থেকে পাওয়া শিক্ষাকে আমি বরাবরই নিজের সৌভাগ্য (LK Advani Bharat Ratna) বলে মনে করেছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মোক্ষম প্রশ্নটি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ই কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত।

    দুর্নীতির নয়া পন্থা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির এটি একটি নয়া পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানে না।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খরচ হয়েছে কোন খাতে, খরচই বা হয়েছে কত। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় তিন হাজার চারশো কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।

    সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি

    সুকান্তর অভিযোগ, শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন ও শিক্ষা দফতরে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বাংলায় যা হয়েছে, তা মাদার অব অল স্ক্যাম।” কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব।

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) একদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দিল স্পেশাল পিএমএলএ আদালত। বুধবারই টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে তোলা হয় আদালতে। সেখানেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি

    যদিও হেমন্তকে দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজীব রঞ্জন। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতাকে (হেমন্ত) বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টিই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে এটা একটা ষড়যন্ত্র। পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। যখন তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছিল, তখনই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটা অবৈধ।”

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেল

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দ্রাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে গঠিত হয়েছিল মহাগটবন্ধন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি এবং এনসিপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক।  বিজেপি-বিরোধী শিবিরের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতেই এসব করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, যা হয়েছে, তা আইন মেনেই (Hemant Soren)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক বাজেট (Budget 2024) পেশ করায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বাজেটকে “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট” বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রাক-নির্বাচন পর্বের এই বাজেটকে অভিনবও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

    উদ্ভাবনের বাজেট

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য। এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। স্টার্ট-আপগুলির জন্য কর ছাড়ের ঘোষণাও করা হয়েছে।” এই বাজেট আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে আরও এক কদম বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। নির্মলার বাজেটের (Budget 2024) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে বাজেট সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন অর্জনের একটি রোডম্যাপ।”

    বিকশিত ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের ভিত্তি পোক্ত করার গ্যারেন্টি দিচ্ছে এই বাজেট। আমি নির্মলাজি ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই। তরুণ ভারতের আকাঙ্খার প্রতিফলন এই বাজেট। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতায়ন এবং নয়া আয়ের দিশার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। এক কোটি পরিবারকে নিখরচায় বিদ্যুৎ পেতে সাহায্য করবে রুফটপ সোলার স্কিম।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেট তরুণদের জন্য অসংখ্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতের উপযোগী আধুনিক পরিকাঠামোও তৈরি করবে এই বাজেট। ২০ মিলিয়ন মহিলাকে লাখপতি দিদি করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি আমরা। এটা এখন বাড়িয়ে ৩০ মিলিয়ন করা হয়েছে। গ্রাম ও শহরের গরিব মানুষকে আমরা ৪০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আরও ২০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করেছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এছাড়াও আজকের বাজেট কৃষক কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাজেট বিকশিত ভারতের চারটে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ তরুণ, দরিদ্র, মহিলা এবং কৃষককে শক্তিশালী করবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে উন্নত ভারত হবে, তার ভিত্তি শক্তিশালীর করার গ্যারেন্টিও দিচ্ছে এই বাজেট (Budget 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share